#অচেনা_তুমি
#লেখিকাঃমহিমা_হাছনাত_মাহি
#পার্টঃ ০৭
সকাল থেকে বাড়িতে প্রায় শুভ্রার দৌড়াদোড়ি শুরু হয়ে গেলো। আজ সাদিয়াকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে। শহরের বেশ নামি-দামি লোক নাকি। শুনেছে অনেক বড়লোক পরিবার। সকাল থেকে শুভ্রার তোড়জোড় হয়ে যাচ্ছে। এতোকিছু সকল রান্নাবান্না, ঘর গোছানো, পরিষ্কার, বিছানা গোছানো সব শুভ্রারই সামলাতে হচ্ছে। মিসেস লুতফা কাযে তেমন পটু নন। আজ প্রথম তার মেয়েকে দেখতে আসবে বলে কথা। ঘুম থেকেই উঠে তিনি মুখে ফেসপেক আর চোখে শসা লাগিয়ে বসে আছেন। আর সাদিয়া তো মাশাল্লাহ ১১ তা পর্যন্ত ঘুমাবে।
১২ বাজাতেই শুভ্রার সকল কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সাদিয়া ও টুকটাক রান্নাবান্না পারে তবে ততোটা পারে না। সাদিয়া শুভ্রাকে সাহায্য করতে চাইলে মিসেস লুতফা কড়া শাসনে বলেন এসব রান্নাবান্না করে টায়ার্ড হয়ে গেলে সে আর পাত্রপক্ষের সামনে এটেনশন দিতে পারবে না। এই বলে তিনি সাদিয়াকে রান্না ঘর থেকে বের করে দিলেন।
সাদিয়াঃ আর কতোদিন এভাবে রান্নাঘর থেকে তাড়িয়ে দিবে বলো তো! এতোবড় হয়ে গিয়েছি এখনো কি রান্নাবান্না করতে জানি বলতো? বলি বিয়ের পর কি জবাব দিবো তাদের? মানুষের বাড়িতে মেয়ে কাজ করতে চায় না বলে মা বাবা মাথা খেয়ে ফেলে আর এখন আমি কাজ শিখতে চাচ্ছি তো মায়ের যতো বাধা হুহ!!!!
এই বলে গটগট করে রুমে চলে গেলো সাদিয়া।
মিসেস লুতফা তার প্রতিউত্তরে কিছু বলবে তার আগেই সাদিয়া তার দৃষ্টি অগোচর হয়ে গেলো।
জোহরের নামাজের পর বাড়িতে মেহমানের আগমন হলো। এই বাড়িতে তেমন কেউ বেড়াতে আসতে দেখে শুভ্রা। তাই আজ সে তার একটা নতুন সেলওয়ার কামিজ পড়েছে শুধু। রেডি হয়ে সে সাদিয়ার রুমে গিয়ে দেখলো বেচারি শাড়ি নিয়ে মহা ঝামেলায় ফেসে গিয়েছে। এদিক থেকে ওদিক কোনরকম পেচিয়ে পরেছে শুধু।
শুভ্রাঃ তুমিও না আপ্পি। এখনো শাড়িটা পড়া শিখে উঠলে না? আজ বাদে যদি কাল বিয়ে হয়, প্রতিদিন কি আর আমি শাড়ি পড়িয়ে দিতে আসবো?? ( শাড়ির কুচি ঠিক করতে করতে) ।
সাদিয়াঃ কি করবো বল তো ভাই। আম্মু কি আমাকে এসব কোনো দিন পড়তে দিয়েছে যে আমি শিখবো? আজই ওরা চলে গেলে তোর থেকে কয়েকবার পড়ে শিখে নিবো। কি বলিস? বিয়ের পর তো আর আমার জামাই রোজ রোজ তোর মতো শাড়ি পড়িয়ে দিবে নাহ!!
শুভ্রাঃ আচ্ছা ঠিক আছে। এখন দেখোতো ঠিক মতো পড়িয়েছি কিনা?
সাদিয়াঃ হুম একদম পারফেক্ট ??।
ওওওও মহারানী আপনি তাহলে এখানে? আর আমি আপনাকে সারা বাড়ি খুজে বেড়াচ্ছি। বলছি বাড়িতে যে মানুষজন এসেছে তার খেয়াল আছে? এখন কি তাদের খাতিরদারি আমাকে দিয়ে করাবেন আপনি? আর আপনি এখানে সাজুগুজু করছেন? বলি আপনাকে দেখতে এসেছে নাকি আমার মেয়েকে?? ( মিসেস লুতফা পুরোটা ভেঙিয়ে বললেন শুভ্রাকে)
শুভ্রাঃ না না আন্টি। আসলে আমি সাদিয়া আপু কে শাড়ি পড়িয়ে দিতে এসেছিলাম। এক্ষুনি যাচ্ছি আমি।
শুভ্রা নাস্তার ট্রে নিয়ে এসে সবার সামনে নাস্তা রাখতে রাখতে সবাইকে সালাম দিলো।
মিসেস লুতফাঃ নিন আপা। এসব কিছু আমার মেয়েই করেছে। মেয়ে আমার খুব ভালো বাড়ির সব কাজই জানে৷ রান্নাবান্না হতে শুরু করে সবকিছু। খেয়ে বলুন কেমন হয়েছে।
পাত্রের মা শুভ্রাকে দেখে ভেবেছেন শুভ্রাই পাত্রী।
পাত্রের মাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম মা। কেমন আছো?
শুভ্রাঃ আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন?
পাত্রের মাঃ হ্যা আমিও ভালো আছি আল্লাহর রহমতে। বাহ তুমি তো বেশ শান্তশিষ্ট, ভদ্র মেয়ে।
মিসেস লুতফার এই কথা শুনে গা টা হ্বলে উঠলো। দেখতে এসেছে তার মেয়েকে নাম করছে বাড়ির কাজের লোকের।
মিসেস লুতফা এবার বলে উঠলোঃ এই শুভ্রা যা তো সাদিয়া কে নিয়ে আয়।
পাত্রের মা এবার একটু হচকচিয়ে উঠলেন। বললেন ঃ সেকি এ সাদিয়া নয়??
মিসেস লুতফাঃ আরে না না আপা। এতো আমাদের বাড়ির কাজের মেয়ে। কাজ করে এই ৬/৭ মাস হলো।
মিসেস লুতফার মুখে এ কথা শুনে পাত্রের মায়ের মুখটা কেমন নেতিয়ে গেলো।
শুভ্রা ভেতরে গিয়ে সাদিয়াকে নিয়ে আসে। সাদিয়া ও যথেষ্ট সুন্দরী। তবে শুভ্রার মতো অতো ফরসা আর মায়াবী চেহারার নয়। সাদিয়া শুভ্রা পাশাপাশি দাড়ালে সাদিয়াকে একটু চাপা লাগে। সাদিয়া একটু চঞ্চল প্রকৃতির। তা তার কথাবার্তা আর ভাবসাবেই বোঝা যায়। সাদিয়ার পেছনে শুভ্রা ছিলো। তবে পাত্রের মায়ের চোখ শুভ্রার দিকে ছিলো। উনাকে দেখে মনে হচ্ছে শুভ্রাকে তার বেশ পছন্দ হয়েছে৷
নাস্তা আর দুপুরের খাবার খেয়ে তো পাত্রপক্ষ প্রসংশায় পঞ্চমুখ। শুভ্রা মনে মনে বেশ খুশি হয়েছে যে মেহমান খুশি হয়েছে এই ভেবে।
এরই মধ্যে পাত্রের মা শুভ্রাকে হাত ধুতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শুভ্রার কাছে জিজ্ঞেস করে তার আসল বাড়ি কোথায়? মা বাবা আছে কিনা? এই সেই। শুভ্রার মাথায় একটাই কথা বারি দিচ্ছিলো (তবে কি সে তাদের সামনে এসে ভুল করেছে?)
দুই বছর আগেও শুভ্রা যখন ক্লাস ৯ এ ছিল তখন তার চাচাতো বোনকে দেখতে আসেছিল। পাত্রপক্ষ তার বোনেরই সামনে বলেছে তাদের নাকি শুভ্রাকে পছন্দ হয়েছিলো। শুভ্রার মা বয়স কম টম বলে ব্যাপারটা মেনেজ করে নিলেও তারা তার চাচাতো বোনের জন্য রাজি ছিলেন না। এর পরের বার যখনই তার বোনকে দেখতে এসেছিল তখনই সে লুকিয়ে থাকতো।
যখনই পাত্রের মা শুভ্রার কাছ থেকে তার মায়ের নাম্বারটা চাইতে যাবে তখনই মিসেস মিসেস লুতফার আগমন ঘটে। পাত্রের মা আর কিছু বলে উঠতে পারলেন নাহ।
এরপর খাওয়া দাওয়া আর কিছু কথাবার্তা সেরে তারা বিদায় নিলো। বাড়ি গিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে বলেছে পাত্রের মা।
বিকেল হতেই পুরো আকাশে ঘন কালো মেঘ বিরাজ করে। গুড়ঘুড় করে বাজ ও বাজছে। বৈশাখ এর শেষের দিক। চারদিকে শা শা করে বাতাস বৈছে। বিকেলের মধ্যেই সারা শহরে ঘোর আধার ছড়িয়ে এলো। মনে হয় আজ কালবৈশাখী হবে।
শুভ্রা আগে গিয়ে ছাদ থেকে সব কাপড়চোপড় নিয়ে আনতে যাচ্ছে। কাপড় নিতে নিতে তার চোখ যায় পাশের বিল্ডিংয়ের ছাদের সেই জায়গাটায় যেখানে সাদাফ দাড়াতো। তবে আজ সে নেই। ঘুটঘুটে কালো মেঘের মতো শুভ্রার মন টাও কালো হয়ে গেলো।যেদিন থেকে মানুষটার সাথে দেখা হয়েছিল তার পর থেকে প্রতিদিনই কোনো না কোনো ভাবে তার দেখা হয় ই হয়। হয়তো এটাকেই ডেস্টিনি বলে। তবে আজ সারাদিনেও দেখা না হওয়ায় শুভ্রার মনটা জানি খুব খারাপ হয়ে গেলো। নিজেই যখন এর কারণ খুজতে চাই সে নিজেও জানে না যে মানুষটার প্রতি তার কেন এতো টান, কেন এতো বিশ্বস্ততা!
এসব ভাবতে ভাবতে বাড়ি এসে দেখে মি. রহমান আর সোহেল ইতিমধ্যেই বাড়ি চলে এসেছে।
সন্ধ্যের সময় সকলে এক সাথে নাস্তা করছে আর মিসেস লুতফা আজকের ঘটনা গুলো সবাই কে বলছে। শুভ্রা মনে মনে তার ধারণা টা ভুল ই ভাবছে। কারণ বাড়ির কাজের লোকেকে তো আর কোনো বাড়ির বউ হিসেবে নিয়ে যেতে পারবে নাহ।
বাইরে তুমুল বৃষ্টি ,সাথে ঝড়ো বাতাস আর খনে খনে ছোট ছোট বাজ পড়ছে। কিছুক্ষন পর মিসেস লুতফাকে সাদিয়াকে দেখতে আশা পাত্রের মা ফোন দিলেন।
তিনি জানান ছেলের এই ই প্রথম পাত্রী দেখছেন। আরো কয়েকদিন যাক।
মিসেস লুতফাঃ না না আপা সমস্যা নেই। আপনাদের যতো দিন লাগে ততোদিন সময় নেন সমস্যা নেই।
পাত্রের মাঃ না মানে বলছি যে এ ই তো প্রথম মানে আরো কয়েকজন এর খবর আমার কাছে। ফাহিমের আব্বা বলছে আর কি যে সব দেখেশুনে ফাহিমের যাকে পছন্দ তাকেই সে বিয়ে করবে।
মিসেস লুতফাঃসমস্যা নেই আপা। বিয়ে কি আর হুট করেই হয়? দেখেশুনে যা ভালো লাগবে তাকেই তো করতে হবে। ( মেকি হাসি দিয়ে)
পাত্রের মাঃ বলছিলাম যে একটা কথা বলার ছিলো। আসলে আপনাদের বাড়ির শুভ্রার মায়ের নাম্বারটা থাকবে? ( কিছুটা ইতস্ততবোধ করে)
মিসেস লুতফাঃ কেন বলোন তো আপা? শুভ্রার মায়ের নাম্বার দিয়ে কি করবেন আপনি??
মিসেস লুতফার মুখে শুভ্রার নাম শুনেই শুভ্রা আতকে উঠলো। তবে কি আজও কোনো অঘটন ঘটবে!
পাত্রের মাঃ না আমি একটু কথা বলতে চাচ্ছিলাম আর কি।
মিসেস লুতফাঃ ও আচ্ছা, আচ্ছা। এবার আমি বুঝতে পেরেছি আসল কথা। আসলে তো আপনার আমার মেয়েকে পছন্দ হয়নি। হয়েছে ওই কাজের মেয়ে শুভ্রাকে। তাই নাম্বার খুজছেন না? এসে সুন্দর করে খেয়েদেয়ে গিয়ে এখন আমারই সামনে আমারই মেয়েকে বাদ দিয়ে শেষে কিনা কাজের মেয়ের মায়ের নাম্বার চাইছেন! ছি ছি ছি এই আপনাদের রুচি। এখন তো আমিই নিজেই বেচে গিয়েছি মনে হচ্ছে আপনাদের সাথে সম্মন্ধ তো দূরের কথা আর কোনো দিন ও যেন আমাদের সামনে আর না পড়েন। আল্লাহ কি বাচান বাচিয়ে দিলো আমাদের। রাখেন আপনার ফোন।
এতক্ষন শুভ্রা ভয় পেয়ে কাপছিল। মিসেস লুতফা এসে সটান শুভ্রাকে ঠাটিয়ে দিলো এক থাপ্পড়।
মিসেস লুতফাঃ বেয়াদ্দপ বজ্জাত মেয়ে। আমার বাড়িতে থেকে আমার বাড়ির খেয়ে আমাদের সাথেই বেঈমানী করিস হ্যা? কে বলেছিল তোকে আজ এতো সেজেগুজে আসতে? কম্পিটিশন লাগাতে গিয়েছিলি আমার মেয়ের সাথে। গায়ের রঙ একটু ফর্সা বলে নিজেকে কি বিশ্ব সুন্দরি মনে করিস?
মিসেস লুতফার এহেন কাজে সেখানে উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে উঠে।
মি.রহমানঃ আহহ লতু কি করছোটা কি?
মিসেস লুতফাঃ এই তুমি একদম বেশি কথা বলবা না। নিজের বন্ধুর মেয়ে বলে এতোদিন খুব আশকারা দিয়েছো। দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পোষেছো তুমি এতোদিন।
মি.রহমানঃ ছাড়ো ওকে ব্যাথা পাচ্ছে তো মেয়েটা। কি করেছে কি ও?
মিসেস লুতফঃ কি করেছে? এই মেয়ে বলবি কি করেছিস।
শুভ্রা নিজেও বুঝে উঠতে পারছে না যে সে করেছে টা কি। কেন তাকে চড় মারা হলো।
মিসেস লুতফাঃ চুপ করে আছিস কেন বল। কাজের মেয়ে কাজের মেয়ের মতোই না থাকবি। কে বলেছিলো তোকে নতুন কাপড়চোপড় পরে বধুবেশে থাকতে? নাস্তা দিতে বলেছি নাস্তা দিয়েই চলে আসতি। ওদের সাথে কথা কে বলতে বলেছে? আর তুই পুরো বিল্ডিংয়ে দেখেছিস কোনো কাজের মেয়েকে তোর মতো করে কথা বলতে? আঞ্চলিক ভাষা জানিস না? পড়ালেখা করেছিস এটা বুঝাস সবাই কে? এই বলে চুলের মুঠি পেচিয়ে ধরে।
মেয়ে তো অনেক শান্ত শিষ্ট ( পাত্রের মায়ের কথা ভেঙিয়ে বলেছে) শান্ত না ছাই!!! আমি তখন ই বেশ বুঝতে পেরেছিলাম যখন ওই মহিলাকে তুই হাত ধুয়াতে নিয়ে গিয়েছিলি। নিশ্চয় আমার মেয়ের নামে বদনাম করছিলি আর নিজের সুনাম করে বলছিলি যে সব
রান্নাবান্না তুইই করেছিস।
মিসেস লুতফার এসব কথা শুনে অবাকের চরম সিমানায় গিয়েও অবাক হতে পারছে না যে এই ভেবে একটা মানুষের চিন্তা কতোটা নিচু হতে পারে।
সোহেল এবার নিজেকে বাচিয়ে নেওয়ার বেশ সুযোগ পেয়েছে। মনে মনে ভাবলো এটাকে কাজে না লাগালে বেশ বোকামী হবে। সোহেল এগিয়ে এসে বললঃ কি বলছো কি মা তুমি? এসব হয়ে গেলো আজ দিনের মধ্যে। জানো মা তুমি তোমরা যেদিন বিয়েতে গিয়েছিলে সেদিন সারাদিন এই মেয়ে বাড়িতে ছিলো না। কোথায় তোমরা অকে রেখে গিয়েছিলে আমার খাবার দাবারের ব্যবস্থা করতে। আমি তো সারাদিন না খেয়ে ছিলাম আম্মু। না জানি কার সংগে কোথায় গিয়েছিল। আর জানো মা কাল আমি যখন অফিস যাচ্ছিলাম তখন দেখি একটা লোকের হাত ধরে গা ঘেঁষে দাড়িতে কথা বলছে। আমার তো মনে হচ্ছে এই মেয়ের চরিত্রের ঠিক নেই। দুই দিন বাদে দেখো আমাদের নাক কাটা যাবে এই মেয়ের জন্য।
সোহেলের কথা শুনে শুভ্রার চক্ষু কোটর থেকে চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম। হ্যা সোহেল কিছু সত্যি বলেছে। তবে এই সত্যি গুলো কে এভাবে জঘন্য করে বলছে যেন সে সত্যিই এসব করেছে।
মিসেস লুতফা তো সোহেলের কথা শুনে রেগে আগুন হয়ে উঠেছেন।
মিসেস লুতফাঃ শয়তান, হারামযাদি কোথাকার। সারাদিন মোল্লা সেজে এই সব কাজ করিস? তাই বাড়ি থেকে ১৪ বার বের হোস না?? চল এখন। এক্ষুনি বেরিয়ে যাবি এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবি। অনেক হয়েছে। আর না।
মি.রহমানঃ কি করছো কি লতু। এই ঝড়ের রাতে মেয়েটা কোথাত যাবে? কাল সকালে নাহয় দেখা যাবে।
সাদিয়াঃ হ্যা আম্মু। এতো রাতে ও কোথায় যাবে?
মিসেস লুতফাঃ একদম চুপ থাকতে বলেছি আমি তোমাদের। জাহান্নামে যাক। তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। এই বলে সিড়ি দিয়ে টানতে টানতে শুভ্রাকে নিয়ে তিনি গেইটের বাইরে বের করে দিলেন। শুভ্রা কাদতে কাদতে প্রায় হেচকি উঠতে উঠতে বোবা হয়ে গিয়েছে। সোহেল তো মায়ের এমন কাজে হাফ ছেড়ে বাচলো। এই মেয়ে যযি সত্যি বেশিদিন থাকতো তাহলে তার সব কাজ ফাস করে দিতো।
শুভ্রাকে বের করে দিয়ে আসতেই বাড়ি পৌছে মি.রহমান আর মিসেস লুতফা ঝগড়া শুরু করে দিয়েছে। এদিকে শুভ্রা এই ঝড়ে ঠাত রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাদছে।
#চলবে।
( আচ্ছা গল্প কি ছোট হয় নাকি??