#রঙ_বেরঙের_জীবন
পর্ব (৫)
#নুশরাত_জাহান_মিষ্টি
রুপমের সাথে রাত্রীর সম্পর্কটা ধীরে ধীরে বেশ ভালো হচ্ছে।
স্কুলে শেষে রাত্রী রুপমের সাথে দেখা করলো। রুপমের মুখে চিরচেনা সেই হাঁসিটা দেখতে না পেয়ে রাত্রী বেশ হতভম্ব হয়ে গেলো। রাত্রীর দেখা মেলতেই রুপম কাতরসুরে বললো,” ক্ষমা করবা রাত, আমারে এহনি যাইতে হইবো। আজ মেলা সময় গল্প করতে পারবো না”।
রাত্রী রুপমের হাঁসিহীন মুখের কারনটা বুঝতে পারলো। রাত্রী স্বাভাবিকভাবে বললো,” সমস্যা নাই”।
” তুমি কষ্ট পাইয়ো না রাত। আমার একখান জরুরি কাম পইরা গেছে নয়তো আমি যাইতাম না”।
” এতবার করে বলা লাগবো না রুপ। আমি জানি জরুরি কাজ নাহলে তুমি এমনভাবে বলতে না”।
রুপমের মুখে হাঁসি ফুটে উঠলো। রাত্রী যে তাকে বুঝতে পেরেছে এটাই অনেক৷ রুপম পুনরায় বললো,” কাল বিকালে নদীর পাড়ে দেহা কইরো। ততক্ষন নিজের খেয়াল রাইখো আর আমার অপেক্ষা কইরো”।
রাত্রী হাঁসি মুখে বললো,” আচ্ছা”।
রুপম যেতে যেতে পুনরায় বললো,” দেখা হইবো কাল বিকালে। সময় নিয়া আইসো রাত”।
” আচ্ছা তুমি সাবধানে যাবে”।
এবার রুপমের মুখে সেই ভুবন ভোলানো হাঁসিটা ফুটে উঠলো। রাত্রীর কাছে এসে একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে উল্টো পথে চলে গেলো। রাত্রী হাতের কাগজটির দিকে দৃষ্টি দিয়ে কিছুটা সময় হতভম্ব হয়ে গেলো। পরক্ষনেই মনে হলো কাগজটি খুলে দেখা উচিত৷ কাগজটি খুলে দেখতে পেলো ভিতরে দু’লাইনের একটি বাক্য লেখা,
” কাল বিকাল অব্দি যতবার আমারে মনে পড়বো
ততবার এহানে রুপ লিইখা রাইখো”।
রাত্রী লেখাটি পড়ে মুচকি হেঁসে রুপমের যাওয়ার পথে দৃষ্টি দিলো। রুপম বেশ অনেকটা পথ সামনে এগিয়ে গেছে। রাত্রী চেঁচিয়ে বললো,” লিখে রাখবো”।
রুপম কথাটি শুনেছে কিনা বোঝা গেলো না। রুপম শুনতে পেলো তো পিছন ঘুরে তাকাতো কিন্তু তাকায়নি। তারমানে রুপম শুনতে পায়নি। রুপম শুনতে পায়নি ভেবে রাত্রীর মনটা বিষন্ন হয়ে গেলো। বিষন্ন মন নিয়েই বাসায় গেলো৷
_________
সারারাত রুপের কথা মনে পড়লো রাত্রীর। স্কুলে যাওয়ার পথেও রুপকে বেশ কয়েকবার মনে করলো রাত্রী। সাঁকো পার হওয়ার পর বেশি করে মনে পড়লো। প্রতিদিন এখানটায় রুপম দাঁড়িয়ে থাকে। আজ নেই। স্কুল শেষ হতেই নদীর পারে এসে বসলো রাত্রী। বাসায় যাওয়ার তাড়া নেই, নেই চিন্তা। বাসায় না ফিরলে কি কি হবে তা ভাবার মতো সময়ও নেই রাত্রীর! কারন সে তো এখন রুপমের কথা ভাবতে ব্যস্ত!
অনেকটা সময় পার হয়ে গেলো কিন্তু রুপমের দেখা মিললো না। বিকেলের সূর্য ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ার তোড়জোর করে জানান দিচ্ছে, সন্ধ্যা হতে চললো। সন্ধ্যা হতে চললো তবুও রাত্রী সেখানে বসে রইলো। কিছু মূহুর্ত পর রুপম এসে বসলো তার পাশে। বসে বসে হাঁপাচ্ছে। রুপকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ছুটে এসেছে এখানে। রুপম দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাত্রী। রুপম একটু স্বাভাবিক হয়ে বললো,” এতক্ষন রইলা ক্যান? চইলা যাইলেই তো পারতা”।
রাত্রী বেশ শান্তভাবে বললো,” কাউকে কথা দিয়েছিলাম তার অপেক্ষা করবো”।
” যদি আজ আমি না আইতাম তহন”?
” উহু। জানতাম তুমি আসবে”।
” কিভাবে জানতা”?
” আমার রুপ কখনো কথার খেলাপ করে না। সে যখন বলেছে সে আসবো তখন আসবেই”।
‘আমার রুপ’ কথাটি দু’বার রুপ বিড়বিড় করলো। তারমানে রাত্রীও তাকে নিজের ভাবে। সে রাত্রীর কাছের মানুষ হতে পেরেছে এই খুশি সে কোথায় রাখবে! তবে এখন খুশি হওয়ার সময় নয়। রুপম আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো,” সন্ধ্যা হইতে চললো, বাসায় যাও রাত। সব কথা কাল হবে”।
রুপমের অনুমতি পেয়ে রাত্রী বসা থেকে দাঁড়ালো। রাত্রী যাওয়ার পথে এগোতে রুপম বললো,” এইডা নিয়া যাও”।
রাত্রীর হাতে একটি প্যাকেট ধরিয়ে দিলো রুপম। প্যাকেটের দিকে দৃষ্টি রেখে রাত্রী বললো,” এতে কি আছে”?
” বাসায় গিয়ে দেইখো”।
সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে ভেবে রাত্রী কথা বাড়ালো না। বললো,” আচ্ছা আসি”।
” হুম”।
রাত্রী চলে বাসার দিকে এগিয়ে গেলো। বেশ কিছুদূর যেতেই রুপম চিৎকার করে বললো,” কাল হিসাব নিয়া আইয়ো, আমি দেখবো কতবার তুমি আমারে মনে করছো”?
রাত্রী রুপমের কথা শুনতে পেলো। তারমানে কাল রুপমও তার কথা শুনতে পেয়েছিলো শুধু উত্তর দেয়নি। রাত্রীও উত্তর না দিয়ে বাসায় চলে আসলো।
বাসায় আসতেই রহিমা বেগম রাত্রীর গালে থাপ্পড় মেরে দিলেন। থাপ্পড় খেয়ে রাত্রী টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যেতেই রফিক সাহেব ধরলেন। রফিক সাহেব রাত্রীকে তার দিকে ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,” স্কুল শেষে কই গেছিলি, সারা গ্রাম খুইজাও তোরে পাইনি”?
রহিমা বেগম বেশ রেগে বললেন,” দেহো কোন আকাম-কুকাম করতে গেছিলো, গ্রামে আমাগো সম্মান তো খুইয়াইছেই এহন আরো খুয়াতে চাচ্ছে”।
পরক্ষনেই রাত্রীর সামনে এসে রহিমা বেগম বললেন,” ক এতক্ষন কোন পোলার লগে আছিলি”?
রাত্রী বেশ সাহস নিয়ে বললো,”যেদিন আম্মা হওয়ার দায়িত্ব পালণ করবা সেদিন জিজ্ঞেস কইরো উত্তর দিয়ে দিবো”।
কথাটি বলে রাত্রী ভিতরে চলে গেলো। রফিক সাহেব মেয়ের চলে যাওয়ার দিকে দৃষ্টি দিয়ে মুচকি হাঁসলেন। তিনি জানেন রাত্রী কোন খারাপ কাজ করবে না। যদি পিরিতির হাওয়ায় ভাসেও তবুও তাদের সম্মান নষ্ট করবো না। আর তাদের সম্মান নষ্ট না করলে তিনিও তার মেয়ের ভালোবাসাকে মেনে নিবেন।
রহিমা বেগম রাত্রীর কথা শুনে বেশ অবাক হলেন। রাত্রী তাকে আম্মা হওয়ার দায়িত্ব পালণ করতে বললো। রহিমা বেগম বেশ কঠিন গলায় রফিক সাহেবকে বললেন,” ছোড বেলা হইতে যে এত বড় করলাম, সেগুলা কি দায়িত্ব না? আইজ আমারে দায়িত্ব শিখাইতে আইছে তোমার মাইয়ায়”?
রফিক সাহেব বেশ শান্তভাবে বললেন,” আমার দোষে ওরে শাস্তি না দিয়া একটু ভালোবাসা দিলে খুব কি ক্ষতি হবে”?
রহিমা বেগম দু’চোখ বন্ধ করে ফেললেন। হঠাৎ দ্রুত বেগে নিজের রুমে চলে গেলেন। রুমে ডুকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। দরজা বন্ধ করে সেখানেই বসে পড়লেন। বুকের বা পাশটায় হাত দিলেন পুরনো ক্ষতটা পুনরায় জেগে উঠলো। রহিমা বেগম নিজের মনকে বুঝিয়ে বললেন,”দুঃখ বেলায় ভেসে তুই তারে অবহেলা করোস যে জানেই না তার ভুলডা কি? তুই তো অপরাধ করা মানুষডারে শাস্তি দিবার পারিস না তয় ওরে ক্যান দ্যাস? এতে তোর শান্তি হয়, সত্যি কি হয়”?
দরজার এপারে দাঁড়িয়ে রফিক সাহেব কেঁদে দিলেন। তার একটা ভুল মানুষটার সামনে তারে সারাজীবনের জন্য অপরাধী বানিয়ে ফেললো।
দু’জন মানুষ দরজার এপার ওপারে দাঁড়িয়ে নিজেদের কষ্টের কথা স্মরণ করে চলেছে। সম্পর্কে তারা স্বামী-স্ত্রী। অথচ তাদের মাঝে স্বামী স্ত্রীর বন্ধনটা অব্দি নেই। দু’জন দুজনার কাছাকাছি থেকেও তারা বহুদূরে আছে। এ দূরত্ব কমার না।
রাত্রী রুমে ডুকে দেখলো পিংকি বই পড়ছে। সামনে পরিক্ষা তাই পড়ালেখার প্রতি বেশ মনোযোগী হয়ে উঠেছে পিংকি। অতীতের বিষন্নতাকে ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে চাচ্ছে পিংকি। আজকাল কারো জীবন নিয়েই কিছু ভাবে না সে। তাই তো রাত্রী সারাদিন বাসায় না ফেরায় তার কোন ভাবাবেগ দেখা গেলো না। সে তার মতো করে বই নিয়ে পড়ে আছে। পিংকির চোখের আড়ালে রাত্রী প্যাকেটটি খুললো। প্যাকেটটি খুলতেই দেখলো একমুঠ লাল রেশমি চুড়ি, সাথে একটি চিরকুট। চুড়িগুলো কিছুক্ষন দেখে চিরকুটটা খুললো রাত্রী। তাতে লেখা ছিলো,
” শহরে গেছিলাম ফেরার পথে চোখে পড়লো তাই নিয়ে এলাম। একদিন লাল পাইড় সবুজ শাড়ি, হাতে লাল চুড়ি, কানে কানের দুল, কপালে লাল টিপ, চোখে কাজল মুখে হাঁসি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাক রাতরে দেখার খুব বাসনা।
অনুমতিবিহীন চুড়িগুলো দিলাম, বাকিগুলো অনুমতি পেয়ে দিতে চাই। অনুমতিবিহীন এত দুঃসাহস আমার নাই। যতটা দুঃসাহস ছিলো ততটা করলাম”।
নিচের ছোট্ট করে লেখা,
“অনুমতি কি পাওয়া যাবে”?
চিঠিটা পড়ে পুনরায় চুড়িগুলো দেখলো রাত্রী৷ মনেমনে ভাবলো লাল পাইর সবুজ শাড়ি, লাল চুড়ি, লাল টিপ পড়লে তাকে কেমন লাগবে! সেই মানুষটিকে রুপের ভালো লাগবে। আচ্ছা রুপের ভালো লাগা নিয়ে আমি এত ভাবছি কেন! এ ভাবনাগুলো কেন আসছে মনে! তবে আমিও কি ভালোবাসা রোগে আক্রান্ত হলাম!
নিজেই ভাবনায় নিজেই হাঁসছে রাত্রী। মুচকি হেঁসে দু’লাইন ছন্দ বলে ফেললো,
” ভাবনাগুলো নতুন করে বাধছে মনে বাসা
কড়া নাড়ছে ইচ্ছেগুলো বন্ধ দরজায়
এই অনুভূতির নাম কি দেবো আমি!
‘ভালোবাসা’।
ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লো রাত্রী। রাতে খাবার খেতে ডাকলো পিংকি। ঘুম ঘুম চোখে রাত্রী বললো,” আপা ঘুমাতে দে”।
” ঘুমাবি তো আগে খাইয়া ল”।
” খাবো না ইচ্ছে নেই”।
পিংকি রাত্রীর কথায় কান না দিয়ে জোর করে তাকে উঠালো। রাত্রী ঘুম থেকে উঠে হাত-মুখ ধুয়ে খাবার খেয়ে নিলো। তারপর দুই বোন একসাথে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলো। সন্ধ্যাবেলা ঘুমানোর জন্য রাত্রীর চোখে ঘুম আসছে না। তাই পিংকির উদ্দেশ্য বললো,” আপা”?
” হ বল”।
” ভালোবাসা কি”?
পিংকি মুচকি হাঁসলো তারপর বললো,” তুই এহন যে রোগে আক্রান্ত তারে ভালোবাসা কয়”।
রাত্রী হকচকিয়ে উঠলো তারপর বললো,” আমি যে রোগে আক্রান্ত মানে”?
পিংকি স্বাভাবিকভাবে বললো,” কিছুদিন ধরে তোর হাবভাব দেখলাম, তোর হাবভাব কয় তুই প্রেমে পড়ছোস। যতই হোক আমিও ভালোবেসেছিলাম তাই বুঝি”।
মূহুর্তেই দু’বোনের মন বিষন্ন হয়ে গেলো। খুব কি ক্ষতি হতো পিংকি যদি তার ভালোবাসার মানুষটারে পেতো? বিষন্নতার রেশ কাটিয়ে পিংকি বললো,” ছেলেটা কে”?
” আমি তারে বন্ধু ভাবি”।
পিংকি মুচকি হেঁসে বললো,” বন্ধু হউক বা প্রেমিক, একটা কথা মনে রাখিস সে হারিয়ে যাওয়ার আগে শক্ত কইরা বাইন্ধা রাখিস মনের মধ্যে”।
রাত্রী আস্তে করে বললো,” তোমার তার জন্য এখনো কষ্ট হয়”।
” ভালোবাসা এমনি বোন, না পাওয়ায় শুধু বেদনা আর বেদনা”।
” সে তোমারে ভালোবাসার পরও অন্যত্র বিয়ে করলো কেন”?
পিংকি কথা এড়াতে বললো,” ঘুমিয়ে পড়। তারে সময় থাকতে ভালোবাসার কথা জানিয়ে সম্পর্কটা বিয়া পর্যন্ত আনিস। আব্বা আম্মা অসম্মতি দিবো বইলা মনে হয় না”।
রাত্রী কিছু বলতে নিলেই পিংকি ঘুমাতে বলে নিজে ঘুমিয়ে পড়লো। পিংকি মনেমনে একবার বললো,” আব্বা আম্মার কথা তার কাছে সব ছিলো, আমি কিছু ছিলাম না”।
চোখের অশ্রুকে মুছে পিংকি ঘুমানোর চেষ্টা করলো।
_______
পরেরদিন,
আজও স্কুল বন্ধ দিয়ে নদীর পাড়ে বসে আছে রুপ এবং রাত। রুপম বললো,” হিসাবটা তো দিলা না”।
রাত্রী মজার ছলে বললো,” আগে তুমি হিসাব দেও”।
রুপ না বোঝার ভান ধরে বললো,” আমি কিসের হিসাব দিবো”?
” তোমার আমারে কতবার মনে পড়ছে? চলো দেখা যাক কে বেশি মনে করছে”?
রুপম হাঁসলো। হাঁসি নিয়েই বললো,” আমার চাইয়া বেশি তুমি আমারে মনে করোনাই তা আমি জানি”।
” হতেও তো পারে আমি বেশি মনে করেছি”।
রুপম একটু শব্দ করে হাঁসলো তারপর বললো,” তাহলে আমার নাম লেখার জন্য তোমার কাগজ লাগতো না রাত”।
রাত্রী বুঝতে পারলো না তাই জিজ্ঞাসা দৃষ্টিতে তাকালো। রুপম বললো,” আমার তোমারে যতবার মনে পড়ে সেটা লিইখা রাখার মতো কাগজ আমার কাছে নাই”।
” এতবার মনে পড়ে”?
অবাক দৃষ্টিতে তাকালো রাত্রী। রুপম ভুবন ভোলানো হাঁসিটা দিয়ে বললো,” যতবার তোমার চোখে পলক পড়ে ততবার আমার তোমারে মনে পড়ে। আমার সয়নে সপনে শুধু তোমারে মনে পড়ে”।
রাত্রী বেশ সন্দিহান কন্ঠে বললো,” সত্যি না মিথ্যে”।
রুপম হাঁসিটা ধরে রেখেই বললো,” সেটা আমার মন জানে। তোমার মানার হইলে মানো নয়তো মাইনো না”।
রাত্রী আর কিছু বললো না। তাহলে সে রুপমকে ভালোবাসে না! তার তো রুপমকে এতবার মনে পড়েনি! হ্যা মনে পড়েছে, তার কথা ভেবে মন উথাল-পাথাল করেছে। কিন্তু সেটা তো এতবার নয়! তবে এটা কি শুধুই বন্ধুত্ব!
রুপম পুনরায় বললো, “ভালোবাসা হোক বা বন্ধুত্ব দু’টোতেই ভালোবাসা লাগে। বন্ধুকে বন্ধুর মতো ভালোবাসতে হয়, আর ভালোবাসাকে ভালোবাসার মতো”।
রাত্রী বিষ্ময় নিয়ে রুপমের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো,
” এই ছেলেটা মনের কথা বুঝে কিভাবে”?
চলবে,
[ভুলক্রুটি ক্ষমা করবেন]