সাইকো_নীড় part : 23

0
436

#সাইকো_নীড়
part : 23
writer : Mohona

.

নীড় : খুব বেশি ব্যাথা করছে?
মেরিন : …
নীড় : দেখো silent mode আমার ভালো লাগেনা…
মেরিন : কি ভালো লাগে আপনার ?
নীড় : তোমাকে শুধুই তোমাকে …
মেরিন : ???
নীড় : দেখি উপুর হও।
মেরিন : না। আপনি আবার আমার ব্যাথাতে ব্যাথা দিবেন ।
নীড় : ১টা থাপ্পর দিবো । তোমাকে বলাই ভুল হয়েছে।
বলেই নীড় মেরিনকে উপুর করিয়ে শুইয়ে দিলো ।
মেরিন : নীড়… না। প্লিজ …
নীড় কোনো কথা না বলে আগের মতোই কাজ করলো।
মেরিন : আহ… আপনি আব…
নীড় : খেয়াল করে দেখো তোমার ব্যাথা চলে গিয়েছে।
মেরিন : আপনি বললেই হবে? আমার ব্যাথা আমি জানিনা?
নীড় নিজে দারিয়ে মেরিনকেও ১টানে দার করালো ।
মেরিন : মাগো ব্যা…. একি ব্যাথা তো সত্যিই চলে গিয়েছে …
নীড় : খুব তারাতারি বুঝলে। এখন যাও গিয়ে আমার জন্য রান্না করে আনো।
মেরিন : পারবোনা।
নীড় : এই দেখো বউদের মতো ন্যাকামো করবা না…
মেরিন : শুনুন না… মিস্টার র…
মেরিন আর বলতে পারলো না। নীড় মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো ।

নীড় : যাও রান্না করতে যাও …
মেরিন ঠোট মুছতে মুছতে চলে গেলো ।

.

মেরিন : কিছু হলেই এই নীড়মহলে নিয়ে আসে । কেমন ভূতুরে রাজমহলের মতো। এই যা এটা তো জিজ্ঞেসই করলাম না যে কি খাবে?

মেরিন আবার নীড়ের রুমে গেলো।
মেরিন : নী…

নীড় ভাবতেও পারেনি যে মেরিন এখন আবার রুমে আসবে। তাই কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। কারন ও ওর ডাইরী লিখছিলো … মেরিনকে দেখে ডাইরীটা নিজের পিছে লুকালো…
নীড় অবাক চোখে নীড়কে দেখছে ।
মেরিন : কি হয়েছে ? কি লুকাচ্ছেন?
নীড় ভরকে যাওয়া কন্ঠে
বলল : তোমাকে না রান্নাঘরে যেতে বললাম… এখানে কি করছো? ?
মেরিন ভয়ে ভয়ে
বলল : ননা মানে কি খাবেন তততাই জানতে এসেছিলাম…
নীড় : common sense নেই রুমে নক করে ঢোকার… ? ?.bloody fool… জানোনা আমি কি খাই? third class মেয়ে ১টা । বেয়াদব অসভ্য মেয়ে। যাও রান্নাঘরে যাও। যার যা status …

বলেই নীড় washroom এ চলে গেলো । আর নীড়ের এমন আচরনে মেরিন অনেক কষ্ট পেলো। চোখে পানি চলে এলো। হাত দিয়ে পানিটা মুছে ফেলে রান্না ঘরে গেলো । এরপর বিরিয়ানী , খিচুরী আর গরুর মাংস টারই আয়োজন করলো। কারন নীড় এই পর্যন্ত এগুলোই ওকে দিয়ে রান্না করিয়েছে । তাই এগুলোই রান্না করবে।

নীড়ের সেদিন রাতের আচরনের থেকে আজকের কথাগুলো মেরিনকে অনেক বেশি কষ্ট দিয়েছে। চোখের পানি গুলো ঝরে পরার জন্য অপেক্ষা করছে …
তখন নীড় এসে পেছন থেকে ওকে জরিয়ে ধরলো । এরপর ওর গালের সাথে নিজের গালটা আস্তে করে ঘষে নিলো।
নীড় : চোখে পানি কেন? কান্না করছিলে?
মেরিন : …
নীড় : রাগ করছো?
মেরিন : …
নীড় : কি রান্না করছো?
মেরিন : …
নীড় : এই তুমি কি বিরিয়ানী আর ভুনা খিচুরী ২টাই রান্না করবে? পাগল নাকি? এতো কষ্ট করতে হবেনা। just বিরিয়ানি রান্না করলেই হবে।
বলেই মেরিনের গালে কিস করলো।
নীড় : by the way… বিরিয়ানিতে কি বিষ টিষ মিশাবে নাকি??? ?।
মেরিন : …
নীড় : আসলে আমি ওভাবে মিন করতে চাইনি। তখন ওভাবে তোমাকে দেখে….
মেরিন : ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন….
নীড় : মমমানে….
মেরিন : মানে টা কি আপনি ভালোমতো জানেন না?
নীড় : …
মেরিন : সেই ডাইরীটা তো …
কথাটা শুনে নীড়ের কপালে ভাজ পরলো।
মেরিন : হয়তো সেই ডাইরীটা আপনার সব অপকর্মের সাক্ষী এবং প্রমান। তাইজন্য এতো লুকোচুরি …
নীড় মুচকি হেসে
বলল : yes my sweet snow white.. hey sweet… আমার জন্য আজকে পায়েস রান্না করোনা ।
মেরিন : পারিনা।
নীড় : ভীষন সহজ। আমি দেখিয়ে দিচ্ছি … ২জন মিলে রোমান্টিক পায়েস রান্না করি।
মেরিন : ?।

.

নীড় মেরিনকে বাসায় পৌছে দিতে গেলো। গিয়ে দেখে ওখানে নীলিমা দারিয়ে আছে।
মেরিন : আন্টি আপনি?
নীলিমা ঠাস করে নীড়কে থাপ্পর মারলো।
নীলিমা : কবে ভালো হবে তুমি ? অন্তত এই মেয়েটার জন্যও তো নিজেকে পাল্টাতে পারো। তোমাকে তো কিছু বলাই বেকার । আর এই যে তুমি মেয়ে … কেন দেখা করতে চেয়েছিলে নাবিলের সাথে? তোমার জন্য আজকে ছেলেটা হসপিটালে।
মেরিন : আন্টি …
নীলিমা : don’t call me আন্টি।। তোম…
নীড় ১টা তার দিয়ে নীলিমার গলা পেচিয়ে ধরলো।
নীড় : সাহস খুব বেরে গিয়ে গিয়েছে না…? আমার সামনে আমার snow white কে চোখ রাঙানো? আঙুল তোলা… জানে মেরে দিবো।
মেরিন : oh no…. নীড় ছারুন । কি করছেন কি ? ছারুন…. নীড়…
মেরিন অনেক কষ্ট করে নীলিমাকে ছারালো।
মেরিন : আন্টি আপনি ঠিক আছেন?
নীড় : let her die….
মেরিন : একদম চুপ করুন….
মেরিন নীলিমাকে ভেতরে নিয়ে গেলো। নীলিমা একটু স্বাভাবিক হওয়ার পর চলে গেলো।

.

মেরিন : আপনি সত্যিই মিস্টার রায়হানের accident করিয়েছেন?
নীড় : হ্যা। তো?
মেরিন : নীড় আপনি এমন কেন? মানুষের জীবন নিয়ে কেন ছিনিমিনি খেলেন?
নীড় : তুমি তো altime আমার দোষই দেখবা… তাইনা? আর ও যে আগে আমার সব কেরে নিয়েছে আব এখন আবার নতুন করে তোমাকে কেরে নেয়ার plan করছে তারবেলা?
মেরিন : nothing like that নীড়… আর এমন তো না যে মিস্টার রায়হানের entry এর আগে আপনাকে like করতাম… আমি আগেও আপনাকে ঘৃণা করতাম , এখ…। এখনও কককরি আর যতোদিন বেচে আছি ততোদিন করে যাবো। আপনি আমার জীবনের একমাত্র অভিশাপ… আপনি কারো ভালোবাসাতো দূরের কথা … কারো ঘৃণার যোগ্যও না।
বলেই মেরিন নিজের রুমে চলে যেতে নিলো। নীড় টেনে সামনে আনলো।
নীড় : এই তুমি সত্যিই আমাকে আগেও ঘৃণা করতে!!! but তুমি না ১দিন বলেছিলে যে আমার জন্য তোমার করুন হয় …
মেরিন : ?…
নীড় : ok… my snow white …. ঘুমিয়ে পরো। কালকে বড় বড় ধামাকা হবে…
মেরিন : মানে?
নীড় : মানে কিছুনা । এখন ঘুমাও …
মেরিন : হয়ে গেলো..
নীড় : কি …?
মেরিন : আর আবার কি …ঘুম…
নীড় : হাহাহা…
⛈️⛈️⛈️
]

.

বর্তমান …
আকরাম : মিস মেরিন …
দীপ্ত : স্যার ও মিসেস মেরিন। মিসের মেরিন বন্যা খান চৌধুরী… uffs নীড় চৌধুরী …
আকরাম : oh… তো ইনিই তিনি যার মাথায় ওই খুনীটা খুন করতে চেয়েছিলো … কিভাবে আবার তার treatment এর দায়িত্ব নিয়েছেন?
মেরিন : …
আকরাম : anyway … patient কে patient এর মতোই treat করবেন প্লিজ …
বলেই ডক্টর আকরাম চলে গেলো।

মেরিন : লোকটা বেজায় খিটখিটে…
দীপ্ত : হামম।
মেরিন : মামা… নীড় কি খেতে পছন্দ করে?
কথাটা শুনে দীপ্তর কপালে ভাজ পরলো।
মেরিন মনে মনে : এভাবে তাকালো কেন ?
মেরিন : কি হয়েছে মামা ?
দীপ্ত : নীড় কি খেতে পছন্দ করে সেটা তুমি জানোনা? like really ?
মেরিন মনে মনে : জানবো কি করে…. কি বলবো এখন?
মেরিন : মামা… নীড় … নামটাই ১টা অজানা রহস্য । ওকে হয়তো কখনোই আমি বুঝতে পারিনি… হয়তো পারবোও না… ও যে আমার কাছে অজানা।
দীপ্ত : হামম ঠিক বলেছো। ওর কোনো কথার , কাজের কারন খুজে পাওয়া অসম্ভব। ওকে বিশ্বাস করাও অসম্ভব। ওর কি সত্য কি মিথ্যা তাও জানা অসম্ভব। তবে কি জানো? তোমাকে ভালোবাসাটাই ওর ব্যাপারে শতভাগ সত্য। so… নীড় যেটা বলতো সেটাই সত্যি …. “snow white এর হাতের বিরিয়ানিই আমার কাছে অমৃতের থেকেও মূল্যবান ।” …
মেরিন মনে মনে : বলে কি? আমি তো রান্নাই করতে পারিনা…
দীপ্ত : ওর snow white ই ওর সব।
মেরিন মনে মনে : snow white টা কে?
দীপ্ত : সত্যি অবাক লাগে তোমার হাতের সব রান্নাই ওর favorite ছিলো। তবে বিরিয়ানিটা …. পাগলটা।

তখন দীপ্তর ডাক পরলো। ও চলে গেলো ।
মেরিন : কি হচ্ছে এসব? রান্না কবে করলাম আমি ? তাও বিরিয়ানি? oh god… ১মিনিট… কি বলে গেলো মামা …? snow white …? snow white ….নীড় কি আমাকে snow white বলে ডাকতো? snow white … ? ১মিনিট…. password snow white নয় তো?

.

রাতে…
মেরিন : আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ password টা যেন snow white ই হয়…। প্লিজ প্লিজ প্লিজ ।
মেরিন snow white লিখে enter করলো। কিন্তু “error” …
মেরিন : oh no… এটাও না । তবে ? না হার মানা যাবেনা ।

.

পরদিন ….
মেরিন বিরিয়ানি রান্না করলো। যেটা দেখেই ওর মাথা ঘুরাচ্ছে। এতোটাই বাজে হয়েছে।
মেরিন : ইইই…
তখন ডোরবেল বাজলো। মেরিন গিয়ে খুলে দিলো। দেখলো দীপ্ত এসেছে। রোজই আসে। ওকে নিয়ে যেতে।
দীপ্ত : কিসের smell ? নিশ্চয়ই বিরিয়ানি রান্না করেছো ?
মেরিন অবাক হয়ে গেলো।
মেরিন : how do you know ?
দীপ্ত : হাহাহা। তোমার হাতের বিরিয়ানির এই smell টা কি ভোলার? না smell ভোলার আর না টেস্ট। ভুলে গিয়েছো যে সপ্তাহে কমসে কম ২ দিন এই smell সহ্য করতে হতো আমাদের…
মেরিন : ?।
দীপ্ত : না তো তুমি বিরিয়ানি রান্না করতে শিখলে আর না নীড় তোমাকে শিখতে দিলো। আমি কোনোদিন ভুলবো না সেদিন একটু ভালো বিরিয়ানি হয়েছিলো বলে কি বকাটাই না খেয়েছিলে… হাহাহা। এমা কয়টা বাজে। কথায় কথায় দেরি হয়ে গেলো।
মেরিন : হ্যা মামা দারান । আমি ওগুলো ফেলে দিয়ে আসছি ।
দীপ্ত : ফেলবে কেন? নীড়ের জন্য বিরিয়ানি রান্না করেছো নিবেনা?
মেরিন : কিন্তু এই বাজে বিরিয়ানি …
দীপ্ত : মামনি… বিরিয়ানি নিয়েই চলো।
মেরিন : হামম।

.

নীড় : নার্সু নার্সু …
নার্স : বলো…
নীড় : আজকেও কি এই পচা পচা মেডিসিন মেডিসিন ওয়ালা খাবার খেতে হবে? আজকে ইকটুশ খানি চিকেন ফ্রাই দাও না…
নার্স : মাথার মধ্যে বারি দিবো…
নীড় : huh…
নীড় ওর খাবারে প্লেট টা নিয়ে উঠে গেলো।
নীড় : ধুর… ভালো লাগেনা। এই বিধবা মার্কা খাবার রোজ রোজ খেতে ভালো লাগে?
মেরিন : তাহলে আজকে অন্য কিছু খাও…
নীড় : ?।
মেরিন : এভাবে তাকাচ্ছো কেন?
নীড় : তুমিও তো ওই ওদের দলে । তুমিও তো আমাকে বিধবা মার্কা খাবারই দিবে ।
মেরিন : উহু। এই বক্সে তোমার জন্য yummy yummy খাবার আছে ।
নীড় : সত্যি?
মেরিন : হামমম।
নীড় : দাও দাও দাও …
মেরিন : দিবো তো। তবে তার আগে আমার সাথে friendship করো।
নীড় মেরিনের হাত থেকে বক্স নিয়ে ভো দৌড় দিলো।
মেরিন : এটা কিন্ত cheating..
নীড় : ইহিহিহি… ইহিহিহি…
নীড় খুশি মনে বক্সটা খুলল । দেখলো বিরিয়ানি । নীড়ের মুখের রং উরে গেলো।

মেরিন : নীড়…
নীড় বক্সটা ছুরে মারলো । বক্সের মুখের কোন মেরিনের কপালে লাগলো। কেটেও গেলো।
মেরিন : আহ …
নীড় মেরিনের দিকে তাকালো। রক্ত দেখে নীড় আরো ভয় পেয়ে গেলো।
নীড় : রররক্ত …. রক্ত…
নীড় দৌড়ে পালিয়ে গেলো।
মেরিন : নীড়… নীড়… দারান…
মেরিনের মাথাটা চক্কর দিলো। ও বসে পরলো।
মেরিন : এটা কি হলো… এর মানে কি… কোথায় গেলো … মাগো অসম্ভব ব্যাথা করছে। কিন্তু… নীড় এমন আচরন…
মেরিন বসে বসে ভাবতে লাগলো।

একটুপর বুঝতে পারলো যে কেউ ওর কপালে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে। তাকিয়ে দেখলো
নীড়….

.

অতীত…
[
⛈️⛈️⛈️

মেরিন : আজকেও airport এর দিকে কেন যাচ্ছেন? আজকে আবার কোন দেশে যাবেন ?
নীড় বাকা হাসি দিলো।
মেরিন : আপনি কি বলুনতো …
নীড় : #সাইকো_নীড় …

নীড়-মেরিন দারিয়ে আছে।
মেরিন : কাকে receive করার জন্য দারিয়ে আছি? কে আসবে?
নীড় : আমার মামা… মামা ডার্লিং… my buddy … best friend … there he is… মামা…
নীড় ছুটে দীপ্তর কাছে গেলো।
দীপ্ত : whats up prince charming …
নীড় : great man… missed you…
দীপ্ত : i also…
নীড় : আজকে তোমাকে receive করতে special কেউ এসেছে। guess who?
দীপ্ত : its মেরিন।
নীড় : come come come…

নীড় দীপ্তকে নিয়ে গেলো।
নীড় : hey my snow white… thats my কলিজা মামা…. মিস্টার এস.কে. দীপ্ত রহমান ।
মেরিন সালাম দিলো।

দীপ্ত : কেমন আছো princess ? আমি কিন্তু তোমাকে princess বলেই ডাকবো…
মেরিন : জী মামা…
দীপ্ত : ভাগ্নে ভাগ্নে বউ কে দেখলাম… কিছু তো দিতেই হয়।
নীড় : awwwe…. দাও দাও। তারাতারি। & প্লিজ কোনো boring gift দিওনা…
দীপ্ত ১টা গাড়ির চাবি বের করলো।
নীড় : new car… love you মামা…
বলেই নীড় মেরিনের গালে কিস করে চাবি নিয়ে মেরিনের হাত ধরে টান নিয়ে ১দৌড়ে গাড়ির কাছে গেলো।।

.

নীড় : oh wow… what a car… snow white… বসো বসো বসো। wait করতে পারছিনা।
মেরিন : না না । আমি যাবোনা । আর আজকে আপনার মামা আসছে…receive করতে এসেছেন… এখন ফেলেই চলে যাবেন? এটা কেমন ভালোবাসা?
নীড় : snow… বসো। লেট হচ্ছে… so বসো।
বলেই নীড় মেরিনকে বসিয়ে দিলো। এরপর গাড়ি start দিলো । আর বুম বুম করে চালাতে লাগলো। আর মেরিনের জান যায় যায়।
মেরিন : নীড় নীড় নীড় আস্তে চালান… accident হবে তো…
নীড় : oh my snow white … relax …. আমি আছি তো।

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here