ঘৃণার মেরিন সিজন ৪(পর্ব ৬+৭)

0
516

#ঘৃণার_মেরিন 4
part : 6
writer : Mohona

.

নীড় : 😒।
মেরিন : কি হলো? এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? ব্যাগ নিন আমি আপনাকে ড্রপ করে দিচ্ছি।
নীড় : আমি কোথাও যাবোনা। এখানেই থাকবো।
মেরিন : এখানে এতো কষ্ট করে কেন থাকবেন?
নীড় : আমি মোটেও এখানে কষ্ট করিনি।। মহা আরামে ছিলাম নতুন এক্সপেরিয়েন্স …
মেরিন : মহা আরাম না? তবে সারা মুখ হাত জুরে মশার কামড় কেন হামমম?
নীড় : জাস্ট ওই ১টাই সমস্যা । আর সেটারই সমাধান করতে যাচ্ছি ।
মেরিন : আর কোনো সমাধানের প্রয়োজন নেই এখনই গিয়ে কোনো হোটেলে উঠবেন।
নীড় : আরে আমি বললাম তো যে আমি এখানেই থাকবো।
মেরিন : আমি বললাম তো যে আমি আপনাকে ডিস্টার্ব করবোনা।
নীড় : আরে আমি এমনিতেই যাবোনা । কারন আমার জায়গাটা ভীষন ভালো লেগেছে।
মেরিন : হুয়াট?
নীড় : হামমম।
মেরিন : আপনি কি পাগল?
নীড় : হ্যা। তোমার সমস্যা ?
মেরিন : হ্যা। আপনি এখানে থাকলে আপনার কষ্ট হবে। যেটা দেখে আমার কষ্ট হবে।
নীড় : তাহলে তো আরো বেশি করে এখানে থাকবো।
মেরিন : এর ফল কিন্তু ভালো হবেনা।
নীড় : কি খারাপ হবে শুনি?
মেরিন : 😏।

নীড় মনে মনে : এই মেয়েটা যখনই এই হাসি দেয় তখনই কিছুনা কিছু ঝামেলা করে।

.

রাতে…
নীড় মনে মনে : এই ছিলো তোর পেটে… আমার পাশেই তাবু টানানোর ইঙ্গিত ছিলো… উফফ উফফ এন্ড উফফ । হোটেলে উঠলেই ভালো হতো।অন্তত আমার রুমে তো থাকতে আসতো না। এর জন্য এতো সুন্দর পরিবেশটা ইনজয় করতে পারছিনা…
মেরিন : বলছি এখনো সময় আছে … চাইলে গিয়ে হোটেলে ফিরতে পারেন…
নীড় রাগ দেখিয়ে টেন্টের ভেতরে চলে গেলো। নীড় ভেতরে ঢোকার পর মেরিন গান নিয়ে নীড়ের টেন্টের বাহিরে দারিয়ে রইলো। মূল কথা নীড়কে পাহারা দিতে লাগলো। আর ভেতরে নীড় মেরিনকে বকতে লাগলো।

.

বেশকিছুক্ষনপর…
নীড় : অতৃপ্ত আত্মাটা মনে হয় ঘুমিয়ে পরেছে। যাই গিয়ে ফ্রেশ বাতাসে গিয়ে বসি।
নীড় বেরিয়ে দেখে যে মেরিন বসে আছে । আর গানটা ঘোরাচ্ছে। সেই চারদিকটা দেখছে।
নীড় মনে মনে : আসলেই তো এটা অতৃপ্ত আত্মা। ঘুমায়না নাকি রাতে?
মেরিন ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো নীড় দারিয়ে আছে।
মেরিন : একি আপনি ঘুমাননি?
নীড় : তুমি এখানে বসে আছো কেন শুনি? তাও হাতে গান নিয়ে… অথোরিটি দেখলে হাজতে ঢুকতে হবে। আর এটা বাংলাদেশ না কোরিয়া। ফরেইন কান্ট্রি ।
মেরিন : তো?
নীড় : কিছুনা। আর শোনো আমি কোনো শিশুবাচ্চা নই যে আমাকে এভাবে প্রোটেকশন দিতে হবে…
মেরিন : আমি কি কিছু বলেছি…
নীড় : গড।
মনে মনে : এখানে থাকলে মেয়েটাকে সারারাত সহ্য করতে হবে। এরথেকে কোনো হোটেলে গিয়ে উঠি। ভালো হবে।

নীড় : এই যে অতৃপ্ত আত্মা আমি এখন কোনো হোটেলে গিয়ে উঠবো।
মেরিন : চলুন আপনাকে পৌছে দিচ্ছি ।
নীড় : আমি নিজেই যেতে পারবো।
মেরিন : রাত ভালোই হয়েছে। আমি আপনাকে ড্রপ করে দিচ্ছি। আমি আপনার জন্য এখানকার বেস্ট হোটেলে রুম বুক করেছি। ওখানেই ড্রপ করে দিচ্ছি। ভয় নেই ডিস্টার্ব করবোনা।

নীড় : আমি যাবোনা।
মেরিন : দেখেন এখন ত্যারামি করলে কিন্তু সারারাত আমার সাথে কাটাতে হবে।

নীড় : সময় ১দিন আমারও আসবে।

নীড় গিয়ে গাড়িতে বসলো। মেরিন ড্রাইভ শুরু করলো। হঠাৎ আকাশ মেঘলা হয়ে গেলো। মেরিন গাড়ি ব্রেক মারলো। মেরিনের কপলে ঘাম জমে গেলো।
নীড় : কি হলো?
মেরিন : ববববৃষ্টি পপপরবে …
নীড় : হ্যা বৃষ্টি পরবে। চরম ওয়েদার।
মেরিনের হাতপা কাপছে।
নীড় : কি হলো… তোমাকে এমন লাগছে কেন? তুমি কি মেঘের শব্দে ভয় পাও?
মেরিন : না…
বলেই মেরিন ড্রাইভিং শুরু করলো। স্পিড সর্বোচ্চ করলো।
নীড় : আরে কি করছে কি… স্পিড কমাও। আবহাওয়া ভালোনা। অ্যাক্সিডেন্ট হতে পারে। কমাও।
মেরিন : কমানো যাবেনা। ববববৃষ্টির আগে আমাদের পপপৌছাতে হবে…
নীড় : হ্যা পৌছাবো। বাট কমাও তো।
মেরিন মোটেও কমাচ্ছেনা।
নীড় : দেখো তুমি মরতে চাইলে মরো আমাকে টানছো কেন শুনি… থামাও গাড়ি…

কথাটা শুনে মেরিন স্পিড কমিয়ে দিলো। এরই মধ্যে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো।
মেরিন : ববববৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে।
নীড় : ওহ ওয়াও…
নীড় কাচ নামালো।
মেরিন : গ্লাগ্লাগ্লাগ্লাস নামাবেন না। পপপপ্লিজ গ্লাস নামাবেননা। তুলে ফেলুন… গ্লাস তুলে ফেলুন…
নীড় : কি পাগলের মতো কথা বলছো ? দেখো কি সুন্দর বৃষ্টি …
মেরিন : বৃষ্টি বন্ধ করুন…. বৃষ্টি বন্ধ করুন …
নীড় : হাহাহাহাহা… এমনভাবে বলছো যেন বৃষ্টি আমার কথা শুনবে …

নীড় বৃষ্টিতে হাত ভেজাত ব্যাস্ত । তখন মেরিনের চিৎকার শুনতে পেলো।

মেরিন : বন্ধ করো… বৃষ্টি বন্ধ করো… 📢📢📢… কেউ বৃষ্টি বন্ধ করো…
নীড় মেরিনের দিকে ঘুরলো। দেখে মেরিন হাত দিয়ে কান ঢেকে চোখমুখ খিচে বন্ধ করে মেরিন চেচিয়ে বৃষ্টি বন্ধ করছে ।

মেরিনের অবস্থা দেখে নীড় যথেষ্ট অবাক হলো।
নীড় : মেরিন আর ইউ ওকে… মেরিন… মেরিন…
মেরিন : বৃষ্টি বন্ধ করো … বৃষ্টি বন্ধহ করোহ… বৃ…
মেরিন জ্ঞান হারালো।

নীড় : মেরিন… মেরিন… ।
নীড় মেরিনকে নিয়ে হসপিটালে গেলো।

.

সকালে…
মেরিনের জ্ঞান ফিরলো। নিজেকে হসপিটালে পেয়ে অবাক হলো।
মেরিন : আমি হসপিটালে কিভাবে?
নীড় : আমিই এনেছি…
মেরিন তাকিয়ে দেখে নীড় দরজার সামনে দারিয়ে আছে।
নীড় ঢুকতে ঢুকতে
বলল : কেউ ১জন বলেছিলো যে ভয় জিনিসটাকে ৭বছর আগে ত্যাগ না কি যেন করেছি… বাট সে নাকি প্রকৃতির সেরা উপহার বৃষ্টিকে ভয় পায়।
মেরিন : ভয় পাইনা। এটা আমার দুর্বলতা। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি তো আজকেও থাকবেন কোরিয়া তাইনা?
নীড় : হামমম।
মেরিন : দেন পরশু দেখা হচ্ছে আপনার সাথে। নাউ বাই।
নীড় : বাই? বাট…
মেরিন : ডক্টরদের সাথে রিলিজের জন্য আমি কথা বলে নিচ্ছি …
বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো।

নীড় : বড়ই অদ্ভুদ মেয়েটা ।

২দিনপর আবার নীড়-মেরিন মুখোমুখি হলো।

.

পরদিন…
মেরিন : আম্মুকে কি আজই নিয়ে যাবেন?
নীড় : না। আর ২দিনপর। ভালো আন্টির সাথে কথা বলেই নিবো।
মেরিন : কথা বলেই নিবেন মানে ?
নীড় : হামমম।। কথা বলে বুঝিয়ে সুজিয়ে নিয়ে যাবো।
মেরিন : বুঝিয়ে সুজিয়ে নিবেন মানে?
নীড় : বুঝিয়ে সুজিয়ে মানে বুঝিয়ে সুজিয়ে ।
মেরিন : আমি যতোদূর জানি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন বুঝিয়ে সুজিয়ে কাজ করানোতে বিশ্বাসী নয়।
নীড় : না নয়। বাট কারো ট্রিটমেন্টের বেলায় নয়। আর ভালো আন্টির ব্যাপারে তো নাইই…

বলেই নীড় কনিকার কাছে গেলো। কনিকার পাশে বসলো।

কনিকা : তুমি অনেকদিনপর এলে যে…
নীড় : হামমম। আসলে আমি একটু বাহিরে দূরে কোথাও বেরাতে গিয়েছিলাম।
কনিকা : বেরাতে গিয়েছিলে ?
নীড় : হামমম। বেরাতে আমার খুব ভালো লাগে। তোমার ভালো লাগেনা?
কনিকা : হ্যা আমারও খুব ভালো লাগে।
নীড় : তাহলে যাবে তুমি বেরাতে ?
কনিকা : হ্যা … না না। যাবোনা।
নীড় : কেন যাবেনা কেন?
কনিকা এদিক ওদিক চোখ বুলিয়ে নিলো।
কনিকা : শোনো শোনো …
নীড় : বলো…
কনিকা : তোমাকে ১টা কথা বলি। কাউকে বলবেনা কিন্তু …
নীড় : আচ্ছা বলবোনা। বলো।
কনিকা : আমার বনপাখি আছেনা বনপাখি…
নীড় : বনপাখি…
কনিকা : হামমম বনপাখি। ও না হারিয়ে গিয়েছে। পাচ্ছিই না ওকে। এই যে দেখো এটা ওর সবথেকে প্রিয় পুতুল। এটা ছারা ও ঘুমাতেই পারেনা। কিন্তু সেই যে আমার হাতে পুতুলটা দিয়ে কোথায় ছুটে গিয়ে লুকালো । আসছেই না সামনে। ভীষন দুষ্টু হয়েছে মেয়েটা। এসে যদি দেখে আমি নেই আর এই পুতুলটা নেই তবে খুব কান্নাকাটি করবে। খালি কান্না করে মেয়েটা । আমি এখান থেকে যেতে পারবোনা ।

নীড় মনে মনে : ভালো আন্টি বনপাখি কে কতো ভালোবাসে …

মেরিন : সেই কখন থেকে আম্মু কি বলে যাচ্ছে নীড়কে… বলুক যতো খুশি কথা বলুক। অন্তত নীড়ের সাথে তো কথা বলছে …

নীড় : তুমি এখানে বনপাখিরা ওয়েট করছো?
কনিকা : হামমম।
নীড় : তোমার বনপাখি তো এখানে নেই।
কনিকা : কোথায় আছে?
নীড় : অন্যকোথাও আছে।
কনিকা : কিন্তু কোথায়। ওকে আমার কাছে এনে দাওনা।
নীড় : ওকে তো এখানে আনা যাবেনা। তোমাকে একটু কষ্ট করে ওর কাছে যেতে হবে।
কনিকা : যাবো যাবো যাবো আমি। তবুও আমি ওরে দেখবো।
নীড় : ওকে দেখবে । কাল পরশুই তোমাকে নিয়ে যাবো।
কনিকা : আমি আজই যাবো।
নীড় : না গো ।।। আজকে তো হবেনা। আজকে গেলেতো বনপাখি বুঝে যাবে। লুকিয়ে পরবে। আর যদি পরশু যাই তবে বনপাখিকে সারপ্রাইজ দেয়া যাবে…
কনিকা : ও হামমম।
নীড় : তবে আমরা পরশুদিন যাবো। ডান?
কনিকা : ডান … তুমি খুব ভালো।
নীড় : তুমিও …
কনিকা ছুটে ভেতরে গেলো।

মেরিন : কি এতো কথা হচ্ছিলো শুনি?
নীড় : তোমাকে বলবো কেন হামমম? হুহ…

.

পরদিন …
নিরা : হ্যালো বেবি …
নীড় : বনপাখি…
নিরা : হ্যা বলো।
নীড় : তুমি কি কাল পরশুর মধ্যে দেশে ফিরতে পারবে ?
নিরা : আমি তো ভীষনভাবে চাই ফিরতে। কিন্তু হুট করে কাজটা পরে যাওয়ায় আসতে পারছিনা। তাহলে আমি কবববে চলে আসতাম। আমার ছোটআম্মুর কথা শুনে … আমি কবে চলে আসতাম।
নীড় : সবকাজ বাদ। চলে আসো।
নিরা : আমি তো চেষ্টাই করছি ।
নীড় : আর চেষ্টা করতে হবেনা। দরজা খোলো …
নিরা : দরজা খুলবো মানে?
নীড় : দরজা খুলবে মানে দরজা খুলবে।
নিরা : কিন্তু কেন?
নীড় : কারন আমি দরজার এপারে দারিয়ে আছি।
নিরা : হুয়াট ?
নীড় : এতো জোরে হুয়াট? এতো ভয় পাওয়ার কি আছে… আমিই তো এসেছি। মেরিন তো ়আর না।
নিরা : ভয় পাবো কেন? আমি তো খুশি তে চিল্লানি মারলাম। দারাও আসছি…
বলেই নিরা ফোনটা রেখে দিলো।

নিরা : টনি … টনি টনি …
টনি : কি হয়েছে?
নিরা : নীড় …
টনি : নীড় ?
নিরা : হ্যা নীড়। বাসার বাহিরে। দরজা খুলতে যাচ্ছি।
টনি : কি বলছো কি ?
নিরা : হ্যা এখন কি হবে?
টনি : নাথিং। আমি এখনই সার্ভেন্টের ড্রেস পরে নিচ্ছি।
নিরা : গুড আইডিয়া। আমি দরজা খুলছি।

নিরা গিয়ে দরজা খুলল।
নীড় : এই এতোক্ষন লাগে…
নিরা : সরি আসলে…
নীড় : আচ্ছা যেতে যেতে এক্সকিউজ শুনবো চলো।
নিরা : আরে দারাও দারাও … ১টা কথা বলো তো আমি যে এখানে … এই ফ্ল্যাটটাতে আছি সেটা কি করে জানলে…
নীড় : ইটস নট অ্যা বিগ ডিল ফর মি। এখন চলো চলো চলো।
নিরা : আচ্ছা তুমি নিচে যাও আমি আসছি।
নীড় : কোনো প্যাকিং ট্যাকিং এর দরকার নেই আমি সব …
নিরা : আরে লক তো করতে দিবে।
নীড় : ওহ । ওকে। আসো। ১০মিনিটে। পাসপোর্ট টাসপোর্ট নিয়ে এসো কিন্তু।
নিরা : ওকে।

নীড় নিচে গেলো।
টনি : কাহিনি কি?
নিরা : জানিনা।
টনি : ও কিছু বুঝতে পারেনিতো?
নিরা : জানিনা।
টনি : বুঝলে তো আমাদের শ্যুট করার আগে ২বার ভাববে না।
নিরা : কি করবো?
টনি : আচ্ছা এখন যাও। না হলে আবার কি হয় কে জানে…
নিরা : কিন্তু …
টনি : কোনো কিন্তু না। যাও।

নিরা চলে গেলো।
টনি : মরলে তুমি মরবে নিরা। আমি মরতে প্রস্তুত নই। তোমার সাথে মেলামেশার কারন মেরিন বন্যা খান। আমার একমাত্র নেশা মেরিন বন্যা খান। আমার একমাত্র ভালোবাসা মেরিন বন্যা খান। রোজ তুমি যেটাকে রোম্যান্স ভাবো সেটা জাস্ট ড্রাগসের ইফেক্ট । না হলে তোমার মতো থার্ড ক্লাস মেয়েকে টনি টাচও করেনা। তোমাকে তো জাস্ট ইউজ করছি মেরিনের কাছে যাওয়ার জন্য। মেরিনকে পাওয়ার জন্য । আই জাস্ট লাভ মেরিন … মাই ওয়াল্ড লাভ …

.

মেরিন : হুয়াট? নীড় ইতালি গিয়েছে?
জন : জী ম্যাম।
মেরিন : কেন?
জন : জানিনা ম্যাম। তবে রিটার্ন টিকিটস ও কেটে ফেলেছে।
মেরিন : বাবা … এতো ভালোবাসা …
জন : বুঝলাম না ম্যাম।
মেরিন : না বোঝার কিছু নেই জন। নীড় রাতারাতি ইতালি গেলো। আবার রিটার্ন টিকিট ও কাটা শেষ। এর মানে এটা স্পষ্ট যে নীড় নিরা নিয়ে আসতে গিয়েছে। তবে প্রশ্ন ১টাই… কেন? নীড় … অ্যা কমপ্লিকেটেড পারসোন … ভেবেছিলাম পাগল চৌধুরীটাকে বুঝতে পারি … বাট না। অতোটাও না। কিছুটা আমার আয়ত্তের বাহিরে। কিছু ১টা আছে তার ভেতর যেটা আমি জানিনা। কিছু ১টা লুকাচ্ছেন। কিন্তু সেটা কি?
জন : ম্যাম …. টনির কথা জানতে পেরে নীড় স্যার যদি নিরাকে বিয়ে করার জন্য তুলে নিয়ে যেয়ে থাকে…
মেরিন : নীড়ের বউ নিরা হবেনা। কোনোদিনও না। আর যদি ভুলবশতভাবে হয়েও যায় তবে সময়ের আগেই নিরাকে মরতে হবে। যেটা আমি চাইনা এখন। মরবেই তো নিরা … নিরার মা … আর নিলয় … কিন্তু আম্মু সুস্থ হবার পর। কিন্তু নীড়ের ভালোবাসার পাগলামোতে দিনটা এগিয়ে না আসুক ….

.

চলবে…

#ঘৃণার_মেরিন 4
part : 7
writer : Mohona

.

মেরিন : দিনটা এগিয়ে না আসুক…
জন : ম্যাম আমি টনির বিষয়ে ১টা কথা জানতে পেরেছি…
মেরিন : কি?
জন : টনিও নিরার সাথে নাটক করছে। ওর উদ্দেশ্য অন্যকিছু।
মেরিন : টনির লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ২টাই আমি তাই তো?
জন : আপনি জানতেন ম্যাম?
মেরিন : না জানতাম না। জেনেছি । কোরিয়া গিয়ে জানতে পেরেছি।
জন : কিভাবে?
মেরিন : থ্যাংকস টু হিজ মাদার… আসলে মানুষ ঠিকই বলে মেয়েদের পেটে কথা হজম হয়না। কথাটা ৯৫% মেয়ের সাথে অদ্ভুদভাবেই মিলে যায়। যাই হোক নিরা আসছে।
জন : ম্যাম ও তো চাল চালতে দক্ষ।
মেরিন : আর আমি চাল কাটতে… জন জন জন… কোমড় বেধে নাও। খেলাটা নেক্সট স্টেজে এসে পরেছে।

.

২দিনপর …
কনিকা নীড়ের সাথে নীড়ের গাড়িতে যাচ্ছে । তার পিছের গাড়িতেই মেরিন। ওরা মিরপুর পৌছালো। বাসায় ঢুকলো। মেরিনও ওদের পিছে পিছে ঢুকলো।

কনিকা : কোথায় আমার বনপাখি … ?
মেরিন মনে মনে : বনপাখি… আম্মুর মুখে কতোদিন পর এই ডাকটা শুনলাম। তোমার বনপাখি তো তোমার সামনেই । কিন্তু আফসোস তুমি আমায় চিনবেনা ।

নীড় : চলে আসবে । ওয়েট।

মেরিন মনে মনে : এমন কেন মনে হচ্ছে যে এখানে ভিন্ন কারোর নিঃশ্বাস আছে। যে আমার পারমিশন ছারা এন্ট্রি নিয়েছে।

নীড় : মেরিন…
মেরিন : হুয়াট ?
নীড় : ভালো আন্টি এখন তোমাকে দেখলে শুরুতেই ভুল হয়ে যাবে। তাই ভালো হয় যদি তুমি…
মেরিন : যদি আমি চোখের আড়াল হই… তাইতো? এমনিতেও আমি এখন বের হতাম। আসছি …

বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো।
নীড় : এতো সহজেই চলে গেলো? ঘাপলা আছে…
কনিকা : এই যে ভালো ডাক্তার শুনছো..
নীড় কনিকার কাছে গেলো।
নীড় : হামম ভালো আন্টি।
কনিকা : আমার বনপাখি কোথায় গো …
নীড় : ১মিনিট…. চোখ বন্ধ করো।
কনিকা চোখ বন্ধ করলো। নীড় নিরাকে কনিকার সামনে দার করালো।
নিরা মনে মনে : একে দেখে তো আমার মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে। এখন যদি কনিকা চোখ মেলে আমাকে দেখে ভুলভাল কিছু বলে? ওহ গড সেভ মি প্লিজ… না না কনিকা তো আমাকে কি করে চিনবে? ১৫বছর ধরে তো পাগলই হয়ে আছে ।
নীড় : ভালো আন্টি… চোখ মেলে দেখো তো …
কনিকা চোখ মেলল।
কনিকা : কোথায় আমার বনপাখি?
নীড় নিরার কাধে হাত রাখলো।
নীড় : এই যে তোমার বনপাখি…
নিরা : ছো…
কনিকা : এটা তো আমার বনপাখি না…
নিরা মনে মনে : ওহ নো…
নীড় : এটাই তোমার বনপাখি। দেখো ওর গলার লকেট টা দেখো।
কনিকা : না এটা আমার বনপাখি না। আমার বনপাখি তো ছোট্ট । আমার বনপাখি তো এতো বড়না। ছোট্টপাখি বনপাখি …
নীড় : আই থিংক ভালো আন্টি আজও তোমায় ছোট ভাবে ।
নিরা : হামমম । 😅।
মনে মনে : থ্যাংকস গড…

মেরিন : অনেকক্ষন তো হলো… এতোক্ষনে তো নাটকের পর্দা উঠে গেছে। যাই ভেতরে গিয়ে ক্লাইম্যাক্সটা ঘটাই …
মেরিন ভেতরে গেলো।

নীড় : ভালো আন্টি তুমি এখানে রেস্ট করো।
কনিকা ঘুমিয়ে পরলো।

.

নিরা : শোনো মেরিনের সামনে আবার বনপাখি টপিক তুলোনা।
নীড় : না না মাথা খারাপ নাকি। আমি তো …

মেরিন : কট ইউ …
২জন পিছে ঘুরলো । দেখলো মেরিন দারিয়ে আছে।
নীড় মনে মনে : ড্যাম ইট। ঠিক ধরেছিলাম যে ঘাপলা আছে …

মেরিন : সিংহের গুহায় বাঘ ঢুকুক হায়না ঢুকুক আর পিগি ঢুকুক … সিংহর কাছে গোপন থাকেনা। কারন সিংহ বনের রাজা … আমার সম্রাজ্যে আমার ইচ্ছা ছারা কিছু হয়না। সেটা নীড় না জানলেও তোর তো জানার কথা ।
নিরা : তোর সম্রাজ্যে পা রাখার কোনো শখও আমার নেই। নীড় এনেছে।
মেরিন : কি যেন ১টা প্রবাদ আছে … তরমুজ ছুরির ওপর পরুক আর ছুরি তরমুজের ওপর কাটা তো যায় তরমুজই … ঠিক তেমনি … এখানে তুই নিজের ইচ্ছায় ঢোক বা নীড়ের। আমার আদালতে দোষী তো তুইই।
নীড় : ইনাফ। দেখো আমি নিরাকে এনেছি। তাই যদি এটা নিয়ে নিরাকে শাস্তি দাও তবে কিন্তু মেনে নিবোনা।।
মেরিন : আমি তো বলিনি যে আমি নিরাকে শাস্তি দিবো। আমি নিরা আর আপনাকে… ২জনকেই শাস্তি দিবো। বাট এখন শাস্তি শাস্তি খেলার মুড নেই। ঠিক আধ ঘন্টা পর আমার ১টা মিটিং আছে। শাস্তি দেয়ার সময় ও স্থান আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে। বাই।
বলেই মেরিন চলে গেলো।
নিরা : আমি একারনেই আসতে চাইনি।
নীড় : ভয় নেই। আমি আছি তো। আমি তোমার ছায়া হয়ে থাকবো। আর নীড় সব মেনে নিলেও নিজের বনপাখির ওপর কোনো বিপদ মেনে নিতে পারেনা। চিন্তা কোরোনা।

.

পরদিন…
রাতে…
নীড়-নিরা লং ড্রাইভে বেরিয়েছে। তখন নীড়ের ফোনটা বেজে উঠলো।
নিরা : এই অতৃপ্ত আত্মা কে? সে ফোন করেছে। ধরবো?
নীড় : একদম না । এটা মেরিন…
নিরা : মেরিনকে অতৃপ্ত আত্মা ডাকো… 😂..
নীড় : হামমম। তা নয়তো আর কি ডাকবো ? অতৃপ্ত আত্মার মতো যেকোনো জায়গায় পৌছে যায়। এখন ফোন রিসিভ করলে দেখবে এখানেও পৌছে যাবে।
নিরা : 😂।
নীড় : তুমি হাসছো?
নিরা : কি করবো বলো নামটা অনেক ফানি…
তখন মেরিন ১টা ভয়েস ম্যাসাজ পাঠালো। নীড় প্লে করলো।
মেরিন : আর মাত্র ১৩মিনিটের মধ্য আপনাদের শাস্তি শুরু হবে… আশা করি সিটবেল্ট বাধা আছে…
কথাটা শুনে নীড় ব্রেক চাপলো। দেখলো পিছে কোনো ট্রাক বা অন্যকোনো গাড়ি আছে কিনা… না নেই।
নিরা : আরে বাদ দাও তো। ও তো জানবেই না যে আমরা কোথায় ? ১কাজ করি আমরা অন্য কোনো রোড দিয়ে যাই।
নীড় : বনপাখি… ওর নাম তো আর এমনি এমনি অতৃপ্ত আত্মা দেইনি… যতোদূর ওকে চিনেছি… ভালোমতোই জানি যে ও হাজির হবে…
নিরা : বাহ… আমার অনুপস্থিতিতো মেরিনকে বেশ ভালোই চিনে গিয়েছো…
কথাটা শুনতেই নীড়ের চোখের রং পাল্টে গেলো। রেগে নিরার দিকে তাকালো। নিরা ভয় পেয়ে ঢোক গিলল। নীড় সন্দেহ জিনিসটা একদম মেনে নিতে পারেনা।
নীড় দাঁতে দাঁত চেপে
বলল : কি বললে আরেকবার বলো…
নিরা : সরি… আসলে আমি তো জাস্ট মজা করছিলাম…
নীড় : জাস্ট শাট আপ। মজা? ইউ নো আই জাস্ট হেইট দিস। সন্দেহ জিনিসটা আমার মোটেও ভালো লাগেনা। দেখেছো কখনো তোমাকে কোনো কিছু নিয়ে সন্দেহ করেছি…
নিরা নীড়ের ঠোটে হুট করে কিস করে
বলল : সরি মাই লাভ…
নিরার কিস করাতে নীড়ের মেরিনের কথা মনে পরলো। আরো রাগ উঠলো।
নীড় : হুয়াট ওয়াস দ্যাট মে… নিরা… 😡।
নিরা : তুমি এতো রাগ করছো কেন?
নীড় মনে মনে : নীড়… নিজের রাগকে কন্ট্রোল কর… বনপাখির ওপর কেন রাগ করছি? ও কিস করেছে… মেরিন তো না…
নীড় : আম সরি। আসলে ওই মেয়েটা আমার মাথা হ্যাং করে দিয়েছে। আম সরি বনপাখিটা…

তখন বুঝতে পারলো যে ওরা ধীরে ধীরে উচুতে উঠছে… গাড়ির পেছন দিকটা বেশি উচু…
নীড় ঘুরে দেখে ক্রেন দিয়ে ওদের গাড়িটা ওপরে উঠছে।
নিরা : আমরা ওপরে উঠছি কেন… কিছু করো নীড় …
নীড় : নিশ্চয়ই এটা মেরিনের কাজ। কিচ্ছু করার নেই এখন… ১কাজ করো । সিটটা শক্ত করে ধরে রাখো।
নিরা : আরে আমরা তো উচুতে উঠছি। তুমি তো জানোই আমার অ্যাক্রোফোবিয়া আছে…
নীড় : ও হ্যা তাইতো। বনপাখি তুমি চোখটা বন্ধ করে রাখো…
নিরা : আআমার ভয় করছে নীড়… কিছু করো…
ওরা যথেষ্ট উচুতে। নিরা তো ভয়ে হাউমাউ করে কাদছে। তখন মেরিন ওদের গাড়ির নিচে দারালো।
মেরিন : হ্যালো গাইস। হুয়াটস আপ ।
নীড় : মেরিন… নিচে নামাও আমাদের। নিরার অসুস্থ হয়ে পরছে কিন্তু। ওর অ্যাক্রোফোবিয়া আছে।
মেরিন : জানি তো। আর তাইজন্য তো ওপরে তুলেছি… ওর তো ভয়ে হাল কেরোসিন.. ওর কষ্টে আপনার বুক চিনচিন করছে। পারফেক্ট শাস্তি।
নীড় : কাজটা কিন্তু ভালো করছোনা… নিরা বেশি অসুস্থ হয়ে পরলে আমি কি করবো তা আমি নিজেও জানিনা …
মেরিন : ওহ রিয়েলি… বাট আমি কি কি করতে পারি তাতো নিরা জানে। তবে কোন অনুমতিতে ও একান্ত আমার প্রোপার্টিতে ঢুকলো। শাস্তি তো পেতেই হবে।
নীড় : মেরিন … ও আরো অসু্স্থ হয়ে পরছে তো… নামাও আমাদের।
মেরিন : নামাবো তো। কফিটা শেষ করে নেই।
নীড় : তুমি কি মানুষ?
মেরিন : আমি মেরিন। মেরিন বন্যা খান।
কফি শেষ হলে নীড়-নিরাকে নিচে নামানো হলো। আর নিচে নামতেই নীড় মেরিনের কাছে গিয়ে ঠাস করে থাপ্পর মারলো।
নীড় : আই জাস্ট হেইট ইউ।
মেরিন : বাট আই লাভ ইউ ।
নীড় নিরাকে হসপিটালে নিয়ে গেলো।

.

২দিনপর…
জন : ম্যাম… কোথায় যাচ্ছেন?
মেরিন : আম্মু অস্বাভাবিক আচরন করছে…
বলেই মেরিন গাড়ি নিয়ে ছুটে গেলো কনিকার কাছে। গিয়ে দেখে কনিকা পাগলামো করছে। জিনিসপত্র ছুরে মারছে। নিজেকেও আঘাত করছে। আর এই কারনেই কনিকাকে শিফ্ট করা হয়না। মেরিন কনিকার দিকে এগিয়ে যেতে নিলে কনিকা ল্যাম্প মেরিনের দিকে ছুরে মারলো। সেটা লেগে মেরিনের খানিকটা কপাল কেটে গেলো। নার্সরা কনিকাকে ইনজেকশন পুস করলো। কনিকা ঘুমিয়ে পরলো। মেরিন মায়ের কপালে চুমু দিলো।
মেরিন : আম্মু হুট করে এমন আচরন করছিলো কেন?
নার্স : আসলে…
মেরিন : আসল নকল বুঝিনা… টেল মি দ্যা ফ্যাক্ট ।
নার্স : আসলে আজকে এখনো নীড় স্যার আসেনি তো। তাই…

কথাটা শুনে নীড় আর ১পলকও দারালোনা। গাড়ি নিয়ে ছুটলো হসপিটালে। কারন নীড় নিরার কাছে হসপিটালে। আসলে কনিকার কথা নীড়ের মনেই নেই। মেরিনের কপালের কোনা দিয়ে রক্ত পরছে।

মেরিন হসপিটালে পৌছালো। নীড় নিরাকে স্যুপ খাইয়ে দিচ্ছে।
ঠিক তখনই মেরিন ভেতরে ঢুকে নীড়ের হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো। নীড় হাত ছারিয়ে নিলো।
নীড় : কি করছো কি তুমি…. এভাবে টেনে নিয়ে যাচ্ছো কেন…?
মেরিন : কারন ওদিকে আমার আম্মু অস্বাভাবিক আচরন করছে।
নীড় : তো …?
মনে মনে : ওহ নো। মনেই ছিলো না ভালো আন্টির কথা। ড্যাম ইট।
মেরিন : তো মানে? আম্মুকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পারানো হয়েছে। আম্মু আপনার পেসেন্ট। আর আপনি নিজ দায়িত্বে আম্মুকে শিফ্ট করেছেন। আর এখন বলছেন তো….
নীড় : হ্যা বলছি। তুমি আমার নিরার সাথে যা করেছো তারপরও তুমি আমার কাছে মানবিকতা কিভাবে আশা করো?
মনে মনে : থ্যাংকস গড ভালো আন্টি ঘুম। কিন্তু মেরিনের সামনে নিজের অপরাধবোধটা প্রকাশ করা যাবেনা।
মেরিন : কারন আপনি ডক্টর। যাই হোক। চলুন।
নীড় : আমি তোমার সাথে যাবোনা।
মেরিন : আপনি যাবেন না?
নীড় : না…
মেরিন : দোষটা আপনার।
বলেই মেরিন পকেট থেকে ১টা ইনজেকশন বের করে নীড় ঘাড়ে পুস করে দিলো। আর ঘটনাটা ঘটলো বড়জোর ১০সেকেন্ডের মধ্যে । কিছু বুঝতে বুঝতে নীড় জ্ঞান হারালো।
মেরিন : বলেছিলাম আম্মুর অবস্থার অবনতি হলে মাশুল দিতে হবে। ৭দিন ধরে বুঝবেন মজা…

.

২ঘন্টাপর…
নীড়ের জ্ঞান ফিরলো। জ্ঞান ফিরতেই দেখে ১জন ওর জন্য জুস নিয়ে দারিয়ে আছে।

¤: স্যার জুস…
নীড় : জুস মাই ফুট। এটা কোথায়।
মেরিন : চারদিকে তাকিয়ে দেখুন আশা করি চিনতে পারবেন।
নীড় মেরিনকে দেখে ক্ষেপে গেলো। মেরিনের দিকে তেরে যেত নিলে বুঝতে পারলো যে ওটা মেরিননা। প্রোজেক্টরে ওর প্রতিবিম্ব। নীড় দেখলো এটা মিরপুরের বাসাটা।
নীড় : আরে এটা তো ওই বাসাটা। আহ মাথাটাও ব্যাথা করছে।
¤ : স্যার জুসটা খেয়ে নিন আগে।
নীড় জুসটা খেয়ে নিলো।
¤ : স্যার লেটার ফর ইউ।
নীড় চিঠিটা নিলো।

মেরিন : হ্যালো মাই জান চৌধুরী। আগামী ৭দিনের জন্য আপনি গৃহবন্দী। এই ৭দিন আপনি ভেতরে থেকে আম্মুর ট্রিটমেন্ট করবেন। আপনার খাওয়া দাওয়ার জন্য ১জন শেফ আছে। সেই সাথে ৭-৮জন সার্ভেন্ট আছে। ৫-৬জন নার্স আছে। জানালা-দরজা ভেঙে বের হবার চেস্টা করবেননা। ইলেকট্রিক শক খাবেন । যদি বিশ্বাস না হয় তবে ট্রাই করে দেখতে পারেন। তবে নিজের হাত-পা দিয়ে ট্রাই করবেননা প্লিজ। কোনো বস্তু দিয়ে ট্রাই করবেন। বাই মাই লাভ। আমি যেকোনো মুহুর্তে হাজির হতে পারি। অতৃপ্ত আত্মা বলে কথা….

নীড় চিঠিটা দুমরে মুচরে নিচে ফেলে দিলো।

নীড় : আই জাস্ট হেইট ইউ….

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here