শুকতারা (দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ) পর্ব ১৬

0
222

#শুকতারা (দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ)
#পর্ব-১৬
#হালিমা রহমান

দিনগুলো কেটে যাচ্ছে।সময়ের পিঠে সময় গড়াচ্ছে,লোকে ফয়সাল-সূচিকে ভুলছে।আগে পাড়া-পড়শীর কানাকানি থেকে শুরু করে বাজারের চায়ের দোকান– সব জায়গায় ওরা ছিল হট টপিক।চায়ের কাপে কাপে রাজনীতির বদলে ঘরোয়া আলাপ চলতো।এ তল্লাটে মমিন শেখও পুরোনো নয় কাজী বাড়িও পুরোনো নয়।গ্রামের প্রায় সবার কাছেই এরা পরিচিত মুখ।চা-বিস্কুটের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতো বাক-বিতন্ডা,তর্ক-বিতর্ক।হাজারটা জল্পনা,কল্পনা,অনুমান– সব ঐ দুটো পরিবারকে ঘিরেই।কেউ কেউ মমিন শেখকে দোষ দেয়, কেউ আবার রোমেলা বানুর দোষ খোঁজে।একদল কুচক্রী সাহিদা বানুকে টেনে বিশ্রি কথা বলে।তাদের আঙুল তার দিকেই।নিচু মানুষদের ভাষ্যমতে,দোষটা গর্ভেরই।নয়তো এই এক মানুষের দুটো মেয়েকে নিয়েই সমস্যা কেন হবে? আবার অনেকে কাজী বাড়ির দোষ দেয়।দোষটা আসলে বাড়ির।ওটা একটা অভিশপ্ত বাড়ি।ভিটেতেই ঝামেলা আছে।কবিরাজ দিয়ে বাড়িতে তাবিজ দেওয়া দরকার।ও বাড়িটা শয়তানের আখড়া।নয়তো ওখানে কেউ কেন কখনো শান্তি পায় না? ফয়সালে দাদা কাজী এনায়েতউল্লাহ পেলেন না ছেলেদের জন্য।ফয়সালের মা-বাপ শান্তি পেলো না ফয়সালের দাদির জন্যে।আফজাল অশান্তির ভয়ে আলাদা।আর সবশেষে ফয়সালের বেলায় ষোলোকলা পূর্ণ।বউ মরলো, ছেলেটাকে কে যেন রাতের আঁধারে কুপিয়ে গেল।ওমন সুন্দর ছেলেটার গা ভর্তি ক্ষত।কপালের মাঝ বরাবর একটা দাগ পড়েছে।ডাকাতের মতো দেখায় ঠিক।আড়াআড়ি আধা আঙুল সমান দাগ।ডান থেকে বামে বাঁকানো।ভাগ্য ভালো আরেকটু নিচে যায়নি।চোখে লাগলে খবর ছিল।বাম হাতের কবজি ও পিঠেও কুপিয়েছে।ওদিকেও ব্যান্ডেজ মোড়ানো।শুকাতে সময় লাগবে।বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের মাথাটা নেই।ওমন সুন্দর একটা ছেলের গায়ে এতো ক্ষত খট করে চোখে বাজে।এ যেন চাঁদের গায়ে কলঙ্ক।এমনটাই বলে এরা।বাড়ি বয়ে অনেকে দেখতে যায় ফয়সালকে।হাসপাতাল থেকে আনার পরে মানুষের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল কাজী বাড়িতে।সবাই এসেছে ফয়সালকে দেখতে।সামনে সামনে কেউ কেউ রোমেলা বানুর আর্তনাদের সাথে গলা মিলালেও পিছনে আবার এরাই কপাল কুঁচকায়।হিসহিসিয়ে বলে, ” মাইনষের মাইয়াটারে যহন খুন করছিলো তহন কই আছিলো এই কান্দন? নাকি হের পোলাই পোলা,মাইনষের মাইয়া রিলিফের ঢেউটিন? আইতে যাইয়ে থাপড়াইব? এহ কত শখ।এহন ক্যামন লাগে?”

কাজী বাড়িতে যেমন লোকের ভীড় হয় তেমনি ভীড় হয় সূচিদের বাড়িতেও।ফয়সালের উপরে হামলা হওয়ার পরে সবাই ধরেই নিয়েছিল কাজটা মমিন শেখের।তপুসহ ফয়সালের বন্ধু-বান্ধব তেড়েমেরে গিয়েছিলো ও বাড়িতে।কিন্তু ফিরে আসতে সময় নেয় না।সৈনিকের মতো গেলেও রোবটের মতো ফিরে আসে।মূলত কাজটা যে মমিন শেখেরই, এ কথাটা বিশ্বাস তো দূরে থাক মাথাতেই আসে না।লোকে দেখতে আসে মমিন শেখককেও।বেচারা কথা বলতে পারে না।কাউকে দেখলে কেঁদে কেঁদে উ আ শব্দ করে।হাত-পা নাড়তে পারে না।এই অক্ষমতার জেরেই হয়তো যাকে-তাকে দেখলেই কাঁদে।অনেকে সান্ত্বনা দেয়,অনেকে ধর্মের কথা বলে।বলে মনে মনে খোদার কাছে ক্ষমা চাইতে।কেউ কেউ আবার আফসোস করে।একদল সামনে দরদ দেখালেও পিছনে যেয়ে নাক ছিটকায়।গলা নামিয়ে একে অন্যের সাথে বলে, ” বুঝো নাই ব্যাপারটা? বাপ-মা ভালো না হইলে যা হয় আরকি।মাইয়াগো শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারও বাপ-মায়ের উপরে বর্তায়।শিক্ষাই দেয় নাই ছোটকালে।সঠিক শিক্ষা দিলে বড়ডায় নষ্টামি করতো না আর ছোটডায়ও ঐ তিনজনের টুনটুনির সংসারে মিল্যা খাইতে পারতো।সামান্য কারণে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ করতে পারতো না।ব্যাডা মাইনষে দুইটা থাপ্পড় দিলেই কি এক্কারে মরতে যাইতে হইব?এমন মোমের শরীর হইলে মহিলারা আর সংসার করতে পারতো না।ছেড়িও কি কম অসিব্য আছিলো?মনে নাই মরনের আগে কত ঢং করলো বড় বইনের বাসায় যায়া? দেখো নাই তোমরা? বাপরে বাপ! যা মুখ আছিলো।এই মুখ লয়া আবার পরের সংসার! হুহ! এত্তো সহজ না।শ্বশুরবাড়ি তো ভাল্লাগে নাই।গেছে মরতে।ভালো হইছে।পাপ আছিলো একটা। এহন যায়া দোজখে জ্বলুক।এমন অমানুষের লগে এমনই হওয়া উচিত।”

শুরুর দিকে এই ছিল চিত্র।এখন অবশ্য কমেছে।প্রতিবেশীদের ঢলও কমেছে, চায়ের কাপের গরম খবরও এখন ঠান্ডা জল হয়ে গেছে।ফয়সালের কাটাকুটি শরীর অথবা মৃত সূচি এখন ডাল ভাতের চেয়েও পুরোনো।মানুষের মুখে মুখে খুব একটা শোনা যায় না ওদের কথা।মাঝে মাঝে আফজাল ও ফয়সালকে দেখা যায় হাট-বাজারে।গায়ে শার্ট জড়িয়ে কখনো কখনো চা খেতে যায় ফয়সাল।হাত,বুক,পিঠের ক্ষতগুলো ঢাকা থাকে তাতে।কপালের দগদগে দাগটা ঢাকার ব্যবস্থা নেই বলেই ওটা হা করে থাকে অপকর্মের প্রমাণ হিসেবে।ওদেরকে দেখলে দু-তিনজন মুরুব্বি হয়তো এগিয়ে আসে।আগ্রহ নিয়ে ফয়সালের শরীরের খবর জানতে চায়।এই এমনই চলছে।তবে বাইরের পরিস্থিতি বদলালেও বদলায়নি কাজী বাড়ির ভিতরের অবস্থা।অন্দরের কর্ত্রী দিনদিন কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে দুশ্চিন্তায়।ভিতরে সবসময় একটা ভয় কাজ করে।এই বুঝি আবার কোনো দুঃসংবাদ আসে!এই বুঝি আবার কেউ পিছন থেকে আক্রমণ করে নাড়ী ছেঁড়া ধনকে! অপরাধীকে ধরা গেলে বরং নিশ্চিন্ত হওয়া যেত।কিন্তু যেখানে শত্রুই অচেনা সেখানে চিন্তামুক্ত হওয়ার কোনো অবসর নেই।ফয়সালকে পারতপক্ষে এখন আর বাইরে যেতে দেন না।শাসনও করেন না ছেলেকে।গতবার শাসন করেই তো সর্বনাশটা হলো।ফয়সাল রাগ করে খামারে না গেলে এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটতো না।ও যেন কোলের পুতুল।রোমেলা বানু ওকে মাথায় রাখবেন নাকি কোলে করে বসে থাকবেন তাই ঠিক করতে পারেন না।ফয়সাল বাইরে যেতে চাইলে দু’হাতে মানা করেন।ফয়সাল বিরক্ত হয়।কখনো কখনো চোখ-মুখ কুঁচকে ঘরবন্দী থাকে।মা ছেলের বিরক্তি বোঝে। আচরণে কষ্ট পায়, কখনো কখনো ধা করে রাগ উঠে যায়।কিন্তু এখন আর গলাবাজি করেন না রোমেলা বানু।নিজের বকাবাজি,শাসনকে এখন নিজেই ভয় পান।কে জানে ছেলে কখন আবার রাগ করে বসে।ছেলে বাসি খেতে চায় না।তিনবেলা তাই চুলা গুতাতে হয়।প্রতিদিন তিনবার গরম গরম খাবার,সকাল-বিকাল নাস্তা।ফয়সাল এখন আর ঘরবাড়িতে ধুলা-বালি সহ্য করতে পারে না।রোজ সকাল সন্ধ্যা তাই কোমড় নুইয়ে ঝাট-ফাট দিয়ে সাফ সুতরো রাখতে হয় সব।রোমেলা বানুর বুড়ো হাড়ে এতো পরিশ্রম সয় না।মনে হয় যেন হাঁটু থেকে নিচের দিকে মাংসগুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়।এতোকিছুর পরেও কিছুই বলেন না তিনি।এর পরেও ছেলে মাঝে মাঝে রাগ দেখায়।অকারণেই চোটপাট করে।মনে হয় যেন বাড়াবাড়ি না করলে ইদানিং তার পেটের ভাত হজম হয় না।একই বাড়িতে থাকে বলে আফজালের সহ্য হয় না এসব।রাগ হয় খুব।মনে হয় যেন শাসনের অভাবে ছোট ভাই পুরোদস্তুর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।ওর ভবিষ্যতটা অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে।হাঁটুর বয়সী ভাইকে কখনো কখনো দুম দাম চড় লাগাতে ইচ্ছে করে।হাতটা নিশপিশ করে।কখনো কখনো এগিয়েও যায় দুই পা।কিন্তু পারে না মা-বৌয়ের জন্য।ফয়সালের দিকে এগিয়ে গেলে পিছন থেকে টেনে ধরে হুমায়রা।অনুনয় করে বলে, ” কার লগে লাগতে যান? আপনে জানেন না কিছু?আম্মায় কয় কিছু? ছোট ভাই পরে মুখের সামনে দাঁড়ায়া অসম্মান করব।ভাল্লাগব তহন?”

সেদিন আফজালের সামনে মায়ের সাথে খুব বাড়াবাড়ি করেছে ফয়সাল।রোমেলা বানুর দোষ বিশেষ ছিল না।মায়ের মন বলে কথা।রাত নয়টার পরে ফয়সাল বাইরে যেতে চেয়েছিল বলে তিনি স্রেফ মানা করেছিলেন।আগের মতো শাসন নয়,এখন নিষেধ করার পদ্ধতিটাও ভিন্ন।প্রথমে ছেলের হাত ধরে কাতর গলায় নিষেধ করেন।এরপরেও না শুনলে গুনগুন করে সামান্য কাঁদাকাটা চলে।সেদিনও এমনই হয়েছিল।নিষেধের বিপরীতে ফয়সালের প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই বিশ্রি।মায়ের কথা তো শুনলোই না বরং টেবিলের উপর থেকে পানি ভর্তি জগটা মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে গটগটিয়ে হেঁটে চলে গেল বাইরে।আফজালের যা রাগ হয়েছিল সেদিন! এ বাড়ির ছেলেরা বংশের আর কিছু না পেলেও পেয়েছে দাদার উগ্র মেজাজ।কপালের দু’পাশের রগগুলো ফুলে একাকার।শার্টের হাতা গুটিয়ে সেও চলেছিলো বাইরে।উদ্দেশ্য দানবীয় শক্তিতে ভাইয়ের ঘাড় চেপে ধরে তিন-চারটে ঘুষি বসিয়ে দেবে মুখের উপরে।এরপরে যা থাকে কপালে।কিন্তু এখানেও বাধা।মা পথ আগলে দাঁড়ালো।বড় ছেলেকে থামিয়ে গলা শক্ত করে প্রশ্ন করেন রোমেলা বানু, ” কই যাও তুমি?”

” রাস্তা ছাড়ো আম্মা।”

” আগে কও কই যাও?”

” কই যাই তা জানো না তুমি? ওর হাতের হাড়গুলো যদি আমি না ভাঙি তো আমার নাম আফজাল না।খুব সাহস হয়েছে না? একদম জবাই দিয়ে তারপর দম নেব।”– সহসা চেঁচিয়ে উঠে আফজাল।

” তোমার এতো সমস্যা হয় ক্যান? যা করছে আমার লগে করছে।তোমার তো সমস্যা হওয়ার কথা না।যাও ঘরে যাও।দেশে আইছো দুই দিনের লেগা। হাসিখুশি বেড়ায়া যাও।মাতাব্বরি করবা না।খবরদার কইলাম।আরেকজনরে বেয়াদবির শাস্তি দিবা ক্যান? তুমিও তো কম বেদ্দপ না।আগের কথা তুমি ভুললেও আমি ভুলি নাই।যাও, যাও ঘরে যাও।”

” হু,আমার বেলায়ই তোমার যত শাসন।কী বেয়াদবি করেছি আমি? তুমি আমার সাথে যা করেছো তার কতটুকু আমি তোমার সাথে করেছি? তুমি সেই আগের মতোই।এক চোখে তেল আর এক চোখে লবন মাপ।এই আদর আদর না আম্মা।কলিজার টুকরা ছেলে যেদিন গলায় ছুঁড়ি ধরবে সেদিন কেঁদে দিক পাবে না।আজকে আমায় শাসন না করে অমানুষটাকে করো।বউকে মেরে ওর সাহস বেড়েছে।রশি আগে বেশি টেনে ধরেছিলে আর এখন এক্কেবারে ছেড়েই দিয়েছি!দোয়া করো যেন আল্লাহ আমাকে একটা সুস্থ বাচ্চা দেয়।তারপর তোমাকে দেখায়ে দেব পোলাপান মানুষ কীভাবে করতে হয়।যত্তসব।”

চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করে নিজের ছোট্ট টিনের ঘরে ঢুকে যায় আফজাল।পিছনে ফেলে যায় ভেঙে পড়া মাকে।ঝুরঝুরে বালির মতো ভেঙে পড়া রোমেলা বানুর চোখ বেয়ে নামা বর্ষার জল সৃষ্টিকর্তা ব্যাতীত কেউ দেখে না।বিছানায় আছড়ে পড়ে ফুঁপিয়ে কাঁদেন তিনি।কান্নার কারণটা ঠিক বোঝা যায় না।রাগ, শোক নাকি দুঃখে কাঁদেন তা স্পষ্ট না।বুকের মাঝখানটায় কামড়ে ধরা যন্ত্রণা।পানিতে টইটম্বুর চোখ জোড়াও জ্বলে ধিকধিক করে। প্রবল আধিপত্যে আসক্ত রোমেলা বানুর রাগও হয় দুঃখের মাঝে।কিন্তু ছেলের জন্যে হয়তো স্নেহের ভাগটাই বেশি। তাই শত গোয়ার্তমি সহ্য করেও কিছু বলেন না।রাগ তো দেখিয়েছেন অনেক।ফলাফল কতটা ভালো হয়েছে? ফয়সাল এখন হাতছাড়া,একে শত চেষ্টায়ও হাতের মুঠোতে আনা যাবে না এ একেবারে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।রশি বেশি টানলে হয়তো আরো ক্ষতি হবে।মাঝ থেকে হুট করে ছিঁড়ে যাবে।তাই তো মাথা ভাঙা ফয়সালকেও আজকাল সহ্য করেন রোমেলা বানু।শত হলেও নাড়ী ছেঁড়া ধন।অন্তত সব সইলেও ওর গায়ের ক্ষত সহ্য হবে না মায়ের মনে।চরম কর্তৃত্ববাদী মনটা হুটহাট ফোসফাস করলেও রা কাড়েন না রোমেলা বানু।রাগ,জেদ,ক্ষোভ মাটি চাপা দিয়ে ধরণীর মতো সব সহ্য করেন।পেটের ছেলে তো,তাই নিত্যদিন পাগলাটাকে খুব সহ্য হয়।

রোমেলা বানুর চেহারার দিকে তাকানো যায় না খুব একটা।খেতে পারেন না আগের মতো।সবসময় দুশ্চিন্তায় ভোগেন।ছেলের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য টেনশন করতে করতে দিন-রাত কোথা দিয়ে আসে-যায় তাই বোঝেন না।রাতে ঘুম হয় না।অনভ্যাসের পরিশ্রমে শরীর ভেঙে গেছে।চোয়াল ভাঙা মুখের মাঝে চোখ দুটো ঢুকে গেছে গর্তে।চোখের নিচে এক আঙুল কালি।দিনে-রাতে খোদার নাম জপতে জপতে নাক-চোখের পানি এক হয়ে যায়।সূচিকে খুব মনে পড়ে এখন।হতভাগী অমানুষটা ভূমির উঠোনে দাঁড়িয়ে প্রবল আক্রোশে অভিশাপ দিয়েছিল সেদিন।বলেছিল এমন একদিন আসবে যেদিন রোমেলা বানুর কথা কেউ শুনবে না।এক আঙুল মেয়ের কথাই ফললো নাকি?
নিজের দুর্ভাগ্য ঠিক গায়ে সয় না।মনে হয় যেন দুর্ভাগ্য নয় সয়ং সূচিই হাসছে দাঁত কেলিয়ে।উপহাস করছে তাকে।ওর হাসির ঝংকারে কেঁপে উঠছেন তিনি।থরথর, থরথর।
একটি সূচির অন্তর্ধান,বদলে দিয়েছে অনেক কিছু।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here