#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
31.
সিনহা দৌড়ে ইমরানের সামনে এসে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়ায়।
“আমাকে রেখে কোথায় যাস?
” সিনহা তোর সাথে আমি কথা বলব না।তাই সামনে থেকে সরে যা।
“তুই আমার সাথে কথা বলবি না।তো এখন কথা কে বলছে?ঢং তো ভালোই করতে পারস।
“ওও ইমরান চুপ থাক।একদম আর মুখ দিয়ে কোনো কথা বের করবি না। (মনে}
ইমরান সিনহার পাশ কেটে চলে যেতে চাইলে,সিনহা এসে সামনে দাঁড়ায়। ইমরান আবার অন্যপাশ কেটে যেতে চাইলে সিনহা আবারও ইমরানের সামনে এসে দাঁড়ায়।
” আরে কীথা সমস্যা?এরকম করস কীথার লাইগা?
ইমরান এবার সিনহার কাধ থেকে ব্যাগ নিয়ে,ব্যাগ থেকে একটা খাতা বের করে,কলম নিয়ে কী যেনো লিখে।
“আরে কী করছিস?
ইমরান সিনহার হাতে খাতাটা ধরিয়ে দেয়।সিনহা খাতাটা হাতে নিতেই খেয়াল করে তাতে লেখা,
” কষিয়ে একটা থাপ্পড় মারবো,আর একটা কথা বললে,সামনে এসে দাঁড়ালে।
“তো এই কথা মুখে বললেই হতো। খাতায় লেখার কী দরকার ছিল। বোবায় ধরছিল নি তোরে।
ইমরান রাগী চোখে সিনহার দিকে তাকায়।সিনহা তা দেখে মুখে হাসি টেনে বলে,
“মজা করছিলাম।চল ভাইয়া ফুচকা খাব।
ইমরান সিনহাকে সরিয়ে সামনের দিকে হাটা শুরু করল।ইমরানকে ফলো করে সিনহা পিছন পিছন হাটা ধরল।
ইমরান কয়েকবার থেমে গেলে, সিনহাও থেমে আরেকদিকে তাকায়।
ইমরান নিজের বাইকে উঠে বসে। সাথে সাথে সিনহা ইমরানের বাইকের পিছনে উঠে বসে,ইমরানকে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে।
“কী হলো বাইকে উঠলি কেনো?(ধমক দিয়ে)
“তোর সাথে যাবো তাই।
“তোকে আমি নিবো না।তাড়াতাড়ি নেমে পড়।
” আমাকে তোর নিতেই হবে।নাহলে আজকে আমি বাসায় যাবো না।
“আরে আমার কাজ আছে একটা।তাই যাচ্ছি।তুই দিয়ার সাথে বাসায় চলে যাস।
” যতই কাজ থাকুক তোর।আমি আজকে তোর সাথেই বাসায় যাবো। কোনো কথা শুনছি।
“কী একটা ঝামেলা।(বিরক্তি নিয়ে)
ইমরান পকেট থেকে ফোন বের করে দিহানকে ফোন দেয়।
“শোন দিহান,আমি সিনহাকে নিয়ে একটু বের হচ্ছি।আজকের কাজটা তুই হ্যান্ডেল কর।
”
“হুম।
ইমরান ফোনটা পকেটে রেখে বাইকটা স্টার্ট দিয়ে চলল।সিনহা আরো শক্ত করে ইমরানকে জড়িয়ে ধরে।
“রাফসানকে একটা ধন্যবাদ দিতেই হয় কিন্তু।
“কেনো?
“ওর কারনেই তো কতো সহজে আমাদের বিয়েটা হয়ে গেল।কোনো ঝামেলা ছাড়া।
“তা অবশ্য ঠিক।ও তোকে বিয়ে করতে না চাইলে,অবশ্য এতো তাড়াতাড়ি তোকে বিয়ে করতাম না।আব্বু আম্মুকেও ম্যানেজ করা কঠিন হয়ে পড়তো।
” আচ্ছা রাফসান কোথায়?
“আমি একটা কিছু খেয়াল করেছি।তুই রাফসানকে ভাইয়া না ডেকে শুধু রাফসান ডাকছিস।অথচ আমাকে ভাইয়া বলে ডাকিস।কী সমস্যা তোর?
” আমার আবার কী সমস্যা?তোকে তো সেই ছোট্ট বেলা থেকেই ভাইয়া ডেকে আসছি।তাই অভ্যাস হয়ে গেছে।কথায় কথায় তাই ভাইয়া চলে আসে।আচ্ছা ভাইয়া আমরা কোথায় যাচ্ছি?
“আমরা কোথাও যাচ্ছি না।শুধু বাইক নিয়ে রাউন্ড দিবো।
” ওও দারুন তো।এভাবে তোকে ধরে বসে থাকতে আমারও ভাল্লাগছে। মেয়েরা দেখলে হিংসে করবে।(হেসে)
প্রায় অনেক্ষন ঘুরে দুপুরের দিকে ইমরান সিনহাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে।
ইমরান চাচার সাথে সোফায় বসে আছে।
“তা ভাতিজা দাম্পত্য জীবন কেমন চলছে?
” ভালোই তো চলছে।
“জানি জানি কেমন ভালো চলছে,সেটা আমার জানাই আছে।যে এখনো ভাইয়া থেকে জামাই হতে পারল না,তার আবার ভালো।
” চাচা একদম মশকরা করবে না বলে দিলাম।সবার সামনেই তো সিনহাকে বিয়ে করে জামাই হলাম।তোমার চোখে কী তখন সমস্যা ছিল?
“জামাই না ছাই।
” লেখকঃইমতিহান ইমরান।।
” চাচা তুমি মেয়েদের মতো আমার সাথে ঝগড়া করছো কেনো?
“এখনো তো কিছুই করলাম না।অনেক জ্বালাইছো আমারে,সব শোধ নিবো আমি।
” ওও এই ব্যাপার।দাঁড়াও সোহাগী বেগমরে ডাকতেছি।
“এখানে আবার সোহাগী বেগমরে ডাকস কেনো?
” তোমার টাইট দিতে হইলে,সোহাগী বেগমরেই লাগবে।বেশি মজা নিতেছো আমার সাথে।তোমারে দেখামু মজা পরে।উঠলাম আমি।
ইমরান রুমে চলে আসে।রুমে এসে দেখে সিনহা শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপছে।
ইমরান তার হাতের ফোনটা কানে ধরে,
“আরে জান তুমি কেনো রাগ করতেছো?
কলেজে যে আমার বাইকে উঠছে সে আমার বোন হয়।
আরে হ্যাঁ সত্যি সত্যি।
ইমরানের কথা শুনে সিনহা নিজের মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে ইমরানের দিকে তাকায়।ইমরান ফোন কানে নিয়ে বারান্দায় চলে যায়।সিনহাও পিছন পিছন বারান্দার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আড়ি পেতে শুনে।
“হুম জান খাইছি।তুমি খাইছো?
”
“আমিও তোমাকে অনেক মিস করতেছি।মন চাচ্ছে এক্ষুনি তোমার কাছে চলে যায়।
”
“কী বলো এখন এইসময় কী আর আসা যায়?
”
“আচ্ছা।উম্মাহ জান।
ইমরান ফোন রেখে পিছনে ঘুরতেই দেখে সিনহা কোমড়ে হাত রেখে রনচন্ডী রূপ ধারণ করে রাগে ফুসছে।ইমরান ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে সিনহার পাশ কেটে রুমে চলে আসে।এতে সিনহা আরো দ্বিগুন রেগে যায়।
ইমরান বিছনায় বসতেই সিনহা তেড়ে এসে ইমরানের টিশার্টের কলার চেপে ধরে।
” ওই এতোক্ষন কার সাথে এভাবে কথা বলেছিস?(রেগে)
“আমার জানের সাথে।
“কে তোর জান?আমি থাকতে অন্য কেউ তোর জান হয় কী করে?
” তুই তো আমার বোন।আমি তোর ভাইয়া।তুই কীভাবে আমার জান হবি?
“কীইই?আমি তোর বিয়ে করা বউ না?আমাকে বোন বলিস কোন সাহসে?
” আমি তোর বিয়ে করা জামাই না?আমাকে ভাইয়া ডাকিস কোন সাহসে?
“এ্যা??।আমার কপাল পুড়লো গো।আমার জামাই অন্য মেয়েদের জান ডাকে।তাদের চুমু দেয়।?
” ভাতিজা ভাতিজা।
ইমরান থতমত খেয়ে যায়।বাইরে থেকে চাচার আওয়াজ আসছে।
“সর্বনাশ এই মেয়ের কান্নার আওয়াজের কী এতো জোর?শুনে,সবাই কী চলে আসছে নাকী?
” কই রে ভাতিজা,দরজা খোল।
সিনহা ইমরানকে ছেড়ে দিয়ে দরজা খুলে দেয়।
“কী হয়েছে সিনহা কান্না করছিস কেনো?এই ভাতিজা কী তোরে মারতেছে।এতো বড় সাহস ওর?দাঁড়া এই ভাতিজাকে নারী নির্যাতন মামলায় শশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দিবো।(রুমে ঢুকতে ঢুকতে)
” চাচাগো তোমার ভাতিজা আমারে ছাইড়া অন্য মেয়েদের জান ডাকে।অন্য মেয়েদের চুমু খায়।
“নাউজুবিল্লাহ,পরকিয়া।আমি আগেই সন্দেহ করছিলাম,তুই যখন ভাইয়া ডাকছিলি,এমন কিছুই হইবো।দাঁড়াও ভাতিজা তোমারে এবার পরকিয়া মামলায় শশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিবো।
চলবে…
~ইমতিহান ইমরান।