#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
33.
এক সপ্তাহ পর সিনহার ইন্টার ফাস্ট ইয়ারের ফাইনাল এক্সাম।তাই সিনহা পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে,যাতে করে এক্সাম ভালো হয়।অবশ্য এইসব পড়াশোনায় সিনহার মন ছিলো না। কিন্তু তার ডেভিলটা তাকে লোভ দেখালো,যদি ভালো রেজাল্ট করতে পারে,তাকে নিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে যাবে।এই লোভে সিনহা রাত-দিন এক করে পড়ছে।
সিনহা টেবিলে বসে পড়ছিল। এমনসময় ইমরান রুমে আসে। সিনহাকে পড়তে দেখে বলল,
“বাহ বাহ অনেক উন্নতি হচ্ছে পড়াশোনার। বেশিরভাগ সময় দেখি সিনহা রানী পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।আর এইদিকে যে একজন জামাই আছে তার,সেদিকে না আছে কোনো খেয়াল,না আছে কোনো যত্ন।
ইমরানের কথা শুনে সিনহা বই থেকে মুখ সরিয়ে,ইমরানের পানে তাকায়।
” আমি না পড়লেও তোর সমস্যা। আবার পড়লে দেখি তোর সমস্যা? আসলে তোর সমস্যা টা কোথায়, আমাকে বল তো।
“পড়ছিস ভালো কথা।তাই বলে আমাকে ভুলে যাবি।
” এখন পড়ার সময়,তোকে মনে রাখার সময় নয়,তাই আপাতত তোকে ভুলেই যাচ্ছি।
“বাহ!বাহ! এই দিনটাও আমাকে দেখতে হলো,কথাটা শুনার জন্য।
” হু,যাতো ভাইয়া নিজের কাজ কর, আমাকে পড়তে দে,ডিস্টার্ব করিস না।
“যা যা পড়।তোকে কেউ ডিস্টার্ব করছে না।আমিও দেখমু এভাবে পড়ে কেমন রেজাল্ট করেন,যদি ভালো রেজাল্ট না দেখি,তোর কপালে বহুত খারাপি আছে।
” তোকে আমার রেজাল্ট নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা।রেজাল্ট আমার ভালোই হবে,হু।
রাতে ঘুমানোর সময়,
ইমরান বিছানায় শুয়ে আছে।সিনহা পড়ছে।ইমরান বিছানার এপাশ ওপাশ করছে,কিন্তু চোখে ঘুম আসছে না। এই সিনহাকে আজকাল বুকে নিয়ে না ঘুমালে,তার ঘুম আসেনা।একটা বদভ্যাস হয়ে গেছে।না না বদভ্যাস না, অবশ্যই ভালো অভ্যাস।ইমরান সিনহার দিকে তাকিয়ে আছে,কিন্তু সিনহার সেদিকে খেয়াল নেই।
“আরে বইন আর কতোরাত পর্যন্ত পড়বি,এখন ঘুমাতে আয়।
”
“কীরে শুনছিস না,আমার কথা।
” ভাইয়া পড়তে দে,ডিস্টার্ব করিস না।তুই ঘুমা।
“তোকে ছাড়া আমার ঘুম আসছে না।
” এ্যা ঢং।ঢং না করে,চোখ বন্ধ করে ঘুমা।
“সত্যি বলছি ঘুম আসবে না।তোকে বুকে না নিলে।
” আমার এখনো অনেক পড়া বাকী আছে।পড়া শেষ করি,তারপর?
“এখন আর পড়তে হবে না।সকালে পড়িস।
”
“ওই
”
সিনহা কোনো সাড়াশব্দ দিচ্ছে না। ইমরানের রাগ উঠে যায়,বিছানা থেকে উঠে,টেবিলের সামনে গিয়ে,আচমকায় সিনহাকে কোলে তুলে নেয়।
“ওরে আল্লাহ রে..
এমন আচমকা আক্রমনে সিনহা ধড়পড়িয়ে উঠে,চোখ বন্ধ করে ইমরানের টিশার্টের কলার শক্ত করে চেপে ধরে।ইমরান সিনহাকে বিছানায় ধপাস করে ফেলে দেয়।
” ও আল্লাহ।ওই ভাইয়া,কী হলো হঠাৎ এমন আক্রমণ করছিস কেনো,আমার উপর?
“তখন থেকে ডাকছিলাম,ঘুমাতে আসতে বলছিলাম শুনছিলি আমার কথা।
” আমি তো পড়ছিলাম।
“রাখ তোর পড়া,এক থাপ্পড় মেরে গাল ফাটিয়ে ফেলবো।পড়ে উনি বিদ্যাসাগর হয়ে যাবেন।
“বিদ্যাসাগর না হলেও ভালো রেজাল্ট করবো,হু।
ইমরান বিছানায় শুয়ে সিনহাকে ঝাঁপটে ধরে।
“ভাইয়া আমি পড়বো না।
” এরে বইন তোর মাথায় কী সমস্যা? তোরে কোলে করে বিছানায় আনলাম কি আবার পড়তে দেওয়ার জন্য। চুপচাপ ঘুমা।(ধমক দিয়ে)
ইমরান সিনহাকে নিজের বুকে নিয়ে আসে।সিনহা ইমরানের বুক থেকেই জবাব দেয়,
“পরীক্ষা খারাপ হলে কিন্তু আমাকে কিছু বলতে পারবিনা।
” পরীক্ষা খারাপ হলে কিছু বলব না,শুধু লাঠি দিয়ে একটু উত্তম মধ্যম দিবো। (হেসে)
“আমাকে মারলে কিন্তু চাচা নারী নির্যাতন মামলায় তোকে শশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দিবে।(হেসে)
” দেখা যাবে।
“ভাইয়া আমার না এখন তোর ঠোঁটে চুমু খেতে ইচ্ছে করছে।
” হুম তো?
“তো কী?আমি এখন তোর ঠোঁটে চুমু খাবো।
” তুই আমার ঠোঁটে চুমু খেতে হবে না। আমিই তোর ঠোঁটের স্বাদ নিয়ে নিচ্ছি।
ইমরান দেরি না করে সিনহাকে বিছানায় ফেলে,সিনহার উপর ভর দিয়ে,সিনহার গোলাপী ঠোঁট জোড়ায় নিজের দখলে নিয়ে নেয়।সিনহাও তার ডেভিলের ঠোঁটে সমানতালে চুমু দিয়ে যাচ্ছে।?
“লেখকঃইমতিহান ইমরান।
সিনহা আর চাচা সোফায় বসে আড্ডা দিচ্ছিল।এমনসময় ইমরান এসে আড্ডায় যোগ হয়।
“চাচা তুমি তো আমার সাথে প্রতিবারে লুডু খেলায় হেরে যাও।চলো আজকে আমরা পাঞ্জা খেলি।
” বাচ্চা বাচ্চা ভাতিজাদের সাথে এই চাচা পাঞ্জা খেলে না।আগে বড় হও,তারপর আমার সাথে খেলতে আসিস।
“চাচা তুমি ভয় পাইছো,হেরে যাবে।
” চাচা খেলো,খেলে ভাইয়াকে হারিয়ে দেও।
“সিনহা যেহেতু বলছিস,তাহলে খেলায় যায়।
ইমরান,চাচা টেবিলের উপর নিজেদের হাত রাখে।
” সিনহা তুই আমার এইপাশে এসে দাঁড়া।
সিনহা চাচার পাশে এসে দাঁড়াতেই চাচা সিনহার কানে কানে ফিসফিস করে বলে,
“যখন দেখবি আমি হেরে যাচ্ছি,তখন রোমান্টিকভাবে ইমরানের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মারবি,ব্যস ইমরান কাত হয়ে যাইবো।
” আচ্ছা।
“নেও ভাতিজা শুরু করি।
” ওকে।
ইমরান আর চাচা পাঞ্জা লড়াই দিচ্ছে।
“কার হাতের পেশির জোর বেশি আজকে দেখা যাবে,চাচা।
চাচা,ঠিকমতো ইমরানের হাতটা নাড়াতেই পারছে না,লড়াই করবে কী?
চাচা হেরে যাচ্ছে,এমনসময় চিল্লিয়ে উঠে,
” সিনহা হেরে যাচ্ছি তো।চোখ টিপ মার,চোখ টিপ মার।
কীরে সিনহা চোখ টিপ মারছিস না কেনো?ভাতিজা দেখি এখনো কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছে না।
“চাচা চোখ টিপ মারতেছি তো।কই লাভ হচ্ছে না তো।
চাচা হেরে বসে আছে।ইমরান চাচাকে পান্স করছে।
” সিনহা তোর এইগুলা চোখ নাকি চুলা।
সামান্য চোখ টিপ মেরে জামাইকে কাইত করতে পারস নাই।
“চাচা আমার কী দোষ,তোমার ভাতিজা কাত না হলে।
” কাইত হইবো কেমতে,এই ভাতিজা পোলাডা পুরাই নিরামিষ।বউ চোখ টিপ মারছে,তোর উচিত ছিল,কাইত হইয়া পইড়া বউয়ের দিকে মুগ্ধ করে তাকাই থাকা।সিনেমায় তো এমনটায় দেখলাম। কিন্তু এই ভাতিজা তো বউয়ের প্রতি কোনো ফিলিংস’ই দেখাইল না।আর আমারেও হারতে হলো।।
“আসলেই চাচা তুমি ঠিক।তোমার ভাতিজা পুরাই নিরামিষ।ওরে বেশি করে মাছ মাংস খাওয়ানো লাগবে।
“বুঝলি সিনহা এই নিরামিষ পোলাডারে তুই ভাইয়া কইয়াই ডাকিস।ওরে জামাই ডাকার দরকার নাই।
“চাচা তুমি হেরে গিয়ে এখন উল্টো আমাকে কথা শুনাচ্ছো,সাথে সিনহাও।এই কেমন বিচার??
চলবে…
~ইমতিহান ইমরান।
আর একটু ধৈর্য ধরেন,,খুব শীঘ্রই #Devil_Cousin_Lover গল্পটা শেষ হবে।।