#সাইকো_নীড়
part : 2
writer : Mohona
.
মেরিন : কি?
রতন : হামমম।
মেরিন হনহন করে ওপরে গেলো। দেখলো নিহাল আহমেদ চৌধুরী , তার ছোটভাই নাহিদ চৌধুরী , নাহিদের wife নিপা , আর নীড় ২টা কাজিন ভাই নির্ঝর আর নিরব বসে আছে। যদিও এদের কাউকেই মেরিন চিনেনা। নিহালদের পিছে গান হাতে দারিয়ে আছে ৩-৪জন। তারাও সব কালো পরে আছে। একপাশে ৮-১০টা লোক দারিয়ে আছে। একই রকম পোশাক পরা। হাতে ১টা করে বড় বড় ডালা। কালো মখমলের কাপড় দিয়ে আবৃত করা। আর সেন্টার টেবিলের চারদিকে ফলের ঝুড়ি আর অনেকগুলো মিষ্টির প্যাকেট। মেরিনকে দেখেই নিহাল উঠে এলো। মেরিনের ৪দিকে একবার ঘুরে আবার মেরিনের মুখোমুখি দারালো। এরপর ১টা লাল-খয়েরি রঙের ভারী কাজ বিয়ের ওরনার মতো ১টা ওরানা মেরিনের মাথায় পরিয়ে দিলো।
নিহাল : এটা আমার মায়ের বিয়ের ওরনা… pure স্বর্ন আর মুক্তা বসানো।
মেরিন যেন অবাক হওয়ার চরম পর্যায়ে।
নিহাল : আমার ছেলের পছন্দ আছে মানতে হবে। আসছি।
বলেই নিহাল বেরিয়ে গেলো । পিছে পিছে পরিবারের লোক। এরপর বাকীরা বেরিয়ে গেলো। হাতের ডালাগুলো রেখে।
.
মেরিন মাথার ওরনাটা সোফায় ছুরে মারলো।
মেরিন : what the hell is this বাবা? ওরা কারা?
কবির : ওইটা নিহাল আহমেদ চৌধুরী । সাথে তার পরিবার ছিলো। নিহাল আহমেদ চৌধুরী তার একমাত্র ছেলে নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের সাথে তোমার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে।
মেরিন : কার জন্য ?
কবির : নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের জন্য …
মেরিন : ওই লোফরটা।
কবির : হামম।
মেরিন : বলল আর তুমি রাজি হয়ে গেলে?
কবির : ওই মুহুর্তে ওনার কথার বিরুদ্ধে যাওয়া সম্ভব ছিলোনা।
মেরিন : কেন ? সে অনননেক বড়লোক বলে? নাকি কোনো নেতা সেতা… মন্ত্রী-মিনিস্টার?
কবির : তেমন কিছি হলেও তবু ভালো হতো। কিন্তু সে হলো দেশের সেরা drugs factory এর owner… তার company এর মেডিসিনগুলো দেশে-বিদেশে সরবরাহ করা হয়। এখন যদি সে দেশে মেডিসিন সরবরাহ না করে তবে অনেক ক্ষতি হবে সাধারন মানুষের । সেই সাথে সরকারেরও…
মেরিন : so what? সবার কথা ভেবে আমি নিজেকে বলি দিতে পারবোনা।
কনিকা : তোমার বাবা অন্যদের না। কেবল তোমার কথা ভেবেই তখন হ্যা বলেছে।
মেরিন : মানে?
কবির : মানে হলো তোমার ভয় নেই মামনি অমন বাজে ছেলের সাথে আমি তোমার বিয়ে দিবোনা।
মেরিন : তাহলে হ্যা কেনো বললা…
কবির : situation handle করতে।
মেরিন : মানে?
কবির : মানে হলো নিহাল আহমেদ চৌধুরী না কথাটা শুনতে পছন্দ করে না। কারো থেকে কোনো কিছুতে পিছিয়ে থাকতে পছন্দ করেনা। তার নজর কেবল top এ থাকে। তাই তখন তাকে না করলে সে ওই মুহুর্তে আমাদের সবাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে তোমাকে ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিতো। সময়ই পেতাম না কিছু ভাবার। তাই না করিনি। কারন না শোনা তার অপছন্দ , তার ওপর তার ছেলে। সে তার ছেলেকে এমন ভালোবাসে যা ভাষায় প্রকাশ করার মতোনা। তার ছেলে যখন বলেছে তখন বলেছেই…
মেরিন : সে না শুনতে অভ্যস্ত নয়। তাইনা? কিন্তু আজকে তাকে নাও শুনতে হবে আর সেটা মেনেও নিতে হবে… তাকেও আর তার ছেলেকে…
মেরিন বলেই মেরিন ওরনা টা হাতে নিলো।
মেরিন : তোমরা বাকী জিনিষগুলো নিয়ে আসো।
বলেই মেরিন ওরনা হাতে পেচিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
কবির : মেরিন … মেরিন … মের… damn it… মেয়েটা বেরিয়ে গেলো।
কনিকা : আগে থেকেই বলেছি মেয়েকে control এ রাখো। সাংঘাতিক জিদ্দি হয়ে গিয়েছে।
কবির : আহ কনা…
কনিকা : একদম চোখ রাঙাবেনা। এখন যদি আমার বাচ্চাটার কিছু হয়…
কবির : দেরী না করে চলো।
.
মেরিন ধুমছে গাড়ি চালাচ্ছে ।
মেরিন : যেমন বাবা তার তেমনি ছেলে… বজ্জাতের ঝুলি। আগেই ভাবা উচিত ছিলো যে ওই stupid লোফারাটার পরিবারই খারাপ। ইইই। এই পুন্টুস বলতো কি করতে মন চায়? ওই বাবা-ছেলেকে ধরে জঙ্গলে ফেলে আসতে পারতাম।
মেরিন রেগে স্পিড আরো বারিয়ে দিলো। কিছুক্ষন পর দেখলো গাড়িবহর।
মেরিন : ওইতো ওইতো সেই কুখ্যাত গাড়িবহর । কিন্তু এর মধ্যে কোন গাড়িতে ওই নিহাল টিহাল চৌধুরী আছে? ১মিনিট এখানে তো কেবল ১টাই কালো গাড়ি। আর সেটাই সবার আগে। আর বাবাও বলেছিলো যে নিহাল আহমেদ চৌধুরী নাকি পেছনে থাকতে পছন্দ করেনা। that means…
মেরিন সর্বোচ্চ স্পিডে এগিয়ে গেলো। নিহালের গাড়ি থেকে কিছুটা সামনে গিয়ে পথ আগলে গাড়ি দার করালো। নিহালের ড্রাইভার ব্রেক মারলো। নিহালের বডিগার্ড ড্যানি
বলল : স্যার আপনি বসুন। আমি দেখছি কার এতো সাহস?
নিহাল : স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে ওটা মেরিন। আমিই যাচ্ছি।
নিহাল বের হলো। মেরিনও বেরিয়ে এলো।
মেরিন : আমি বড়দের সম্মান করি। যতোই রেগে থাকিনা কেন আমার বাবার দেয়া শিক্ষা মনে পরে যায়। তা না হলে এই ওরনা টা আপনার গায়ের ওপর ছুরে মারতাম।
বলেই মেরিন ওরনাটা নিহালের হাতে দিলো।
মেরিন : আমি আপনার ছেলেকে বিয়ে করতে পারবোনা। হয়তো এই “না” শব্দটা শুনে আপনি পাগলা বন্য হাতির মতো তান্ডব করবেন? যা মন চায় করতে পারেন। আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দিবেন? না হয় আমার আম্মু-বাবাকে তুলে নিয়ে blackmail করবে blah blah blah… কিন্তু তবুও আমি বিয়ে করবোনা। মরে গেলেও না।
নিহাল : তুমি আমার ছেলেকে চেনোনা।
মেরিন : আর চিনতে চাইও না।
নিহাল : আমার ছেলেকে বিয়ে করতে সব মেয়েরা পাগল। আর তুমি না করছো…
মেরিন : হ্যা না করছি।
নিহাল : বাবা হয়ে বলা ঠিক না। তবুও বলছি। আমার ছেলে স্বপ্নে দেখা কোন রাজকুমারের থেকে কমনা। তুমি চৌধুরানী হয়ে থাকতে পারবে।
মেরিন : আপনার ছেলে কেমন তা খুব ভালো ভাবে জেনে গিয়েছি। ৩ঘন্টা আগে আমারই বাবার হসপিটালে। তার girlfriend মডেল জ্যোতি ইমামকে নিয়ে এসেছিলো। নিজের বাচ্চাটাকে মেরে ফেলতে। মানে abortion করাতে। ইশ ভাবতেই কান্না আসে…
নিহাল : what? abortion ? baby?
মেরিন : হ্যা।
নিহাল তখনই গাড়িতে উঠতে নিলো।
মেরিন : এই যে uncle দারান…
নিহাল : i have to go…
মেরিন : থাকতে বলবোনা আপনাকে। আমার আম…. ওই তো আম্মু বাবা চলে এসেছে।
মেরিন ওদের কাছে গেলো।
মেরিন : ওই ডালা গুলো কোথায়…
কবির ইশারা করলো যে পিছের পিক আপএ।
নিহাল : এসবের মানে কি?
কবির : আপনার দেয়া হিরা-জহরত…
নিহালের এখন সময় নষ্ট করার সময় নেই। তাই কেবল
বলল : আমার পথের সামনে থেকে গাড়িটা সরাও।
মেরিন : সরাচ্ছি। এই যে পিক আপ ড্রাইভাব ভাইয়া এনাদের follow করে এনাদের বাড়িতে গিয়ে ওগুলো দিয়ে যেদিকে খুশি সেদিকে যেও।
বলেই মেরিন গাড়িতে উঠে গাড়ি সরালো।
.
চৌধুরী বাড়িতে…
নিহাল হন্তদন্ত হয়ে ভেতরে ঢুকলো। গিয়ে দেখে music on করে নীড় couple dance position এর মতো করে নিজে নিজেই dance করছে।
নীড় : হেই ড্যাড ডার্লিং। is everything set…
নিহাল : নীড়…
নীড় : what? ওহ মিষ্টি মুখ। wait … আমি কিনে এনেছি… there it is…
বলেই নীড় সোফার দিকে মিষ্টির বক্সটা আনতে গেলো।
নিহাল : নীড় তুমি হসপিটালে গিয়েছিলে জ্যােতিকে নিয়ে? abortion করাতে….
নীড় ১৮০° কোণে ঘুরলো। ১ভ্রু উচু করে
বলল : how do you know ? হেই আমার পিছে কোনো spy লাগাওনি তো। its not done… its my personal life…
নিহাল : কেন করলে এমনটা? ১টা নিষ্পাপ জীবনকে কেন শেষ করে দিলে?
নীড় : ড্যাড ডার্লিং… আমি এখনই বাবা হতে চাইনা। আমি চাইনা আমার বাচ্চার মা অন্যকারো হাত ধরে হেটে যাক।
নিহাল : তাই বলে…
নীড় : ড্যাড ডার্লিং… leave it…
নিহাল : কিন্তু জ্যোতির সাথে না ৬মাস আগে তোমার break up হয়েছিলো।
নীড় : হ্যা। না কখন করলাম?
নিহাল : তাহলে আবার জ্যোতি কি করে? আর জ্যোতি থাকলে আবার মেরিন কে বিয়ে? কিছুই বুঝতে পারছিনা।
নীড় : ড্যাড ডার্লিং just relax …. মেরিনকে বিয়ে করতে চাই মানে ওকে বিয়ে করতে চাই…
নিহাল : তুমি তো বিয়ে …
নীড় : করতে চাইতামনা। কিন্তু মেরিনকে বিয়ে করতে চাই।
নিহাল : দেখো মেরিন তোমার type মেয়ে না। ও তোমাকে dislike করে…
নীড় : dislike…. ন্যাহ ড্যাড ডার্লিং। ও আমাকে dislike করেনা। ও আমাকে hate করে।
নিহাল : তাহলে কেন ওকে বিয়ে করার জেদ করছো? কেন কেন কেন? এটা কেমন জেদ?
নীড় : জেদ…. no no no… ডিয়ার ড্যাড এটা জেদ না। জেদ হলে মেরিন আমার বেডরুমে হতো।
নাহিদ : তবে কি ভালোবাসা…
নীড় : ভালোবাসা? হাহাহা… হাসালে চাচ্চু … ভালোবাসা বলে পৃথিবীতে কিছু নেই।
নিহাল : তবে কেন মেয়েটার পিছনে পরেছো?
নীড় : because she hates me…. anyway … বিয়ে final হলো?
নিহাল : হয়েছিলো।
নীড় : হয়েছিলো মানে?
নিহাল সবটা বলল।
নীড় : wow…
নীড় ৩বার তুরি বাজালো।
নীড় : lovely … এখন তো আমার ওকে চাইই চাই।
নীড় মিষ্টির বক্স হাতে নিলো।
নীড় : নাও নাও নাও… মিষ্টি খাও।
নীড় সবাইকে মিষ্টি খাওয়াতে লাগলো।
নিরব : but ভাইয়া… মেরিন…
নীড় : call her ভাবি ডাফার…
নিরব : ok… ভাবিতো যেভাবে না করলো মনে হয় না যে…
নীড় : হুশ। i hate “no”… bye guys ..
বলেই নীড় মিষ্টি খেতে খেতে বেরিয়ে গেলো।
নাহিদ : কি করবে ও ভাইয়া?
নিহাল : ওর ওপরই ছেরেদেই।
.
খান বাড়িতে…
কবির-কনিকা-মেরিন বসে খাবার খাচ্ছে।
কবির : proud of you মামনি…
কনিকা : তুমি তো আজব। কোথায় একটু রাগ কমাতে বলবে। তা না।
কবির : কেন বলবো কেন? ও তো ঠ…
তখন ৩জন শুনতে পেলো…
নীড় : happy 6hour meet anniversary my dear snow white…
৩জন ঘুরে দেখলো নীড় দারিয়ে আছে। মেরিন তো দেখেই ক্ষেপে গেলো।
কবির : তুমি? তোমার সাহস কি করে হয় আমার বাড়িতে ঢোকার?
নীড় : ওহ my dear শশুড়ড্যাড… তোমার তো খুশি হওয়ার দরকার যে তোমার মেয়ের জামাই এতো সাহসী। যাকে বলে বীরপুরুষ। uffs.. i just proud of me…
কবির : এই মুহুর্তে বের হয়ে যাও।
নীড় : no… মাত্রই তো এলাম। এখনই যেতে চাইনা। ডিনার করে যাবো।
মেরিন : আপনি কি বের হবেন না ধাক্কা দিয়ে বের করবো?
নীড় : তুমি আমাকে ধাক্কা দিবে? wow…। i like it… do it fast… i am waiting my snow white…
মেরিন : বাবা পুলিশে ফোন করো।
নীড় : পুলিশ?? oh wow… i love them… they are good entertainer… call call… but ওরা আসতে আসতে let finish the dinner …
বলেই নীড় বসে পরলো। কনিকা ভয় পেতে লাগলো। কবির পুলিশ কে ফোন করলো। কিন্তু নীড়ের নাম শুনেই তারা ফোন রেখে দিলো।
নীড় : ওহ শশুড়ড্যাড শাশুড়িমম & my dearest snow white … আসো আসো। ডিনার করে নেই। আসোনা।
মেরিন : আপনি বের হবেন নাকি…
নীড় : নাকি… what? complete the sentence … ছোটবেলায় ব্যাকরণ পড়োনি। যাই হোক ৩জন এসে বসো। একসাথে খাবো। নাহলে…
কবির : না হলে…? ?…
নীড় ঘাড় বাকা করে ১ভ্রু উচু করে
বলল : নাহলে নাহলে নাহলে…
বলেই নীড় গান বের করলো। কবিররের দিকে তাক করলো।
মেরিন : বাবা…
নীড় : হায় কি ভালোবাসা…
মেরিন : যদি মনে করেন যে আমার মা-বাবার জান নিয়ে খেলা করে আমাকে বাধ্য করবেন বিয়ে করতে? no never… আগে আমাকে শেষ করতে হবে। এরপর যা খুশি করেন। i really don’t care… shoot me…
নীড় : ok…
বলেই নীড় ট্রিগার চাপল। আর কবির মেরিনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে নিলো। কিন্তু মেরিন ১চুলও সরলোনা…
কনিকা : আআআ…
]
.
বর্তমান…
নীড় : পুন্টুস… এই আমার পুন্টুসকে দিয়ে দাও।
জনি : না না দিবোনা। পারলে নিয়ে নাও।
নীড় : না না না… ওটা দিয়ে দাও…
জনি : দিবোনা দিবোনা দিবোনা…
নীড় জনির পেছনে পেছনে দৌড়াতে লাগলো। নীড় কাদতে কাদতে দৌড়াতে লাগলো আর বলতে
লাগলো : দিয়ে দাও দিয়ে দাও…
কিন্তু জনি দিচ্ছেই না… এবার নীড়ের রাগ উঠে যাচ্ছে। ও ১টা পাথর নিয়ে জনির মাথা বরাবর ছুরে মারলো।
জনি : আহ…
নীড় এতোই জোরে মেরেছে যে জনির মাথা থেকে রক্ত বের হতে লাগলো। নীড় ছুটে গিয়ে পুন্টুসকে নিয়ে নিলো। আর জনির মাথার রক্ত দেখলো।
নীড় : ররররক্ত … রক্ত… রক্ত। বাচাও বাচাও বাচাও।
নীড় দৌড়ে গিয়ে ১জায়গায় লুকিয়ে পরলো। আর এদিকে নীড়কে খোজাখোজি শুরু হলো।
নীড় : এই পুন্টুস আজকে আমরা এখান থেকে বেরই হবোনা। বের হলেই রক্ত দেখতে হবে যে…
.
অতীত…
[
নীড় ট্রিগার চাপতেই গান টা থেকেই ফুল আর ঝিকিমিকি চুমকী type কিছু বেরিয়ে এলো।
নীড় : হাহাহা… too much fun… হাহাহা।
নীড়ের হাসি দেয়ালে বারি খাচ্ছে। নীড় মেরিনের দিকে এগিয়ে গেলো। এরপর হাত ধরে টেনে নিজের কাছে নিলো। মেরিন উচু করে ঝুটি করা। তবে সামনের চুল গুলো বেরিয়ে আছে। মেরিন হাত ছারাতে চাইলে লাভ হলোনা। নীড় হাতের গান দিয়েই মেরিনে কপালের চুল গুলো কানের পিছে দিয়ে দিলো।
নীড় : যার চোখে ঘৃণা থাকে তার চোখে ভয় মানায় না… আর যে মৃত্যু নিজের ইচ্ছায় হয় সেই মৃত্যুকে বরন করতে ভয় পাওয়া নাজায়েজ…যাই হোক আপাদত গুলি করে মেরে ফেলার কোনো ইচ্ছা বা কারন আমার নেই। তবে কবে কখন কিভাবে হবে সেটাও জানিনা…
কথাগুলো নীড় মেরিনের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল।
মেরিন : হাত ছারুন…
নীড় : তোমার ঠোটের মাঝের তিলটা খুব সুন্দর …
মেরিন : হাত ছারতে বলেছি …
নীড় ছেরে দিলো।
নীড় : ছেরে দিলাম।
নীড় দেখলো মেরিনের হাতটা লাল হয়ে গিয়েছে।
নীড় : ouch… তুমি এতো ফর্সা… great… অতিরিক্ত ফর্সা বক বক লাগে। তাই হাতের ওই লাল স্পট ভালো লাগছে। but তোমাকে ব্যাথা দিচ্ছে… আরেকটু ব্যাথা দেই।
বলেই নীড় আবার মেরিন ওই হাত ধরলো তাও একই জায়গায়। তাও শক্ত করে।
মেরিন : আহ…
নীড় ভ্রুক্ষেপ না করে মেরিনকে টেনে ফ্রিজের কাছে নিয়ে গেলো। ice cube box বের করলো। এরপর মেরিনের রুমে ঢুকে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলো।
কবির : মেরিন… নীড় আমার মেয়েকে ছেরে দাও… নীড়… যদি আমার মেয়ের কোনো ক্ষতি করো তাহলে কিন্তু আমি কিছু মানবোনা। জানে মেরে দিবো তোমাকে।
নীড় : শশুড়ড্যাড relax please … কিছু করবোনা। trust me…যদিও আমাকে আমি নিজেও trust করিনা।
কবির : you…
নীড় মেরিনের হাতে বরফ ধরলো।
নীড় : তুমি আর তোমার বাবা বড়ই অদ্ভূদ। তুমি আমাকে নিজেদেরকে খুন করানোর চাবি দিচ্ছো আর তোমার বাবা আমাতে তোমার রেপ করানোর জন্য চাবি দিচ্ছে…
মেরিন আরো অবাক আর বিরক্ত হয়ে নীড় দিকে তাকালো। নীড় চোখ মারলো। মেরিন অন্যদিকে মুখ ঘুরালো। নীড় বেশ বুঝতে পারলো মেরিন অনেক রেগে আছে। আবার সেই সাথে নীড় ওর হাতে বরফ দেয়াতে ওর বুকে ড্রামও বাজছে। রাগ আর এমন অনুভূতি ২টার জন্যেই মেরিন জোরে জোরে ঘনঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে। দাঁত কটমট করছে। নীড় মুচকি হাসি দিলো। ও মেরিনের হাতে বরফ ধরে মেরিনের দিকে তাকিয়ে আছে। মেরিনের ডান গালের তিলটা দেখছে। ১টা বাকা হাসি দিয়ে তিলটাতে কিস করে দিলো….
.
চলবে…