? Ragging To Loving ?
Part:: 16
Writer:: Ridhira Noor
আজ তিন দিন ধরে আমরিন সিমা যখনই আহিল ওয়াসিমের সাথে কথা বলতে যায় তারা ইগনোর করে চলে যায়। ইদানিং তাদের সবসময় দুইটা মেয়ের সাথে দেখা যায়। হেসে হেসে কথা বলে। আমরিন সিমা প্রথম দিকে খুব একটা পাত্তা না দিলেও এখন প্রচুর বিরক্ত আর রাগ লাগে। মনে মনে ওদের দুইজনের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে।
আজ প্রতিযোগিতা শুরু হবে। তাদের সব রুলস নিহাল স্যার জানিয়ে দিল।
নিহাল স্যারঃঃ- সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আজকে হবে ট্রেজার হান্ট। অর্থাৎ আপনাদের কিছু ধাঁধা দেওয়া হবে। প্রত্যেক ধাঁধা সমাধান করতেই ধাঁধার উত্তরের সাথে একটি পতাকা পাবেন। এমন করে আপনাদের তিনটি ধাঁধা সম্পূর্ণ করতে হবে। সব ধাঁধা সমাধান করার পর যেই পতাকা পাবেন সেই পতাকায় একটি করে ক্লু থাকবে। সেই সব ক্লু মিলে একটা ধাঁধা হবে। সেটা হবে সর্বশেষ ধাঁধা। সেটা সমাধান করে হয়ে যাবে বিজয়ী। সময় দুই ঘন্টা। আর এটা দলগত ভাবে। প্রত্যেক দলে পাঁচজন থাকবে।
নূরঃঃ- স্যার আমরা তো ছয়জন। আর আমরা একে অপরকে ছাড়া অংশগ্রহণ করতে পারব না।
আফরানঃঃ- স্যার আমরাও ছয়জন। আর সবকিছু একত্রেই করি। তাই আমাদের পক্ষেও একজন ছাড়া সম্ভব না।
নিহাল স্যারঃঃ- ঠিক আছে তাহলে ছয়জন করে দল করেন।
নিহাল স্যার প্রত্যেক দলকে একটি করে ধাঁধা দিল। “ইউর টাইম স্টার্ট নাও।” সবাই তাদের ধাঁধা পড়তে লাগলো।
নূরঃঃ- লাল কালি দিয়ে লেখা “এটা এমন এক বস্তু যা থাকে হারে হারে, অন্যকে দিলে কমে না বরং আরো বাড়ে” এটা আবার কেমন ধাঁধা। দিলে কমে না বরং আরো বাড়ে?
সিমাঃঃ- থাপ্পড়। যেমন মনে কর আমি তোকে থাপ্পড় দিলাম। কিন্তু আমার মন ভরে না। আমি আরো দিব। এর মানে কমে না আরো বাড়ে।
নূরঃঃ- তোরে আমি থাপরাইয়া মুতাই দিমু।
সিমাঃঃ- তোরে লাত্থাইয়া হাগাই দিমু।
নূরঃঃ- তোরে ঘুসি দিয়া পাদাই দিমু।
পুষ্পঃঃ- বোইন থাম। আর বেশি দূর যাস না। নাইলে আমি এক্ষুনি বমি কইরা দিমু।
আলিফাঃঃ- তোর কি জ্ঞান নেই ফকিন্নি। থাপ্পড় কেমনে বাড়ে।
আমরিনঃঃ- ওয়াও আলু তুই তো অনেক ইন্টেলিজেন্ট। ধাঁধা সমাধান করে দিলি। আরে ধাঁধার উত্তর জ্ঞান। জ্ঞান অন্যকে দিলে কমে না বরং আরো বাড়ে।
মেহেরঃঃ- কিন্তু জ্ঞান পাব কোথায়? (সবাই ভাবতে লাগলো) জ্ঞানের ভান্ডার…..
“লাইব্রেরি” (একসাথে চিল্লিয়ে উঠলো) সবাই দৌড়ে গেল লাইব্রেরি। এত্তো গুলো বই আর বুকসেল্ফ। এখানে ফ্লাগটা পাবে কোথায়? ছয়জন ছয় দিকে ছড়িয়ে গেল। পুরো লাইব্রেরি খুঁজতে লাগলো। অবশেষে আলিফার চোখ পড়ল লাইব্রেরির সবচেয়ে বড় বুকসেল্ফে। সেখানে পতাকা ঝুলানো। দৌড়ে গিয়ে পতাকা নিয়ে বাকিদের দিল।
আফরানঃঃ- সবুজ কালি দিয়ে লেখা “জঙ্গল নয় চিড়িয়াখানা নয়, তবুও নানা ধরনের প্রাণী সেখানে রয়” নানা ধরনের প্রাণী সব তো আমার সাথে। (বাকি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে)
ইয়াশঃঃ- হারামি কি বলতে চাস তুই। আমরা নানা ধরনের প্রাণী?
আফরানঃঃ- সেটা আবার বলতে হয়। বন্ধু মানে বিদেশি কুত্তা। আর তোরা তো মানে কি বলতাম।
আহিলঃঃ- উষ্টা মারমু তোরে। তোদের চাটনি বানিয়ে বায়োলজি ল্যাবে দিয়ে আসব। ওখানে তোদের পরিক্ষা নীরিক্ষা করে জানবে তোরা কোন গ্রহ থেকে এসেছিস।
রিহানঃঃ- (আহিলের মাথায় টোকা মারল) ইউ আর গ্রেট ইয়ার। আরে নানা ধরনের প্রাণী বায়োলজি ল্যাবে পাওয়া যায়। সাইন্সের স্টুডেন্টরা তাদের প্রাকটিকাল করে বায়োলজি ল্যাবে।
আরিফঃঃ- তো দাঁড়িয়ে আছিস কেন? দৌড়া হারামিস।
বায়োলজি ল্যাবে গেল। চারদিকে কাঁচের বাক্সের মধ্যে বিভিন্ন প্রাণী। ব্যাঙ, ইঁদুর, খরগোশ আরো অনেক প্রাণী।
ওয়াসিমঃঃ- ভাই রে ভাই এগুলো কি? ইইই ওয়াক। তোরা থাক আমি যায়। এগুলো দেখে আমি বেহুশ হয়ে পড়ে থাকব।
আফরানঃঃ- চুপচাপ চল আমাদের সাথে। যেই করে হোক জিততে হবে। আর তুই বেহুশ হলে ওরা চারজন তুলে নিয়ে যাবে। এখন ফ্লাগ খুঁজ।
খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে পেয়ে গেল। সেখানে পরবর্তী ধাঁধা লাল কালি দিয়ে লিখা। “সাত সাগরের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা পেয়েছি”
ওয়াসিমঃঃ- শহীদ দিবসের গান কেন? এটা আবার কেমন ধাঁধা?
রিহানঃঃ- স্যারকে বল ফুল নিয়ে শ… শহীদ! শহীদ আরে শহীদ মিনার। ভার্সিটির শহীদ মিনারে পাব নেক্সট ক্লু। চল।
আহিল আগের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর বাকিরা গেল শহীদ মিনারে। নূর আর বাকিরা তাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এলো মাঠে। আমরিন দেখে আহিল দাঁড়িয়ে আছে তার হাতে ধাঁধার ফ্লাগ।
আমরিনঃঃ- এই শোন। ওই দেখ আহিলের হাতে ফ্লাগ। নিহাল স্যার বলেছিল সর্বশেষ ধাঁধা সমাধান করতে সব ধাঁধা একত্রিত করতে হবে।
পুষ্পঃঃ- তো?
আমরিনঃঃ- আরে আমি যদি আহিল থেকে ওই ফ্লাগ নিয়ে নেই তাহলে ওরা ধাঁধা সমাধান করতে পারবে না। আর আমরা জিতে যাব।
আলিফাঃঃ- এটা তো চিটিং।
সিমাঃঃ- আরে কিসের চিটিং? স্যার তো এমন কোন রুলস বলে নাই। আমু যা আমি আছি তোর সাথে।
আমরিন গিয়ে সোজা আহিলের সামনে দাঁড়ালো। আহিল এক মুচকি হাসি দিয়ে কিছু বলতে যাবে তখন প্লানিং এর কথা মনে করে আমরিনকে ইগনোর করতে লাগলো। আমরিন রাগে ফুঁসছে। এক দুষ্টু হাসি দিয়ে আহিলের আরো কাছে যেতে লাগলো। আহিলের বুকের ভেতর ধুকপুকানি শুরু হয়ে গেল। আমরিন এক ধ্যানে তার চোখে তাকিয়ে আছে। আহিলও যেন ডুবে গেল সেই চোখে। আমরিন আস্তে করে হাত
থেকে ফ্লাগ নিয়ে নিল। সামনে থেকে সরে খানিকটা দূরে গিয়ে দাঁড়াল। আহিলের দিকে হেসে হাত উঠিয়ে ফ্লাগ দেখাল। আহিল তার হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে আমরিন তার হাত থেকে নিয়ে নিল।
আহিলঃঃ- দিস ইজ নট ফেয়ার।
আমরিনঃঃ- এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ এন্ড ওয়ার।
আহিলঃঃ- ইজ দিস লাভ?
আমরিনঃঃ- (হতচকিত হয়ে গেল) নো। ইটস ওয়ার। (ভাব নিয়ে বলল)
আহিলঃঃ- (আমার তরফ থেকে শুধুই লাভ)
সিমা দৌড়ে এসে আমরিনের হাত থেকে ফ্লাগটা নিল। নিয়ে নাচানাচি করতেই তার কাঁধে কেউ টোকা দিল। পিছন ফিরে দেখে ওয়াসিম। ওয়াসিম তার হাত থেকে ফ্লাগ ছিনিয়ে নিল।
ওয়াসিমঃঃ- মিস পিংকি চিটিং ইজ নট ফেয়ার। নেদার ইন লাভ নর ইন ওয়ার। (সিমা মুখ লটকিয়ে ফেলল। ওয়াসিম মৃদু হেসে চলে গেল)
আমরিন সিমা তাদের ভেঙচিয়ে চলে গেল।
নূরঃঃ- এবার আমাদের ধাঁধা সমাধান কর। সবুজ কালি দিয়ে লেখা “খুঁজছ যা স্থলে, পাবে তা শুধু জলে” এখানে জল কোথায়? এভাবে একসাথে পাব না। আলাদা হয়ে খুঁজ সবাই।
.
.
.
চলবে
বিঃদ্রঃ ? এই পার্টে কি লিখছি নিজেও জানি না। দুই দিন ধরে ব্যাপক চিন্তা করছি এই পার্ট নিয়ে। কিছুই মাথায় আসছে না। তাই যা পারছি লিখছি। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর দেরিতে দেওয়ার জন্য দুঃখিত। ???