Ex গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ২
#আবির হাসান নিলয়
বাস থেকে নেমে দেখলাম মাহি দাঁড়িয়ে আছে
মাহি হচ্ছে আমার খালাম্মার বড় মেয়ে।
আমিঃতুই এখানে কেনো?
মাহিঃতোরে নিতে পাঠাইছে আম্মু
আমিঃআমি ছোট নাকি যে,নিতে আসতে হবে
মাহিঃসেটাই তো কেউ বোঝে না।তোর মতো
এমন খাটাশকে নিতে আমাকে কেনো পাঠাই
আল্লাহ ভালো জানে।
আমিঃসবার সামনে অপমান করলি??
মাহিঃঅপমান কই করলাম,সত্যি যা সেটাই
তো বললাম।
আমিঃযাবোই না তোদের বাসায়
মাহিঃঢং বাদ দিয়ে আয়,এমনেই তোর জন্য
অপেক্ষা করতে করতে ক্ষুধা লেখে গেছে।
আমিঃচল
মাহি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়াশোনা করে।
যেমন মেধাবী তেমন বদজাত,বাসার মধ্যে
শুধুমাত্র খালাম্মার কথা শুনবে।আর না
শোনারও কারণ নেই,অন্য সবাই কিছু না
বললেও খালাম্মার সাথে বেয়াদবি করলেই
ধুম ধুম দিয়ে দেয়।
মাহিঃভাই তোর কাছে ২০টাকা আছে?
আমিঃহ্যা কেনো?
মাহিঃক্ষুধা লাগছে,তুই গাড়ি ভাড়া দিস।এখন
কিছু খেয়ে নেয় আমি।
আমিঃবাসায় গিয়েই তো খেতে পারবি।
মাহিঃযদি যাওয়ার সময় জ্ঞান হারাই তখন?
আমিঃযা কিছু কিনে নিয়ে আয়,আমি রিক্সা
ঠিক করলাম।
মাহিঃওক্কে☺
মাহি চলে যাওয়ার পর একটা রিক্সা ঠিক
করলাম।মোড় থেকে খালাম্মার বাসা খানিকটা
ভিতরে,তাই রিক্সা করে যেতে হয়।রিক্সায়
উঠার পর মাহি আসতেই রিক্সাকে যেতে
বললাম।আমার দিকে একটা কেক দিলো।
মাহিঃনে
আমিঃতুই খা,আমি মাঝপথে খেয়েছি।
মাহিঃতবুও নে,একা খাবো কেমন দেখায়।
আমিঃবাসার সবাই কেমন আছে?
মাহিঃসবাই ভালো।খালাম্মা তো আমাদের
ভুলেই গেছে তাই না।
আমিঃনারে,আসলে আব্বু সময় পায় না।
মাহিঃহুম।আচ্ছা এটা বল,এবার কতোদিন
থাকবি আমাদের এখানে?
আমিঃকালকেই চলে যাবো
মাহিঃকেনো?
আমিঃকাজ আছে
মাহিঃএমন হলে এখানে আসার কি দরকার?
আমিঃকাল আমার একটা ফ্রেন্ডের বার্থডে।
এখন যদি ওর বার্থডেতে না যায় তাহলে মন
খারাপ করবে।আর আমি তো মাঝেমধ্যেই
এসে দেখা করে যায়।
মাহিঃতোর এই মাঝেমধ্যে আসা লাগবে না।
কুত্তার মতো দৌড়াতে দৌড়াতে আসিস,
আবার কুত্তার মতো পালিয়ে যাস।
আমিঃএবার আমার সাথে তুইও চল।বার্থডে
সেলিব্রেট করে আসবি।
মাহিঃতোর বাসায় একেবারে যাবো।
আমিঃমানে?খালাম্মা আমাদের বিয়ে ঠিক
করছে নাকি?
মাহিঃলাথি মারবো,তুই আমার ভাই।আর
পড়াশোনার জন্য ওখানে যাবো।আমাদের
কলেজে যাওয়া আসা অনেক কষ্ট হয় তাই
খালাম্মা নিজেই বলছে এক্সাম শেষ হলে
আমাকে নিয়ে যাবে।
আমিঃওহ
মাহিঃহু
টুকটাক কথা বলতে বলতে খালাম্মার বাসায়
চলে আসলাম।রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া দিয়ে
দুজন বাসায় ঢুকলাম।বাসার কলিংবেল
বাজানোর পর আশফি দরজা খুলে দিলো।
আশফিঃকেমন আছো ভাইয়া?আম্মু নিলয়
ভাইয়া আসছে।
আশফির ডাকে খালাম্মা রুম থেকে বের
হয়ে আসলো।খালাম্মাকে দেখে সালাম দিলাম।
খালাম্মাঃকেমন আছিস বাবা?
আমিঃহুম ভালো,তোমরা কেমন আছো?
খালাম্মাঃভালো,যা ফ্রেস হয়ে নে।মাহি তুইও
যা ফ্রেয়া হয়ে নে।
মাহিঃকোন রুমে থাকবি?
আমিঃতোর রুমে?
মাহিঃসব সময় আমার রুমেই কেনো??
আমিঃঅগোছালো করার জন্য।
খালাম্মাঃযা ফ্রেস হয়ে আয় আগে।তারপর
আড্ডা দিস।
আমিঃহ্যা
মাহির রুমে এসে আম্মুকে কল দিলাম।
আমিঃপৌছাইছি আম্মু
আম্মুঃফ্রেস হয়ছিস?
আমিঃনা,এখন হবো।
আম্মুঃফ্রেস হয়ে নে।
আমিঃআচ্ছা।
কল কেটে দিয়ে ব্যাগ রেখে ফ্রেস হয়ে নিলাম
বাইরে এসে সোফায় বসার পর আশফি এসে
বসলো।আশফি এমনি সাধারণ মেয়েদের
মতো হলেও ওর চোখগুলো অনেক সুন্দর।
পিচ্চিটার কথাবলার ভঙিতাও দেখার মতো।
আশফিঃভাইয়া নিলু আপু আসলো না কেনো?
আমিঃএবার তো অনেকদিন থাকার জন্য
আসিনি।তাই আমি একা আসছি।
আশফিঃকয়দিন থাকবে তাহলে?
আমিঃশুধু আজ রাতটুকু।
আশফিঃকেনো?
আমিঃএকটা ইম্পরট্যান্ট কাজ আছে।
আশফিঃওহ,নিলু আপু আমার জন্য কিছু
দিয়ে দেয়নি?
আমিঃহুম দিয়েছে তো,অনেকগুলো চকলেট
দিয়ে দিয়েছে তোর জন্য।
আশফিঃহিহি,রাতে সেগুলো দিবে।
আমিঃহুম
খালাম্মাঃনিলয় খেয়ে নে
আমিঃমাহি খাবে না?
খালাম্মাঃহ্যা মাহিও খাবে।মাহি…
মাহিঃহ্যা আম্মু(ভিতর থেকে)
খালাম্মাঃখাবার দিয়েছি।
মাহিঃআসছি
খাবার টেবিলে বসতেই মাহিও আসলো।
তারপর টুকটাক কথা বলার পাশাপাশি
খাবার শেষ করলাম।খাবার শেষ করে
পারিবারিক কথাবার্তা বলছিলাম।আর
তাছাড়া প্রায় ৫মাস আসা হয়নি।তাই জমিয়ে
রাখা অনেক কথাই বলছিলাম।
পরেরদিন সন্ধ্যায়…….
বাসায় এসে প্রথমেই ফ্রেস হলাম।কারণ
সাদিয়ার বার্থডেতে যেতে হবে।আর হ্যা,
আসার পথে ওর জন্য একটা গিফট এনেছি।
কি এনেছি সেটা পরেই জানতে পারবেন।
সাদিয়া এবং জান্নাতরা একই বাসায় থাকে।
এখনো জান্নাতের দাদি বেচে আছে তাই বলতে পারেন যৌথ পরিবার।সে যায় হোক,
সাদিয়াদের বাসায় যেতে প্রায় রাত হয়ে গেলো।
বাসার ভিতরে আসতেই দেখলাম অনেকেই
আছে।আর সাদিয়ার সাথে আম্মুর অনেক
ভালো সম্পর্ক তাই আমার পরিবারের
সবাইকেই ইনভাট করেছে।আমাকে দেখে
হারামিরা এগিয়ে আসলো।
জয়ঃসালা না জানিয়েই ঘুরতে গেছিলি?
আমিঃআরে না,কাজের জন্য গেছিলাম।
একদিন গেছি আরেকদিন চলে আসছি।
রাফিঃতবুও তো গেছিলি।
আমিঃহুম গেছলাম
রাফিঃকিন্তু সব ঝাড়ি আমরা শুনলাম
আমিঃকেনো?
রাহুলঃপাগলা মেয়ে তোকে কি বলছিলো?
আমিঃজান্নাত?
রাহুলঃহ্যা
আমিঃকি বলবে আমাকে?
রাহুলঃতোকে নাকি কি ফেরত দিতে বলছে
আমিঃতোদেরকেও বলছে?
রাফিঃহুম
আমিঃসালির সব ফেরত দিয়ে দেবো।আর
ওকে যেগুলো আমি দিছি সেগুলোও নিয়ে
নেবো।তখন হিসাব ঠিক হবে।
রাফিঃসেটা তোর ব্যাপার,এসব নিয়ে আমরা
কোনো ভ্যাজাল চায় না।এমনিতেই মেয়েটার
মাথার তার কাটা।
আমিঃহুম,সাদিয়াকে দেখছি না যে।
জয়ঃরুমে গেছে
নিলুঃভাইয়া,কখন আসলি?
আমিঃএইতো মাত্র আসলাম,আব্বু আম্মু কই
নিলুঃআঙ্কেল আন্টির সাথে কথা বলছে।
আমিঃদোস্ত তোরা থাক আমরা একটু আসি
—ঠিক আছে।
বন্ধুদের ওখানে রেখে নিলুকে সাথে নিয়ে
সাদিয়ার রুমে গেলাম।রুমের সামনে নক
করে ভিতরে যাওয়ার জন্য পারমিশন চাইতে
ভিতরে যেতে বলল।নিলুকে সাথে নিয়ে রুমে
গিয়ে দেখলাম সাদিয়ার সাথে জান্নাতও
আছে।কথায় আছে;যার বিয়ে তার কোনো
কথা নেই, পাড়া প্রতিবেশীর ঘুম নেই।
সাদিয়া বসে আছে আর জান্নাত সাজগোজ
করতে ব্যস্ত।আমাদের দেখে ঘুরে বসলো।
জান্নাতঃতুই এখানে কি করোস?
আমিঃতোর এখানে কি কাজ?
জান্নাতঃআমার বাসা, তাই আমিই থাকবো
আমিঃরুম তো আর তোর না।
জান্নাতঃকিন্তু বাসা তো আমার।
আমিঃতুই রুম থেকে বের হো,আমি বাসা
থেকে বের হবো।
জান্নাতঃএই রুম মনে হয় তোর বিয়ে করা
বউয়ের।যার কারণে যেতে বলছিস?
আমিঃবিয়ে করতেও পারি,আর তুই এখন
রুম থেকে বের হো।সাদিয়ার সাথে আমার
কথা আছে।
জান্নাতঃহবো না
সাদিয়াঃএকটু বাইরে গেলে কি হবে?
জান্নাতঃতুই ওর জন্য আমাকে বের করতে
চাইছিস এখন?
সাদিয়াঃদেখ,সেদিন তো তোকে ইচ্ছা করে
বল লাগাই নাই।হঠাৎ করে হয়ে গেছিলো।
আর তুই এখনো বাচ্চাদের মতো করছিস।
জান্নাতঃহ্যা আমি বাচ্চাই,কিন্তু এই রুম থেকে
আমি বের হচ্ছি না হবো না।
আমিঃহো রুমটা তো তোর বাপের।তাই তুই
না থাকলে কে থাকবে।বাদ দে সেসব কথা,
খালাম্মার বাসায় গেছিলাম তাই আসতে
দেরি হয়ে গেছে।জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা
রইলো।আর আমার পক্ষ থেকে ছোট একটা
উপহার।
সাদিয়াঃথ্যাংক ইউ?
আমিঃযখন একা থাকবি তখন খুলে দেখিস।
সাদিয়াঃঠিক আ….
আর কিছু বলতে যাবে তখনি পেত্নীটা বলল..
জান্নাতঃআমরা সবাই দেখলে কি?
নিলুঃএটা গিফট আপু,আর সবাই তো এসব
একা একাই দেখে।
জান্নাতঃতুইও ওদের দলে গেলি?
নিলুঃসেটা বললাম কোথায়?(জড়িয়ে ধরলো)
জান্নাতঃযা তোকেও লাগবে না।
নিলুঃছাড়তে বললেও ছাড়বো না হু।
আমিঃআচ্ছা এখন আমি যায়
জান্নাতঃহো যা
সাদিয়াঃশুনো
আমিঃহ্যা বল
সাদিয়াঃধন্যবাদ আসার জন্য।ভেবেছিলাম
আসবে না।তাই রুমে এসে বসে ছিলাম।
আমিঃসরি দেরি করে আসার জন্য
সাদিয়াঃসরি বলার দরকার নেই,আসছো
সেটাই অনেক।
আমিঃহুম,আমি নিচে যাচ্ছি।
সাদিয়াঃঠিক আছে।
রুম থেকে বের হয়ে নিচে আসলাম।নিচে
আসার পরপরই জান্নাত আমাদের কাছে
এসে দাঁড়ালো।জান্নাতকে দেখে বন্ধুরা যার
যার মতো কেটে পড়লো।সালার হারামিগুলো
ওকে দেখে এতো ভয় পায় কেনো কে জানে।
স্বাভাবিকের চাইতে একটু আস্তে আস্তে
বলতে শুরু করলো…
জান্নাতঃকি গিফট করলি?
আমিঃতোকে কেন বলবো?
জান্নাতঃসবাইকেই তো গিফট করিস,শুধু
আমাকে ছাড়া।আর আমি জানি আমাকে
কখনো করবিও না।তাই এমনি জানতে চাইছি
কি গিফট করলি।?
আমিঃওর থেকেই শুনিস
জান্নাতঃতুই বলনা বাল,ও আমাকে কখনো
বলবে না।ঐ হারামজাদি কতোদিন ওভাবে
রাখবে কে জানে।
আমিঃকাচের তৈরি একটা শোপিস
জান্নাতঃওহ,তোকে যেটা দেখিয়েছিলাম?
আমিঃআরে না,তোর ওটা একদম জঘন্য
ছিলো।আমি আমার পছন্দেরটা দিছি।
জান্নাতঃকুত্তা,বল ওটা কেনার টাকা নাই।
আমিঃযেটাই হোক,কিন্তু আমার পছন্দ না।
জান্নাতঃযা আমার চোখের সামনে থেকে
আমিঃতোর আমি পিছে দাঁড়িয়ে আছি।
জান্নাতঃতো সেদিন কি বলেছিলাম?
আমিঃকি?
জান্নাতঃআমার পিছে থাকবি না
আমিঃআমিও তো বলছিলাম,আমার সামনে
ছ্যাঁচড়ামি করে দাঁড়িয়ে থাকবি না।
জান্নাতঃশুয়োর একটা।
আমিঃচোখের চিকিৎসা করিস,আস্ত একটা
মানুষকে শুয়োর বলিস।
জান্নাতঃতোকে তো আমি….
আমিঃআশেপাশে অতিথি ☺
মারার জন্য আমার দিকে এগিয়ে আসায়
কথাটা বলতেই থেমে গেলো।এই মেয়ের
কবে জ্ঞান বুদ্ধি হবে আল্লাহ জানেন।সব
সময় নিজের মুখ দিয়ে বাজে কথা বের হবে
সাথে কিছু বললেই মাইর ফ্রি।
জান্নাত চলে যাওয়ায় পর বন্ধুদের খুঁজে
কথা বলার পর সাদিয়াকে দেখলাম নিচে
আসলো।হয়তো এখন কেক কাটবে।তাই
সবাই কথা বলা বাদ দিয়ে সাদিয়ার দিকে
মনোযোগী হলো।।টুকটাক কথা বলার পর
কেক কাটলো।
বার্থডে শেষ করে সবাই যে যার মতো বিদায়
নিয়ে চলে যেতে লাগলো।আমরাও যেতাম
কিন্তু এলাকার পোলাপান বলে কথা।?
আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সাদিয়া
এগিয়ে আসলো।
সাদিয়াঃতোরা যাবি না?
রাফিঃনা গেলে থাকতে দিবি?
জান্নাতঃফকিরদের আশ্রয় দেয়া যায়।কিন্তু
তোদের মতো লুচু ব্যাটাদের কিছু সময়ের
জন্য থাকতে দেয়াও ভুল।
রাফিঃহয়,১০/১২টা মেয়ের সাথে চক্কর আছে
তাই আমরা লুচু।
জান্নাতঃতোর না থাকলো,তোর বন্ধুর তো
অবশ্যই আছে।
সাদিয়াঃতুই জানিস কিভাবে?
জান্নাতঃএলাকার বড় ভাইদের একটু তো
খোজ রাখতেই হয়।তাই না ভাইয়ারা?
জয়ঃএমন মিছা কথা কইলে আল্লাহ তোর
উপর ঠাডা ফালাইবো দেখিস।
জান্নাতঃআমার উপরে ঠাডা পড়লে তোদের
উপর মনে হয় শান্তির আভাষ পড়বে।সব
কুত্তা মেয়েদের নিয়ে থাকোস।
আমিঃআমরা যেসব মেয়েদের সাথে লুচ্চামি
করি তার মাঝে তুইও আছিস?
জান্নাতঃআ..আম..আমি কেন থাকবো?
আমিঃতাইলে জানিস কিভাবে?
জান্নাতঃবলছে আমাকে একজন
আমিঃকে বলছে?
জান্নাতঃসিক্রেট বলা যাবে না।
আমিঃঅনেক মিথ্যা বলছিস,এখন গিয়ে
পানি খা।সাদিয়া এখন আমরা যায়।
সাদিয়াঃএকটু পরেই যেও।
আমিঃনারে,আব্বু আম্মু অনেক আগেই
চলে গেছে।আর তারটাও তো অনেক হয়েছে।
সাদিয়াঃহুম,সাবধানে যেও।
আমিঃহুম
বাসা থেকে বের হয়ে যার যার মতো বাসায়
চলে গেলাম।
*********জান্নাতের কথা*******
নিলয়েরা সবাই বাসা থেকে বের হতেই
সাদিয়াকে নিয়ে রুমে গেলো।
জান্নাতঃতুই নিলয়কে তুমি তুমি করিস কেন?
সাদিয়াঃতো কি বলবো?
জান্নাতঃসবাইকে তুই বলিস,কিন্তু নিলয়ের
বেলাতে তুমি আসে কোথা থেকে?চাচারে
গিয়ে বলবো তোমার মেয়ে প্রেম করে?
সাদিয়াঃ??
চলবে………..
(সবাই বেশি বেশি করে কমেন্ট করে নিজের মতামত প্রকাশ করুণ। ধন্যবাদ)