সাইকো_নীড় part-30

0
414

#সাইকো_নীড়
part : 30
writer : Mohona

.

নীড় : need , love , passion , life , breath , heart , world …
মেরিন : ?।
নীড় : এটা কেমন reaction ?
মেরিন : আপনি বুঝবেন না… huh… fresh হন…কফি নিয়ে আসছি আপনার জন্য ।
বলেই মেরিন ১টা ভেংচি কেটে চলে গেলো।
নীড় : my dear snow white … তুমি যেখানে আমার সব কিছু সেখানে password অন্যকিছু কি করে হতে পারে। যেদিন আমাকে সম্পুর্ন বুঝতে পারবে সেদিন password টাও বুঝতে পারবে। ততোদিন hint দিবো। যদি পারো বুঝে নিও … বাট বাট বাট আমার password টা তো অতোটাও কঠিন না । তবুও তুমি বুঝতে পারছোনা। ভালো তো বেসেছো আমায় তবে বুঝতে শেখোনি… জানি এই ডাইরীটাই ঘাটাঘাটি করছিলে। যুদ্ধ করছিলে। তবুও কেন তোমার সাথে রাগারাগি কেন করলাম না জানো? কারন তুমি আমাকে কোনোদিনও বুঝতে পারবেনা… তোমার সাধ্য নয়। তাই এই ডাইরী তোমার সামনে পরে থাকলেও তুমি পড়তে পারবেনা my snow white … পাগলি কি কি বলছিলো নিজের সাথে।

.

নিচে …
মেরিন : রুমকী… মামনি কোথায় ? আজকে তো দেখলামই না। …
রুমকি : ভাবি আসলে ওই মহিলার শ…
মেরিন : shut up… জানো কার সম্পর্কে কথা বলছো? তাকে বড় ম্যাডাম বা বড়কাকীমা বলে ডাকবে।
রুমকি : sorry ভাবি…
মেরিন : বলো কি হয়েছে?
রুমকি : না আসলো বড়কাকীমা …. ভাবি হয়েছে কি আজকে দুপুরে তার ১টা patient এর অবস্থা খুব খারাপ হয়েছিলো। তাই সে হসপিটালে যায়।
মেরিন : হামম।
রুমকি : ক্যাপসিকাম দিয়ে দিয়েছিলাম সবজিতে।
মেরিন : সবগুলোতে? জানোনা নীড়ের allergy ?
রুমকি : দাদাভাইয়ার জন্য তো আলাদা রান্না করেছি। আর দাদাভাইয়াতো বলেছিলো যে দুপুরে আসবেনা।
মেরিন : হ্যা। next…
রুমকি : বড় কাকীমা ভুল করে ক্যাপসিকাম এর সবজিটা খেয়েছে।
মেরিন : তো?
রুমকি : তারও নাকি allergy … rash উঠে গিয়েছে ।
মেরিন মুচকী হাসি দিলো।
মেরিন : মাকে ঘৃণা করে অথচ মায়ের স্বভাব পেয়ে বসে আছে।
রুমকি : কিছু বললেন ভাবি?
মেরিন : না কিছুনা। সবাইকে ডেকে নিয়ে আসো।

খাবার টেবিলে মেরিন লক্ষ করলো নীড়ের খাওয়ার style ও নীলিমার মতো। কেন যেন ওর ভীষন হাসি পেলো। যেটাকে control করা সম্ভব না। তাই হা হা করে হেসে উঠলো।
সবাই : ?।
নিরব : ওই ভাবি একা হাসো কেন? আমাদেরও বলো আমরাও হাসি।
মেরিন : না বলা যাবেনা… ?…
নীড় : এই যে হাহা হিহি… close up 1 এর add বন্ধ করে খাও। হিচকি উঠবে। নাকে-মুখে উঠবে।
যেই বলা সেই কাজ।হিচকি উঠেও গেলো। সবাই তো পানি দেয়ার জন্য অস্থির হয়ে গেলো।
নীড় : এই যে family থামো। শাস্তি ভোগ করতে দাও। কেমন লাগে হাহা হিহি করতে?
মেরিন : গন্ডার কোথাকার…
বলেই মেরিন উঠে গেলো।
নিহাল : খেতেও দিলিনা মেয়েটাকে…
নীড় : আর কতো খেতো? জীবনে এর থেকে বেশি খেতে দেখেছো?

.

একটুপর …
মেরিন নীলিমার জন্য মেডিসিন নিয়ে গেল।
নীলিমা : একি কি নিয়ে আসছো এগুলো?
মেরিন : ইদুর মারার ঔষধ ।।।
নীলিমা হালকা করে মেরিনের কান মলে দিলো।
নীলিমা : আমার ছেলেটার সাথে থাকতে থাকতে তুইও বিশ্ব ত্যারা হয়ে যাচ্ছিস।
মেরিন : হামম। ভালো হয়েছে । নাও এবার খেয়ে না়ও।
নীলিমা ঔষধ খেলো।
নীলিমা : তুই এভাবেই নিশ্চয়ই তোর মার লক্ষী মেয়ে হয়ে থাকতি?
মেরিন: লক্ষি মেয়ে? হাহাহা। আমার সাথে আর আম্মুর সাথে তো লেগেই থাকতো। মাঝেমাঝে তো আমার আম্মুকে নিজেক শাশুড়ি মনে হতো।

কথাটা বলেই মেরিন-নীলিমা ২জনই হেসে দিলো। হাসতে হাসতে মেরিন কেদে দিলো।
নীলিমা : কাদছিস কেন?
মেরিন : কিছুনা।
নীলিমা : আমি কি তোর মা নই?
মেরিন নীলিমাকে জরিয়ে ধরলো ।
নীলিমা : পাগলিটা…
মেরিন : অনেক emotional হয়েছি আর হতে পারবোনা। চলো গল্প করি।
নীলিমা : হামম। দারা পানিটা খেয়েনি।
মেরিন নীলিমাকে পানি দিতে যেয়ে ভুল করে একটু পানি পরে গেলো। blanket টা খানিকটা ভিজে গেলো।
মেরিন : sorry মামনি। দারাও আমি অন্য ১টা blanket দিচ্ছি।

মেরিন blanket নের করে আনলো কাবার্ড থেকে। তখন হুট করে এলোমেলো বাতাস ছারলো। তখন ১টা কাগজ উরে এসে মেরিনের কাছে পরলো।যার মধ্যে
নাম লেখা : নাবিল রায়হান
বাবার নাম : জহির রায়হান
মায়ের নাম : আসমা রায়হান
আরো কিছু দেখার আগেই নীলিমা কাগজটা নিয়ে নিলো।
নীলিমা : sorry মা তোর মুখে এসে পরলো।
নীলিমা তারাতারি করে কাগজটা রেখে লক করে দিলো। মেরিন বুঝলো যে নীলিমা বিষয়টা লুকাতে চাইছে। তাই আর ঘাটলোনা।একটু গল্প করে চলে গেলো।

.

মেরিন : মিস্টার নাবিলের মা তবে মামনি নয় আসমা নামের কেউ? তার মানে আরো ১টা ভুল। কিন্তু এই ভুলটা কেন মামনি ভাঙায়নি। আসমা-নীলিমা… মা মা connection … এই মা-ছেলে ২টাই ভয়ং…

তখন মেরিনের হাতে টান লাগলো।
মেরিন : আপনি এতো টানাটানি করেন কেন?
নীড় : আমার বউ আমি টানাটানি করবো কার কি?
মেরিন : huh…. নীড়।
নীড় : বলো।
মেরিন : নীড় i need এ person … যে আমাকে help করবে।
নীড় : কেমন help?
মেরিন : কাউকে খুজে বের করতে হবে।
নীড় : কাকে?
মেরিন : আসমা র… আসমা নামের কাউকে
নীড় : কে আসমা?
মেরিন : জানিনা…
নীড় : what?
মেরিন : হামম।
নীড় : ok… কালকে আমার জন্য বিরিয়ানি রান্না করবে ।
মেরিন : কেন বারবার লজ্জিত করেন?
নীড় : কিসের লজ্জা? আমি বলেছি তাই আমার জন্য রান্না করবা।
মেরিন : ওই জঘন্য বি…
নীড় : shut up….

.

পরদিন…
মেরিন : মামনি…. মামনি…
নীলিমা : হামম।
মেরিন : কাকীমার মুখে শুনেছিলাম তুমি নাকি খুব ভালো রান্না করতে পারো।
নীলিমা হাসি দিলো ।
মেরিন : এখন চলো আমার help করবে।
নীলিমা : help? নীড় যে আমাকে রান্নাঘরে যাওয়ার আর রান্না করার permission …
মেরিন : আরে রাখো তো permission … তুমি আসো আমার সাথে।
মেরিন নীলিমাকে টেনে নিয়ে গেলো।
মেরিন : ভয়টা কে সরাও তো। আর বলো যে ভালো বিরিয়ানি কিভাবে রান্না করে? তোমার ছেলে ২দিন পরপরই বিরিয়ানি বিরিয়ানি করে । আর আমাকে রান্না করতে হয়। just জঘন্য হয়। এখন বলো কিভাবে perfect বিরিয়ানি হয়।
নীলিমা : আমার ছেলেটা না খুব ভাগ্যবান যে তোর মতো ১টা মিষ্টি বউ পেয়েছে।
মেরিন : এখন বলোতো।

নীলিমা বলতে লাগলো আর মেরিন সেই অনুযায়ী রান্না করলো। ঘ্রাণ আর চেহারাতেই বোঝা যাচ্ছে যে কি চমৎকার বিরিয়ানি হয়েছে।

.

ডিনার টেবিলে…
নিরব : রুমকি এই আজকে কি রান্না হয়েছে?
রুমকি : বিরিয়ানি। ভাবি রান্না করেছে ।
মেরিনের কথা শুনেই কার আগে কে পালাবে সেটা ভাবতে লাগলো। উঠে যেতে নিবে তখন মেরিন এলো।
মেরিন : বসো বসো। আজকে ভয় পাওয়ার কারন নেই। আজকে ভয়ংকর বিরিয়ানি হয়নি। বসো আমি নিয়ে আসছি।
মেরিন রান্নাঘরে গেলো।
নিহাল : আজকে আবার কপালে দুঃখ আছে।

তখন নীড় টেবিলে এলো।
নীড় : whats up family ? চেহারার এই হাল কেন ?
নিরব : কি আর বলবো দুঃখের কথা ।
নীড় : বিরিয়ানি নিয়ে চিন্তা করছিস তাইতো? হাহাহা।

মেরিন বিরিয়ানি নিয়ে এলো। সবাইকে serve করে দিতে লাগলো। সবাই দেখে খুশি হলেও নীড়ের মেজাজ বিগরে গেলো। সবাই খাওয়া শুরু করলো। ভীষন ভালো হয়েছে আজকের বিরিয়ানি । সবাই তারিফ করছে। নীড় ২-৩বার মুখে দিলো।
মেরিন : কেমন হয়েছে নীড়?
নীড় নিজের প্লেটটা ছুরে মারলো। সবাই ভয় পেয়ে গেলো।
নীড় : পেয়েছো জবাব? যাও গিয়ে আমার জন্য সবসময়ের মতো বিরিয়ানি রান্না করে আনো। now…

মেরিন কিছু না বলে কিচেনে গেলো।
নিহাল : এমন আচরনটা না করলেও পারতে নীড়। মেয়েটা তোমার জন্যেই এতো কষ্ট করে ভালোভাবে বিরিয়ানিটা রান্না করেছে ।
নীড় : আমি বলেছি ভালোভাবে রান্না করতে? আমার তো ওইটাই ভালো লাগে।

একটুপর মেরিন বিরিয়ানি রান্না করে আনলো। নীড় ১বার ওটার চেহারা দেখে
বলল : হয়নি। আবার রান্না করে আনো ।

মেরিন আবার গেলো। নীড়ের ওপর যতো রাগ আছে সব রাগ রান্নার ওপর তুলল। আর প্রথম দিনের থেকেও জঘন্য বিরিয়ানি রান্না করলো। এরপর নিয়ে এলো। ধপাস করে নীড়ের সামনে রাখলো।
নীড় : looks yummy…
নীড় পরমসুখে খেতে লাগলো। সবটুকু খেয়ে শেষ করলো।
নীড় : সবসময় এমন করেই রান্না করবে। না এর থেকে ভালো আর না এর থেকে খারাপ।
মেরিন পানির গ্লাসটা নীড়ের মাথায় ঢেলে দিয়ে রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো।

নীড় : অদ্ভুদ তো। কিছু হলেই আমার রুমে আমাকেই ঢুকতে দেয়না।

.

৩দিনপর…
মেরিন হসপিটালে বসে বসে ভাবছে।
মেরিন : আসমা… আসমা আসমা… কে এই আসমা…
নীড় : hello snow white …
মেরিন : কি চাই ?
নীড় : তোমাকে… ?
মেরিন : ?।
নীড় : অর্ক … come in…
তখন অর্ক ভেতরে ঢুকলো।
মেরিন : who is he?
নীড় : তুমি বলেছিলেনা আসমা নামের কাউকে তুমি খুজছো… মানে কাউকে খুজে বের করার জন্য তোমার কাউকে চাই । there he is… অর্ক। special intelligence department এর top officer ….
মেরিন : what? আপনি কি পাগল? এই এতো বড় ১জনকে আপনি…
নীড় : এনেছি। only for you…
মেরিন : সারাদেশের লোকজনের এনারা কাজ করে। they are important …
নীড় : not for me… আমার বউ order করেছে so … আমি পালন করবোই।
মেরিন : আমার কাউকে খোজা লাগবেনা। আপনি এখনই এনাকে পাঠিয়ে দিন।
নীড় : কিন্তু …
মেরিন : কোন কিন্তুনা। পাঠান এখনই এখান থেকে।
নীড় : ok… অর্ক বা বাই।

অর্ক চলে গেলো।
নীড় : what? এভাবে কেন তাকিয়ে আছো?
মেরিন : আমার কি ইচ্ছা করছে জানেন?
নীড় : কি?
মেরিন : এই বিল্ডিং এর ছাদ থেকে আপনাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিতে ।
নীড় : সত্যি?
মেরিন : হামমম।
নীড় : আমার পরে যাওয়া তুমি দেখতে পারবে?
মেরিন : yes…

নীড় কিছু না বলে মেরিনকে নিয়ে ছাদে গেলো। রেলিং এর ওপর দারালো।
মেরিন : এই নীড়… কি করছেন কি? পাগল হলেন নাকি?
নীড় : ধাক্কা দাও আমাকে…
মেরিন নীড়কে টেনে নামালো। এরপর ঠাস করে থাপ্পর মারলো।
মেরিন : এই আপনি কি ক্ষেপেছেন? কি করতে যাচ্ছিলেন? লাফাতে যাচ্ছিলেন কেন?
নীড় : তুমি চেয়েছো তাই…
মেরিন নীড়কে আরো ১টা থাপ্পর মারলো।
মেরিন : শালা সাইকো…
বলেই মেরিন চলে গেলো।

.

রাতে…
মেরিন : oh no… কি করেছি? জোশ এ এসে হোশ হারিয়ে কি করেছি… হায় হায়… আমার কি হবে? আমার #সাইকো_নীড় তো আমাকে মহাশাস্তি দিবে। আমার কি হবে?
নীড় : snow … এই snow white…
মেরিন : এসে গিয়েছে …
নীড় : তারাতারি রেডি হয়ে নাও আজকে বাহিরে ডিনার করবো।
মেরিন : i am really very sorry নীড়।
নীড় : for what?
মেরিন : তখন থাপ্পর মারার জন্য….
নীড় : আরে ধ্যাত । চলোতো।
এবার মেরিন কেদেই দিলো।
নীড় : একি কাদছো কেন?
মেরিন : আমি জানি আপনি বাহিরে নিয়ে শাস্তি দিবেন ।
নীড় : ১টা থাপ্পর দিবো। কান্না থামাও।
মেরিনের কান্না আরো বেরে গেলো। এবার নীড় ঠাস করে থাপ্পর মারলো।
নীড় : সমস্যাটা কি? তুমি জানো তুমি থাপ্পর-বকা কেন খাও? শাস্তি কেন পাও? তোমার এই stupid কথা আর আচরনের জন্য। থাপ্পর মারাতে শাস্তি দিবো কেন?
মেরিন : আগে তো দিতেন। থাপ্পর ক্লাস… আরো কতো কি…
নীড় : তখন আলাদা situation এখন আলাদা situation … এখন তুমি আমার বউ।
মেরিন : এমনভাবে বলছেন যেন এখন শাস্তি দেননা…
নীড় : কেন শুধুশুধু আমাকে রাগাও। আর কোন কথা না বলে যাও গিয়ে রেডি হও।
মেরিন : huh….

.

in restaurant …
খেতে খেতে নীড় ১টা ফোনকল এলো। নীড় কথা বলতে গেলো। অনেকক্ষন হয়ে যাচ্ছে নীড় ফিরছে না। নীড় সারা ফ্লোর বুক করেছে। অদ্ভুদ feelings আসছে মেরিনের।
মেরিন : নীড় আসছেনা কেন?
মেরিন উঠে বাহিরে গেলো। দেখলো নীড় নির্ঝরকে পিটাচ্ছে। মেরিন দৌড়ে গেলো। নির্ঝরকে বাচালো।
মেরিন : আরো আপনি ওকে মারছেন কেন?
নীড় : সরে যাও মেরিন। আমি আজকে ওকে মেরে ফেলবো।
মেরিন : কি হয়েছে কি? কি করেছে নির্ঝর…
নীড় : তুমি জানোনা ও কি করেছে…
মেরিন : কি করেছে…?
মেরিন তাকিয়ে দেখলো পাশে ১টা মেয়ে। নাম তিন্নি। মেরিন ওর ছবি দেখেছিলো।
মেরিন : এখানে scene creat করার কোনো দরকার নেই… চলুন।
নীড় : no… যা হবার এখানেই হবে। নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন চোর না। জানো ও কি করেছে? ও তিন্নিকে pregnant করেছে। আর এখন বলছে যে abortion করাতে… আর বলছে যে এখন বিয়ে করবেনা। bloody idiot… তোকে তো আজকে।
মেরিন : আহ নীড়…
নীড় : কি নীড়… হ্যা কি নীড়? আমার কথা বলবে? আমি খারাপ। বাট কখনো এমনটা করিনি। বলবে জ্যােতির কথা? ওটা ২জনের ইচ্ছাতেই ছিলো।
মেরিন : নীড় ওট…
নীড় : shut up….
মেরিন মনে মনে : ভালো দিকটা কাউকে দেখাবেনা। সাইকোর বাচ্চা সাইকো ।
নীড় : তুই ওকে বিয়ে করবে কি করবেনা?
মেরিন : করবে।
নীড় : তুমি বললেই হবে?
মেরিন : হ্যা। সবকিছুর solution মেরে ফেলবো কেটে ফেলবো হয়না…. আপনি গিয়ে গাড়িতে বসুন। আমি আসছি।
নীড় : আরে…
মেরিন : যান…
নীড় গেলো।

নির্ঝর : ভাবি আসলে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। বাবা জানলে…
মেরিন : ভুল করার আগে বাবাকে ভয় পাওয়া উচিত ছিলো। আর কাউকে কিছু জানানোর দরকার নেই। বিয়ের পর এই news টা good থেকে মহাgood news হয়ে যাবে।

পরদিনই নির্ঝর-তিন্নির বিয়ে ঠিক করা হলো।

.

২দিনপর…
নাহিদ : শালি হলো আধি ঘারওয়ালি… বাট। দুঃখের বিষয়… আমার শালাবাবু আছো। কিন্তু আমার কোন শালি নেই।
নির্ঝর : আমার আছে। ?।
নিরব : ভালোই হলো ১টা বেয়ান পাওয়া যাবে। বড়ভাবির তো আর ছোটবোন নেই। আর দাদাভাইয়া মনে হয়না ওর শালির সাথে প্রেম করতে দিতো। যাই হোক ১টা বেয়ান পেলাম।
নাহিদ : তা যা বলেছিস। বেয়ান… হায়।বেয়ানরা কিন্তু ফাটাফাটি হয়… বেয়ানের কথা মনে পরলো আমার আসমার কথা…
“আসমার কথা”… মেরিনের কানে বারি খেলো। নিপা নাহিদের কান মলে দিলো।
নিপা : আসমা… খালি আসমা…
নাহিদ : তুমি কখন এলে?
নিপা : হ্যা আমি। পুরুষ মানুষ বলতেই কামিনা…
সবাই হাসতে লাগলো।

.

মেরিন : আসমা… বেয়ান…
নিপা : কি রে কি বিরবির করছিস?
মেরিন : কাকীমা আসমা কে?
নিপা : আসমা ভাবির ছোট বোন ।
মেরিন : ওহ। তার কোথায় বিয়ে হয়েছে?? মানে সে এখন কোথায়?
নিপা : মারা গেছে…

নিরব : মম…
নিপা : আসছি…
নিপা গেলো।
মেরিন : আসমা… মামনির ছোটবোন। নাবিল রায়হানের মায়ের নামও আসমা। যেটা মামনি আমার থেকে লুকাতে চাইছিলো… my dear নীড়… সুতার মুখ পেয়ে গিয়েছি…. তাই ৬মাস লাগবেওনা…

.

( সবাইকে বড়দিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।) আর সেই সাথে sorry … কারন কালকে-পরশু গল্প দিতে পারবোনা ।)

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here