হৃদয়হরণী পর্ব ৭

0
665

#হৃদয়হরণী
#কলমে সৌমিতা
#পর্ব-৭

-সবাই তাড়াতাড়ি কর,,পুলকের হলুদ দেওয়া শেষ হলে তারপর সেই হলুদ অদ্বিতীয়া দের বাড়িতে যাবে,,,আর বাড়ির মেয়ে গুলো কোথায় গেল একটাকেও যদি কাজের সময় পাওয়া যায়,,,পেখম,, পেখম,,,

-হ‍্যাঁ বলো মা কি বলছো(ডালা হাতে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে আসে)

-বলছি গায়ে হলুদের তত্ত্ব গুলো সব দেখে নিয়েছিস তো মা,,,কোনো কিছু যেন কম না থাকে আর হ‍্যাঁ কালকের মতো যেন একটাও ফেলে না যায় সেটা দেখিস,,,

-ঠিক আছে মা দেখে নেবো,,তুমি একটু চুপ করে বসো তো,,,শরীর খারাপ আবার না হয়ে যায়,, আমরা সবাই আছি,,,বলেই একটা গ্লাসে নুন চিনির জল মিশিয়ে মাকে দিলো,,,এটা খেয়ে নাও ভালো লাগবে,,,আবার মনে হয় বৃষ্টি হবে বুঝলে মা,,,তুমি বরং একটু বিশ্রাম নাও,আমি ঐদিকে যাচ্ছি,,,

-কিছুক্ষণ পরে হলুদকোটা অনুষ্টান শেষ করে পুলকের গায়ে হলুদ শুরু হয়ে যায়,,,আজ সব মেয়েরা হলুদ রঙের শাড়ি আর ছেলেরা হলুদ রঙের পাঞ্জাবী পড়েছে,,,

-পেখম আজ হলুদ রঙের জামদানি শাড়ি পড়েছে,,তার সাথে ম‍্যাচিং করে ঝুমকো আর চুড়ি পড়েছে,,,পায়ে আলতা পড়ে তার সাথে মিলিয়ে নূপুর পড়েছে। টানা ঐ মায়াময় চোখ দুটো তে কাজল আর লাইনার দিয়েছে আর তার সাথে হালকা মেকআপ,,, উচুঁ করে খোঁপা করে তাতে বেল ফুলের চেন দেওয়া,,, এক কথায় অপরূপ লাগছে ওকে,,,,

-প্লিজ প্রিয়া অল্প করে হলুদ দে এখনো ঐ বাড়ি গেলে হলুদ মাখতে হবে,,,(পেখম)

-হ‍্যাঁ জানি,,তারপর সবাই সবাইকে হলুদ মাখিয়ে দিলো,,পুলককে তো পেখমের বন্ধুরা আর পুলকের বন্ধুরা মিলে হলুদ জলে স্নান করিয়েছে,,,এর মধ্যে পুলকের কয়েকজন বন্ধু যারা out of country থাকতো তারাও এই বিয়েতে যোগদান করেছে,,,আর সব থেকে বড়ো কথা হল তারা সবাই পেখম ও পেখমের বন্ধুদের সাথে মাত্র কয়েক ঘন্টা আলাপে বেশ ভালোই ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে,,,

-মিস পেখম kindly একটু শুনবেন,,(ঋষি)

-ও হ‍্যাঁ বলুন,,

-আসলে আমার মানে আমাদের সব বন্ধুদের ল‍্যাগেজ টা কোথায় রাখবো যদি একটু বলতেন,,( ‌‌‌‌ ঋষি)

-আপনি আমার সাথে আসুন আমি দেখিয়ে দিচ্ছি,,

-এই ঋষি ল‍্যাগেজ নিয়ে কোথায় যাচ্ছিস,,(মৈনাক)

-এই তো রাখতে যাচ্ছি ,দেখতে পারছিস না,,,(ঋষি)

-ওও পেখম বোনু ভালো আছো?? তুমি কিন্তু অনেক বড়ো হয়ে গেছো,,,(মৈনাক)

-ভালো আছি মৈনাক দা,,,

-পেখু তুই এইদিকে কি করছিস?? ও তোরা এখানে ভালোই হয়েছে,,,পেখু তোর হয়তো এদের কারোর মনে নেয়,আমি পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি,, ও হলো ঋষি একজন ডাক্তার,, আর ও হল কুশল পেশায় একজন শিক্ষক,, আর এ হলো নয়ন পেশায় একজন উকিল,,, আর ও হলো নিষ্প্রভ পেশায় একজন successful business man ,,এরা সব out of country থাকে,,,আর একে তো তুই চিনিস মৈনাক,, ইনি একজন psychologist ইনি out of town থাকেন,,,(পুলক)

-উফফ ভাই পুলক এবার একটু দম নে ভাই,,,তোর বোনের সাথে আমরা নিজেরাই পরিচয় করে নিতাম(কুশল)

-দাভাই একটু ওই রকম,, আপনারা ফ্রেশ হয়ে নিন,,,ওটা আপনাদের রুম,,,আমি খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছি,,, দাভাই তুই চল আমি তোকে জামা বার করে দি,,,(বলেই পুলককে নিয়ে পেখম চলে যায়)

-কি রে চল এখানে এইভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?? সবাই তো চলে গেল(ঋষিকে উদ্দেশ্যে করে মৈনাক বলল)

-আমার মনে হয় something something,, (কুশল)

-হ‍্যাঁ কি বলিস কি??(নিষ্প্রভ)

-উফফ চুপ কর তোরা ।কোনো something something না,,(ঋষি)
____________________________________________

-আবির একটু বাবাকে রান্নার ওখানে যেতে বল তো,,

-ঠিক আছে বলছি,,,হ‍্যালো পুলক ওরা যেটা করলো ঠিক করলো বল?? ওদের তো এই বাড়িতে থাকার কথা,,এইদিকে এরা সব চলে এসেছে,,,(আবির)

-আরে সবাই একসাথে এই জায়গায় থাকলে সমস্যা হবে তো থাকার ওই জন্য ওরা দুটো টিমে ভাগ হয়ে গেছে,,একটু পরেই যাচ্ছে সব ঐ বাড়িতে চিন্তা করিস না,,,(পুলক)

-এ কে কোথায় আছিস শাঁখ বাজা উলু দে,,,হলুদের তত্ত্ব এসেছে,,,(আবিরের মাসি)

-মিতা হলুদের তত্ত্বে দেখ পেখমের জন‍্যে ওরা শাড়ি পাঠিয়েছে,, ওটা তীয়াকে পড়িয়ে দিস,,

-ঠিক আছে মাসিমনি ,,চিন্তা করো না,,(মিতা)

-এই তীয়া তোর দাদার বন্ধুরা এসেছে,,কিছু জন পুলকদের বাড়ি উঠেছে দেখলাম,, পুলককে কি করে চেনে ওরা??(মৌ)

-আরে ভাই ভুলে কেন যাচ্ছিস ওরা সব এক স্কুলেই পড়তো,,,বড়ো হয়ে সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে,,আমার বিয়ে উপলক্ষে দাভাই পুলককে বলে সবাইকে ইনভাইট করেছে,, বলছে যে এই সুযোগে একটা গেট টুগেদার হয়ে যাবে(তীয়া)

– by the way তীয়া তোর ননদকে দেখছি না তো??(তুর্য)

-এই শোন তুর্য ও কিন্তু তোর বোনের বয়সী( মিতা)

-তুই আমার বন্ধু না শালা তুই আমার দুশমন(তুর্য)

-তীয়াকে রেডি করিয়ে দিয়ে সবাই হলুদের ওখানে নিয়ে যায়,,,তারপর হলুদ ছোঁয়ায় এক এক করে সবাই,,,
_________________________________________
আবির আজ ভীষণ ব‍্যস্ত তবুও ওর চোখ দুটো প্রেয়সীকে দেখার জন্য ব‍্যাকুল হয়ে যাচ্ছে,, বার বার মন বলছে সে কি আসবে না?? তার মেহেন্দীতে রাঙা হাত দুটো দেখাবে না?? তবে কি সে মেহেন্দী পড়ে নি হাতে,,মুহূর্তেই মনটা খারাপ হয়ে যায় ওর,,,,

-আবির ওরা কখন আসবে বলতো ইয়ার,,, ফোন করছি তা রিসিভ করছে না,,(কোস্তব)

-হ‍্যাঁ দেখ ছেলে গুলো কি শয়তান,, আমাদের বলে কি না ওরা কালকে এসেছে,,(টিনা)

-আবির আমার না ভেবেই খুব আনন্দ হচ্ছে যে আবার সবাই একসাথে আমরা,,(রুহী)

-ঐ দেখ দেখ কে আসছে ,,,আরে ওটা পুলকের বোন না,,,মাশাআল্লাহ কি মিষ্টি দেখতে হয়েছে ,,,আর দেখ সবগুলো ওকে ঘিরেই আসছে,,,লুচ্চা গুলোর লুচ্চামি কমবে না,,(খুশী)

-আরে পুলকের বোনটার যেন কি নাম?? ও হ‍্যাঁ মনে পড়েছে পেখম,,,she is so beautiful (ইশান)

-এতক্ষণ এদের কথা শুনে রাগে আবিরের শরীর জ্বলে যাচ্ছিল,, পিছন ফিরে দেখে পেখম কে একদম অপরূপ লাগছে,,,প্রথমে নজর যায় ওর হাত দুটোতে,,,মেহেন্দীর দরুন হাত দুটো রাঙা হয়ে আছে,,,কিন্তু পরক্ষণেই আবার চোয়াল শক্ত হয়ে যায় ওর ,যখন দেখে ওর বন্ধুদের সাথে হেসে হেসে কথা বলে এই দিকেই আসছে,,আর ওর সব বন্ধুরা ওকে চোখ দিয়েই গিলে খাচ্ছে,,,,

-এতক্ষণে আসার সময় হলো তোদের,,, কোথায় তাড়াতাড়ি আসবি,,,পেখম কেমন আছো তুমি?? তোমাকে কিন্তু দেখতে আজকে মাশাআল্লাহ লাগছে,,by the way আমাকে চিনতে পারছো তো??(খুশী)

– হ‍্যাঁ চিনেছি,,ভালো আছি খুশী আপু,,,(পেখম)

– hey beautiful girl আমাদের দিকেও একটু দেখো,,,দেখোতো আমাদের চিনতে পারছো কি না??(ইশান)

-ও না চিনলেও তোরা তো আছিস ঠিক নিজেদের চিনিয়ে নিবি শয়তানের দল,,পেখম আমি রুহী,,,আর ও টিনা,,,(রুহী)

-hi sweet আমি কোস্তব,, nice to meet you dear,,

-সবাইকে হ‍্যালো,, এখন সবাই চলুন হলুদ শুরু হয়ে গেছে,,, বৌমনি আমাকে খুঁজছে হয়তো,, খুশী আপু আর তোমরা যাবে (মেয়েদের কে উদ্দেশ্য করে)
___________________________________________

-তোর এতক্ষণে আমার কাছে আসার সময় হলো??

-বৌমনি রাগ করছো কেন?? ঐ বাড়ির সব কিছু তো আমাকে সামলাতে হচ্ছে,,ঐ জন্যে তো আগে আমি এদের পাঠিয়ে দিয়েছি,,

-আমরা কিন্তু বৌমনিকে ভালোই entertain করেছি(অর্নব)

-হ‍্যাঁ তুই যা যা বলেছিস আমরা সব করেছি(রুশা)

-এই যে মিস,,মানে এত গুলো মিস আমাদের একটু সাইড দেবেন আমরা একটু তীয়ার সাথে দেখা করতে এসেছি(মৈনাক)

-আপনার কি এত ফাঁকা জায়গা চোখে পড়ছে না,,, আমাদের কেই সরতে হবে মিষ্টার(রুশা)

-সেটাই তো এই মৈনাক টা যে কি করে,,,তো মিস আপনার নাম টা যেন কি??(ইশান)

-নাম জেনে কাম কি ভাই(কুশল)

-উফফ তোরা জীবনেও শুধরাবি না ,,(ঋষি)

-না রে আমাদের এই বাজে স্বভাব কিছুটেই যাবে না(ইশান)

-আরে আরে দ্বারা,, everyone silent please,,,( মৈনাক হাতে মাইক নিয়ে,,)

-সবাই ওর দিকে তাকিয়ে পড়ে,,,ও সব বন্ধুদের ডাকলো তারপর পুলককে ভিডিও কলে নিয়ে ফোনটা আবিরের হাতে দিল,,,ঋষি কে চোখ দিয়ে ইশারা করলে ও গিটার টা নিয়ে টুং টাং সুর তুলতে লাগলো,,,তারপর মৈনাক একটা টেবিলে বসে প্লেটের উপর দুটো চামচ নিয়ে সেই সুরের সাথে বাজাতে শুরু করে আবিরের দিকে তাকালো,,,

-প্লিজ ইয়ার তোর গলায় অনেকদিন শোনা হয় না এই গান টা,,,(ফিস ফিস করে আবিরকে বললো ইশান)

-ঋষির কাছ থেকে গিটার টা নিয়ে আবির গান ধরল-

কথা হবে দেখা হবে,

প্রেমে প্রেমে মেলা হবে

কাছে আসা আসি আর হবে না

চোখে চোখে কথা হবে,

ঠোঁটে ঠোঁটে নাড়া দেবে

ভালবাসা-বাসি আর হবে না

শত রাত জাগা হবে,

থালে ভাত জমা রবে

খাওয়া দাওয়া কিছু মজা হবে না

হুট করে ফিরে এসে,

লুট করে নিয়ে যাবে

এই মন ভেঙে যাবে জানো না

-তারপর ওরা সবাই মিলে একসাথে গেয়ে উঠল-

আমার এই বাজে স্বভাব

কোনোদিন যাবেনা

আমার এই বাজে স্বভাব

কোনোদিন যাবেনা
___________________________________________

-খাওয়াদাওয়ার সময় তিন-চারটে টেবিল সব এক জায়গায় করে গোল করে খেতে বসেছে সবাই,,যেখানে পেখমের বন্ধুরা, আবির ও পুলকের বন্ধুরা, তীয়ার বন্ধুরা আছে,,কেউ কাউকে ঝাড়ি মারছে,, তো কেউ আবার ক্রাশ খাচ্ছে,,,

-উফফ তীয়া আমি মনে হয় আবার ক্রাশ খেয়েছি,,, তোর দাদার এত ভালো ভালো দেখতে বন্ধু কেন থাকবে ইয়ার(মৌ)

-তুই দিনে ক বার ক্রাশ খাস একটু বলবি(মিতা)

-চুপ কর তোরা,, ঝগড়া করিস না,,,এই পেখু তোর হাতে মেহেন্দী কে করে দিলো??(তীয়া)

-কে আবার বৌমনি উনি নিজেই করেছেন,, ঐ জন্য তো আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করে ফেলায় মার কাছে ঝাড় খেয়েছে(তিতাস)

-বা খুব সুন্দর রং হয়েছে,,কিন্তু মেহেন্দী তো ছিল না,, কোথায় পেলি(তীয়া)

-আমতা আমতা করে পেখম জবাব দেয়,,,ও ছিল ঘরে একটা মনে ছিল না তখন আমার,, বলেই আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে সে দিব্বি ফোন ঘেটেই যাচ্ছে,,, ও যে এত কষ্ট করে মেহেন্দী পড়েছে তাতে তার কোনো হেলদোল নেই,,,আপনাআপনি একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পেখম,,,

-জানো পেখম আমরা এটা বিশ্বাস করি যার হাতে মেহেন্দীর রং যত গাঢ় হবে তার বর কিন্তু তাকে খুবই ভালোবাসবে মানে একেবারে চোখে হারাবে এমন অবস্থা আর শুধু তাই নয় স্ত্রীও তার স্বামীকে তার থেকে বেশি ভালোবাসবে(খুশী)

-কথাটা বলতে দেরি নেই কিন্তু সাথে সাথেই টেবিলে থাকা সবাই চেঁচিয়ে উঠলো,,, পেখমের তো মনে হচ্ছে এখান থেকে পালিয়ে যেতে পারলে ভালো হয়,,,

-এই তীয়া পেখমের মতো তোর মেহেন্দীর রং গাঢ় হয়েছে তার মানে আমাদের পুলক দাও কি তোকে,,(মিতা)

-মিতার কথা পুরোপুরি করতে না দিয়ে চোখ মোটা মোটা করে তাকায় তীয়া ওর দিকে,,,

-এই তাহলে তো আমাদের ঋষি সেই লেভেলের ভাগ‍্যবান মনে হচ্ছে কি বলিস তোরা??(মৈনাক ঋষির পিঠে বারি মেরে)

-মানে??(আবির)

-মানে টা খুব সহজ,,আমাদের ডাক্তার মশাই প্রেমে পড়েছেন, তাও আবার আমাদের পেখম রাণীর,,(মৈনাক)

-কি বলিস কি দোস্ত ওটা আমার ক্রাশ ছিল,,, তুই এমন করতে পারলি,,,তোর বিয়ে হবে না শালা (ইশান)

-কি বাজে বকছিস?? ঋষি এটা কি সত‍্যি?(আবির)

-আরে এদের কথা বাদ দেতো,,,এমনি ভালো লাগে that’s it,,(ঋষি)

-তারপর সবাই আবার খাওয়া দাওয়া আর আড্ডাতে ব‍্যস্ত হয়ে যায়,,, কিন্তু আবিরের মাথায় ঘোরে শুধু মাত্র ঋষির কথা,,,ওর প্রেয়সীকে ওরই বন্ধু পছন্দ করে,,,ঠিক এই মুহূর্তে ও অনুভব করলো সব কিছুতে ওর বিরক্তি লাগছে,,, মাথাটা ধরে আসছে যেন,,,ও উঠে সোজা নিজের ঘরের দিকে গেল,,আর খাওয়া হল না,,,

-পেখম সবার সাথে কথা বলে বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে,, এমন সময় ওর হাতে টান অনুভব করলো,,কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখলো আবির দাঁড়িয়ে আছে ওর সামনে,,,

-আবিরের রক্তচক্ষু দেখে কয়েকটা ফাঁকা ঢোক গিলে নিলো ও,,,তারপর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বললো,,

-কিছু বলবেন আবির দা??

-বাস্তবিক জ্ঞান থাকাটা সবার প্রয়োজন,, ঠিক তোমারো এই মুহূর্তে খুবই প্রয়োজন আমি বোধ করি,,, কোথায় ??কার সাথে ??কিভাবে কথা বলছো?? সব কিছু মাথায় রাখা উচিত পাখি,,,সম্পর্কে সে তোমার কে হয়?? নিজের লোকের সাথে ব‍্যবহার কেমন করা উচিত?? আর বাইরের লোকের সাথে ব‍্যবহার কেমন করা উচিত ??তোমাকে বুঝতে হবে,,,কার সাথে কেমন দুরত্ব রাখা উচিত সেটা নিশ্চয়ই আমি বলে দেবো না,,, এমন কোনো আচরণ কারোর সাথে করে ফেলো না যার জন্যে ভবিষ্যতে কেউ পস্তাবে আর তার সাথে হয়তো তুমিও,,,

-কথা গুলো বলে আবির ঘর থেকে বেরিয়ে যায়,,আর আবিরের যাওয়ার দিকে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পেখম,,,আবিরের কথা গুলো তার কিছুই বোধগম্য হয়নি,,,

চলবে,,,

(রিয়‍্যাক্ট ও গঠনমূলক মন্তব্য অবশ্যই করবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here