Mysterious
Part -15
Romoni
ডেভিল কিং এর মৃত্যুর পরে ইফান নিজের গলায় কিং লকেট পড়ে নেয় এবং নিজেকে ডেভিল কিং রুপে সজ্জিত করে নেয়।
অতঃপর ইফান নিজেকে কিং এর সিংহাসনে প্রতিস্থাপন করে, আর ডেভিল সদস্যরা ইফান এর অনুগত্যে সামিল হয়ে পড়ে, কোনো প্রতিবাদ করতে পারে না।
কেনোনা এই কিং লকেট যার গলায় থাকবে ডেভিল সদস্যদের তার অনুগত্যেই নিয়োজিত থাকতে হবে, কারন ডেভিল কিংডম এর অল পাওয়ার রয়েছে এই ডেভিল কিং লকেট এ, কেউ যদি ইফান কে কিং হিসেবে মেনে না নিতে চায় অথবা পূর্বের ডেভিল কিং কে হত্যা করা নিয়ে কোনো রকম প্রতিবাদ করে, তাহলে তাকেও মরতে হবে।)
ইফানের গলায় জ্বল জ্বল করছে ডেভিল কিং লকেট, লকেট এর উপর Amharic ভাষায় লেখা রয়েছে “The Devil King”.
আর ইয়ানের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে সেই লকেটটার উপর, ইয়ানের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই কিং লকেটটাকে নষ্ট করে ফেলা।
আইহান তায়াশাকে আর তোর গলায় থাকা কিং লকেট আমার কাছে রেখে তুই চলে যা,নয়তো তোর ক্ষতি হবে।
অতি পরিচিত কন্ঠ শুনে ইয়ান নিজের ডান পাশে তাকায়।
যে ব্যাক্তি কথাটা বলেছে সে ব্যাক্তিকে দেখা মাএই ইয়ানের রাগ আরো অধিক তম বেড়ে যায়।
সে ব্যাক্তিটি আরো কিছুটা এগিয়ে এসে বলে, আমি চাই না তোর কোনো ক্ষতি হোক আইহান, তুই যতই আমার বিরুদ্ধে থাকিস না কেনো, আমি তোর বাবা হই, আর একজন বাবা হয়ে নিজের ছেলের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।
আর এতো কিসের আগ্রহ তোর তায়াশার প্রতি?
যে তুই তায়াশার খেয়াল রাখার জন্য lone island ছেড়ে এই মানব পৃথিবীতে এসে থাকতে শুরু করলি?
যার জন্য তুই নিজের অস্তিত্ব বিলীন করতেও রাজি। (অ্যাফিন)
ইয়ান চোখ বন্ধ করে একটা ছোট নিঃশ্বাস ফেলে বলে,আপনি এবার থামুন, অনেক বলে ফেলেছেন।
আর তায়াশার প্রতি আমার এতো কিসের আগ্রহ সেটা আপনার না জানলেও চলবে।
আর কি বললেন আমার ক্ষতি হবে?
আপনি তো নিজেই এখানে সেইফ না, তাহলে আপনি আবার আমার কি ক্ষতি করবেন?
আর আমি আমি আপনাকে না তায়াশার কোনো ক্ষতি করতে দিবো, আর না এই কিং লকেট আপনার কাছে দিবো।
আপনি নিজের ভালো চান তো এখান থেকে চলে যান আর এই বিপথ থেকে সরে আসুন, নয়তো আমার নয় আখেরে আপনারই ক্ষতি হবে। (ইয়ান)
ইয়ান আর অ্যাফিন এর কথার মাঝে ইফান বলে ওঠে, বাহ! বাবা এবং ছেলে দুজনেই নিজের মৃত্যু ফাঁদে নিজেরাই সেচ্ছায় পা দিয়েছে।
আপনাদের কি মনে হয় এই ডেভিল কিংডম থেকে আপনারা বেঁচে ফিরতে পারবেন?
ইফান কথাটা বলেই ইয়ান বা অ্যাফিনকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে, ইয়ানের উপর ফায়ার বল নিক্ষেপ করে, ইয়ানও তার পাল্টা আক্রমণ করে।
ইফান ফের ইয়ানের দিকে ফায়ার বল ছোড়ার জন্য নিশানা করে, তবে ইফান ইয়ানের দিক বলটা না ছুড়ে, বল টা ঘুরিয়ে তায়াশার পাশ দিয়ে ছুড়ে মারে, তবে ইফান বলটা সেইফটির সাথে এমন ভাবে নিক্ষেপ করে যেনো তায়াশার গায়ে না লেগে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।
ইয়ান ইফানের হঠাৎ করেই নিশানা বদল করায় কিছুটা বিব্রত হয়ে তায়াশাকে সেইফ করার জন্য, তায়াশাকে সরিয়ে দূরে নিয়ে আসে।
আর সেই সুযোগে ইফান Attraction sphere এর সাহায্যে অ্যাফিনকে নিজের কাছে এনে আটকে ফেলে, কেনোনা ইফান জানে অ্যাফিমকে আটকাতে পারলে ইয়ানকে কিছুটা হলেও দমানো যাবে, ইয়ান যতই নিজের বাবার উপর রেগে থাকুক না কেনো, নিজের চোখের সামনে বাবার মৃত্যু সেচ্ছায় হতে দিবে না।
ইফানের এহেন কর্মে ইয়ান রেগে গিয়ে ইফানকে বলে,যদি সাহস থাকে তো আমার সাথে লড়াই করুন না, অন্য একজনকে আটকে রেখে আমায় দমিয়ে দিচ্ছেন কেনো?
নাকি সরাসরি নিজের ক্ষমতা আমার উপর প্রয়োগ করে লড়ার সাধ্য নেই, অথবা আমাদের সাথে লড়াই করার পর্যাপ্ত পরিমান পাওয়ারই নেই।
অবশ্য থাকবেই বা কি করে ব্ল্যাক পেপারটাই তো আপনাদের কাছে নেই।
আর যদি নিজের ক্ষমতায় লড়াই করার সাধ্য বা সাহস কোনোটাই না থাকে, তবে যুদ্ধ ঘোষিত হবে এমন কাজ করার মানে কি রাফিম হিন?
–আরে আইহান রিলাক্স, এতো হাইপার হয়ে যাচ্ছো কেনো?
ওই ব্ল্যাক পেপার আর অল ইনভিসিবল আর্থ এর পাওয়ার এবং অল ইনভিসিবল ডেভিল আর্থ এর পাওয়ার অর্জন করার উদ্দেশ্যই তো এতো লড়াই, যদিও ডেভিল পাওয়ার আমি পেয়ে গেছি, এখন শুধু অল ইনভিসিবল আর্থ এর পাওয়ার অর্জন করা বাকি, আর আমি সেই পাওয়ার নিয়েই ছাড়বো,আর তায়াশাকেও আমি আমার করে নেবো।(ইফান)
–তাই?
আচ্ছা দেখা যাক তাহলে কার উদ্দেশ্য সফল হয়, আপাতত এই যুদ্ধ স্থগিত থাক,আমাদের আরো সময় চাই। (ইয়ান)
–কেনো?
আবার সময়ের কি প্রয়োজন?
আর তুমি কি ভুলে গেলে তোমার বাবা আমাদের কাছে বন্দী?
তুমি যদি এই মুহুর্তে সব পাওয়ার আমায় না দাও তাহলে তোমার বাবা আর বাঁচবে না।(ইফান)
ইফানের কথায় ইয়ান চিন্তা বা ভয় বিহীন ভাবে স্মিত হেসে বলে, ইফান আমি খুব ভালো করেই জানি আপনি এখনই ড্যাডকে মারবেন না, কেনোনা আমাকে বাঁধা গ্রস্থ করার অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে ড্যাড একজন।
আর যুদ্ধ তো হবেই, এতো তাড়া কিসের?
আর সময় তো শুধু আমরা পাচ্ছি না, আপনারাও পাচ্ছেন, তাহলে সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আরো ভালো ভাবে নিজেদের প্রস্তুত করুন।
কথাগুলো বলে ইয়ান ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্য পা বাড়াতেই দেখে তায়াশা মাথা নিচু করে অসহায় দৃষ্টিতে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
তায়াশা ইফানের এধরণের আচরন বিশ্বাসই করতে পারছে না, যাকে তায়াশা এতোটা ভালোবাসে সে কিনা নিজের উদ্দেশ্য সফলে তায়াশাকে এভাবে ব্যাবহার করতেও দ্বিতীয় বার ভাবছে না।
ইয়ান তায়াশার অবস্থাটা বুঝতে পেরে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে তায়াশা হাত ধরে সেখান থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়, আর ইয়ান এর সাথে থাকা বাকি সৈন্যরাও ফিরে যায়।
এদিকে তায়াশাকে এভাবে কষ্ট পেতে দেখে ইফানেরও খারাপ লাগছে, কারন ইফানও তায়াশাকে ভালোবাসে, কিন্তু তায়াশা ইফানের কথা না মানায় ইফানকে কঠোর হতে হচ্ছে।
ইফান তায়াশাকেও চায় আর অল পাওয়ারও চায়।
তবে অন্য দিকে ইয়ানকে তায়াশার হাত ধরতে দেখে ইয়ানের প্রতি ইফানের রাগটা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
.
.
.
তায়াশা আর ইয়ান বসে আছে তায়াশার ঘরের সাথে এডজাস্ট করা ব্যালকনিতে।
তায়াশা কিছু বলছে না চুপ করে এক নজরে তাকিয়ে আছে যানবাহন চলাচলে উৎপন্ন কোলাহল পূর্ণ রাস্তার দিকে।
আর ইয়ান তায়াশাকে হাসানোর বৃথা চেষ্টায় নিয়োজিত।
এক পর্যায়ে ইয়ান তায়াশার দিকে করুন দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে বলে, আপনি এমন কেনো, এতো চেষ্টা করলাম এতোক্ষণ ধরে আপনাকে হাসানোর, তাও একটুও হাসলেন না।
তায়াশা ইয়ানের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে, তখনই ইয়ানের এমন করুন দশা দেখে হেসে ফেলে, আর বলে, আপনাকে এতো চেষ্টা কে করতে বলে?
ইয়ান অবশেষে তায়াশাকে হাসতে দেখে একটা সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলে, কেউ বলে না, আপনি তো জানেনই আমি একটু এডভান্স।
–হুম, তা ঠিক।
আচ্ছা ইয়ান স্যার আপনি আমার খেয়াল রাখার জন্য এই মানব পৃথিবীতে থাকছেন?
আপনি আপনার অস্তিত্ব বিলীন করতেও রাজি আমার জন্য, এর মানে কি?
আর আঙ্কেলই বা ডেভিল কিংডমে কেনো গেলো, যেখানে আঙ্কেল এর কাছে ইফানের সাথে লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান পাওয়ারই নেই?(তায়াশা)
আসলে ড্যাড ভেবেছিলো যে আমি ড্যাড এর কথা অনুযায়ী………….
To be continue…