সাইকো_নীড় part : 25

0
431

#সাইকো_নীড়
part : 25
writer : Mohona

.

নীড় : আমিই তবে খুনী …
ড্যানি : নীড় বাবা …
নিহাল পিছে ঘুরলো।
নিহাল : নননীড় .. শো…
নীড় কোন কথা না বলে দ্রুত গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
নিহাল : নীড়… আমার ছেলেটা কিছু করে না ফেলে… ড্যানি গাড়ি…
ড্যানি : জী স্যার।
নিহাল আর ড্যানিও নীড়ের পিছে ছুটলো। কিন্তু ততোক্ষনে নীড় ওদের নাগালের বাহিরে চলে গেলো ।

নীড় উন্মাদের মতো drive করছে । ও কেবলের সেইদিনের মেরিনকে কল্পনা করছে। যেদিন কবির-কনিকা মারা গিয়েছিলো । আর তার আগের রাতে মেরিনের সাথে করা জঘন্য ব্যাবহার … মেরিনের কষ্টের জন্য ও দায়ী … সেদিন ঠিকই বলেছিলো মেরিন যে ও অভিশাপ। মেরিনের জীবনের অভিশাপ …
নীড় : আআআমি খুনী … আমি খুনা … আমি শশুড়ড্যাড-শাশুড়িমমের খুনী… আমি মেরিনের সুখের খুনী … আল্লাহ … আমার জন্য মেরিন আর কখনো আম্মু-বাবা বলে ডাকতে পারবেনা…. আমি এতোটা খারাপ.. ছিঃ ছিঃ… আমি বেচে আছি কেন…

বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাতে চালাতে গিয়ে সামনের দিক থেকে আসতে থাকা গাড়ির সাথে accident হতে নেয়। নীড় তারাতারি গাড়ি ঘুরিয়ে নেয়। গাছের সাথে বারি খায় …
নীড় গাড়ি থেকে বের হলো ।
নীড় আকাশের দিকে মুখ করলো। তখন নিহাল-ড্যানি এলো।
নিহাল : নীড়… সোনাবাচ্চাটা আমার…
নীড় : ছুয়োনা বাবা আমাকে। আমি খুনী… আহমি খুনী …
নিহাল : বাবা বাবা বাবা … it was just an accident …
নীড় : না ড্যাড না… ওটা accident ছিলোনা। murder … হ্যা হ্যা murder ….
নিহাল : না…
নীড় : হ্যা… হ্যা । তুমি জানোনা সেদিনের ঘটনা… আমি হিংস্র পশু হয়ে গিয়েছিলাম। কতোটা পাষাণ হয়ে গিয়েছিলাম তা আমি জানি… শুধু আমি জানি…. ওটা তো তাও car accident ছিলো। তা না হলেও সেদিন ওরা আমার হাতেই খুন হতো। হ্যা ড্যাড হ্যা। খুন হতো … যেভাবেই হোক আমার হাতেই ওদের মৃত্যু… হ্যা… আমি খুনী… আমার বেচে থাকার কোন অধিকার নেই ….
বলেই নীড় ১ঘুষি মেরে গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলল।

নিহাল : নীড়… নীড় … দেখো ড্যাডডার্লিং এর কথা শোনো… যা হবার তাতো হয়ে গিয়েছে … সেটাতো পাল্টাতে পারবোনা … প্লিজ পাগলামী করোনা …
নীড় : হাহাহা … পাগলামী? পাগলামির জন্যেই তো আমি… মেরিন জানলে ও নিজেকে শেষ করে দিবে। যেটা আমি দেখতে পারবোনা। সহ্যসীমার বাহিরে সেটা আমার । এর থেকে আমি আগেই নিজেকে শেষ করে দেই ।

নিহাল : নীড় শান্ত হও। তোমার কিছু হয়ে গেলে মেরিনের কি হবে? মা-বাবা ২জনকেই হারিয়েছে … এখন যদি তুমিও নিজেকে শেষ করে দাও তাহলে মেয়েটা কি করবে? মরে যাবে ও… সমাজের মানুষ ওকে চোখ দিয়ে চিরে খাবে … হাজার কথা শোনাবে … বাচতে পারবেনা ।
নীড় : বুঝতে পারছোনা বাবা… মেরিন জানলে ও নি…
নিহাল : কিচ্ছু জানবে না মেরিন। বললাম তো কিচ্ছু জানবেনা মেরিন। বোঝার চেষ্টা করো। তোমাকে বাচতে হবে মেরিনের জন্য…
নীড় : মেরিন না জানলে কি হয়েছে বাবা … আমি তো জানি। আমি এই পাপের বোঝা মাথায় নিয়ে কি করে থাকবো?
নিহাল : ভুলে যাও। কেন বুঝতে পারছোনা যে ওটা কেবলমাত্র accident … ভুলে যাও…
নীড় : কিভাবে ভুলে যাবো বাবা… কিভাবে… আমি যে ওয়াদাবদ্ধ… কিভাবে আয়নায় নিজেকে দেখবো? কিভাবে….

.

ওদিকে …
মেরিন : কতো রাত হয়ে গিয়েছে । নীড় কোথায়? ঠিক আছে তো উনি? কাউকে ডেকে জিজ্ঞেস করবো? কিন্তু কাকে ডাকবো…? ছিঃ ছিঃ সবাই কি ভাববে ? বসেই থাকি। মনে হয় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। কিন্তু ভীষন ঘুম যে পাচ্ছে। এক কাজ করি একটু হাটাহাটি করি । কিন্ত এতো ভারি dress পরে বসে থাকাই কষ্টকর আর হাটা … ধ্যাত বসেই থাকি …

মেরিন নীড়ের জন্য বসেই আছে। অপেক্ষা করতে করতে মেরিন ঘুমিয়ে গেলো।

.

সকালে…
মেরিনের ঘুম ভাঙলো দরজা খোলার শব্দে । মেরিন উঠে বসলো। দেখলো নীড় washroom থেকে বের হলো। মোটামোটি রেডি হয়ে। মেরিন ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে ১০টা বাজে। নীড় মেরিনের দিকে না তাকিয়ে সোজা ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে টাই বাধতে ব্যাস্ত হয়ে পরলো। মেরিন বেড থেকে নামলো।
মেরিন : আপনি রাতে কোথায় ছিলেন?
নীড় : কাজে।
নীড়ের কন্ঠ শুনে মেরিন অবাক হলো । ভিন্নরকম শোনাচ্ছে।
মেরিন : কাজ ?
নীড় : হামম।
মেরিন : এখন যে রেডি হচ্ছেন… কোথাও যাবেন?
নীড় : হামম।
মেরিন : কোথায় যাচ্ছেন?
নীড় : লন্ডন ।
মেরিন : হঠাৎ আজকেই…?
নীড় : জরুরী মিটিং আছে।
মেরিন : oh… কবে ফিরবেন?
নীড় : আপাদত বলতে পারিনা। ৩মাসও লাগতে পারে, আবার ৬মাসও লাগতে পারে ।
মেরিন : ওহ…
নীড় :ওই ড্রয়ারটাতে ৩-৪টা blank চেকবুক আছে। signature করা আছে। যখন যতো টাকা দরকার হয় তুলে নিও। সেই সাথে কয়েকটা ক্রেডিট কার্ডও আছে। সেগুলোও ফিল করা। ব্যাবহার করা..
সব কথা নীড় আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়েই বলল। ১টা বারের জন্যও মেরিনের দিকে তাকালো না। টাই বেধে ব্লেজারটা পরে নিলো।
মেরিন : happy journey …
নীড় : নিজের খেয়াল রেখো…
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো। মেরিন নীড়ের যাওয়ার দিকে অদ্ভুদভাবে তাকিয়ে রইলো। ছুটে বারান্দায় গেলো। নীড় গাড়িতে বসে চলে গেলো। ধীরে ধীরে গাড়িটা অদৃশ্য হয়ে গেলো। মেরিন ১টা লম্বা নিঃশ্বাস ছারলো। নীড়ের আচরন বরাবরই ওকে অবাক করে। কারন নীড় কখনোই ওর আশা অনুযায়ী আচরন করেনা। নীড় নিজের মতোই ব্যাতিক্রম। তবে আজকের মতো মেরিন কোনদিনও অবাক হয়নি ।
মেরিন : কেন যেন মনে হলো নীড় আমাকে ignore করলো… আমি কি আবার কোন কারনে উনাকে রাগিয়ে দিয়েছি…? মেরিন… বেশি বুঝিস তুই। নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ন কোনো কাজ আছে তাই চলে গেলো। তা না হলে কি আজকে যেতো…

তখন নিপা দরজায় নক করলো।
মেরিন : আরে কাকীমা এসো….
নিপা : তোমার জন্য নাস্তা নিয়ে এলাম।
মেরিন : তুমি কষ্ট করতে গেলে কেন? আমি fresh হয়ে এখনই আসছিলাম…

নীড় : জানি অবাক হয়েছো … হয়তো কষ্টও পেয়েছো অনের আজকের আচরনে। কিন্তু তোমার থেকে হাজারগুন কষ্ট যে আমার হচ্ছে … হবে তোমাকে ছেরে থাকতে…তোমার থেকে দূরে থাকতে … যেই রাতের জন্য এতোদিন অপেক্ষা করেছি সেটা যে আমার জীবনের অভিশপ্ত রাত হবে ভাবতেও পারিনি … আমার সাহস হচ্ছে না তোমার মোকাবেলা করার… তোমার জীবনের সব থেকে বড় সুখ কেরে নিয়েছে। তোমাকে বিষাদের সাগরে ডুবিয়েছি … তোমার কসম খেয়ে বলেছিলাম যে তাকে শাস্তি দিবো যে দায়ী… ভাবতেও পারিনি যে অপরাধী আমি হবো। নিজেকে শেষই করে দিতাম… কিন্তু এতে তুমি অসহায় হয়ে পরতে । তাই তোমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছি … যার থেকে বড় শাস্তি আমার জন্য আর কিছুই নেই… আমার জানটা চলে গেলেও হয়তো এতো কষ্ট হতো না। যতোটা তোমার থেকে দূরে থেকে হবে… তোমাকে না দেখে হবে … হয়তো তোমারও কষ্ট হবে… তবে এটা তোমার জন্য কেবল কষ্ট আর আমার জন্য কেয়ামত …

নীড় লন্ডন পৌছে নিহালকে জানিয়ে দিলো যে ও পৌছে গিয়েছে …

.

৩দিনপর …
সব মেহমানই চলে গিয়েছে। বাসায় কেবল নিহাল , দীপ্ত , নাহিদ ,ড্যানি , নির্ঝর আর নিরব আছে ।
নিহাল : আমার মামনিটাতো রান্না করতে পারেনা… নিপা … আজকের জন্য মিষ্টি জাতীয় কিছু তুমিই রান্না করো…
নিপা : আমি দাদাভাই… ?…
নিহাল : হ্যা করোনা প্লিজ । আজকের দিনে তো নতুন বউ রান্না করে… মামনি যেহেতু পারেনা… তুমিই করো…
মেরিন : বাবা। আমি রান্না করি… পায়েস।
সবাই আতঙ্কিতো চোখে মেরিনের দিকে তাকালো। কারন মেরিনের হাতের সেই কুখ্যাত বিরিয়ানির স্বাদ এখনও কেউ ভোলেনি । মুখ থেকে বেরই হয়নি হারপিক দিয়ে মুখ ধুলেও হয়তো যাবেনা…

সবাই : না… ???
দীপ্ত : না মানে মামনি… তোমার রান্নাঘরে যাওয়ার দরকার নেই… ১৯/২০ হলে নীড় কি করবে তা কেউ জানেনা… ?।। কি বলো দুলাভাইয়া…
নিহাল : হহহ্যা… ?…
মেরিন : না না নীড় কিছু বলবেনা… rules তো follow করতে হয়… আর ভয় পেতে হবেনা। আমি পায়েস রান্না করতে পারি । at least খাওয়া যায় অমনটাতো রান্না করতে পারি। মানে তেমন ১টা জঘন্য হয়না। নীড়ই শিখিয়েছে… বাবা রান্না করি?
নিহাল ১টা ঢোক গিলল। ভয়ে ভয়ে
বলল : ok… করো…
মনে মনে : আল্লাহ বাচিও…
মেরিন : thank you বাবা।
মেরিন খুশি হয়ে রান্নাঘরে গেলো।

নিরব : বড়বাবা… এটা কি করলা? ভাবির হাতের রান্নার থেকে তো ফিনাইল খাওয়া ভালো…
দীপ্ত : দুলাভাই… এভাবে জানে মারবা..
নাহিদ : দাদা… আমি বরং অফিসে যাই… কাজ আছে।
নির্ঝর : আমিও গেলাম।
নিপা : আমারও সেমিনার আছে।
নিহাল : দারাও কেউ কোথাও যাবেনা … সবাইকে থাকতে হবে আর মেরিনের হাতের পায়েসও খেতে হবে… ?…
সবাই : no…
নিহাল : ভুলে যেওনা। ও নীড়ের বউ… নীড় যদি জানে যে ওর বউয়ের হাতের পায়েস খাওনি… তবে একেকজনকে একেকভাবে লটকাবে…
সবাই ভয় পেলো।

দীপ্ত : এভাবে ফাসিয়ে দিলে..
নিহাল : আমি নিজেই ফেসে গিয়েছি ।
দীপ্ত : ok fine… তবে শূলে আগে তোমাকেই চরতে হবে।
নিহাল : কেন?
সবাই : কারন তুমিই permission দিয়েছো…
নিহাল : ইন্নানিল্লাহ….

.

মেরিন খুব সাবধানে ভালোবেসে সবার জন্য ভয়ে ভয়ে পায়েস রান্না করলো।
মেরিন : চেহারা-ছবিতো ভালোই লাগছে। আল্লাহ খেতেও যেন ঠিকঠাক হয়… প্লিজ প্লিজ…
মেরিন পায়েস নিয়ে টেবিলে রাখলো। সবার হাতে হাতে দিলো। সবাই মুখের ব্যান্ড বেজে আছে।
দীপ্ত : দুলাভাই সবার বড়। তাই দুলাভাই আগে টেস্ট করবে। কি বলো সবাই ?
সবাই : হ্যা ঠিক ঠিক …
নিহাল ভয়ে ভয়ে মুখে দিতে নিলো । মেরিন চোখ বন্ধ করে আঙ্গুল ক্রস করে আছে । নিহাল মুখে নিলো।
দীপ্ত ইশারা দিয়ে জিজ্ঞেস করলো যে খাওয়া যাবে কিনা ?
নিহাল : খেয়ে দেখো… ?…
সবাই ভয়ে ভয়ে মুখে দিলো। তবে ভয়ংকর না চমৎকার হয়েছে ।
মেরিন : ককেমন হয়েছে!!!
নিহাল : ফাটাফাটি হয়েছে…
নিরব : delicious ভাবি…
নির্ঝর : অমৃত।
সবাই তারিফ করতে লাগলো । মেরিনের ভীষন ভালো লাগলো। কেন যেন বিশ্বাসই হচ্ছেনা ।
মেরিন : তোমরা আমাকে খুশি করার জন্য বলছোনা তো…
নির্ঝর : ভাবি … দারাও একটু টেস্ট করে দেখো ।
নির্ঝর মেরিনকে খাইয়ে দিলো। আসলেই ভালো হয়েছে ।
নির্ঝর : কি সত্যি তো?
মেরিন ১টা হাসি দিলো ।
নিরব : আমরা না ভাবি সত্যি আতঙ্কে পরে গিয়েছিলাম …?।।
খাবার টেবিলে মোটামোটি এক উৎসবমুখর পরিবেশ হয়ে গেলো। তবে এই আনন্দের মাঝে নিহালের চোখের কোন থাকা পানি মেরিনের চোখ এরালোনা।
মেরিন মনে মনে : একি… বাবার চোখে পানি কেন?

.

রাতে…
মেরিন : বাবা আসবো?
নিহাল : আরে মামনি আসো।
নিহাল দেখলো মেরিনের হাতে ট্রে। তাতে পানির গ্লাস আর ওর মেডিসিনস ।
নিহাল : মামনি তুমি এগুলো…
মেরিন : ড্যানি আংকেলই আনছিলো। আমি নিয়ে নিলাম।
নিহাল : তুমি কষ্ট করতে গেলে কেন ?
মেরিন : কষ্ট? বারে বাবাকে মেডিসিন দিবো এতে কষ্টের কি? বাবাকেও তো রোজ রাতে আমিই মেডিসিন দিতাম । না হলে খেতোই না… এখন খেয়ে নাও তো ।
নিহাল খেলো।
মেরিন : বাবা ১টা কথা জিজ্ঞেস করি?
নিহাল : করো।
মেরিন : তখন তোমার চোখে পানি দেখলাম। কি হয়েছে? কোন সমস্যা?
নিহাল : পানিটা সুখ এবং দুঃখ ২টারই …
মেরিন : মানে?
নিহাল : মানেটা হলো এইযে …. আজকে সবাই একসাথে বসে খাবার খেলাম। ১টা অন্যরকম আনন্দের ছিলো মুহুর্তটা। ইচ্ছা করছিলো সময়টাকে আটকে দেই… আর দুঃখ… দুঃখটা হলো এই যে … কাল অথবা পরশু আবার সব আগের মতো হয়ে যাবে। সবাই আলাদা আলাদা … আবার কবে এমন দিন আসবে জানিনা…
মেরিন : কেন আলাদা থাকবে কেন? তুমি আলাদা হতে দাও কেন? সবাইকে order দিতে পারোনা একসাথে থাকার …
নিহাল : কারো ইচ্ছার ওপর জোর করার অধিকার আমার নেই। সবার independently জীবনযাপন করার অধিকার আছে …
মেরিন : বাবা… we should think & live independently but… we need to stay with our family … পরিবার পরিবারই হয়।
নিহাল : কিন্তু …
মেরিন : কোন কিন্তুনা। তুমি কালই আদেশ জারী করবে । say yes…
নিহাল মুচকি হেসে
বলল : yes…
মেরিন নিজের রুমে চলে গেলো।

.

মেরিন রুমে বসে আছে।
মেরিন : সবই ঠিক আছে। শুধু আপনার অভাব নীড়… কবে আপনার কাজ শেষ হবে? আপনি যে অনেক ব্যাস্ত সেটা ভালোভাবেই বুঝতে পারছি… তাইতো ফোন করছেন না… এমনকি আমারটাও রিসিভ করছেননা।
তখন ওর মোবাইলটা বেজে উঠলো। নীড়ের নামটা ভেসে উঠলো। মেরিনের মুখে হাসি উঠলো।
মেরিন : হ্যালো…
নীড় : হামম। ভালো আছো?
মেরিন : হামম। আপনি ভালো আছেন ?
নীড় : হামমম। পায়েস রান্না করতে গেলে কেন? কোথায় পুরে টুরে গেলে কি হতো? এখন কি আমি ওখানে আছি?
মেরিন : বারে আমার পরিবারের জন্য আমি এতোটুকু করবোনা?
নীড় : হামম। কিন্তু আর কিচেনে যাওয়ার দরকার নেই। বুঝেছো?
মেরিন : হামমম। নীড়…
নীড় : বলো …
মেরিন : i am missing you very badly …
নীড় : হামম।
মেরিন : just হামম?
নীড় : আচ্ছা রাখছি…
মেরিন : এই শু… যা রেখে দিলো…? ধ্যাত আমার অমন #সাইকো_নীড়টা এমন হয়ে গেলো কেন? বোরিং…

নীড় ছুরিটা হাতে মুঠোয় রেখে মেরিনের সাথে কথা বলছিলো । হাত থেকে রক্ত পরছে।
নীড় : তোমাকে হারাতে পারবোনা…. তোমার কিছু হয়ে গেলে …. সেটা মেনে নিতে পারবোনা … তাই নিজেকে শাস্তি দিবো….ভালোবাসি তোমাকে snow white … খুব বেশিই ভালোবাসি….

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here