Ex গার্লফ্রেন্ড পর্বঃ৪

0
771

Ex গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ৪
#আবির হাসান নিলয়

জান্নাতঃবিরক্তি হলেও কিছু করার নেই,আমি
কল দেবোই।বকা দিলেও দেবো মাইর দিলেও
কল দেবো?
আমিঃতোর মতো ছ্যাঁচড়া মেয়ে জীবনেও
দেখিনি।নিজেই ব্রেকআপের জন্য মরে
যাচ্ছিলো।এখন ব্রেকআপ করছি আবার
ছ্যাঁচড়ার মতো চলে আসছিস।
জান্নাতঃভালোবাসি তাই
আমিঃতোর ভালোবাসা তোর কাছেই রাখ
জান্নাতঃএকটু করে ভালোবাসা নিলে কি হয়?
আমিঃলাগবে না তোর ভালোবাসা।
জান্নাতঃলাগবে লাগবে,শোন একটা কথা
আমিঃকি?
জান্নাতঃসাদিয়া তোমাকে পছন্দ করে।এখন
থেকে ওর সাথে কথা বলবা না।
আমিঃএখন থেকে বেশি করে বলবো।কারণ
তোর চাইতে সাদিয়া অনেক ভালো।
জান্নাতঃআইছে,আমি নিজেই ওরে বলে
দেবো।তাহলে কিছুই হবে না।
আমিঃহো বলিস আমাদের মধ্যে কিছু ছিলো।
তখন তোর চাচা-বাবা জেনে যাবে তখন
অনেক ধুমধাম করে তোর বিয়ে দিয়ে দিবে।
জান্নাতঃতোমার সাথে☺
আমিঃবা** তোর মাথায় কি চলছে বলতো?
জান্নাতঃকি চলবে?
আমিঃতুই নিজেই ছেরে দিলি,আবার ছ্যাঁচড়া
মেয়ের মতো পিছু পড়ে আছিস।
জান্নাতঃতখন বললাম না ভালোবাসি।

এই পাগল মেয়েকে কিছু বলে লাভ হবে না।
তাই বাধ্য হয়ে কল কেটে দিয়ে ঘুমানোর
চেষ্টা করলাম।কিন্তু সেটা আর হলো না।
আবার ফোনটা বাজতে শুরু করলো।হাতে
নিয়ে দেখলাম সাদিয়া কল করেছে। রিসিভ
করার পরপরই বলল….
সাদিয়াঃকি করছো?
আমিঃঘুমাতে চাইলাম কিন্তু ফোনের শব্দ
শুনে সেটা আর হলো না।
সাদিয়াঃসরি বিরক্তি করার জন্য।তুমি তাহলে
ঘুমাও পরে কথা হবে।
আমিঃঘুম কেটে গেছে,বল কি বলবি।
সাদিয়াঃতোমার গিফট খুলেছিলাম।
আমিঃপছন্দ হয়েছে?
সাদিয়াঃঅনেক বেশি,সবার চাইতে বেষ্ট।
আমিঃপাম মারছিস?
সাদিয়াঃসত্যি বলছি,আমার অনেক পছন্দ
হয়েছে গিফটটা।
আমিঃধন্যবাদ
সাদিয়াঃএকটা কথা বলার ছিলো
আমিঃহ্যা বল
সাদিয়াঃবলতে ভয় করছে
আমিঃভয়কে জয় করতে শেখো
সাদিয়াঃযদি রাজি না হও সেই ভয়
আমিঃআবার হতেও তো পারি
সাদিয়াঃআজ তোমার সাথে ঘুরতে যেতে
চাইলাম।যদি তুমি ফ্রি থাকো।
আমিঃএখন?
সাদিয়াঃতুমি যখন বলো
আমিঃরাতে যেতে পারবি?
সাদিয়াঃহ্যা পারবো
আমিঃতোর বাসা থেকে কিছু বলবে না?
সাদিয়াঃতোমার সাথে গেছি শুনলে কিছুই
বলবে না।
আমিঃমেয়ে তার স্বামীর সাথে যাবে নাকি
যার জন্য কিছু বলবে না?
সাদিয়াঃহাহাহা,বাসার সবাই তোমাকে অনেক
বিশ্বাস করে।তাই আমি জানি তোমার সাথে
গেলে বাসার কেউ কিছুই বলবে না।
আমিঃঠিক আছে আজ রাতে যাবো।তবে
একটা কন্ডিশন আছে।
সাদিয়াঃকি?
আমিঃতোর গিফট কিনে আমার আব টাকা
শেষ,যা খরচ হবে সব তুই করবি।
সাদিয়াঃঠিক আছে
আমিঃএখন রাখছি।
সাদিয়াঃওকে বাই

কল কেটে দিয়ে ফোনটা রেখে দিয়ে বিছানায়
শুয়ে পড়লাম।দুই বোন আমার সাথে কি
শুরু করেছে।একজন ছ্যাঁচড়ার মতো পড়ে
আছে,আরেকজন পটানোর জন্য উঠেপড়ে
লেগেছে।এখন আর ঘুম হবে না।তাই উঠে
আম্মুর কাছে গেলাম।অনেকটা সময় আম্মুর
সাথে আড্ডা দেয়ার পর নিলুর কম্পিউটারের
সামনে বসলাম।যদিও আগে আমার ছিলো,
তবে হারামিটা আমার কম্পিউটারের উপর
নিজের ক্ষমতা চালাই।আর আব্বু আম্মুও
নিলুকেই ব্যবহার করতে বলে।সে যায় হোক,
কম্পিউটারের সামনে বসে কিছু গুঁতাগুঁতি
করে উঠলাম।

সন্ধ্যার সময় সাদিয়াকে কল দিলাম।দুবার
রিং হতেই রিসিভ করলো।
সাদিয়াঃহ্যালো
আমিঃহুম,রেডি হয়ে নে
সাদিয়াঃতুমি রেডি?
আমিঃনা হবো
সাদিয়াঃঠিক আছে আমি রেডি হয়ে তোমাকে
কল করবো।
আমিঃওকে
কল কেটে দিয়ে রুমে এসে রেডি হতে লাগলাম।

বাসা থেকে বের হয়ে কল দিলাম।
আমিঃকই রে তুই?
সাদিয়াঃবাসায়,তুমি কোথায়?
আমিঃতোর বাসার সামনে
সাদিয়াঃদুটো মিনিট দাড়াও আমি আসছি
আমিঃ৫মিনিট পরে আয়
সাদিয়াঃকেনো?
আমিঃকারণ আমি আসতেছি
সাদিয়াঃমিথ্যুক
আমিঃরাখছি
সাদিয়াঃহুম

কল কেটে দিয়ে সাদিয়াদের বাসার সামনে
গেলাম।এমনিতেও মেয়েদের সাজগোছ
করতে একটু দেরি হয় সেটা সবারই জানা।
তাই হুদাই এতো তাড়াতাড়ি বাইরে আসতে
বললে রেডিই হবে না।।পরে দেখা যাবে
আমার সামনে এসে লজ্জা পেয়ে থাকবে।
গেটের সামনে না দাঁড়িয়ে একটু আড়ালে
গিয়ে দাঁড়ালাম,যেনো কেউ দেখতে না পায়।
পকেট থেকে ফোন বের করে হুদাই একটু
ভাব নিচ্ছি তখন জান্নাতের আওয়াজ কানে
ভেসে আসলো।লক্ষ্য করলাম আমি
জান্নাতের রুমের যে বারান্দা আছে আমি
সেখানে দাঁড়িয়ে আছি।কপাল খারাপ হলে
যা হয় আরকি।
জান্নাতঃকিগো,আমার কথা মনে পড়ছিলো?
আমিঃতোর কথা মনে পড়বে কেনো?
জান্নাতঃতাহলে আমার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে
কি করছো?
আমিঃঅপেক্ষা করছি
জান্নাতঃআমার নিচে আসার?
আমিঃএকদমই না
জান্নাতঃতুমি চাইলে আসতে পারি এখনি
আমিঃবোইন তোর আসা লাগবে না।আমি
এখানে সাদিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।
জান্নাতঃকেনো?

কিছু বলতে যাবো তখন লক্ষ্য করলাম নিচে
সাদিয়া চলে আসছে।
সাদিয়াঃচলো
জান্নাতঃকোথায় যাচ্ছিস তোরা?
সাদিয়াঃঘুরতে
জান্নাতঃদাড়া আমিও যাবো
সাদিয়াঃমানে কি?আমাদের সাথে তুই….
আর কিছু বলার আগেই জান্নাত ওখান
থেকে চলে গেলো।
আমিঃএখন যাবি কোথায়?
সাদিয়াঃলেকের পাড় যাই চলো
আমিঃরিক্সা নেয়া লাগবে তাহলে
সাদিয়াঃসামনে যায়,ওখানে হয়তো রিক্সা
পেয়ে যাবো।
আমিঃহুম

দুজন সামনের দিকে হাটতে যাবো তখনি
দেখলাম জান্নাত এসে হাজির।হয়তো রুম
থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে আসছে।
জান্নাতঃযাচ্ছিস কোথায় এই রাত্রিবেলা?
সাদিয়াঃবললাম তো ঘুরতে যাচ্ছি
জান্নাতঃএই রাতের বেলা একটা ছেলের
সাথে তুই কিভাবে যেতে পাড়িস?
সাদিয়াঃজান্নাত,আমরা সবাইকে নিলয়কে
খুব ভালো করেই চিনি।
জান্নাতঃক্ষতি সব সময় কাছের লোক করে।
আমিঃতোর বোনকে তাহলে নিয়ে যা
জান্নাতঃতুই চলে যা,তাহলে ও এমনিতেই
বাসায় চলে আসবে।
সাদিয়াঃদেখ এবার কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে।
জান্নাতঃতুই গেলে সত্যি বাসায় বলে দেবো।
দিনের বেলা ঘুরতে যেতে পারিস না?
সাদিয়াঃকলেজে যেতে হয়না?আর তুই
এখন বাসায় যা বলছি।
জান্নাতঃকসম বড়মাকে কিন্তু বলে দেবো
সাদিয়াঃযেটা ইচ্ছা সেটা কর

জান্নাতকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ
না দিয়ে আমরা দুজন সেখান থেকে চলে
আসলাম।সামনে একটা রিক্সা নিয়ে যেতে
শুরু করলাম।সাদিয়া হচ্ছে জান্নাতের
একদম বিপরীত। জান্নাতের মধ্যে ভয়,লজ্জা
বলতে কিছুই নেই।কিন্তু মেয়েদের একটু
লজ্জা থাকতে হয়।কারণ মেয়েদের লজ্জা
পেলেই সুন্দরি লাগে।বরাবরের মতো এখনো
সাদিয়া লজ্জা পেয়ে চুপ করে আছে।
আমিঃএতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে?
সাদিয়াঃকোথায় লজ্জা পাচ্ছি?
আমিঃতাহলে একদম ওপাশে চেপে বসে
আসিস কেনো?পড়ে যাবি এদিকে এগিয়ে
আয়।(বাম হাত দিয়ে কাছে নিয়ে আসলাম)
সাদিয়াঃহুম,তোমার কি ভালো লাগে?
আমিঃতোর কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে
অনেক আগে থেকেই করতে চেয়েছি বাট
কখনো করা হয়নি।
সাদিয়াঃহ্যা বলো
আমিঃতুই আমাকে সব সময় তুমি করে
কেনো বলিস?
সাদিয়াঃসেটা তো অনেক আগে থেকেই বলি
আমিঃসেটা তো বলছি কেনো?
সাদিয়াঃআমার কাছে ভালো লাগে
আমিঃআমার কাছে কেমন জানি লাগে।
সেই ছোট বেলা থেকে আমরা একসাথে
বড় হয়েছি।আমি তোকে তুই করে বলি আর
তুই আমাকে তুমি করে বলিস।
সাদিয়াঃতাহলে কি তুই করে বলবো?
আমিঃসেটা তোর ইচ্ছা,যদি তুমি করে বলে
হ্যাপি থাকিস তাহলে তুমিই বলিস।
সাদিয়াঃরাগ তো করবে না?
আমিঃরাগ কেনো করবো?
সাদিয়াঃআমি তুমি করেই বলবো।
আমিঃওকে
কথা বলতে বলতে দুজন লেকের পাড়
চলে আসলাম।রিক্সা থেকে নেমে সাদিয়া
ভাড়া দিয়ে দিলো।সামনে এগিয়ে গিয়ে
দুজনের জন্য চিপস,বাদাম নিয়ে বসে আড্ডা
দিতে লাগলাম।সাদিয়াকে আজ অন্যরকম
লাগছিলো।দেখে মনে হচ্ছে আগে থেকে
সব কথা শিখে আসছে।তবে ভালোই লাগছে
এমন করে কথা বলতে দেখে।আগে তো
ঠিকভাবে কথাই বলতো না।

********জান্নাতের কথা*******
সাদিয়া আর নিলয়কে একসাথে যেতে দেখে
জান্নাতের মাথায় একদম রক্ত উঠে গেছে।
বাসায় ভিতরে গিয়েই চিল্লাচিল্লি করতে শুরু
করলো।জান্নাতের এমন চিল্লাচিল্লি শুনে
সবাই রুমের বাইরে এসে দাঁড়ালো।
(জান্নাতের বাবাকে আঙ্কেল আর সাদিয়ার
বাবাকে চাচা বলে আখ্যায়িত করলাম)
আঙ্কেলঃকি হয়েছে আবার?
জান্নাতঃকি হয়নি সেটা বলো।বাসার মেয়ে
একজন ছেলের সাথে বের হয়ে যায়,সে
খবর কারো কাছে আছে?
আন্টিঃমাইর খাবি আজেবাজে কথা বলা
জান্নাতঃআমার কথা বিশ্বাস হয় না?
চাচিঃকি হয়েছে বলতো মা?
জান্নাতঃসাদিয়া নিলয়ের সাথে এই রাতের
বেলা ঘুরতে বের হয়েছে
আন্টিঃতাতে তোর সমস্যা কি?
জান্নাতঃআম্মু,তুমি বুঝতে পারছো না।এই
সময় কোনো ছেলেকেই বিশ্বাস করা যায়না।
আমি কিছুদিন আগেও দেখলাম,নিজের
বন্ধু হয়ে বান্ধুবীকে কিডন্যাপ করেছে।
চাচাঃঘুরতে যাবে ঠিক আছে,কিন্তু রাতের
বেলা ঘুরতে হবে কেনো?
জান্নাতঃআমারো তো একই কথা বড় আব্বু,
ঘুরতে যাবি যা কিন্তু দিনের বেলা ঘুরাফেরা
কর।কিন্তু না,ওদের দিনের বেলাতেই যেতে হবে।
চাচিঃআচ্ছা সাদিয়া আগে বাসায় আসুক
তারপর আমি ওকে বলবো।
জান্নাতঃবড় মা,আমি আমার বোনের ভালো
চাই বলেই কিন্তু তোমাদের বলছি।
চাচিঃআমি জানি পাগলি,এখন আয় নাস্তা
করে নে।ও বাসায় আসলে তোর সামনে
ওকে জিজ্ঞাস করবো।
জান্নাতঃহুম„আর বারণ করতে হবে যেনো
ওর সাথে রাতের বেলা বের না হয়।যদিও
বের হয় তখন আমাকে সাথে নিয়ে যাবে।
চাচিঃশুধু ওর সাথে না,যার সাথেই যাক
তোকে সাথে নিয়ে যেতে বলবো।
জান্নাতঃওক্কে বড়মা?
সবার কথা শুনে শান্ত হয়ে সবার সাথে নাস্তা
করে নিলো।

********নিলয়ের কথা********
সাদিয়াঃঅনেক তো আড্ডা দিলাম এখন
চলো রাতের খাবারটা খেয়ে নেয়।
আমিঃবাইরে থেকে খেলে তোকে বকা দিবে না?
সাদিয়াঃবকা দিবে কেনো?
আমিঃবাসায় হয়তো তোর জন্য অপেক্ষা করবে।
সাদিয়াঃকরবে না,দেরি হলে এমনিতেই
বুঝে নিবে আমি খেয়ে যাবো।
আমিঃওহ
সাদিয়াঃচলো,সামনের একটা রেস্টুরেন্ট
থেকেই খেয়ে যায়।
আমিঃহুম সেটাই ভালো হবে।
দুজন আর বসে না থেকে উঠে সামনের
একটা রেস্টুরেন্টে আসলাম।ওখানে সাদিয়া
নিজের জন্য খাবার অর্ডার করে আমাকে
জিজ্ঞাস করলো…
সাদিয়াঃতোমার জন্য কি নিবে?
আমিঃতোর যেটা ভালো লাগে সেটা দে।
সাদিয়াঃঠিক আছে,সেম খাবার ডাবল
—ওকে

খাবার অর্ডার নিয়ে যাওয়ার কিছু সময়
পর খাবার নিয়ে আসলো।পেটে একদম
ইঁদুর দৌড়াচ্ছিলো তাই দেরি না করে খেতে
শুরু করে দিলাম।
সাদিয়াঃঅনেক ক্ষুধা লাগছে নাকি?
আমিঃঅনেক বেশি
সাদিয়াঃতখন কেনো বললে না?
আমিঃভেবেছিলাম বাসায় গিয়ে খাবো,কিন্তু
তুই তো বাইরে থেকে খেয়ে যাবি।
সাদিয়াঃসরি
আমিঃসমস্যা নেই,বিল তো তুই দিবি?
সাদিয়াঃহারামি?
টুকটাক কথা বলার পাশাপাশি খাবার শেষ
করে বাইরে চলে আসলাম।এই অবস্থায়
হাটা কোনোভাবেই সম্ভব না।আমার আগে
সাদিয়া নিজেই বললো রিক্সায় যাবো।
আমাদের কপালটাও ভালো ছিলো সামনেই
একটা রিক্সা পেয়ে গেলাম।রিক্সায় উঠে
সাদিয়াকে দেখে কেনো জানিনা হাসি পাচ্ছে,
তাই ওর দিকে তাকিয়ে হেসে দিলাম।আমার
হাসি দেখে সাদিয়া নিজেও হেসে দিলো।
দুজন অনেক হাসির কথা বলতে বলতে
সাদিয়ার বাসার সামনে চলে আসলাম।রিক্সা
থেকে নেমে সাদিয়া ভাড়া দিয়ে আমাকে
বিদায় জানিয়ে ভিতরে চলে গেলো।আর
আমি রিক্সা নিয়ে আরেকটু সামনে এসে
মানে আমাদের বাসার সামনে নামলাম।
বাসায় এসে আম্মুকে বললাম আর খাবো না।
আম্মুঃকেনো?
আমিঃখেয়ে আসছি
আম্মুঃকোথায় গেছিলি?
আমিঃআমি আর সাদিয়া ঘুরতে বের হয়েছিলাম
আম্মুঃওহ,আচ্ছা ঘুমিয়ে পড় অনেক রাত
হয়ে গেছে।
আমিঃহুম,শুভ রাত্রি কিউটি?

*******সাদিয়া&জান্নাতের কথা*****
সাদিয়া বাসার ভিতরে এসে দেখলো সবাই
আগে থেকেই বসে আছে।
সাদিয়াঃকি ব্যাপার সবাই এভাবে বসে কেনো?
চাচিঃকোথায় গেছিলি?
সাদিয়াঃনিলয়ের সাথে ঘুরতে
চাচিঃতাই বলে এতো রাত করে?
সাদিয়াঃআম্মু তোমরা নিলয়কে চেনো না
ও কেমন ছেলে?
চাচিঃকিন্তু এতো রাত করে কেনো?
সাদিয়াঃকারণ ওকে আমি ভালোবাসি
আন্টিঃমানে?
সাদিয়াঃহ্যা ছোট মা,আমি নিলয়কে অনেক
আগে থেকেই ভালোবাসি।
দাদিঃনিলয় তোকে ভালোবাসে?
সাদিয়াঃজানিনা দাদি,কিন্তু আমি ওকে
সত্যি অনেক ভালোবাসি।
দাদিঃঠিক আছে,আমি নিলয়ের পরিবারের
থেকে শুনবো।যদি নিলয় আর ওর পরিবার
রাজি থাকে তাহলে তোদের বিয়ে দেবো।
জান্নাতঃকিন্তু দাদি….
আন্টিঃকিসের কিন্তু?
জান্নাতঃনিলয়কে তো…
দাদিঃনিলয়কে কিছুই না জান্নাত।আমি এই
বাসায় যেটা বলবো সেটাই শেষ কথা।
সাদিয়াঃলাভ ইউ দাদি(জড়িয়ে ধরে)
দাদিঃএখন চল খেয়ে নেয় সবাই
সাদিয়াঃআসলে দাদি আমরা দুজন বাইরে
থেকে খেয়েই আসছি।তোমরা খেয়ে নাও
আমি রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নেয়।
চাচিঃফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে যাবি
সাদিয়াঃহুম

সবার কথা শুনে জান্নাত কি বলবে বুঝে
উঠতে পারছে না।পায়ের তলা থেকে জেনো
জান্নাতের মাটি সরে যাচ্ছে।এখন যদি
খাবার না খেয়ে রুমে চলে যায় তাহলে সবাই
বকাঝকা করবে।তাই খুব কম করে খাবার
খেয়ে রুমে এসেই নিলয়কে কল করলো।
কিন্তু নিলয় রিসিভ করছে না।বারবার ট্রাই
করেও যখন কল রিসিভ করছিলো না তখন
হতাশ হয়ে ফোনটা রেখে কান্না করে ঘুমিয়ে
গেলো।

চলবে………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here