হৃৎপিণ্ড_২ (দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ) পর্ব ৩

0
502

#হৃৎপিণ্ড_২
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ
#পর্ব_৩
#জান্নাতুল_নাঈমা
_____________________
ইমন’কে অবাক করে দিয়ে ভয়ানক এক ঘটনা ঘটিয়ে ফেললো মুসকান। ইমন চৌধুরী’কে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে বিছানা থেকে নেমে বড়ো বড়ো পা ফেলে রুম ত্যাগ করলো সে। এমন ভয়ানক ঘটনার শাক্ষি হয়ে অপমানে চোয়াল জোড়া দৃঢ় হয়ে গেলো ইমনের। দু’হাতে বিছানার চাদর খামচে ধরে দুমড়েমুচড়ে দিতে শুরু করলো। কঠোর এবং স্থির দৃষ্টি জোড়া বদ্ধ করে রুদ্ধশ্বাস ত্যাগ করে যেই বিছানা থেকে ওঠতে যাবে ঠিক তখনি নজর পড়লো মুসকানের এন্ড্রয়েড মোবাইলের ওপর। তৎক্ষনাৎ নিচের ওষ্ঠে কামড়ে ধরে তার লম্বা বলিষ্ঠ হাতটি বাড়িয়ে মোবাইলটি নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিলো। সাইট বাটনে ক্লিক করতেই বুকের ভিতরটা ধক করে ওঠলো। মস্তিষ্ক মনকে খুবই তীক্ষ্ণ ভাবে জানান দিলো, মুসকান আর সেই ছোট্ট অবুঝটি নেই। সে এখন বড়ো হয়ে গেছে৷ কিশোরী তকমা অতিবাহিত করে যুবতী তকমা পেয়েছে, যে ছোট্ট মুসকানকে সে ভালোবাসা শিখিয়ে ছিলো সেই ছোট্ট মুসকানকে সে ভালোবাসার মাঝে দূরত্ব তৈরী করাও শিখিয়েছে। একদিকে যেমন সম্পর্কে গভীরতা ছিলো অতি নগণ্য অপরদিকে সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে আকাশ সমান। তাদের সম্পর্কের দূরত্ব’টা ঠিক এখানেই মাপা যায় আজ মুসকান তাকে তুমি ছেড়ে আপনিতে আঁটকে গেছে আর সে তুই থেকে তুমিতে। সামান্য দু’টো ওয়ার্ড আপনি এবং তুমি আজ তাদের সম্পর্কের দূরত্ব নিশ্চিত করতে যথেষ্ট নয় কি?
.
মুসকান প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে মরিয়ম আক্তারের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়লো। দশ মিনিটের ব্যবধানে তার চোখে ঘুমও নেমে এলো। রাতে যেহেতু স্লিপিং পিল খেয়েছে সেহেতু পুরো বারো ঘণ্টা না ঘুমালে তার চলবেই না। বাইরে থেকে মুসকানের এহেন কাণ্ড দেখে দিহান গ্লাসে পানি ভরে ঢকঢক করে খেয়ে নিলো৷ রিমি চুপচাপ সোফায় বসে আছে। একদিকে বাসার পরিস্থিতি অপরদিকে ঘুম এরা দুদিক থেকেই তাকে টানাটানি করছে। মুরাদ রিমির অবস্থা দেখে তাকে বললো রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে নিতে। তারপর মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো, সেও যেনো রিমির সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। তারপর ইশারা করলো দিহান কে। দিহান মাথা ঝাঁকিয়ে পা বাড়ালো মুসকানের রুমে। দিহান যখন মুসকানের রুমের দরজার সম্মুখে দাঁড়ায় ঠিক সে সময়ই ইমন মুসকানের ফোনটা গায়ের সর্বস্ব শক্তি দিয়ে মেঝেতে আছড়ে ফেলে। মূহুর্তেই ফোনটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। দিহান ভয়ে ডান হাত মুঠ করে মুখে চেপে ধরে। শঙ্কিত গলায় প্রশ্ন করে,

“ভাই রে ভাই এটা তুই কি করলি! মুসু জানলে… ”

বাকিটুকু বলার পূর্বেই ইমনের রক্তিম চোখ দু’টো নজরে পড়লো দিহানের। সঙ্গে সঙ্গে ভয় জড়ানো মুখে জোর পূর্বক হাসি টেনে বললো,

” না না যা করেছিস একদম ঠিক করেছিস। ” বলেই বোকা বোকা হাসতে শুরু করলো।

ইমন দৃঢ় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,

“ইয়েস একদম ঠিক করেছি। যে মোবাইল ফোনে আমার কল রিসিভ হয় না যে মোবাইল ফোন ইমন চৌধুরীকে অগ্রাহ্য করে তার পরিণতি এর থেকে ভালো হতে পারে না। ”

হেঁচকি ওঠে গেলো দিহানের গুটিগুটি পায়ে রুমের ভিতরে ঢুকে ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া ভঙ্গিতে ইমনকে কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করলো। তারপর বললো,

“দোস্ত মুরাদের এতোগুলা টাকা তুই এমন নির্দয় ভাবে নষ্ট করলি! মোবাইলের দোষ কি বল আসল দোষী তো তুই নিজে। কাজ টা ঠিক করলি না মুসকান এবার আরো ক্ষেপে যাবে। ”

“কেন ওর ক্ষেপার মতো কি হয়েছে এখানে? রাগ কি এমনি এমনি ফোনের ওপর খাটালাম নাকি। যদি ক্ষেপেই যায় অযথা ফোন ভাঙলাম কেন ওকেই ভেঙে দেই!”

” আরে ব্রাদার না না এমন করিস না বাচ্চা মানুষ তো। ”

আচমকাই গম্ভীর হয়ে গেলো ইমন। বললো,

“হুম সেজন্যই বেঁচে গেছে নয়তো মেরে বস্তা ভরে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে আসতাম। ”

“তুই কি ওর রাগ ফোনের ওপর ঝারলি এটা শুনলে তো অনেক রেগে যাবে। ”

” কি করে শুনবে? এখানে যা হলো আমি আর তুই ছাড়া কেউ জানবে না। যদি জানে তো… ”

বলেই দিহানের দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো ইমন। দিহান এক ঢোক গিলে বললো,

“আরে আরে আমি তো জানিই না মুসুর মোবাইল কে ভাঙলো আমি কিছু দেখিইনি। ইমন চৌধুরীর মতো খাস হিটলার বন্ধু যার আছে সে তো অন্ধ আর বোবা হয়েই থাকবে তাইনা!”
.
দুপুর এগারোটায় ঘুম ভাঙলো মুসকানের। ঘুম থেকে ওঠতে না ওঠতেই মায়ের বকুনি শুনে কান ঝালাপালা হওয়ার উপক্রম৷ মরিয়ম আক্তার প্রচন্ড চেঁচিয়ে বলছেন,

“টাকা কি গাছে ধরে? নাকি আমি আর তোর ভাই টাকার গাছ যে যখন খুশি মেজাজ দেখিয়ে ওটা সেটা ভাঙবি আবার প্রয়োজনে গাছে ঝাঁকি দিয়ে টাকা ফেলবি আর ভাঙবি? ”

মায়ের কথার প্রতুত্তরে একটি বাক্যও ব্যয় করলো না মুসকান। নিঃশব্দে বসার ঘর থেকে নিজের ঘরে চলে গেলো। মুসকানের এমন ভাবলেশহীন আচরণ দেখে মরিয়ম আক্তার তাজ্জব বনে গেলেন। তার মেয়েটা দিনকে দিন এমন অনুভূতি শূন্য হয়ে পড়ছে কেন? এতোগুলা বকা শুনেও একটি উত্তর দিলো না? কি নিয়ে বকা হচ্ছে সেটুকু তো জানতে চাইবে নাকি ফোন ভাঙার জন্য বকছে বুঝতে পেরেছে? তাই হবে নিজে ফোন ভেঙেছে অথচ বুঝবে না কেন বকা হচ্ছে? ভেবেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো মরিয়ম আক্তার। এদিকে মুসকান রুমে ঢুকে টেবিলের ওপর ভাঙাচোরা মোবাইল টা দেখে আঁতকে ওঠলো। পায়ের স্পীড বাড়িয়ে মোবাইল টা ধরতে গিয়েও ধরলো না। সুক্ষ্ম কাচ বিঁধে যাওয়ার ভয়ে। কয়েক পল নির্নিমেষ দৃষ্টিতে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর ছোট্ট একটি নিঃশ্বাস ছেড়ে মৃদু হেসে ওয়ারড্রব থেকে জামাকাপড় নিয়ে বেরিয়ে রুমের পাশে বাথরুমে ঢুকে পড়লো।

তিনটা নাগাদ স্টুডেন্টসরা নৃত্য অনুশীলন করতে আসবে। কিন্তু মুসকান নিজের জমানো হাজার পাঁচেক টাকা থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে দুপুর একটায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো। ইমনদের বাড়িতে আজ সকলের দাওয়াত রয়েছে। জুম্মার নামাজ পড়েই মুরাদ মরিয়ম আক্তার রিমি আর মুসকানকে নিয়ে বের হবে ঠিক করেছিলো। কিন্তু মুসকান যে এতো আগেই বেরিয়ে যাবে ভাবতে পারেনি কেউ৷ মেয়ের আচরণে হতবাক হয়ে মরিয়ম আক্তার বসার ঘরে চোখে মুখে বিতৃষ্ণা ফুটিয়ে তুলে বসে আছেন।
.
ছোট্ট একটি রেষ্টুরেন্ট নাম ফুড ভিলেজ সেখানেই বসে আছে মুসকান৷ ভেবেছিলো পনেরোশো, ষোলশো টাকার মধ্যে একটা বাটন ফোন কিনবে৷ শুক্রবার তারওপর নামাজের টাইম তাই আর কেনা হলো না৷ রাগের মাথায় টাকা নিয়ে গটগট করে বেরিয়ে এসেছে ঠিকি কিন্তু বারের দিকে, সময়ের দিকে একদমই খেয়াল ছিলো না। রাতে খায়নি সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলো এখনো এক ফোঁটা পানি পরেনি পেটে শরীরটা কেমন অসাড় হয়ে আসছিলো তাই কিছু খাওয়ার জন্যই ফুড ভিলেজে এসে বসেছে।

চিকেন উইংস, পাস্তা, সাথে একটা কোল্ড ড্রিংক খেয়ে বিল মিটিয়ে স্কুলে চলে যায় মুসকান। স্কুলে প্রায় তিন ঘন্টা সময় কাটায় সে৷ এই তিন ঘন্টার মধ্যে মাত্র এক ঘন্টা ক্লাস নিয়েছে সে৷ ক্লাস শেষে সকলকে নিয়ে একসঙ্গেই স্কুল থেকে বেরিয়ে আসে ৷ গেটের বাইরে পা ফেলতেই চোখ আঁটকে যায় কয়েক কদম সামনে সাদা চকচকে গাড়িটার দিকে। আচমকাই বক্ষঃস্থলে কম্পন ধরে। গলা শুকিয়ে কাঠ কাঠ অবস্থা। কোন রকমে এক ঢোক গিলে নিজেকে সামলে নিয়ে বাম দিকের রাস্তায় পা বাড়ায় যদিও তার বাসা ডানদিকে। কিন্তু ইমনের উপস্থিতিতে তার অবস্থা এতোটাই আশঙ্কা যুক্ত হয়ে পরেছে যে বাসা কোনদিকে সেটাই ভুলে গেছে। লক্ষ্য কেবল একটাই তাকে এগোতে হবে। ইমনের চোখের আড়ালে যেতে হবে। তার আশেপাশে ইমনের অস্তিত্ব থাকা মানেই তার জীবন সর্বনাশময় হয়ে যাওয়া। বেচারী এতোটাই হতবুদ্ধি হয়ে গেছে যে একটা রিকশা অবদি নিতেও ভুলে গেছে। এদিকে ইমন বড়ো বড়ো পা ফেলে সমান তালে ‘মুসকান, মুসকান’ ডেকেই চলেছে। এক পর্যায়ে ইমন ধরে ফেলে মুসকান কে। হাত টেনে রাস্তার একপাশে দাঁড় করিয়ে ধমকে ওঠে। দাঁতে দাঁত চেপে প্রশ্ন করে,

“এটা কি ধরনের বেয়াদবি মুসকান!”

কেঁপে ওঠে মুসকান হাত মোচড়াতে মোচড়াতে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় ইমনের দিকে৷ মূহুর্তেই তার দৃষ্টি ম্লান হয়ে যায়। মাথা নত করে কেবল হাত মোচড়াতে মোচড়াতে বলে,

“হাত ছাড়ুন রাস্তা ঘাটে মেয়ে দেখলেই হাত ধরে বসে থাকেন বুঝি ”

আশেপাশে নজর বুলিয়ে হাত ছেড়ে দিলো ইমন। সমস্ত রাগ ধামাচাপা দিয়ে শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিবিড় ভঙ্গিতে বললো,

” আমার সঙ্গে আমার বাড়ি চলো সবাই ওয়েট করছে।”

ইমনকে দ্বিতীয় দফায় অবাক করে দিয়ে মুসকান পায়ের গতি বাড়িয়ে সামনের দিকে আগাতে লাগলো। ইমনও সঙ্গে সঙ্গেই মুসকানের সঙ্গে পায়ে পা মিলাতে শুরু করলো। ব্যস্ত পায়ে চলতে শুরু করলো দু’জনই। এরই মাঝে ইমন বললো,

” এদিকে কোথায় যাচ্ছো? ”

মুসকান এক পলক ইমনের দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো। ইমনের ঐ প্রগাঢ় দৃষ্টি’তে দৃষ্টি মিলানোর সাহস তার হয়ে ওঠলো না। তবে এতোগুলো দিন পর ইমনকে দেখতে পেয়ে বুকটা প্রশান্তি’তে ভরে ওঠলো৷ সেই সাথে আরো একটা জিনিস লক্ষ্য করলো ইমন আগের চেয়েও দ্বিগুন সুদর্শন হয়েছে। গায়ের রঙটাও বেশ চড়া হয়ে গেছে৷ তার সাথে বুঝি আরো বেশী বেমানান লাগছে ইমনকে ভাবতেই বুকের ভিতর চিনচিন করে ওঠলো। আড় চোখে আরেক পলক ইমনকে দেখে নিয়ে লম্বা এক শ্বাস ছাড়লো। শুনেছিলো বয়সের সাথে সাথে মানুষের শারীরিক পরিবর্তনও ঘটে। কিন্তু ইমনের পরিবর্তন টা তার খুব একটা পছন্দ হলো না। হবে কি করে এই পরিবর্তন যে তাকে সময়ে অসময়ে জ্বালিয়ে খাক করে দেবে৷ তার বেশ সন্দেহ হলো মানুষ টা কি শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির ওপর পিএইচডি করতে গিয়েছিলো? নাকি বয়স কমানোর ওপর?

মুসকানের ভাবনায় ছেদ পড়লো গুড়িগুড়ি বৃষ্টির ফোঁটায়। ইমন তখনো তার সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে তার দিকে দৃষ্টি স্থির রেখে হাঁটছিলো। কিন্তু হঠাৎই যে বৃষ্টির আগমণ ঘটবে বুঝতে পারেনি। সকাল থেকে অবশ্য আকাশের অবস্থা বেশ খারাপ। আকাশ খারাপ পজিশনে আছে আর বৃষ্টি আসবে না তাই কখনো হয়!

“মুসু বৃষ্টি পড়ছে থামো কোথায় যাচ্ছো এভাবে? ”

কিছুই বললো না মুসকান সে হেঁটেই চলেছে। এদিকে বৃষ্টির বেগ বেড়ে গেলো। উপায় না পেয়ে ইমন ধমকে ওঠলো। বললো,

“তুই হাঁটা থামাবি নাকি আমার অন্য ব্যবস্থা করতে হবে? ”

“আপনি কেন আসছেন? চলে যান আমি আমার প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় জায়গায় যাচ্ছি। ”

ঝড়ঝড়িয়ে বৃষ্টি নামতে শুরু করলো। দু’জনেরই পুরো শরীর ভিজে একাকার অবস্থা। কাঁধের ব্যগটা মাথায় চেপে কোনমতে বৃষ্টি ফেরানোর চেষ্টা করছে মুসকান। রাগে ইমন এবার নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললো। আশেপাশে নজর বুলিয়ে দু’একটা দোকানের সামনে অল্পসংখ্যক লোকজন দেখতে পেলো। রাস্তা ঘাটে তেমন মানুষ নেই বললেই চলে। থেকে থেকে দু’একটা বাস,ট্রাক চলছে। সব কিছু দেখে এবং বুঝে নিয়ে মুসকানের বাহু টেনে ধরে চিবিয়ে চিবিয়ে বললো,

“বৃষ্টি’তে ভিজছিস কেন? ঠান্ডা লাগিয়ে চৌদ্দ গুষ্টি শুদ্ধো লোককে ভোগাবি ইডিয়ট! ”

বলেই পাঁজা কোল করে পিছন ঘুরে দ্রুত পা বাড়ালো স্কুলের সামনের উদ্দেশ্যে। কারণ সেখানেই তার গাড়ি রয়েছে। ইমনের বলিষ্ঠ দেহের শক্তির সামনে মুসকান ক্ষুদ্র এক পীপিলিকাই বটে। সামান্য পা নাড়ানোর উপায়ও পেলো না। একদিকে ইমন তাকে জড়োসড়ো করে নিজের সঙ্গে চিপকে রেখেছে। অন্যদিকে ভেজা শরীরে ইমনের পুরুষালী দেহের সঙ্গে লেপ্টে থেকে পুরো শরীর অসাড় হয়ে যাচ্ছে। মুখ দিয়ে কিছু তিক্ত বুলি উচ্চারণ করতে গিয়ে অনুভব করলো তার গলার স্বরও থমকে গেছে। উপায় না পেয়ে ওভাবেই ইমনের বক্ষস্থলে চিপকে রইলো। এগুতে এগুতে এক পর্যায় ইমন নিজের মাথা টা মুসকানের দিকে ঝুঁকিয়ে দিলো। যেনো বৃষ্টির ফোঁটা গুলো মুসকানের মাথায় না পড়ে। তবুও রক্ষা হলো না তার চিবুক বেয়ে পানি টপটপিয়ে মুসকানের কপালে পড়তে লাগলো।

চলবে….
সকলেই রেসপন্স করবেন নয়তো বুঝবোনা পাঠকরা গল্পটি পছন্দ করছে কিনা। লাইক কমেন্টের ওপর ভিত্তি করে যদিও আমি লিখিনা কিন্তু লাইক কমেন্টের ওপর ভিত্তি করে অবশ্যই নিয়মিত গল্প দেওয়ার চেষ্টা করি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here