সাইকো_নীড় part-32

0
419

#সাইকো_নীড়
part : 32
writer : Mohona

.

মেরিন : নাকি সেলামি দেয়ার ভয়ে মুখই দেখবে না… আমার নানাশশুড় বুঝি এতোটাই কিপটুস…
নানাভাই চোখ মেলল। চশমাটা পরলো। মেরিন সালাম করলো।
নানাভাই : ভালো থাকো… এই জাহানারা… জাহানারা…
জাহানারা মানে নানুমনি এলো। সাথে বড় মামি…
নানুমনি : কি হয়েছে?
নানাভাই : লকার থেকে বড় হারটা নিয়ে এসে ওর গলায় পরিয়ে দাও।
বলেই নানাভাই চলে যেতে নিলো।
মেরিন : আচ্ছা মানলাম তোমার কাছে মামনি মানে তোমার মেয়ে দোষী… কিন্তু বাবা… নীড় আর দীপ্ত মামা… ওরা তো কোন দোষ করেনি…. তবে কেন ওদের ওপর রাগ? আর তাছারাও মামনিও তো কোন দোষ করেনি…
নানাভাই : এই মেয়ে… বেশি কথা…. প্রশ্ন আমার ভালো লাগেনা। উপহার নাও । আর নিয়ে বিদায় হও…
বলেই নানাভাই চলে গেলো। নানুমনি ছুটে এলো।
নানুমনি : তুমি আমার নীড় সোনার বউ।
মেরিন মুচকি হেসে নানুমনি আর মামিকে সালাম করলো।
মেরিন : হামম…
নানুমনি মেরিনকে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো।

কিছুক্ষন মেলোড্রামা হলো।

.

একটুপর…
মেরিন : নানাভাই মামনির ওপর ভীষন রেগে আছে তাইনা?
নানুমনি : হামম। তোর নানাভাই অন্যায় পছন্দ করেনা। আর নীলু যে অন্যায়টা করেছে তা … যে শয়তান জহিরের হাত থেকে বাচানোর জন্য তারাতারি নিহালের সাথে ওর বিয়ে দিলো সেই জহিরের কাছেই নাকি চলে গেলো… নিজের স্বামী সন্তান ফেলে…
মেরিন : জহির… ? জহির রায়হান?
মামি : হামম। জহির রায়হান …
মেরিন : জহির রায়হানের হাত থেকে বাচানো মানে বুঝলাম না…
নানুমনি : জহির ছিলো বড়লোকের বিগরে যাওয়া ছেলে। অসভ্য। নীলুর পিছে পরেছিলো । ওকে বিয়ে করবে বলে। অনেত জ্বালাতো নীলুকে ভালোবাসি ভালোবাসি বলে। ওর ভার্সিটিতে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো প্রায়।ওর জ্বালায় মেয়েটা আমার শেষ হয়ে যাচ্ছিলো …
মামি : পরে ১দিন কোনো ১টা কারনে জহিরকে দেখা যায়না। বেশ কিছুদিন হয়ে যায় ওর খোজ নেই। বাবা খোজ নিয়ে জানতে পারে জহির কোন ১টা কারনে দেশে বাহিরে গিয়েছে । আর সেই সুযোগে বাবা নিহাল ভাইয়ের সাথে নীলুর বিয়ে দিয়ে দেয়।
মেরিন : ওহ। আচ্ছা মামনি জহির রায়হানকে …
মামি : ঘৃণা করতো। মনে প্রানে ঘৃণা করতো।
নানুমনি : অথচ সেই জহিরের কাছে চলে যায়… নিহালের মতো ১টা সোনার টুকরো ছেলেকে ফেলে… আর ওর নিজের বাচ্চার থেকে অন্যের বাচ্চার প্রতি দরদ বেরে যায়।
মেরিন : ….
মামি : বাবা ভুলে ভীষন রেগে যায় নীলুর ওপর ।
নানুমনি : নিহালের সাথে চোখ মিলানোর সাহস পায়না… লজ্জা কুরে কুরে খায় তাকে। সেই লজ্জা থেকেই নিহালের সাথে দেখা করার সাহস পায়না। ১টা দেয়াল তৈরী হয়।
মামি : অথচ নিহাল ভাই কিন্তু বাবাকে খুব ভালোবাসে। প্রায়ই এসের সবার খোজ খবর নেয়।
মেরিন : আচ্ছা আসমা খালামনি… তিনি কোথায় ?
নানুমনি কেদে দিলো।
মেরিন : কাদছো কেন?
নানুমনি : আমার কপাল খারাপরে আমার কপাল খারাপ। না হলে নিজের ২মেয়েকেই হারাই…?
আবার কাদতে লাগলো।
মামি : নীলুর বিয়ের দের-দুই বছর পর আসমাকে কোথাও হারিয়ে যায়। কলেজ থেকে আরে ফিরেনি…
মেরিন : তার খোজ করোনি?
মামি : বাবা , আরহাম মানে তোমার বড় মামা , তারপর দীপ্ত আর নিহাল দুনিয়া এক করেছিলো ওকে খুজতে। কিন্তু আজও পাইনি…. পুলিশ মৃত ঘোষনা করেছে। ১জন বয়স্ক লোক বলেছিলো যে কেউ নাকি আসমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে?
মেরিন : সে দেখেনি কে ছিলো?
মামি : না সে মুখ স্পষ্ট দেখেনি। তবে তার description অনুযায়ী জহিরের নাম সামনে এসেছিলো। কিন্তু … তবুও পাওয়া যায়নি…

আরো কিছুক্ষন গল্প-গুজব করে মেরিন just বের হবে তখন দেখে দরজার সামনে নীড় দারিয়ে আছে । নীড়কে দেখে মেরিনের আত্মা উরে গেলো। তবে এবারও মেরিনকে অবাক করে নীড় “granny” বলে দৌড়ে এসে নানুমনিকে জরিয়ে ধরলো।
নীড় : গ্র্যানি… কিছু ফাটাফাটি রান্না করে খাওয়াও না…
নানুমনি : কি খাবি বল…
নীড় : যা তুমি ভালোবেসে খাওয়াবে…
নানুমনি : বস । আমি রান্না করে আনি…

.

রাতে…
নীড় ড্রাইভ করছে আর মেরিন ভয়ের চোটে কাজুমাজু হয়ে চুপটি করে বসে আছে । নীড়ের ভীষন হাসি পাচ্ছে ।
নীড় : তোমাকে ভয় পেলে কিন্তু ভয়ংকর সুন্দর লাগে।
মেরিন : …
নীড় : by the way… তুমি এতো আতঙ্কে আছো কেন?
মেরিন : ….
নীড় হাহা করে হেসে উঠলো। মেরিন তাকালো।
নীড় : i love my grandmom… আমি প্রায়ই এখানে আসি…
মেরিন : আগে তো কখনো বলেননি…
নীড় : তুমি জানতে চাওনি…

.

২দিনপর…
মেরিন : কিছু কিছু clear আমার কাছে। জহির রায়হান মনে হয় মামনিকে আসমা খালামনিকে নিয়ে blackmail করতো। কি খারাপ ওই জহির রায়হান… না না মেরিন আন্দাজেই কাউকে দোষারোপ করা ভুল।
নীড় জামা-কাপড় ভাজ করে কাবার্ডে রাখতে গেলেই নীড়ের ডাইরি চোখে পরলো।
মেরিন : মামনির রহস্য ভেদ করা তো এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু এই নীড়ের রহস্য ভেদ করতে হলে এই ডাইরীটা আমার লাগবে। কিন্তু password …. কিযে হবে এটার password … granny ? দিয়ে দেখবো… কিন্তু নীড় যে বলেছিলো তার সব কিছুতেই আমি… কিন্তু আমার নাম নিয়ে তো খোলেনা… খালি খালি ভাব ধরে বলে you are my need , love , passion , li… ১মিনিট… নীড় প্রায়ই এই ৭টা word বলে। এই সাতটা wordই password নয় তো? এতো বড় password ? দিয়েই দেখি…
মেরিন ৭টা word দিলো। কিন্তু হলোনা।
মেরিন : উফউ… নীড় তো always you are my… কথাটা add করে।
মেরিন পুরো sentence টাই দিলো। তাও লাভ হলোনা। মেরিন আরো ১বার ব্যার্থ ।
মেরিন : এখানে তো A to Z সবই বড় হাতের। আর ১টা করে। কিন্তু L ২টা । তাও ১টা বড় হাতের ১টা আর ছোট হাতের ১টা। এর মানে কি? উফফ পাগল হয়ে যাবো আমি…

.

১মাসপর…
মোটামোটি ১টা ড্রামা করে তিন্নির মা হওয়ার কথাটা সবার সামনে আনলো। পুরো বাড়িতে আনন্দের ঢল পরে গেলো। পরদিন নিপার মা মানে নির্ঝর-নিরবের নানুমনি এলো। আদিম যুগের মানুষ । কুটনি type মানুষ । তিন্নিকে আলগা ভালোবাসা দেখাতে লাগলো। মেরিন নাস্তা নিয়ে এসে সালাম দিলো।
নানিমা : তুমি নীড়ের বউ না…
মেরিন : জী নানু…
নানিমা : তোমাদের বিয়ে হয়েছে ৬মাসের বেশি হয়ে গিয়েছে না…
মেরিন : জী নানু…
নানিমা : তাও ১টা খুশির খবর দিতে পারলেনা?
নিপা : আহ মা… কি হচ্ছে কি? চুপ থাকো তো।
নানিমা : কেন চুপ থাকবো কেন? নীড় যেমন ছেলে… কোনদিন আবার কোন মেয়েকে বউ করে নিয়ে আসে। ১টা বাচ্চাকাচ্চা হলে মায়া বারবে। আর কোন মেয়ের দিকে নজর দিবেনা।
মেরিন : নানু… নীড় অমন না… মানে অমন নেই…
নানিমা : বাবা এতে দরদ। ওকে না আগে থেকেই চিনি… ও কেমন তা তোমার থেকে ভালো জানি…
মেরিন : নানু… মানুষ তো চিরকাল ১রকম থাকেনা…
নানিমা : নিজের রাগটা চাপা দিয়ে ভালো মতো কথা বলতেছো তা ভালোমতোই বুঝতে পেরেছি…
মেরিন : নানু আপনি ভুল ভাবছেন…
নানিমা : হামম ঠিকই। আমি ভুলই ভেবেছি।
নিপা : মা একদম চুপ।
নানিমা : তুই চুপ থাক। ভালো বুঝে ভালে বুদ্ধি দিচ্ছিলাম তো। তোমাকে ভালো মেয়ে মনে করেছিলাম। কিন্তু তুমি তো নীড়ের বউ। যেমন বর তেমন বউ। নীড় যেমন তেমনই বউ নিয়ে আসছে। নিজে যেমন চরিত্রহীন তেমনি চরিত্রহীনা বউ… এই কারনেই মা হতে চায়না। যেন নীড়কে ছেরে আবার অন্য ১জনকে বিয়ে করতে পারে…
নীলিমা : খালাম্মা…খবরদার আমার বউমাকে একদম বাজে কথা বলবেন না। অনেকক্ষন ধরে বাজে কথা বলেছেন। কিছু বলছিনা বলে বলেই যাবেন সেটা কেমন কথা? কি জানেন ওর সম্পর্কে? ও যদি চায় তবে আপনার কথার যোগ্য জবাব দিয়ে দিতে পারে। কেবল আপনার আর নিপাকে সম্মান করে বলে চুপ আছে। খবরদার আর কোন কথা বলবেন না…
নানিমা : কে কি বলছে রে… ঠিকই আছে যেমন শাশুড়িমা তেমনি তার বউমা…
নীলিমার কথা বন্ধ হয়ে গেলো।
নিপা : মা… চলো তো রুমে। চলো।
নিপা টানতে টানতে তাকে নিয়ে গেলো।
মেরিন : মামনি কেন ওগুলো বলতে গেলে। কতো বড় ১টা কথা বলে গেলো…
নীলিমা : গায়ে মাখিনা ওসব কথা … মারে তুই…
মেরিন : মামনি আমার মাথাটা ভীষন ব্যাথা করছে। আমি রুমে যাই।
মেরিন রুমে গেলো। দরজা লাগিয়ে কান্না করতে লাগলো।

.

সন্ধ্যায়…
নীড় অফিস থেকে ফিরলো। রুমের দরজা বন্ধ দেখে নীড় অবাক হলো ।
নীড় : snow … এই snow …. snow white…
কান্না করতে করতে মেরিন ঘুমিয়ে পরেছে। নীড়ের ডাকে ঘুম ভাংলো। হুরমুর করে উঠে বসলো।
মেরিন : আসছি…
মেরিন দরজা খুলল।
নীড় : কি হ… একি তোমার চোখ-মুখ ফোলা কেন? কাদছিলে? কেন কাদছিলে ? কি হয়েছে? কে কি বলেছে?
মেরিন : কে কি বলবে? আর কাদবো কেন? কি যে বলেন না আপনি… ঘুমাচ্ছিলাম। তাই চোখ-মুখ ফুলে আছে।
নীড় : তোমার চোখের নিচে আমি স্পষ্ট পানির দাগ দেখতে পাচ্ছি।কি হয়েছে বলো….
মেরিন : আসলে আম্মু-বাবার কথা মনে পরেছে…
নীড় : মিথ্যা বলছো… বলো কি হয়েছে?
মেরিন : বললাম তো…
নীড় : কেন আমাকে সত্যি বলতে চাওনা বলো তো…
মেরিন কিছু না বলে কাবার্ড থেকে নীড়ের জামা বের করে দিলো ।
নীড় : কথা কি কানে যায়না?
মেরিন : …
নীড় মেরিনের ২গালে হাত রাখলো।
নীড় : প্লিজ snow white … বলো কি হয়েছে?
মেরিন : কিছু হয়নি বাবা…
নীড় এবার ক্ষেপে গেলো।
নীড় : কাকীমা … কাকীমা…?
নীড়ের ডাক শুনতে পেয়ে নিপার হাত-পা কাপতে লাগলো। নীড় নিপাকে ডাকতে ডাকতে নিচে গেলো।
মেরিন : নীড় আমার কথাটা তো শুনুন নীড়… দারান… কিছু হয়নি…. নীড়….
নীড় : কাকীমা…
নিপা : বববলো…
নীড় : কি হয়েছে? মেরিনের চোখে পানি কেন? কি হয়েছে?
নিপা : না মানে আসলে…
নীড় : বলো…
মেরিন : তেমন কিছু হয়নি নীড়… আর কাকীমা কি করে জানবে যে আমার কি হয়েছে…?
নীড় : you just shut up…. কাকীমা বলো তো কি হয়েছে?
মেরিন ইশারা দিয়ে কিছু বলতে না করছে ।
নীড় : বলো…
তখন ড্যানি এলো।
ড্যানি : নীড় বাবা… নিহাল স্যারের accident হয়েছে…
নীড় : ড্যাড …
নীড় ছুটে বেরিয়ে গেলো। পিছে পিছে মেরিনও। নীলিমা লুকিয়ে গেলো। নিপা যেন হাফ ছেরে বাচলো ।
নিহাল অসুস্থ হলো। কয়েকদিন নীড়-মেরিন তাকে নিয়েই ব্যাস্ত ছিলো।

.

১৫দিনপর…
মেরিন : আমরা কোথায় যাচ্ছি?
নীড় : …
মেরিন : airport কেন?
নীড় : …
মেরিন : কেউ কি আসছে?
নীড় : ….
মেরিন : কিছু বলছেন না কেন?
নীড় : আমি কিছু জিজ্ঞেস করলে বলো? so… কোনো কিছু জিজ্ঞেস করবা না।
মেরিন : ….
নীড় : যদি জিজ্ঞেস করি যে সেদিন থেকে কেন তোমার মন খারাপ তার জবাব দিবা? দিবা না…. so why should i?

মেরিন আর কিছু বললনা। ticket check করেও দেখলোনা। flight এ বসে জানতে পারলো যে ওরা switzerland যাচ্ছে । মেরিন মনে করলো যে নীড় কোনো official কাজে যাচ্ছে। তাই চুপ রইলো । ওরা switzerland পৌছালো। হোটেলে যাওয়ার পর ওদেরকে grandly welcome জানানো হলো।… মেরিন তবুও কোনো react করলোনা।

.

নীড়-মেরিন ওদের রুমের দিকে যাচ্ছে তখন নীড় মেরিনকে কোলে তুলে নিলো।
মেরিন : কি করছেন কি? নামান… মানুষ কি বলবে?
নীড় : আমার বউকে আমি কোলে নিয়েছি। কে কি বলবে? আর তাছারাও এখানে সবগুলোই honeymoon suite …. তো কেউ কিছু বলবেনা।
মেরিন : honeymoon suite মানে?
নীড় : honeymoon suite মানে honeymoon suite …. আসলে আমাদের হানিমুন বাকি ছিলো তাই । আর switzerland এর মতো best কোনো জায়গা নেই। romantic country …
মেরিন : ?…
নীড় : এমনভাবে তাকাচ্ছো যেন switzerland তোমার অপ্রিয়… আমি ভালোমতোই জানি যে তুমি switzerland কে dreamland মনে করো।
মেরিন : huh…

নীড় মেরিনকে নিয়ে রুমে ঢুকলো। মেরিন দেখলো রুমের সব হালকা গোলাপী। একদম ওর পছন্দের ।
মেরিন : wow…
নীড় : ভালো লেগেছে?
মেরিন : ভীষন…
নীড় মেরিনকে বসিয়ে জানালার পর্দাগুলো সরিয়ে দিলো সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। দূরের বরফগুলো দেখতে অস্বাভাবিক সুন্দর লাগছে ।
মেরিন : সরুন সরুন দেখি দেখি… আমাকে দেখতে দিন… কি দারুন.। চলুন না চলুন না… আমাকে ওখানে নিয়ে চলুন না প্লিজ…
নীড় : ওই ড্রামাকুইন… long journey করে এসেছো…. সে খেয়াল কি আছে?
মেরিন : কোন ব্যাপারনা। চলুন।
নীড় : ১টা থাপ্পর দিবো । যাও গিয়ে fresh হয়ে নাও। কালই তো আর চলে যাচ্ছিনা…. আছি তো কয়েকটা দিন… কালকে থেকে দেখবো কতো ঘুরতে পারো।
মেরিন গাল ফুলিয়ে বসে রইলো।
নীড় : দেখো তুমি ভালোমতোই জানো যে আমি ওইসব ন্যাকা husband দের মতো তোমার রাগ টাগ ভাঙাবো না । তাই আমার সাথে রাগ দেখিয়ে লাভ নেই। so… go…
মেরিন : খারুস কোথাকার huh….

.

পরদিন…
ঘুমের মধ্যে মেরিনের শীত শীত অনুভব হলো। একদম জমে যাওয়ার উপক্রম। কিন্তু চোখে অনেক ঘুম তাই মেলতে ইচ্ছা করছেনা। চোখ বন্ধ রেখেই blanket খুজতে লাগলো। কিন্তু হাত দিয়ে পেলো ঠান্ডা ঠান্ডা বরফ। হাতের অবস্থা শেষ।
মেরিন : আমি কোথায়?
নীড় : সেটা জানতে হলে চোখ মেলতে হবে….
মেরিন চোখ মেলল। দেখলো চারদিকে বরফ আর বরফ আর ও শুয়েও আছে বরফের মধ্যে । তাও নরমাল ১টা ড্রেস পরে । আর নীড় সমানে শীতের পোশাক পরে দারিয়ে আছে। তারাতারি উঠে বসলো। জায়গাটা সৌন্দর্যও মেরিনের বিরক্তিটা সরাতে পারলোনা।
মেরিন : আপনার কি মাথা খারাপ? না পাগল?
নীড় : ২টাই….

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here