#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
32.
“চাচা থামবে এবার তুমি।তুমি আমাকে শশুরবাড়িতে পাঠানোর চিন্তা করছো।তার আগে আমি তোমাকে শশুরবাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।রাত দুপুরে মানুষের রুমে এসে হামলা করো,তুমি।বের হও আমার রুম থেকে।
” না চাচা যাবে না।আগে বল তুই কাকে চুমু দিয়েছিল?
“আরব বইন কাউকে চুমু দিই না।একটু মজা করছিলাম তোর সাথে।এই চাচা ঝামেলা টা আসলে জানলে জীবনেও এই মজা করতাম না।
” আমি বিশ্বাস করিনা।
“এই নে মোবাইল,দেখ।কাউকে কল দিয়েছি কীনা?
” থাক দেখা লাগব না।বিশ্বাস করেছি।
চাচা তুমি এবার যাও।
“আচ্ছা এবারের মতো ভাতিজারে ছাইড়া দিলাম।নেক্সট টাইম সিনহারে কাঁদালে শশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দিবো।
ইমরান এসে বিছানায় শুয়ে পড়ল। সিনহাও এসে বিছানার একপাশে শুয়ে পড়ল।কিছু সময় পার হওয়ার পরেও কেউ কারো সাথে কথা বলছে না।চুপ করে আছে।
” ডেভিলটা কী আজকে আমাকে তার বুকে নিবে না।আর কতোক্ষন এভাবে থাকব।(মনে)
“এই সিনহারে মন চাচ্ছে কষিয়ে একটা থাপ্পড় মারি,প্রতিদিন তাকে এক কথা বলে যেতে হবে,বিছানায় শোয়ার সাথে সাথেই তো তার আমার বুকে চলে আসা উচিত ছিল।
কিছু সময়ের নিরবতা ভেঙে ইমরান’ই কথা বলা শুরু করে।
” কী সমস্যা তোর?আমার বুকটা যে খালি পড়ে আছে,সেদিকে খেয়াল আছে তোর?
“তোর বুকটা কোথায় খালি।টিশার্ট পইড়া আছস তো।
সিনহার কথা শুনে ইমরানের সিনহার মাথায় একটা ঠুয়া মারে।
” আউচ,ভাইয়া মারলি কেনো?
“তোকে মারবো না তো,কী আদর করবো?
” শোন ভাইয়া আগে মারতি ঠিকাছে। কিন্তু এখনো আর মারতে পারবি না আমাকে।আমি তোর বউ হই,বউকে মারলে নারী নির্যাতন মামলায় ফেসে যাবি।এখন না মেরে শুধু আদর করবি।
“মুখ বেশি না চালিয়ে,বুকে আয়।আর কখনো যেনো না বলা লাগে।নাহলে কষিয়ে একটা থাপ্পড় মারবো।
সিনহা ভদ্র মেয়ের মতো ইমরানের বুকে এসে শুয়ে পড়ে।ইমরান দুই হাত দিয়ে সিনহাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমের দেশে চলে যায়।
”
সকালবেলা,
“গুডমর্নিং আম্মু।
” গুডমর্নিং।ইমরান উঠেছে।
“তোমার ছেলে কী এতো তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবে।উনি তো রাজপুত্র।
” আচ্ছা তুই আমাকে বল তো,তুই আমার ছেলেকে এখনো ভাইয়া কেনো ডাকস?
“আমার ভাল্লাগে তোমার ছেলেকে রাগাতে।আর তোমার ছেলে তো ভাইয়া ডাক শুনলেই রেগে যায়।তাই আমিও ভাইয়া ডাকি।(হেসে)
“ওরে আমার ফাযিল মেয়ে রে।আমার ছেলেটা কতো চেষ্টা করে,তোর মুখ থেকে ভাইয়া ডাকটা বন্ধ করতে,আর সেই তুই কীনা ইচ্ছা করেই ডাকস।
“তুমি আবার তোমার ছেলেকে বলে দিও না।নাহলে তোমার ছেলে আমার বারোটা বাজাবে।
প্রায় অনেক্ষন গল্প করে সিনহা রুমে যায় ইমরানকে ঘুম থেকে উঠানোর জন্য। সিনহা রুমে এসে দেখে ইমরান খুব আরাম করে,শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। সিনহা, বিছানার কাছে গিয়ে বসল।হাত দিয়ে ইমরানের চুলগুলো নাড়িয়ে দেয়,ইমরানের গাল টিপে দেয়।
“ওই ভাইয়া উঠ।আর কতোক্ষন ঘুমাবি?
“ওই জামাই উঠ(চিৎকার করে)
ইমরান বিরক্তি নিয়ে সিনহার দিকে ঝাপসা চোখে তাকায়,
“কী সমস্যা তোর?সকাল সকাল এভাবে কাকের মতো চিল্লাচ্ছিস কেনো?
” আমি কাকের মতো চিল্লাচ্ছি না।তুই গরুর মতো ঘুমাচ্ছিস।এখন কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি উঠে পড়।নাস্তা করতে হবে।
“আমি আরেকটু ঘুমাবো,তুই যা।
” না এখন আর একটুও ঘুম যাওয়া যাবে না।(সিনহা ইমরানের গায়ের উপর থেকে কাথা টান দেয়)
“আরে সিনহা জ্বালাইস নাতো।
” তুই উঠে পড়,তাহলে আর জ্বালাবো না।
“আচ্ছা যা তুই,উঠতেছি আমি।আজকে কলেজ ছুটির দিনও তোর আমাকে অত্যাচার না করলে হয়না।
” এটাকে অত্যাচার না ভালোবাসা বলে। এইযে আমি তোকে কতো সুন্দর ভাবে ভালোবাসা দিয়ে ডাকি।তুই কোনোদিন এভাবে ডেকেছিস বল তো?
“হইছে হইছে,আমি ফ্রেশ হতে যাচ্ছি।
“লেখকঃইমতিহান ইমরান।
নাস্তা করা শেষে ইমরান রুমে চলে আসে।সিনহা রুমে এসে দেখে ইমরান কোথাও যাওয়ার জন্য বের হচ্ছে।
“ভাইয়া কোথাও যাচ্ছিস মনে হয়?
” হুম।একটু কাজ আছে।আসি তাহলে।
“ওই শুন।
ইমরান দাঁড়িয়ে পিছনে সিনহার দিকে তাকায়।সিনহা এগিয়ে এসে,ইমরানের চুলগুলো ঠিক করে দেয়।
” বাইরে যাচ্ছিস ভালো কথা।কিন্তু কোনো মেয়ের দিকে তাকানো যাবেনা।
নিচের দিকে তাকিয়ে হাটবি।
“আচ্ছা ম্যাম।
ইমরান চলে যেতে চাইলে,সিনহার ডাকে ইমরান আবারও থেমে যায়।
“তুই আমাকে একটুও ভালোবাসিস না।
” মানে কী? কী বলছিস হঠাৎ?
“বাইরে যাচ্ছিস,যাওয়ার আগে অন্তত আমার কপালে একটা চুমু তো দিয়ে যেতে পারিস।অবশ্য তা দিবি কেনো ভালোবাসা তো নাই।ভালোবাসা থাকলে তো ঠিক’ই দিতি।
ইমরান সিনহার কাছে এসে সিনহার দুই গালে হাত দেয়।
” আমার ভুল হয়ে গেছে সিনহা রানী।
এখন থেকে আইতে যাইতে শুধু চুমু থেরাপি চলবে,ওকে।
“দেখা যাবে কেমন চুমু থেরাপি দিতে পারেন।
ইমরান সিনহার কপালে তার ঠোঁটে জোড়ার উষ্ণ ভালোবাসা দিয়ে,সরিয়ে আসে।
ইমরান আসি বলে চলে যেতে চাইলে, সিনহা আবারও ডাক দেয়,
” ওই।
“আবার কী হলো?আমি কী আজকে বাইরে যেতে দিবি না।
” আমাকে কোলে নিয়ে দুই গালে দুইটা চুমু দিয়ে যা।
“কীই?সিনহা খুব জ্বালাচ্ছিস তো আমাকে।
” আনরোমান্টিক ছেলে কোলে নে বলছি।আমার জামাইকে আমি জ্বালাব না তো কী,অন্য কারো বউ জ্বালাবে?শুধু আমিই জ্বালাবো।(হেসে)
চলবে…
~ইমতিহান ইমরান।