Ragging To Loving ?part-14

0
1022

? Ragging To Loving ?
Part:: 14
Writer:: Ridhira Noor

নূর আর আফরানকে এভাবে কাছে দেখে পান্না রেগে চলে গেল। রাগে নিজের জামা খামচে ধরল।

রিতাঃঃ- আমি আগেই বলেছিলাম তোকে। তুই মানতে রাজি ছিলি না। এখন দেখ দুইজন একসাথে কত কাছাকাছি নাচল।

পান্নাঃঃ- শুধু নাচের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এর বেশি কিছু আমি হতে দিব না।

নূর আর বাকিরা গ্রিন রুমে গেল। নূর ভাবতে লাগলো কি প্রতিযোগিতা হবে। আর যেই করেই হোক এই প্রতিযোগিতা আমাদের জিততে হবে। হুহ্ কি ভাবেন আমাদের দ্বারা কিছু হবে না? জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ।

নূরঃঃ- ওই ফকিন্নিরা শোন। যেই করেই হোক আমাদের এই প্রতিযোগিতা জিততে হবে। ওদের দেখিয়ে দিব আমরা কি। বাই হুক অর বাই ক্রুক। এই প্রতিযোগিতা আমরাই জিতব।

সিমাঃঃ- সেটা বড় কথা নয়। তুই ফকিন্নি বললি কাকে?

নূরঃঃ- (সিমার দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে হাসি দিয়ে তার গাল দুটোও টেনে দিল) ওলে লে আরে ফকিন্নি মানে ভালো কিছুই। ফ তে ফুলের মতো কি তে কিউট ন্ন তে নুচকু পুচকু। কত সুন্দর করে ডাকলাম তোদের। হুহ্ আর কি ডাকবে এমন কিউট করে।

সবাই পেট ধরে হাসতে লাগলো। হাসির জন্য কেউ কথা বলতে পারছে না।

আমরিনঃঃ- সব ঠিক আছে কিন্তু ন্ন তে নুচকু পুচকু? কেমনে কি বোইন। (আবারও হাসতে লাগলো)

নূরঃঃ- আরে আর কিছু মাথায় আসছিল না। তাই যা আসছে তাই বলছি।

পুষ্পঃঃ- এত বুদ্ধি নিয়ে ঘুমাস কেমনে তুই?

নূরঃঃ- প্রথমে তন্বিকে দিয়ে বিছানা পরিষ্কার করায় তারপর একটা চাদর নিই। মাথাটা আস্তে করে আমার নরম তুলতুলে বালিশে রাখি। তন্বিকে বলি লাইট অফ করতে। তারপর টুচুক করে ঘুমিয়ে পড়ি। (হাত নেড়ে গম্ভীর হয়ে খুব যত্ন সহকারে বলল কথাটা)

প্রথমে সবাই খুব মনযোগ দিয়ে শুনল। তারপর একে অপরের দিকে তাকিয়ে জোরে হেসে দিল। তাদের হাসিতে পুরো রুম প্রতিধ্বনি হচ্ছে। এত গম্ভীর হয়ে বলল যে সে এত বুদ্ধি নিয়ে কিভাবে ঘুমায়। একটুর জন্য সবাই অবাক হলেও পরে হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হয়ে গেল।
.
.
.
আফরানঃঃ- শোন সবাই। যেই করে হোক এই প্রতিযোগিতা কিন্তু আমাদেরই জিততে হবে। তোরা জানিস আমি হারতে পছন্দ করি না। আর এই প্রতিযোগিতায় আমি জিতার জন্য না নূরকে হারানোর জন্য অংশগ্রহণ করছি।

রিহানঃঃ- নূর হারলে কি হবে?

আফরানঃঃ- নূর হারলে বুঝবে সে কার সাথে লাগতে এসেছে। হারার পর বুঝাব কত ধানে কত চাল।

ওয়াসিমঃঃ- যে টিম হারবে তাদের পুরো একদিন যা বলবে তাই করতে হবে। ওরা হারলে কি করাবি?

আফরানঃঃ- ওদের একসাথে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব না। একা শায়েস্তা করতে হবে।

আহিলঃঃ- মানে? কেমনে? তুই কি করতে চাইছিস বল তো?

আফরানঃঃ- সেসব পরে বলব। এখন শুধু জিতার দিকে ধ্যান দেয়। যদি তোদেগির কারণে হারি তাহলে একেকটাকে ড্রেনে চুবিয়ে মারব। সো বয়েজ গেট রেডি টু উইন।

নূর আর বাকিরা ভার্সিটি থেকে বের হচ্ছিল। বের হতেই দেখে আফরান ও বাকিরা। কাছে আসতেই শুধু শেষের কথাইগা শুনে।পিছন থেকে নূর বলে উঠল।

নূরঃঃ- গেট রেডি টু লুজগিয়াবইও । বিকজ উই আর গোইং টু উইন।

আফরানঃঃ- জোক অফ দ্যা ডে। হাহাহাগিয়া ভেরি ফানি। (ভেংচি কেটে বলল) যত স্বপ্ন দেখার দেখ। বাস্তবে তো আমরাই জিতব। রাইট বয়েজ।

ছেলেরা চিল্লিয়ে বলল “রাইট”

নূরঃঃ- রাইট লেফট ব্যাক ফ্রন্ট আপ ডাউন। সব দিক দিয়ে আপনারাই হারবেন।

আফরানঃঃ- আজ পর্যন্ত আফরান হারেনি। আর না কখনও হারবে।

নূরঃঃ- জীবনে সব কিছু প্রথমবার হয়। আপনার জীবনের প্রথম হার না হয় আমিই দিব আপনাকে। উপহার স্বরূপ।

আফরানঃঃ- নো নিড। হার মেয়েদের গলায় মানায়। তাই ওই হারটা তোমাকেই আমি উপহার স্বরূপ দিব। ভীষণ মানাবে তোমায়। (নূরের গাল টেনে দিল। তারপর শার্টের কলারে ঝুলে থাকা সানগ্লাস পড়ে নিল।)

নূরঃঃ- সাদা শার্ট সাদা প্যান্ট গায়ের রঙ সাদা। তার উপর এই কালো সানগ্লাস। উফফ পুরো একটা পান্ডার মতো লাগছে দেখতে। কুং ফু পান্ডা। (দুই হাত মুড়িয়ে নজর কেটে নিল) কারো নজর যাতে না লাগে।

নূরের কথা শুনে সবাই হাসতে লাগলো। এমনকি ছেলেরাও হাসতে লাগলো। নূর যেই বর্ননা দিল সবাই হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাবে এমন হাল হয়েছে। আফরান সানগ্লাস খুলে। জোরে ধমক দিল।

আফরানঃঃ- শাট আপ।

উপস্থিত সবাই মূহুর্তে চুপ হয়ে গেল। আফরান রাগী দৃষ্টিতে নূরের দিকে তাকাল নুর অন্য পাশে মুখ ফিরিয়ে নিল। রেগে আফরান চলে গেল। নূরও ভেঙচিয়ে চলে গেল।

.
.
.

চলবে

বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ?
আর দুঃখিত আজকের পর্ব ছোট হয়ে গেল ? আর কেমন হলো অবশ্যই জানাবেন ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here