সাইকো_নীড় part : 27

0
418

#সাইকো_নীড়
part : 27
writer : Mohona

.

নীড় : sounds cool… তাইনা snow ?
মেরিন : নীড় পাগল আপনি? its too much risky… by chance গুলি বেরিয়ে গেলে… কেউ ১জনের সাথে দুর্ঘটনা ঘটে গেলে?
নীড় : ভালোবাসা আর ভয় একসাথে …? ন্যাহ । ভালোবাসলে ভয় পাওয়া যায়না। আর ভয় থাকলে ভালোবাসা যায়না। আর বন্যা-বর্ষনের ভালোবাসা দেখে অন্যেরা ভয় পাবে। fear … ন্যাহ ।আমি psycho তুমি psychiatrist… ভয় আমাদেরকে ভয় পাবে। why should we ?
মেরিন : ?।
নীড় : lets play … আমি তোমাকে প্রশ্ন করবো সেটার সত্য জবাব তোমাকে দিতে হবে। আর যদি জবাবটা না দিতে চাও তবে #shoot_yourself …. আমি ১টা প্রশ্ন করবো then তুমি। এভাবেই… বুঝেছো?
মেরিন : হামম।
নীড় : catch …
বলেই নীড় গানটা ছুরে মারলো। মেরিন ধরলো।
নীড় : good … ready 1…2…3…. love me or hate me?
মেরিন : love you… অনেক সহজ প্রশ্ন ছিলো। now you catch….
নীড় নিলো।
মেরিন : ১ম ভালোবাসার মানুষের নাম কি?
নীড় বাকা হাসি দিলো…
নীড় : মেরিন বন্যা খান…
মেরিন অবাক হলো।
নীড় : যদি আমার জীবনে আগের মতোই মেয়েরা থাকে তখন তুমি কি করবে? আমাকে ডিভোর্স দিবে নাকি ক্ষমা করে দিবে?
মেরিন : option এর মধ্যে থেকেই জবাব দিতে হবে?
নীড় : yeah…
মেরিন : হামম।
বলেই মেরিন গান মাথায় ঠেকালো।
নীড় : উত্তর দিতে চাওনা?
মেরিন : উত্তর না দেয়ার মধ্যেই উত্তর আছে …।
বলেই মেরিন trigger press করতে নিলো।
নীড় : wait… আজরাইল তো আজরাইল ই… তিনি আলাদা… তার কথা বাদ । যদি গুলি বের হয় তবে তুমি মারা যাবে…
মেরিন : মরতেও দিতে চাননা আবার খেলতেও বলেন। এর মানে খেলা off?
নীড় : ন্যাহ … তোমাকে ভালোবাসার অধিকার আমার, কষ্ট দেয়ার অধিকারও আমার। &&& জানে মারার অধিকারও আমার ।
বলেই নীড় গানটা হাতে নিলো। মেরিন চোখ মুখ খিচে বন্ধ করলো। নীড় shoot করলো। তবে গুলি বের হলোনা। congratulations …
মেরিন : আপনার ঘৃণার ব্যাক্তি টা কে?
নীড় : the rayhans…. ১ম আমাকে দেখে crush খেয়েছিলে?

মেরিন হেসে দিলো।
মেরিন : আপনি জানেন আপনাকে ১ম কোথায় দেখেছিলাম?
নীড় : হসপিটালে।
মেরিন : হয়নি। রমনায় দেখেছিলাম। সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামায়। মুখে উন্মুক্ত হাসিতে ভীষন ভালো লেগেছিলো। crush কিনা জানিনা। তবে ভালো লেগেছিলো।
নীড় : ?
মেরিন : কাকে বেশি ভালোবাসেন? বাবাকে না নীলিমা আন্টিকে?
নীড় এমন ভাবে তাকালো যে এই ঠান্ডার মধ্যেও মেরিন ঘেমে গেলো । নীড় গান হাতে নিয়ে shoot করলো। রাগের চোটে কাপছে নীড়।
মেরিন : প্রশ্নটার জবাব কি এতোটাই কঠিন ছিলো?
নীড় : আমার ড্যাডডার্লিং কখনো option এ থাকতে পারেনা… ওই 3rd class মহিলার সাথে তো নাই…
মেরিন মনে মনে : ১ম বার আপনার না বলাতে কোন জবাব পেলাম নীড়…

এভাবে প্রশ্ন-উত্তর আর মাঝে মাঝে shoot চলতে লাগলো।

.

শেষে…
নীড় : সেদিন রাতের জন্য আমায় কখনো ক্ষমা করতে পারবে?
মেরিন : ক্ষমা না করলে ভালোবাসতাম?
নীড় : sorry …
মেরিন : now my turn …
নীড় : হামম।
মেরিন : আমার জন্য normal হতে পারবেন?
নীড় কিছু না ভেবে নিজেকে shoot করলো। মেরিনের মনটা খারাপ হয়ে গেলো।

নীড় : যদি সেদিন আমি শশুড়ড্যাড-শাশুড়িমমকে গুলি করে মেরে ফেলতাম তুমি কি করতে? ক্ষমা করতে পারতে আমায় ? নাকি মেরে ফেলতে আমায় ?
মেরিন : …
নীড় : বলো…
মেরিন : …
নীড় : tell me. please …
মেরিন কিছু না বলে নীড়ের হাত থেকে গান নিলো । মেরিন সেই শুরুতে ১বার shoot করতে নিয়েছিলো আর এবার ১বার…
নীড় : এবারের কারনও কি ১ম বারের মতো? উত্তর না দেয়ার মধ্যেই উত্তর …?
মেরিন কিছু বলল না। লোড করে just trigger press করবে এবারও নীড় নিয়ে নিলো।
নীড় : বলেছিলাম না…. তোমাকে মারা বা খুন করার অধিকারও কেবল আর কেবল আমার…
মেরিন : …
নীড় মেরিনের দিকে গান তাক করলো। তবে trigger press করতে করতে গানের মুখেটা আকাশ মুখী করলো। এবার গুলির আওয়াজ হলো। মেরিন ভয় পেয়ে নীড়কে জরিয়ে ধরলো।
নীড় : মিসেস নীড়ের জন্য ভয় পাওয়া হারাম…
মেরিন : …
নীড় : চলো…. বাসায়।

.

রাতে…
মেরিন ঘুমিয়ে আছে । নীড় মেরিনকে দেখছে।
নীড় : তুমি আমাকে ভালোবাসো। কিন্তু তারথেকেও কয়েকগুন বেশি তোমার মা-বাবাকে ভালোবাসো। আমি জানি যে যদি তুমি জানো যে ওরা আমার জন্য মারা গিয়েছে তবে তুমি নিজেকে শেষ করে দিবে… কারন আমায় ভালোবাসো তাই না তো ঘৃণা করতে পারবে আর না তো দূরে যেতে পারবে আর না শাস্তি দিতে পারবে… তাই নিজেকে শেষ করে দিবে। যেটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারবোনা… আবার নিজেকেও শেষ করে দিতে পারছিনা… চোখ জোরা বন্ধ হয়ে গেলে যে আর তোমাকে দেখতে পারবোনা। ভালোবাসতে পারবোনা… তোমাকে দেখার , ভালোবাসার যে বড় লোভ আমার। কিন্তু অপরাধবোধ যে আমায় তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে। না পারছি বাচতে আর না পারছি মরতে…
নীড় উঠে গিয়ে বারান্দায় গেলো। রকিং চেয়ারে বসে সিগারেট ধরালো। কিছুক্ষনপর ঘুমিয়ে পরলো।

মেরিন সকালে উঠে নীড়কে না দেখে অবাক হলো। গিয়ে দেখে নীড় বারান্দায়। এতে মেরিন আরো অবাক হলো। ওরা আরো ২দিন লন্ডন থাকার পর দেশে চলে গেলো। এই ২দিনও নীড় মেরিনের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে। এতেও মেরিন অবাক হয়েছে ।

.

নীড় : am i dreaming? তোরা এই সময়ে এ বাড়িতে?
মেরিন : এতে ড্রিমিং এর কি আছে? থাকতে পারেনা?
নীড় : পারে বাট থাকেনা। এটা ওদের কাছে ১টা পার্ক । বা হোটেল মাঝেসাঝে বেরাতে আসে।
নির্ঝর : দাদাভাইয়া…
নীড় : ভুল কি বললাম? তোরাই বল যে তোরা এমনটা করিস কি করিস না?
নিরব : হ্যা করি। কিন্তু তোমার বিয়ের পর থেকে আমরা সবাই এ বাড়িতেই আছি।
নিপা : আর ভবিষ্যতেও থাকবো ।
নীড় : কাকীমা তুমিও আছো? মহাঅবাক আমি। impress also…
নাহিদ : দাদার order… যে পরিবার একসাথেই থাকবে।
নীড় : good… but…
নীড় ১ভ্রু উচু করে মেরিনের দিকে তাকালো।
মেরিন : এভাবে কি দেখেন?
নীড় : i know my ড্যাডডার্লিং… & i also know you…
মেরিন : ভালো তো ভালো না… huh..
নিপা : এই মেরিন আমার জন্য gift গুলো এনেছো? যেগুলো বলেছিলাম… ?..
মেরিন : কিসের gift…!!!
নিপা : মেরুন….
মেরিন : হাহাহা… এনেছি গো কাকীমা এনেছি। সবার জন্য gift এনেছি।
নিরব : ভাবি love you…
মেরিন : বাবা কোথায়?
নিহাল : এই যে আমি এখানে ।
মেরিন সবার জন্য আনা giftগুলো দিয়ে দিলো। আগে নিহালকে দিলো ।

নীড় মনে মনে : বড়ই অদ্ভুদ তুমি। সবার হুল্লোর দেখে মনে হলো ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছি…।
নিরব : দাদাভাইয়া বউকে আর কতো দেখবা? এতোবছর ধরে দেখেই যাচ্ছো… মন কি ভরে না? হামম হামম…
নীড় নিরবের চুল ধরে ওর মাথা ঝাকানি মারলো ।
নীড় : do you get your answer ?
নিরব : হামমম। ?।

.

মেরিন চুল বাধছে।
নীড় : গিন্নি গিন্নি ভাব… ভালোই তো …
মেরিন : huh…
নীড় : ওই তোমরা মেয়েরা এভাবে মুখ ভেঙাও কিভাবে? মানে এটা কেমন art…
মেরিন : আপনার মতো গন্ডার রা বুঝবেনা…
নীড় : অনেক ত্যারা কথা বলতে শিখে গেছো…
বলেই নীড় মেরিনের দিকে এগিয়ে গেলো। নীড় মেরিনের বাধা চুল খুলে দিলো। এরপর চুলটা হালকা করে ধরে কাছে আনলো ।
মেরিন : …
নীড় : তোমার heartটা অনেক বেশি লাফাচ্ছে ।
নীড় মুখটা মেরিনের সামনে নিতে লাগলো। মেরিন চোখটা বন্ধ করে ফেলল। নীড় বাকা হাসি দিলো। মেরিনের কানের সামনে মুখটা নিলো।
নীড় : তুমি যা ভাবছো আমি তা করবোনা। অন্যকিছু করবো।
মেরিন আহাম্মক হয়ে গেলো। লজ্জাও পেলো। চোখ মেলল।
মেরিন : সরুন…
নীড় : সরবোই তো। তবে…
বলেই নীড় মেরিনের ১পাশের চুল কেটে দিলো… এরপর সরে এলো।
মেরিন : এটা কি করলেন? চুল কাটলেন কেন?
নীড় : তোমাকে লম্বা লম্বা চুলে দেখতে দেখতে বোর হয়ে গিয়েছি new style এ দেখতে ইচ্ছা হলো।
মেরিন : new style ? হ্যা new style ? এটা কেমন style ? অর্ধেক চুল বড় আর অর্ধেক ছোট।
নীড় ১টা হাসি দিয়ে মেরিনকে বসিয়ে দিলো। এরপর ১টা হাসি দিয়ে new hair cut দিলো।
নীড় : look…
মেরিন নিজেকে দেখলো।
মেরিন : আপনি কি কি পারেননা বলুন তো?
নীড় : তোমাকে ভালোনাবেসে থাকতে। good night…
বলেই নীড় গিয়ে শুয়ে পরলো।
মেরিন মনে মনে : শয়তান লোক ১টা।
মেরিনও গাল ফুলিয়ে শুয়ে পরলো।

দিনকাটতে লাগলো। নীড় অদ্ভুদ অদ্ভুদ আচরন করে। কিন্তু মেরিনের সাথে দূরত্ব রেখেই যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে একটু রোমান্টিক হয়ে গেলেও তৎক্ষনাক মেরিনের থেকে দূরে পালিয়ে যায়। মেরিন কিছুই বুঝতে পারেনা। তবে হ্যা ২-৩দিন পরপরই মেরিনের হাতের বিরিয়ানি নীড়ে চাইই চাই।

.

বেশকিছুদিনপর …
মেরিন : আমি কি কোন ভুল করেছি? যে কারনে নীড় আমার ওপর রেগে আছে । তা না হলে নীড় কেন আমার থেকে দূরে দূরে থাকে।
এসব ভাবতে ভাবতে মেরিন কাবার্ড গোছাচ্ছিলো। তখন নীড়ের ডাইরীটা ওর চোখের সামনে পরলো।
মেরিন : এটা … কোথায় যেন দেখেছি? কোথায় কোথায় কোথায়… হ্যা মনে পরেছে। এটা তো নীড়ের ডাইরী। কি আছে এটাতে?
ডাইরীটা খুলতে গিয়ে মেরিন বুঝলো যে password protected …
মেরিন : ডাইরীতে password দেয়া? আজব তো। কি আছে এই ডাইরীতে? কি হতে পারে এটার password ?
তখন নীড় এসে ছো মেরে ডাইরীটা নিয়ে নিলো । চোখে মুখে কি রাগ।
নীড় : আমার ডাইরী ধরেছো কোন সাহসে? হ্যা বলো…
মেরিন : আআআমি ইচ্ছা করে এটা হাতে নেইনি। কাবার্ড গোছাতে গগগিয়ে সামনে পরেছে ।
নীড় : কোন সাহসে কাবার্ড গোছাতে গিয়েছো? যা মন চায় তোমার ওই পার্টটাতে করবে.. আমার কাবার্ডে হাত দিয়েছো কেন? আর কখনো আমার কাবার্ডে হাত দিবানা…
মেরিন : আআআপনি এএএমন করছেন কেন? এটা তো just ১টা ডাইরী। আপ…
নীড় : shut up… just shut up… আর কখনো এই ডাইরীতে হাত দিবেনা । infact হাত দেয়া তো দূরের কথা … এই ডাইরীর নাম মুখে নিলেও জানে মেরে ফেলবো। কথাটা মাথায় রেখো …. বউ বউয়ের মতো থাকবা গোয়েন্দাগিরি করবানা। আর আমার বিষয়ে নাক তো একদমই গলাবা না। you have no right…got it…?
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো । এদিকে নীড়ের গর্জনে সবাই ছুটে এসেছে । নীড়ের বলা সব কথাই সবাই শুনেছে । মেরিনও গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো।

মেরিন drive করছে চোখের পানি মুছতেছে ।
মেরিন : আজকে আপনি আমাকে আমার আসল জায়গা দেখিয়ে দিয়েছেন নীড় … আজকে বুঝে গিয়েছি আপনি কেন এমন করছেন বিয়ের পর থেকে… আপনার জীবনে বিয়ে বা বউ কোনোটারই কোনো মূল্য নেই । না কোনো সম্পর্কের মূল্য আছে। আপনি কেবল মেয়েদের সাথে ফুর্তি করতেই ভালোবাসেন । কাউকে ভালোবাসতে আপনি জানেননা…. তবে যে ডাইরীর জন্য আজকে আপনি এমন আচরন করলেন … সেই ডাইরীর রহস্য তো আমি আজ না হয় কাল ভেদ করবোই । গোয়েন্দাগিরি করতে নিষেধ করেছেন তো…. এরপর বুঝবেন যে গোয়েন্দাগিরি কাকে বলে? এখন থেকে আমার কাজই নীড় নামের ধাধার সমাধান করা ।

.

২দিনপর …
নীড় বাসায় ফিরলো।
নিহাল : কি দরকার ছিলো বাসায় ফেরার? বাসায় ফেরার তো কােনো কারনই নেই ।
নীড় কোনো জবাব না দিয়ে নীড় সোজা রুমে গেলো । গিয়ে দেখে মেরিন বারান্দায় দারিয়ে আছে । সোজা গিয়ে ওকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো ।
মেরিন : …
নীড় মেরিনের ঘাড়ে ১টা কিস করলো।
নীড় : যাও আমার জন্য বিরিয়ানি রান্না করে আনো।
কথাটা শুনেই মেরিন যেতে নিলো।
নীড় : কোথায় যাচ্ছো?
মেরিন : না গেলে বিরিয়ানি কি আপনার কোনো girlfriend এসে রান্না করবে?
নীড় হাত ছেরে দিলো। মেরিন গিয়ে রান্না করে আনলো ।

মেরিন : নিন…
নীড় : খাইয়ে দাও।
মেরিন খাইয়ে দিতে নিলো।
নীড় : ন্যাহ। চামচ দিয়ে না। হাত দিয়ে খাইয়ে দাও।
মেরিন খাইয়ে দিলো। এরপর ওগুলো নিয়ে রান্নাঘরে রাখতে যেতে নিলে নীড় হাত ধরে বেডে ফেলল। এরপর মেরিনের গলায় মুখ গুজলো। মেরিন সাংঘাতিক অবাক হলো। এরপর নীড় মেরিনকে ছেরে দিয়ে blanket মুরি দিয়ে শুয়ে পরলো। মেরিনের ইচ্ছা করছে নীড়কে টেনে ছাদে নিয়ে যেতে। এরপর ওখান থেকে ফেলে দিতে।

.

পরদিন…
নীড় : তুমি আমাকে এভাবে কেন দেখছো?
মেরিন : কিছু বলতে পারি?
নীড় : তুমি permission নিচ্ছো কেন?
মেরিন : আমার তো নিঃশ্বাস নেয়ার আগেও আপনার permission নেয়া দরকার ।
নীড় : কোনো বিষয়ে কোনো permission নেয়ার প্রয়োজন নেই।
মেরিন : না আসলে কালকে কাকীমার birthday … ছোট্ট ১টা surprise party arrange করতে পারি…?
নীড় : এটাতে permission নেয়ার কি আছে? এই বাড়ি তোমার… পরিবার তোমার ।
মেরিন : কিছুই আমার না ।
নীড় : রেগে আছো।
মেরিন : তাতে আপনার কিছু যায় আসে?
নীড় : ন্যাহ।

.

১৫দিনপর…
ভোরের দিকে মেরিনের ঘুম ভেঙে গেলো। নীড়কে চলে যেতে দেখলো । ওর পেছনটা দেখলো। মেরিন অবাক হলো। কারন আজকেও নীড় সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরা।
মেরিন : নীড় তো এমন dress up করেনা। এটা সেদিনের মতো যেদিন আমি নীড়কে প্রথম দেখেছিলাম… দেখতে হয় তো…
মেরিন নীড়ের পিছু নিলো। নীড় আজও রমনায় গেলো । গিয়ে সেই দোলনাটাতেই বসলো। দোল খেতে লাগলো। আর হাসতে লাগলো। মেরিন মনে করে দেখলো যে সেই দিনও নীড় এমন করেছিলো। আর ওর সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে নীড় এই দিনটায় গায়েব থাকতো।
মেরিন মনে মনে : তো প্রতি বছর এই তারিখে নীড় এখানেই আসে? কি আছে এই তারিখে?

নীড় প্রায় সারাদিন ওখানেই কাটালো। এরপর চলে গেলো।

মেরিন : কি আছে এই তারিখে? i need to know … কিন্তু কিভাবে জানবো?

মেরিন বাসায় গেলো। নিজের রুমে যাওয়ার সময় দেখলো যে নিহাল ১টা ছবি হাতে নিয়ে বসে আছে। চোখে পানি…
নিহাল : happy birthday নীলি…

মেরিন : happy birthday নীলি…? এরমানে আজকে নীলিমা আন্টির birthday ?

.

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here