Ex গার্লফ্রেন্ড পর্বঃ৩

0
1133

Ex গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ৩
#আবির হাসান নিলয়

জান্নাতঃকথা বলার সময় তুই সবাইকে তুই
করে সম্বোধন করিস ,কিন্তু নিলয়ের
বেলাতে তুমি আসে কোথা থেকে?চাচারে
গিয়ে বলবো তোমার মেয়ে প্রেম করে?
সাদিয়াঃতোরে বলছে আমরা প্রেম করি?
জান্নাতঃআমি বলিনি তোরা,আমি বলছি তুই
সাদিয়াঃদেখ জান্নাত উল্টাপাল্টা বলবি না
জান্নাতঃআমি মোটেও উল্টাপাল্টা বলছি না।
তুই আমার কসম করে বল।
সাদিয়াঃআমি….
জান্নাতঃওয়েট,তোদের দিয়ে বিশ্বাস নাই।
তুই নিলয়ের কসম করে বল।সালা কুত্তা যদি
মরেও যায় কিছুই হবে না।
সাদিয়াঃধুর,ছোট মাকে এখনি বলছি তোমার
মেয়ের মাথা ঠিক নাই।
জান্নাতঃযাও কোথায় চান্দু,আগে আমার
কথার উত্তর দিয়ে যাও।
সাদিয়াঃকি বলবো তোকে?
জান্নাতঃএইযে তুই নিলয়কে ভালোবাসিস
সাদিয়াঃআজাইরা,আমি কেনো ভালোবাসবো
জান্নাতঃতাহলে তুমি করে বলিস কেন?
সাদিয়াঃনিলয়ের সাথে আমি তেমন কথাই
বলি না,তাই তুমি করে বলি।
জান্নাতঃসত্যি তো?নাকি চাচাকে বলবো?
সাদিয়াঃতোর যা ইচ্ছা তুই কর,আমি গেলাম
জান্নাতঃকই যাবি?
সাদিয়াঃখাবো এখন
জান্নাতঃচল,আমারো ক্ষুধা লাগছে।
আর দাঁড়িয়ে না থেকে দুজন তাদের রান্না
ঘরে চলে গেলো।

******নিলয়ের কথা******
পরেরদিন,,,,,,,
ঘুম থেকে উঠে ফোন চালাচ্ছিলাম তখন
কিছু একটা মনে হতেই জান্নাতকে কল
দিলাম।রিং বেজে কেটে গেলে আবার দেয়ার
পর রিসিভ করলো….
জান্নাতঃকে আপনি?
আমিঃআমি
জান্নাতঃআমি কে ভাই?
আমিঃতোর শরিরের আত্মা
জান্নাতঃকুত্তা তুই
আমিঃহো কুত্তী
জান্নাতঃএতো সকালে কল দিছোস কেন?
আমিঃকিছু সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য
জান্নাতঃপরে কল দিস
আমিঃপরে পারুম না।
জান্নাতঃকি কইবি কো এহন
আমিঃআমাকে দেয়া সব কিছু কখন আর
কোথায় থেকে নিবি বল
জান্নাতঃবুঝলাম না
আমিঃআমাকে এযাবৎ যা কিছু দিছিস,সেসব
কখন আর কোথায় থেকে নিবি?
জান্নাতঃপুকুর পাড়ের ঐ বেঞ্চটাতে আসিস
আমিঃকখন?
জান্নাতঃআজ কলেজে যাবি না?
আমিঃতোর সিদ্ধান্তের উপর ডিপেন্ড করবে।
জান্নাতঃঠিক আছে,তুই ১১টার দিকে পুকুর
পাড়ে আসিস।আমি থাকবো।
আমিঃঠিক আছে,বাই
আর কোনো কথা না বলে কেটে দিলাম।
আজ যেহেতু আর কলেজে যাবো না তাই
৯টা অবধি ঘুমাইলাম।

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে নিলাম।
এখন প্রধান কাজ সব কিছু গোছানো,নিলুর
রুম থেকে কাটুন বক্স আনলাম।রুমে এসে
প্রথমেই জান্নাতের দেয়া সব ড্রেস ওখানে
তুললাম।যদি পরে কখনো পরি আর সেটা
যদি কোনো কারণে জান্নাত দেখে তাহলে
আমি শিওর ওখানেও আমাকে অপমান
করতে পিছুপা হবে না।সবগুলো ড্রেস নেয়ার
পর কিছু বই তুলে নিলাম।জান্নাত ছোট
বেলা থেকে বই পড়তে অনেক ভালোবাসতো।
বিশেষ করে এডভেঞ্চার বই ওর কাছে সব
থেকে প্রিয়।আমাকে অনেকগুলো বই গিফট
করার পাশাপাশি নিজের সব চাইতে প্রিয়
বই “জার্নি” গিফট করেছিলো।অন্যান্য বই
নেয়ার পাশাপাশি সেটাও তুলে নিলাম।
জান্নাতের দেয়া সব কিছু মিলে দুটো আলাদা
বক্স হলো।সব প্যাক করার পর আমিও
বাইরে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম।আজকেই
শেষ দেখা বলে কথা।সরি দেখা শেষ না,
কারণ দেখা তো এমনিতেই হবে।রিলেশনের
সমাপ্তি আজ,তাই একটু সাজগোজ না করলে
কেমন দেখায়?।

দুটো বক্স নিয়ে বাসা থেকে বের হবো তখন
আম্মুর সাথে দেখা।যদিও আম্মু আমাদের
সম্পর্ক কিছুটা আচ করতে পারছিলো সেই
শুরু থেকেই।কিন্তু কখনো এই বিষয় নিয়ে
আমাদের কাউকে কিছু বলেনি।
আম্মুঃএগুলোতে কি?
আমিঃপরিত্যাক্ত জিনিসপত্র
আম্মুঃদেখা আমাকে
আমিঃকি বলো আম্মু,আমার জিনিস তুমি
কেনো দেখতে যাবে।
আম্মুঃখারাপ কিছু তো নেয়?
আমিঃপাগল হয়েছো নাকি,আমি কি খারাপ
নিয়ে এমন বক্স ভরতি করবো শুনি।
আম্মুঃহুম
আমিঃআসছি ডার্লিং ?

আম্মুকে রেখে বাসার বাইরে এসে একটা
রিক্সা নিলাম।পুকুরপাড় যেতে খুব বেশি
সময় লাগে সেটা না।কিন্তু এমন বক্স টেনে
নেয়ার জন্য রিক্সা নিলাম।সেখানে যেতে
যেতে ১০ঃ৩৫ বেজে গেছে।বক্সগুলো সাথে
নিয়ে কিছু সময় বসে থাকার পর জান্নাত
আসলো।তবে আজ ওকে কেমন জানি
লাগছিলো।হয়তো বেশ খুশি আছে,আর
হবেই বা না কেনো।নিজের সব কিছু আজ
ফিরে যে পাচ্ছে।
আমিঃহাই
জান্নাতঃহাই,তুই সত্যি সত্যি আসছিস?
আমিঃদেখতেই তো পাচ্ছিস
জান্নাতঃআমি ভাবছি আসবি না
আমিঃতাহলে তুই কেনো এখানে আসছিস?
জান্নাতঃ…..
আমিঃবাদ দে,বস এখানে।
জান্নাতঃহুম
আমিঃকোথা থেকে শুরু করবো বুঝে উঠতে
পাড়ছি না।
জান্নাতঃবল সমস্যা নেই,আজকের পর থেকে
তো আর কিছু বলতে পারবি না।
আমিঃতুই কখনো আমার কথাকে সিরিয়াস
হিসাবে নিয়েছিস?
জান্নাতঃনা নিলে তোর সাথে রিলেশনে আমি
কিভাবে গেলাম?
আমিঃজান্নাত আমাদের ছোট বেলার কথা
তোর মনে আছে?যখন আমরা হাইস্কুলে
পড়তাম।আমরা ক্লাস ১০ এ আর তুই ক্লাস
৯এ ছিলি।
জান্নাতঃহুম
আমিঃএকদিন আমার এক্সিডেন্ট হয়েছিলো
তোর মনে আছে?
জান্নাতঃসেসব কথা কেনো তুলছিস?
আমিঃকিছু কথা মনে করিয়ে দিতে চাই।যখন
আমার এক্সিডেন্ট হয় তখন সবার আগে তুই
আমার কাছে এগিয়ে গিয়েছিলি।নিজের
হাত দিয়ে আমাকে ধরে সবার কাছে চিৎকার
করে সাহায্য চেয়েছিলি।যখন আমাকে
হাসপাতালে রাখা হয়েছিলো প্রতিদিন সকাল
বিকেল আমাকে দেখার জন্য ঐ হাসপাতালে
যেতিস।কিন্তু হাসপাতাল তোর একদমই
ভালো লাগতো না।কিন্তু আমাকে দেখার জন্য
পাগল হয়ে যেতি।যখন একটু সুস্থ হয়ে বাসায়
আসি,তখন সব সময় আমাদের বাসায় পরে
থাকতি।স্কুলেও ঠিকমতো যেতিস না।ঠিক
তখন আমি বুঝে গেছিলাম তুই আমার
জীবনে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। যেদিন আমাদের
বিদায় অনুষ্ঠান হচ্ছিলো সেদিন সবার চাইতে
তুই বেশি কান্না করছিলি।তখনো তুই তোর
ভালোবাসার কথা আমাকে বলিস নাই।কিন্তু
যখন তোকে রেখেই আমি কলেজে পড়তে
শুরু করি তখন বুঝতে পারছিলাম তুই
আমার জীবনে কতোটা জায়গা জুরে ছিলি।

এটুকু বলে একটা দীর্ঘশ্বাস নিলাম।আজকের
পর থেকে হয়তো ওর সাথে তেমন কথা হবে
না।তাই কথাগুলো হয়তো বলাও হবে না।
তাই জমিয়ে রাখা সব কথা আজ বলতে হবে।
আমিঃযখন তুই এসএসসি এক্সাম ভালো করছিলি
তখন তোকে একটা গিফট করেছিলাম।
মনে আছে সেটার কথা?
জান্নাতঃনা..(মাথা নিচু করে)
আমিঃএকটা কলম আর একটা ডাইরি।আর
ওসব তোর মনে থাকারও কথা না,অনেক
আগের কথা সেসব।কিন্তু একটা কথা কি
জানিস,যদি কেউ কাউকে ভালোবাসেস
থাকে কখনো সেই মানুষটা তার প্রিয়জনের
থেকে পাওয়া জিনিস ভুলে যায় না।হয়তো
তুই এখন বলবি,“তখন তো আমাদের কোনো
রিলেশনই ছিলো না”।হ্যা রিলেশন ছিলো না,
কিন্তু আমি তোকে তারও আগে থেকে আমার
করে রাখতে চাইতাম।যখন তুই ইন্টারে উঠলি
তখন আমাদের রিলেশন শুরু হয়।প্রপোজটা
আমি নিজেই করেছিলাম।কিন্তু তুই তখনি
হ্যা বলে দিয়েছিলি।তখন অবধি সব ঠিকই
ছিলো।কিন্তু তুই ইন্টার এক্সাম দেয়ার আগে
থেকে কেমন একটা চেঞ্জ হতে শুরু করলি।
আমার কথা তোকে যে বা যারাই বলতো
তুই সেটাই বিশ্বাস করতি আর সেটা নিয়ে
আমাকে বকাঝকা করতি।বিশ্বাস কর তোর
ঐ বকাঝকাকে আমি শাসন হিসাবে নিতাম।
ভাবতাম ভালোবাসিস তাই এমন করছিস।
কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিলো,তুই তো
আমাকে ছাড়ার জন্য ওসব বলতি।আমি
কি একবারের জন্যও তোকে বলতাম আমি
এই রিলেশনশিপ চাই না?বলিনি,সব সময়
তুই নিজেই ব্রেকআপের কথা বলতি।আর
আজ আমরা এখানে।

আর কিছু না বলে বক্স দুটো খুলে দিলাম।
আমিঃআমাকে দেয়া সব কিছু এখানে আছে।
ক্লাস ৯এ থাকতে তোর দেয়া কলম থেকে
শুরু করে কিছুদিন আগে যে শোপিস দিছিলি
সব এখানে আছে।তোকে বলার কিছুই নেই
আমার।ভালো থাকিস এটাই চাইবো।
জান্নাতঃনিল…..
আমিঃকিচ্ছু বলিস না।নতুন করে মায়াতে
জড়িয়ে কোনো লাভ নেই।
জান্নাতঃশুধু তুই ভালোবাসিস?আমি মনে
হয় তোকে ভালোবাসি না?
আমিঃভাসতি,কিন্তু এখন না।তোকে একটু
আগেই বলেছি।একটা সময় ছিলো যখন
আমার কিছু হলে তুই পাগল হয়ে যেতি।কিন্তু
এখন আর সেটা নেই।তুই আমার সাথে হ্যাপি
থাকতে পারছিস না আর।আমিও চাইনা
এমন ভালোবাসা….বাই

আর কিছু বললাম না।যদিও পেছন থেকে
জান্নাত অনেক ডাকছিলো কিন্তু এখন কথা
বলার মুড নেই।মুড বানানোর থেকে চলে
যাওয়াই ভালো।

এরমাঝে দুদিন হয়ে গেছে,আমি নিয়মিত
কলেজে আসলেও জান্নাত কলেজে আসে
না।তবে আগের মতো বিরক্ত করার মানুষটা
নেই।জান্নাতকে মিস করি ঠিক আছে,কিন্তু
নতুন করে নিজের বিপদকে ডেকে আনতে
চাই না।কলেজ মাঠে বন্ধুবান্ধব সবাই বসে
আছি তখন লক্ষ্য করলাম সাদিয়ার সাথে
জান্নাত আসছে।আমাদের দেখে দুজন কিছু
কথা বলে জান্নাত অন্যদিকে চলে গেলে
সাদিয়া আমাদের কাছে এসে বসলো।
মারিয়াঃজান্নাত কোথাও গেছিলো নাকি?
সাদিয়াঃকই নাতো
মারিয়াঃদেখিনা কিছুদিন তাই।
সাদিয়াঃজানিনা কি হয়েছে,সব সময় চুপচাপ
বসে থাকে।কারো সাথে কথা বলে না।যদি
কেউ কথা বলতে চায় শুধু তার সাথেই কথা
বলে।না হলে চুপ থাকে।
রিতাঃতাহলে এখানে আনলেই পারতি
সাদিয়াঃসেটাই বলছিলাম,কিন্তু আসলো না
রিতাঃকেনো?
সাদিয়াঃআমরা নাকি ওর সিনিয়র তাই।

সাদিয়ার কথা শুনে আমি ছাড়া সবাই
হেসে দিলো।আর হাসাটাই সবার স্বাভাবিক।
সে যাই হোক কিছু সময় আড্ডা দিয়ে ক্লাসে
গেলাম।ক্লাস শেষ করে ব্রেকটাইমে বাইরে
এসে দেখলাম জান্নাত আর একটা ছেলে
দাঁড়িয়ে কথা বলছে।দূরে দাঁড়িয়ে ওদের
কথাবলা দেখছিলাম।কিছুই শোনা যাচ্ছিলো
না।তবে জান্নাতকে দেখছিলাম,ভালো
লাগছিলো কারো সাথে তো কথা বলছে।
জান্নাতের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
হঠাৎ দুজনের চোখাচোখি হতেই আমি
আর সেখানে দাঁড়িয়ে না থেকে চলে আসতে
যাবো তখন জান্নাত দৌড়ে আমার কাছে
এসে হাত ধরলো।
জান্নাতঃআই লাভ ইউ
আমিঃহাহাহা,গুড জোক
জান্নাতঃআমি মোটেও মজা করছি না।এই
কয়েকদিন অনেক ভাবছি তোকে নিয়ে।
মানলাম আমার ভুল হয়েছিলো কিন্তু তুই
কেনো আগের মতো আমাকে মারতি না?
কেনো আমাকে শাসন করতি না?
আমিঃকাউকে মেরে ভালোবাসা আদায়
করা যায় না।
জান্নাতঃকিন্তু ভুলের শাস্তি তো পেতেই হয়।
আমিঃশাস্তি দেয়ার আমি কেউ না।
জান্নাতঃহয়তো তুই নিজেই,আর দেখো আমি
সেসব মাথায় রাখতে চাই না।আমি তোকে
ভালোবাসি সরি আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আর কখনো তোমাকে ভুল বুঝবো না।প্লিজ
এবারের মতো ক্ষমা করে দাও।
আমিঃতুই তোর রাস্তায় হাট,আর আমি
আমার রাস্তায়।এসব বাদ দে।
জান্নাতঃকবিগুরু কি বলেছে জানিস?
আমিঃকি?
জান্নাতঃক্ষমাই যদি করতে না পারো,তাহলে
কেনো তাকে ভালোবাসো?
আমিঃসব বানানো কথা
জান্নাতঃকসম বানানো না।
আমিঃভালো

জান্নাতের থেকে হাত ছাড়িয়ে চলে আসতে
যাবো তখন আবার আমার সামনে দাঁড়ালো।
জান্নাতঃক্ষমা করোনা প্লিজ?
আমিঃপারবো না,নতুন করে রিলেশনে যেতে।
জান্নাতঃতাহলে প্রথম থেকে শুরু করি চলো।
আমিঃপ্রথম শেষ কোথাও থেকেই শুরু করার
ইচ্ছা আমার নেই।
জান্নাতঃকরতে তো হবেই,আমি না হলে কেউ
তোমার জীবনসঙ্গী হতে পারবে না।
আমিঃদেখা যাক
জান্নাতঃদেখতেই পাড়বে।

আর কোনো কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে
চলে এসে ক্লাসে গেলাম।।বন্ধুবান্ধবদের
সাথে টুকটাক কথা বলার পর ব্রেক টাইম
শেষ হতেই অন্যান্য শিক্ষক এসে ক্লাস নিতে
শুরু করলো।সবগুলো ক্লাস শেষ করে সবাই
একসাথে বাইরে আসতেই দেখলাম জান্নাত
দাঁড়িয়ে আছে।
সাদিয়াঃচল
জান্নাতঃওরা যাবে না?
রাফিঃআমাদের সাথে তোর হাত কি?
জান্নাতঃবলনা
রাফিঃযাবো,তবে একটু দেরি হবে।
জান্নাতঃকি কাজ?
সাদিয়াঃসকালে তো বললি আমরা সিনিয়র
এখন আবার এতো প্রশ্ন কেনো?
জান্নাতঃপরে তোকে বলবো
সাদিয়াঃএখন চল,ওরাও আমাদের সাথে যাবে
মারিয়াঃচলরে,আজ ক্লান্ত লাগছে

সবাই মিলে হাটা ধরলাম।জান্নাত বার বার
কথা বলতে চাইলেও কোনো সুযোগ দিচ্ছি
না।কারণ এই মেয়ের মাথায় ভুত আছে।
কখন কি বলবে ও নিজেই জানে না।
বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে শুয়ে আছি তখন
জান্নাত কল দিলো।কল কেটে দেয়ার পর
আবার কল দিলো।বুঝতে পারলাম রিসিভ
না করা অবধি কল দিতেই থাকবে।তাই
আবার কল দেয়ার পর রিসিভ করলাম।
জান্নাতঃরিসিভ করছিলে না কেনো?
আমিঃকেনো করবো?
জান্নাতঃএকটু করলে কি হয়?
আমিঃঢং করা বাদ দে
জান্নাতঃকি করো?
আমিঃমানুষ কলেজ থেকে এসে কি করে?
জান্নাতঃক্লান্ত লাগছে?
আমিঃএকদমই না,তবে বিরক্ত লাগছে।
জান্নাতঃলাগলেও কিছু করার নেই,আমি
কল দেবোই।বকা দিলেও দেবো মাইর দিলেও
কল দেবো?

চলবে……..
Next না বলে,গল্প কেমন হয়েছে সেটা বলুন?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here