Mysterious Part 4

0
532

Mysterious
Part-4
Romoni

ইয়ান প্রথমে বলেছে ইয়ান একজন miracle explorer.
আর যখন ইয়ান তায়াশার ঘরে ক্যামেরা লাগিয়েছিলো,তখন তায়াশা ভেবেছিলো ইয়ান হয়তো বা তায়াশার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোকে রেকর্ড করে নিয়ে একটা থ্রিলার স্টোরি প্রকাশিত করবে।

কিন্তু পরে যখন তায়াশা জানতে পারে, ইয়ান একজন Invisible Island এর সদস্য, আর ইয়ানের মাঝে এক অদৃশ্য পাওয়ার আছে, আর এই ব্ল্যাক পেপারও এই Invisible Island এর একটা অংশ, তাহলে ইয়ানের তায়াশার ব্যাপারে সবকিছুই জানার কথা।
অথচ তায়াশার সাথে ঘটে যাওয়া সব কিছু ইয়ান তায়াশার মুখ থেকে শুনলো,আবার ব্ল্যাক পেপার সমন্ধেও প্রশ্ন করলো,আর তায়াশা ইয়ানের মাইন্ডও পড়তে পারছে না।
এর কারন কি?
ইয়ান এর সাথে কথা বলার সময় হঠাৎই তায়াশার মনে এই প্রশ্ন গুলো জাগে?
আর তাই তায়াশা ইয়ানকে কথা বলার সময় থামিয়ে দেয়, কেনোনা তায়াশার মনে থাকা প্রশ্নের উওর খোঁজার কাজে ইয়ান কথা গুলো বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল।
তবে তায়াশা এই বিষয় এ ইয়ানকে কোনো রকম প্রশ্ন করে না।

তায়াশা আর ইয়ান হাঁটতে হাঁটতে একটা গুহার সামনে আসে, তায়াশা গুহার সামনে থাকা পাথরটাতে স্পর্শ করতেই পাথরটা সরে গিয়ে একটা খুব সুন্দর কাঠের তৈরি দোতলা বাড়ি প্রতিস্ফুট হয়, আর ছায়া মানব গুলো একে একে এক স্বাভাবিক মানবের ন্যায় হয়ে যাচ্ছে।
তাদের মধ্যে একজন তায়াশার দিকে তাকিয়ে বলে,অবশেষে তুমি এলে।

তায়াশা বলে,আসতেই তো হোতো।
এতোগুলো বছর নিজের আসল আর্থ থেকে দূরে থেকেছি, আর কতো দূরত্ব রাখবো?
আর ইয়ান স্যার কিং এর কাছে চলুন, তাকেও যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার পাওয়ার ফিরিয়ে দিতে হবে।

–হুম আসুন। (ইয়ান)

এরপর ইয়ান আর তায়াশা সেই বাড়িটার একপাশে থাকা দুইটা বেশ লম্বাকার সিড়ির মধ্যে একটা সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে থাকে।
বাড়িটা খুব অদ্ভুত ভাবে গড়া, বাড়িটার একপাশেই দুইটা সিঁড়ি তৈরি, আর অন্য পাশে নানা রকমের ফুলের গাছ,বাহারি লতা দিয়ে ভর্তি।
বাড়ির সমস্ত কক্ষ বাড়িটার একপাশে অবস্থিত, আর একপাশে উঁচুনিচু সিঁড়ি ব্যাবস্থা,আর সিঁড়ির মাঝে মাঝে কিছু মাঝারি গড়ন প্রশস্ত জায়গা।

তায়াশা আর ইয়ান গিয়ে একটা ঘরের সামনে থামে, ইয়ান ঘরের দরজায় হালকা ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায়।
ঘরটা খুব বড়, ঘরের এক কোনে একটা মাঝারি খাট বিছানো,খাটের মাঝে অচেতন অবস্থায় রয়েছেন এক বৃদ্ধ।
আর ঘরের অন্যপাশে বিভিন্ন আসবাবপত্র দিয়ে সুজ্জিত করা, আর বাকি জায়গাগুলো খালি রয়েছে,সেখানো কোনো আসবাবপত্রের চিহ্ন মাএ নেই।

তায়াশা এখানে আসার পর থেকেই একটা বিষয় লক্ষ্য করেছে, এই জায়গাটা খুব অদ্ভুত ভাবে তৈরি।
এখানাকার বাড়িগুলোর একপাশে দুইটা করে লম্বাকার সিঁড়ি তৈরি,আর অন্য পাশে ঘর অবস্থানরত,বাকি মাঝ বর্তী অংশ ফাঁকা।
আর ঘরে রাখা জিনিসপত্রও দুই দিকে সাজানো, আর মাঝের অংশ ফাঁকা।
তায়াশা খুব অবাক চোখে এসবের উপর পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছে না।
হঠাৎ তায়াশার ওই ব্ল্যাক পেপারে থাকা চিহ্নের কথা মনে পরে, সেই চিহ্নটাও এই দ্বীপের মতোই আকা ছিলো।
চিহ্নটার দুইপাশেও কিছু অদ্ভুত নকশা করা, আর মাঝ স্থানে ফাঁকা।
তায়াশা বুজতে পারে ওই নকশাটার মতই এই দ্বীপটা তৈরি, আর মুহুর্তেই তায়াশার ঠোঁটে মৃদু হাসি ফুটে ওঠে, নিজের বোকামির জন্য।
তায়াশার নিজের আসল দুনিয়া ঠিক কিভাবে তৈরি, তায়াশা সেটা নিজেই আন্দাজ করতে পারে নি।
তায়াশা মনেমনে বলে, এই বিষয় বুঝতে এতোক্ষণ সময় লেগে গেলো আমার।
মুহুর্তেই তায়াশার ঠোঁটের হাসিটাও আরো একটু প্রশস্ত হয়।

ইয়ান তায়াশাকে এভাবে হাসতে দেখে বলে, আশা করি একটা প্রশ্নের উওর অন্তত পেয়েছেন?

–হুম। (তায়াশা)

এরপর ইয়ান আর তায়াশা সেই বৃদ্ধের সামনে গিয়ে বসে, তায়াশা বলে, আরো অনেকটা সময় আমাদের অপেক্ষা করতে হবে স্যার।
পূর্নিমা শুরু হতে আরো দুইদিন,তিনরাত।

–হুম, কিন্তু এই দুইদিন,তিনরাত খুব সাবধানে থাকতে হবে, বিশেষ করে কিং আর এই লকেটটাকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
রাফিম হিন যে কোনো সময় আমাদের জন্য বিপদের আগমন বার্তা নিয়ে উপস্থিত হতে পারে।
রাফিম হিন এতো সহজে হার মেনে নেওয়ার ছেলে নয়, আজ শুধু নিজের পাওয়ার হারিয়ে ফেলার ভয়ে তখন স্থান ত্যাগ করে চলে গেছে।

ইয়ান আর ইফান আগে থেকেই দুজন দুজনকে চিনতো, কারন ইয়ান একটা দ্বীপ রক্ষা করার চেষ্টায় ছিলো, আর ইফান সেটা ধ্বংস করার চেষ্টায়।
ইয়ান যে দ্বীপের সদস্য Ione Island, সে দ্বীপটা ধ্বংস করাই ইফানের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো।
কেনোনা সমস্ত Invisible Island এর মধ্যে এই দ্বীপটিই বেশি পাওয়ারফুল, আর এই দ্বীপটাকে ধ্বংস করতে পারলেই বাকি দ্বীপগুলো নিমিষেই শেষ করে দিতে পারবে।

তায়াশার বাড়িতে যখন ইয়ান ইফানের সামনে হোয়াইট পেপারটা ধরে ছিলো তখন ইফান সেখান থেকে চলে গেছিলো কারন,
ইফানের কাছে তখন ডেভিল পাওয়ার লকেটটা ছিলো না, কেনোনা ইফানের ডেভিল পাওয়ার লকেটটার পাওয়ার কার্যকরী ক্ষমতা কমে এসেছিলো।
কারন, তায়াশার সাথে দেখা করার জন্য যখন ইয়ান তায়াশার বাড়িতে আসছিলো তখন, ইফান ইয়ানকে বাঁধা দেয়, তবে ইয়ান কৌশলে হোয়াইট পেপারটা ব্যাগ থেকে বের করে ইফানের গলায় থাকা ডেভিল পাওয়ার লকেটে ছুয়িয়ে দেয়।

এই হোয়াইট পেপারের একটা বিশেষ ক্ষমতা আছে,এটা যদি কোনো ডেভিল পাওয়ার আহ্বানকারীর, ডেভিল পাওয়ার সংরক্ষিত রাখা আছে যে বস্তুতে সেই বস্তুতে ছোঁয়ানো হয়, তাহলে সেই বস্তুর কার্যকরী ক্ষমতা কমে যাবে, ইফানের ক্ষেএেও তাই ঘটেছে।
তাই ইফান ইয়ানকে বাঁধা দেওয়ার বদলে সেখান থেকে চলে যায়, গিয়ে যে স্থানে অবস্থানরত হয়ে ইফান ডেভিল পাওয়ার আহ্বান করে, সে স্থানে নিয়ে লকেটটা রেখে দেয়, আর এক রক্তিম আভা তৈরি করে দেয় লকেটটার উপর, যার দরুন লকেটটা আবার নিজের ক্ষমতা ফিরে পেতে শুরু করে।
কিন্তু ইয়ানকে ব্ল্যাক পেপার নেওয়ার থেকে আটকানোটাও জরুরি ছিলো,কারন ইয়ান যদি ব্ল্যাক পেপার আর হোয়াইট পেপার একএিত করে দেয় তাহলে, Ione Island এর কিং ডেভিলদের আক্রমণের কারনে নিজের যে ক্ষমতা হারিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় বেঁচে আছেন , এই পেপার দুটোর মিশ্রনের ফলে তাকে সম্পূর্ন ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া যাবে।
তাই ইফান লকেটটা সুরক্ষিত জায়গায় রেখে আবার ফিরে আসে ইয়ানকে বাঁধা গ্রস্থ করতে, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি,ইফান আবার ব্যর্থ হয় ইয়ানকে আটকাতে।

কারন, ইয়ান যদি সেই হোয়াইট পেপারটা ইফানের গায়ে ফের ছোয়াতো তাহলে ইফানের নিজের মধ্যে যতটুকু পাওয়ার আবদ্ধ করা ছিলো,ততটুকুও অকার্যকর হয়ে যেতো।
তাই ইফান তায়াশার বাসা থেকে বেরিয়ে চলে যায়।

তায়াশাকে কিং এর কাছে রেখে ইয়ান বেরিয়ে আসে ঘর থেকে, তারপর খুব সতর্কতার সাথে Invisible Cave এ যায়।
ইয়ানের যাএা পথে ইফানের দেখা পায় ইয়ান, কিন্তু তখন ইফানের কিছু করার নেই, শুধু ইয়ানের কাজ ইয়ানকে করতে দেওয়া আর অপেক্ষা করা ছাড়া।
কারন ইফানের ডেভিল পাওয়ার লকেট এখনো নিজের সম্পূর্ণ ক্ষমতা ফিরে পায়নি।
ইয়ান ইফানের এমন করুন দশা দেখে, ইফানের দিকে তাকিয়ে একটা দুষ্টু হাসি দিয়ে Invisible Cave এ চলে যায়।
আর ইফান ইয়ানের এহেন কাজে রাগে দুই হাত খুব জোড় দিয়ে মুঠোবন্দি করে রেখেছে।
কিছুক্ষণ পরে ইফান নিজের নির্দিষ্ট স্থানে ফিরে যায়।

ইয়ান Invisible cave এর ভেতরে একটা বক্সের মধ্যে চেইনটা রেখে, বক্সটাকে সুরক্ষিত অবস্থানে রেখে আবার দ্বীপে ফিরে আসে।

ইয়ান কিং এর ঘরে এসে দেখে তায়াশা নেই, ইয়ান নিজের Special Power এর সাহায্য খোঁজার চেষ্টা করছে তায়াশাকে, কিন্তু বারবার বাঁধা প্রাপ্ত হচ্ছে।

এরপর ইয়ান একটা অদৃশ্য দরজা তৈরি করে আবার তায়াশার ঘরে আসে, এসে দেখে তায়াশা জানালার গ্রীলে মাথা ঠেকিয়ে, আকাশের বুকে মিটমিট করে জ্বলন্ত তারাগুলোর পানে দৃষ্টিপাত করে আছে, ঘন কালো খোলা চুলগুলো বাতাসের ছন্দে তাল মিলিয়ে উড়ছে।

–তায়াশা!
ইয়ান তায়াশাকে বেশ গম্ভীর কন্ঠে ডাকে।

–স্যার আপনি, বসুন। (তায়াশা)

–কি সমস্যা আপনার? এভাবে না বলে চলে আসার মানে কি?
ইয়ান অনেকটা রেগে গিয়ে বলে কথাগুলো।

To be continue…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here