সাইকো_নীড় part-34

0
448

#সাইকো_নীড়
part : 34
writer : Mohona

.

নীড় : oh really …
মেরিন : হামমম।
নীড় : মরিচীকীর পেছনে ছুটছো তুমি।
মেরিন : মরিচীকার সন্ধান আপনি দিয়েছেন।
নীড় : তো কি জানতে পেলে তুমি?
মেরিন : সত্য থেকে ২ধাপ পিছিয়ে আছি। সবটা জেনে নেই । তারপর সব জানাবো…

নিরব : ভাবি…. ও বড় ভাবি… ও রঙ্গীলা ভাবি…
মেরিন : আরে বাবা কি হয়েছে? এতো ডাকাডাকি?
নিরব : না মানে ভাবি…
নীড় : আমি জানিনা তোরা আমাকে দেখে আতঙ্কে পরে যাস কেন?
নিরব : ?।
নীড় : একদম এই গবেটের হাসি দিবিনা।
মেরিন : উফফ নীড় থামুনতো। নিরব বলো।
নিরব : ইশিতার বাবা ইশিতার বিয়ে ঠিক করেছে।
মেরিন : সে কি কেন? তিনি কি জানেননা যে ইশিতা তোমাকে ভালোবাসে?
নিরব : হ্যা জানে।
মেরিন : তাহলে?
নিরব : ….
মেরিন : কি হলো বলাে।
নিরব : ….
নীড় : তোর ভাবি কিছু জিজ্ঞেস করেছে। reason টা বল।
নিরব : বববলতে পারবোনা ভাইয়া।
নীড় : কারনটা কি আমি ?
নিরব : …
নীড় : বুঝে গিয়েছি। ওই বুড়োটাকে তো এমন শিক্ষা দিবো যে…
মেরিন : নীড় মাথা ঠান্ডা করুন…
নীড় : কি মাথা ঠান্ডা করবো? আমার ছোটভাইয়ের ভালোবাসা ওর থেকে দুরে চলে যাচ্ছে আর আমি মাথা ঠান্ডা রাখবো? আমি তোকে কথা দিচ্ছি যে ইশিতা কেবল তোরই হবে। চল আমার সাথে।
মেরিন : নীড় নীড় নীড়…
নীড় তো যাচ্ছেই।
নিহাল : একি কোথায় যাচ্ছো নিরব কে নিয়ে?
মেরিন : দেখো না বাবা…
মেরিন নিহালকে সবটা বলল।

নীড় : বলো তো বাবা চুপ করে থাকা যায়?
নিহাল : মোটেও না। ইশিতাকে তুলে এনে নিরবের সাথে বিয়ে দিবো।
নীড় : thats like my ড্যাডডার্লিং। love you…
নিহাল : love you too… lets go… wait wait…. নাহিদ-নির্ঝর নাহিদ-নির্ঝর…. নাহিদ-নির্ঝরও নেমে এলো।
নাহিদ : কি হয়েছে দাদা?
নিহাল সবটা বলল।
নাহিদ : কি এতো সাহস?
নির্ঝর : আমার ভাইয়ের কাছে দিবেনা? বুড়োটাকে তো…
মেরিন : সবাই চুপ… ?..
নীড় : ওই snow white …. কোন জ্ঞান দিবানা।
মেরিন : জ্ঞান দিবোনা। ৪জনকেই হাত-পা বেধে বন্দী করে রাখবো । পাগলের গুস্ঠি কোথাকার। ইশিতাকে তুলে আনবে ভালো কথা। বাট আগে ১টা বার ইশিতার বাবার সাথে ভালোভাবে কথা বলে তো দেখো । যদি তখনও না করে তবে না হয় তুলে এনো।
নীড় : ওয়… চৌধুরীরা offer না order দেয়।
মেরিন : আর আমি আপনার মাথায় বারি দিবো। বাবা ১টা বার ভাবো তো। আর একদম এই পাগল গুলোর মতো কথা বলবেনা। না হলে টানা ১মাস চিনি ছারা চা খাওয়াবো।
নিহাল : ১মাস…!!!
মেরিন : হ্যা ১মাস।
নিহাল : ভাবা শেষ। আমরা কালকে ইশিতার বাবার সাথে কথা বলতে যাবো।
মেরিন : good..
নিহাল : যদি তিনি রাজী হয় তবেও বিয়ে হবে। আর যদি না করে তবেও বিয়ে হবে…

পরদিন ইশিতা-নিরবের বিয়ে ঠিক হলো।

.

মেরিন : আবার বাড়িতে বিয়ে। কি করি ? এতো ব্যাস্ততার মাঝে কিভাবে কি করবো?

নীড় : এই যে snow white কি ভাবছো?
মেরিন : তেমন কিছুনা।
নীড় : কেমন কিছুনা? আমি ভালো মতোই জানি যে ৬মাস শেষ হতে আর মাত্র ৪০দিন বাকি… তারমধ্যে বিয়ে। তোমার “মামনির” জীবন বিপন্নে… so sad…
মেরিন : হুহ।। সেটা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবেনা।
নীড় : ok… এখন যাও আমার জন্য বিরিয়ানি রান্না করে আনো।
মেরিন : এখন?।
নীড় : হ্যা এখন।
মেরিন : মাত্র না ডিনার করলেন…
নীড় : তো?
মেরিন : সাইকো কোথাকার।

.

৩দিনপর…
মেরিন হসপিটালে যাচ্ছে। জ্যামে পরলো। দেখতো পেলো নাবিলকে। কাচ নামিয়ে ভিক্ষুককে টাকা দিতে।
মেরিন : মিস্টার নাবিল সুস্থ হয়ে গিয়েছেন? thanks to my প্রিয় আল্লাহ। ১টা বার বিয়েটা শেষ হোক আমি মিস্টার নাবিলের কাছে থেকে বাকি সত্যিটা জেনে নিবো।

মেরিন বাসায় ফিরলো। ভীষন খুশি ও। দেখলো যে নীলিমা মাথা ঘুরে পরে যেতে নিলো। ও দৌড়ে গিয়ে নীলিমাকে ধরে ফেলল। নীলিমা নিজেকে ছারিয়ে নিতে চাইলো। কিন্তু মেরিনও তো ছারা পাত্রীনা। শক্ত করে ধরে নিয়ে বসালো। এরপর চিনির পানি আনলো।
মেরিন : দেখি এটা খেয়ে নাও।
নীলিমা : খাবোনা ।
মেরিন : মামনি… এখনও রেগে আছো? নীড় না পুরোই তোমার মতো… ধরো তো খেয়ে নাও।
নীলিমা : না…
মেরিন : দারাও দেখাচ্ছি।
বলেই মেরিন জোর করে খাইয়ে দিলো । তবে এতে নীলিমা আরো ক্ষেপে গেলো।
নীলিমা : ধীরে ধীরে পুরো নীড় হয়ে যাচ্ছো তুমি…
মেরিন : কারন আমি নীড়ের বউ। আর মামনি… নীড় যেমনই হোক তোমার ছেলে। এমন কিছু বলোনা যেটা শুনতে খারাপ লাগে।
নীলিমা : আমার ছেলে ভালোই ছিলো। কিন্তু আমি না থাকায় ও যে শিক্ষাটা ও পেয়েছে সেই শিক্ষাটা ভালো না। কথায় কথায় অশান্তি করার রোগ হয়ে গিয়েছে। বড়দের অসম্মান করে। মানসিক রোগী হয়ে গিয়েছে।
মেরিন মনে মনে : মেরিন… ক্ষেপা ক্ষেপা ভাব। আরেকটু ক্ষেপিয়ে দে। হয়তো ক্ষেপে গিয়ে সত্যি কথা বলে দিতে পারে । কিন্তু মামনি hurt হলে? মেরিন be positive … lets start…
মেরিন : মামনি নীড়ের শিক্ষাকে দোষ দেয়ার আগে তোমার কি ১টা বার নিজের দিকে তাকানো উচিত না ? তোমার জন্যই কি সব হয়নি? হ্যা মানছি যে তুমি যা করেছো কোন গুরুত্বপূর্ন কাজের জন্যই করেছো। কিন্তু কোনো মায়ের কাছেই কি সন্তানের থেকে গুরুত্বপুর্ন কিছু হতে পারে? তাই নীড়ের দিকে আঙ্গুল তোলা ঠিক নয় মামনি…
নীলিমা : আজকাল অনেক নীড় নীড় করছো… বিশ্বাস তো আমার তোমাকে হচ্ছেনা। এতো ঘৃণা থেকে এতো ভালোবাসা?
মেরিন : যে যেমন সে সবাইকে তেমনই ভাবে…
মনে মনে : আল্লাহ মাফ করো ।
নীলিমা : মেরিন…
মেরিন : চিল্লালে লাভ হবেনা । কেন ফেলে গিয়েছিলে নীড়কে? কোন মা নিজের সন্তানের থেকে অন্যের সন্তানকে ভালোবাসে? কে চলে যায় নিজের সন্তানকে রেখে অন্যের সন্তানের কাছে ? কে ছারে নিজের সংসার?
নীলিমা : যা জানোনা তা নিয়ে কথা বলবেনা মেরিন। সব কাহিনিরই ২টা সত্য থাকে।
মেরিন : কি সেই আরেকটা সত্য ?
নীলিমা : আমার বাবার ইজ্জত …
বলেই নীলিমা চলে গেলো।
মেরিন : কি বলে গেলো মামনি? নানাভাইয়ের ইজ্জত ? এবার হয়তো আমি সবটা বুঝে গিয়েছি….

নীড় : snow white ….
মেরিন : আরে আপনি এসে পরেছেন? হাতে এতো শপিং ব্যাগ?
নীড় : তোমার জন্য । পছন্দ হলো তাই নিয়ে এলাম ।
মেরিন : রোজই কি কিছুনা কিছু আনা জরুরী?
নীড় : হামম। আমার বউটাকে একেক দিন একেক রূপে দেখতে ভালো লাগে। মন চায় সারা দুনিয়া আমার snow white এর পায়ের নিচে এনে রাখি।i just love you…
মেরিন হুট করে নীড়ের গালে কিস করলো। আর তখন নাহিদ কাশি দিলো। মেরিন লজ্জা পেয়ে দে দৌড়।
নীড় : হাহাহা। কি চাচ্চু… আমার বউটাকে লজ্জায় ফেলে দিলা…
নাহিদ : হিহিহি…

.

পরদিন…
মেরিন : আমার জামাইটা always i just love you… i just love you বলে… password এটা নয়তো? দিয়েই দেখি।
মেরিন দিয়ে দেখলো।
মেরিন : এটাও না। ধ্যাত। আচ্ছা ১মিনিট এই ছোট হাতের এল… এমন নয়তো যে password ওই ৭টা word এর first letter … দিয়েই দেখি।

মেরিন NLPlBHW দিলো। তবুও লাভ হলোনা । তখন দরজায় টোকা পরলো। মেরিন তারাতারি ডাইরীটা রেখে দিলো। দরজা খুলল। দেখল নীলিমা দারিয়ে আছে। নীলিমা মেরিনকে জরিয়ে ধরলো।
নীলিমা : i am sorry বাচ্চা… i am really very sorry … আমি অনেক খারাপ ব্যাবহার করেছি।
মেরিন : মামনি sorry তো আমার বলার দরকার । আমি অনেক বড় বড় কথা বলে ফেলেছি… আম্মু থাকলে তো কান মলে দিতো।
নীলিমা : আসলে দোষটা চৌধুরীদের। যারাই এই বাড়ির বউ হয় তারাই সাইকো হয়ে যায়…
বলেই বউ-শাশুড়ি হাসতে লাগলো।

.

পরদিন…
মেরিন নীড়ের জন্য বিরিয়ানি রান্না করছে। হঠাৎ হাতে তেল ছিটে এলো।
মেরিন : নীড়ের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে হবে । না হলে চিন্তায় পরে যাবে ।
মেরিন নীড়ের জন্য বিরিয়ানি নিয়ে গেলো।
মেরিন : নীড় আপনার বিরিয়ানি।
নীড় : oh gre…. তোমার মুখ এমন লাগছে কেন?
মেরিন মনে মনে : এই লোকটা সব বুঝে যায় কিভাবে!!!
মেরিন : না আসলে একটু মাথা ব্যাথা করছে ।
নীড় : বিশ্বাস হয়নি।
মেরিন : আসলে হাতে একটু তেল ছিটেছে।
নীড় : কি? দেখি দেখি..
মেরিন : নীড় just অল্প একটু …
নীড় : just shut up… show me…
মেরিন দেখালো। দেখে তো নীড় অস্থির হয়ে গেলো। তারাতারি মলম নিয়ে বসলো।
নীড় : আর কখনো রান্নাঘরে পা রাখবা না।
মেরিন : নীড় অল্প একটুই তো…
নীড় : not for me… রাখবেনা মানে রাখবেনা।
মেরিন : মিস্টার সাইকো … পা না রাখলে আপনার জন্য বিরিয়ানি কিভাবে রান্না করবো?
নীড় : লাগবেনা বিরিয়ানি।
মেরিন : বিরিয়ানি ছারা থাকবেন?
নীড় : তোমাকে ছারা থাকতে পারবোনা ….
মেরিন : নীড় আপ…
নীড় মেরিনের ঠোটের মাঝে হাত রাখলো।
নীড় : shh… কোন কথানা। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সম্পুর্ন বেড রেস্টে থাকবে।
মেরিন : what?
নীড় : কোন কথানা।
মেরিন : আল্লাহ…

একটুপর রুমকি রুমে এলো। ধোয়া জামা-কাপড় নিয়ে।
রুমকি : বড়ভাবি… এগুলো কোথায় রাখবো?
মেরিন : বেডে রেখে যাও।
রুমকি রেখে চলে গেলো।
নীড় : একি নামছো কেন?
মেরিন : এগুলো রাখতে হবে তো কাবার্ডে।
নীড় : আমি রাখতে পারবোনা?
মেরিন : রাখেন। patient গুলোও আপনিই দেখবেন। হুহ।
নীড় : ok…
নীড় কাবার্ডে রাখতে লাগলো । আবারও ডাইরিটা পরলো। নীড় সেটা তুলে রাখলো।
মেরিন মনে মনে : না জানি কি হবে password ?

নীড় : কেউ আমার password কি হবে ভাবতে ভাবতে ঘাস হয়ে গেলো।
মেরিন : হবো না? আমিও তো মানুষ। আমার কি জানতে ইচ্ছা করেনা?
নীড় : তুমিই সব।
মেরিন : ঘোড়ার ডিম।
নীড় : ঘোড়ার ডিমনা। তুমিই আমার সব । need , love , passion , life , breath , heart , world equal to তুমি snow white …
মেরিন : ?।
নীড় : বসো আমি তোমার জন্য জুস নিয়ে আসছি ।
বলেই নীড় চলে গেলো।
মেরিন : কি বলে গেলো নীড় ? ১মিনিট… নীড় আমাকে password টা দেয়নিতো … এখনই দেখি…
মেরিন দিয়ে দেখলো।
মেরিন : ধ্যাত এটাও না। ভালো লাগ…
মেরিন তাকিয়ে দেখে নীড় দারিয়ে আছে।
মেরিন : oh no…
মেরিন তারাতারি রেখে দিলো।
মেরিন মনে মনে : আজকে তো তুই শেষ মেরিন। বিদায় পৃথিবী।
নীড় হাহা করে হেসে উঠে আবারও মেরিনকে অবাক করে দিলো।
মেরিন : আপনাকে কি কখনোই আমি বুঝতে পারবোনা!!!
নীড় : সেটা তোমার ওপর নির্ভর করে।
মেরিন : huh….

নিরব-ইশিতার বিয়ের ধুম পরলো। বিয়ে হলো। ৩বউ মিলে জমিয়ে সংসার করতে লাগলো। মেরিন তো ধান্দায় আছে কবে নাবিলের কাছে সব জানতে পারবে? নাবিলের সাথে ১টা মিটিং ঠিক করেছে। নীড়ের অনুমতি নিয়েই। নাবিল কানাডা থেকে ফিরলেই সব জানতে পারবে।

.

বিয়ের ১০দিনপর…
মেরিন : অর্নব ভাইয়া তুমি?
অর্নব : হ্যা আমি।
মেরিন : তোমার চোখ মুখ এমন লাগছে কেন? সব ঠিক আছে? মামা-মামি ঠিক আছে?
অর্নব : হামম।
মেরিন : তাহলে আমি তোমাকে এমন লাগছে কেন?
অর্নব : কারন আজকে ১টা অদ্ভুদ সত্য জানতে পেরেছি।
মেরিন : কি সত্য ?।
অর্নব : ফুপ্পি ফুপ্পা accident এ মারা যায়নি । ওরা খুন হয়েছে?
মেরিন : কি?
অর্নব : হ্যা।
মেরিন : তুমি কি করে জানলে?
অর্নব কিছু প্রমান দেখালো। মেরিন প্রথমে ভেঙে পরলো। পরে নিজেকে শক্ত করলো।
মেরিন : তুমি কি জানো কে খুন করেছে আমার আম্মু-বাবাকে?
অর্নব : নারে। জানলে তোর সামনে নিয়েই আসতাম।
অর্নব মনে মনে : প্রমান নেই যে নীড়ের গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগেছিলো। ভাবতেও পারিনি যে নীড়কে মারতে গিয়ে ফুপ্পা-ফুপ্পিকে হারিয়ে ফেলবো। ওদেরকে আর তোকে কেরে নেয়ার শাস্তি তো নীড়কে পেতেই হবে। এরপর তুই আমার হবি।
মেরিন : ধন্যবাদ ভাইয়া।
অর্নব : ধন্যবাদ দিচ্ছিস আমায়? ওরা কি আমার কিছুনা?

একটুপর অর্নব চলে গেলো। মেরিন ভেঙে পরলো। কিন্তু নীড় ১বারও মেরিনের কাছে গেলোনা। সাহস নেই। গার্ডেনে বসে আছে । নিহাল গিয়ে মেরিনের কাধে হাত রাখলো।
নিহাল : নীড় …
নীড় : ড্যাড …
বলেই নীড় নিহালকে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো।
নীড় : আমি মনে হয় আমার snow white কে হারিয়ে ফেলবো…. হারিয়ে ফেলবো… মরে যাবো ওকে ছারা ড্যাড.. একদম মরে যাবো …
নিহাল : নীড় … নীড় … control yourself … এমন কিচ্ছু হবেনা … কোনো প্রমান কেউ খুজে পাবেনা । আর না মেরিন তোমাকে ছেরে যাবে…. শান্ত হও। মেরিনের কাছে যাও। she needs you…
নীড় : কিভাবে ওর সামনে যাবো ড্যাড? আমিই যে ওর অপরাধী …
নিহাল : নীড় কেন বুঝতে পারছোনা যে ওটা কেবল ১টা accident ছিলো।
নীড় : কিন্তু বাবা…
নিহাল : তোমার কাছে মূল্যবান কি? মেরিন তো? যাও ওর কাছে … যাও।

নীড় মেরিনের কাছে গেলো।
নিহাল : ড্যানি….
ড্যানি : yes boss…

নীড়কে দেখেই মেরিন নীড়কে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো। কিন্তু মেরিনের কান্না থামানোর জন্য নীড়ের কাছে কোনো শব্দ নেই। অপরাধবোধ ওকে শেষ করে দিচ্ছে।

মেরিন : নীড়… আজকে আপনার কাছে কিছু চাই। দেবেন….
নীড় : বববলো…
মেরিন : আমার মা-বাবার খুনিকে খুজে বের করবেন?
নীড় : …
মেরিন : বলুন….
নীড় : …
মেরিন : বলছেন না কেন? বলুন… বলুন না… দোহায় লাগে নীড় বলুন …. বলুন বলুন বলুন…
নীড় : হামমম। খুজে বের করবো।

মেরিন আবার নীড়ের বুকে মাথা রেখে কাদতে লাগলো।
নীড় মনে মনে : খুনীকে সামনে আনবো snow white …. আনবো। সত্যটা বলবো। একটু সময় দাও। নিজেকে প্রস্তুত করে নেই ….

পরদিন থেকে পুলিশ investigate শুরু করলো। কিন্তু ফলাফল শুন্য। কারন নিহাল আহমেদ চৌধুরী সব প্রমান ধংব্স করে দিয়েছে।

.

৯দিনপর…
নাবিল দেশে ফিরলো । আর ফিরেই মেরিনকে ফোন করলো।
মেরিন : হ্যালো…
নাবিল : আমি দেশে ফিরেছি।
মেরিন : ওহ…
নাবিল : কি হয়েছে তোমার?
মেরিন : কিছুনা।
নাবিল : কালকেই তবে দেখা করি?
মেরিন : পরশুদিন করি প্লিজ।
নাবিল : ok… যেমনটা তোমার ইচ্ছা । bye…

নাবিল ফোনটা রেখে দিলো।

নীড় : আর পারবোনা নিজের অপরাধ লুকিয়ে রাখতে। মেরিনকে সত্যিটা জানাবো। ওর সকল শাস্তি মাথা পেতে নিতে পারবো। কিন্তু ওকে হারাতে পারবোনা। অন্যকারো মুখে ও সত্য জানতে পারুক তার আগে আমিই বলে দেই । ও আমায় অনেক ভালোবাসে… ভালোবেসে যেই শাস্তি দিবে মাথা পেতে নিবো… পরশুদিনই ওকে সব বলে দিবো। সব…

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here