তোমাতেই অস্তিত্ব আমার পর্ব-২

0
5412

#তোমাতেই_অস্তিত্ব_আমার
লেখনীতে:মিথিলা মাশরেকা

২.

বাসায় ড্রয়িংরুমে সোফায় নিচদিক তাকিয়ে বসে আছি। আমাকে বাসায় চুপিচুপি ঢোকার সময় দেখে ফেলে আম্মু। যদিও উনারা দু ঘন্টা আমার রুমের দরজা লক দেখেই আরো বেশি আমার খোজ করছিলেন তার আন্দাজ আছে আমার,তবুও ভেবেছিলাম বাসায় ঢুকলেই সবটা ঠিক। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি দেখে মোটেও তা মনে হচ্ছে না। সামনের সোফায় আব্বু বসে,পাশেই আম্মু বুকে হাত গুজে দাড়িয়ে আছে। মাইশা কাচুমাচু হয়ে দাড়িয়ে সবার মুখের দিকে বারবার তাকাচ্ছে,রিজোয়ান গাড়ি দিয়ে একবার মেঝেতে চালাচ্ছে,একবার সোফার হাতলের উপর চালাচ্ছে।বেশ কিছুক্ষন পিনপতন নিরবতা শেষে আব্বু ধীর গলায় বললেন,

-বেরোতে মানা করেছিলাম তোমাকে। তবুও কেনো বাইরে গিয়েছিলে?

…….

-চুপ করে আছো যে! বাইরে বেরোতে বারন করেছিলাম তোমাকে। কেনো শুনলে না আমার বারন?

……..

-কিছু জিজ্ঞাসা করেছি তোমাকে মিথি! আমার কথার উত্তর দাও।

……

আমার নিরবতা দেখে আব্বু এবার দাড়িয়ে গেলেন। প্রচন্ড রেগে হুংকারের স্বরে বলে উঠলেন,

-কিছু বলছি তোমাকে! কানে যায় না? আমাদের কথার কোনো মুল্য নেই তোমার কাছে? বেরোনোর আগে একটাবারও ভাবলে না আমাদের মানা করার নিশ্চয়ই কোনো কারন আছে? একটাবারো মনে হলো না যে আমরা তোমার ভালোর জন্যই বেরোতে মানা করেছি? বলো? চুপ কেনো? বলো,জবাব দাও!

তার ধমকে আমি কেপে উঠেছি। চোখ দিয়ে টপাটপ পানি ঝরছে আমার। মাইশাও মুখে হাত দিয়ে কাপছে আর ফুপাচ্ছে। রিজোয়ান গাড়ি ফেলে দৌড়ে আম্মুকে জরিয়ে ধরেছে। আব্বুর এ রুপের সাথে আমরা সবাই অপরিচিত। জীবনে কোনোদিনও কোনো কারনেও আব্বু আমাদের সামনে এভাবে রিয়্যাক্ট করেননি। আমি যে প্রশ্নগুলো জোর গলায় করবো বলে ভেবে রেখেছিলাম,সেগুলোও হারিয়ে গেছে। আম্মু রিজোয়ানকে সামলে আব্বুকে বললো,

-একটু শান্ত হন আপনি। তেমন কিছু তো হয়নি।আল্লাহর রহমতে সবটা ঠিক আছে। আপনি আর উত্তেজিত হবেন না।

-উত্তেজিত হবো না? ঠিক আছে? কি ঠিক আছে বলোতো? ঠিক থাকতে পারতো কতক্ষন সবটা?

-তবুও থামুন আপনি। ঘরের মেয়ে ঘরে সহিসালামাত ফিরে এসেছে এটাই অনেক। আমি বোঝাচ্ছি ওকে।

আব্বু কপালটা দু আঙুলে ধরে সোফায় বসলেন।আমি কেদেই চলেছি। আম্মু মাইশার কাছে রিজোয়ানকে দিয়ে ভেতরে পাঠিয়ে দিলো। তারপর আমার পাশে এসে বসলো। আমার কাধে হাত রেখে বললো,

-ব্যস! আর কাদিস না। চুপ কর এবার।

আমি আম্মুর মুখের দিকে তাকিয়ে তাকে জরিয়ে ধরে হুহু করে কেদে দিলাম। আম্মু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,

-কেনো বুঝিস না আম্মু বলতো? আমরা যা বলি,যা করি সবটা তোর ভালোর জন্যই।

আমি তখনো কাদছি। সবকিছু সহ্য করে নিতে পারি আমি,কিন্তু আব্বুর রাগ না। আব্বু কোনোদিন একটু চোখ গরম করলেই আমার সেদিন নাওয়া খাওয়া উঠে যেতো,সেই আব্বু আজ আমাকে ওভাবে বলেছে। তাও শুধুমাত্র বাইরে বেরোনো নিয়ে,যেই আমাকে কিনা তারাই সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দিয়ে মানুষ করেছে,কোথাও একাকি যেতে কোনোদিনও মানা করে নি।

-তোমাকে বেশি ভালোবাসি বলেই এভাবে বলেছি মিথি। আমাদের ভালোবাসেকেও কি তুমি বোঝো না?

আমি মাথা উঠিয়ে দেখি আব্বু আমার সামনে মেঝেতে হাটু গেরে বসে কথাগুলো বলেছেন। আমি আর সহ্য করতে পারলাম না। আব্বুকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলাম। আব্বু দুহাতে আমাকে আগলে বললেন,

-তোমার সেইফটির জন্যই এভাবে বলি আমরা।একটু মানিয়ে নিতে শেখো। দেখবে একসময় তুমি সবটা বুঝবে,তখন আর তুমি আমাদের এমন বিহ্যাভের জন্য দোষী ভাববে না।

আমি কান্না থামিয়ে আব্বুকে ছেড়ে হাতের উল্টোপিটে চোখ মুখ মুছে বললাম,

-আচ্ছা,আর কোনোদিনও বেরোবো না। এবার তো খুশি আপনারা?

আব্বু কিছুটা হেসে মাথা উপরে নিচে নাড়ালেন।কিন্তু আমি মোটেও চাইনি তাদের হ্যা শুনতে,বাইরে যেতে চাই আমি,মুক্ত পাখির মতো উড়তে চাই আমি,প্রকৃতিপ্রেমী মনটাকে প্রকৃতির সবটার এক্সপেরিয়েন্স দিয়ে সন্তুষ্ট করতে চাই আমি। তাই কথাটাকে ঘোরাতে,আরেকটা সুযোগ নিতে সেই পুরোনো প্রশ্নটাকেই তুলে ধরার কথা মাথায় আসলো আমার। আম্মুকে অনেকবার বলেছি,উত্তর পাইনি। কিন্তু আব্বুকে জিজ্ঞাসা করার মতো সাহস হয়নি আমার। যদি ভেবে নেয় আমি তার সিদ্ধান্তে উপরে প্রশ্ন করছি,কষ্ট পাবেন সে। আম্মু নিজেও বলেনি আবার আব্বুকে বলতে বারন করেছে,আব্বু নাকি কষ্ট পাবেন এতে। একটা শুকনো ঢোক গিলে বললাম,

-আমি বেরোবো না,তবে আমার একটা শর্ত আছে।আমার কিছু প্রশ্নের জবাব চাই।

আব্বু ভ্রুকুচকে তাকালেন আমার দিকে। আম্মু ঘাড় নাড়িয়ে পিছন থেকে ইশারায় বারবার মানা করছে আমাকে না বলতে। আমি নিজেকে শক্ত করে নিয়ে বললাম,

-আমার সাথে চারমাস আগে কি হয়েছে? আমার সবকিছু এতো অদ্ভুত আর নতুন নতুন লাগে কেনো? কেনো এমন মনে হয় আমি অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছি? কেনো সামান্য বাথরুমে পরে গিয়ে মাথায় আঘাত পেতেই আমাকে তিন মাস শহরের বাইরে হসপিটালাইজড্ হয়ে থাকতে হলো? কেনো জ্ঞান ফেরার পরেও এ শহরে এসেও এ এক মাসে আমাকে কারো সাথে যোগাযোগ করতে দেননি আপনারা? কেনোই বা কেউ যোগাযোগ করেনি আমার সাথে? কেনো আমি সব…

আব্বু দাড়িয়ে গেলেন। এবার তার শক্ত চোয়াল দেখে বোঝা যাচ্ছে উনি আবারো রেগে গেছেন।তবে,এবারের রাগটা আরো বেশি ভয়ানক। আম্মু বুঝে তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি সামাল দিতে আমার হাত ধরে বললো,

-চল! অনেক বেশি কথা বলে ফেলেছিস তুই।আজকেও তোর এসবই জিজ্ঞাসা করতে হতো?চল এখান থেকে।

আমি আম্মুর হাত ছাড়িয়ে আব্বুর মুখোমুখি দাড়িয়ে বললাম,

-যাবো না আমি আম্মু। আজ আমার জবাব চাই।সবটা জানতে চাই আমি। আব্বু সবটা বলবেন আমাকে।

আব্বু হাত মুঠো করে চুপচাপ দাড়িয়ে আছেন।আমি আবারো বললাম,

-বলুন আব্বু,আজ আপনাকে উত্তর দিতেই হবে।কি এমব ঘটেছে আমার সাথে? আজ আপনি জবাব না দিলে আমি সত্যি বলছি,যে দুঃসাহস আমি এতোদিনও করিনি,তাই করবো আমি। আপনাদের কথা ভেবে এতোদিনেই বাইরে যাইনি আমি,কিন্তু এবার সত্যি সত্যিই বাসা থেকে বেরিয়ে যাবো আমি। আমার লাইফে কি ঘটেছে তা জানার অধিকার আমার আছে। আপনি কেনো আম…

আর কিছু বলার আগেই আম্মু একপ্রকার টেনে হিচড়ে রুমে এনে বাইরে থেকে দরজা লক করে দেয়। দম মেরে বসে রইলাম। অনেকবার দরজা ধাক্কেচ্ছি,চিৎকার করেছি।কোনো লাভ হয়নি। দরজা খুলে দেয়নি কেউই। মেঝেতে বসে কেদে চলেছি।সন্ধ্যা গরিয়ে রাত হয়েছে। কাদতে কাদতে মাথায় মৃদ্যু ব্যথা অনুভব করলাম। দুচোখ লেগে আসলো আমার।মাথা আপনাআপনি ঢলে পরলো বিছানায়। তারপর আর কিছু মনে নেই।

প্রচন্ড জোরে ড্রাইভ করছে আরমান। আজকের ঘটনার সবটা ওর মাথার উপর দিয়ে গেছে।কোনোটার সাথে কোনোটার মিল খুজে পাচ্ছে না।বারবার মাথার সামনের চুলগুলো আঙুল দিয়ে উল্টে পিছনে দিচ্ছে আর সবটা ভাবছে। মোবাইল রিং হতেই কানে গোজা ব্লুটুথে রিসিভ করে বললো,

-আদিব,দু ঘন্টার মধ্যে আমার কবির রহমানকে চাই। এট এনি কস্ট! তুই নিজেই হ্যান্ডেল করতে পারবে নাকি আমি আরো‌ গার্ডস্ পাঠাবো?

-আ’ইল হ্যান্ডেল ইট। আর গার্ডস্ লাগবে না। দু ঘন্টার আগেই কবির রহমান তোর সেগুনবাগিচার গেস্টহাউজে থাকবে। শুধু এটুকো বল তার আপ্যায়ন কিভাবে করবো?

-খবরদার! উনার গায়ে যেনো একটা ফুলের টোকাও না পরে! উনাকে জাস্ট নিয়ে আসবি,মেক শিউর ওনলি অফ‌ দ্যাট,বড় ভাইয়ের মতো সবসময় তোকে পাশে পেয়েছি,তাই এ কাজ তোকেই করতে হবে ভাই।

-ওকে,ওকে রিল্যাক্স। কিচ্ছু করবো না উনাকে।কাজ শেষে তোকে জানিয়ে দেবো।

-ওকে,আমি আসছি তুই আমাকে আপডেট জানা।

-ওকে ডান,আমি বেরিয়েছি।

আদিব ফোনটা রাখতেই ঠোটের কোনে হাসি ফুটলো আরমানের। গাড়ির স্পিড বারিয়ে বাকা হেসে বললো,

-এবার আমার সবটা জানতে কোনো বাধা নেই। কি ভেবেছিলেন মাহমুদ আলম? আপনি যেভাবে চাইবেন সবটা সেভাবেই হবে? রিয়াপিকে তখন কিছু বলেননি,তাই ওকে থ্রেট দিয়েও লাভ হবেনা জেনেই তখন কিছু করিনি আমি। আর আপনিও বেশ চালাকি করে গা ঢাকা‌ দিয়েছিলেন,ভেবেছিলেন আমি হয়তো এতোটাই কাচা লোক যে আপনার এটুকো প্লানের বারোটা বাজাতে পারিনাই মানে সবটা ছেড়ে দিয়েছি। আমি যে আপনার উপর চেকমেইট রেডি করছিলাম তার কি হবে? এবার?এবার কি হবে বলুনতো?আমি নিজে এসেছেন এখানে,রিয়াপির বাবা নিখোজ!!আপনার সো কলড্ ফোর্স আর সবাইকে চোখে রাখলেও কাকে রাখবেনা,আর কাকে দিয়ে কাজ হাসিল করাতে সুবিধা হবে সেটা ইশতিয়াক আরমান খুব ভালো মতোই জানে।

মনে মনে কথাগুলো বলে ড্রাইভে মন দিলো আরমান। দেড় ঘন্টা পর সেগুনবাগিচা পৌছাতেই আদিবের কল। কল রিসিভ না করে গাড়ি পার্ক করে বাসায় ঢোকে সে।অন্ধকার ঘরের মাঝ বরাবর চোখমুখ বেধে রাখা হয়েছে বয়স্ক একজনকে।আদিব আরমানকে দেখে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আরমান এগিয়ে গিয়ে ভালো করে চেহারাটা পরখ করে নিলো,মুখটা খুলে দিলো। আদিবের কাজ ওকে বুঝিয়ে দিয়ে নিজে পাশে বসে আপেল চিবোতে লাগলো।

এই বয়সে কিডন্যাপ হওয়ার একমাত্র কারন বুঝতে বাকি রইলো না কবির রহমানের। সন্ধ্যায় চায়ের দোকান থেকে বাসায় ফেরার সময় হুট করে একটা গাড়ি সামনে এসে দাড়ায়,গাড়ি থেকে তিন চারজন ছেলে নেমে ভেতরে তুলে নেয় তাকে।বুঝতে পারছে এটা কার কাজ তবুও বললেন,

-আমাকে এভাবে তুলে এনেছেন কেনো? এসবের মানে কি?কে আপনারা?

-আঙ্কেল আমি আরমান। কিছু করবোনা আপনাকে,যদিও চারমাস আগে আপনিও মাহবুব আলমের সাথে আমার এগেনেষ্টে অনেক কিছুই করেছেন।তবুও।জানি মিথির বিষয়ে আপনি মুখ খুলবেন না,আর রিয়াপি আপনার কষ্ট সহ্য করতে পারবে না।তাই কান টানলে মাথা আসা থিওরি অ্যাপ্লাই করেছি,চুপচাপ থাকুন।

আরমানের নাম শুনে কিছুটা ভরকে গেলেন কবির রহমান।আরকিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আবারো তার মুখ বেধে দেয় আরমান।এরপর আদিবকে ওর কাজ করার জন্য ইশারা করে।আদিব ওর কথামতো নাম্বার ডায়াল করলো,

-আসসালামুআলাইকুম,কে বলছেন?

-ওয়ালাইকুমআসসালাম।কে বলছি তা আপনার জানতে হবে না।কেনো বলছি সেটা শুনুন।আপনার বাবার এক্সিডেন্ট হয়েছে।উনার ফোন থেকেই নাম্বার নিয়ে কল করেছি আমি।

কথাটা শুনে রিয়ার পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।চিৎকার দিয়ে বললো,

-না! এ্ এসব ক্ কি ব্ বলছেন আপনি?কোথায় আব্বু?বলুন?কোথায় আমার আব্বু?

-উনাকে আল সিনহা হসপিটালে অ্যাডমিট করানো হয়েছে।

-আ্ আমি এখনি আসছি।

কল কেটে যেতেই হাসি ফুটলো আরমানের মুখে।আদিব অবাক চোখে শুধু দেখছে সবটা।গত আট বছরে এমন কোনো কাজই আরমান করে নাই যাতে রিয়ার মতো কোনো মেয়ে বা এই বয়সের কেউ ইনভল্ব হয়,যেগুলো করেছে তা নিতান্তই মানুষের ভালো করার উদ্দেশ্যে।আর চারমাস আগে!কিন্তু সেটা তো মিথিলার জন্য!!আজ আবারো মিথিলার সাথে জড়িতো লোকজনকে কেনো এভাবে নিয়ে আসছে ও।নিজের কৌতুহলকে সামলাতে না পেরে বলেই উঠলো সে,

-আরমান,উনাকে এভাবে তুলে আনলি কেনো?মেয়েটাকেই বা ওভাবে মিথ্যে বললি কেনো?

আরমান ঠোট টিপে হেসে আদিবের কাধে মৃদ্যু করে বারি মেরে বললো,

-এতোটা অধৈর্য্য হচ্ছিস কেনো বলতো?তোর বন্ধু এর আগেও তো এমন কিডন্যাপিং করেছে,মিথ্যে বলেছে।

আদিব ছোট করে নিশ্বাস ফেলে মাথা মাথা নিচু করে ধীর গলায় বললো,

-হ্যাঁ,কিডন্যাপিং করেছিস।তবে সেটা অপরাধীকে শাস্তি দিতে,তার গায়ে ফুলের টোকাও যাতে না লাগে এমনটা নিশ্চিত করার জন্য নয়।হ্যাঁ,মিথ্যে বলেছিস।কিন্তু সেটা সত্যকে বের করতে,কাউকে ইমোশোনালি হার্ট করতে নয়।

আরমান আদিবের কাধে হাত রেখে বললো,

-বেশ অনেকটাই চিনিস তুই আমাকে।সত্যি বলতে আমার আপন মা বাবার চেয়েও বেশি।সবটাই জানবি তুই।জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ।

আদিব মিষ্টি হেসে ঘাড় কাত করে সম্মতি দিলো।আরমান বললো,

-এবার রিয়াপির একটা ব্যবস্থা করতে হবে।ওকেও এখানে আনতে হবে।ওর চেহারা মনে আছে তোর?ছবি লাগবে?

….

-কিরে?চুপ কেনো তুই?

-হুম!কি্ কিছুনা।আমি পারবো ওকে আনতে।যাচ্ছি।তুই এখানেই থাক।

-ওকে সাবধানে যাস।বাই।

আদিব বেরিয়ে গেলো।তবে রিয়াকে এভাবে তুলে আনতে হবে ভেবে কেনো জানিনা ওর কষ্ট হচ্ছে।নিজেকে শক্ত করে উদ্দেশ্য হাসিলে গাড়ি স্টার্ট দিলো আদিব।

ভোরের আলো চোখে পরতেই ঘুম ভেঙে গেলো আমার।নিজেকে বেডে খুজে পেলাম।তারমানে আম্মু আব্বু ঘরে এসেছিলো।মাথাটা এতোটাই ভারি যে উঠে বসতে অবদি পারছি না।শুয়ে শুয়েই আগের রাতের কথা ভেবে কয়েকফোটা চোখের জল বিসর্জন দিলাম।হঠাৎ পাশের রুমে নতুন একটা স্বরের আওয়াজ পেলাম।আব্বু আম্মুও আছে।কিন্তু এতোদিন পর বাসায় নতুন কে আসলো তাই নিয়ে মনে একটা ঘটকা লাগলো।কে এসেছে জানতে অতিকষ্টে বিছানা থেকে নেমে আম্মু আব্বুর রুমের দরজায় এসে দাড়ালাম।কিন্তু তাদের আলোচনা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো।তাদের কাছে এমনটা এক্সপেক্ট করিনি আমি….

#চলবে…

®

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here