বিন্দু থেকে বৃত্ত পর্ব ৪২

0
2190

#বিন্দু_থেকে_বৃত্ত
#পার্ট_৪২
জাওয়াদ জামী

নীরা চাইছে যত দ্রুত সম্ভব এখান থেকে বেরিয়ে যেতে। আজ যখন একেবারে একা থাকার সুযোগ এসেছে, ও সেটা হাতছাড়া করতে চায়না।
ও কখনোই চায়নি শ্বশুর বাড়িতে থাকতে, এমনকি এটাও চায়না, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ওর কাছে গিয়ে থাকুক। ও চায় ওর ফ্ল্যাটে নিজের মত করে থাকতে। নীরা বরাবরই উচ্চাভিলাষী স্বভাবের। সেই সাথে স্বাধীনচেতা। শ্বশুর বাড়িতে থাকলে, তাদের সাথে যোগাযোগ রাখলে স্বাধীনতায় বাঁধা আসতে পারে ভেবেই সে দূরে থাকতে চায়। যেখানে শুধু তার বাবা-মা, ভাই-বোনরাই আসবে।

তাওহীদ বারবার ওর মায়ের কাছে ক্ষমা চাচ্ছে। কিন্তু তাহমিনা আক্তার তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।

” যেখানে তোর বউ চাইছেনা এই বাড়িতে থাকতে, সেখানে তুই এমন নাছোড়বান্দার মত করছিস কেন? বউকে প্রশ্রয় দেয়ার সময় কিংবা অন্যায় যখন করেছিস, তখন একবারও মনে হয়নি, আমরাও একদিন মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি? আমার যা বলার বলে দিয়েছি, এরপরও যদি তুই না যাস, তবে আমাকেই এই বাড়ি ছাড়তে হবে। ”

” মা, তুমি আমাকে এভাবে বলছ, এতে তোমার কষ্ট হচ্ছেনা! আমি সব সময়ই তোমার আদরের ছেলে ছিলাম। ”

” না, আমার কোন কষ্ট হচ্ছেনা। অনেক লেখাপড়ার সুবাদে একটা প্রবাদ তোর জানা থাকার কথা। ” দুষ্টু গরুর থেকে, শূন্য গোয়াল ভালো। ” আশা করছি আর কিছু বলতে হবেনা। ”

তাহমিদ আজকে ওর মায়ের এই রূপ দেখে অবাক হয়ে গেছে। তার শান্ত, ধীর স্বভাবের মা আজ এভাবে গর্জে উঠল! যেই মা কখনোই কারও সাথে উচ্চস্বরে কথা বলেনি, আজ সেই মানুষটা এতটা রিয়্যাক্ট করল!

তাওহীদ বুঝতে পারছে, কিছুতেই মায়ের সিদ্ধান্ত বদলাবেনা। তাই স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে যায়।

তূর দাদীমাকে রেখে কোথাও যাবেনা বলে কান্নাকাটি শুরু করেছে। নাতনীর কান্না দেখে তাহমিনা আক্তারের বুক ফেটে যাচ্ছে। তিনি যতই বলুন না কেন, মায়া গোড়া থেকে উপরে ফেলবেন, কিন্তু তিনি নিজেও এটা জানেন তা কখনোই হবার নয়। এই নাতনী তার প্রান। তিনি নাতনীর থেকে দূরে থাকলেও প্রতিদিন ভিডিও কলে কথা বলেছেন, তূরের সাথে। পিচ্চিটাও কত আবদার, নালিশ জানিয়েছে দাদীমার কাছে। ভিডিও কলে থাকা অবস্থায়ই কত বায়না ধরেছে। যতই দূরে থাকুক না কেন, তূরের সব আবদার তিনি পূরণ করেছেন।

ওরা ‘ কুঞ্জছায়া ‘ র সীমানা পেরোলে, তাহমিনা আক্তার তার রুমে এসে অঝোরে কাঁদতে থাকেন।
তাহমিদ বুঝতে পারে তার মা ভেতরে যেয় কাঁদছে। কিন্তু সে মায়ের কাছে না যেয়ে ড্রয়িংরুমেই বসে থাকে।

কুহু শরবত নিয়ে তাহমিনা আক্তারের রুমের দিকে যেতেই তাহমিদ ওকে নিজের কাছে ডাকে।

” হাতে কি? ”
” শরবত। মা’র জন্য নিয়ে যাচ্ছি। ”
” কার জন্য! ” কুহুর মুখে মা শব্দ শুনে তাহমিদ ধন্দে পরে যায়।
” যেটা শুনেছেন সেটাই। আপনার মা’কেই মা বললাম। ”
” অবশেষে। যাহোক গ্লাসটা আমাকে দাও। গলা শুকিয়ে গেছে। মা’কে কিছুক্ষণ পর দিও। এখন মা একটু একা থাকুক।

সেই রাতে কারও খাওয়া হলোনা।
সকলের মন খারাপ থাকায়, সন্ধ্যার পর পরই যে যার রুমে ঢুকে যায়।

তাহমিনা আক্তারের রাত কাটল নির্ঘুম। বারবার তাওহীদের অনুনয় মাখা কথা, অসহায় চেহারা চোখের সামনে ভাসছে। তূরের কান্নার কথা মনে হলেই, বুকের ভিতর দু’ম’ড়ে’মু’চ’ড়ে যাচ্ছে।
তিনি ভেবে পাননা, মায়েরা কেন এত বেহায়া হয়?
সন্তান হাজার অপমান করার পর, হাজার অবহেলা করার পরও কেন তাদের জন্য দোয়া ছাড়া অন্য কিছুই আসেনা!

তাওহীদ নিয়মিত বাড়ির সবার কাছে ফোন করে।কিন্তু ওর নম্বর দেখলেই কেউ ফোন রিসিভ করেনা। তাহমিনা আক্তার সবাইকে নিষেধ করে দিয়েছেন, কেউ যেন ওর ফোন রিসিভ করেনা। আফরোজা নাজনীনের ইচ্ছে হওয়া স্বত্বেও তাহমিনা আক্তারের কথায় তাওহীদের ফোন রিসিভ করেননা।

দৃষ্টি মামাশ্বশুরের বাড়িতে খুব হৈ-হুল্লোড় করে কাটায়। সাতদিন সেখানে কাটিয়ে বাড়িতে ফিরে। দুইদিন পর ফুলতলা যেতে চাইলে ওর শ্বাশুড়ি বাধ সাধে। তার একটাই কথা, সাতদিন বেড়ানোর পর আবার কিসের বাপের বাড়ি যাওয়া। একমাসের আগে বাপেরবড়ি যাওয়া হবেনা।
শ্বাশুড়ির কথা শুনে দৃষ্টির মন খারাপ হয়ে যায়।
কতদিন হয়েছে বাবার বাড়িতে যায়নি। এরপর আবার মায়ের গহনা এনেছে পনেরদিন হয়ে গেছে। গহনাগুলো ফেরত দেয়ার জন্য হলেও ফুলতলা যাওয়া দরকার৷ কিন্তু শ্বাশুড়ির সাথে সাথে সবুজও বেঁকে বসেছে। একমাসের আগে সেখানে যাওয়া হবেনা।
বাধ্য হয়ে দৃষ্টি গহনাগুলো আলমিরার মাঝে গোপন সিন্দুকে রাখে। আলমিরা ভালোভাবে লক করে চাবি ড্রেসিংটেবিলের গোপন কুঠুরিতে রেখে দেয়। যেই কুঠুরির খোঁজ এ বাড়ির কেউ জানেনা।

তিনদিন পর দৃষ্টি ওর শ্বাশুড়ির সাথে পাশের গ্রামে যায়। ওর শ্বাশুড়ির খালা মারা গেছে। সেজন্যই ওরা সকাল সকাল রওনা দেয়। ওর শ্বশুরের ইউনিয়ন পরিষদে কাজ থাকায় সে যেতে পারবেনা। সবুজ ব্যবসার জন্য শহরে যাবে। তাই দৃষ্টি ওর শ্বাশুড়ির সাথে গিয়েছে।
ওদের ফিরতে রাত হয়ে যায়। বাড়ি তালাবন্ধ করে রেখে গিয়েছিল দৃষ্টির শ্বাশুড়ি। কিন্তু গেইটের সামনে এসে ওদের দম বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়। মেইন গেইটের তালা ভাঙ্গা! ওরা হন্তদন্ত হয়ে ভেতর ঢোকে। পরপর তিনটা ঘরের তালা ভাঙ্গা দেখে দৃষ্টির শরীর অবশ হয়ে আসছে। কারন তিনটা ঘরের মধ্যে তার ঘর আছে। দৃষ্টি দৌড়ে ওর রুমে ঢোকে। উদভ্রান্তের ন্যায় এদিকওদিক তাকায়। আলমিরার দিকে চোখ পরতেই ওর হার্টবিট থেমে যায়। আলমিরার লক ভাঙ্গা দেখে, এলোমেলো পায়ে সেদিকে এগোয়। দুর্বল হাতে আলমিরার দরজা খুলে যেখানে গহনা রেখেছে, প্রথমে সেখানেই হাত দেয়। সাথে সাথেই ওর বুক ফে’টে কান্না আসে। ভালো করে হাতড়াতে শুরু করে। কিন্তু গহনার জায়গা ফাঁকা! এবার দৃষ্টি হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে। আলমিরার ভেতর থেকে সমস্ত কাপড়চোপড় নামিয়ে তন্নতন্ন করে খুঁজে। কিন্তু গহনার বাক্সের টিকিটিও নজরে আসেনা।
দৃষ্টির কান্না শুনে ওর শ্বাশুড়ি দৌড়ে আসে। দৃষ্টিকে পাগলের ন্যায় করতে দেখে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করে। দৃষ্টি জানায় গহনার বাক্স কোথাও নেই।
ওর শ্বাশুড়ির টাকাও খোয়া গেছে। এমনিতেই সে নিজের টাকা হারানোর শোকে কাতর ছিল, তারউপর দৃষ্টির গহনা নেই শুনে আহাজারি করতে শুরু করে। দৃষ্টির সাথে মিলে পুরো ঘর খুঁজে কোথাও পায়না গহনার বাক্স।
দৃষ্টি কাঁদছে আর বিলাপ করছে। ওর বাবাকে না জানিয়ে মা গহনাগুলো দিয়েছে। এখন সেগুলো ফেরৎ দিতে না পারলে, ঐ বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
গহনার শোকে কাঁদতে কাঁদতে দৃষ্টি অজ্ঞান হয়ে যায়। ওর শ্বাশুড়ি এবার পড়েছে বিপদে। বাড়িতে কোন পুরুষ নেই, তারউপর এভাবে মেয়েটা অজ্ঞান হয়ে গেল। এবার কি করবে সে?

দৃষ্টি মেঝেতেই অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। ওর শ্বাশুড়ি দৃষ্টির চোখেমুখে একটু পানির ছিটা দেয়। তবুও ওর জ্ঞান ফিরেনা। অবশেষে ভদ্রমহিলা বিরক্ত হয়ে দৃষ্টিকে ঐ অবস্থায়ই ঘরে রেখে নিজের ঘরে চলে যায়। তার মোটেও ইচ্ছে নেই দৃষ্টির সেবা করার।

কতক্ষণ এভাবে পরে ছিল তা দৃষ্টির জানা নেই। চোখ খুলেই নিজেকে মেঝেয় আবিষ্কার করে সে। মাথা ভার হয়ে আছে। অনেক কষ্টে মেঝে হাতড়ে উঠে বসে। এদিকওদিক তাকিয়ে বুঝতে পারে ঘরে সে সম্পূর্ণ একা। ঠিক তখনই পুনরায় মনে হয় গহনার কথা। আবারও ডুকরে কেঁদে উঠে। কি জবাব দেবে মায়ের কাছে! কিভাবে জানাবে তাকে, যে গহনাগুলো চুরি হয়েছে! কিছুই ভাবতে পারছেনা দৃষ্টি। অনেক কষ্টে উঠে দাঁড়ায়। হাত ব্যাগ থেকে ফোন বের করে সবুজের নম্বরে ফোন করে। রিং হয়েই যাচ্ছে কিন্তু সবুজ ফোন রিসিভ করেনা। বেশ কয়েকবার ফোন দেয় দৃষ্টি। কিন্তু সবুজ একবারও রিসিভ করেনা। দৃষ্টি বাইরে এসে দাঁড়ায়। ওর শ্বাশুড়ির ঘরের দরজার দিকে তাকিয়ে দেখতে পেল দরজা ভেতর থেকে লাগান। দৃষ্টি মনমরা হয়ে ভাবতে থাকে, তারা কিভাবে পারল এই অবস্থায় ওকে একা ঘরে ফেলে রেখে ঘুমাতে! এদিকে দুপুর থেকে না খাওয়ায় শরীর বেশ দূর্বল লাগছে। ক্ষুধাও লেগেছে। খাবার ঘরে এসে দেখল টেবিলে একটা বাটিতে আলু ভর্তা আর ছোট একটা বাটিতে কয়েক মুঠো ভাত রাখা আছে। দৃষ্টি হাত ধুয়ে এসে ভাতটুকু খেয়ে নেয়।
ধীর পায়ে নিজের ঘরে আসে। খাটে বসে নানান চিন্তা করতে থাকে। কে করল এমন! এই বাড়ির মানুষজন ছাড়া কেউই জানতনা গহনাগুলো কোথায় আছে। আর চেয়ারম্যান বাড়িতে চুরি করার সাহস কার হতে পারে!
দৃষ্টির ভাবনার মাঝেই ওর ফোন বেজে ওঠে। দৃষ্টি ফোন হাতে নিয়ে দেখল সবুজের নাম। দৃষ্টি ফোন
রিসিভ করে সবুজকে সবটা জানায়। সবুজ দৃষ্টির কথা শুনে চমকে উঠে। সে জানায় আগামীকাল দুপুরের আগেই ও চলে আসবে। এরপর দৃষ্টিকে নিয়ে থানায় যাবে। সবুজ এরকম অনেক আশ্বাস দিল দৃষ্টিকে।

পরদিন সবুজ বাড়িতে এসে দৃষ্টিকে নিয়ে থানায় যায়। অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে মামলা করে। দৃষ্টি ওর মা’কে জানালে সে গহনার শোকে আহাজারি করতে থাকে। সেই সাথে তার ভয়ও হয়, তার স্বামী জানলে কি হতে পারে এই ভেবে। অনেক ভেবেচিন্তে শিউলি কায়েসকে কিছু না বলার সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমত দৃষ্টিকেও জানিয়ে দেয়।

কুহু কোচিং থেকে এসে বাসায় কাউকেই দেখলনা। সিক্তা কোচিং শেষে ওর এক বান্ধবীর সাথে শপিংয়ে গেছে। ও কুহুকেও যাওয়ার জন্য অনেক সেধেছে, কিন্তু কুহু যায়নি। ও বাসায় এসে কলিং বেল দিতেই লক্ষ্য করল দরজা খোলা রয়েছে। কোন কিছু না ভেবে ও ভেতরে ঢোকে। ওপরে এসে ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে ফুপুকে ডাকতে থাকে। কিন্তু ফুপু সাড়া দেয়না। এরপর একে একে তাহমিনা কিংবা দিদুকে ডেকেও লাভ হয়না। পরে গেইটম্যানকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে তাহমিনা আক্তার দিদুনকে নিয়ে ডক্টরের কাছে গিয়েছে। আর ফুপু গিয়েছে ছোট ফুপুর বাসায়। তাহমিদ কোথায় তা তিনি বলতে পারলেননা। কুহু অবাক হয়ে ভাবে বাসায কেউই নেই, অথচ দরজা খোলা! এতবড় ভুল ফুপু কিংবা তাহমিনা আন্টি করছে!

এত বড় বাড়িতে একা থাকতে কুহুর একটু ভয় ভয় করছে। ও ভালোভাবে দরজা লক করে, রান্নাঘরে এসে খাবার নিয়ে ডাইনিং রুমে আসে।
কালোজিরে ভর্তা দিয়ে ভাত মাখিয়ে কেবলমাত্র মুখে দিয়েছে, তখনই পেছনে কারও আওয়াজ পায়। ভয়ে কুহুর কলিজা লাফ দিয়ে বাইরে আসতে চায়। ও কাঁপছে। কে এসেছে পেছনে? মনে মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। সাহস করে উঠে দাঁড়ায়। পেছনে ফিরতেই কেউ হঠাৎই ওকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে।
” আজকে পরে যেওনা কিন্তু। আমাকে রেখেই খাচ্ছ! একটুও মায়াদয়া নেই আমার জন্য! ” নেশাতুর কন্ঠ কানে আসতেই কুহু বুঝল ব্যাক্তিটি কে।
ও সেই অবস্থায়ই হেসে উত্তর দেয়,
” আমি কি জানি আপনি বাসায় আছেন। জানলে নিশ্চয়ই আপনাকে না ডেকে খেতে বসতামনা। কিন্তু এভাবে ভূতের মত পেছনে এসে দাঁড়িয়েছেন কেন! জানেন আমি কত ভয় পেয়েছি? ”
” আমি ভূত হই আর দৈত্য-দানব হই, সব রূপেই আমি তোমার। তাই এখন থেকে অভ্যাস করে নাও। হুটহাট তোমার সামনে, পেছনে, আশেপাশে আমি ছায়ার মত যখনতখন হাজির হব। এখন আমাকে একটু খাইয়ে দাওতো। মেডিকেল থেকে এসেই ঘুমিয়েছি, তাই খাওয়া হয়নি। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে। ”
” আমি খাইয়ে দিব! মানেটা কি? ”
” কেন খাইয়ে দিলে সমস্যা কি! নেহাৎ মা-বড়মা নেই, তাই তোমাকে বলছি। তাছাড়া আমার কি দরকার ছিল তোমার হাত থেকে খাওয়ার। এই কি দিয়ে খাচ্ছ তুমি? এটা রেখে মাংস নিয়ে আস। জলদি কর। ”
তাহমিদ ঠেলে কুহুকে রান্নাঘরে পাঠিয়ে দেয়। কুহু মাংসের বাটি নিয়ে এসে দেখল তাহমিদ ওর পাশের চেয়ারে বসেছে।
কুহু বাটি রাখতেই তাহমিদ ওর হাত ধরে চেয়ারে বসিয়ে দেয়। প্লেটে আরেকটু ভাত নিয়ে, কয়েক টুকরা মাংস আর একটু ঝোল নেয়।
” এবার খাইয়ে দাও। ” বলেই হা করে তাহমিদ।
বাধ্য হয়ে কুহু কাঁপা কাঁপা হাতে তাহমিদের মুখে খাবার তুলে দেয়।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here