#রঙ_বেরঙের_জীবন
পর্ব (৭)
#নুশরাত_জাহান_মিষ্টি
রাত্রী বাড়ির উঠানে দাঁড়াতেই চমকে উঠলো, তার সামনে ভেঁজা কাপড়ে শান্ত নামের ছেলেটি দাঁড়িয়ে। শান্তর সাথে পলাশ ভাইয়াও দাঁড়ানো। পলাশ ভাইয়া শান্তকে ভেঁজা কাপড়ে দেখে জিজ্ঞেস করলো,” কি রে তোর এ দশা হলো কিভাবে”?
শান্ত বেশ বিরক্তি নিয়ে বললো,” আগে জামা-কাপড় বদলাতে দে তারপর বলছি কিভাবে হলো এসব”?
একটু থেমে পুনরায় বললো,” আমাকে ফেলে আসার সময় তোদের একটুও খারাপ লাগলো না”।
পলাশ ভাইয়ার পিছন থেকে এক আপু বেরিয়ে এলো এবং বললো,” আমি আরিফ হাসান শান্ত একাই যেতে পারবো, এই কথাটি কে বলেছিলো”?
শান্ত কিছু বলার জন্য মুখ খুলবে তখনি রাত্রী এসে সামনে দাঁড়ালো। রাত্রীকে দেখে ভুত দেখার মতো চমকে উঠলো শান্ত। কোন রকমের বললো,” আ আপনি”?
রাত্রী স্বাভাবিকভাবে বললো,” আমার বাড়িতে আমিই তো থাকবো”।
শান্ত পুনরায় কিছু বলতে নিলে পলাশ বাঁধা দিয়ে বললো,” তুই ওরে চেনো কিভাবে”?
শান্ত রাত্রীর দিকে তাকিয়ে বললো,” এই অদ্ভুত মেয়েটার সাথে আমার সাঁকোর সামনে দেখা হয়েছিলো। সাঁকো পার হতে সাহায্য চাওয়ায় এ সাঁতার কেটে পার হতে বললো”।
পলাশ ভাইয়া এবং সাথী(মেয়েটি) হেঁসে দিলো। পলাশ ভাইয়া হাঁসি থামিয়ে বললো,” তুই সাঁকো পার হতে না পেরে সাঁতার কেটে এসেছিস”?
বিরক্তি নিয়ে শান্ত বললো,” হ্যাঁ”।
ঘরের মধ্যে থেকে এতক্ষন সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন রহিমা বেগম। ভিতর থেকে বাহিরে এসে এবার তিনি বললেন,” ভেজা কাপড়ে পোলাডা কতক্ষন দাঁড়াইয়া থাকবো। পলাশ ওরে কলতলা নিয়া যায়। তারপর বাকি কতা হইবো”।
রহিমা বেগমকে সমার্থন করে পলাশ শান্তকে নিয়ে কলতলা গেলো। শান্ত যাওয়ার সময় রাত্রীর পোশাকের দিকে দৃষ্টি দিলো। শাড়ীর বদলে সেলোয়ার-কামিজ পড়া। শান্ত বুঝতে পারলো পোশাক বদলানোর জন্যই তার থেকে দেড়িতে বাসায় আসলো রাত্রী।
শান্ত এবং পলাশ চলে যেতেই সাথী রাত্রীর সাথে ভাব জমালো। কথায় কথায় জানতে পারলো পলাশের বন্ধু তারা। পিংকির বিয়েতে এসেছে তারা। পিংকির পরিক্ষা সবে শেষ হলো, বিয়ের বেশি বাকি নেই তবুও একটু তাড়াতাড়ি এলো গ্রামে প্রকৃতি ঘুরে ঘুরে দেখার জন্য।
প্রেমে পড়লে নাকি মানুষ সব ভুলে যায়, রাত্রী ক্ষেত্রেও তাই হলো না। পিংকির পরিক্ষা শেষে তার যে বিয়ে তা রাত্রীর মাথায় ছিলো না।
বেশ কিছুক্ষনের মধ্যেই সাথীর সাথে ভাব জমে উঠলো রাত্রীর। ঘরে বসে তারা গল্প করছিলো। গল্পের ফাঁকে সাথী পিংকিকে উদ্দেশ্য করে বললো,” তুমি এত চুপচাপ কেন? আসো আমাদের সাথে গল্প করো”?
পিংকি মুখে হাঁসি ফোটানোর চেষ্টা করে বললো,” আপনারা গল্প করেন, আমি শুনতেছি”।
সাথী মজার ছলে বললো,” শুধু শুনলে হবে, তুমি বিয়ের কনে বলে কথা চুপচাপ থাকলে চলবে নাকি”।
পিংকি জবাব দিলো না চুপ করে রইলো। পিংকিকে চুপ দেখে রাত্রী বললো,” আপা চুপ করে গেলি কেন”?
” না এমনি”।
সাথী এবার উপদেশের সুরে বললো,” জীবন একটাই, তাই খারাপ সময়টা ভুলে ভালো সময়টাকে স্মরণ করে কাটিয়ে দেও”।
রাত্রী বেশ চমকালো সাথে পিংকিও চমকালো। আচ্ছা সাথী এভাবে বললো কেন! সাথী কি পিংকির ব্যাপারে জানে! পরিবেশ থমথমে হয়ে গেছে বুঝতে পেরে সাথী বললো,” বইয়ের ভাষা থেকে একটি উক্তি বললাম, তোমরা উল্টাপাল্টা ভেবো না”।
পিংকি হাঁসি মুখে বললো,” না আমরা কিছুই ভাবি নাই”।
রাত্রী পিংকির কথায় তাল মিলিয়ে বললো,” তাছাড়া আপনি ঠিকই বলেছেন, জীবন একটা। খারাপ সময়টারে ভুলে গিয়ে ভালো সময়টারে স্মরন করা উচিত। তবেই জীবন রঙীন, মেলা রঙীন”।
কথাটি বলার সময় রুপমের কথা স্মরন হলো রাত্রীর। রুপম না থাকলে সে এত সহজে বলতে পারতো জীবন রঙীন। কখনোই না!
শান্তর কথা শুনে সবাই দরজার দিকে দৃষ্টি দিলো। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে শান্ত বললো,”আপনাদের রঙীন জীবনে আমার প্রবেশ হবে”।
একটু থেমে বললো,” না মানে ভিতরে আসবো”।
পিংকি তৎক্ষনাৎ জবাব দিলো,” হ আসেন”।
অনুমতি পেয়ে শান্ত ভিতরে ডুকে গেলো। সাথী দরজার দিকে দৃষ্টি রেখেই বললো,” পলাশ কই”?
শান্ত মজার ছলে বললো,” শালা আমারে ফেলে চলে আসছে তাই শাস্তিস্বরূপ আমার জামা-কাপড় ধু’তে দিয়ে আসলাম”।
পিংকি এবং রাত্রী বিষ্ময়কর দৃষ্টিতে শান্তর দিকে তাকালো। সাথী ওদের দৃষ্টির মানে বুঝতে পেরে বললো,” অবাক হয়ো না ওরা এমনি”।
মজার ছলে সাথী পুনরায় বলে উঠলো,” শান্ত তুই পলাশরে শালা বলছিস কেন? ওর কোন বোনরে তোর বউ করার ইচ্ছে”?
কথাটি শুনে রাত্রী বেশ চমকে উঠলো। পিংকি স্বাভাবিক মজা ভেবেই নিলো। কিন্তু রাত্রী স্বাভাবিকভাবে নিতে পারলো না! অন্যদিকে সাথী পুনরায় বললো,” পিংকির তো বিয়ে ঠিক তাই ওরে নিয়া কিছু ভেবে এখন বিশেষ কোন লাভ হবে না। তুই চাইলে রাত্রীর কথা পলাশরে বলতে পারিস তবে যদি তোর শালা ডাকা স্বার্থক হয়”।
রাত্রী পূর্বের থেকে দ্বিগুন চমকালো। শান্ত মুচকি হেঁসে বললো,” দেখা যাক। ডাকটা শুধু ডাক হয়ে রয় নাকি স্বার্থক হয়”।
সবাই কথাগুলো মজা হিসাবে নিলেও রাত্রী নিতে পারলো না। তার বেশ অস্বস্তি হচ্ছে। তার জীবনে রুপম আছে তাই মজা হিসাবেও কথাগুলো নিতে পারছে না রাত্রী! অন্যদিকে সাথী পিংকির সাথে কিছু নিয়ে আলোচনা করছিলো। পিংকি এবং সাথী তাদের কথায় মগ্ন হয়ে পড়লো। রাত্রী তাদের কথা কান দিচ্ছে না রুপমের কথা ভেবে! আর শান্ত রাত্রীর মুখশ্রীতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাতেই মগ্ন রইলো। হঠাৎ রাত্রীর কানের খুব কাছে গিয়ে শান্ত বললো,” শাড়ী সেলোয়ার-কামিজ এ বদলে গেলো কিভাবে”?
কথাটি শুনে হচচকিয়ে উঠলো রাত্রী। শান্তকে এত কাছে দেখে লাফ দিয়ে দু’হাত পিছনে সরে গেলো। তা দেখে শান্ত মুচকি হাঁসলো।
পরেরদিন সবাই ঘুরতে যাওয়ার জন্য তৈরি হলো। একমাত্র রাত্রী হলো না! রাত্রীর যাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই কারন তাকে রুপমের সাথে দেখা করতে হবে, দ্বিতীয়ত পলাশও চায় না রাত্রী তাদের সাথে যাক। রাত্রী যাবে না ভেবে শান্তর কিছুটা মন খারাপ হয়ে গেলো। তবুও কিছু না বলে পলাশ, সাথী ও পিংকির সাথে গ্রামটি ঘুরতে বের হলো। পলাশ সাথী এবং শান্তকে গ্রামের নানা স্থানের সাথে পরিচিত করাচ্ছিলো। শান্ত কেন জানি না ভালো লাগছিলো না। তাই সে পলাশকে বললো,” তুই ওদের সাথে নিয়ে ঘোর। আসলে আমি একটু একা ঘুরতে চাই”।
পলাশ স্বাভাবিকভাবে বললো,” কোন সমস্যা নেই, তুই যা”।
পলাশের অনুমতি পেয়ে শান্ত উল্টোদিকে হাঁটা ধরলো। অন্যদিকে পিংকির ভালো লাগছে না, বাসায় যাবে বলে সেও চলে গেলো। পরে রইলো পলাশ এবং সাথী। পলাশ সাথীর উদ্দেশ্য বললো,” আচ্ছা চল তোরেই ঘুরিয়ে দেখাই গ্রামটি”।
সাথী মুচকি হেঁসে বললো,” হুম চল”।
পলাশ এবং সাথী পাশাপাশি হাঁটা শুরু করলো। দু’জন মানব, মানবী হেঁটে চলেছে আঁকাবাকা পথ। একজনের মনে সুপ্ত অনুভূতি অন্যজনের কাছে শুধুই বন্ধুত্ব। কখনো কি পলাশ উপলব্ধি করবে সাথীর মনের এই সুপ্ত অনুভূতি!
শান্ত হাঁটতে হাঁটতে সাঁকোর কাছাকাছি এসে পড়লো। সাঁকো কাছে আসতেই রাত্রীর সাথে দেখা। শান্তর বেশ খুশি হলো কিন্তু রাত্রী হলো না। কারন সে রুপমের সাথে দেখা করতে যাচ্ছে সেখানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো শান্ত। শান্ত বেশ খুশিমনে জিজ্ঞেস করলো,” কোথায় যাচ্ছেন”?
রাত্রী বিরক্ত হয়ে বললো,” যেখানেই যাই তাতে আপনার কি”?
” না মানে এমনি জিজ্ঞেস করছিলাম”।
” আমার তাড়া আছে আমি আসছি”।
” এত তাড়া নিয়ে কোথায় যাচ্ছো”?
পুনরায় বললো, ” দুঃখিত আমি বেশিক্ষন কাউকে আপনি বলতে পারি না”।
” ঠিক আছে”।
কথাটি বলে রাত্রী সাঁকো পার হতে যাচ্ছিলো তখনি শান্ত বলে উঠলো,” কোথায় যাচ্ছো বললে না তো”?
” সাঁকোর ওপারে যাচ্ছি”।
” ঘুরতে”?
” হ্যাঁ তেমনি”।
” আমারে নিবে”?
রাত্রী মুচকি হেঁসে বললো,” আসতে পারলে আসুন”।
কথাটি বলে খুব দ্রুত রাত্রী সাঁকো পার হয়ে গেলো। শান্ত মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো, শান্ত খুব ভালো করে জানে সে সাঁকো পার হতে পারবে না। তাই তার যাওয়ার কোন উপায় নেই! শান্ত মনেমনে ধীর প্রতিজ্ঞা করলো, যে করেই হোক তাকে সাঁকো পার হওয়া শিখতে হবে। যাতে পরবর্তীতে এমন বিপদে না পড়ে।
রাত্রী রুপমের পাশে আস্তে গিয়ে বসলো। রুপম মুখে হাঁসি ফুটিয়ে জিজ্ঞেস করলো,” এহন কেমন আছো”?
” খুব ভালো, তুমি”?
” আমার ভালা থাকা একজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, যার ভালোবাসায় আমি আবদ্ধ”।
রাত্রী মন খারাপ নিয়ে বললো,” সে একজন তো কিছুদিন দেখা করতে পারবো না”?
রুপম জিজ্ঞাস্য দৃষ্টিতে রাত্রীর দিকে তাকালো। রাত্রী আস্তে করে বললো,” আপা বিয়া দু’দিন পর। শহর থেকে অতিথি এসেছে আম্মা বাসা থেকে বের হতে বারণ করে দিছে”।
” অতিথি আইছে তো কি হইছে? বাসা থেইকা বের হওয়া যাইবো না ক্যান”?
” জানি না। আজকে আসার সময় আম্মা কঠিনভাবে বলে দিলো কিছুদিন বাসায় থাকবি, তোর সাহস দিনদিন বেড়ে চলেছে তাতে আমার কিছু বলার নাই। বাসা থেকে বের হতে বারন করাটা আমার আদেশ নয় অনুরোধ”।
রুপম বেশ স্বাভাবিকভাবে বললো,” অনুরোধ বলায় তুমি আইবা না তাই তো”?
” হ্যাঁ। তুমি রাগ করো না রুপ আমি আসলে…..”।
রাত্রীকে থামিয়ে দিয়ে রুপম বললো,” বিরহ দহনে না পুড়লে ভালোবাসাটা কত মজবুত বুঝবা কেমনে”?
” মানে”?
রুপম ভুবন ভোলানো হাঁসি দিয়ে বললো,” কিছুদিন না দেইখাই থাকি। আমার ভালোবাসায় কোন খাদ নাই তাই ভয় পাইয়ো না, কিছুদিন ক্যান সারাজনক না দেখলেও ভালোবাসাটা হারাবে না”।
রাত্রী এবার আর চমকালো না। সে জানে তার মনের মধ্যে কখন কি চলে তা রুপম বুঝতে পারে! রুপমকে হারানোর ভয় যে তার মাঝে বাসা বাঁধছে তা সে বুঝতে পারলো। রাত্রী বেশ ভয়ে ভয়ে বললো,” রুম আমাদের বাড়িতে শান্ত নামে একজন ছেলে আসছে”।
রুপম না বোঝার ভান ধরে বললো,” তো”?
” তো মানে তার সাথে আমি কথা বলবো, সে আমার সাথে কথা বলবে। এক বাড়িতে যখন থাকবো তখন কথা তো হবেই। তোমার খারাপ লাগবো কিনা সেটা জানতে চাচ্ছিলাম”?
শেষ লাইনটি একটু ভয়ে ভয়ে বললো। রাত্রীকে অবাক করে দিয়ে রুপম অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। রাত্রী রুপমের হাঁসি দেখে রেগে গেলো, রেগে গিয়ে বললো,” তুমি হাঁসছো রুম”?
” হ হাঁসছি। আমার ভয় নাই। আমি জানি আমার রাত আমারে ভুইলা অন্যকারো হইতে পারে না, কখনোই না”!
রাত্রী মুচকি হাঁসলো। রুপমের রাত্রী প্রতি থাকা বিশ্বাসটা দেখে রাত্রীর খুব ভালো লাগলো। রাত্রী মজার ছলে বললো,” রাতের কাউকে ভালো নাই লাগতে পারে কিন্তু কারো যদি রাতকে ভালো লাগে”?
রুপম হাঁসি মুখেই বললো,” পরীরে চোখের সামনে দাঁড়াইয়া থাকলে মানুষতো তার প্রেমে পড়বোই, তাই বলে পরী কি সবার কাছে ধরা দিবো? নাকি পরীরে ভালোবাসা মানুষগুলার মন থেইকা পরী তার নাম মুইছা দিবো”?
রাত্রী রুপমের মুখশ্রীতে মায়াভরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। রুপমের মতো করে ভাবতে ক’জন পারে! পলকহীনভাবে রাত্রীকে তাকিয়ে থাকতে দেখে রুপম বললো,”একটা নিষিদ্ধ কাজ করবো রাত”?
রাত্রী জিজ্ঞাসা দৃষ্টিতে রুপমের দিকে তাকালো, রুপম রাত্রীকে চমকে দিয়ে তার কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিলো। রাত্রী চোখ বন্ধ করে ফেললো। মূহুর্তের মাঝে কি হয়ে গেলো রাত্রীর বোধগম্য হলো না! যখন হলো তখন লজ্জা পেলো। লজ্জায় মুখ তুলে তাকাতে পারছে না রুপমের সামনে। রুপম লজ্জামিশ্রিত রাত্রীর মুখ দেখে বললো,” এভাবে লজ্জা পাইয়ো না রাত। তুমি এভাবে লজ্জা পাইলে আমি বারবার নিষিদ্ধ কাজটা কইরা ফেলবো”।
রাত্রী উল্টো ঘুরে দৌড় দিলো। রাত্রীকে চলে যেতে দেখে রুপম বললো,” তমার কাছে চিঠি পাঠাবো, উত্তর দিও”?
রাত্রী পিছন ঘুরে একবার তাকালো। তারপর পুনরায় উল্টো ঘুরে ছুটে পালালো। রাত্রীর যাওয়ার পানে তাকিয়ে রুপম মুচকি হাঁসলো।( লেখা অগোছালো তার জন্য দুঃখিত)
চলবে,