#ঘৃণার_মেরিন 4
part : 4
writer : Mohona
.
মেরিন : এ্যাজ ইউ সি…
নীড় : অতৃপ্ত আত্মা কোথাকার…
মেরিন : নামটা আমার ভীষন পছন্দ হয়েছে। আই লাইক ইট… চলুন যা…
তপু : গুড মর্নিং মেরিন…
মেরিন : মর্নিং তপুদা… তুমি এখানে?
তপু : এমনিতেই চলে এলাম। তুমি তো জানোই এই জায়গাটা আমার ভীষন প্রিয় । ১মিনিট… তোমার মুখ দেখে মনে হচ্ছে তোমার ঘুম কমপ্লিট হয়নি…
মেরিন : নান অফ ইউর বিজনেস…
তপু : আরে তুমি কেন নিজের খেয়া…
মেরিন হাত দিয়ে ইশারা করলো।
মেরিন : শাট আপ … প্লিজ…
নীড় : ধমক মেরে প্লিজ বলতে কাউকে দেখিনি…
মেরিন : এখন তো দেখলেন। লেটস গো…
৩জন ভেতরে ঢুকলো।
.
নীড় : এই যে শোনো।
মেরিন : হামমম।
নীড় : কিছু নিয়ে আলোচনা করার ছিলো। আসলে কিছু জানার ছিলো।
মেরিন : হুয়াট?
নীড় : অ্যাকচ্যুয়ালি আই নিড টু নো দ্যাট…
মেরিন : হুয়াট?
নীড় : ভালো আ… মানে তোমার আম্মুর সাথে এমন কি হয়েছিলো যে তিনি এমন হয়ে গেলো…
মেরিন : …
নীড় : বলো …
মেরিন : …
নীড় : এই যে মিস অতৃপ্ত আত্মা হুট করে ফুলস্টপ হয়ে গেলে কেন?
মেরিন : আমার ইচ্ছা।
নীড় : এখন বলো কি হয়েছিলো?
মেরিন : এ্যাজ ফার এ্যাজ আই রিমেমবার যে কেউ ১জন বলেছিলো … যে সে আমার আম্মুর অতীত না বর্তমান আর ভবিষ্যৎ জানতে চায় …
নীড় : 😒।
মেরিন : স্টিক টু ইউর ওয়ার্ড নীড়…
নীড় : রাবিশ…
মেরিন : আই লাভ ইউ।
নীড় রেগে ওখান থেকে চলে গেলো।
তপু : মেরিন … মেরিন।।
মেরিন : ইয়াহ তপুদা…
তপু : ব্রেকফাস্ট । ফর ইউ…
মেরিন : হুয়াট এন্ড হুয়াই ?
তপু : আমার মনে হচ্ছে তুমি কিছু খেয়ে আসোনি … খেয়ে নাও।
মেরিন : তপু দা… আমার এগুলো ভালো লাগেনা ।
বলেই মেরিন চলে গেলো।
.
রাতে…
মেরিন বাসায় ফিরলো।
কবির : দারাও…
মেরিন : ৩০ সেকেন্ড আছে আপনার কাছে যা বলার বলুন…
কবির : তুমি নীড়কে কনার ট্রিট…
মেরিন : ইটস কনিকা ফর ইউ। আপনার অধিকার নেই আমার আম্মুর নামটা এভাবে নেয়ার।
কবির : এখন তুমি আমাকে আমাক অধিকার বলবে?
মেরিন : হ্যা অবশ্যই।
কবির : তুম…
মেরিন : আপনার নির্ধারিত ৩০সেকেন্ড শেষ। বেটার লাক নেক্সট টাইম…
বলেই মেরিন ওপরে উঠতে লাগলো।
কবির : শোনো এই মেয়ে… দারাও। মেরিন… দারাও… দারাও বলছি… মেরিন…
মেরিন কি আর দারায়…
সেতু : শুনলো তোমার মেয়ে তোমার কথা? আগেই বলেছিলাম যে কনিকার অ্যাবর্শনটা করাও। করালে আজকে এই মেরিন বন্যা খান নামক কালসাপটা আমাদের জীবনের কাটা হতে পারতো না। খুব তো বলেছিলে এই অন্যায় করা তোমার পক্ষে সম্ভবনা। এখন দেখো তার ফল। যদি ওই মেয়ের জন্য আমার মেয়ের জীবনে তুফান আসে তবে কিন্তু আমি কুরুক্ষেত্র করবো।
কবির : আমার মেয়ের জীবনে কোনো তুফান আসবেনা। আমি আসতে দিবোনা।
সেতু : কোন মেয়ের কথা বললে শুনি?
কবির : কেন জানোনা আমার মেয়ে ১টাই । নিরা…
.
নীড় : হ্যালো মাই বনপাখি…
নিরা : হ্যালো বেবি…
নীড় : ভালো আছো তুমি? খাওয়া দাওয়া করেছো?
নিরা : হামম। তুমি করেছো?
নীড় : হ্যা। আচ্ছা ১টা কথা জিজ্ঞেস করার ছিলো।
নিরা : হ্যা করোনা।
নীড় : ভালো আন্টি … মানে তোমার ছোটআম্মুর সাথে এমন কি হয়েছিলো যে তার আজকে এই অবস্থা ?
নিরা : …
নীড় : বলো…
নিরা : …
নীড় : আশ্চর্য তো … এই বিষয় নিয়ে মেরিনকে জিজ্ঞেস করলাম ওও চুপ মেরে গেলো। আবার তুমিও। কাহিনি কি বলো তো…
নিরা : মেরিন তো চুপ থাকবেই। কারন ওই তো ধাক্কা দিয়েছিলো ওর মাকে। পরে মাথায় আঘাত পেয়েছে।
নীড় : কি বলছো কি?
নিরা : হামমম।
নীড় : অতোটুকু ১টা বাচ্চা নিজের মাকে ধাক্কা মেরেছিলো? অবিশ্বাস্য।
নিরা : তুমি আমার কথা বিশ্বাস করোনা…
নীড় : আরে আমি কি সেটা বলেছি নাকি? আসলে বাচ্চাদের মাইন্ড এমন হয়…?
নিরা : মেরিন ছোট থেকেই ওয়াইল্ড ।
নীড় : বোঝাই যায়। ওকে বাই বনপাখি ।
নিরা : বাই…
নীড় রেখে দিলো।
টনি : মেরিনই ওর মাকে ধাক্কা মেরেছিলো?
নিরা : আহা। মেরিন তো ছোট থেকেই ওর মার চরম ভক্ত ।
টনি : তবে নীড়ের কাছে মিথ্যা বললে কেন ওর নামে?
নিরা : ভালো লাগে আমার সকলের কাছে ওকে আরো খারাপ করতে। আর তার থেকেও বড় কথা… নীড়কে যদি আসল ঘটনাটা বলি তবে তো কনিকার ট্রিটমেন্ট করতে সুবিধা হবে। কনিকা সুস্থ হয়ে যাবে। যেটা আমিও চাইনা। মাম্মিও চায়না। আর সবথেকে বড় কথা হলো… কনিকা যদি সুস্থ হয়ে যায় তবে নীড় জেনে যাবে যে ওর বনপাখি আমি না … মেরিন …
টনি : যদি তোমার দাদুভাই নীড়কে সত্যি বলে দেয়।
নিরা : ওই বুড়োটা তো তখন বলবে যখন নীড় জিজ্ঞেস করবে। আর নীড়কে ১বার যখন আমি বলেছি তখন ও আর কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করবেনা।
টনি : আর যদি মেরিন বলে দেয়।
নিরা : নীড় মেরিনের কথা বিশ্বাস করবেনা। জানো মেরিন ১টা কথা বলে…
টনি : কি কথা?
নিরা : মেরিন নিজেই বলে যে …. মেরিনকে কেউ বিশ্বাস করেনা। এমনকি মেরিন নিজেওনা। সেখানে নীড় কেন ওকে বিশ্বাস করবে?
নীড় : মেয়েটা আসলেই ভয়ানক। না হলে অতো ছোটবয়সেই কেউ অমন রাগী হয় … ? কিন্তু ভালো আন্টিকে তো আমার ভালো করতেই হবে। ভালো আন্টি কতততো ভালো… বনপাখিকেও কতো আদর করতো। আর বনপাখিও তো কতো ভালোবাসে …
.
পরদিন …
মেরিন অফিসে বসে কাজ করছে। তখন নীলিমা অফিসে এলো। মেরিনের পিএ মেরিনকে ফোন করলো। মেরিন পাঠিয়ে দিতে বলল।
নীলিমা : আসবো।
মেরিন : আসুন। অনেক লে়ইট করলেন আসতে।
নীলিমা : মানে?
মেরিন : মানে টা খুব সহজ। আপনি আমার কাছে আসতে প্রায় ৪৮ঘন্টা লেইট করলেন। আমি ভেবেছিলাম আপনি আগেই আসবেন।
নীলিমা : তুমি জানতে আমি আসবো?
মেরিন : হামমম।
নীলিমা : কিভাবে?
মেরিন : কেউ বলেছে…
নীলিমা : আমি তো কাউকে বলিইনি যে আমি আসবো। তবে তোমাকে কে বলল?
মেরিন : আপনি।
নীলিমা : আমি?
মেরিন : হামম আপনি বলেছেন। আপনার চেহারা বলেছে। আপনার চোখ বলেছে। আপনার মুখ বলেছে…
নীলিমা : মানে?
মেরিন : কিছুনা। কি খাবেন ? গরম পরেছে। আপনার প্রিয় লাচ্ছি খাবেন নাকি কোল্ড কফি…
নীলিমা : তুমি এটাও জানো …
মেরিন : 😎।
নীলিমা : ইমপ্রেসিভ। দেখো আমি আমার ছেলেকে আমি ভীষন ভালোবাসি। কিন্তু ছেলেটা নিরাকে ভালোবাসে। আমি জানি নিরা আমার ছেলের জন্য পারফেক্ট কেউনা। আমার কেন যেন মনে হয় যে ও ভেতর থেকে ১রকম আর বাইরে থেকে অন্যরকম।
মেরিন জবাবে কেবল ১টা বাকা হাসি দিলো।
নীলিমা : কনিকার সাথে আমার মোটামোটি ভালোই বন্ধুত্ব ছিলো। অল্প কয়েকদিনেই ওর সাথে ১টা অন্যরকম বন্ডিং হয়ে গিয়েছিলো। ও খুব ভালো। জানিনা কি হয়েছিলো। সেটা তোমাদের পারিবারিক ব্যাপার। বাট দ্যা ফ্যাক্ট ইজ … তোমার চোখে আমি নীড়ের জন্য ভালোবাসা দেখেছি … আমার মনে হয় তুমি আমার ছেলেকে ভালোবেসে ফেলেছো ..
মেরিন : আপনার মনে হয় নাকি আপনি সিওর …
নীলিমা : সেটা তো তোমার ওপর নির্ভর করে।
মেরিন : যদি বলি ভালোবাসিনা তাহলে….
নীলিমা : কিছু বলার নেই ।
মেরিন : আর যদি বলি ভালোবাসি …
নীলিমা কিছুনা বলে গলার চেইনটা খুলে মেরিনের গলায় পরিয়ে দিলো।
নীলিমা : তুমি আমার ছেলেকে ভালোবাসো । আমি জানি ।
মেরিন : কিন্তু আপনার ছেলে তো আমাকে ভালোবাসেনা । আর আপনার বরও আমাকে অপছন্দ করে।
নীলিমা : আমার মনে হয়না এতে মেরিন বন্যা খানের কিছু যায় আসে?
মেরিন : আমাকে মনে ধরার কারন ?
নীলিমা : জানিনা। হয়তো আমার ছেলের প্রতি ভালোবাসা। আসলে আমার ছেলে আমার দুর্বলতা। একটু সাইকো। যাকে ভালোবাসে মনের গভীর থেকে ভালোবাসে। আর যাকে ঘৃণা করে তাকে বুকের গভীর থেকেই ঘৃণা করে। আমি জানিনা নিরা কেন বা কোন কারনে আমার ছেলের সাথে ভালোবাসা ভালোবাসা খেলছে… আমার ছেলের মন যদি ১বার ভাঙে ও তান্ডব করবে। আমি জানি যে হয়তো নীড় তোমারও দুর্বলতা ।
মেরিন : …
নীলিমা : আজকে আমি তোমার কাছে থেকে ১টা ওয়াদা চাই…
মেরিন : কি?
নীলিমা : আমার ছেলের বউ হয়ে দেখাতে হবে ।
মেরিন : আমি অলরেডি ওয়াদাবদ্ধ হয়ে গিয়েছি । নিজের কাছে।
.
সন্ধ্যারপর…
নীড় বাসায় ফিরছে। ফুরফুরে মেজাজে ড্রাইভ করছে । কারন আজকে মেরিনের সাথে দেখা হয়নি ।
নীড় : উফফ শান্তি । আজকে ওই অতৃপ্ত আত্মাটার সাথে দেখা হয়নি। আজকে দিনটা ভালোই গেলো। মেরিন বন্যা খানের সাথে দেখা হলোনা …
তখন পেছন থেকে মেরিন বলে
উঠলো : দেখা তো হয়ে গেলো…
নীড় মেরিনকে দেখে চমকে উঠলো। গাড়ি কিছুটা বেসামাল হয়ে গেলো। কোনোরকমে ব্রেক মারলো। মেরিন নীড়ের গলা জরিয়ে ধরলো ।
মেরিন : এরপর থেকে আপনি ড্রাইভ করবেননা। ড্রাইভার নিয়ে বের হবেন।
বলেই নীড়ের গালে কিস করলো । নীড় নিজেকে ছারিয়ে নিলো।
নীড় : এই মেয়ে … তুমি আমার গাড়ির ভেতরে কিভাবে ঢুকলে শুনি…
মেরিন : দেখুন আপনি কি আমার নামটা বারবার ভুলে যান? নাকি আমার নামটা শুনতে ভালো লাগে?
নীড় : নামো আমার গাড়ি থেকে। নামো এখনি…
মেরিন : ইশ নামবো কেন? আজকে তো আপনার সাথে আমি ঢাকা যাবো। অনেক গল্প করবো।
নীড় : শখ বা ইচ্ছা সীমার মধ্যেই থাকা বা রাখা ভালো।
মেরিন : মেরিন বন্যা খানের কোনো সীমা নেই … সীমাহীন ।
নীড় : 😒।
মেরিন : কি হলো?
নীড় মনে মনে : খুব শখ না আমার সাথে গাড়ি করে ঢাকা যাবার? এমনভাবে ড্রাইভ করবো যে জনমেও আর আমার সাথে গাড়িতেই বসতে চাইবেনা মিস অতৃপ্ত আত্মা।
মেরিন : কি হলো? কি ভাবছেন ?
নীড় : তুমি কি সত্যি আমার সাথে ফিরতে চাও?
মেরিন : ইয়েস অফকোর্স ।
নীড় : ওকে দেন… তুমিও কি মনে রাখবে …
বলেই নীড় গাড়ি স্টার্ট দিলো। প্রচন্ড স্পিডে গাড়ি চালাতে লাগলো। এমন স্পিডে যে কারোই হাল খারাপ হবে…
নীড় মেরিনের ভীতু মুখ দেখার জন্য পাশ ফিরলো। কিন্তু মেরিনকে দেখে অবাক হয়ে গেলো। বেশ আরামসে বসে আছে। তারওপর ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মেরিন চোখ মারলো। নীড়ের রাগ উঠে গেলো। নীড় ব্রেক চাপলো। গাড়ি থামিয়ে নীড় বেরিয়ে এলো।
নীড় মনে মনে : অদ্ভুদ মেয়ে তো … এমন স্পিডে তো যেকোনো মেয়ের অবস্থা খারাপ হবে… বাট এর তো কোনো ফিলিংসই নেই…
মেরিন নীড়ের পাশে এসে দারালো।
মেরিন : আপনি খুব সুন্দর ড্রাইভ করেন। আপনি টায়ার্ড । এখন আপনি বসুন আমি ড্রাইভ করছি ।
নীড় : 😒।
মেরিন : বসুন না।
মেরিন টেনে নিয়ে নীড়কে গাড়িতে বসালো। এরপর গাড়ি স্টার্ট দিলো। সর্বোচ্চ স্পিড নিয়ে ড্রাইভ করতে লাগলো। নীড় তো জাস্ট অবাক। ও ভেবেছিলো যে জোরে গাড়ি চালিয়ে ও মেরিনকে ভয় পাইয়ে দিবে। কিন্তু পুরাই উল্টা হয়ে গেলো। মেরিনের ড্রাইভে ওরই আত্মা যায়যায়।
নীড়দের বাসার গেইটের সামনে মেরিন গাড়ি থামালো।
মেরিন : নীড়… ভয় জিনিসটাকে অনেক আগেই পেছনে ফেলে এসেছি।
বলেই মেরিন গাড়ি থেকে নেমে গেলো।
মেরিন : গুড নাইট নীড়।
নীড় : এইযে মিস অতৃপ্ত আত্মা । সাথে তো কার নেই। ফিরবে কিভাবে?
মেরিন : ভালো লাগলো আমার কথা ভাবলেন বলে…
নীড় : ওহ হ্যালো… আ…
মেরিন : থাক আর ব্যাখ্যা দিতে হবেনা। আমি ঠিক ফিরে যাবো…
বলেই মেরিন চলে গেলো।
.
মেরিন বাসায় ফিরলো। আর বাসায় ফিরতেই ও সবথেকে কর্কশ কন্ঠে শুনতে পায়…
নিলয় : হ্যালললো মাই জান…
কন্ঠটা শুনে মেরিনের পা থেমে গেলো। বুকটা কাপতে লাগলো।
নিলয় : তুমি দেখি আরো সুন্দর হয়ে গিয়েছো জানেমান…
মেরিন নিজেকে সামলে ১টা বাকা হাসি দিয়ে নিলয়ের দিকে এগিয়ে গেলো।
মেরিন : হামমম আর সেই সাথে আরো ভয়ংকরও হয়ে গিয়েছি…
নিলয় : হামমম । ভয়ংকর সুন্দরী… তু…
মেরিন নিলয়কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওপরে চলে গেলো।
মেরিন : দাদুভাই… দাদুভাই… দা…
দাদুভাই : হ্যা দিদিভাই…
মেরিন : নিলয় এ বাসায় কেন ঢুকেছে?
দাদুভাই : নিলয় এসেছে…?
মেরিন : হ্যা ।
নিলয় : এমনভাবে বলছো কেন গো… আমি কি অ বাড়িতে আসতে পারিনা?
মেরিন : না… তুই এখনই আমার বাসা থেকে বেরিয়ে যাবি…
কবির : এই বাসাটা তোমার একার না….
দাদুভাই : আহা কবির… তুমিই ভুলে যাচ্ছো যে… এই পুরো খান সম্রাজ্যের একচ্ছত্র সম্রাজ্ঞী মেরিন বন্যা খান…
সেতু : আর আমার মেয়ে কি বানের জলে ভেসে এসেছে? যে ও কিছুই না?
দাদুভাই : সম্রাজ্য আমার … তাই এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করার অধিকার তোমার নেই সেতু…
মেরিন : দাদুভাই… এই নিলয়কে এখনই বের হয়ে যেতে বলো। যদি আমার ওকে বের করতে হয়… তাহলে…
.
চলবে…
#ঘৃণার_মেরিন 4
part : 5
writer : Mohona
.
মেরিন : তাহলে…
কবির : তাহলে তুমি কি করবে শুনি?
মেরিন : আমি কি কি করতে পারি তার কিছুটা আপনি ভালোমতোই জানেন মিস্টার খান। যদি ওই ছেলেটা ২মিনিটের মধ্যে এই বাসা থেকে বের না হয় তবে… ওই ছেলেটার সাথে আপনাকে আর আপনার মিসেসকেও ছুরে বাহিরে ফেলে দিবো । এন্ড ইউ নো দ্যাট আই ক্যান ডু দ্যাট…
কবির : দেখলে বাবা … কাকে পাওয়ার দিয়েছে?
দাদুভাই : হ্যা দেখেছি। দিদিভাই যেটা বলেছে সেটাই করা হোক।
সেতু মনে মনে : এই মেয়ের ভরসা নেই। সত্যি সত্যি বের করে দিলে… না এখন নিলয়কে বের করে দেয়াটাই বেটার ।
সেতু : নিলয়… তুই এখন যা।
নিলয় : কিন্তু খালামনি…
সেতু : যা বলছি।
নিলয় : আচ্ছা খালামনি।
নিলয় চলে গেলো ।
মেরিন : বুঝলে দাদুভাই… তোমার বউমা এই খান বাড়ি থেকে বের হতে চায়না। ভিখিরি বাড়ির মেয়ে তো…
কবির : এই মেয়ে…
মেরিন : গলা নামিয়ে কথা বলুন মিস্টার খান। আমি আপনার প্রজা নই আপনি আমার প্রজা। আর প্রজারা রাজাদের সাথে উচু গলায় কথা বলেনা। নেভার… নাউ আউট প্লিজ …
.
৫দিনপর …
নিহাল : নীড় আসবো বাবা?
নীড় : হ্যা বাবা আসো।
নিহাল : নীড় কালকে ১টা বোর্ড কনফারেন্স আছে।
নীড় : বাবা আই হেইট বিজনেস । কোনো ইন্টারেস্ট নেই আমার।
নিহাল : বাট কালকে যে তোমাকে মিটিং টা এ্যাটন্ড করতেই হবে। আফটার অল ইটস ইউর কোম্পানি।
নীড় : কেন যে আমাকে জরিয়েছো বাবা …
নিহাল : জরাবোনা? আমার কি আর কোনো সন্তান আছে? প্লিজ বাবা…
নীড় : ওকে ফাইন। যাবো। হ্যাপী?
নিহাল : থ্যাংক ইউ বাবাটা।
নিহাল বেরিয়ে গেলো।
নীড় : আমি সবার কথা শুনছি? ওহ গড … সব হয়েছে ওই অতৃপ্ত আত্মাটার জন্য ।
.
পরদিন…
মিটিংরুমে সবাই বসে আছে। তবে এখনো মিটিং শুরু হয়নি।
নীড় : বাবা… শুরু হচ্ছেনা কেন?
নিহাল : কারন অ্যাসোসিয়েশন হেড এখনো আসেনি।
নীড় : অ্যাসোসিয়েশন হেড নিজেই লেইট।
নিহাল : সে কখনোই লেইট হয়না। এখনো ৩০সেকেন্ড বাকি। সে ১সেকেন্ডও আগে পরে আসবেনা।
নীড় : অদ্ভুদপ্রানী।
নিহাল : হামমম।
তখন মেরিন মিটিংরুমে ঢুকলো।
নীড় : অতৃপ্ত আত্মা এখানেও…
নিহাল : শি ইজ অ্যাসোসিয়েশন হেড।
নীড় : হুয়াট?
নিহাল : হামমম।
মেরিন কালো রঙের ১টা শাড়ি পরেছে। চুলগুলো খোলা । ব্রাউন কালার চুলগুলোতে অন্যরকম সুন্দর লাগছে মেরিনকে। গলায় ব্ল্যাক ডায়মন্ডের ছোট্ট লকেট। আর কানে ছোট্ট কানের দুল। কালো স্টোনের টিপ। লাল লিপস্টিক । হাতে ১টা ঘড়ি। স্টাইল মেরে চেয়ারে বসলো। খুবই সুন্দর করে লাগছে। নীড় ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। আসলে মেরিনের দিকে তেমন করে তাকায়নি।
নীড় মনে মনে : মেয়েটাতো আসলেই সুন্দর । শাড়িতে তো চমৎকার লাগছে। তবে ছেলেদের মতো সবসময় প্যান্ট শার্ট পরে থাকে। ক্রাশ খাওয়ার মতোই তো। এমা ছিঃ ছিঃ … এসব কি ভাবছি আমি …
মেরিন : আমাকে দেখা হয়ে গেলে মিটিংটা শুরু করি ।
নীড় কিছুটা লজ্জা পেলো ।
মিটিং শেষ হলো। মিটিং শেষে সবাই বের হচ্ছে ।
মেরিন : স্টে মিস্টার নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন ।
নীড় : হুয়াই …?
মেরিন : আমি বলেছি সেটাই কি যথেষ্ট নয় …?
নীড় দারালো। সবাই বেরিয়ে গেলো।
নীড় : নাউ হুয়াট?
মেরিন : বসুন।
নীড় বসলো।
নীড় : এখন?
মেরিন উঠে গিয়ে নীড়ের কোলে বসলো।
নীড় : আরে আরে আরে … কি করছো কি? নামো।
মেরিন : আজকে আমাকে বুঝি ভীষনেরও বেশি সুন্দর লাগছে। হামমম হামমম?
নীড় : যার মন সুন্দরনা তার কিছুই সুন্দরনা। এখন নামো ।
মেরিন : না নামবোনা। আগে বলুন আমাকে কেমন লাগছে?
নীড় মেরিনকে জোর করে নামিয়ে দিলো।
নীড় : লিসেন শেষবারের মতো বলে দিচ্ছি আমার সাথে একদম অসভ্যতামী করতে আসবেনা। বুঝেছো…
নীড় বেরিয়ে গেলো।
.
৩দিনপর…
অফিসে…
জন : ম্যাম।
মেরিন : হ্যা বলো ।
জন : নিরা ইতালিতে টনির সাথে আছে।
মেরিন : গ্রেট …
জন : এটা কি নীড় স্যারের জানা উচিত না?
মেরিন : না…
জন : কেন ম্যাম ?
মেরিন : কারন নীড় নিরাকে পাগলের মতো ভালোবাসে । যদি শোনে যে নিরা টনিকে ভালোবাসে তবে নীড় নিরাকে ছারবেনা। জোর করে বিয়ে করবে। তবুও নিরাকে ছারবেনা…
জন : কি বলছেন ম্যাম ?
মেরিন : হামম ঠিকই বলছি।
জন : কিন্তু ম্যাম কথা হলো এই যে নিরার নীড়কে কি প্রয়োজন? টনি তো নীড়দের থেকেও বেশি ধনী।। তবে নিরা কেন নীড়ের সাথে ভালোবাসার নাটক করার কারনটা কি?
মেরিন : সেটাই তো বুঝতে পারছিনা … কি এ…
তখন নীড় হনহন করে কেবিনে ঢুকে গেলো।
মেরিনের পিএ পেছন থেকে চিল্লাচ্ছে…
পিএ : আরে আপনি ভেতরে ঢুকছেন কোন সাহসে? দারান দারান … সরি ম্যাম আসলে আমি উনাকে বাধা দিয়েছিলাম। বাট ইনি…
নীড় : বাধা মানিনি। নীড়কে বাধা দেয়া যায়না।
মেরিন : তুমি নীড়কে বাধা দিয়েছিলে?
পিএ : জী ম্যাম…
মেরিন : হামমম। লিসেন … ইউ আর ফায়ার্ড …
জন : ম্যাম বলল তুমি বরখাস্ত ।
পিএ : কিন্তু কেন ম্যাম … আমি কি করেছি? আমি তো …
মেরিন : জন … চলতি মাস আর আগামী মাসের স্যালারি দিয়ে একে বিদায় করো।
জন : জী ম্যাম। কাম উইথ মি…
জন বেরিয়ে গেলো।
নীড় : মেয়েটাকে বের করার কারনটা কি জানতে পারি?
মেরিন : আপনার সাথে মিসবিহেভ করেছে… ঢুকতে দিয়েছে। দ্যাটস মোর দ্যান এনাফ।
নীড় মনে মনে : এই মেয়ের সাথে বেশি কথা বলতে গেলে আমিই না গুলিয়ে যাই।
মেরিন : বাই দ্যা ওয়ে… আপনি আমার অফিসে … হঠাৎ … নিশ্চয়ই কোনো কাজে…
নীড় : হ্যা অবশ্যই ।আচ্ছা শোনো আমি চাই ভালো আন্টিকে ওখান থেকে বের করিয়ে নিয়ে আসতে চাই।
মেরিন : ভালোআন্টি কে?
নীড় : তোমার আম্মু।
মেরিন : আমার আম্মু আপনার ভালো আন্টি কিভাবে?
নীড় : সেটা তোমাকে বলতে বাধ্য নই ।
মেরিন : 😒। আম্মুকে ওখান থেকে অন্য কোথাও শিফ্ট করলে আরো অসুস্থ হয়ে পরে।
নীড় : মানে ?
মেরিন : মানের কি আছে? অসুস্থ হয়ে পরে মানে অসুস্থ হয়ে পরে।
নীড় : অদ্ভুদ তো। বাট এবার আর পরবেনা। কারন এবার তিনি আমার দায়িত্ব ।
মেরিন : ওকে… আমি আজই ১টা ফ্ল্যাটের ব্যাবস্থা করছি …
নীড় : ফ্ল্যাট কেন? তোমাদের তো অতোবড় বাড়ি…
মেরিন : বাড়ি বড় হলেই যে তাতে আমার আম্মুর ঠায় হবে এমন তো কোনো কথা নেই …
নীড় : মানে?
মেরিন : সব কথার মানে খুজতে নেই… তবে হ্যা আম্মু যদি আরো অসুস্থ হয় তাহলে কিন্তু আপনাকে মাশুল দিতে হবে …
নীড় : ভালো আন্টির দায়িত্ব আমার ওপর ছেরে দাও… আর শোনো আমি ৩দিনের জন্য আমি ঢাকার বাহিরে যাচ্ছি।
মেরিন : হামমম।
নীড় মনে মনে : এতো সহজে হামমম…?
মেরিন : হামমম। কারন আমি জানি ২-১মাস পরপর আপনার নিজের হাওয়াবদলের দরকার হয়। তাই এদিক ওদিক বেরিয়ে পরেন ।
নীড় : তুমি এটাও জানো…
মেরিন : 😎।
নীড় : মুড ফ্রেশ করে এসে আবার কাজে লেগে যাবো।
মেরিন : আই ট্রাস্ট ইউ …
নীড় : 😒। বাই …
মেরিন : আই লাভ ইউ…
নীড় বেরিয়ে গেলো।
.
রাতে …
দাদুভাই : সে কি দিদিভাই … কি বলছো কি … কনা মাকে বাসায় না এনে ফ্ল্যাটে কেন তুলবে…
সেতু : কারন এ বাড়িতে ওর কোনো জায়গা নেই। আর না অধিকার আছে।
মেরিন : আপনি বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন যে এই বাড়িতে আপনার যতোটা অধিকার আমার আম্মুরও ঠিক ততোটাই অধিকার। আম্মুকে এবাড়িতে ঢোকাবোনা কারন আম্মুকে এ বাড়িতে ঢুকতে চায়না। এই খানবাড়ি থেকে শেষবারের মতো আম্মু যেদিন বেরিয়েছিলো প্রতিজ্ঞা করেছিলো যে আম্মু এ বাড়িতে সেদিনই ঢুকবে… যেদিন…
সেতু : যেদিন? যেদিন কি?
মেরিন : আপনাকে কেন বলবো মিসেস খান… যাই হোক দাদুভাই আমি ভাবছি ফ্ল্যাটে আম্মুকে তুললে বন্দী বন্দী ফিল করবে । তাই আমি ভেবেছি যে মিরপুরে ১টা ডুপ্লেক্স বাড়ি কিনবো । উত্তরা থেকে নীড়ের যেতেও সুবিধা হবে ।
সেতু : এখন কনিকার জন্য এতোগুলো টাকা নষ্ট করা হবে খান বাড়ির..। আমাদের…
মেরিন : আপনি বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন যে এসব কিছুর একমাত্র মালকিন আমি… যা মন চায় করতে পারি। তবে হ্যা এটা সত্য যে আমার আম্মুর পিছে আমি যে টাকাগুলো উড়াই সেগুলো খান বাড়ির নয়। মাহমুদ বাড়ি টাকা। মানে আমার নানার টাকা। আপনি নিশ্চয়ই ভুলে যাননি যে আমার আম্মু এককালীন সেরা শিল্পপতি আলতাব মাহমুদের মেয়ে। আপনার মতো কোনো ভিখিরির মেয়ে নয়…
বলেই মেরিন উঠে গেলো।
সেতু : দেখলেন বাবা আপনার নাতনি আমার সাথে কেমন আচরন করলো।
দাদুভাই : সেতু… মৌমাছির চাকে ঢিল মারলে কামড় তো খেতেই হবে। ও তোমার মেয়ের মতো ধোরা সাপ নয়। ও হলো রাজসর্প । আর এই খান সম্রা… সরি … খান এন্ড চৌধুরী সম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী। তোমার কপাল ভালো যে আজও ওর কবল আর ছোবল ২টা থেকেই বেচে আছো …
বলেই দাদুভাইও চলে গেলো।
সেতু : ১টা সুযোগের অপেক্ষা মিস্টার শশুড় ।
.
২দিনপর…
নীড় কোরিয়া পৌছালো।
নীড় : ফ্রিডম … ১বার ইচ্ছা হয়েছিলো ইতালি যাই। বাট ওখানে গেলে মেরিন নির্ঘাত ওখানে চলে যেতো। কারন ও বুঝতো যে আমি বনপাখির কাছেই গিয়েছি … বনপাখিকে এখানে আসতে বলে দেই। এখানে ৩টা দিন চিল করবো। কারন মেরিন বন্যা খান এখানে আসবেনা।
মেরিন : আপনি আরো ১বার ভুল… ইতালি গেলে আমি ভুলেও যেতামনা। আই জাস্ট হেইট ইটলি…
নীড় : ওহ নো…
নীড় ১বোঝা বিরক্ত নিয়ে পিছে ঘুরলো।
মেরিন : এখানেও আমি…
নীড় : আমি একটু একা থাকতে এসেছিলাম। বাট…
মেরিন : ভয়ে পাবার কিছু নেই। আমি আপনার পিছুপিছু কোরিয়া আসিনি। আমি ১টা কনফারেন্সের জন্য এসেছি।।।
নীড় : বাহানা দেয়ার কি আছে?
মেরিন : মেরিন বন্যা খানের বাহানার প্রয়োজন হয়না… ওকে বাই। না হলে লেইট হয়ে যাবো।
মেরিন চলে গেলো।
নীড় : কনফারেন্সে এসেছি.. 😒… বললেই হবে। আমি লাগে বুঝিনা। যে হোটেল বুক করেছি সেই হোটেলে উঠবোনা… অন্যকোথাও উঠবো। কোনো হোটেলেই উঠবোনা। কোনো হিল স্টেশনে গিয়ে টেন্ট করে থাকবো। গুড আইডিয়া। নো নো ব্যাড আইডিয়া। অন্যকোথাও থাকবো। খ্রিস্টানদের গ্রেভইয়ার্ডে গিয়ে থাকবো। হামমম এটাই বেস্ট আইডিয়া। কে জানে হয়তো সেখানেও অতৃপ্ত আত্মা পৌছে না যায়।
.
কনফারেন্স শেষে মেরিন হোটেলে পৌছালো । বসে বসে কফি খাচ্ছে।
মেরিন : আমার জান চৌধুরী কোথায় থাকতে পারে এখন? পাহাড় না সাগর … পাহাড় … হামমম হয়তো পাহাড়েই গিয়েছে। কে জানে… না হয়তো… যেখানেই যাক ভালো থাকুক। হয়তো একটু একা থাকতে চায় … হাজির হলে দেখা যাবে সাইকো নীড় ক্ষেপে যাবে । কিন্তু বড় কথা হলো এই যে … নীড় যেখানেই থাকুক ভালোভাবে থাকুক… আমার ভয়ে না আবার কবরস্থানে গিয়ে না লুকায় …. পাগল চৌধুরী ….
নীড় : মাগো… মশা। কোরিয়া তেও মশা … উফফ ভালো লাগেনা… ওই অতৃপ্ত আত্মার হাত থেকে বাচতে আত্মাদের ভিরে চলে এসেছি… ভিউটা ভালোই। মশাটা না থাকলে সবকিছু জাস্ট পারফেক্ট হতো ….
.
পরদিন…
মেরিন ড্রাইভ করে ওই কবরস্থানের বাইরে দিয়েই যাচ্ছে তখন দেখলো নীড় ভেতর থেকে বের হচ্ছে।
মেরিন : নীড় এখানে? খ্রিস্টানদের কবরস্থানে… ১মিনিট ১মিনিট ১মিনিট … নীড় সারারাত এখানে কাটায়নিতো… হায়রে পাগল জান চৌধুরী…
নীড় সামনে তাকিয়ে দেখে মেরিন।
নীড় : ওহ নো এখানেও…
মেরিন নীড়ের দিকে এগিয়ে গেলো।
মেরিন : আমার জন্য আপনি সারারাত এখানে ছিলেন… কষ্টকরে আর এখানে থাকতে হবেনা । কোনো হোটেলে গিয়ে উঠুন। আপনি যেখানে উঠবেন সেখানে আমি যাবোনা। সত্যি বলছি…
নীড় : 😒
.
চলবে…