হলদে_প্রজাপতি পর্ব-৩৬

0
235

#হলদে_প্রজাপতি
(প্রাপ্তমনস্কদের জন্য )
— অমৃতা শংকর ব্যানার্জি ©®

ছত্রিশ

( আগের অধ্যায়গুলোর লিংক অধ্যায়ের শেষে দেওয়া হল)

সেদিন শনিবার ছিল যেদিন ইন্দ্রাশিষ বাবুর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল, তিনি আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার। মাঝে চার-চারটে দিন কেটে গেছে অথচ তিনি কিছুই জানাননি। এমনকি একটা ফোনও করেননি । যে ভালো লাগার আবেশটা জড়িয়ে ধরেছিল আমায় , সেটা হারিয়ে গেছে। এখন বেশ বুঝতে পারি , চাপা বিরক্তি আর অনেকটা অস্থিরতা পেয়ে বসেছে আমায় । বাবার মতে, অন্য সমস্ত প্রস্তাবের মতোই বিয়ের প্রস্তাবেও প্রত্যাখ্যান আসতেই পারে । সেটা সহজভাবেই নেওয়া উচিত। তাই যদি হয়ে থাকে, প্রত্যাখ্যান করার প্রয়োজনই যদি পড়ে থাকে কোন কারনে , তাই বা কেন তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন না ? এই অনিশ্চয়তা কি ভালো লাগে? হাজার হোক, তাঁর সঙ্গে, তাঁর মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কটা যে আমার বড় সহজ, সুন্দর ছিল । পাতাও আসেনি এ ক’দিন । মুখে কিছু না বললেও বুঝতে পারি, বাবা বেশ চাপা অস্বস্তিতে ভুগছে। এদিকে ফোন করেও জানা যায় না । কারণ তিনি নিজেই জানাবেন বলে গেছেন । অস্বস্তিকর পরিবেশ । এই পরিস্থিতিতে কিছু করার থাকেনা অপেক্ষা করা ছাড়া। কারণ, বল আর আমাদের কোর্টে নেই ।

আজকে কাজের বেশ চাপ রয়েছে । বেশ কিছু বস্তা চা’পাতা জমে ছিল । সেগুলোকে ক্যাটেগরি ওয়াইজ ভাগ করে ফ্যাক্টরিতে পাঠিয়েছি । পাশের টি এস্টেটের টি ফ্যাক্টরিতে যে দিন স্টিমিং , কাটিং , প্যাকেজিং থাকে, সেদিন আমাকে যেতেই হয় । তার ওপর অ্যাসিস্ট্যান্ট যে ছেলেটি – মৃন্ময়, শিশির চলে যাওয়ার পর জয়েন করেছে, সে দুটো দিন ছুটি নিয়েছে। বাড়ি গেছে। তার মায়ের শরীরটা একটু খারাপ। সে কারণে আমাকেই ছুটোছুটি করে সবদিক সামলাতে হচ্ছে ।

বেলা প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ কাজ সেরে টি ফ্যাক্টরি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে চেপে বসলাম । আজকে সারাদিনে মোটামুটি যা প্যাকেজিং হলো, একটা গ্রস কাউন্ট লোড করে রাখতে হবে কম্পিউটারে। এই বিশেষ দিনগুলোর সারাদিনের একটা ছোট রিপোর্ট মালিক পক্ষকে পাঠিয়ে দিতে হয় । দেখি কাজটা কতক্ষনে শেষ হয় ।
জগন্নাথ দা’কে বললাম , তাড়াতাড়ি গাড়ি চালাও । যত তাড়াতাড়ি পৌঁছোতে পারি, ততই ভালো ।
গাড়িতে বসে শরীরটা যেন আর দিচ্ছিল না । ঘাড় হেলিয়ে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। আসলে যা হয়েছে, তা বোধহয় মানসিক ক্লান্তি । বেশ কিছুক্ষণ এভাবে বসে থাকে ব্যাগ থেকে মোবাইলটা বার করলাম। অন করতেই দেখি বেশ কয়েকটা মিসড কল । পাঁচটা মিসড কল এসেছে মোট । ফ্যাক্টরিতে থাকলে ফোনের শব্দ শোনা যায় না । এত বিভিন্ন রকমের মেশিন, তার এত বিচিত্র কান ফাটানো শব্দ ! মোবাইলের রিংটোন কানে পৌঁছবে কি করে ? মিসড কল’গুলো চেক করলাম । একটা আননোন নাম্বার থেকে কল’গুলো এসেছে । ট্রু কলার এ অবশ্য নাম দেখালো শ্রীপর্ণা দত্ত । শ্রীপর্ণা .. শ্রীপর্ণা .. নামটা খুব চেনা চেনা, তবে ঠিক মনে পড়ছে না । কল করে একবার দেখেই নিই , না ? এত ভাবার দরকার কি ? কিন্তু না, মনের মধ্যে কোথায় যেন একটা খচখচানি আরম্ভ হয়েছে। উৎস কোথায় ঠিক ধরতে পারলাম না । তবে শ্রীপর্ণা দত্ত নামের কে আমাকে ফোনগুলো করেছিল, সেটা সম্পর্কে একটা ধারণা না পেলে ঘুরিয়ে ফোন করতে ইচ্ছে হলো না ।
গাড়ি পৌঁছলো অফিসের সামনে । নেমে পড়লাম । তাড়াতাড়ি কম্পিউটারটা অন করে বসলাম নিজের সিটে । যত তাড়াতাড়ি আজকের রিপোর্টটা তৈরী করতে পারি , তত তাড়াতাড়ি বের হতে পারব । আজকে বেশ কাজের চাপ ছিল বলে সকাল সাড়ে আটটার সময় বেরিয়েছি বাড়ি থেকে । এখন সত্যিই শরীর আর দিচ্ছে না ।
খটা খট খট খট.. আমার আঙ্গুলগুলো টাইপ করে যাচ্ছে বটে, তবে মনে ফ্ল্যাশব্যাকে মাঝে মাঝেই শ্রীপর্ণা নামটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে । টাইপিং যখন মাঝপথে, হঠাৎ করে মাথায় ক্লিক করলো- আরে শ্রীপর্ণা তো বান্টির ভালো নাম ! অজিত কাকু , ভামিনী কাকিমার মেয়ে বান্টি ! ঠিক তো । যতদূর মনে পড়ছে , ওর বিয়ে হয়েছিলো সুপর্ণ দত্ত নামের একটি ছেলের সঙ্গে । সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার । ওরা ইউএসএতে শিফট করে গেছিলো । বান্টিরও মনে হয় সেম প্রফেশন । তবে কি ও এখন দেশে ফিরেছে? এখানেই আছে ? বহুদিন হয়ে গেল ওদের সম্পর্কে কোনো খোঁজখবর আর রাখিনা । অতীতকে ভুলতে চাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা । আজকে হঠাৎ এত বছর পর বান্টি আমার ফোন নাম্বার পেল কোথা থেকে না ? আকাশ-পাতাল ভেবে লাভ নেই ।‌ এখনই ঘুরিয়ে ফোন করতে হবে । হাতের কাজ থামিয়ে মোবাইলটা তুলে নিলাম। ঘুরিয়ে ডায়াল করলাম নাম্বারটা। রিং হচ্ছে। অজান্তেই মনের ভেতর কেমন যেন একটা ঝড় এসে উপস্থিত হলো । আজকে এতগুলো বছর পেরিয়ে আসার পর আবার কেন আমার খোঁজ করা ? স্মৃতির অতলে যেসব দিনগুলোকে কোনরকমে চাপাচাপি দিয়ে রাখতে চাই, তাকে যেন টেনে-হিঁচড়ে বার করে আলকাতরা মাখিয়ে আমার সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া।
— হ্যালো-
ওদিক থেকে মহিলা কন্ঠের আওয়াজ পেলাম । সে গলা যে বান্টির কি অন্য কারোর কিছুই বোঝার উপায় নেই । যখন এই মেয়েটার সঙ্গে লেপটে থাকতাম, তখন সে এইট নাইনে পড়া একটা ছিপছিপে কিশোরী । পাখির মতো কলকল করে বেড়ায়। আজ এত বছর পরে কি আর তার গলা মেলাতে পারি?
— হ্যালো ।
— হ্যাঁ তরুদি ? চিনতে পারছিস তুই আমায় ?
— পারতাম না , তবে মোবাইল অ্যাপস এর কারণে বোধহয় পেরেছি । বান্টি বলছো তো ?
— নাহ্ , দেখছি তুই চিনতে পারিস নি ।
আমতা আমতা করে বললাম , তবে কে ?
খিলখিল করে হাসির আওয়াজ এলো ওদিক থেকে ।
ও বলল, তুই কি রে ? আমাকে হঠাৎ ‘তুমি’ বলছিস কেন ? সবকিছুই কি ভুলে গেছিস ? আমাকেও কি মনে নেই ?
— বুঝলাম ।
এত বছর যার সাথে আর কোনরকম যোগাযোগ নেই, যে মেয়েটা আজকে সাকসেসফুলি এস্টাবলিস্ট , দেশের বাইরে থাকে, তাকে হঠাৎ করে ‘তুই’ বলতে কোথায় যেন বাধে ।
একবার গলা ঝাড়া দিয়ে বাধো বাধো গলায় বললাম, বল্ বান্টি কেমন আছিস ? কাকু, ইয়ে সরি, কাকিমা কেমন আছেন ?
— মা ভালো আছে । এজ রিলেটেড কম্প্লিকেশনস কিছু রয়েছে । বাট স্টিল , সি ইজ ওকে। বাই দ্যা ওয়ে, জেঠু জেঠিমা কেমন আছেন রে ?
— মা মোটামুটি ঠিকই আছে । কিন্তু বাবার শরীরটা মাঝে মাঝেই গন্ডগোল করে।
— আর বল্ , তোর স্টেটাস কি এখনো সেই একই , আই মিন সিঙ্গেল এন্ড স্টেবল ?
অল্প হাসলাম , হ্যাঁ তাই।
— বিয়ে করলি না আলটিমেটলি , তাইতো ?
— না । আপাতত সেরকমই ।
ওদিক থেকে বান্টি কিছু বলতে যাচ্ছিল, আমি প্রসঙ্গ চাপা দিতে বললাম ,
— তোর মিস্টারের খবর বল্। সুপর্ণ ভালো আছে ?
— যাক । তাও তোর আ্যটলিস্ট আমার হাজবেন্ডের নামটা মনে আছে । না, তাহলে বলতেই হয় , তুই অনেক কিছু মনে রেখেছিস। আমি তো তোকে ফোন করার আগে ভাবছিলাম, ফোন যে করব, মনে করতে পারবি তো ? বেমালুম ভুলে যাসনি তো?
— কি যে বলিস বান্টি?
— তোর হাবভাব জাস্ট লাইক দ্যাট , তরুদি । মাঝের এতগুলো বছরে তুই কোন কমিউনিকেশনস্ রেখেছিস বল তো ? সো মেনি মিডিয়াজ আর দ্যর , ইফ এনিওয়ান ওয়ান্টস্ টু কিপ এনি কাইন্ডা কমিউনিকেশন ।
— একচুয়ালি –
— নো , নো এক্সকিউজ প্লিজ , তরুদি । ইউ হ্যাভ টার্নড অফ দা কনট্যাক্টস ইন্টেনশনালি। সেটা বোঝাই যায় ।

চুপ করে রইলাম। এটা বোঝাটা খুবই স্বাভাবিক যে আমি ইচ্ছে করেই যোগাযোগ রাখিনি। কিন্তু ঠিক কোন মানসিক অবস্থায় একজন মানুষ তার লাইফের একটা হোল এপিসোড ডিলিট করে ফেলতে চায়, সেটা শুধুমাত্র সেই ছাড়া আর কেউ বুঝবে না । অন্য কাউকে বোঝাতে যাওয়ার কোন মানেই নেই।
বললাম , তোর ছানাপোনা কটা ?
— এইতো, দুটো । একটা ছেলে, একটা মেয়ে।
— বাহ্, একেবারে গোছানো সংসার ।
— তোকেই বা গুছিয়ে সংসার করতে কে বারণ করেছিল ? করিস নি তো আর কি হবে ?
— সবাই কি আর তোর মত ভাগ্য নিয়ে জন্মায় রে ? আমি সংসার করতে নামলে নির্ঘাত ছড়াতাম ।
— সে, উ্য নো, সংসারে সবাই একটু আধটু ছড়ায় । কেউ কম, কেউ বেশি । ডিপেন্ডস্ । তুই তো কাজটাতেই নামলি না ।
— বুঝলাম । তা এখন আছিস কোথায় ?
— তোর একদম ঘাড়ের ওপর আছি।
— মানে ?
— মানে এখানে ।
— এখানে ?
— হ্যাঁরে, এখানে কিছু এমার্জেন্সি কাজ পড়েছিল ।
— এমার্জেন্সি বলতে ?
— সেটা এই এখানকার সমস্ত বাড়িঘর বিক্রি রিলেটেড বেশ কিছু লিগাল প্রসিডিওর রয়েছে, সেসব করতেই বেশ কিছুদিনের একটা ছুটিতে এসেছি এখানে। এলাম এই টু উইকস হবে । জানতামই না তুই এখানে, এই এত কাছে রয়েছিস ।
— তারপর ? জানলি কিভাবে ?
ফোনের ওপাশ থেকে হাসির আওয়াজ এলো , বাব্বাহ্, তুমি এখানে খুব ফেমাস হয়েছো, জানো না তো । লেডি ম্যানেজার বলে কথা । এখানে কিছুদিন থাকলেই বাতাসে ঠিক তোমার কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে ।

হেসে ফেললাম ।
বললাম, তা বাতাসই কি ফোন নাম্বারটাও দিল ?
— হ্যাঁ , একদম । শোন তরুদি , এসব ফালতু কথা ছাড়্ । তুই আমাদের বাড়িতে কবে আসছিস বল ?
— তুই এখন আছিস কোথায় ? তোদের সেই-
— আমাদের সেএএই বাড়ি। যেখানে তুমি তোমার লাইফের ভাইটাল থ্রি ইয়ার্স কাটিয়েছো , ম্যাডাম ! এখন ভুলে গেলে চলবে ? কবে আসছিস বল্ ।
— আমি একচুয়ালি –
— তোর কোন কথা শুনছি না । আমি যা বলছি শোন । এতদিন পর তুই এত কাছে রয়েছিস জেনেও এবার তোর সঙ্গে দেখা না করে , আই ওন্ট রিটার্ন ব্যাক । নেভার , তরুদি । আসতেই হবে তোকে । তুই বল কবে আসবি , আমি গাড়ি পাঠিয়ে দেবো।
— আচ্ছা ঠিক আছে, জানাবো তোকে পরে।
— না পরে না , এখনি বল্ কবে আসবি ।
— বললাম তো –
— না , তুই বললে হবে না । আমি বলছি শোন । তুই স্যাটারডে আয়, ডে আফটার টুমোরো। সকালে গাড়ি পাঠিয়ে দেবো, চুপচাপ এসে আমাদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করবি। আর হ্যাঁ, নাইট স্টে করতে হবে । কতদিন , কত বছর হয়ে গেছে, বলতো ? মনে আছে সেই আমরা একসাথে শুয়ে কত্ত গল্প করতাম তখন ?
— আরে শোন্ না, মা-বাবা আছে তো এখানে , বাবার শরীরটা তেমন ভালো নয় ।
— সে হবে । তুই আগে আয় । এখান থেকে এইটুকু । কতক্ষণ টাইম লাগবে? হাফ আ্যন আওয়ার্স হবে। তেমন কোনো প্রয়োজন পড়লে তুই মাঝরাতেও চলে যেতে পারিস। ডোন্ট ও্যরী । সেসব কথা পরে হবে । এখন যেটা তুই আগে করছিস তা হল , পরশুদিন আমি গাড়ি পাঠিয়ে দেবো, সটান চলে আসছিস ।
— কিন্তু পরশুদিন তো শনিবার পড়ছে। অফিস রয়েছে ।
— তুই তো ম্যানেজার । ম্যানেজ করে নিবি ।
— সবকিছুই ম্যানেজ করতে হয় রে। কিন্তু ছুটি ম্যানেজ করা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট ।
বান্টি হাসলো । বলল , ছুটি ম্যানেজ করতে হবে না । একটু তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবি। সারাদিনের কাজ সেরে নিয়ে আমাকে শুধু টুক করে একটা ফোন করে দিবি । উইদিন হাফ আ্যন আওয়ার্স গাড়ি পৌঁছে যাবে । বুঝলি ?
অনিচ্ছাসত্ত্বেও বললাম , আচ্ছা ঠিক আছে রে। বেশ। তাই হবে।
হালকা হাসির আওয়াজ এল ওপাশ থেকে।
বললাম , রাখছি তাহলে এখন।
— ওক্কে বাই বাই , রাখ্ । সি ইউ সুন।

ফোনটা রেখে দিয়ে মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ বসে থাকলাম । চিন্তাভাবনাগুলো এলোপাথাড়ি ঘূর্ণির মতো পাক খাচ্ছে। ঝড় উঠেছে একটা । মনটা তেঁতো হয়েই ছিল । আরো দু পোঁচ করলার রস মিশলো তাতে । কেন যে এরা বোঝে না, মানুষ জীবনের যে সমস্ত অধ্যায় ভুলে থাকতে চায় , তাকে তা ভুলে থাকতে দিতে হয় । আমি যোগাযোগ রাখতে চাইনি বলেই তো রাখিনি । এইযে বান্টির সঙ্গে দেখা হবে, আর কে কে ওর সঙ্গে এখন এখানে আছে জানিনা , স্বামী ছেলে-মেয়ে তো নিশ্চয়ই থাকবে , হয়তো ভামিনী কাকিমাও রয়েছে । ওদের বাড়িতে থাকার সময়টুকুর মধ্যে আমি যে গর্ব করার মত কিছু ঘটিয়ে ফেলতে পারিনি। যা ঘটিয়েছিলাম, সবটাই চরম লজ্জার , কলঙ্কের । কেন আবার সে সমস্ত খুঁচিয়ে তুলে , ঝেড়েমুছে নব উদ্যোগে আমার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া ? আমি কি তাতে সুখী হব? নিশ্চয়ই না । এত বছর পর আমার মুখটা দেখেই বা ওর কি লাভ হবে জানিনা , তবে আমার অশান্তি বেড়ে যাবে অনেকখানি যে, তাতে কোন সন্দেহ নেই ।

ক্রমশ..

©®copyright protected

এক-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/978775899579141/

দুই-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/980083989448332/

তিন-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/981378992652165/

চার-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/983543179102413/

পাঁচ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/986002805523117/

ছয়-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/987404668716264/

সাত-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/989485091841555/

আট-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/991102821679782/

নয়-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/993099491480115/

দশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/994279738028757/

এগারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/995634347893296/

বারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/998832147573516/

তেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1000733104050087/

চোদ্দো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1002718000518264/

পনেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1004549847001746/

ষোল-

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1007202950069769&id=248680819255323
সতেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1009015169888547/

আঠারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1011129543010443/

উনিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1013312572792140/

কুড়ি-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1015118655944865/

একুশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1017814589008605/

বাইশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1019125995544131/

তেইশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1021798458610218/

চব্বিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1024967944959936/

পঁচিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1031476470975750/

ছাব্বিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1034632350660162/

সাতাশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1038754843581246/

আঠাশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1046967802759950/

উনত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1048831039240293/

ত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1051696202287110/

একত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1053606998762697/

বত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1060747584715305/

তেত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1064517157671681/

চৌত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1073169890139741/

পঁয়ত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1075303099926420/

ছবি : সংগৃহীত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here