অনন্যময়ী পর্ব_৪২
#সানজিতা_তুল_জান্নাত
বেলকনির দরজায় কারো উপস্থিতি টের পেয়ে অনি তাড়াহুড়ো করে তার চোখ মুছে নেয়। চোখ মুছে সে পিছনে তাকাতেই রিশাদকে দেখতে পায়।
অনির দিকে তাকাতেই রিশাদের চোখে পড়ে তার আর্দ্র চোখ। পাপড়িগুলো এখনো ভেজা। রিশাদের বুঝতে অসুবিধা হয়না যে অনি কাঁদছিল। অনির অশ্রুসিক্ত নয়ন রিশাদকে বেশ ভালোভাবেই আঘাত করে। এক মূহুর্তের জন্য যেন তার দম বন্ধ হয়ে আসে।
রিশাদকে চুপচাপ থাকতে দেখে অনি বলে;
–“আপনি এখানে??আমাকে কিছু বলবেন?”(অনি)
–“না কিছুনা।”(রিশাদ)
–“আপনি আজ অফিস গেলেন না কেন?”(অনি)
–“এমনিই আর কি।”(রিশাদ)
–“এখনো মনে হয় ব্রেকফাস্ট করা হয়নি আপনার।”(অনি)
–“হ্যা একটু পর ব্রেকফাস্ট করবো।(রিশাদ)
–“দশটা বাজতেছে প্রায়। আর আপনার একটু পর একটু পর বলা শেষ হচ্ছে না।মামনিও তো আপনাকে কত বার খেতে বললো।কি হয়েছে বলুন তো। খেলেন না কেন?আমাকে খাইয়ে দিচ্ছিল বলে কি খেলেন না?চিন্তা করবেন না আর বেশিদিন আপনার আদরে ভাগ বসাবো। খুব তাড়াতাড়িই চলে যাবো। (অনি) বলেই অনি এক ভুবন ভোলানো হাসি দেয়। অস্বাভাবিক রহস্যময়ী হাসি। যার মাধ্যমে সে কষ্টগুলো আড়াল করে নিজেকে হাল্কা করার চেষ্টা করছে।
রিশাদ অনির রহস্যময়ী হাসির দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। অনির প্রতিটা কথাই তার কানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
সে তো চায় অনি তার সবকিছুতে ভাগ বসাক। তার উপর আধিপত্য বিস্তার করুক। অধিকারবোধ প্রয়োগ করুক। কিন্তু না সে তো ভেবেছে তার আদরে ভাগ বসানোতে রিশাদ বোধ হয় নারাজ হয়েছে। কি সুন্দরভাবে রিশাদের অনুভূতি গুলো অনির সামনে মাটিচাপা পড়ে গেল।
মানুষের কথার সাথে সব সময় তার মনের মিল থাকেনা। কখনো কখনো মানুষ তার মনের চেয়ে পরিস্থিতির দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। রিশাদ ধরেই নিয়েছে অনি তাকে তার জীবনে চায়না তাই বোধ হয় অনির এমন অস্বাভাবিক কথার গভীরতা বোঝার চেষ্টা করেনি। যদি চেষ্টা করতো তাহলে গল্পটা অন্যরকম হয়ে যেতে পারতো।
কিছুক্ষণ টুকটাক কথা বলে অনি রিশাদ একে অপরের সাথে। এরপর তারা রুমে চলে যায়। রিশাদ রুমে গিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখতে পায় জয়ের অনেকগুলো মিসড কল। তখন জয়ের কল পেয়ে সে ফোনটা সাইলেন্ট করে রেখেছিল। তারপর সে জয়ের ব্যাপারটা ভুলেই গেছে। এদিকে অনেকবার জয় কল দিয়েছে।
তাড়াতাড়ি করে জয়কে কলব্যাক করে রিশাদ। প্রোজেক্টের একটা জরুরী কাজের জন্য তাকে কল দিয়েছিল। কিন্তু সে কল রিসিভ না করায় কাজটা আটকে আছে। এখন যদি সে না যায় তাহলে কিছুতেই আর কাজটা আগাবে না। তাই সে না চাওয়া সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে রেডি হয়ে বেরিয়ে যায়। অনিকেও এখন সুস্থই মনে হচ্ছে রিশাদের।
রিশাদ বেরিয়ে যাওয়ার পর অনি কিছুক্ষণ বই নিয়ে ঘাটাঘাটি করে। মূলত সে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছে যাতে রিশাদের কথা বার বার মনে না পড়ে। কিন্থ সেখানেও সে ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারছে না।
একটু পরেই জাহানারা বেগমের কল আসে। ভিসার কাগজ পত্রের জন্য তাকে জাহানারা বেগমের সাথে যেতে হবে। অনি তার দিদাকে বলে এয়ারলাইন্স এজেন্সিতে যাওয়ার সময় যেন তাকে পিক আপ করে নেয়।
ভিসার কথা শুনে অনি পুনরায় ভাবনায় পরে যায়। তবে সে নিজেকে তার সিদ্ধান্তে স্থির রেখেছে। এইসব কিছু থেকে যত দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারবে তার জন্য ততই ভালো। চাইলেই কি সব সম্ভব? বিয়ের মতো পবিত্র হালাল সম্পর্ক কি চাইলেই ছিন্ন করা যায়?
কোন প্রশ্নের জবাব নেই অনির কাছে। চোখ বুজে বড় করে শ্বাস নেয় অনি স্ট্রেস কমানোর জন্য।
কিছুক্ষণ পর বইপত্র সব গুছিয়ে রেখে অনি গোসল সেরে নেয়। ওয়ারড্রব খুলে কাপড় বের করতে করতে মনে হয় অনির শায়লা বেগমকে এখনও জানানো হয়নি ইংল্যান্ডে ফেরার কথা। রিশাদ অবশ্য কালকে বলেছিল যে সে তার মায়ের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবে। কথা বলেছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় অনি।
কাপড় বের করে বিছানার ওপর রেখে অনি শায়লা বেগমের রুমের দিকে যায়। শায়লা বেগম রুমে টুকটাক কাজ করছিলেন। অনি দরজায় নক করে বলে;
–“মামনি আসবো?”(অনি)
–“হ্যা আয়। কতবার বলবো তোকে নক করতে হবে না।”(শায়লা বেগম)
অনি মিষ্টি হেসে রুমে প্রবেশ করে।
–“মামনি তোমার সাথে একটা কথা ছিল।”(অনি)
–“হ্যা বল।”(শায়লা বেগম)
–“মামনি সামনেই আমার সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম। আমাকে কয়েকদিনের মধ্যেই ইংল্যান্ডে ব্যাক করতে হবে। “(অনি)
–“মানে?তুই চলে যাবি?”(শায়লা বেগম)
–“আসলে মামনি সামনেই আমার এক্সাম। ভ্যাকেশনও শেষ হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই।এখন না ফিরতে পারলে আমাকে এক্সামে বসতে দেবে না।”(অনি)
অনির কথা শুনে শায়লা বেগম পুরাই থ বনে যায়। তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না। অনি চলে যাবে মানে টা কি।
শায়লা বেগম বুঝে উঠতে পারছেন না কি জবাব দেবেন। তিনি অনির দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন।
–“এখন গেলে আবার কবে ফিরবি?”(শায়লা বেগম)
শায়লা বেগমের কথায় অনি কিছুটা চিন্তায় পড়ে যায়। সে তো একেবারে এখান থেকে চলে যেতে চায়। তাহলে ফেরার প্রশ্ন কোথা থেকে আসে। অবশ্য শায়লা বেগম বোধ হয় ভেবেছেন অনি এক্সাম শেষে আবার ফিরে আসবে।
–“ভার্সিটি ক্লাস,এক্সাম শেষ হতে প্রায় দুমাসের মতো সময় লাগবে। এরপর যদি ছুটি থাকে তবেই আসতে পারবো।”(অনি)
কিছু বুঝতে পারছেন না তিনি। শায়লা বেগমের সাথে কথা বলতে বলতেই জাহানারা বেগম চলে আসেন। আমেনার মা এসে জাহানারা বেগমের আগমনের খবর দেয়।
শায়লা বেগম অনিকে বলেন তিনি জাহানারা বেগমের সাথে কথা বলবেন এ বিষয়ে। অনি তার কথায় সম্মতি জানায়।
জাহানারা বেগমকে উপরে রুমে নিয়ে আসেন শায়লা। তিনি শায়লাকে সবটা খুলে বলেন। শায়লা বেগম জাহানারা বেগমের কথায় কিছুটা আশ্বস্ত হন। তবুও তিনি রিশাদ আর রায়হান সাহেবের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে চান। তার মাথায় অন্য একটা কথা ঘুরছে।
রিশাদ অনি বিয়ের পর থেকে কোথাও যাওয়া হয়নি একসাথে। তাই শায়লা বেগম ভাবছিলেন রিশাদ অনি যদি একসাথে যায়। এই সুযোগে তাদের একটু ঘোরাও হবে। কিন্তু রিশাদ কি যেতে রাজি হবে? এ বিষয়ে আজই তার সাথে কথা বলতে হবে।
শায়লা বেগমের প্রস্তাবটা জাহানারা বেগমের বেশ মনে ধরেছে। তাই তিনিও সায় জানান। তবে অনিকে এ ব্যাপারে এখনো কিছু বলা হয়নি। আগে রিশাদের সাথে কথা বলতে হবে।
কিছুক্ষণ পরেই জাহানারা বেগম অনিকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। অনি জানে না তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছে। সে জানার চেষ্টাও করে না।
অনি আর জাহানারা বেগম এয়ারলাইন্স এজেন্সিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সব ঠিক করে ভিসার জন্য সাবমিট করে। অনি ইংল্যান্ড এর সিটিজেন হওয়ায় তার ভিসা পেতে বেশি বেগ পেতে হবে না। তবে জাহানারা বেগমের জন্যই কিছুটা দেরি হবে। আরো সপ্তাহখানেক এর মতো সে এদেশে আছে। বিকেলের আগেই অনির সকল কাজ শেষ হয়ে যায়। জাহানারা বেগমের সাথে অনি ওই বাড়িতে যায়।
বাড়িতে ঢুকতেই অনামিকা শেখের মুখোমুখি হয় অনি। অনামিকা শেখ সোফায় বসে ছিলেন। অনিকে দেখে তিনি কিছুটা অবাক হন। তবে জাহানারা বেগমের কাছে অনির শরীর খারাপের ব্যাপারটা শুনে অনিকে দেখার জন্য তিনিও বেশ বিচলিত হয়ে ছিলেন।
–“আসসালামু আলাইকুম।”(অনি)
–“ওয়ালাইকুমুস সালাম। কেমন আছো এখন?শুনলাম তোমার শরীর খারাপ।এখন ঠিক আছো?”(অনামিকা)
–“জি আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন?”(অনি)
–“হ্যা ভালো আছি। বসো না এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন?”(অনামিকা)
–“না থাক বসবো না।বাবা কোথায়?”(অনি)
–“অফিসে গেছেন। এইতো একটু পরেই আসবে।”(অনামিকা)
–“ওহ আচ্ছা।”(অনি) বলেই অনি উপরের দিকে নিজের রুমে চলে যায়।
অনামিকা অনির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকেন। কি সাবলীল ভাবে অনন্যময়ী তাকে উপেক্ষা করে চলে গেল। অনামিকা শুধুই তাকিয়ে থাকেন। মস্তিষ্ক যেন শব্দশুন্য,বিরান,নির্জন।
অনন্যময়ী উপরে উঠে নিজের রুমের দিকে যায়। এবাড়িতে আসার পর থেকে সে খুব বেশি মিস করছে অদ্রিকে। দেশে আসার পর থেকে অদ্রির সাথে কাটানো কয়েকটা দিনই তাকে মিস করার জন্য যথেষ্ট।
অনি নিজের রুমে গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে নেয়।অদ্রির কথাটাই তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। একবারও অদ্রির সাথে যোগাযোগ কর হয়নি। অবশ্য অদ্রির উপর অভিমান হয়েছিল বলেই সে আর যোগাযোগ করার চেষ্টা করেনি। অদ্রিও তার সাথে কোনরকম যোগাযোগ করেনি। বার বার সোশ্যাল মিডিয়ায় চেক করে সে অদ্রির আইডি ডিএক্টিভ পেয়েছে।
আজও মোবাইলটা হাতে নিয়ে সে আরেকবার চেক করে।কিন্তু কোন লাভ হয়না। হতাশ হয়ে বসে থাকে অনি।ফ্রেশ হয়ে আসে। এরপর অনি একটু বিছানায় শুয়ে থেকে খানিকক্ষণ জিরিয়ে নেয়।
আছরের আযান দিলে অনি বিছানা ছেড়ে ওঠে।অজু করে এসে নামাজ পড়ে নেয় সে। রুম থেকে বেরিয়ে জাহানারা বেগমের রুমের দিকে যায়।
জাহানারা বেগমও অনির খোঁজেই যাচ্ছিলেন। অনির এখনো কিছু খাওয়া হয়নি। নিচে থেকে রান্নার তদারকি করে আসছিলেন। রান্নাঘরে গিয়ে তিনি বেশ অবাক হন। অনামিকা আগে থেকেই রান্নার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন। তাই আর জাহানারা বেগম সেদিকে যান না।
উপরে এসে অনির সাথে দেখা হলে তাকে তিনি নিচে পাঠিয়ে দেন। তার বাবা আশরাফ শেখ এসেছেন। অনির সাথে দেখা করার জন্য উপরে আসতে চাইলে জাহানারা তাকে বলেন অনিকে গিয়ে আমি ডেকে আনছি।
জাহানারা বেগম অনিকে নিচে পাঠিয়ে দেন। নিজে আর নিচে না নেমে রুমে যান। অনি নিচে নেমে তার বাবা আশরাফ শেখের সাথে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করে। আশরাফ সাহেবের সাথে অনেকক্ষণ ধরে গল্প করে অনি। প্রতিদিন ফোনে কথা হলেও বেশ কয়েকদিন পর দেখা হয়েছে আশরাফ সাহেবের সাথে।
জাহানারা বেগম রুমে গিয়ে রিশাদকে ফোন করেন। রিশাদকে এখানে আসতে বলে। রিশাদ প্রথমে আসতে না চাইলেও জাহানারা বেগমের কথা ফেলতে পারে না। জাহানারা বেগম তাকে বলে অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় তাকে বাসায় নিয়ে যেতে আর রিশাদের সাথে তার জরুরী কিছু কথাও আছে বলে জানায়।
রান্না শেষ করে ড্রইংরুমে আসেন অনামিকা যেখানে আগে থেকেই গল্প করছিল অনিরা। অনামিকা বিশেষ দিনগুলো ব্যতীত রান্না করে না। আজ অনি এসেছে উপলক্ষে রান্না করেছে। ব্যাপারটা অনির কাছে কেমন অদ্ভুত লাগে। তবে সে তা অপ্রকাশিতই রাখে।
অনামিকা এসে সবাইকে খাওয়ার জন্য ডাকে। অনি আশরাফ শেখ, জাহানারা বেগম আর অনামিকা সবাই এক সাথে খেতে বসে। আশরাফ শেখের একপাশে বসে অনামিকা অপর পাশে বসে অনি। অনির পাশে জাহানারা বেগম।
অনির সামনে প্লেট দিতে নিলে আশরাফ শেখ তা সরিয়ে দেয়। তিনি নিজের প্লেটে অনির পছন্দের সব খাবার তুলে নিয়ে ভাত মাখিয়ে তাকে তুলে খাওয়ান। অনি বেশ তৃপ্তি নিয়ে খায়। জাহানারা বেগম এক গাল হেসে নিজেও খেতে শুরু করেন।
অন্যদিকে অনামিকা একটু পর পর অনি আর আশরাফের দিকে তাকাচ্ছে। কিভাবে আশরাফ তাকে আপন করে নিয়েছে। কোন রক্তের সম্পর্ক নেই তবুও সে একজন আদর্শ পিতার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু অনামিকা?সে তো পারেনি তার কোন দায়িত্ব পালন করতে। সে তার এই ক্ষুদ্র জীবনে একজন মানুষ হিসেবে ব্যর্থ, মা হিসেবে ব্যর্থ, একজন সন্তান হিসেবে ব্যর্থ,একজন বোন হিসেবে ব্যর্থ। বোধ হয় একজন স্ত্রী হিসেবেও ব্যর্থ।
অনামিকার গলা দিয়ে খাবার নামছে না। অশ্রুগুলো চোখ ফেটে বেরিয়ে আসার উপক্রম। যেকোন মূহুর্তে বেরিয়ে আসতে পারে। অনামিকা অশ্রু সংবরণ করে নেয়। খুব কষ্টে কয়েক লোকমা ভাত মুখে দেয়।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে উপরে রুমে যায় অনি। কিছুক্ষণ একটু জিরিয়ে নেয়।পাশাপাশি ইলিয়ানা আর মোনালিসার সাথে ফোনে কথা বলে।
একটু পরেই ডাক পড়ে। জাহানারা বেগম তাকে নিচে ডাকছেন। অনির উঠতে মন চাইছিল না। জাহানারা বেগমের ডাক শুনেও বিছানায় শুয়ে থাকে। কোন সাড়া দেয় না। কিছুক্ষণ পর একরাশ বিরক্তি নিয়ে উঠে পড়ে অনি।
সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে নিচের দিকে চোখ যায় তার।সোফায় বসে আছে কেউ একজন। তার মুখ দেখা যাচ্ছে না। অনি পেছন দিক থেকে বুঝতে পারছে না কে। জাহানারা বেগম সহ বাড়ির সবাই সেখানে উপস্থিত। কৌতূহল নিয়ে নিচে নামে।
চলবে…
আসসালামু আলাইকুম?।রাতে আরেকটা বোনাস পার্ট দিব। ইচ্ছা করেই ছোট করে দিছি?।