না_চাওয়া_পূর্ণতা পর্ব :১৮

0
1696

#না_চাওয়া_পূর্ণতা ?
লেখক : সানজিতা আক্তার মীম
পর্ব :১৮

সায়নের মা : কই ঠিক আছিস, সেই ১ বছর ধরে কোমায় ছিলি, কি লিকুইড খাবার খাইয়ে রেখেছে। দেখ সায়নের বাবা, মেয়েটা কতো শুকিয়ে গেছে।
সায়ন : আমার দিকেও একটু নজর দেও. আমিও অসুস্থ ( বলে সোফায় শুয়ে পরলো অসুস্থ ভঙ্গিতে)

তনু দৌড়ে সায়নের কাছে গেল।যেয়ে পাশে বসে সায়নের গালে কপালে হাত ছুয়ে দেখতে লাগলো জ্বর কি না।
তনু : কি হয়েছে, বলো?
সায়নের মা : ওসব কিছু না। সব আদর পাওয়ার ধান্দা। তুমি চল আমার সাথে। দেখি গিয়ে আমার অন্তু দাদুটা কি করে। চল,,,( বলে তনুর হাত ধরে উপরে যেতে লাগলো)

সায়নের কাছে নিজেকে মূল্যহীন লাগলো।সায়নের ভঙ্গিমা দেখে নুহাশ হাসতে লাগলো। তা দেখে সায়নের বাবা নুহাশকে বলতে শুরু করলো,,,
সায়নের বাবা : তা বাবা নুহাশ, তুমি কি বিয়ে সাদি করবা না? আমার একমাত্র ছেলের বিয়ে তো দেখি নি। তুমি বিয়ে করলে তোমার বিয়েটা তে enjoy করতে পারবো।
সায়ন : বাবা, তুমি আমাকে খোঁচা মারলে,,,
নুহাশ : আঙ্কেল, আপনি আমাকেও খোঁচা মারলেন। not fair….
সায়নের বাবা : নিজেরা কোনো কাজ ঠিক মতো করিস না আর আমি বললেই ঢং।শুন তোদের জন্য আইডিয়া আছে। কানে কানে বলি আয়,,,

সায়ন আর নুহাশ কান পেতে শুনতে লাগলো সায়নের বাবার কথা। কথা শুনে সায়নতো সেই লেভেল এর খুশি। নুহাশ বেচারা চুপ হয়ে গেছে।
সায়ন : তো বাবা কাজে লেগে পরো।
সায়নের বাবা : ঢেরস মার্কা কথা কেমনে বলিস তুই? আশেপাশে তাকিয়ে দেখতো সবাই আছে কি না?
সায়ন : না তো।
সায়নের বাবা : তাহলে বলবো কাকে? রাতে খাবার টেবিলে বসে বলবো। গাধা কোথাকার। সর এখান থেকে। ( বলে হন হন করে রুমে চলে গেল)
নুহাশ আর সায়ন সায়নের বাবার যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে হঠাৎ নুহাশ জোড়ে হাসতে লাগলো।
নুহাশ : হা হা হা হা,,,,,, ( হাসতে হাসতে সোফায় গড়াগড়ি খাচ্ছে)
সায়ন : ( ভ্রু কুচকে নুহাশের দিকে তাকিয়ে আছে। মানে বলতে চাচ্ছে এই ভাবে ভেটকানোর কারণ কি?)
নুহাশ : আঙ্কেল তোমাকে ঢেরস বলে গেলো। হা হা হা ( বলে আবার হাসতে লাগলো)

এদিকে সায়নের মা, তনু আর অন্তু গল্প করছে। এই এক বছরে কি কি হয়েছে। সায়নের মা তো লম্বা চওরা বিচার দিচ্ছে ছেলের নাম-এ আর অন্তু তার বাবাই এর জন্য দাদীর সাথে প্রতিবাদ করছে।

সায়নের মা : তনু মা জানিস সায়ন একটা কথাও শুনে না।
অন্তু : দাদীইই,,,তুমি আমার বাবাই এর নামে আর একটা বিচার দিলে কিন্তু আমি খাবো না রাতে। ( রেগে)
সায়নের মা : পারো তো শুধু বাবা আর মেয়ে মিলে আমাকে blackmail করতে। হুহ
অন্তু : মাম্মাম, তুমি দাদীর কথা শুনো না তো৷
তনু : তোমরা থামবা দুইজনে।মাথা ব্যাথা হয়ে গেল৷

সায়ন আর নুহাশ রুমে আসতেই তনুর লাস্ট কথাটা শুনে দৌড়ে আসলো।
নুহাশ : তোর কি বেশি খারাপ লাগছে? ডাক্তারকে কল করছি।
সায়ন : কোথায় ব্যাথা করছে মেরি জান। বলো। ( অস্থির হয়ে)
তনু : আরে তোমরা সবাই চুপ করবা। এতোক্ষণ মা আর অন্তু মিলে ঝগড়া করে মাথা ব্যাথা বানিয়ে দিয়েছে এখন তোমরা দুইজন আমার মেজাজ খারাপ করছো। উফফ।

তনুর কথা শুনে নুহাশ কেটে পরলো।
নুহাশ : তনু আমি আসি আজ। কাল আসবো আবার কেমন। প্রিন্সেস বাই।আসি আন্টি। ( বলে দৌড়)
সায়নের মা : আচ্ছা আমি রাতের খাবারের ব্যাবস্থা করি। তোমরা বসো।
অন্তু : সরি মাম্মাম।
সায়ন : প্রিন্সেস যাও পড়তে বসো।
অন্তু : ওকে বাবাই।

সবাই চলে গেছে। রুমে আছে শুধু তনু আর সায়ন। সায়ন তনুর কাছে এসে বসলো।
সায়ন : মেরি জান, ব্যাথা কি বেশি করছে। এখন যাবা ডাক্তার এর কাছে?
তনু : নাহ, ঠিক আছি। আর তোমার কি লজ্জা নাই? সবার সামনে জান জান বলছো। ( রেগে)
সায়ন : কার কি। আমি আমার বউকে জান প্রাণ যা ইচ্ছা বলবো। এখন চুপচাপ রেস্ট কর।

রাতে,,,,,,,,

সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে আছে। সায়নের মা খাবার সার্ভ করছে। তনু হেল্প করতে চেয়েছিলো কিন্তু সায়নের মা এক ধমকে বসিয়ে রেখেছে। সবাই খাচ্ছিলো তখনই সায়নের বাবা শুকনো কাশি দিলো,,
সায়নের বাবা : সবাই শুনো আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ ডিসিশন নিয়েছি। তনু তোমাকে কাল নুহাশ নিতে আসবে তুমি চলে যাবে ওর সাথে।
সায়নের মা : কি আবল তাবল বলছো? ( রেগে)
তনু : মানে!! বুঝলাম না।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here