Ex গার্লফ্রেন্ড পর্বঃ১

0
1731

“নিলয়ের বাচ্চা কুত্তা,তুই আমাকে সত্যি
করে বল।তুই আমাকে ভালোবাসিস কিনা?
যদি ভালো না বাসিস আজকেই তোর নামে
থানায় মামলা করবো।শুয়োর কয়টার সাথে
তোর ইটিশপিটিশ চলে?”

কলেজের মাঠে বসে ফোন চালাচ্ছিলাম
তখনি জান্নাত এসে উপরের কথাগুলো
বললো।আজ আবার কোন সালা ওর
মাথায় এই ভুত চাপাইছে কে জানে।ব্যাগ
থেকে ইয়ারফোন বের করে কানে নিলাম।
আমি খুব ভালো করেই জানি,জান্নাতের
প্যাঁচাল এতো সহজে শেষ হবে না।কথাগুলো
জেনো শুনতে না পায় তার জন্য একটা
গান দিয়ে শুনতে লাগলাম।কিন্তু সেই সুখ
আর বেশিক্ষণ রইলো না।আমি কিছু বুঝে
উঠার আগেই জান্নাত ইয়ারফোন নিয়ে
দাত দিয়ে একদম ছিরে ফেললো।?
জান্নাতঃআমার কথা কানে যায় না?
আমিঃহো যায়,আর যায় বলেই তো গান
শুনছিলাম।আমার ২৫০টাকার ইয়ারফোন
নষ্ট করে দিলি।
জান্নাতঃতোর ইয়ারফোনের গুষ্টিরমাথা সালা,
তুই এখন সোজাভাবে বল,তুই কয়টার সাথে
প্রেম করিস?
আমিঃআমাকে তোর প্লেবয় মনে হয়?
জান্নাতঃতার থেকেও বেশি,আর এতো কথা
বাদ দিয়ে তুই বলবি,তুই কয়টার সাথে খেলছিস?
আমিঃহোপ,এখনো কোনো মেয়েকে ছুঁয়েও
দেখিনি।আর তুই এসব ছিঃ ছিঃ।
জান্নাতঃওহ তাই বুঝি?
আমিঃহ্যা
জান্নাতঃওয়েট
আমিঃকেনো?

আমাকে কোনো উত্তর না দিয়ে জান্নাতের
ফোন থেকে কিছু পিক দেখালো।
জান্নাতঃতাহলে এগুলো কি?
আমিঃমারিয়ার বার্থডে ছিলো,তাই এমন
করে কিছু…..
জান্নাতঃহ্যা বল,জড়াই ধরে পিক তুলছিস
আমিঃহুম☺
জান্নাতঃকুত্তা?

বাপের জন্মে যেসব গালি শুনি নাই সেসব
বলে গালিগালাজ করতে লাগলো।একটা
প্রশ্ন আপনাদের কাছেও রইলো।আপনাদের
মধ্যে কারো গার্লফ্রেন্ড কি আপনাদের
“পচা বেগুনের পোকা” নিয়ে গালি দিয়েছে?
সেসব বাদ দেয়,গল্পে ফিরি।
জান্নাতের গালিগালাজ দাঁড়িয়ে শুনছিলাম।
ওরে কিছু বললেও উল্টো বেশি কথা বলবে।
তাই চুপ করে থাকাই সব থেকে ভালো।
জান্নাতঃতোর সাথে ব্রেকআপ
আমিঃএ্যাঁ,সোজা ব্রেকআপ?
জান্নাতঃহো ব্রেকআপ
আমিঃকয়দিনের জন্য?
জান্নাতঃকয়দিনের জন্য মানে?ঠাসস,কি
মনে হয় আমাকে তোর?আমি ছ্যাঁচড়া?
আমিঃবাল কথা বলবি বল,হুদাই গায়ে
হাত তোলার কি আছে?
জান্নাতঃতোর সাথে ব্রেকআপ,আর কখনো
আমার সামনে আসবি না।
আমিঃআচ্ছা
জান্নাতঃআচ্ছা মানে,তুই আমার প্যান্ট দে।
আমিঃহোয়াট দ্যা প্যান্ট দেয়া,সবার সামনে
তোরে প্যান্ট দিয়ে দিলে আমি কি পরবো?
জান্নাতঃসেটা তোর ব্যাপার,আমার টাকাই
প্যান্ট কিনছিস।তাই তুই আমার প্যান্ট দিবি।
আমিঃকাল দিয়ে দেবো
জান্নাতঃমাথায় হাত রেখে বল
আমিঃদিয়ে দেবো তোর দিব্যি।
জান্নাতঃআর কখনো আমার চোখের সামনে
আসবি না।সালা লুচুর বাচ্চা।

চলে যাওয়ার সময় পেটে ডিসুম দিয়ে চলে
গেলো।সালার এই মেয়েকে আল্লাহ কি
দিয়ে বানাইছে কে জানে।ওর বাবা মা এই
পাগলকে কিভাবে বাসায় রাখে সেটাই তো
আমার মাথায় ঢুকে না।পেটে হাত দিয়ে
কিছু সময় বসে রইলাম।Opps আপনাদের
তো পরিচয় দেয়া হলো না.।আমি
আবির হাসান নিলয়,অনার্স থার্ড ইয়ারে
পড়াশোনা করছি।আর যে কুত্তীটা আমার
ইয়ারফোন ছিরে চলে গেলো সে হলো
অধরা জান্নাত।জান্নাতের ব্যাপারে বলতে
ও আমার গার্লফ্রেন্ড সরি গার্লফ্রেন্ড না,
এক্স গার্লফ্রেন্ড।আপনাদের সামনেই কিভাবে
ব্রেকআপ করলো দেখতেই পারলেন।সে
যায় হোক,ওর ব্যাপারে আরো কিছু বলে
রাখি।তাহলে আমার এবং আপনাদের পক্ষে
ভালো হবে।বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে।
ভাই আছে তবে সে ক্লাস ৬এ পড়াশোনা
করে।আর জান্নাত আমার থেকে এক ব্যাচ
জুনিয়র। তবে সিনিয়রদের কিভাবে সম্মান
করতে হয় বাবা মা একদমই সেটা শেখায়নি।
কুত্তীটার জন্য এখনো আমার পেট ব্যথা
করছে।আপনাদের পরিচয় দেয়ার সময়
বন্ধুরা আসলো।
রাহুলঃকিরে হালা,এমনে বইসা কেন?
জয়ঃভাই আর যাই বলিস,কিন্তু প্রেগন্যান্ট
এর কথা বলিস না।
আমিঃ?
রাফিঃকিতা হয়ছে?
আমিঃমোর ইয়ারফোন শেষ
রাহুলঃইঁদুরে কাটছে নাকি?
আমিঃহো,মানুষ ইঁদুর।
রাফিঃভাবি করছে?
আমিঃতোর ভাবির গুষ্টি সালা,ওর সাথে
ব্রেকআপ।পাগল একটা,আর কিছুদিন ওর
সাথে থাকলে পাক্কা আমিও পাগল হয়ে
যেতাম।ভাগ্যিস ব্রেকআপ হয়েছে।
রাহুলঃসিরিয়াস ভাবে বলছে নাকি?
আমিঃজানিনা,তবে আমি সিরিয়াস।
জয়ঃকেনো?
আমিঃএকটা গেলে আরেকটা পাবো,তবে
দৈনিক মাইর খেতে চায় না।জুইকে কাল
প্রপোজ করবো।মানলে মানবে,না মানলেও
ওকে মানাবো।তবুও এই পাগলা কুত্তীর
সাথে রিলেশনে যাবো না।
রাহুলঃদেখ কালকেই আবার ঠিক হয়ে যাবে।
হুদাই আমাগো সামনে ভাব লইয়া কোনো
লাভ নাই তোর।আর তুই যেমন ছ্যাঁচড়া, যদি
জান্নাত কালকেই কোনো একটা জিনিসের
প্রতি লোভ দেখায় তুই সেটা নিয়ে আবার
ওর আচল ধরে থাকবি।
আমিঃসালা সবার সামনে ইজ্জতের ফালুদা
বানাই দিলি?
জয়ঃইজ্জত কি ভাই?
আমিঃআই কিছু কইতাম না।

কিছু সময় বসে থাকার পর সবাই মিলে
ক্লাসে গেলাম।ক্লাসে কিছুক্ষণ বসে থাকার
পর লক্ষ্য করলাম সাদিয়া আসলো।সাদিয়া
ক্লাসের ফাস্ট গার্ল,সেই সাথে অনেক বেশি
মিশুক একটা মেয়ে।ক্লাসের সবাইকে তুই
করে বললেও কেনো জানিনা আমাকে তুমি
করে বলে।এই মেয়ে আমার মধ্যে কি পেয়েছে
সে নিজেই ভালো জানে।
সাদিয়াঃহাই
আমিঃহাই,আজ আমার সামনে যে?
সাদিয়াঃএমনি,কেমন আছো?
আমিঃভালো,তোর কি অবস্থা?
সাদিয়াঃহুম ভালো।পরশু আমার বার্থডে,
যদি ফ্রি থাকো তাহলে তুমি ওদের(বন্ধু)
নিয়ে আমার বার্থডেতে আসলে হ্যাপী হবো।
আমিঃকোথায় করবে?
সাদিয়াঃআমার বাসায়
আমিঃজুই যাবে?
সাদিয়াঃক্লাসের সবাইকে বলছি,এখন কি
করবে আই ডোন্ট নো।
আমিঃঠিক আছে।আর হ্যা,তোর কাজিন
পাগলিকে আসতে বারণ করিস।
সাদিয়াঃজান্নাতকে?
আমিঃহ্যা
সাদিয়াঃকেনো?
আমিঃওর মাথায় সমস্যা আছে,কখন কি
করে পার্টি নষ্ট করে দিবে কে জানে।
সাদিয়াঃসেসব নিয়ে তুমি ভেবো না।

সাদিয়ার সাথে কথা বলার মাঝে ক্লাসে স্যার
আসলো।তাই আর কোনোপ্রকার কথা
বললাম না।আর হ্যা,ভাবছেন জান্নাত আর
সাদিয়ার মধ্যে কিসের সম্পর্ক..? আসলে
ওরা চাচাতো বোন।জান্নাত আমাদের সম্পর্ক
কাউকে জানাতে চায় না বলেই সবার কাছে
গোপন রেখেছিলাম।আমার আর জান্নাতের
কিছু ফ্রেন্ড ছাড়া তেমন কেউ জানে না এই
রিলেশনের ব্যাপারে।সবাই ভাবতো আমরা
প্রতিবেশী তাই কথাবার্তা বলতাম।কিন্তু সত্যি
কি সেটা তো আপনারা ভালো করেই জানেন।

ক্লাস শেষ করে বাইরে আসার পর মারিয়া
আসলো।
আমিঃকিরে ছকিনা তুই এখানে?
মারিয়াঃকাল সবাই গিফট দিছে,শুধু তুই
দিস নাই।তাই আজ গিফট দে।
আমিঃকাল দেখলিই তো কিভাবে চলে
আসতে হয়েছিলো।
মারিয়াঃহ্যা,কি হয়ছিলো?
আমিঃও কিছু না।আর এটা তোর গিফট।
(ব্যাগ থেকে চকলেট বক্স বের করে দিলাম)
মারিয়াঃওয়াও,থ্যাংক ইউ হাবু?
আমিঃসালা সেই ক্লাস থ্রি থেকে এই হাবু
হাবু করছিস।এখন অন্তত অন্য একটা নাম
দে,যেটা ডাকলে আমি খুশি হবো।
মারিয়াঃএটাই পারফেক্ট নাম ডার্লিং।
সাদিয়াঃমারিয়া চল
সাদিয়াঃহ্যা চল

দুজন চলে যাওয়ার পর বন্ধুরা আসলো।
আমিঃআজ কি করছিলি?
রাফিঃযা করি সেটাই।
আমিঃযদি প্রিন্সিপাল স্যার এসব জানে
তোদের একদম মেরে ফেলবে।
জয়ঃসেটা তোর ভাবা লাগবে না।
রাহুলঃএখন চল
—হ্যা চল
আমাদের বাসা খুব একটা দূরত্বে না।সবার
বাসা পাশাপাশি হওয়াই সবাই একসাথে
কলেজে যাওয়া আসা করি।

সবাই মিলে বাসার দিকে রওনা দিলাম।বাসা
থেকে কলেজের দূরত্ব বেশি না।প্রায় মিনিট
১০ লাগে।তাই আমরা নিয়মিত হেটেই
চলাফেরা করি।কিছুক্ষণ হাটার পর পেছন
থেকে শুনতে পেলাম….
জান্নাতঃএই ছ্যাঁচড়া, শোন
আমিঃআবার কি?
জান্নাতঃতোকে সাদিয়া কিছু বলছে?
আমিঃহ্যা
জান্নাতঃযাইস না ওখানে।
আমিঃকেনো যাবো না?
জান্নাতঃতোর প্রতি ওর নজর ঠিক না।
আমিঃআমি তো ছ্যাঁচড়া।
জান্নাতঃতবুও যাবি না।
আমিঃআপনি কে আপু?
জান্নাতঃআপু মানে?কোন জন্মের ভাই তুই?
আমিঃএই জন্মেরই
জান্নাতঃমেজাজ খারাপ করবি না।
আমিঃদেখ জান্নাত,আমাদের ব্রেকআপ
হয়েছে।তাই হুদাই এসব প্যাঁচাল পেরে কোনো
লাভ আছে?
জান্নাতঃব্রেকআপ সিরিয়াসলি বলছি নাকি?
আমিঃহ্যা সিরিয়াস
জান্নাতঃযা কুত্তা তোর সাথে ব্রেকআপ,আর
কখনো আমার পিছে আসবি না।
আমিঃতুইও কখনো আমার সামনে আসবি না
জান্নাতঃশুয়োর, কুত্তা,বানর….

এসব বকা আপনাদের শুনতে হবে না।এসব
শুনলে ইজ্জতের ফালুদা বেজে যাবে।যদিও
ইজ্জতের আছেই বা কি।?
সে যাই হোক,বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে বিশ্রাম
নিলাম।বিকেলবেলা বন্ধুরা কল দিয়ে মাঠে
যেতে বলল।আর হ্যা,মাঠটা কিন্তু জান্নাতের
বাসার সামনেই।মাঠে আসতেই দেখলাম
জান্নাতের ছোট ভাই ক্রিকেট খেলছে।ওসব
না দেখে বন্ধুদের কাছে গেলাম।
আমিঃকিরে হঠাৎ মাঠে
জয়ঃসাদিয়ার বার্থডেতে প্ল্যান কি?
আমিঃতোর ইনভাইট করছে?
রাফিঃসালা তোর আগে আমাদের বলছে
আমিঃওহহ
রাহুলঃএকটা ঘড়ি নিয়ে যায়,১৫০টাকার?
রাফিঃসালা এক ঘড়ি নিয়ে ৪জন যাবো?
আমিঃতোর কে কি নিবি সেটা ঠিক কর।
আমারটা আম্মুর থেকে শুনে নেবো।
জয়ঃআন্টিও যাবে?
আমিঃনা,তবে সাদিয়ার সাথে আম্মুর সেই
সম্পর্ক। তাই বলতে পাড়বে বার্থডেতে কি
দিলে হ্যাপী হবে।
রাফিঃওহ
—ভাইয়া বলটা দাও

খেয়াল করে দেখলাম জান্নাতের ছোট ভাই।
সালা দুলাভাইয়ের থেকে বল চাইছে।তবে
দুলাভাই হিসাবে সালাকে হেল্প করতেই পারি।
আমিঃবল মেরে তোর বাসায় দেবো বাজি
লাগাবি আমার সাথে?
রিহানঃলাগবে না,এমনিতেই আপু সেদিন
আমাকে বকা দিয়েছে।
আমিঃকেনো?
রিহানঃআমার ব্যাট তোমাকে দিয়েছি বলে।
আমিঃওটা কিছুই না,তুই খেলবি কিনা বল
রিহানঃনা
আমিঃআমিও বল দেবো না।
রিহানঃআব্বুকে ডেকে আনবো কিন্তু
আমিঃতোর আপুকেও নিয়ে আসিস
রিহানঃপালাবে না

এটুকু বলেই দৌড়ে চলে গেলো।ওর এমন
কাজকাম দেখে সবাই হাসাহাসি করে উঠে
ওদের ব্যাট বল দিয়ে আমরা খেলতে শুরু
করলাম।হঠাৎ লক্ষ্য করলাম জান্নাত আসছে
আমিও তো এটাই চেয়েছিলাম জান্টুস।?
জান্নাতঃতোরা ওর বল নিছিস কেন?
আমিঃআমি নেয়নি,বল রাফির কাছে।
রিহানঃনা আপু,বল নিলয়ই নিছিলো।
আমিঃসালা আমি তোর আপুর চাইতেও বড়,
আর তুই আমার নাম ধরে বলছিস?
জান্নাতঃতোরা ওদের ব্যাট বল দে।
আমিঃদিতে পাড়ি তবে একটা কন্ডিশন
জান্নাতঃকি?
আমিঃআমাকে ৬টা বল করতে হবে।
রিহানঃঠিক আছে,তবে জোরে মারলে
খবর আছে।
আমিঃতোকেই ক্যাচ দিচ্ছি দেখ।

এবার রাফির থেকে বল দিয়ে বল করতে
গেলো।ইচ্ছা আমার বল মেরে ওদের বাসায়
দেবো।জেনো ওর বাসার কেউ এটা দেখলে
খেলতে না দেয়।
জান্নাতঃআমি গেলাম।
রিহানঃঠিক আছে আপু।
জান্নাত চলে যেতে লাগলো।প্রথম দুটো বল
আস্তে করে মারলেও তিন নাম্বার বলটা
বাসার উদ্দেশ্য মারতেই পুরা থ হয়ে গেলাম।
বল গেলো তো গেলো সোজা জান্নাতের
পিঠে গিয়ে লাগলো।জান্নাতের গায়ে বল
লাগতেই সাপের মতো বেকে উঠলো।পেছন
ফিরে কিছু বলার আগেই আমি ব্যাট রেখে
দৌড়। এই মুহূর্ত যদি আমি ওখানে থাকি
তাহলে আমি শিওর আমার উপর দিয়ে সিডর
চালাবে।

রাত্রিবেলা…….
সবাই বসে আছি তখন নিলু রুম থেকে এসে
সবাইকে বলল…
নিলুঃআব্বু আজ ভাইয়া কি করছে জানো?
আব্বুঃকি?
নিলুঃজান্নাত আপুকে বল মেরে লাগিয়েছে।
আব্বুঃকিছু বললো না তোকে?
আমিঃহাতের কাছে পেলে সিডর চালাতো।
নিলুঃভয় পেয়ে পালিয়ে আসছে।
আমিঃতোকে কে বলল?
নিলুঃআপু নিজেই বলছে।
আমিঃকখন?
নিলুঃসাদিয়া আপু আজ যেতে বলছিলো।
ওখানে যাওয়ার পর জান্নাত আপু বলল।
আম্মুঃকাল দেখা হলে সরি বলবি।
আব্বুঃকাল তোর খালার বাসায় যাবি।
আমিঃএকা?
আব্বুঃহুম
আমিঃকেনো?
আব্বুঃকিছু কাগজ নিয়ে।তোর খালুকে দিয়ে
আমাকে কল দিবি।তারপর আমি সব বলবো
আমিঃঠিক আছে।
সবাই টুকটাক কথা বলার পাশাপাশি রাতের
খাবার খেয়ে নিলাম।

পরেরদিন……
ঘুম থেকে নাস্তা করে আব্বুর থেকে সেসব
কাগজ নিয়েই রওনা দিলাম।যেতে অনেক
সময় লাগবে।ওখানে পৌঁছাতে প্রায় বিকেল
হয়ে যাবে।বাসে উঠে একটা সিটে বসে গান
শুনতে লাগলাম।

চলবে…….
Ex গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ১
#আবির হাসান নিলয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here