#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
37 & Last.
সিনহা হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে ইমরানের সামনে হাটু গেড়ে বসে।
“যদি কখনো ব্যাথা দাও,তারপরেও বলব ভালোবাসি।♥
যদি কখনো ভুল বুঝো,তারপরেও বলব ভালোবাসি।♥
যদি কখনো অবহেলা কর,তারপরেও বলব ভালোবাসি।♥
যদি বল ভালোবাসি না,তারপরেও বলব ভালোবাসি।♥
আমি তোমাকে ভালোবাসি ইমরান।
অনেক ভালোবাসি তোমাকে আমার ডেভিল♥♥
ইমরান অবাকের চূড়ান্ত পর্যায়,সিনহা তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে প্রপোজ করছে,ভালোবাসি বলছে।তার নাম ধরে,তুমি করে বলছো।এই নামটা,তুমি ডাকটা শুনার কতোই না চেষ্টা করেছে সে,আজকে সিনহা তাকে বলেছে। ইমরান খুশিতে কথা বলতে পারছে না।
” কী হলো ডেভিল,ফুলোর তোড়া নেও।
ইমরান ফুলের তোড়া না নিয়ে,সিনহাকেই কোলে তুলে নিলো।
“সিনহা আমি যা শুনেছি,সব কি সত্যি।
” হুম।এখন থেকে তুমি করেই ডাকবো।
সিনহা লজ্জা পেয়ে ইমরানের বুকে মুখ লুকায়।এই প্রথম সে তার ডেভিলকে তুমি করে বলছে।লজ্জা তো লাগবেই।
“আমিও ভালোবাসি আমার সিনহা রানীকে।♥
আজকে এই খুশির দিন,তোকে আমি নিজের করে পেতে চায়।তোর সর্বাঙে আমার ঠোঁটের ভালোবাসা দিতে চায়।
আমি কী অনুমতি পাবো?
সিনহা,ইমরানের বুক থেকে মুখ তুলে,ইমরানের ঠোঁটের মাঝে নিজের ঠোঁটজোড়া বিলিয়ে দেয়।ইমরান তার অনুমতি পেয়ে গেছে।সেও সিনহার নরম ঠোঁটে জোড়া নিজের ঠোঁট দিয়ে শুষে নিচ্ছে।?
ইমরান সিনহার ঠোঁট জোড়ার স্বাদ নিতে নিয়ে সিনহাকে কোলে নিয়ে বিছানায় চলে যায়।সিনহাকে বালিশে শোয়ায় নিজের সম্পূর্ণ ভর সিনহার উপর ছেড়্র দেয়।সিনহা নিজের দুই হাত দিয়ে ইমরানের টিশার্ট খামছে ধরে।
ইমরান সিনহার ঠোঁট থেকে সরে এসে সিনহার শরীর থেকে শাড়ির আচল সরিয়ে,সিনহার গোলায় মুখ ডোবায়।
সিনহা শিউরে উঠে,শরীর কেঁপে উঠে। ইমরান গলা থেকে মুখ নামিয়ে, সিনহার পেটে মুখ ডুবায়।সিনহা এক হাত দিয়ে ইমরানের চুল,অন্য হাত দিয়ে বিছানার চাদর খামছে ধরে। ইমরান সিনহার পেটে গভীর ভাবে চুমু খেতে শুরু করে।ইমরান বিছানায় উঠে বসে নিজের টিশার্ট খুলে ফেলে, সিনহার শাড়ির আচল টেনে খুলে নিচে ফেলে দিয়ে,সিনহার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।ইমরান পুরোদমে সিনহাক পাগল করে দিচ্ছে। নিজের ভালোবাসায় সিনহাকে সিক্ত করে দিচ্ছে।ইমরানের এমন ভালোবাসার সমুদ্রে সিনহাও ডুব দেয়।দুজন দুজনকে ভাসিয়ে নিচ্ছে ভালোবাসার ঢেউয়ের খেলায়।♥♥কক্সবাজারের এই হোটেলের রুমের প্রতিটা আনাচে কানাচে সিনহা-ইমরানের ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে রইল।
সকালবেলা,
নতুন ভোরের সূর্যের আলো জানালা ভেদ করে রুমের ভিতর প্রবেশ করে। সিনহার চোখে এসে আলোর ঝাঁটা লাগার সাথে সাথে সিনহা নড়েচড়ে উঠে।নিভু নিভু চোখ খুলে বোঝার চেষ্টা করছে,সে কোথায় আছে?নিজের মাথাটা উঠাতে তার সামনে ইমরানের মুখটা দৃশ্যমান হয়ে উঠে।সে ইমরানের বুকে শুয়ে আছে।দুইটা নগ্ন দেহ একই কাথার নিচে।গতকাল রাতের কথা মনে পড়তেই সিনহা লজ্জায় লাল-নীল হয়ে যায়।সিনহা লজ্জায় ইমরানের বুকে মুখ লুকায়। ইমরানের নগ্ন বুকে সে ছোট্ট করে দুইটা চুমু খায়।
“বুকে না দিয়ে,ঠোঁটে দেও।
ইমরানের কন্ঠ শুনে সিনহা মুখ উঁচু করে ইমরানের মুখের দিকে তাকায়।সিনহা দেখে, ডেভিলটা তার দিকে শয়তানী হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে।
” ডেভিল,তারমানে এতোক্ষন ফাজলামী করে শুয়ে ছিলেন।
“হুম দেখছিলাম,আমার বউটা কী করে?
” তা কী দেখলেন?(হাতের আঙুল দিয়ে ইমরানের বুকে খেলা করছে)
“দেখলাম আমার বউ রাতের কথা মনে করে লজ্জা পাচ্ছে।(হেসে)রাতের মতো এখন আরেকবার হয়ে যাবে নাকী? (শয়তানী হাসি দিয়ে)
” এই একদম নাহ।আম এখন উঠে ফ্রেশ হবো।
“আমিও তো ফ্রেশ হবো।চলো আজকে দুজনেই একসাথে গোছল করবো।
” এই নাহ নাহ।
“তোর কথা শুনবো নাকী,আমি।
ইমরান সিনহাকে নিজের বুক থেকে উঠিয়ে,নিজে বিছানা থেকে উঠে সিনহাকে কোলে তুলে নেয়।সিনহা কাথা টেনে নিজেকে ঢেকে নেয়।
” ঢং করিস না তো।কালকে রাতে তো সব দেখা শেষ’ই।এখন আবার কী ঢাকছিস?
“ওই মুখ বন্ধ করো।অসভ্য লুচ্চা একটা। মুখে যা আসে তাই বলে দিচ্ছে।
” আমার বউকে আমি বলবো,তাতে তোর কী?
“আমি তোমার বউ,ওকে।
কথা বলতে বলতে ইমরান সিনহাকে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে আসে।সিনহাকে নিয়ে ঝর্নার সামনে দাঁড়ায়।এক হাত দিয়ে ঝর্ণা ছেড়ে দেয়।ঝর্ণার পানিতে সিনহা ইমরান দুজনে ভিজে চুপসে যাচ্ছে।সিনহার ঠোঁট জোড়া কাঁপছে। সিনহার ঠোঁট বেয়ে বেয়ে পানি পড়ছে।যা
ইমরানকে সিনহার দিক্ব চুম্বকের মতো টানছে।ইমরান দেরি না করে সিনহার নরম ঠোঁটে,নিজের দুই ঠোঁট দিয়ে শীতল করে দেয়।দুজনে আরো একবার ঠোঁটের খেলায় মেতে উঠে।
”
লেখকঃইমতিহান ইমরান।।
সিনহা ইমরান একে অন্যের হাত ধরে খালি পায়ে সমুদ্রের পানিতে হাটছে। সমুদ্রের বাতাসে সিনহার অবাধ্য চুল গুলো উড়ছে।সিনহা নিজ হাতে চুল গুলো পিছনে গুজে নিচ্ছে।সিনহা হঠাৎ ইমরানের হাত ছেড়ে দিয়ে,হাটু ভাজ করে বালুতে বসে পড়ে।ইমরান প্রশ্নসূচক চাহনিতে সিনহার দিকে তাকিয়ে আছে।
সিনহা জবাব না দিয়ে হাত দিয়ে বালিতে নকশা করছে।ইমরান দাঁড়িয়ে সিনহার নকশা দেখছে।
সিনহা বালিতে লাভ এঁকে,লাভের ভিতরে লিখে দেয়। #Devil_Cousin_Lover
Imran♥Sinha…
সিনহা বালি থেকে উঠে ইমরানের হাত ধরে।ইমরান জিজ্ঞেস করছে,কী ছিল এটা?সিনহা জবাব না দিয়ে ইমরানের হাত ছেড়ে হাটতে থাকে।ইমরান পিছনে দাঁড়িয়ে থাকে।সিনহা কিছুদূর গিয়ে থেমে যায়,
“দাঁড়িয়ে আছো কেনো?আসো।
ইমরান দৌড়ে সিনহার কাছে আসে। দুজনে হাত ধরে আবার হাটতে থাকে।
”
দিহান,দিয়াকে কোলে নিয়ে হাটছে।এই দৃশ্যটা চাচার চোখ এড়ায় না।চাচা দৌড়ে এসে দুজনের সামনে এসে দাঁড়ায়।
“বাহ!বাহ! এখানেও ঝুলাঝুলি চলতেছে।
চাচাকে দেখে দিয়ান,দিয়াকে নামাতে চেষ্টা করছে।কিন্তু দিয়া নামছে না।
“বেদ্দপ এখনো চাচার সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে আছে,নামা।
” চাচা দিয়া তো নামছে নাহ।
“দিয়া নামবে নামবে,দিয়ার চাচীও নামবে।
“আমি নামবো নাহ।তুমি যাও চাচীকে নামাও।
” বেদ্দপি করস চাচার সাথে।গতকালকে দেখলাম সিনহা ঝুলতেছে,আজকে দেখি দিয়া ঝুলতেছে।কক্সবাজারে আইছি কি তোদের এইসব দেখতে??
“চাচা তুমি আমাদের এইসব না দেখে,তুমিও যাও চাচীকে কোলে নিয়ে হাটো।
” আমার তো খাইয়া দাইয়া কোনো কাজ নাই,তোদের মুটকি চাচীরে কোলে নিমু।
“কীইই বললি?
” কেরে আবার পিছন থেকে কথা বলে।
চাচা পিছনে তাকিয়ে দেখে চাচী।চাচীকে দেখে চাচা এক ঢোক গিলে।
“আমারে মুটকি বললি?তোরে আজকে খাইছি।
এই ফাঁকে দিহান দিয়াকে নিয়ে কেটে পড়ে।
চাচী পায়ের থেকে জুতা খুলে হাতে নিতেই চাচা দৌড় শুরু করে দেয়
” নাউজুবিল্লাহ,জুতা।?
চাচীও চাচাকে ধরার জন্য পিছন পিছন দৌড় শুরু করে দেয়।
” কক্সবাজারে আইছি কী সোহাগী বেগমের জুতার বারি খাইতে?।কী একটা অবস্থা।কোথাও যাইয়া শান্তি পাইনা।জীবনটা বেদনা।?
চাচা নিজে নিজে বিরবির করছে।চাচা পিছনে তাকিয়ে বলে,
“আরে মুটকী আস্তে দৌড়া,আমার লুঙী খুলে যাচ্ছে তো?।
চাচা দৌড়াচ্ছে,চাচীও দৌড়াচ্ছে।চাচা-চাচীর দৌড়াদোড়ি এই যেনো এক বিরল দৃশ্য।।
Happy Ending…
সমাপ্ত।।।
চাচা to continue…
~ইমতিহান ইমরান।
” গল্পটা যারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন,সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।গল্পটা সম্পর্কে আপনার মূল্যবান কমেন্ট জানিয়ে যাবেন আশা করছি।❤️
আল্লাহ হাফেজ।।
Onk onk Valo lagce golpota……1 dinei sobta pore ses korci……