Devil_Cousin_Lover 29

0
1280

#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
29.

ইমরানের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে সিনহা ফ্রেশ হয়ে আসে।ইমরান এখনো ঘুমাচ্ছে।সিনহা ইমরানের কাছে এসে দাঁড়ায়।

“ভাইয়া.

ইমরানের কোনো সাড়াশব্দ নেই।

” ওও ভাইয়া..

ইমরান একটু নড়েচড়ে উঠলো।তাও তার ঘুম ভাঙলো না।সিনহার এবার মেজাজ টাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে।সে এবার বিছানায় এসে ইমরানকে হাত দিয়ে ধাক্কা দিতে লাগলো।

“ওই ভাইয়া উঠ..

সিনহার ধাক্কাধাক্কিতে ইমরানের ঘুম বাবাজি জানালা দিয়ে বাইরে পালিয়ে যায়।ইমরান চোখ মেলে সিনহা এভাবে কাছে দেখে এক টানে নিজের উপর ফেলে দেয়।

এভাবে হঠাৎ আচমকা টান দেওয়ায় সিনহা কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।

” ও আল্লাহ রে.

“খুব সুন্দর লাগছে তো সিনহা রানীকে। এভাবে ভেজা চুলে আমার সামনে আসবি না।একদম খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।

” ভাইয়া তুই কী রাক্ষস রে,আমাকে খেয়ে ফেলতে চাস।

“আরে বইন ভাইয়া ডাকা বন্ধ কর। ইমরান নাহলে জামাই ডাক। এভাবে ভাইয়া ডেকে আমার রোমান্টিক ফিলিংসের বারোটা কেনো বাজাস?
মনের মধ্যে রোমান্টিক রোমান্টিক ফিলিং হচ্ছিল।তুই ভাইয়া ডেকে সব ফিলিং উধাও করে দিলি।এভাবে চললে তো হবে না,জীবনে আমি বাবা ডাক শুনতে পারবো না।

“আমার বয়স এখনো আঠারো হয়নি। এতো তাড়াতাড়ি আইছে বাবা ডাক শুনতে,হু।

” এটা কী হলো?কোথায় ভাবলাম, বাচ্চার কথা শুনে লজ্জায় নুয়ে যাবি। আর আমি তোর লজ্জামাখা মুখ মুগ্ধ হয়ে দেখবো।কিন্তু তোর ভিতরে লজ্জার কোনো ছিটেফোঁটাও দেখছি না আমি।

“এইসব লজ্জা,শরমের কথা বাদ দিয়ে আমাকে শাড়ি টা পড়িয়ে দে।আমি তো শাড়ি পড়তে পারি না,জানিস’ই তো।

” তো তোকে শাড়ি পড়তে বলছে কে?

“বিয়ের পরেরদিন তো শাড়ি পড়াই লাগে,এটা জানস না?

“আচ্ছা দাঁড়া আমি ফ্রেশ হয়ে নিই।

“না,আগে আমাকে শাড়ি পড়িয়ে দে,তারপর তুই ফ্রেশ হতে যা।

“ওকে।

ইমরান সিনহাকে ছেড়ে দিয়ে দুজনে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ায়।

” জামাটা খোল।

সিনহা তার গায়ের জামাটা খুলে ফেলে।

“ওহো আগে থেকেই ভিতরে সবকিছু পড়া ছিল।

“তো তুই কী মনে করছিল?ভিতরে কিছু পড়া বাদে,আমি এভাবে তোর সামনে জামাটা খুলে ফেলতাম?

“খুললে সমস্যা কী?অন্য কেউ তো না।একমাত্র জামাই তোর।খুলতেই পারস।

” হ লুচু অসভ্য জামাই।এখন সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি শাড়িটা পড়িয়ে দে।

ইমরান সিনহার কাছে এসে সিনহাকে সুন্দরভাবে শাড়িটা পড়িয়ে দেয়।কুচি দেওয়ার সময়,

“কুচিটা গুজে দিবো?নাকী তুই দিতে পারবি?

” সব যেহেতু তুই করেছিস,এটাও তুই করে দে।

ইমরান কুচি দেওয়ার সময় সিনহার পেটে স্পর্শ করতেই সিনহা কেঁপে উঠে,ইমরানের হাত চেপে ধরে।

“দাঁড়া আসছি আমি।

ইমরান ড্রয়ার থেকে কিছু একটা নিয়ে সিনহার সামনে হাটু গেড়ে বসে।

” কোমড়বন্দী,আমার জন্য।(খুশি হয়ে)

“না,আমার আরো পাঁচ,দশ টা বউ আছে তাদের জন্য।

” বাহ!কতো ভালোবাসা আমার জন্য।

ইমরান সিনহার শাড়ির আচল সরিয়ে পেটে কোমড়বন্দী টা পড়িয়ে দেয়।

“চুমু দিবি না,প্লিজ।

” লোভ সামলাতে পারছি না।চোখের সামনে এভাবে লোভনীয় জিনিস থাকতে লোভ সামলে থাকা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।

“এতো লোভ ভালো না।অতি লোভে তাতি নষ্ট,জানস না।

ইমরান মেঝে থেকে উঠে দাঁড়ায়।

“এই লোভে কোনো ক্ষতি নাই। তারপরেও এবার ছেড়ে দিলাম।পরেরবার আর ছাড়ছি না।

” আচ্ছা আমি নিচে যাই।তুই ফ্রেশ হয়ে নিচে আয়।

ইমরান সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসে। সিনহা নিচে নামতেই দিয়া সিনহাকে ঘিরে ধরে।

“কী নতুন বউ?বাসর কেমন কাটলো?
অবশ্য বাসর যে ভালো কাটছে,সেটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।দেরি করে ঘুম থেকে উঠা,বরের হাতে শাড়ি পড়া।ঠিক বলেছি না?(হেসে)

” দিয়া লজ্জা কেনো দিচ্ছিস?তুই তো জানিস আমি শাড়ি পড়তে পারি না।তাই ভাইয়ার হাতে পড়েছি।(লজ্জা পেয়ে)

সিনহার শেষের কথাটা শুনে দিয়া চোখ বড় বড় করে সিনহার দিকে তাকায়।সিনহা তা দেখে জিজ্ঞেস করে,

“তুই এখনো ইমরানকে ভাইয়া বলে ডাকছিস?

” এক্সাক্টলি এটাও আমার প্রশ্ন।এই মেয়েটা এখনো আমাকে ভাইয়া বলে ডাকছে।এমনকি সে নাকি আগামীতেও এভাবে ডেকে যাবে।এটা কী মানা যায়,বল তো?

ইমরান পিছন থেকে কথাগুলো বলে, দিয়া-সিনহার সামনে এসে দাঁড়ায়।

“কেনো মানা যায় না?অবশ্যই মানা যায়।

এবার চাচাও এসে সিনহা-দিয়ার আড্ডায় যোগ দেয়।
চাচার কথা শুনে ইমরান রেগে যায়।

” চাচা জামাইকে ভাইয়া বলছে,এটা কীভাবে মানা যায়?

“আমি উষ্টা খেয়ে বারবার জরিনা বানুর গায়ের উপর এসেই পড়তে পারি।সেটা যদি মানা যায়।তাহলে সিনহা তার স্বামীকে ভাইয়া বলবে,এটাও মানা যায়।

“চাচা ঠিক বলেছে।এটাই সাইন্স। (হাসি?)

“এটা সাইন্স তাই না?যখন আমার ছেলেমেয়েরা আমাকে মামা ডাকবে, তখন সাইন্স কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?

” এটাও কিন্তু একটা নতুন সাইন্স। ইতিহাসে প্রথম বার এমন কোনো ঘটনা ঘটবে।

দিহানের কথা শুনে সবাই হেসে দেয়।মাহবুব সাহেব নিচে আসায়,তখন আর কোনো কথা হয়নি।সবাই সবার মতো কাজে চলে যায়।

“লেখকঃইমতিহান ইমরান।

বিকালবেলা,

“ইমরান আসি রে,ভাবীরে পাইয়া আমাদের ভুলে যাইও না আবার।

“আপনাদের অনেক মনে রাখছি।এইবার একটু বউরে মনে রাখি।বউরে মনে রাখতে গিয়ে যদি,আপনাদের ভুলে যাই। তাহলে কিছু করার নাই।

” এমন ভুল করিও না।তাহলে তোমার বউরে তুলে লইয়া যামু।

“দেখা যাইবো কেমতে নেন।(হেসে)

” এইযে বন্ধুর বোন,এটা আপনার জন্য।

দিহান,দিশার হাতে একটা খাম ধরিয়ে দেয়।

“কী এটা?

” আপনার পাওনা টাকা।

“ধইন্যপাতা।

” ওয়েলডান।

দিহান হেসে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।

রাতে ঘুমানোর সময় ইমরান এসেই সিনহাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে।

“ভাইয়া আজকেও আমাকে কোলবালিশ বানানোর ধান্দা।এটা ঠিক না।?

” তোর জন্য একটা অফার আছে।

“কী?

” আমার বুকে এসে ঘুমাবি?তাহলে আর তোকে কোলবালিশ হতে হবে না।

ইমরানের কথা শেষ হতেই সিনহা এসে ইমরানের বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ইমরান সিনহার কান্ডে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়।

“আগে বলবি তো।আমি তো তোর বুকেই ঘুমাতে চায়।কিন্তু লজ্জার জন্য বলতে পারছিলাম না।

“ওলে আমার সিনহা রানী রে।আজকে বলতেই আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন,ঘটনা কীথা?ফিলিংস রোমান্টিক?(হেসে)

” হু।চুম্মা দিলেও দিতে পারিস?আমি রাগ করব না?

“ওরে আল্লাহ রে..সিনহা রানী তুই এইটা কীথা শুনাইলি,মুই তো হার্টফেইল কইরা হালামু।আজকে এতো রোমান্টিক হুইলি কেমতে?

” যেমতে হওয়ার হইছি হেমতে।ঢং কইরেন না,এখন চুমা দিলে দেন।না দিলে ঘুমাই।

“চুমু দিমু না ক্যালা অবশ্যই দিমু।বউ আমার আবদার করছে,না মাইনা কী পারি?

ইমরান সিনহাকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে সিনহার উপর ভর দিয়ে সিনহার নরম ঠোঁটযুগল নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেয়?। সিনহা চোখজোড়া বন্ধ করে তার ডেভিলের ঠোঁটের ভালোবাসায় সাড়া দেয়।

চলবে…

~ইমতিহান ইমরান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here