হৃদয়ের_কোণে (পর্ব ১০)

0
2629

#হৃদয়ের_কোণে (পর্ব ১০)
#নাহার
·
·
·
সকাল হতেই নিরা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে কলেজে চলে যায়। কলেজে গিয়ে শুনতে পায় নবীন বরণ উৎসব হবে আর দুইদিন পর৷ নিরা আর ওর বান্ধুবিরা কথা বলছে এই উৎসব নিয়ে। প্রভা, নুপুর, ঝুমুর এবং নিরা। চারজনের একটা ভালো ফ্রেন্ডশিপ গড়ে উঠেছে প্রথমদিন থেকেই। প্রভা, নুপুর এবং ঝুমুর একদম সিউর নবীনবরণে আসছে। নিরা চুপচাপ বসে আছে গালে হাত দিয়ে। প্রভা নিরাকে কনুই দিয়ে ঢু মেরে জিজ্ঞেস করে,
— তুই কি চিন্তা করস? উৎসবে আসবি না?

নিরা কাদো কাদো ফেইস নিয়ে প্রভার দিকে তাকায়। নিরাকে এভাবে দেখে তিনজনেই জড়িয়ে ধরে। নুপুর নিরাকে জিজ্ঞেস করে,
— দোস্ত কি হইছে আমাদের বল? কোনো সমস্যা? বাসায় কিছু বলবে?

ঝুমুর গভীর চিন্তার চাপ মুখে এনে বলে,
— বয়ফ্রেন্ড আসতে দিবে না? উহম! উহম! ভুলেই গেছি তোর তো বয়ফ্রেন্ড নাই। কি হইছে বল?

প্রভা একটু কড়া গলায় ঝুমুরকে বলে,
— তুই চুপ কর। ওরে বলতে দে। সিরিয়াস সময়েও ফাইজলামি করস।

নিরা আস্তে করে বলে,
— আসলে রাফিন ভাইয়া যদি না বলে। তাহলে বাসার সবাই একসাথে বলবে না যেতে হবে না। হুহ! রাফিন ভাইয়ার জন্য আমি ঠিকমত কিছু করতেই পারি না। যত্তসব।

ঝুমুর মুখ টিপে হাসছে। নুপুর আর প্রভা একে অপরের দিকে চাওয়া চায়ি করে ঝুমুরের দিকে তাকায়। ঝুমুর বত্রিশ পাটি দাত বের করে হিহি করে হাসি দেয়। নুপুর নিরাকে বলে,
— আচ্ছা শুন। তুই উনার কাছে যাবি। সুন্দর করে বুঝিয়ে বলবি দেখবি রাফিন ভাইয়া ঠিকই বুঝবে। আফটার অল, প্রেমিকার চোখে পানি আসতে দিবে না কোনো প্রেমিকই।

নিরা কিছু বলার আগেই ক্লাসে স্যার চলে আসে তাই আর কোনো কথা বলতে পারে না তারা। ছুটির পর তিনজনই তাড়াহুড়ো করে চলে যায়। কারণ নিরা তখনের কথাটার মানে জিজ্ঞেস করবে তাই। ওরা তিনজন চায় নিরা নিজ থেকে রাফিনের ভালোবাসাটা উপলব্ধি করুক।

এই ভালোবাসার ব্যাপারটা অন্যরকম। কেউ আপনাকে চুপিচুপি ভালোবাসে এবং খুব যতনে আগলে রাখে কিন্তু আপনি তা বুঝেন না। কেউ বলে বুঝিয়ে দেয়া আর নিজ থেকে উপলব্ধি করা দুইটায় অনেক তফাত আছে। আছে অন্যরকম এক অনুভূতি। নাম না জানা সেই অনুভূতি। যা হৃদয়ের কোণে আস্তে আস্তে ভালোলাগা এবং পরে ভালোবাসা তৈরি করে। তখন মনে হবে আপনারও একটা মানুষ আছে। নিজের মানুষ, একান্তই নিজের।

নিরা বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে নেয়৷ তারপর খাওয়া দাওয়া শেষে পড়ার টেবিলে বসে। পড়তে পড়তেই একটু ঝিমানি আসে তাই টেবিলে মাথা রাখে। সেখানেই ঘুম।

——————————————————————————–
প্রতিদিনের মতো আজও সন্ধ্যায় রাফিন বাসায় আসে। খুব ক্লান্ত হয়ে সিড়ি দিয়ে উঠে। নিজের রুমে না গিয়ে প্রথমে যায় তার প্রেয়সীর ঘরে। রুমে ঢুকতেই দেখে নিরা টেবিলের উপর মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে। বই খোলা। রাফিন হালকা হাসে। পাশের চেয়ারে বসে নিরার ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকে।

সারাদিনের ক্লান্তির পর এই চেহারাটা দেখলেই রাফিনের সব অবসাদ, টায়ার্ডনেস দূর হয়ে যায়। মনে শান্তি ফিরে আসে। রাফিন যখন প্রথম ডাক্তারি পড়া শুরু করে তখন থেকেই ভালোলাগে নিরাকে। ভালোলাগা থেকে আস্তে আস্তে ভালোবাসা। তাকে প্রতিদিন না দেখেই ভালোবাসে তাকে। তাকে প্রতিদিন প্রতি মূহুর্তে অনুভবে ভালোবেসেছে। তাকে কোনোদিন নিজের করে পাবে কিনা সেই আশা ছাড়াই ভালোবেসেছে। ডাক্তারি পড়া শেষ করতে মিনিমাম ৯/১০ বছর লাগে। এতগুলো বছর তাকে না দেখেই ভালোবেসেছে। সেই প্রথম দেখায় যে প্রেম মনে জেগেছিলো তা এখন আরো গাড়ো হয়ে ভালোবাসায় রুপ নিয়েছে।

রাফিন হালকা হেসে নিরার চোখের উপর থেকে চুল সরিয়ে দেয়। মনে মনে বলে,
— ভালোবাসা কি জানি না। তবে তোমাকে দেখলে খুব বাঁচতে ইচ্ছে করে। তোমার সাথেই বাঁচতে ইচ্ছে করে। খুব ইচ্ছে করে। আমার এই সাতাশ বছর যুবক মনে যে ভালোবাসা তুমি জাগিয়ে দিয়েছে সেটা এই জনমে কখনো কম হবে না। তোমায় আগলে রাখতে চাই। খুব চাই। এই বুকের সিন্দুকে বন্দী করে রাখতে চাই যেনো কেউ তোমায় ছিনিয়ে নিয়ে যেতে না পারে। শুধু আমার থাকবে তুমি। শুধুই আমার হয়ে।

রাফিন উঠে দাঁড়ায়। নিরার থেকে একটু দূরে দাড়িয়ে ডাক দেয়,
— নিরা

প্রথম ডাকেই নিরা চমকে উঠে। চোখ কচলে তাকিয়ে দেখে রাফিন। ভয় পেয়ে যায়। ভাবছে এখন তাকে হয়ত খুব বকবে পড়তে বসে ঘুমিয়ে যাওয়ায়। নিরা মাথা নিচু করে বসে আছে। রাফিন বকলেই কেদে ফেলবে। কিন্তু তা হয়নি। রাফিন ওকে বকেনি। রাফিন ওকে অবাক করে দিয়ে বলে,
— এতোটা ক্লান্তি থাকলে পড়তে বসলে কেনো? আগে একটু ঘুমিয়ে তারপর পড়তে বসতে। এভাবে ঘুমালে হাতে ঝিম ধরবে এবং মাথা ও ঘাড় ব্যাথা করবে। যাও কফি খেয়ে আসো।

রাফিন চলে যায় নিজের রুমে। নিরা ওয়াশরুমে গিয়ে মুখ ধুয়ে নিচে যায়। এক কাপ কফি বানিয়ে চলে আসতে নিলেই মনে মনে বলে,
— আচ্ছা রাফিন ভাইয়াও তো ক্লান্ত। উনাকে এক কাপ কফি দিয়ে আসলে কি খুব মন্দ হবে? না না, থাক যদি পরে আবার বকে।

নিজে নিজের মাথায় হালকা বাড়ি মেরে বলে,
— আরে নিরা বকবে কেনো? তুইতো শুধু কফি দিয়েই চলে আসবি। বকবে না।

নিরা রাফিনের জন্যেও কফি বানিয়ে উপরে নিয়ে যায়। দুই হাতে দুইটা কফির মগ নিয়ে নিরা দরজা নক করতে পারছে না। পেছন থেকে কৌশিক এসে দরজা নক করে। কৌশিক নিরাকে বলে,
— বাহ বা৷ এখন উনাকে কফি বানিয়ে খাওয়াচ্ছো? আর আমি বললে আমাকে চুল টানা খাওয়াও। হুম! আজ আমি পর হয়ে গেলাম। আর তোমার প্রেমিক আপন হয়ে গেলো খুব তাই না।

নিরা প্রেমিক কথাটা শুনে চমকায়। কৌশিক জিব কাটে। এদিক সেদিক তাকিয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে বলে,
— হ্যালো আমার জানু। আফিয়া জানু কি করছো?

কথা বলার ভান করে চলে যায়। নিরা কৌশিকের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। রাফিন দরজা খুলে নিরাকে কফির মগ হাতে দেখে মুচকি হাসে। রাফিন খালি গায়ে ছিলো। ভেজা চুল। নিরা অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। রাফিনের দরজা খোলার দিকে মন নেই। রাফিন চুল ঝাকি দেয়। চুলের বিন্দু বিন্দু পানি নিরার মুখে, ঠোটে, গায়ে পড়ায় চমকে রাফিনের দিকে তাকায়।

রাফিনকে খালি গা দেখে চোখ নামিয়ে নেয়। লজ্জা পাচ্ছে। খুব বেশি। কাপা কাপা কন্ঠে বলে,
— আপনার জন্য কফি এনেছি।

— কেনো?

নিরা থেমে থেমে বলছে,
— আপনি তো হসপিটাল থেকে এসেছেন তাই ভাবলাম আপনি টায়ার্ড। তাই কফি নিয়ে এলাম।

রাফিন দরজাটা পুরো খুলে দিয়ে রুমে ঢুকে যায়। নিরাকে বলে,
— কফিটা নিয়ে ভেতরে আসো।

নিরা ভেতরে যায়। অস্বস্তি হচ্ছে নিরার। কারণ রাফিন খালি গায়ে তাই। রাফিন নিরার মুখের দিকে তাকায়। তারপর কাবার্ড থেকে কালো টি শার্ট বের করে পড়ে নেয়। এবার নিরার কিছুটা স্বস্তি লাগছে। রাফিনের মাথায় দুষ্টুমি চাপে। দুষ্টু হাসি দেয়। নিরাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
— আচ্ছা তো আমি বলেছি আমি টায়ার্ড?

— না মানে।

— কি?

— ভাবলাম আপনি টায়ার্ড।

রাফিন এগিয়ে আসে। নিরার একেবারে কাছে এসে দাঁড়ায়। নিরা লজ্জায় ভয়ে কাপছে। নিরার এমন অবস্থা দেখে রাফিন নিরার দিকে একটু ঝুকে। এবার নিরার হার্টবিট যেনো খুব বেশি ফাস্ট হয়ে গেছে। রাফিন মুখ টিপে হাসে। মনে মনে বলে,
— এই মেয়েটাকে লজ্জায় ফেলতে এতো ভালো লাগে কেন আমার? আর ভয় পেলে ওর গালটা টেনে দিতে ইচ্ছে করে। রাফিন কুল। এখন এসব কিছুই করিস না। কন্ট্রোল ইউরসেলফ।

রাফিন নিরার দিকে আরেকটু ঝুকে কফির মগটা হাতে নিয়ে সরে আসে। নিরা যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো। একটা গভীর নিঃশ্বাস নেয় তারপর ছেড়ে দেয়। রাফিন নিরাকে জিজ্ঞেস করে,
— কালকে যে পড়া দিয়েছিলাম শিখেছো?

— হু।

— আচ্ছা ঠিকাছে। আজকে পড়া না পারলে কাচা চিঃড়ি মাছের জুস খাওয়াবো।

নিরা চোখ বড়বড় করে তাকায়। মনে মনে বলে,
— ইছ! ওয়াক থু। কাচা চিংড়ির জুস। ছি। এসব কিভাবে খাবো?

নিরা আর কিছু না বলেই চলে আসে রুমে। কফিটা এক ঢোকে খেয়ে নেয়। কারণ রাফিনের সাথে বকবক করতে করতে কফি ঠান্ডা শরবত হয়ে গেছে। এদিকে রাফিন হেসে কুটিকুটি। হাহ্ মেয়েটাকে এভাবে ভয় লাগাতে ভালোই লাগে তার।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রাফিন নিজেকে নিজে বলে,
— কি এমন আছে তোমার মাঝে যা আমাকে বার বার তোমার দিকে টেনে নেয়। তোমার বোকাসোকা ফেসটা এতো মায়াবী কেনো? তোমার ভয় পাওয়া ফেসটায় এতো মায়া কেনো? লজ্জাবতী। তুমি আমার লজ্জাবতী। লজ্জা পেয়ে যখন চোখ নিচে নামিয়ে নাও তখনও তোমাকে এতো কেনো মায়াবী লাগে? তোমার পাগলামি গুলো এতো ভালো লাগা তৈরি করে কেনো? পৃথিবীতে এতো মেয়ে থাকতে তোমাকেই কেনো এতো ভালো লাগে ? আমি বারবার হাজারবার তোমার এই মায়াবী চেহারা দেখে ক্লান্ত হই না কেনো? কারণ ভালোবাসি তোমায়। ভালোবাসাটাও খুব অদ্ভুত। যা সবার জন্য আসে না। পৃথিবীতে এতো মানুষ থাকতেও এই ভালোবাসাটা শুধু মাত্র নির্দিষ্ট একজনের প্রতিই আসে। শুধু নির্দিষ্ট একটা মানুষের মুখ দেখলেই বাঁচার ইচ্ছা জাগে৷ তার সাথে হাজার বছর বছর থাকার ইচ্ছা জাগে। হ্যাঁ, তুমি আমার সেই নির্দিষ্ট একজন মানুষ যাকে দেখলে আমার বাঁচার ইচ্ছে জাগে। আমার লজ্জাবতী।

——————————————————————————
রাত তিনটা,,,,
নিরা গভীর ঘুমে তলিয়ে গেছে। এমন সময় মুখের উপর কারো গরম নিশ্বাস পড়ছে। হ্যাঁ নিরা বুঝতে পারছে কেউ একজন তার খুব কাছে। তাকে খুব কাছ থেকে দেখছে। নিরার ঘুম হালকা হয়ে আসে। এর মধ্যে টের পায় কেউ তার চুলে হাত বুলাচ্ছে। নিরার চোখ খুলে তাকায়। সামনের মানুষটিকে দেখে নিরা ভয় পেয়ে যায়। চিৎকার দেয়ার আগেই সেই মানুষটি নিরার মুখ চেপে ধরে। নিরা ভয়ে চুপ হয়ে যায়। মানুষটা নিরাকে ছেড়ে দিলে নিরা ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে বলে,
— আপনি?

— হ্যাঁ আমি।

— এখানে কেনো এসেছেন? আর কিভাবে এসেছেন?

রুমের দরজা আর জানালার দিকে তাকায়। নাহ সব বন্ধ। তাহলে তুহিন এলো কিভাবে তার রুমে। নিরা ভাবনায় ডুবে যায়। নিরার ভাবনার ফোড়ন কেটে তুহিন ওকে বলে,
— আমি পাইপ বেয়ে বারান্দা দিয়ে উঠে এসেছি।

— মানে? কেন এসেছেন?

— তোমাকে দেখতে। তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো তাই।

— এখন বের হোন আপনি। কিসব নাটক শুরু করেছেন আপনি?

— আমার ভালোবাসা তোমার কাছে নাটক মনে হচ্ছে?

— হ্যাঁ মনে হচ্ছে। একবার অপমান করবেন আবার এসে ভালোবাসি বলবেন৷ আর আমি মেনে নেবো আপনি আমাকে ভালোবাসেন। কখনোই না।

তুহিন রেগে যায়। নিরার দুই হাত তুহিন এক হাতে চেপে ধরে অন্য হাতে নিরার চুলের মুঠি শক্ত করে চেপে ধরে বলে,
— চুপ একদম চুপ। আর কোনো কথা না। এখন আর আমাকে ভালো লাগবে কিভাবে। রাফিনের সাথে ঘেষাঘেষি করলে? শুন তোকে যদি ওই রাফিনের সাথে দেখি অনেক খারাপ হবে বলে দিলাম।

নিরা এমনিতেই খুব ভীতু। তুহিনের এমন কান্ডে নিরা আরো ভয় পায়। ব্যাথায় কাদো কাদো হয়ে বলে,
— আমার চুল ছাড়েন। লাগছে আমার।

তুহিন এবার আরো শক্ত করে ধরে নিরার চুল। নিরা ব্যাথায় চোখ বন্ধ করে নেয়। চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা অশ্রু বেরিয়ে আসে। তুহিনের তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সে আবার ধমকিয়ে নিরাকে বলে,
— তোর আশেপাশে আছি এখন থেকে আমি। তোকে রাফিনের সাথে দেখলে কি করবো তোকে তুই নিজেই জানিস না। মনে রাখিস৷

তুহিন নিরাকে ছেড়ে আবার বারান্দার পাইপ বেয়ে নেমে যায়। নিরা এখনো ওইখানেই বসে আছে। এক হাতে মুখ চেপে ফুফিয়ে কান্না করছে। খারাপ লাগছে নিরার। খুব খারাপ লাগছে। যখন ভালোবাসা প্রকাশ করেছে কি পরিমাণ বাজে ব্যবহার করেছে তার সাথে। আর এখন তার থেকে দূরে এসে ভালোভাবে থাকতে চাইছে এখন আবার এসে কষ্ট দিচ্ছে। এর মাঝেই দরজায় নক পরে। নিরা ঘাবড়ে যায়। ভয় পেয়ে কাথা খামছে ধরে। অপরপাশ থেকে বলে,
— নিরা আমি রাফিন। দরজা খুলো। কি হয়েছে তোমার নিরা।

নিরা উঠে দাঁড়ায়। ভাবছে এই মানুষটা কিভাবে বুঝলো আমার কিছু হয়েছে? নিরা দরজা খুলে দিলে রাফিন রুমে আসে। আশেপাশে ভালো করে দেখে সব ঠিক আছে। নিরাকে ঘুমিয়ে যেতে বলে। রাফিন ঠিকই বুঝতে পারছে কি হয়েছে। কিন্তু নিরার সামনে প্রকাশ করেনি।
·
·
·
চলবে…………………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here