#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
02.
“ভাইয়া তোর হাত থেকে রক্ত পড়ছে।দরজা খোল।তোর হাতে নতুন করে ব্যান্ডেজ করতে হবে।(কান্না করতে করতে)
সিনহা কান্নার সাথে সাথে এবার দরজা ধাক্কাচ্ছে।সিনহার কান্না ইমরানের কানে এসে বিধঁতেছে।ইমরান,সিনহার কান্না সহ্য করতে পারছে না।
তাই সে দরজা খুলে দেয়।দরজা খোলার সাথে সাথে সিনহা হুমড়ে এসে ইমরানের হাত চেপে ধরে।
” দেখ কীভাবে রক্ত পড়তেছে?(কেঁদে)
” কোথায় রক্ত পড়ছ?আর এতো কান্না করছিস কেনো?কথায় কথায় এতো কান্না আসে কীভাবে?আজব।
“আমার তো বিয়া লাগছে,এইজন্য আমি কাঁদি।তুই কী কানা দেখস না রক্ত পড়ছে যে?
সিনহা এক হাত দিয়ে ইমরানের হাত ধরে আছে।অন্য হাত দিয়ে ড্রয়ার থেকে ফাস্ট এডস বক্স টা নিয়ে বিছানায় বসে।সিনহা চোখ দিয়ে পানি ফেলছে,আর হাত দিয়ে ইমরানের হাত ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে।ইমরান চুপ করে থেকে সিনহার কান্ড দেখছে।এই মেয়েকে যতই ধমক দেয়,এই মেয়ে তার থেকে বেশি কান্না করে দেয়।
ব্যান্ডেজ করা শেষ হলে সিনহা খাবারের প্লেট ইমরানের সামনে ধরে বলল,
” এই নেও খাবারটা খেয়ে শেষ কর।
“গাধী নাকি,দেখস না হাত কাঁটা,খাবো কিভাবে?
” তো হাত কাটছস কেন?
“আমার ইচ্ছা হইছে,কাটছি।তোর কোনো সমস্যা?
” আমার সমস্যা না,তোর সমস্যা।
সিনহা,ইমরানের পাশে বসে পড়ল।
“আমি খাওয়ায় দিচ্ছি।
ইমরান ভদ্র ছেলের মতো মাথা নাড়ায়।
সিনহা লোকমা নিয়ে ইমরানকে খাওয়ায় দিচ্ছে।ইমরান মজা করে খাচ্ছে।মাঝে মাঝে ইমরান সিনহার আংগুলে কামড় বসিয়ে দেয়।
” ভাইয়া,কামড় দিচ্ছিস কেনো?ব্যাথা পাচ্ছি না।
“আর খাবো না আমি,বের হও।আমার রুম থেকে,যা।(রেগে)
ইমরান সিনহাকে টেনে রুম থেকে বের করে দেয়।
” আরে আজব।কামড় দিলি তুই।আর বের করে দিচ্ছিস আমাকে।
“কেন বের করে দিচ্ছি,চিন্তা করতে থাক।বুঝস কীনা?এখন যা আমার সামনে থেকে।নাহলে..
” কেনো বের করে দিচ্ছিস,কী বুঝবো?
আর খাবারটা তো এখনো শেষ হয়নাই।
“তোর যেতে বলছি না।যাবি?
” যাচ্ছি।
সিনহা নিচে নেমে আসে।সবাই খেয়ে চলে গেছে।কিন্তু ডাইনিং টেবিলে এখনো চাচা বসে আছে।
“সিনহা মা এইদকে আসো তো।
” জি বলুন।
“ঘটনা কী,বলো তো।ওই হারামজাদাটা হাত কাটলো কেনো?
” আপনি কীভাবে জানলেন?
“জানি জানি।
” আমি জানি না কেনো কাটছে।জিজ্ঞাস করিনি।
“ওও আচ্ছা।আমি যাইয়া দেখে আসি।কেনো কাটছে?
”
চাচা ইমরানের রুমে এসে দেখে ইমরান বসে আছে।চাচা ধপ করে,ইমরানের পাশে এসে বসে।
“কী সমস্যা ভাতিজা?হাট কাটছো কেনো?প্রেমিকা কী ছ্যাকা দিয়েছে?
” প্রেমিকা নাই আমার।
“বুঝি বুঝি সব বুঝি আমি।
” বেশি বুঝতে যেও না চাচা।নাহলে সোহাগী বেগমরে সব বলে দিবো।যে আমার চাচাজান কতো ভালো একটা মানুষ।
“এখানে তোর চাচীরে টানস কিল্লাই?কও তো আমারে?
” তুমি আমাকে অপমান করবা?আমি কী তোমাকে ছেড়ে দিবো ভাবছো?তুমি যদি চাচা হও,আমিও তোমার ভাতিজা।
“ঘুমাও সোহাগী বেগমরে যেদিন তাবিজ কইরা নিজের বশে আনমু।ওইদিন দেখমু,তুমি কার ডর দেখাও মোরে।
”
সকালবেলা সবাই ডাইনিংটেবিলে বসে নাস্তা করছে।ইমরান তার হাত কাটার বিষয়টা সবাইকে নয়ছয় দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে।তাই কেউ আর এই বিষয়ে তেমন নাক গলায়নি।
“ইমরান।
” জি বাবা।
“সিনহার কলেজের আজকে প্রথম দিন।তুমি ওকে কলেজে নিয়ে গিয়ে সব দেখিয়ে দিবে।
” আমি কেনো বাবা?দিয়া আছে তো।
“ভাইয়া,আমি আজকে কলেজে যাবো না।
” আশা করছি আর তুমি মানা করবে না।
“আচ্ছা।
” লেখকঃইমতিহান ইমরান।
ব্রেকফাস্ট শেষ করে সবাই উঠে পড়ে।
” সিনহা যা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
“আচ্ছা ভাইয়া।
ইমরান সিনহার জন্য অনেক্ষন দাঁড়িয়ে আছে।কিন্তু সিনহার আশার কোনো নাম গন্ধও ইমরান পাচ্ছে না।তাই সে রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই দেখে সিনহা চলে আসছে।
” কতোক্ষন দাঁড়িয়ে আছি,খেয়াল আছে তোর।আমাকে কী তুই তোর বডিগার্ড পেয়েছিস?
“সরি ভাইয়া।
” এক থাপ্পড় দিয়ে গাল লাল করে দিবো।কানের কাছে এসে ভাইয়া ভাইয়া করে আমার মাথা খাচ্ছিস কেনো?
তাড়াতাড়ি উঠে পড়।
“আমরা কী বাইকে করে যাবো?
” হুম।
সিনহা,বাইকে উঠে বসল।
“ভাইয়া,আমার ভয় করছে।পড়ে যাবো নাতো?
” ধরে বস,পড়বিনা।
সিনহা ইমরানকে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বসল।সিনহার হাত ইমরানের পেটে যেতে ইমরান বলল,
“আরে কোথায় হাত দিচ্ছিস,কাধে হাত দিয়ে বস।
” না আমার ভয় করছে।
“আমার কাতুকুতু লাগছ।
সিনহার মাথায় হঠাৎ দুষ্টুবুদ্ধি এলো।
সে এবার ইমরানকে পেটে কাতুকুতু দেওয়া শুরু করেছে।
” কী করছিস কী?কাতুকুতু দিচ্ছিস কেনো?বাইক এক্সিডেন্ট করবে তো?পড়ে যাবো তো?
কিন্তু সিনহা ইমরানের কথা কানে নেয়নি।যার দরুন ইমরান বাইক নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে দুজনে একটা এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হয়।
চলবে তো…?
~ইমতিহান ইমরান।