বেলা_শেষে_শুধু_তুমি পর্ব ২৩
#আনিশা_সাবিহা
দরজায় ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অভয়। রাগে ভর্তি চোখজোড়া তার ঐশানীর দিকে স্থির। আয়নার সামনে হাতে ছোট নাক ফুল নিয়ে বেজায় বিপাকে পড়ে দাঁড়িয়ে আছে ঐশানী। অভয়ের দৃষ্টির দিকে তাকানোর সাহসটা হচ্ছে না ওর। এরই মাঝে রাগে চিবিয়ে চিবিয়ে অভয় বলে……
–“কি অবিবাহিত দের মতো থাকতেই ভালো লাগছে? নাকে নোসপিন দিতে ইচ্ছে করছে না? ওহ ইয়েস, এভাবে থাকলে তো সবাই তোমায় অবিবাহিত ভাববে আর আবারও তোমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসবে!”
ঐশানী হালকা ভয় পেলেও তা প্রকাশ করে না। অবশ্যই সে অন্তত সাহসী মেয়ে। শ্যামলা ঘোড়ার ধমকানিতে দমে যাবে না সে কিছুতেই। ঠোঁট বাঁকিয়ে কাঁপতে কাঁপতে নাকের কাছে নোসপিন ধরল সে।
ঐশানী নাক ফুরিয়েছে বেশিদিন হয়নি। বিয়ের আগে নাক ফুরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার। নোসপিন পড়তে হবে বলে। তাই সে নাকে নোসপিন দিতে সাহস পাচ্ছে না। বিয়ের দিন নাকে নোসপিন দিতে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছিল। এবারও যদি তাই হয়?
এসব আকাশ-পাতাল চিন্তাভাবনা করতে করতে ঐশানীর কোনো হেলদোল না দেখে অভয় দূরন্ত গতিতে এগিয়ে আসে। ওর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। রাগের আগুনে সবটা জ্বালিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে। কেন ওর স্ত্রীকে ওরই সামনে আরেকটা বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হবে? হয়ত ভুলটা ওর নিজেরই! সেই ভেবে আরো রাগ হয় তার। হুট করেই ঐশানীর নোসপিনটা ছিনিয়ে নিজের হাতে নিয়ে নেয় সে।
হঠাৎ এভাবে নিজের হাত থেকে নোসপিন নিয়ে নেওয়ায় চমকে ওঠে ঐশানী। পেছন ঘুরে তাকায় সে। অভয়কে নিজের এতোটা কাছে দেখে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে ঐশানীর। ঢক গিলতে চেয়েও বড্ড কঠিন হয়ে গেল তার কাছে। কি সেই হাড়কাঁপানো অনুভূতি!! অভয় আরেকটু কাছে যেতে চাই ঐশানীর। একটা হাসি দেয় সে। এই হাসিটা মোটেও সুবিধার নয়। আর একধাপ এগোতেই তার থেকে বাঁচতে ড্রেসিংটেবিলে বসে পড়ে ঐশানী। ড্রেসিংটেবিলটা বেশ আগের। যার কারণে বেশ নিচু। ঐশানী মাথা তুলে একভাবে তাকিয়ে থাকে। ঢক গিলে বলে…..
–“একটু সরে যান। আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।”
–“মানুষকে তো জড়িয়ে ধরলেও নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় না। আর তোমার এতোটুকুতেই এই অবস্থা? আরো কাছে গেলে তো তোমার দম আঁটকে যাবে। সেই দায়ে কি আমায় জেল খাটতে হবে?”
বলেই আয়নায় দুটো হাত রেখে একটু নিচু হয় অভয়। ঐশানী দুটো চোখ এদিক ওদিক তাকাতে থাকে। এটা যে কেমন অশান্তি সেটা বোঝাবার উপায় তার নেই। চোখমুখটা কুঁচকে জোরে বলার চেষ্টা করে…..
–“একটু সরুন না! আমার দম আঁটকে যাবে।”
–“নো ওয়ে। আমি তো সরছি না। পারলে সরে দেখাও।”
ঐশানী তো নড়তেই পারছে না অস্বস্তিতে। অভয়কে সরানো তো দূরেট কথা। ড্রেসিংটেবিল খামচে ধরার ব্যর্থ চেষ্টা তার। মুখটা নিচু করে রেখে কিছু একটা বিড়বিড় করছে। অভয় বাম হাতে ঐশানীর থুঁতনি ধরে উঁচু করার চেষ্টা করে। ঐশানী উঁচু হতেই সরাসরি ডান হাতে থাকা সাদা পাথরের নোসপিন তার নাকে পরিয়ে দিতেই ব্যাথায় মৃদু চিৎকার দিয়ে ওঠে ঐশানী। অভয় ভ্রু কুঁচকে বলে…..
–“কি হয়েছে নাকে ব্যাথা পেয়েছো?”
ঐশানী কাঁদো কাঁদো চেহারা নিয়ে মাথা দুলায়। অতঃপরই ঝাঁঝালো গলায় উত্তর দেয়…..
–“আপনি আস্ত একটা হার্টলেস পারসন! হার্ট বলতে আদোও কিছু আছে? ইশশ….কিভাবে নাকে নোসপিন পড়িয়ে দিলেন?”
–“যদি এই হার্টলেস হওয়ার বাহানায় তোমার একটু কাছে আসতে পারি তাহলে এই হার্টলেস হতে আমি রাজি আছি।”
ঐশানীর বলা কথার উত্তরে এমন কিছু আশা করেনি। অভয়ের দিকে তাকাতেই তার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে। অভয়ের এমন শীতল চাহনির স্বীকার আগে কখনো হয়নি সে। আর এমন মোহময় কন্ঠে এমন কথা যেন ঐশানীকে লজ্জায় মিইয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
–“এখনো নাকে ব্যাথা করছে?”
ঐশানী নিজের ধাতস্থ করে ছোট্ট করে ‘হু’ জবাব দেয়। ঠিক সেই মূহুর্তেই অভয় নিজের ঠোঁটজোড়া এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ঐশানীর নাকের কাছে যায়। নাকের ডগায় ঠোঁটজোড়া স্পর্শ করে সেই কাজটা করেই বসে। হালকা শব্দ করে চুমু খেয়ে সরে আসে সে। এসব অভয়ও নিজের অজান্তে করেছে। সে যেন সম্মোহিত করে পড়েছিল। তবে ও যা করেছে এতে ওর কোনো আফসোস নেই। আফটার ওল ওর নিজের বউ ঐশানী। এই প্রথম অভয় স্বইচ্ছায় ঐশানীকে স্পর্শ করল, ভালোবাসার পরশ একে দিল। অনুভূতিটা যেন সত্যিই অন্যরকম!
অন্যদিকে ঐশানীর সর্বাঙ্গে কাঁপুনি ধরেছে। কয়েক সেকেন্ড আগের ঘটে যাওয়া ঘটনা তার চোখে ভাসছে। মূর্তির মতো হতভম্ব হয়ে বসে থাকল সে। ঠোঁটজোড়া আলাদা হয়ে হা হয়ে এলো। অভয় তা লক্ষ্য করে ঠোঁট কামড়ে হাসতে শুরু করে। ঐশানীর দিকে একটু হেলে শান্ত সুরে বলে…..
–“সামান্য একটা কিস এ যদি এমন অবস্থা হয় তবে আরেকটা কিস দিলে কি হবে?”
নড়েচড়ে ধড়ফড়িয়ে উঠে দাঁড়ালো ঐশানী। নিজের নাকের ডগা হালকা ঘষে মাথা ঝাঁকিয়ে তাকালো সে।
–“আ….আপনি আপনি একটা বিরক্তিকর লোক। বাইরে যান।”
নিজের লজ্জা ঢাকতে চিল্লিয়ে বলল ঐশানী। অভয় সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের টাওজারের পকেটে হাত গুঁজে দিয়ে বলল….
–“হুমম যাব। আগে তুমি শাড়ি পড়বে তারপর। বাই দ্যা ওয়ে, তুমি শাড়ি পড়োনি কেন? তোমাকে দেখতে একারণেই অবিবাহিত লাগছিল।”
–“তো আপনার মতো বুড়ো সাজাতে চান আমায়?”
বেশ ধীরে কথাগুলো বললেও অভয়ের কানে সেসব কথা স্পষ্ট হয়ে গেল। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল….
–“হোয়াট ডিড ইউ সে?”
–“আপনার বয়স কত? ২৯ নাকি ৩০? যাই হোক। আমার বয়স সবে ২২ বুঝলেন? তাই আমাকে অবিবাহিত লাগায় স্বাভাবিক। আর আম্মু বলেছিল এই গরমে শাড়ি পড়তে হবে না। তার ওপর এখানে কারেন্টের ঠিকঠিকানা নেই। তাই পড়িনি।”
–“এতো রচনা আমি শুনতে চাইনি। শাড়ি পড়ে নাও।”
–“এই গরমে পড়ব না। আম্মু বারণ করেছে।”
অভয়ের মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেল। মেয়েটা বড্ড বাঁকা স্বভাবের। যা বলা হয় ঠিক তার উল্টোটা করতে লেগে পড়বে। শুধু লেগে নয় উঠেপড়ে লেগে পড়বে।
বিগড়ানো মেজাজ নিয়ে সে বলে…..
–“দেখো ভালোই ভালোই বলছি শাড়িটা পড়ে নাও। নয়ত….”
–“নয়ত কি?” (ভ্রু কুঁচকে)
–“নয়ত……”
ঐশানী চোখ সরু করে এগিয়ে আসে। হাত দিয়ে অভয়কে হালকা ধাক্কা দিতে দিতে বলে….
–“নয়ত কি বলুন বলুন?”
–“নয়ত আমি শাড়ি পড়িয়ে দিতে বাধ্য হবো। নিশ্চয় আমার হাতে শাড়ি পড়তে তোমার ভালো লাগবে না!”
ঐশানী দাঁত বের করে হাসতে থাকে। অভয় তার হাসিতে কনফিউজড হয়ে যায়। অভয় যা বলেছে এতে ঐশানীর লজ্জায় লাল টমেটো হবার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। মেয়েটার আবার কি মতলব?
ভাবতে ভাবতেই তার মুখের ওপর দরজা লাগিয়ে দিল ঐশানী। অভয় হকচকিয়ে তাকালো! তবে এই ছিল এই মেয়ের মনে? ওকে ধাক্কা দিতে দিতে একেবারে বাইরে এনে দরজা লাগিয়ে দিল? চোয়াল শক্ত করে হাত মুঠো করে দরজায় থাবা দিল অভয়।
–“এই মেয়ে, আমার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করার সাহস কোথা থেকে পেলে তুমি? তোমার সাহসিকতা দেখে আমি অবাক হচ্ছি। দরজা খোলো।”
–“কস্মিনকালেও খুলছি না দরজা। কত শখ! আমাকে শাড়ি পড়িয়ে দেবে! স্বপ্নের মাঝে পড়িয়ে দিয়েন। তবুও স্বপ্নে ফাঁকি দেব।”
অভয় দরজা ধাক্কা দিলেও ঐশানীর কন্ঠ আর শুনতে পায় না।
রাত প্রায় দশটা। গ্রামের পরিবেশ। সকলে দ্রুতই খেয়ে শুয়ে পড়ে। এখানেও তার ব্যতিক্রম না। সকলের খাওয়া হয়েছে অনেকক্ষণ। অভয় ইশানের সাথে বাইরে টুকটাক কথা বলে সবে ঘরে ঢুকল। ঘরে ঢুকতে ঢুকতে তার ফোন বাজতে থাকে। ফোনটা বের করে কল কেটে দেয় অভয়। কারণ সায়রা কল করছে। ওর জন্য তো ফোন বন্ধ রাখা সম্ভব না। কিন্তু যতবার কল কেটে দিয়ে চলেছে ততবারই কল করে চলেছে সায়রা।
–“সরি সায়রা। একসময় তোমার নম্বর আমার কললিস্টের সবার আগে থাকত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। মায়া কেটে গেছে। কিন্তু আমি তোমার ফিলিংস কে অসম্মান করি না। কারণ তুমিও ভালোবাসায় তড়পাচ্ছ আর আমিও তাই। কিন্তু তোমার সাথে পড়ে কথা বলব আমি।”
নিজের আপনমনে বিড়বিড় করতে করতে আসে অভয়। ঐশানী ঘরে চলে এসেছিল বিছানা ঠিকঠাক করতে। দরজা হালকা করে লাগিয়ে রাখায় কোনোরকম শব্দ না করেই ঘরে ঢুকে পড়ল সে। রুমে ঢুকতেই আবারও ফোনটা বেজে উঠল। অভয় সেদিকে খেয়াল না করে ঐশানীর দিকে তাকালো। ঐশানী কীসের যেন ঔষুধ খেতে দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে অভয়ের। অভয়ের ফোনের রিংটোনে আঁতকে তাকায় ঐশানী। অভয় বাধ্য হয়ে নম্বর ব্লক করে তাকালো। দ্রুত নিজের হাতে থাকা ট্যাবলেটের প্যাকেট হাতের মুঠোয় লুকিয়ে ফেলে।
–“আপনি রুমে নক করে আসতে পারেন না নাকি?”
–“তোমার হাতে কীসের ট্যাবলেট ঐশানী? আর ইউ ওকে? কি এমন হয়েছে যে তুমি ঔষুধ খাচ্ছো তাও লুকিয়ে?”
অন্তত থমথমে গলায় প্রশ্ন করে বসল অভয়। তা শুনে ভড়কে যায় ঐশানী। চোখের ভেতরের কালো মনি এদিক ওদিক লাফিয়ে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকে। তা বুঝতে পেরে অভয় আবারও বলে….
–“আমার সাথে কোনো মিথ্যা নয়। আমি মিথ্যে সহ্য করতে পারি না। কি হয়েছে তোমার? আমাকে বললে আমি তো সলভ করতে পারি!”
–“অতিরিক্ত জার্নি করলে আমার শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সেকারণে ডক্টরের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আমি ক্যালসিয়াম ভিটামিন ঔষুধ খাই। এতটুকুই!”
অভয়ের ঐশানীর কথা পুরোপুরি বিশ্বাস হলো না। অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে থাকল সে। গম্ভীর কন্ঠে বলল….
–“রিয়েলি?”
–“হ্যাঁ। এই সমস্যা আমার ছোট থেকেই। সত্যি বলছি।”
অভয়ের ভাবান্তর হলো না। সে একইরকম ভাবে তাকিয়ে থাকল। ঐশানী বিষয়টা এড়াতে বালিশ নিয়ে ঠিকঠাক করতে লাগল। কাঠকাঠ গলায় বলল….
–“তাছাড়াও আমি আপনাকে কেন মিথ্যে বলব? আমার ঘুম পেয়েছে আমি ঘুমাবো।”
অভয় দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে বলে……
–“হুমম ঘুমাও।”
ঐশানী বাঁকা চোখে তাকিয়ে বিছানার সাইডে বসে পড়ে। তবে সমস্যাটা হলো এই খাট টা বেশ ছোট। দুজনকে গায়ে গা লাগিয়ে ঘুমোতে হবে। নয়ত ঘুমের মাঝেই কপোকাত! সেটাই দেখছে ঐশানী। ঠোঁট উল্টিয়ে ভাবছে কি করা যায়? কিন্তু অভয় ওসব ভাবনাচিন্তা না করেই সটান হয়ে শুয়ে পড়ে অপরপ্রান্তে। ঐশানী ঠাঁই বসে থাকে। চোখ বুঁজে থাকা অবস্থায় বলে….
–“শুয়ে পড়ো। গায়ে গা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে এমন কিছুই হবে না। আর এমনও না আমি তোমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ব।”
অভয়ের লাগামহীন কথা শুনে ভেংচি কেটে গুটিশুটি মেরে শুয়ে পড়ে ঐশানী। অভয়ের নিশ্বাস তার পিঠে পড়ছে। তাই একটু একটু করে সরে যাচ্ছে সে।
–“পড়ে কোমড় না ভাঙতে চাইলে এদিকে এগিয়ে এসে শুয়ে পড়ো।”
–“আপনি একটু অন্যপাশ ফিরে ঘুমান না!”
–“পারলাম না। আমি তো আরো তোমার হাত ধরে ঘুমাবো। পড়ে গেলে তো দোষ টা আমারই হবে কি না।”
বলেই হাতের ওপর হাত রেখে শক্ত করে চেপে ধরে চুপ হয়ে যায় অভয়। ঐশানী ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও পারে না। অনেকক্ষণ ডাগরডাগর চোখজোড়া নিয়ে চেয়ে থাকে ওপরের দিকে। তার মাঝে অনুভূতির স্রোতধারা বইছে। মনে মনে সে বলে…..
–“হার্টবিট টা যে কেন শ্যামলা ঘোড়ার মতোই দৌড়াচ্ছে। উফফ…..!”
ঐশানী ঘুমিয়েছে। অভয় তা দেখে উঠে পড়ে আস্তে করে। আশেপাশে খুঁজতে থাকে ঐশানীর সেই ঔষুধগুলো। মোটামুটি দুই তিনটা ঔষুধের পাতা ছিল ঐশানীর হাতে। ঐশানীর কথা মোটেও বিশ্বাস হয়নি অভয়ের। যদি ঐশানীর কথা ঠিক হতো সে এতোটা লুকোচুরি করত না সামান্য বিষয় না। তারওপর সেদিন ও হসপিটালের ফাইল দেখতে গেলেও ঐশানীর অদ্ভুত ব্যবহারের সম্মুখীন হয়েছে। তার চিন্তা হয়। ভয় হয় ঐশানীকে হারিয়ে ফেলার। ভালোবাসা হয়ত এমনই হয়। যার নাম কিনা অভয় সে নিজের ভালোবাসাকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে। খুঁজে না পেয়ে খাটে বসে ঐশানীর দিকে তাকায় সে। তারপর মনে করে, ঐশানী ঔষুধগুলো হাত থেকে কোথাও রাখেই নি। রাখলে সে টের পেতো। তার মানে কি ওর হাতেই আছে? নাহ হাতেও তো নেই।
হুট করেই শাড়ির আঁচলে দৃষ্টি যায় অভয়ের। ঐশানী শাড়ির আঁচলে কিছু একটা গিট্টু দিয়ে রেখেছে। ধীরে শাড়ির আঁচল খুলতেই ঔষুধ আবিষ্কার করে সে। হাতে নিয়ে নেয় সেসব। ঔষুধের নামগুলো দেখে নেয় সে। নামগুলো দেখে মনে হচ্ছে না এসব কোনো ভিটামিনের ঔষুধ হতে পারে। তবে এগুলো কীসের ঔষুধ? কেনই বা এসব ঔষুধ খায় ঐশানী? কি হয়েছে তার?
চলবে…..
[বি.দ্র. আজকের পর্বটা অনেকটা খাপছাড়া হয়েছে। আমার হাতব্যাথা থাকায় বিষয়গুলো খাপছাড়া হয়ে গেছে ঠিকঠাক টাইপ করে উঠতে পারিনি। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]