Ex গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ৮
#আবির হাসান নিলয়
আন্টিঃতোর সাথে কিছু খারাপ হওয়ার আগে
তুই এখান থেকে চলে যা।
জান্নাতঃকেনো যাবে?ওকে আমি ভালোবাসি
আর ও আমাকে ভালোবাসে।মাঝখান থেকে
সাদিয়া এসেই সব ঝামেলা করে দিলো।
আঙ্কেলঃতোর অনেক সাহস বেড়ে গেছে,তুই
জানতিস না সাদিয়া ওকে পছন্দ করে?
জান্নাতঃজানলে কি চুপ থাকতাম?বড় মা
সেদিন তোমরা কি বললে?তোমরা নিলয়কে
অনেক বিশ্বাস করো।তাই আমিও বিশ্বাস
করতাম ও হয়তো ছোট বেলার ফ্রেন্ড তাই
ঘুরতে যাচ্ছে।কিন্তু আমি কি করে জানবো
আমার বোন নিজেই এসব করছে।
আন্টিঃঠাসস,সাদিয়াকে নিয়ে একটাও কথা
না।ওকে নিয়ে আর একটা বাজে কথা বললে
তোর অনেক খারাপ হবে।
জান্নাতঃবলবো আমি,যেটা সত্যি সেটা বলতে
আমার কেনো ভয় করবে?
আঙ্কেলঃতোর কাছে দুটো চয়েস আছে,এক
তুই ওর সাথে এখান থেকে চলে যাবি।আর
দুই ওকে ভুলে এই বাসায় থাকবি।
জান্নাতঃআমি ওর সাথে….
আমিঃজান্নাত এখানে থাকবে।
জান্নাতঃকি বলছো এসব?
আমিঃঠিক বলছি,তোকে বিয়ে করতে আমার
কোনো সমস্যা নেই।কিন্তু তোর পরিবারের
বিপক্ষে গিয়ে নয়।উনারা ছোট বেলা থেকেই
আমাকে অনেক ভালোবাসে।যদিও সেই
ভালোবাসা এখন থেকে আর থাকবে না।
তবুও উনাদের মতামতের বাইরে গিয়ে তোকে
বিয়ে করতে পারবো না।
আন্টিঃতোর সাথে পরে কথা বলবো,কিন্তু
তুই এখন নিজের বাসায় যা।
আমিঃহুম
সেখান থেকে চলে আসতে লাগলাম।কথা
বলার সময় মাথাটা অনেক চাপ ধরে ছিলো।
জানিনা হঠাৎ কেনো এমন হলো,তবে আমি
অনেকটা বিশ্বাস করি জান্নাত ওর ফ্যামিলির
সবাইকে বোঝাতে পাড়বে।আমার সাথে
সাথে জান্নাত নিজেও বাইরে এসে হাত ধরলো…
জান্নাতঃছেরে যাচ্ছিস?
আমিঃএকেবারে যাচ্ছি না।তুই পারবি তোর
পরিবারকে বোঝাতে।
জান্নাতঃঘোড়ার ডিম পারবো আমি,আমার
এমনিতেই রাগ অনেক।আমি তোর সাথে
এখন যাবো।
আমিঃদেখ,আমি মরে যাচ্ছি না।একদিন
সবাই মেনে নিবে।তখন আমরা বিয়ে করবো।
আর তাছাড়া তুই একটা জিনিস দেখ,আমি
এখনো বেকার।তোকে খাওয়াবো কি?
জান্নাতঃতাহলে তুই এটার জন্য আমাকে
ছেড়ে যাচ্ছিস?
আমিঃযদি বলি হ্যা?
জান্নাতঃতুই কি ভেবেছিলি?আমার ফ্যামিলি
তোকে মেনে নেয়ার পর তাদের প্রোপার্টি
তোর নামে লিখে দিবে আর তুই সেটা খরচ
করে আমাকে খাওয়াবি?
আমিঃসেটা আমি বলিনি।
জান্নাতঃবোঝাতে তো সেটাই চেয়েছিলি
আমিঃপালিয়ে গেলেই সব হয়ে যায় না।
যখন পালিয়ে যাওয়া হয় তখন সবার মাঝে
একটা আবেগ কাজ করে।কিন্তু যখন বছর
কয়েক যায় তখন সবাই আফসোস করতে
থাকে।তখন সেসব মানুষদের মাঝে বিচ্ছেদ
বেশি করে হয়।
জান্নাতঃকয়জনের সাথে পালিয়েছিস?
আমিঃপারিস তো এই বাল*** মতো প্রশ্ন
করতে।আমার নিজের মামা এমন করেছে,
এখন উনার স্ত্রী উনাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য
একটা চাকরিওয়ালা ছেলের সাথে সংসার
করছে খুব ভালো করেই।
জান্নাতঃমিথ্যা খুব ভালো করেই বলিস তুই,
আর কখনো আমার সাথে দেখা করতে
আসবি না।তুই থাক তোর এসব আবেগ নিয়ে
যখন হারিয়ে যাবো তখন বুঝবি কতোটা
কাছে ছিলাম।এখন তো তোর কাছে সব
মায়া লাগবে।কিন্তু একবার আমার জায়গায়
দাঁড়িয়ে দেখ কতোটা কষ্ট সহ্য করতে হবে
আমাকে।আমার কাছে ফিরে আসতে হবে
না।যখন সবাই মেনেও নিবে তবুও আমি আর
কখনো তোর মতো ভিতু ছেলের কাছে
ফিরে যাবো না।?
আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই কান্না
করতে করতে বাসায় চলে গেলো।
*******জান্নাতের কথা********
নিলয়কে যাতা সব বলে কান্না করতে করতে
বাসার ভিতরে আসতেই ওর আম্মু হাত ধরে
আটকিয়ে নিলো।
আন্টিঃআমার রুমে আয়
জান্নাতঃতুমি যাও
আঙ্কেলঃভয়ে ছেড়ে গেছে নাকি?
জান্নাতঃহ্যা ভয় পেয়েছে,তবে জানো সেটা
কিসের ভয়?তোমাদের সম্মানের ভয়ে ও
আমাকে রেখে গেছে।তোমাদের মতো নাম
ধর ব্যক্তির মেয়ে একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের
সাথে পালিয়ে গেছে।যদি এই কথা সবাই
শুনে তাহলে তোমাদের কি অবস্থা হবে?ও
ভয় পায় অনেক,কিন্তু নিজের জন্য না।নিলয়
ভয় পায় আমাকে।বিয়ে করার পর আমাকে
কি খাওয়াবে।যদি তোমরা কখনো জানতে
পারো আমি ওর সাথে সুখে নেয় তাহলে
খুব সহজেই ওর থেকে আমাকে আলাদা
করে নিতে পারবে।হয়তো আমিও সেটাই
করতে চাইবো।কিন্তু ওর কি হবে?বড় আব্বু
তুমি তো তোমার মেয়েকে অনেক ভালোবাসো
কিন্তু তুমি কি আমার ভালোবাসা দেখলা না?
সবাই সার্থপর তুমি, বড় মা,আব্বু আম্মু
সাদিয়া সবাই।
আর কিছু না বলে কান্না করতে করতে নিজের
রুমে গিয়ে দরজা লক করে দিলো।
********নিলয়ের কথা**********
বাসায় এসে সোফার উপর বসতেই আম্মু
পাশে এসে বসলো।
আম্মুঃমেনে নেয় নি?
আমিঃনা আম্মু
আম্মুঃএকদিন মানবে দেখিস
আমিঃতখন আর জান্নাত থাকবে না।
আম্মুঃকেনো?
আমিঃজান্নাত আজকেই সাথে আসতে
চেয়েছিলো কিন্তু আমি আনিনি।
আম্মুঃকেনো?
আমিঃআমি চাই না,বেকার অবস্থায় কাউকে
আমার জীবনে এনে তাকে কষ্ট দেয়।
আম্মুঃকিন্তু আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ সামর্থ্য
ছিলো।ওকে নিয়েও আমাদের সংসার খুব
ভালো করেই কাটিয়ে দিতে পারতাম।
আমিঃজানি আম্মু,কিন্তু একটা মেয়ে প্রথমে
রাজি থাকলেও পরে তাদের মন ঘুরিয়ে যায়।
নিজের স্বামী যদি টাকা উপার্জন করতে না
পারে তাহলে স্ত্রীর কাছে সেই স্বামীর কোনো
প্রকার দাম নেই।
আম্মুঃচিন্তা করিস না,দেখিস একদিন সব
ঠিক হয়ে যাবে।
আমিঃদোয়া করো আম্মু
আম্মুঃমাহি কল দিতে বলছে তোকে
আমিঃকেনো?
আম্মুঃপরশু থেকে ওর এক্সাম শুরু
আমিঃআচ্ছা দেবো
আম্মুর সাথে টুকটাক কথা বলার পাশাপাশি
আম্মু মাথায় হাত ভুলিয়ে দিচ্ছিলো।কিছুটা
প্রশান্তি মিললেও একটা হারানো শূন্যতা
অনুভব করছিলাম।হ্যা জান্নাতের শূন্যতা,
কিছু মানুষ আছে যাদের না চাইতেও অনেক
বেশি ভালোবেসে ফেলেন।আর আমার
বেলাতে জান্নাত নিজেই,যতোই বার বার
এড়িয়ে যেতে চাই ততোই নিজের সাথে
আকৃষ্ট হয়ে যায়।
————কিছুদিন পর———–
নিজেকে স্বাভাবিক করে কলেজে যাওয়া
আসা শুরু করেছিলাম।জান্নাতের সাথে
এখন যোগাযোগ নাই বললেই চলে।সাদিয়া
নিজেও আর কথা বলতে আসে না।আর
আমি নিজেও তেমন ওর সাথে কথা বলি না।
বন্ধুদের সাথে টুকটাক কথা বলি পাশাপাশি
ওদের সাথেই যাওয়া আসা করি।কলেজ
মাঠে বসে আছি তখন খেয়াল করলাম
সাদিয়ার সাথে সাইফ আসছে।দুজন বেশ
হেসে হেসেই কলেজে ঢুকলো।আমাকে এমন
তাকিয়ে থাকতে দেখে জয় বলল…..
জয়ঃহয়তো রিলেশনে গেছে আরেকটা
রাফিঃযায়নি
জয়ঃতুই জানলি কি করে?
রাফিঃসাইফ ওকে প্রপোজ করেছিলো।কিন্তু
সাদিয়া সরাসরি ওকে বারণ করে দেয়।তবে
তারা নাকি এখন শুধু ভালো বন্ধু।
রাহুলঃহো জানি কতো ভালো বন্ধু,এই
বন্ধুকে নিয়েই জেনো থাকে।
আমিঃকিসব নিয়ে পরে আছিস,যার যেমন
ইচ্ছা তেমন বন্ধু করবে।সেখানে আমাদের
কথা বলে লাভ আছে বল?
জয়ঃহুম সেটাই,বাদ দে
মারিয়াঃকিরে কি খবর?
রাহুলঃহুম ভালো,তোর কি অবস্থা?
মারিয়াঃআর বলিস না ভাই,বাসা থেকে বিয়ে
দিতে চায়ছে।
জয়ঃতো রাজি হচ্ছিস না কেনো?
মারিয়াঃআরে অনার্স শেষ করি,তারপর
না হয় বিয়ে দিয়ে দিক।
রাহুলঃতোর তখন বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাবে
এখনি বিয়ে করে নে।
মারিয়াঃকুত্তার দল,কিরে দেবদাস চুপ কেন?
আমিঃকই,কথা তো বলছিই
মারিয়াঃমুড অফ লাগছে,তো তোর কি
সিদ্ধান্ত সেটা বল।
আমিঃকিসের প্রতি?
মারিয়াঃআমার বিয়ে নিয়ে
আমিঃতুই তো কারো সাথে রিলেশনে নাই,
তাই তোর মেনে নেয়াই ভালো।বিয়ের পরেও
তুই অনার্স শেষ করতে পারবি।
মারিয়াঃহুম
আমিঃতবুও ভেবে দেখ কি করবি।আর
বাবা মা কখনো তার সন্তানের খারাপ চায় না।
মারিয়াঃহুম দোস্ত,বাসাত গিয়ে কথা বলবো।
সবাই টুকটাক কথা বলছিলাম তখন সুমু
আমাদের মাঝে আসলো।
মারিয়াঃকিছু বলবে?
সুমুঃআপনার সাথে একটু কথা ছিলো
জয়ঃকার সাথে?
সুমুঃনিলয় ভাইয়ার সাথে
আমিঃকেনো?
সুমুঃজান্নাতকে নিয়ে
আমিঃতোরা থাক আমি আসছি।
হাতে ব্যাগ নিয়ে সুমুর সাথে উঠে দুজন একটু
আড়ালে গিয়ে দাঁড়ালাম।
আমিঃজান্নাত কিছু বলতে বলছে কি?
সুমুঃনা ভাইয়া
আমিঃতাহলে?
সুমুঃজান্নাত আপনাকে ভালোবাসে,কিন্তু
জানিনা আপনাদের মাঝে কি হয়েছে।তবে
ও এখন অনেক কষ্টে আছে।ওকে দেখে
মনেই হয়না জান্নাতের মতো মেয়ে এমন
চুপচাপ হয়ে গেছে।
আমিঃএটার জন্য আমার কিছুই করার নেয়।
কারণ ওর সাথে আমার কথা হয় না।
সুমুঃকিন্তু আপনিই একমাত্র মানুষ,যার কথা
জান্নাত অবশ্যই শুনবে।
আমিঃসেই অধিকার আর নেয়।তবে তুমি
ওর আম্মুকে বলো।
সুমুঃঠিক আছে,তবে আপনি যদি ওর সাথে
একটু কথা বলতেন তাহলে হয়তো ওর একটু
ভালো লাগতো।
আমিঃকোথায় আছে এখন?
সুমুঃকলেজের পেছনে,ক্লাস শুরু হওয়ার
সময় এসে ক্লাস করে।
দাঁড়িয়ে না থেকে একা একা কলেজের
পেছনে এসে দেখলাম একজন মেয়ে বসে
আছে।সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও
যখন জান্নাত চুপচাপ ছিলো তখন আমি
নিজই ওর পাশে গিয়ে বসলাম। আমাকে
দেখে তেমন কোনো রিয়াক্ট না করে বসে
রইলো।যখন কিছু বলতে যাবো তখন জান্নাত
নিজেও বলতে শুরু করলাম।
জান্নাতঃচলে যা এখান থেকে।আমি চায়না
তোর মতো ভিতু একটা ছেলের সাথে
নিজেকে জড়িয়ে নিজের জীবনটাকে নষ্ট
করে দেয়।
আমিঃঠিক আছে মানলাম তুই আমাকে
ভালোবাসিস না।তাহলে আমার জন্য নিজের
জীবন কেনো নষ্ট করছিস।তোর থেকে তো
সাদিয়া শতগুণে শক্ত।
জান্নাতঃতাহলে সাদিয়ার কাছে যা
আমিঃকারো কাছেই যাওয়ার ইচ্ছা আমার
নাই, সেটা তুই ভালো করেই জানিস।
জান্নাতঃআমার এবং আমার ফ্যামিলি থেকে
দূরে থাকলে তোর ভালো হবে।যদি আমার
কোনোপ্রকার কিছু হয় তাহলে তুই সহ তোর
ফ্যামিলির সবার সাথে খারাপ হবে,আব্বু
বলেছেন।তাই আমিও চাইনা তুই আমার
পিছে লেগে থেকে তোর কোনো ক্ষতি হোক।
আমিঃএখানে ভালো ক্ষতির কথা আসছে না।
জান্নাতঃতুই কি চাস?
আমিঃকি চাই মানে?
জান্নাতঃস্কুল থেকে আসার পথে তোর বোন
এক্সিডেন্ট করুক?কিংবা তোর বাসায় গ্যাস
সিলিন্ডারে আগুন লেগে বাসা পুড়ে যাক।
আমিঃতোর আব্বু এসব বলছে?
জান্নাতঃবলেনি,তবে খুব সহজেই আমাকে
এগুলো বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এক মুহূর্ত সেখানে না দাঁড়িয়ে কলেজের মধ্যে
চলে আসলাম।আমি চাইনা আমার কারণে
আমার ফ্যামিলির কোনোপ্রকার ক্ষতি হোক।
*******জান্নাতের কথা*********
নিলয় চলে যাওয়ার পরেই কান্না করে দিলো।
জান্নাত কোনোভাবেই চায় না ওদের জন্য
ওদের ফ্যামিলির সামান্যতম কষ্ট হোক।
জান্নাত ওর বাবাকে ভয় না পেলেও,উনার
পলিটিকাল জীবন দেখে ভয় পায়।জান্নাতই
শুধু নয়,জান্নাতের আম্মুও ওর বাবার এই
জীবন দেখে ভয় পায়।
ফ্ল্যাশব্যাক……
আঙ্কেলঃতুই তোর মেয়েকে বলে দে আমি
কি কি করতে পারি।
আন্টিঃতুমি প্লিজ চুপ থাকো
আঙ্কেলঃচুপ কেনো থাকবো?আমার ভাতিজির
জীবন নিয়ে যে খেলা করেছে তাকেই নাকি
আমার মেয়ে ভালোবাসে।তোকে আমার
মেয়ে ভাবতেও ঘৃণা করছে।
জান্নাতঃতাহলে মেরে ফেলো আমাকে।কেনো
বাঁচিয়ে রেখেছো?
আন্টিঃতুই চুপ কর,আএ তুমি রুমে যাও
আঙ্কেলঃতোর মেয়েকে একটা গল্প শোনাস।
যেখানে মেয়েদের জীবন নিয়ে খেলা করার
ছেলেটার ছোট একটা বোনকে এক্সিডেন্ট
করা হয়েছিলো এবং হঠাৎ করেই বাসার
গ্যাস ব্লাস্ট হয়ে পুরো বাসার সাথে সাথে সব
মানুষ কিভাবে মারা যায়।
আন্টিঃতুমি যাবে এখান থেকে?
আঙ্কেলঃবলে দে তোর মেয়েকে এসব
আন্টিঃতোর মতো লোককে আমার বিয়ে
করে নিজের জীবনটাকে নরক বানিয়ে
ফেলছি।কি করিনি তোর জন্য?কিন্তু আজ
আমার মেয়ের সুখের কথা না ভেবে ওকে
কিভাবে ভয় দেখাচ্ছিস।তুই কি ভেবেছিস
তুই নিলয়ের ক্ষতি করলে তোর মেয়ে ভালো
থাকবে?যদি তোর জন্য আমার মেয়ের কিছু
হয় তোকে আমি ছেড়ে কথা বলবো না।
আঙ্কেলঃকি করবি তুই আমার? বল কি
করতে পারবি আমার?
আন্টিঃঅনেক কিছুই করতে পারবো
আঙ্কেলঃঠাসসস,যেটা বলবো সেটা করবি।
আমার কথার বাইরে গেলে তোকে মেরে
ফেলতেও আমার হাত কাঁপবে না।
জান্নাত সেদিন বুঝতে পারছিলো ওর জন্য
ওর আম্মুও সুখে নেয়।সেদিন থেকেই জান্নাত
একদম চুপচাপ একটা মেয়ে হয়ে গেছে।
শুধু নিলয়ই না বরং কোনো ছেলের সাথেই
আর কথা বলতে চায় না।সেই সাথে এখন
আর জান্নাত ওদের বাসায় থাকে না।নিজের
মামার বাসায় থেকে এখন পড়াশোনা করছে।
চলবে……………….
সব গল্পে ভিলেন তো থাকতেই হয়।?