#সাইকো_নীড়
part : 31
writer : Mohona
.
রাতে…
নীড় : কি ব্যাপার my dear snow white ? কি হয়েছে? চোখে-মুখে এতো আনন্দ? কি হয়েছে ?
মেরিন : কিছুনা।
নীড় টেনে মেরিনকে পাশে বসালো। এরপরে কপালে কিস করে
বলল : আমি তোমাকে হারে হারে চিনি…
মেরিন : না আসলে তেমন কিছুনা… নির্ঝরের বিয়ে তো। আর জীবনে প্রথম এমন ধরনের বাড়ির বউ type কাজ করছি… তাই excitement টা একটু বেশি…
নীড় : ইশ… ওরে আমার excitement রে…
মেরিন : ঠিকই তো ।
নীড় : huh…
মেরিন : নীড় নীড় নীড় …
নীড় : কি হয়েছে?
মেরিন : ১টা কথা বলি ? রাগ করবেন না তো?
নীড় মুচকি হেসে
বলল : বলো।
মেরিন : কেন নিজের ভালো দিকটা কারো সামনে আনেননা?
নীড় : কারন আমার মধ্যে ভালোর কিছুই নেই।
মেরিন : ইশ… বললেই হলো। আমার জামাইটা অনেক ভালো…
বলেই নীড়ের ২টা গাল টেনে দিলো।
নীড় : ওই পাগল…
মেরিন : পাগল না পাগলি… আপনি fresh হন আমি আপনার জন্য black coffee নিয়ে আসছি…
বলেই মেরিন লাফাতে লাফাতে চলে গেলো ।
নীড় : কিছু তো ১টা হয়েছে…. তা না হলে তো এতো খুশি হওয়ার কথানা…
.
পরদিন…
সবাই বসে বিয়ে বিয়ে নিয়ে planning করছে। তখন মেরিন টানতে টানতে নীলিমাকে নিয়ে এলো। নীড় বাকা চোখে তাকালো।
মেরিন : এভাবে তাকালে লাভ হবেনা। পরিবারের সবাই এখানে… আর মামনি থাকবেনা… সেটা কি হয় …?
নীড় দাঁতে দাঁত চেপে রাগটাকে control করলো। নীলিমা চলে যেতে চাইলো। কিন্তু মেরিন জোর করে বসিয়ে রাখলো।
আড্জা মারার পর মেরিন রুমে গেলো। দোয়া-দরূদ পড়তে পড়তে… রুমে ঢুকে দেখে নীড় ১ঝুড়ি strawberry নামক ব্রহ্মদৈত্যকে নিয়ে বসে আছে। সেই সাথে strawberry ice cream …
মেরিন : oh no…
নীড় : যদি এখান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করো তবে কি করবো তা জানিনা…
মেরিন রুমে ঢুকলো।
মেরিন : নীড় please please … ওটা আমাকে খেতে বলবেননা। দেখেই আমার গা গুলিয়ে আসছে।
নীড় : খেতেই হবে…
মেরিন : না নীড় না … please … এটা ছারা অন্য যেকোন শাস্তি দিন মেনে নিবো। কিন্তু এটা না।
নীড় : অন্য যেকোনো শাস্তি? ?।
মেরিন : হামম।
নীড় : ভেবে বলছো?
মেরিন : হামম।
নীড় : ok…
মেরিন মনে মনে : আল্লাহই জানে কি শাস্তি দেয়…
নীড় strawberry গুলো রেখে কাবার্ডের কাছে গেলো। ১টা প্যাকেট নিয়ে এসে মেরিনের হাতে দিলো।
মেরিন : এটা কি?
নীড় : gift for you… খুলে দেখো।
মেরিন খুলল। দেখলো ১টা mini skirt… যেটার টপসটা backless…
মেরিন : ছিঃ … এটা কেমন dress ?
নীড় : এই ছিঃ dressটাই এখন তোমাকে পরতে হবে।
মেরিন : এ্যা…
নীড় : এ্যা নয় হ্যা। যাও পরে আসো।
মেরিন নিজেকে ওই ড্রেসে কল্পনা করলো।
মেরিন : না…. না না না না না… আমি এই ড্রেস পরবোনা। ওই strawberry খেতে হবে তো… ok no problem … খাচ্ছি।
মেরিন ড্রেসটা রেখে strawberry নিতে গেলেই নীড় ওর হাত ধরে ফেলল।
নীড় : no my snow white….strawberry cancel … তাই এখন তোমাকে ওই ড্রেসটাই পরতে হবে।
মেরিন : না নীড় … please …
নীড় : পরতে হবে।আর এমন করছো কেন its just a normal dress…
মেরিন : ওটা মোটেও কোন নরমাল ড্রেস না।
নীড় : এতো লজ্জা পাচ্ছো কেন বলো তো? আমি কি তোমাকে ওটা পরে রুমের বাহিরে যেতে বলেছি ?
মেরিন : …
নীড় : যাও পরে এসো।
মেরিন : …
নীড় কিছুনা বলে মেরিনের আচলে হাত দিলো। মেরিন দৌড়ে washroom এ চলে গেলো।
.
মেরিন ড্রেসটা পরলো। নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে।
নীড় : কি হলো মিসেস? বের হও…
মেরিন : …
নীড় : তুমি আসবে না আমি আসবো? আমি আসলে কিন্তু কপালে দুঃখ আছে…
মেরিন : …
মেরিন চোখ-মুখ খিচে রুম থেকে বেরিয়ে এলো ।
নীড় : হামম। সুন্দরই লাগছে… কিন্তু শাড়িতেই তোমাকে বেশি মানায়…
মেরিন : …
এরপর অনেকক্ষন হয়ে যায় নীড়ের কোনো সারাশব্দ পায়না…মেরিন ধীরে ধীরে চোখ মেলে দেখে নীড় বারান্দায় বসে আছে । তাও ল্যাপটপে মুখ গুজে আছে। বোকা বনে গেলো।
মেরিন : আপনি বারান্দায়?
নীড় : হ্যা । একি তুমি এখনও ওখানেই দারিয়ে আছো? যাও change করে এসে ঘুমিয়ে থাকো…
মেরিনের reaction হলো মাইরালারে মাইরালা… নীড়ের সামনে গিয়ে দারুমদুরুম করে কতোগুলো কিল দিয়ে মেরিন দৌড়ে washroom এ গেলো। একটুপর বের হলো। দেখলো নীড়ের হাতে লাঠি।
মেরিন : একি আপনার হাতে লাঠি কেন?
নীড় : কারন তোমাকে পিটাবো…
বলেই মেরিনকে ধাওয়া করতে লাগলো। আর মেরিন দৌড়াতে লাগলো। আর শাড়িতে বেজে ধিরিম করে পরে গেলো।
নীড় : হাহাহা….হাহাহা…
মেরিন : একদম দাঁত দেখাবেন না।
নীড় : বউ পেয়েছি কপাল গুনে… হাহাহা।
মেরিন : huh… হাত দিন আমি উঠবো।
নীড় : পারলে নিজেই উঠে এসো। হাহাহা।
মেরিন নিজেই উঠতে লাগলো।
মেরিন : ouch…
নীড় : কি হয়েছে?
মেরিন : কিছুনা।
নীড় কিছুনা বলে মেরিনকে কোলে তুলে নিয়ে বেডে নিয়ে বসালো । এরপর পা ধরলো।
মেরিন : খবরদার পা মোচর দিব… আহ…
নীড় দিলো ১টা মোচর ।
নীড় : এখন মোচর না দিলে এই পা নিয়ে বেডে পরে থাকতে হবে। দেখো এখন হাটতে পারো কিনা…?
মেরিন কিছুনা বলে শুয়ে।
নীড় : ঘাড় ত্যারা কোথাকার…
.
নির্ঝরের বিয়ের দিন…
নিপা বউকে বরন করে নিলো।
তিন্নি : ভাবি তোমাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ..
মেরিন : ধ্যাত পাগলি। আমার কোন বোন থাকলে কি তাকে ফেলে দিতাম? এখন চলো । তোমার উফস তোমাদের ঘরে…
মেরিন তিন্নিকে রুমে নিয়ে গেলো। খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। মেরিন চারদিকটা দেখে নিলো। ওর নিজের বাসর রাতের কথা মনে পরে গেলো। যে রাতে নীড়ের জন্য অপেক্ষা করতে করতে মেরিন ঘুমিয়ে পরেছিলো। কেন যেন মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
তিন্নি : কি হলো ভাবি?
মেরিন : কই কিছুনাতো। বসো এই এখানটাতে। তোমার বরমশাই চলে আসবে। আগে গিয়ে দরজায় দারাই । না হলে যে দেবরমশাই ধা ধা করে ঢুকে যাবে। মেরিন গিয়ে দরজায় দারালো । তখন নিরব এলো।
মেরিন : নির্ঝর কোথায়?
নিরব : ছোটদা তো আসছে। আমি আগে চলে এলাম। টাকা আদায় করতে হবেনা…
মেরিন : হ্যা হ্যা চলে আসো।
নীড় : কিরে নিরব তুই দৌড়ে এখানে এলি কেন? আর কিসের টাকার কথা বলছিস…?
নীড়কে দেখে মেরিনের মনের কষ্টটা চোখের পানির রূপ নিলো।
নীড় : ব…
নীড়ের খেয়াল মেরিনের দিকে গেলো।
মেরিন : অতোসতো বোঝানোর সময় নেই। আর আপনি বুঝবেনও না। কারন আপনি ১টা বৃদ্ধাশ্রম…
নিরব : হাহাহা।
তখন নির্ঝর এলো।
নির্ঝর : কি হয়েছে? আমাকে বলো আমিও একটু হাসি ।
মেরিন : না না এতো হাসির সময় নেই। এখন তারাতারি ২০হাজার টাকা ছারো তো।
নির্ঝর : ভাবি তুমিও…
মেরিন : হ্যা আমিও…
নীড় : no… এই নির্ঝর টাকা দিবি না। আমার ভাই কি একা নাকি হামম?
নির্ঝর : love you দাদাভাইয়া।
নিরব : ভাইয়া এটা কিন্তু চিটিং…
নীড় : কিসের চিটিং ? তুই তোর ভাবির পক্ষে আর আমি আমার ভাইয়ের পক্ষে ।
মজা-টজা করে মেরিন রুমে গেলো।
.
change করে এসে চুল ঠিক করতে লাগলো। আর ভাবনার সাগরে ডুব দিলো। নীড় রুমে ঢুকলো। মেরিনের খেয়ালই নেই। নীড় মেরিনকে জরিয়ে ধরলো । মেরিনের ধ্যান ভাংলো।
মেরিন : আপনি…?
নীড় : হামমম। মন খারাপ?
মেরিন : না। দারান আমি আপনার টি-শার্ট বের করে দিচ্ছি ।
বলেই মেরিন যেতে নিলো । নীড় মেরিনের হাত ধরলো।
মেরিন : কি হয়েছে?
নীড় : i love you…
মেরিন কিছু বললনা। নীড়ও আর ঘাটলোনা। মেরিন নীড়কে ওগুলো দিয়ে শুয়ে পরলো। নীড়ও change করে এসে মেরিনের পাশে শুয়ে পরলো। প্রতিদিনের মতো আজকেও নীড়-মেরিনের মধ্যে দূরত্ব আছে। ২জন ২দিকে।
নীড় : এইযে snow white … আমি জানি তুমি জেগে আছো। এদিকে ঘুরোতো।
মেরিন:…
নীড় : হায়রে…
নীড় ১টানে মেরিনকে বুকে টেনে নিলো । তবে মেরিনের মাথাটা তুললনা। কারন মেরিনের চোখের পানি দেখতে পারবেনা। কিন্তু সেই পানি মুছতে গেলে হাজারটা প্রশ্ন উঠে আসবে। যার কোনো উত্তর নীড়ের কাছে নেই ।
নীড় : আজকে থেকে রোজ এভাবেই ঘুমাবা। দুনিয়া ঘুরে গেলেও ।
.
৩দিনপর…
মেরিন নীলিমার বাবার বাড়িতে গেলো। মো: ইদ্রিসের কাছে। মেরিন গিয়ে তাকে সালাম দিলো।
ইদ্রিস : কে?
মেরিন : আমি মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী নানাভাই…. তোমার নাতবউ…
নানাভাই : আমার মেয়ে নেই। তুমি চলে যেতে পারো।
মেরিন : সে না হয় যাবোই। কিন্তু চোখ মেলে ১বার তো দেখো তোমার নাতবউকে।
.
( আজকের পার্টটা অনেক ছোট আর বাজে হয়েছে। আসলে আজকে গল্প দিতাম না। কেবল বলেছিলাম বলে যে ২দিন পর দিবো তাই আজকে দিলাম। )
চলবে…