অচেনা তুমি পর্বঃ২৬

0
748

#অচেনা_তুমি
#লেখিকাঃমহিমা_হাছনাত_মাহি।
#পর্বঃ২৬

সাদাফ আর নাদিম আরো কিছুক্ষন কথা বলার পর নিচে শুনে গাড়ি চলে এসেছে। আশেপাশে সবার হুল্লোড় আরও বেড়ে গেলো। কিছু ছেলেরা হলুদ একটা বড় ওড়না নিয়ে যায় কনে আনার জন্য। সাথে আদিম আর আবির ও যায়।

নিচে নেমে গিয়ে দেখে গাড়ি থেকে সবার আগে কুবরা নামে। উপস্তিত সকলে তো কুবরাকে দেখে হা হয়ে যায়। যারা চেনে না তারা ভেবেছিলো কুবরা ই কনে। নাদিম তো নিজের অজান্তেই বুকে হাত দিয়ে ফেলে। কি অপসরা ই না লাগছে তার প্রেয়সীকে। কাচা হলুদ রঙের উপর সবুজ পাড়ের শাড়ি পড়েছে। আর সাজ দেখে একদম ই মনে হবে না আটা ময়দার বস্তা মেখেছে। একদম নিখুত ক্লিন ফেসে পরিপাটি করে বসানো চোখ, ঠোঁট , মুখের সাজ। সাথে কাচা ফুলের ন্যায় দেখতে মাথার চুলে সাজানো হয়েছে।

কুবরা তারপর শুভ্রাকে নামায়। এখন সকলে আরেক রকমের টাস্কি খেতে যায়। কোনটা বউ আর কোনটা নয় সেটা বুঝা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। একে একে সকলে গাড়ি থেকে নেমে পড়ে।

নাদিম এখনো কুবরাকে দেখে চোখ ই ফেরাই নি। তারপর দেখে কুবরা তার দিকে তাকিয়ে আছে। আবার তার দিকেই এগিয়ে আসছে। কুবরা কে আরো কাছ থেকে দেখে নাদিমের হার্ট বিট আরো বেড়ে যাচ্ছে।
কুবরাঃ এভাবে ক্যাবলার মতো তাকিয়ে আছেন কেন? চেনেন নি আমাকে? নাকি এখনো আমার চেহারা মুখস্থ হয় নি?? (চেতিয়ে)

আজ সকাল থেকে কুবরা নাদিমের উপর রেগে আছে। আর রাগ করার কারণ হলো নাদিমের কুবরাকে চিনতে না পারা। সকাল বেলা নাদিম কুবরা মনে করে সাদাফের একজন কাজিনের পিছু নিয়েছিলো। আর মেয়েটিকে কুবরা মনে করার কারণ হলো সে হুবহু কুবরার মতোন একটি ড্রেস পড়েছিলো। ছাদে গিয়ে পেছন থেকে ডেকে দেখে সাদাফের কাজিন। এদিকে কুবরা ছাদে কাপড় শুকাতে দিতে এসে দেখে নাদিম কোন মেয়ের সাথে কথা বলছে তাও একান্তে। দেখার সাথে সাথে কুবরার মাথা ৩৬০° এংগেলে ঘুরে যায়।

মিস্টার পচা বাদাম…………. ( বলে এক চেচিয়ে ডাক দিয়ে উঠে কুবরা) ।

নাদিম পেছনে তাকানোর আগেই বুঝে যায় যে কুবরা চেতে আছে। আজকাল দুজন দুজনের প্রতি এমন আচরণ ই করে তারা। কাছাকাছি থাকলে ঝগড়া করবে আর দূরে গেলে মন খারাপ, কেউ অন্যকারো সাথে কথা বললেই চেতিয়ে উঠবে। নাদিম ডান বা না তাকিয়ে এক দৌড়ে কুবরার দিকে চলে যায়।

কুবরাঃ আপনাকে নিচে ডাকছে। সুযোগ পেলেই শুধু মেয়েদের পেছন পেছন ঘুরা!( দাতে দাত চেপে)

নাদিমঃ ট্রাস্ট মি কুবরা। আমি ওর পেছন ঘুরছি না। আমি ওটা তুমি মনে করেছিলাম। দেখো নাহলে ওর ড্রেস একদম তোমারই মতো!

কুবরাঃ আমি কি আপনার কাছ থেকে কৈফিয়ত চেয়েছি নাকি? এতো কথা বলার তো দরকার নেই ( জোরে)

নাদিমঃ তুমি রেগে যাচ্ছো তাই।

কুবরাঃ কে বলেছি আমি রেগে আছি। আপনি কে হ্যা? যে রাগ করবো? যান তো নিচে ডাকে।

এই বলে কুবরা ফুসে ফুসে নাদিম কে নিচে পাঠিয়ে দিলো। সেই থেকেই এখন নাদিম কে কথা টা বলা।

কুবরাঃ কি হলো? উড়না টা কি ধরবেন না নাকি?

নাদিমের এতোক্ষণে হুশ ফিরে কুবরার ধাক্কায়। তারপর শুভ্রাকে মাঝখানে রেখে ডান পাশে কুবরা বাম পাশে নাদিম, পেছনের ডান পাশে আবির আর বাম পাশে সাদাফের এক কাজিন উপরে হাত তুলে উড়না টা ধরে। সামনে ক্যামরা ম্যান ফটোশুট করছে আর ভিডিও করছে। দুপাশ দিয়ে ছেলে আর মেয়েরা গোলাপ আর গাদা ফুলের পাপড়ি ছুড়ছে।

আস্তে আস্তে শুভ্রাকে দোতলায় স্টেজের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। শুভ্রা চোখ তুলে তাকাতেই চোখ আটকে যায় কাচা হলুদ শেরওয়ানিতে সাজানো এক রাজপুত্রের দিকে। কি সুন্দর দেখতেই না লাগছে তার স্বপ্নের পুরুষটিকে। চোখ যেন ফেরাতেই চায় না ।

এদিকে সাদাফ ও তাই। হলুদ মাঝে সবুজের কারুকার্যে অঙ্কিত শাড়িতে সাথে মাথায় হলদে সবুজ মিলিয়ে হিজাবে অসম্ভব অপসরা লাগছে। তার উপর মুখে শুধু হালকা মেকআপ যেন দেখে মনে হয় কৃত্রিমতার কোনো ছোয়া ই নেই। সাদাফ নিজেই মনে মনে চেয়েছিলো যেন ভারী মেকাপ না করানো হয়। তবে বিশেষ এই দিনে নিজের ইচ্ছে না হয় নাই চাপালো শুভ্রার উপর। তবে এখন মনে হচ্ছে শুভ্রা যেন তার মনের কথাই ধরে সেজেছে।

দুজন দুজনের দিকে অপলকভাবে তাকিয়ে রয়েছে। পাশের সকলেই বিষয়টি লক্ষ্য করতে পেরে “ওওওওওও” করে চিল্লিয়ে উঠে।

শুভ্রা এক্কে লজ্জায় চোখ নামিয়ে ফেলে। তারপর তাকে গিয়ে স্টেজে সাদাফের পাশের চেয়ারে বসানো হয়।

সাদাফঃ তুমি তো দেখছি আমায় পাগল করে ছাড়বা শুভি। আর কতো রুপ দেখবো বলোতো?

শুভ্রাঃ শেরওয়ানিতে ও যে কাউকে এতো সুন্দর লাগে তা তো কেউ একজনকে না দেখলে বুঝাই যেতো না।

এই বলে দুজনেই দুজনের দিকে তকিয়ে মুচকি হাসি দেয়। এই মুমেন্টটাই ক্যামরাম্যান চট করে বন্দি করে নেয়। তার পর আরো বিভিন্ন এঙ্গেলে তারা ফটোসেশান করছে।

⬇️⬆️⬇️⬆️

আবিরঃ ওয়াও কুবরা তোমায় তো আজ খুব সুন্দর লাগছে। যাস্ট চোখই ফেরানো যাচ্ছে না।

কুবরাঃ থেনকিউ ভায়া। আর তোমাকেও খুব সুন্দর লাগছে। দারুণ মানিয়েছে কিন্তু পাঞ্জাবিটা।

আবিরঃ তাই বলো।

এদিকে নাদিম পাশে দাড়িয়ে সব শুনছে আর লুচির মতো ফুলছে। এই আবির সবসময় তাদের দুজনের মধ্যে কাবাব মে হাড্ডি হতে আসে। যদিও আবিরের মনে কুবরাকে নিয়ে সে সব ধারনা কিছুই নেই। কুবরার সাথে সরল মনে কথা বলে। কিন্তু কুবরা এটা বুঝে যে আবিরের সাথে কথা বললে নাদিমের জেলাস হয় তাই ইচ্ছে করেই এমনটা করে।

এরপর সকলে মিলে কেক কেটে বর কনে এক সাথে ছবি তুলে। রাত এগারোটা-বারোটার দিকে মা বা ভাই বোন সকলের সাথে ছবি তুলা শেষ হয়েছে। এখন সকলের নাচের পালা।

সকলে মিলে যখন যে যার পার্টনার চুজ করতে ব্যস্ত তখন কুবরা ই আর পার্টনার খুজে পায় না। ইশশ কতো আশা করেছিলো বোনের বিয়েতে ধুমধুমাধুম নাচবে।

কুবরাঃ ধুর সবাই দেখছি নেচে ফেলছে। আমি কি একা নাচবো নাকি? আর এই বাদামের বাচ্চা নাদিম কোথায়? নিশ্চয় মেয়েদের সাথে ইটিশপিটিশ করছে। ধুর আমিও না সবসময় এই প্লে বয় টা নিয়ে পড়ে থাকি। এ. এই তো আবির ভায়া… আপনি নাচবেন না??

আবিরঃ ইয়ে মানে আসলে কুবরা আমি তো কোনো দিন নাচিনি। নাচতে পারি না।

কুবরাঃ কিছু সমস্যা নেই। চলুন আমি শিখিয়ে দিবো।

আবিরঃ না না কুবরা আমি মোটেও আমার মান ইজ্জত প্লাস্টিক করতে চায় না। আমি আজ পর্যন্ত না নেচে আজ হঠাৎ কি করে নাচতে পারি??

কুবরাঃ ধুর মিয়া৷ সবাই ভেদা। ঢাকা শহরের মানুষ কি করে নাচতে জানে না। লাগবে না আমি একাই নাচবো।

ডান্স ফ্লুরে উঠে কুবরা দেখে নাদিম ঘেমে নেয়ে কোথা থেকে আসে। রান্নার দিক টা দেখতে গিয়েছিলো নাদিম। সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা দেখার জন্য সাদাফের বাবার সাথে গিয়েছিলো। তাই কুবরা তাকে খুজে পাই নি। কিন্তু এখন দেখতে পেয়েও কুবরা না দেখার ভান করে।

কুবরাঃ উমম….. কোন গানে নাচবো আমি (থুতনিতে হাত রেখে) উমম মিয়া আমাকে ছেড়ে ইটিশপিটিশ করতে যাও তাই না। দেখাচ্ছি দাড়াও ( নাদিমের দিকে তাকিয়ে)

তারপর গান শুরু হওয়ার তালে তালে কুবরা ও শুরু করে দেয়ঃ-

বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম,
আমার কাছে নাইকো বুবু ভাজা বাদাম,
আমার কাছে পাবে শুধু কাঁচা.. বাদাম।

এই,
বাদাম আছে ভালো মাথার ছিড়া চুল ( নাদিমের দিকে ইশারা করে)
সিটি গোল্ডের চুড়ি মালা দিয়ে ( চুড়ি দেখিয়ে)
মোবাইলের বডি ভাঙা দিয়ে বাদাম। ( হাতে মুবাইল বুঝিয়ে)

মোবাইলের বডি গুলো পাঁচ টাকা দাম (৫ আঙ্গুল দেখিয়ে)
পায়ে তোড়া হাতের বালা থাকে যদি
সিটি গোল্ডের চেন, দিয়ে যাবেন( গলার হার দেখিয়ে)
তাতে সমান সমান তোমরা বাদাম পাবেন।( নাদিমকে ইশারা করে)

বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম,
আমার কাছে নাইকো বুবু ভাজা বাদাম,
আমার কাছে পাবে শুধু কাঁচা.. বাদাম
দাম..দাম.. দাম।

নাচ শেষ হওয়া মাত্র সকলেই “ওওওও” করে চিল্লিয়ে উঠে। অনেকে তো সিটি ও বাজাচ্ছে। বাদাম গানের সাথেও এতো সুন্দর নাচা যেতে পারে তা কুবরার নাচ না দেখকে কেউ বুঝতোই না।

কেউ না বুঝলেও নাদিম ভালো করে বুঝতে পেরেছে কুবরা গানটা নাদিমকে ইন্ডিকেট করে নেচেছে। কারোন যতো নাচ্ছিলো ততক্ষণ কুবরা নাদিমের দিকে তাকিয়ে ছিলো আর বাদাম লিরিক্স আসলেই তার দিকে ইশারা করতো।

সবার বাহবা পেয়ে নাচতে নাচতে কুবরার পানি পিপাসা পাওয়ায় একটু পানি খেতে যায়। খেয়ে আসার পর পরই দেখে নাদিন তাকে টেনে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে।

কুবরাঃ মিস্টার বাদাম আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। লেট হয়ে যাচ্ছে আমার।

নাদিম কোনো কথা না বলে স্টেজ থেকে একটু পেছনে যেখানে কেউ নেই সেদিকে নিয়ে যায়। আসার সাথে এক ঝটকায় কুবরাকে নিজের সাথে মিশিয়ে ফেলে নাদিম। এই মূহুর্তে দুজনের মধ্যে বাতাস ঢুকার মতো জায়গা ছাড়া আর কোনো ফাক নেই। কুবরার এখন বাকি অন্যদিকে কোনো খেয়াল নেই। একদৃষ্টে চেয়ে আছে নাদিমের ওই গায়েল করা মায়াবী চোখের দিকে। যে চোখের দিকে তাকালেই নিজের মনে বার বার ধাক্কা খায় সে।

নাদিমঃ আমাকে নিয়ে এতো ঠাট্টা করে কি পাও বলো তো? ( কানের লতির কাছে এসে ছট্ট করে)

নাদিমের এমন শীতল কণ্ঠ কুবরার সারা শরীরে শিহরণ জাগিয়ে তুলে। হুররর… করেই কেপে উঠে সারা শরীরময়।

নাদিমঃ কি হলো এখন চুপ করে আছো যে? এতো কষ্ট কেন দাও বলো তো? তুমি কি সত্যিই বুঝ না আমায়? আমার চোখের দিকে এভাবে তাকিয়েও বুঝোনা আমি কি চাই?

নাদিমের এমন শীতল কণ্ঠভরা কথা কুবরার আজ বড্ড অচেনা। এর আগে কখনোই নাদিম এভাবে এতো কাছ থেকে কথা বলে নি। নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারছে না সে। এই কোন নাদিম?

কুবরা চলে যাওয়ার জন্য ছুটাছুটি করতে লাগলে নাদিম তার বাহু আরো শক্ত করে কুবরাকে চেপে ধরে।

নাদিমঃ পালানোর একদম চেষ্টা করবা না। আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দাও। সবসময় এভাবে ছোট কেন করো বলোতো আমায়?

কুবরাঃ অন্য মেয়েদের পেছনে ঘুরুন না গিয়ে। কতো কতো মেয়ে আপনার জন্য লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছে। আর এখানে এভাবে আমাকে টেনে আনার মানে কি?

নাদিমঃ অন্যরা আর তুমি কি এক? তুমি বুঝো না তুমি আমার কাছে ঠিক কি??

কুবরাঃ দেখুন মিস্টার পচা বাদাম! এসব ফ্লার্টইং কথাতে বাইরের মানুষ পাগল হতে পারে আমি নই।

নাদিমঃ তুমি কিন্তু বেশি করে ফেলছো। নাচটা যে আমাকে উদ্দেশ্য করে করেছো তা কেউ না বুঝলেও আমি বুঝেছি। এতো যখন বাদামের শখ আসো একটু বাদাম খাইয়ে দেইইইই……

এই বলে নাদিম কুবরার আরো কাছে চলে আসতে গেলেই কোবরা চোখ দুটি বড় বড় করে ফেলে। সে যেন পাথরে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। নাদিমের এসব অদ্ভুত বিহেভিয়ার কুবরাকে ক্রমশ অবশ করে তুলছে।

নাদিমঃ থাক এখন না। বিয়ের পর না হয় কাউকে খাওয়াবো। এখন যে কেউ প্লে বয় নামে উপাধি দিয়েছে সেটা তো সত্যিই হয়ে যাবে৷ চলো সবাই আবার খোজাখুজি শুরু করে দিবে। তুমি তো কিছুই বলছো না৷ আজ এমন স্টাচু হয়ে গেলে কিভাবে?

কুবরা এখন শক্ত হয়ে নাদিমের দিকে তাকিয়ে আছে। তার বলা কোন কথাই তার কানে ঢুকছে না। এরপর নাদিম টেনে টেনে আবারও ডান্স ফ্লোরে নিয়ে যায়। একটা মাইক নিয়ে বলে উঠেঃ

“গাইস আজ আমার একমাত্র ভাই কাম বেস্ট ফ্রেন্ডের বিয়ে। আর আমি আমার ভাইয়ের বিয়েতে নাচবো না তাই কি করে হয়? তাই আমি তো নাচবোই সাথে কি আমাদের বর কনের ডান্স চাই??? ”

সবাই হ্যাঁ….. বলে চিতকারে ফেটে পড়ে।

তারপর শুরু হয় লাভ মেশাপ সকল গান। শুভ্রা আসতেই চাচ্ছিলো না। এতো গুলো মানুষের সামনে। সাদাফ আর নাদিম জোর করেই কোন রকম দাড় করিয়েছে। তার পর দুই জোড়া কপোত-কপোতী এক সাথে ডান্স করে।

ডান্স শেষে খাওয়া দাওয়া সেড়ে সবাই ক্লান্ত। রাত প্রায় ৩/৪ টা। এখন সবাইকেই বাড়ি ফিরতে হবে কাল আবার বিয়ে। সকাল সকাল রেডি হতে হবে। তাই আর দেরী না করে সকলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো।

শুভ্রা আর সাদাফ বেশ খুশি অবশেষে কয়েক ঘন্টা পর দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে তারা এক হতে যাচ্ছে। জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় মূহুর্ত কাটিয়েছে আজ তারা। মনে মনে এটাই প্রার্থনা করে দুজনেই যাতে সারাজীবন এমন সকলেই হাসি খুশি থাকে।

#চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here