#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
34.
আজকে থেকে সিনহা-দিয়ার ফাইনাল এক্সাম শুরু।সিনহা ভোরে উঠে নামায পড়ে,পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সিনহা পড়া শেষ করে,ইমরানকে উঠার জন্য ডাক দেয়।
“সিনহা তোর এভাবে প্রতিদিন আমাকে ডিস্টার্ব না করলে হয়না।
” তুই তাড়াতাড়ি উঠলে তো আর আমাকে তোকে ডিস্টার্ব করতে হয়না।
আর আমার জামাইকে ঘুম থেকে উঠানো আমার দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
“হইছে বুঝছি।(ইমরান শোয়া থেকে উঠে বসে)
” ভাইয়া আমি যাই,আজকে ১ম পরিক্ষা তাই একটু তাড়াতাড়ি যেতে হবে।
“নাস্তা করা হয়ে গেছে।
” জি।আপনার মতো তো আর আমি দেরি করে ঘুম থেকে উঠি না।আমি নাস্তা করেই আপনাকে ঘুম থেকে উঠাতে আসলাম।সরি নাস্তা করার আগে আপনাকে না ডাকার জন্য।
“ঠিকাছে ঠিকাছে।যা,তোর আবার দেরি হয়ে যাবে।
” আচ্ছা,শোন ফ্রেশ হয়েই নাস্তা করে নিবি।দেরি যেনো না হয়।
“ঠিকাছে বউ।
সিনহা ইমরানের কাছে এসে বিছানার উপর উঠে,ইমরান চোখ বড় বড় করে সিনহার দিকে তাকিয়ে আছে।সিনহা কী করতে চাইছে টা কী?
সিনহা টুপ করেই ইমরানের গালে চুমু দিয়ে উঠে পড়ে।
” আসি,উম্মাহ জামাই।
সিনহা দেরি না করে রুম থেকে বের হয়ে যায়।ইমরান এতোক্ষনে বুঝতে পেরে হেসে দেয়।
“পাগলী।(হেসে)
”
পরীক্ষা শেষে ক্লাসরুম থেকে সিনহা দিয়া একসাথে বের হয়।দুজনে ইমরানের আড্ডা যেখানে সেখানে চলে আসে।
“কী অবস্থা,সিনহা দিয়া?পরীক্ষা কেমন হলো?
” ভাইয়া আমার তো খুব ভালো হয়েছে।
“আমারও খুব ভালো হয়েছে।
” তাই,শুনে ভালো লাগলো।এখন বাসায় যাবি?
“চল ভাইয়া ফুচকা খাবো।
” আচ্ছা চল।
ইমরান সিনহা ফুচকার দোকানের দিকে হাটা ধরে।
“ওই দিহান, আপনেরে কী আলাদা করে বলতে হবে,দাঁড়িয়ে আছেন কেনো,চলেন?নাকি হাত ধরে নিয়ে যেতে হবে?
” জি না,তার দরকার হবেনা,চলো।
ইমরান চারপ্লেট ফুচকার অর্ডার দেয়, তিন প্লেট প্রচুর ঝাল দিয়ে,নিজের প্লেটে কম ঝাল দিয়ে।
“ভাইয়া তোর এখনো ঝালের সমস্যা টা গেলো না?
” এই সমস্যা টা যাবে না।
ফুচকা এলে সবাই খাওয়া শুরু করে। সিনহা ইমরানের মুখের সামনে একটা ফুচকা ধরে,
“নে,হা কর।
ইমরান হা করে,সিনহার হাত থেকে ফুচকা টা মুখে পুড়ে নেয়।
“এবার তুই আমাকে খাইয়ে দেয়।
ইমরানও এবার নিজ হাতে সিনহাকে একটা ফুচকা খাইয়ে দেয়।
” আহা!কী ভালোবাসা।দোস্ত তোদের ভালোবাসা দেখে,আমারও তো এক্ষুনি প্রেম করে,বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে।
“এক্ষুনি প্রেম করে,বিয়ে করা যাবে না। কিছু তো সময় লাগবে।
“জানি আমি,তোমারে বলতে হবে না।
” কচু জানেন আপনি?জানলে বলেন কেনো?
“তোমারে তো বলি নাই,আমি আমার বন্ধুরে বলছি।
” যারেই বলেন,আমার সামনে ভুল করছেন,আর সেই ভুল ধরে দেওয়া আমার জাতীয় কর্তব্য।
“ওইসব জাতীয় কর্তব্য তোমার কাছে রাখো।
ইমরান কিছু বলতে যাবে,এমনসময় সিনহা ইমরানের মুখে একটা ফুচকা পুরে দেয়।
” কিছু বলিস না।ঝগড়া করুক,শুনতে ভালোই লাগছে।কিচ্ছু শিখাও যাচ্ছে। তোর সাথে ঝগড়া করতে কাজে লাগবে।
“মানে কী?তুই কী আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছিস,ঝগড়া করার জন্য।
” নিতে হয়,নিতে হয়।
দিয়া,দিহানের ঝগড়া শেষ হলে সিনহা দিয়াকে নিয়ে বাসায় চলে আসে।
“লেখকঃইমতিহান ইমরান।
“কীরে ভাই তুই আমার বোনের সাথে এতো ঝগড়া কেনো করিস?
” বোনের সাপোর্ট নিস না।তোর বোন শুরুটা করে,তাই আমাকেও ঝগড়া করতে হয়।
“মেয়েরা একটুও ঝগড়ুটে হয়,স্বাভাবিক। তাই বলে তুইও তাদের মতো ঝগড়া শুরু করে দিবি।
” শোন এখন আমাকে জ্ঞান দিতে আসিস না।তুই যখন সিনহার সাথে ঝগড়া করিস?তখন আমি কিছু বলছি তোরে?নাকী উপদেশ দিছি?
“আমি সিনহার সাথে ঝগড়া?কখন, কোনসময়?
” ওরে আমার সাধু বন্ধু রে,দুধু খাও।কিচ্ছু জানেনা।
“ভাই তুই এখন আবার আমার সাথে ঝগড়া শুরু করে দিস না।
” আচ্ছা করব না,চল।
”
ইমরান গোছল করে ওয়াশরুম থেকে বের হয়।লাঞ্চ করার জনা সিনহা,ইমরানকে ডাকতে আসে।এসে দেখে ইমরান বিছানায় বসে মোবাইল টিপছে।সদ্য গোছল করে বের হওয়া দরুন,ইমরানের চুল থেকে টুপটুপ করে পানি পড়ছে।
“ওই ঠিকভাবে চুলগুলোও মুছতে পারিস না।দেখ চুল থেকে পানি পড়ছে।
সিনহা,ইমরানের হাত থেকে তোয়ালে টা কেড়ে নিয়ে, ইমরানের কোলে বসে পড়ে।ইমরানের হাত থেকে মোবাইলটা ছু মেরে নিয়ে বিছানায় রেখে দেয়।
” তুই মোবাইল না ধরে,আমাকে ধর।সারাক্ষণ কীসের মোবাইল,হ্যাঁ।বউ থাকতে মোবাইল কী দরকার?
ইমরান সিনহার কোমড় চেপে ধরে।সিনহা তোয়ালে দিয়ে ইমরানের মাথার চুলগুলো মুছে দিচ্ছে।
“বউ বউয়ের জায়গায়,মোবাইল মোবাইলের জায়গায় বুঝছেন।
” হবে নাম।মোবাইলের জায়গাটাও বউকে দিতে হবে।
“আগে বউটা বড় হোক,সব জায়গায় শুধু বউই থাকবে (সিনহার গালে টেনে,হেসে)
“আমি ছোট না,ওকে।
সিনহা,ইমরানের চুল মুছে দিয়ে উঠতে চাইলে পারে না। ইমরান শক্ত করে কোমড় চেপে ধরে আছে।
” কী?চুল মোছা শেষ।ছাড় আমারে।
“দুই গালে দুইটা চুমু দিয়ে যা।
সিনহা সাথে সাথে ইমরানের দুই গালে দুইটা চুমু দিয়ে দেয়।ইমরানও মুখ বাড়িয়ে সিনহার দুই গালে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দেয়।❤️
”
চাচা মন খারাপ করে সোফায় বসে আছে।ইমরানকে চাচাকে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখে ভ্রূ কুঁচকায়।
“চাচা কী সমস্যা?মন খারাপ কেনো?
” আর কইস না দুঃখের কথা।ছাদে লুঙী শুকাইতে দিছি।
এখন আমার লুঙী খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছে না।আমার শখের লুঙীটা চুরি হয়ে গেলো রে।
“সত্যি চুরি হয়েছে।(খুশি হয়ে)
আল্লাহ বাঁচাইছে।চুরি হয়েছে,ভালোই হয়েছে।ঐ লুঙীটা একটা কুফা লুঙী,যেখানে সেখানে,সবার সামনে খুলে পড়ে যায়।আল্লাহ যে লুঙীটা চুরি করছে,তাকে আমার পক্ষ থেকে একটা ধন্যবাদ দিও।
” খামোশ ভাতিজা,খামোশ।আমার লুঙী নিয়া আর একটা বাজে কথা বলবি,তোর সব শার্ট প্যান্ট সিনহাকে দিয়ে আমি বাথরুমের ভিতরে ফেলে দিবো।?
চলবে…
~ইমতিহান ইমরান।