#সাইকো_নীড়
part : 39
writer : Mohona
.
নীড় : আপনার চাকরি আমি খেয়ে নিবো ।
বলেই আবার নীড় মেরিনকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো। গাড়িতে বসালো। নীড়মহলে গেলো। সারা রাস্তায় মেরিনকে কথা বলার কোনো সুযোগই দিলোনা। কার সাথে যেন রেগে রেগে কথা বলছিলো আর কি যেন সরাতে বলছিলো।
নীড় মেরিনকে রুমে নিয়ে গিয়ে থামলো। bluetooth টা ছুরে মেরে মেরিনের দিকে ঘুরলো। মেরিন আর একটুও দেরি না করে ছুটে গিয়ে মেরিনকে জরিয়ে ধরলো। আর কাদতে লাগলো।
মেরিন : আমি জানতাম আপনি আমাকে ছেরে কোথাও যেতে পারেননা… কোথাও না…. আপনি যে আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন… আমি জানি নীড় … জানি আপনার মতো করে ভালোবাসতে আমি পারিনা । পারবোওনা কিন্তু নীড় ভালোবাসি আপনাকে। ভীষন ভালোবাসি। i just love you…
মেরিন কান্না করে মরে যাচ্ছে। কিন্তু নীড় সোজা হয়ে হাত মুঠো করে দারিয়ে আছে ।
মেরিন : খুব ভালোবাসি আপনাকে।প্লিজ ক্ষমা করে দিন… শেষ সুযোগ দিন। প্লিজ …
নীড় : ছারুন আমাকে…
মেরিন অবাক হলো।
নীড় : বললামনা ছারুন আমাকে …
বলেই নীড় মেরিনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো। মেরিন তো মহাঅবাক । নীড় ১টা পেপার মেরিনের দিকে ছুরে মেরে ওর চেয়ার বসলো। সিগারেট ধরালো।
নীড় : কাগজটা পড়ুন …
মেরিন : কি আছে এটাতে ?
নীড় : অক্ষরজ্ঞানহীন তো আর নন so পড়ে দেখুন ।
নীড়ের চোখে কঠোরতা স্পষ্ট। এদিকে ধোয়ায় মেরিনের অনেক কষ্ট হচ্ছে। তবুও নীড় smoke করেই যাচ্ছে ।
নীড় : পড়ছেননা কেন?
মেরিন পড়লো। দেখলো divorce paper …. নীড়ের signature ও আছে।
নীড় : ২০কোটি টাকা আপনার account এ পাঠানো হয়ে গিয়েছে।
মেরিনের পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো।
মেরিন : এএএসবের মানে কি নীড়?
নীড় : এমনও কোন ভাষায় বলিনি যে বুঝতে পারবেন না… thats our divorce paper …
মেরিন : কিন্তু কেন?
নীড় : আমার ইচ্ছা…
মেরিন কাগজটা ছিরে ফেলে দৌড়ে গিয়ে নীড়ের পা ধরলো।
মেরিন : নীড় প্লিজ ক্ষ…
নীড় তারাতারি করে উঠে দারালো। সরে গেলো।
নীড় : what the hell are you doing …? পা ছারুন। এমন থার্ড ক্লাস মেলোড্রামা করার মানে কি? ফালতু যত্তোসব। আর ওই পেপার ছিরে ফেললে কি আর বানাতে পারবোনা ?
মেরিন : আপনি এমন কেন করছেন নীড়?
নীড় : যে ওই পাহাড় থেকে ফেলে দিয়ে আমাকে খুন করতে চেয়েছিলো তারসাথে তো সংসার করা তো আর সম্ভব না…
মেরিন : বিশ্বাস করুন নীড় আমি আপনাকে ধাক্কা দেইনি।
নীড় : কেন করবো? আপনি সেদিন আমাকে বিশ্বাস করেছিলেন?
মেরিন : …
নীড় : আমি আমার জীবনে আপনার কোনো অস্তিত্বই রাখতে চাইনা… আপনাকে ঘৃণা করতে চাই …
মেরিন : …
মেরিন খেয়াল করলো যে এই রুমে আগের মতো ওর কোনো ছবি নেই।
নীড় : কালকের মধ্যেই নতুন পেপার চলে আসবে।
মেরিন : আমি আবার ছিরে ফেলবো।
নীড় : দেখা যাবে। now out…
মেরিন : out মানে?
নীড় : out মানে out।।
মেরিন গিয়ে নীড়ের চেয়ারে বসলো ।
মেরিন : আমি যাবোনা। দেখি আপনি কি করেন…
নীড় মেরিনের চারদিকে ঘুরলো। এরপর মেরিনকে চেয়ারের সাথে বেধে দিলো।
নীড় : boys come in…
তখন ৩-৪জন রুমে ঢুকলে।
নীড় : চেয়ার সহ এই ম্যাডামকে তার বাসায় দিয়ে আসো।
মেরিন : অ্যা…
নীড় order দিতেই ওরা মেরিনকে নিয়ে গেলো।
মেরিন : নীড় আমার কথাটা শুনুন নীড় …
নীড় : my dear snow white …. দেখো কেমন লাগে। সেদিন রেগে বাবা বাড়ি চলে গিয়েছিলে না … আবার নিজেকে shoot করতে চেয়েছিলে না… আমার জীবন থেকে romance এর ১টা বছর কেরে নিয়েছো না… এসব কিছুর জন্য এমন শাস্তি দিবো যে জীবনে আর কখনো আমাকে ছেরে যেতে সাহস পাবেনা। কল্পনাও করবেনা… idiot… অনেক কষ্ট দিয়েছো। এখন একটু ভোগ করো…
.
নিহাল : এখনও ফিরছেনা কেন নীড় ?
নাহিদ : দাদা শান্ত হও। কমিশনার যখন বলেছে তখন নিশ্চয়ই আমাদের নীড় ফিরেছে…
নিপা : নীড় বাসায় ফিরুক। কালই আমি মিলাদ পরাবো।
দীপ্ত : ছেলেটা কখন আসবে?
নিপা : চলে আয় বাবাটা…
নীড় : এসে পরেছি কাকীমা…
নিপা : আমার সোনাবাচ্চাটা …
নীড় এসে নিপাকে জরিয়ে ধরলো। এরপর নাহিদকে। শেষে নির্ঝর-নিরবকে। নিহাল-দীপ্তকে ignore করে চলে যেতে নিলো।
নিহাল : ড্যাডডার্লিং…
নীড় : don’t call me that…
নিহাল : রেগে আছো কেন আমার ওপর ?
দীপ্ত : আমার ওপরও?
নীড় : তো কি করবো? মামা তুমি… কোন আক্কেলে কি দেখে তুমি বুঝলে যে মেরিন আমাকে ধাক্কা মেরেছে? & you my ড্যাডডার্লিং আরো ১বার তুমি কিভাবে তুমি মেরিনকে জেলে পাঠালে? বলো? মেরিনের মতো মেয়ে কাউকে খুন করতে পারে? তাও আমাকে? যাকে ও নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে… আমাকে মারতে হলে তো ও সেদিনই মারতে পারতো। যেই মেয়েটা আমাকে শাস্তি পেতে দেখতে পারবেনা বলে নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলো সে আমাকে মারবে? like really ? আমি না থাকলে আমার বউয়ের সাথে তোমরা এমন আচরন করবা? খুব তো মামনি মামনি করতা অথচ যেই আমাকে মরে যেতে দেখলে আমার বউকে জেলে পাঠিয়ে দিলে? নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের বউকে জেলে পাঠিয়ে দিলে? অনেক রেগে আছি তোমাদের ২জনের ওপর।
২জন : we are sorry …. আমরা এখনই যেয়ে মেরিনকে sorry বলছি। আমাদের ওপর রাগ করেই তো ও আসেনি? এখনই sorry বলে ওকে নিয়ে আসবো।
নীড় : ওই দারাও ২জন।
২জন : কেন?
নীড় : আমি বলেছি এখন sorry বলতে? নাকি বলেছি নিয়ে আসতে?
২জন : এতোবড় ভুল করেছি তারজন্য sorry বলবো না?
নীড় : বলবে। কিন্তু এখন না। এখন ওকে শাস্তি পেতে হবে।
সবাই : শাস্তি? কিসের শাস্তি?
নীড় : অতোসতো জানতে হবেনা। আমি সত্যি সত্যি মরে গেলে ওর সাথে যেমন rude behave করতে অমনই করতে থাকো।
সবাই : কিন্তু কেন?
নীড় : বলেছি তাই। thats it…
নির্ঝর : সবই তো ঠিক আছে কিন্তু দাদাভাইয়া তুমি ফিরলে কি করে?
নীড় : পাহাড়ের নিচে যে বিল ছিলো সেটা কি জানিস না?
নির্ঝর : হামমম।
নীড় : এখন এটা জিজ্ঞেস করিসনা যে পাগল থেকে ভালো কিভাবে হলাম? anyway … কাকিমা… ফাটাফাটি কিছু রান্না করো। ক্ষুধা লেগেছে। & you ড্যাডডার্লিং… মেয়ে দেখো বিয়ের জন্য।
সবাই : ?।
দীপ্ত : দুলাভাইয়াকে এখন আবার বিয়ে করাবে তুমি ?
নীড় : ন্যাহ।
দীপ্ত : তবে?
নীড় : আমার বিয়ের জন্য ।
সবাই : ?।
নিরব : কিন্তু … ভাবি না তোমার বউ।
নীড় : হামম।
নিরব : তো?
নীড় : তো কি? ওকে ডিভোর্স দিবো। এরপর বিয়ে করবো। মেয়ে দেখতে থাকো।
বলেই নীড় রুমে চলে গেলো ।
নিহাল : এই ছেলেটা কি বলে কি করে কিচ্ছুই বুঝিনা…
দীপ্ত : কখনো বুঝেছো যে এখন বুঝবে?
.
মেরিন : নীড়… নীড় আমাকে ভুল বুঝলো? আমি উনাকে ধাক্কা দেবার কথা তো স্বপ্নেও ভাবতে পারিনা। ডিভোর্স ? না না না। আমি নীড়কে ডিভোর্স দিতে পারবোনা। আমি উনাকে ছারা থাকতে পারবোনা নীড়। আমি আপনাকে ভালোবাসি। i just love you… আপনি যদি বর্ষন হন তবে আমিও বন্যা। আমিও দেখবো আপনি আমাকে কিভাবে ডিভোর্স দেন? আপনি যদি #সাইকো_নীড় হন তবে আমিও আপনার বউ। মিসেস সাইকো। সাইকোর স্ত্রীলিঙ্গ কি হয়? যাই হোক।সাইকোই হবে হয়তো। আমিও #সাইকো_মেরিন। মিসেস সাইকো নীড়। দেওয়াচ্ছি আপনাকে ডিভোর্স …সব আমাকে নাকানি চোবানি খাওয়ানোর ধান্দা। এখনই যাবো চৌধুরী বাড়িতে।
.
মেরিন পৌছালো চৌধুরী বাড়িতে । তবে গার্ডরা ওর গাড়ি ঢুকতে দিলোনা। মেরিন গাড়ি থেকে নামলো।
মেরিন : তোমরা আমার গাড়ি আটকালো কোন সাহসে?
গার্ড : আপনি কে ম্যাম ? আমরা আপনাকে চিনিনা। তাই ঢুকতে দিতে পারবোনা।
মেরিন : কি? এতো সাহস? আমার বাড়িতে আমাকেই ঢুকতে দিবেনা? সরো সরো বলছি।
গার্ড : সরি ম্যাম…
মেরিন ভালোমতো গার্ডগুলোকে দেখলো। না এরা তো পুরোনোই। তবে ওকে চিনছে না কেন?
মেরিন : এই তোমরা তো আগের গার্ডই। তবে আমাকে চিনতে পারছোনা কেন?
গার্ডস : কারন এখন আপনাকে চেনার অনুমতি নেই ।
মেরিন : কি? এটা কেমন তরো কথা শুনি?
গার্ডস : ?।
মেরিন : ২জনকেই গুলি করে মারতে ইচ্ছা করছে। যেতে দাও।
গার্ড : সরি ম্যাম। পারবোনা।
মেরিনের চোখ গেলো ভেতরের দিকে । নজর পরলো নীড়ের দিকে। বারান্দায় দারিয়ে কফি খাচ্ছে। ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মুখে devil smile …
মেরিন মনে মনে : এই devil smile প্রমান করে দিলো যে আপনি আমার ওপর অভিমান করে নেই… এখন আমি আপনাকে বুঝি… আপনি আমাকে শাস্তি দেয়ার জন্য এগুলো করছেন…
মেরিন : আমি ভেতরে ঢুকবো। যেহেতু এখনো ডিভোর্স হয়নি সেহেতু এ বাসায় ঢোকা আমার অধিকার… শুনতে পাচ্ছেন মিস্টার সাইকো?
নীড় : গার্ডস ম্যাডামকে বলে দাও আমার কানে heart attack হয়েছে। তাই কিছু শুনতে পাচ্ছিনা। কানের surgery এর পরে যেন আসে।
মেরিন : ?।
নীড় ভেতলে চলে গেলো।
মেরিন : দেখাচ্ছি মজা … ওই গার্ডসরা তোমরা দরজা খুলবে কি না?
গার্ড : না…
মেরিন : হামম।
বলেই মেরিন গাড়িতে উঠলো। যথেষ্ট পিছে নিলো। স্পিড নিতে লাগলো।…. ব্যাস start দিলো। গার্ডদের মনে হচ্ছে কোন উড়োজাহাজ আসছে। ওরা দরজার সামনে থেকে সরে গেলো তবে লকটা খুলে দিলো। মেরিন ফাটিয়ে ভেতরে ঢুকলো। এদিকে এমন বিকট শব্দে সবাই চমকে উঠলো। বাহিরে বের হয়ে গেলো । দেখলো মেরিনের গাড়ি দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে ।
মেরিন : হাই…
নীড় মনে মনে : ড্রামাকুইন…
নীড় ১টা গম্ভীর লুক দিয়ে ভেতরে চলে গেলো। একে একে সবাই চলে গেলো।
মেরিন : ইশু ইশু ইশু…
ইশিতা : হ্যা ভাবি… না মানে ডক্টর মেরিন…
মেরিন : ১টা থাপ্পর দিবো। ভাবি ডাকো।
ইশিতা : কিন্তু …
মেরিন : কোনো কিন্তুনা। ডাকো ভাবি…
ইশিতা : ভাবি…
মেরিন : সবাই এমন লুক দিয়ে চলে গেলো কেন?
ইশিতা : ভাবি… সবাই তোমার ওপর ভীষন রেগে আছে। কারন তুমি দাদাভাইয়াকে ধাক্কা দিয়েছিলে তাই।
মেরিন : কিন্তু আমি তো মারিনি…
.
একটুপর…
সবাই মেরিন কুখ্যাত বিরিয়ানির ঘ্রাণপেলো। যেটার ঘ্রাণ নীড়ের কাছে প্রিয় হলেও সবার কাছে টর্চার।
নীড় : আপনি আমাদের বাসার কিচেনে কি করছেন ?
মেরিন : আমার কানে স্ট্রোক হয়েছে। তাই শুনতে পাচ্ছিনা। সার্জারি করার পর শুনতে পাবো। huh… ধরুন খান…
নীড় : ড্যানি আংকেল…. ড্যানি আংকেল…
ড্যানি : হ্যা নীড় বাবা।
নীড় : এই ম্যাডামকে সসম্মানে তার বাসায় দিয়ে আসো।
মেরিন : এটাই আমার বাসা…
নীড় : আংকেল তারাতারি দিয়ে আসো।
ড্যানি মেরিনকে নিয়ে যেতে লাগলো। আর মেরিন চিল্লাতে লাগলো। ড্যানির কান ফেটে যাওয়ার উপক্রম । নীড় মনে মনে হাসতে হাসতে শেষ। এরপর বিরিয়ানি হাতে নিয়ে খেতে লাগলো….
নিরব : দাদাভাইয়া যদি রাগ না করো ১টা কথা বলি?
নীড় : বল…
নিরব : এই বিরিয়ানিটা তুমি কিভাবে খাও?
নীড় : ?
নিরব : সরি…
নির্ঝর : ওই চুপ থাক। দাদাভাইয়া… ১টা জরুরী কথা।
নীড় : বল…
নির্ঝর : না মানে ভাবির সাথে যে আমরা এমন আচরন করছি…. by at any chance যদি ভাবি উল্টা পাল্টা … মানে suicide attempt করে?
নীড় : ওর ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে যে suicide attempt করবে?
নির্ঝর : কিন্তু দাদাভাইয়া এতো এতো কাহিনি ঘটার পর আবার এমন করার কি দরকার? স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করি আমরা।
নীড় : দেখ আমি দেখতে চাই snow white কোন লেভেলের সাইকো হতে পারে… সাইকোর বউ স্বাভাবিক… ন্যাহ … not done …
.
পরদিন…
ডোরবেল বাজতেই মেরিন গিয়ে দরজা খুলল। দেখলো জাফর দারিয়ে আছে। দেখেই মেজাজ আরো গরম হয়ে গেলো ।
জাফর : মা ভালো আছো?
মেরিন ; হামম।
জাফর : এতোদিন ধরে যে তোমার কোনো খোজ খবর নেই? আমি না ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম…
মেরিন : যাক ভয়ের চোটে যে হার্ট এ্যাটাক করে মারা যাওনি দেখে ভালো লাগলো।
জাফর : মানে?
মেরিন : কিছুনা।
জাফর : আচ্ছা ওই খুনী নীড়ের সাথে কি করবে? মানে কিভাবে প্রতিশোধ নিবে , শাস্তি দিবে ভেবেছো?
মেরিন : হ্যা।
জাফর : কিভাবে?
মেরিন : প্রথমে চোখে মরিচ গুরা দিবো , এরপর মরিচ খাওয়াবো … এখন তো শীতকাল তাই বরফ ওয়ালা পানিতে চুবিয়ে রাখবো?
জাফর : মানে?
মেরিন : এখনই এর লাইভ টেলিকাস্ট দেখাচ্ছি।
বলেই জাফরের চোখে মরিচ গুরা দিলো। আর চিল্লানোর জন্য মুখ খুলতেই মুখেও ঢুকালো। এরপর ঠান্ডা পানিতে দার করিয়ে রাখলো। গায়ের মধ্যেও বরফ ঢুকিয়ে দিলো।
মেরিন : আমার জামাই সম্পর্কে আরেকবার কোনো বাজে কথা বললে কি করবো নিজেও জানিনা। out… huh….
.
(((
অনেকে অনেক কিছু বুঝতে পারেনি। তাই বুঝিয়ে দিচ্ছি ।
১। ৫বছরে কি হলো? জেলে ছিলো মেরিন?
=> আমি যখন ৫বছর আগে কথাটা লিখে সুদীর্ঘ অতীতটা লিখলাম সেখানে যে দিনের পর দিন মাসের পর মাস গেলো আর এতে করে যে সময় কেটেছে তাতেই ৪বছর শেষ। আর ২জনের অসুস্থতায় ১বছর।
২। নীড়-মেরিন নরমাল কিভাবে হলো?
=> সেদিন পাহাড়ের ওপর যখন ঘটনা ঘটছিলো তখনকার ছোটছোট ঘটনাতে ২জনেরই স্নায়ুতন্ত্রে চাপ পরেছে। নীড়ের টাতো বলেই দিয়েছিলাম। মেরিনেরটা directly না বললেও indirectly বলেছিলাম।
৩। নীড় কিভাবে বেঁচে ফিরলো?
=> পাহাড়ের নিচে বিলের কথা বলা হয়েছে। যারমানে নীড় পাহাড় থেকে পানিতে পরেছে। ১জন athlete – scout এগুলোর সাথে পরিচিত ।
সবথেকে বড় কথা গল্প তো গল্পই।
)))
চলবে…