#হলদে_প্রজাপতি
(প্রাপ্তমনস্কদের জন্য )
— অমৃতা শংকর ব্যানার্জি ©®
চুয়াল্লিশ
( আগের অধ্যায়গুলোর লিংক অধ্যায়ের শেষে দেওয়া হল)
সম্পূর্ণ একটা দিন , একটা রাত কেটে যাওয়ার পরের দিন যখন সারা রাত জাগা ঝড়ে বিধ্বস্ত চোখ দুটো চেয়ে মাটিতে পা রেখে দাঁড়ালাম, তখন প্রথমে মনে হয়েছিল পা’দুটো হয়তো বা মাটিতে পড়বে না । ওপর-নিচ , ডান’পাশ-বাঁ’পাশে কোথাও কোন অবলম্বন আছে বলে মনে হয়নি । মনে হয়েছিল, আমি একা । ভীষণ রকম একা । মহাশূন্যে ভাসছি কোথাও । ভারশূন্য এক দেহ । তারপরে যখন মাটিতে পা দিয়ে দাঁড়ালাম , তখন শিরদাঁড়া বেয়ে অসম্ভব শীতল স্রোত বয়ে গেল। এই ঘর , এই বাড়ি , এই শহর , এই পৃথিবী , আমার ভবিষ্যৎ, কোথাও নেই বাবা । বাবা হারিয়ে গেছে । তন্ন তন্ন করে প্রতিটি কোণা খুঁজেও কোথাও আর আমি সেই মানুষটাকে দেখতে পাবো না । কান পেতে শুনলাম । বাবার ঘর থেকে ভেসে এলো না কোন শব্দ ।
— তরু মা আসবি একবার ? দেখ্ তো , ফোনটা । এখানে হোয়াটস্যাপ এ কেউ বোধহয় কিছু পাঠিয়েছিল। ওই তোর অঙ্কন জেঠুর পাঠানোর কথা। আমি তো খুলতে পারি না। খুলে দিয়ে যা’তো মা ।
নয়তো বলবে , এই দ্যাখ্ , গীতাঞ্জলি বার করে রেখেছি । ওই খান’টা পড়ে শোনা আমায় । খোল্ , বলে দিচ্ছি ।
কিংবা ,
— তোর মায়ের কাছ থেকে জেনে আমায় বল্ তো বাজার থেকে আজকে কি আনব –
না , এর কিছুই সে ঘর থেকে আজ আর ভেসে এলো না । এক’বুক সাইক্লোন চেপে রেখে দুরুদুরু বুকে বাবার ঘরে গিয়ে ঢুকলাম । বিছানায় সাদা চাদর টানটান করে পাতা। বালিশের মাঝখানটা বাবার মাথার আকৃতিতে এখনো অবতল । সারা ঘর জুড়ে বাবা বাবা গন্ধ। গন্ধটা আজও রয়েছে। দুদিন পরে আর এটুকুও থাকবে না । আমি কোনদিন বাবার কাছে হাঁটু মুড়ে বসে সেই গন্ধটা বুক ভরে আর নিতে পারবো না । বাবা নেই । বাবার অনুভূতি নেই । বাবার গন্ধ নেই । চূড়ান্ত ‘নেই’ এর জালে আটকে থেকে এই অসহ্য জীবনের বাকি অধ্যায়টা আমি বাঁচবো কি করে ?
দীর্ঘক্ষণ সে ঘরের মেঝেতে থম মেরে কাঠের মূর্তির মত বসে থাকলাম। তারপরে যেন অন্য এক পৃথিবী থেকে ফোনের রিংটোন শুনতে পেলাম। উঠলাম না । আবার বাজছে। তাও উঠিনি । বেজেই চলেছে । অসাড় শরীরটাকে টেনে নিয়ে এলাম নিজের ঘরে । ছোটকাকার ফোন । এই মুহূর্তে আসতে পারছে না, চেষ্টা করছে আগামী কাল আসার, ইত্যাদি । কথা হতে ফোন রাখলাম। স্ক্রিনের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বসে রয়েছি। হঠাৎ করে মাথায় ক্লিক করলো, ‘বাবা’ নামটা আর স্ক্রিনে ভেসে উঠবে না । সারা জীবনে যতই ফোন কল আসুক না কেন, কখনো আর সেই মানুষটা আমায় ফোন করে বলবে না-
— কিরে মা ? আজ কখন ফিরলি আফিস থেকে ?
অথবা , আমাকে রিচার্জটা করে দিতে পারবি ?
কথাগুলো মনে হতেই কোহিনুর খোঁজার মতো বাবার নামটা বার করলাম কল লিস্ট থেকে ঠিক । দু’দিন আগে বাবার লাস্ট কল এসেছিল । আমি একটু বাজারে বেরিয়েছিলাম , বাবা ফোন করে আমাকে খানিকগুলো রজনীগন্ধার স্টিক কিনে আনতে বলেছিল । কলার লিস্টে বাবার নামটা ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে । একেবারে হারিয়ে যাবে । তারপর আর কোন দিন বাবার কোন ফোন আসবে না । ছুঁড়ে ফেললাম ফোনটা ।
শীত করছে আমার । অসম্ভব শীত করছে । কুঁকড়ে গুটিসুটি মেরে শুয়ে পড়লাম । হাত-পা যেন বরফ ! ঢাকা নিলাম । হি হি করে কাঁপছি। এক অসম্ভব হিমশীতল অনুভূতি । কতক্ষণ ওই ভাবে কেটেছে জানিনা । ছোটমাসি জোর করে আমায় ডেকে তুললো । বলল , মায়ের শরীরটা খারাপ করছে । গিয়ে দেখি গায়ে অল্প জ্বর রয়েছে । মানসিক ধকল নিতে পারেনি , তাই । কিন্তু আমি এখন যা দেখছি, সেই মানসিক ধকল আমার সইবে তো ? মায়ের হাত দুটো –
সে দুটোয় শাঁখা-পলা পরা থাকবে, এ যেন একেবারে অমোঘ সত্যি । যবে থেকে জ্ঞান হয়েছে, তবে থেকে কোনদিন দেখিনি মায়ের হাত দুটোয় সেই লাল-সাদা কম্বিনেশনের সঙ্গে সোনার বালার ঠোকাঠুকিতে টুংটাং শব্দ হচ্ছে না । কখনো দেখিনি, সিঁথি বরাবর জ্বলজ্বলে সিঁদুরের রেখা না টেনে, কপালে সিঁদুরের টিপটা না এঁকে মা একদিনও কাটিয়েছে । স্নান সেরে বেরোনোর পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এটাই তো মায়ের প্রাত্যহিক কাজ । লালচে ছোপ পাক ধরা চুলের গোড়ায় গোড়ায় এখনো লেগে রয়েছে। কপালে হাত রেখে দেখলাম অল্প জ্বর । মায়ের দিকে তাকাতে পারছি না । মা কি সত্যি এবার থেকে এইরকম দেখতে হয়ে যাবে ?
তবু সময় কাটে । সূর্য ওঠে , অস্ত যায় । নতুন দিনের শুরু হয় । বাবার ঘর থেকে ‘বাবা’ ‘বাবা’ গন্ধটা মিলিয়ে যায় ধীরে ধীরে । সে ঘর থেকে আর কোন ডাক ভেসে আসে না। ফোনে ফুটে ওঠে না বাবার নাম। তবু দিন কাটে । পুব আকাশে রং মাখিয়ে সেই সূর্যই ওঠে যে অতীতের এতগুলো বছরে উঠে এসেছে। সমস্ত আয়োজন একই । শুধু তার মধ্যে মস্ত বড় এক ‘নেই’ আমাকে গিলে খেতে আসে ।
এই ভাবেই প্রায় দু সপ্তাহ সময় কেটে যায়। বাবার পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন হয় । ধীরে ধীরে আমিও বাবা-হীন এই পৃথিবীতে বাঁচতে শিখে যাচ্ছি । এভাবেই মানুষ বাঁচে। বাঁচার জন্যই বাঁচে। খুব কাছের মানুষগুলো যখন হারিয়ে যায় , তখনও মানুষ বেঁচে থাকার দৌরাত্ম্যেতেই বাঁচতে শিখে যায় ।
টানা অনেক দিন ছুটি নিয়ে ফেলেছি। এবারে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গিয়ে না পড়লে চাকরিটাই রাখা দায় হবে । মা’কে আমার সঙ্গেই নিয়ে যাব। এ ছাড়া আর অন্য কোন উপায় নেই। যদিও সব সময় দুশ্চিন্তা থাকবে । হঠাৎ করে মায়ের শরীর-টরির খারাপ হলে কি যে করব ! তবুও এখানে একা রেখে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠেনা । ছোটমাসি মেসোমশাই দুজনেই বারবার করে বলেছিল মাকে নিয়ে গিয়ে ওদের কাছে রাখার কথা। কিন্তু , মা আমার সাথেই থাকতে চায় । তাছাড়া পরের বাড়িতে গিয়ে থাকতেও চায় না । এমার্জেন্সি কিছু কাজ কালকে সকালে সেরে নিয়ে রাতের ট্রেনেই ফিরবো নর্থ বেঙ্গল । সে কারণেই বাবার পার্সোনাল লকারের আর ট্রাঙ্কের লক খুলে কিছু অফিশিয়াল কাগজপত্র , ব্যাংক ইত্যাদির গুছিয়ে নিচ্ছিলাম । বাবা মোট তিনটে ফিক্সড ডিপোজিট করেছিল। একটার পেপার্স পাচ্ছি না । লকারে নেই । ট্রাঙ্কটা খুলে খুঁজছি । হঠাৎ করে ট্রাঙ্কের একেবারে নিচের দিকে একটা ফাইল তুলতে , কাগজে মোড়ানো কি একটা নজরে পড়ল । কি এটা ? তুলে হাতে নিলাম । বেশ ভারী। কাগজের ভাঁজ খুলতে কিছুটা সময় লাগলো । খুব যত্ন করে চার-পাঁচটা খবরের কাগজ মুড়িয়ে রাখা । খুলে যা দেখলাম তাতে করে আমার বুকের ভেতরটা যেন এক নিমেষে ফাঁকা হয়ে গেল । দেখি , একটা লাল রংয়ের বেনারসি শাড়ি । আনকোরা নতুন। মিনা কাজ করা । অসাধারণ দেখতে।
আমার চোখ দুটো যেন কাঠের তৈরি ।
মাকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম, আজ থেকে প্রায় বছর তিনেক আগে বাবা বেনারসিটা নিজে পছন্দ করে কিনে এনে রেখেছিলো।
মা তা দেখে বলেছিল , আগে পাত্র খোঁজো । তবে না বেনারসি কিনবে ?
বাবা বলেছিল , সেসব ঠিক হয়ে থাকে । সময় হলেই এসে পড়বে । সেদিন তরুর তাকে চিনতে ভুল হবে না ।
আর এই সবই বাবা আমাকে জানাতে বারণ করে দিয়েছিল। শাড়িটাকে বুকে করে নিয়ে এসে নিজের ঘরে ছিটকিনি এঁটেছি । আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বুকের ওপর শাড়িটা এক ভাঁজ খুলে বিছিয়ে নিয়ে একদৃষ্টে তাকিয়ে রয়েছি। এই পাতলা হয়ে যাওয়া মাথার চুলে, এই মেদ জমা কোমরের ভাঁজে, এই মানসিক ভারে ক্লান্ত রুক্ষ মুখে, এই কালি ভরা চোখে, এই বেনারসি কি মানায় ? এই লাল টুকটুকে বেনারসি চল্লিশ পেরিয়ে – ! এসব আমি কি ভাবছি? কেন ভাবছি? মানুষ শুধু শুধু কি বেনারসি পরে ? এইরকম লাল টুকটুকে বেনারসি বিয়ে হলে তবে না – ।
ওমা ! এ আবার কে? একেবারে পাটে পাটে ভাঁজ, আটপৌরে করে পরা লাল মিনা কাজ করা বেনারসি গায়ে? চন্দনের ফোঁটা, প্রসাধনী – মুখের রুক্ষতা ঢাকা পড়েছে । চুলগুলো এমন করে বাঁধা রয়েছে, তার ঘনত্ব বোঝা যায় না । রজনীগন্ধার অ্যাত্তো বড় একটা মালা পরেছে আবার ছুঁড়ি গলায় । সাধ কম নয় । সোনার গয়না । মুখে সোনার দীপ্তি। ওই যে বাবা ! বাবা দাঁড়িয়ে ওই ছুঁড়ির সামনে । ওমা , তাই তো ! এতক্ষণ এই ছুঁড়িটাকে চিনতে পারিনি বটে। চিনলাম, যখন ছলছল চোখে গিয়ে ঝুঁকে পড়ে দু’হাত বাড়িয়ে বাবার ফর্সা দুটো পায়ের পাতা ছুঁলো । টসটসিয়ে চোখের জল গড়িয়ে পরল নিচে। বাবা দুটো হাত বাড়িয়ে দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে মাথায় ঠেকিয়ে কি সব যেন বলল মনে মনে । তারপর সেই প্রসাধনী ঢাকা পেত্নীর মত মুখটা বুকের ওপর চেপে ধরে বাবা বলল, কি অসম্ভব সুন্দর লাগছে আমার তরু মা’কে। ঠিক যেন রাজকন্যা ! খুব সুখী হও । খুব ভালো থাকো । প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করলাম আজকে তোকে।
চটকা ভেঙ্গে গেল । দেখলাম , বুকের ওপর ফেলে রাখা শাড়িটার বেশ অনেকখানি অংশ জুড়ে ভিজে উঠেছে চোখের জলে। বাবা ঠিক যেভাবে কাগজগুলোর মধ্যে মুড়িয়ে রেখেছিল, সেভাবে রাখতে গিয়ে আলগোছে চোখে পড়লো ছোট্ট একটা খবর । কাগজে একেবারে পাতার কোণে রয়েছে । ‘বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঝগড়ার কারণে অবসাদগ্রস্ত তরুনীর আত্মহত্যা’ – হেডিং । জানিনা কবেকার কাগজ। হয়তো বছর তিনেক আগেরই হবে। দেখার ইচ্ছা হলো না কবেকার । তবে এক না-দেখা বাবা-মায়ের জন্য মনে কালশিটে পড়ল । দেখতে পেলাম নিতান্ত স্বার্থপরের মত একটি সন্তান তার বাবা-মায়ের কোল ফাঁকা করে নিতান্তই অমূলক কারণে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। তার বাবা-মা সেই তার প্রথম পৃথিবীতে আসার দিনটা থেকে বুকে করে আলগোছে বড় করে তুলছিলো তাকে। কত স্বপ্ন বুকের স্তরে স্তরে জমা হচ্ছিল দিনের পর দিন ধরে । মেয়ে বড় হবে । মানুষের মত মানুষ হবে । একদিন বিয়ে হবে। বড় সুন্দর করে সেজে সে তার ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে এগিয়ে যাবে নতুন জীবনের পথে। প্রতিটা মানুষের তার নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার আছে । মরার অধিকারও অবশ্যই আছে । কিন্তু তাই বলে বাবা-মায়ের বুকটা এক নিমেষে শূন্য করে দিয়ে যারা চলে যায় স্বার্থপরের মত, তারা কি একবারও বোঝেনা, এক পৃথিবী স্বপ্ন নিয়ে তিলে তিলে গড়ে তোলা সন্তানের ভবিষ্যৎ ছবি নিয়েই বাবা-মায়েরা বেঁচে থাকে ?
শাড়িটাকে বাবা ঠিক যেভাবে রেখেছিল, সেইভাবেই রেখে দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। মুখ তুলে দাঁড়ালো সেই ছুঁড়িও । বাবার বুকের ভেতর থেকে মুখটা তুলে বাবার মুখের দিকে চোখ তুলে দাঁড়ালো । ওমা ! এখন যে তাকে দেখতে ভারী সুন্দর লাগছে ! বড্ড সুন্দর । বাবার রাজকন্যা ।
মাকে নিয়ে চলে এলাম নর্থ বেঙ্গল । আসার পথে সবই যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে । বাংলোয় ঢোকার কিছুটা আগে পরে সেই শিউলি গাছটা । বাবার সাথে ফুল কুড়াতে আসার কথা ছিল । কত কথাই এমনই রয়ে যায় । আরও কিছুটা এগিয়ে সেই কাঠের বেঞ্চটা । যেটাতে আমরা বাপ-বেটি মর্নিংওয়াকে বেরিয়ে বসে বসে গল্প করতাম। এই রাস্তা ধরে বাবাকে নিয়ে কত হাঁটলাম , এইতো কটা দিন আগের কথা। সবই তেমনই রয়ে গেল , শুধু বাবা’ই আর কোনদিন আসবেনা । আমাকে বলবে না – তরু মা , কালকে ভোরবেলাতে উঠিস্ । মর্নিং ওয়াকে বেরোতে হবে –
টগর শুকনো মুখে দাঁড়িয়ে ছিল দরজার কাছে। মাকে ধরে ভেতরের ঘরে নিয়ে গেল । আবার শুরু হল কর্মব্যস্ততা । ক্লান্ত লাগে খুব । তবুও হয়তো এই কর্মব্যস্ততাই কিছুক্ষণের জন্য ভুলিয়ে রাখে বাবার স্মৃতি।
একটা সপ্তাহ কেটেছে । আজ রবিবার । এখন হেমন্তকাল । ভোর বেলায় ঘাসের আগাগুলো স্বচ্ছ মুক্তোবিন্দুতে সেজে ওঠে । খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের পাতা ভরে ওঠে মন নিংড়ানো জলে । পা’দুটোকে মনে হয় যেন গাছের শেকড় । মাটির আর্দ্রতা শুষে নিচ্ছে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে দিচ্ছে। দুপুরবেলা মাছ-ভাত খেয়ে শুয়ে আছি । মা কিছুতেই আমিষ কিছু খাচ্ছিল না । অনেক কষ্টে খাইয়েছি । বলেছি , তুমি যদি না খাও , আমিও তবে ছেড়ে দেব । বাধ্য হয়ে খেয়েছে । সূর্য পশ্চিমে হেলেছে । হেমন্তের সোনালি দুপুর আগামী শীতের প্রস্তুতি নিচ্ছে । একটু দূরের আতা গাছেটায় একটা ঘুঘু দম্পতি উড়ে এসে বসল । অলস ভঙ্গিতে বাইরে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ মনে হল , বাবা যদি থাকতো হয়তো বলতো, দুপুরবেলা খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়েছিস? ভাত খেয়ে উঠে ঘুম ভালো নয় । তার ওপর বেলা ছোট হয়ে আসছে –
একটা কলিংবেলের শব্দ পেলাম । দুপুরবেলায় আবার কে এলো ? যেই বা এসে থাকুক, আলটিমেটলি সেই আমারই ডাক পড়বে । উঠে পড়লাম । যাই দেখি –
ক্রমশ..
©®copyright protected
এক-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/978775899579141/
দুই-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/980083989448332/
তিন-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/981378992652165/
চার-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/983543179102413/
পাঁচ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/986002805523117/
ছয়-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/987404668716264/
সাত-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/989485091841555/
আট-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/991102821679782/
নয়-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/993099491480115/
দশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/994279738028757/
এগারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/995634347893296/
বারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/998832147573516/
তেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1000733104050087/
চোদ্দো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1002718000518264/
পনেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1004549847001746/
ষোল-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1007202950069769&id=248680819255323
সতেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1009015169888547/
আঠারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1011129543010443/
উনিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1013312572792140/
কুড়ি-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1015118655944865/
একুশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1017814589008605/
বাইশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1019125995544131/
তেইশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1021798458610218/
চব্বিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1024967944959936/
পঁচিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1031476470975750/
ছাব্বিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1034632350660162/
সাতাশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1038754843581246/
আঠাশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1046967802759950/
উনত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1048831039240293/
ত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1051696202287110/
একত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1053606998762697/
বত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1060747584715305/
তেত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1064517157671681/
চৌত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1073169890139741/
পঁয়ত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1075303099926420/
ছত্রিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1077175089739221&id=248680819255323
সাঁইত্রিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=426810745740602&id=100052350402509
আটত্রিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=431076141980729&id=100052350402509
উনচল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=435617384859938&id=100052350402509
চল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=440158787739131&id=100052350402509
একচল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=444880253933651&id=100052350402509
বিয়াল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=448896420198701&id=100052350402509
তেতাল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=457879069300436&id=100052350402509
ছবি : সংগৃহীত