হৃদয়হরণী পর্ব ৬

0
631

#হৃদয়হরণী
#কলমে সৌমিতা
#পর্ব-৬

-হঠাৎ পেখম অনুভব করে কেউ তার চুলে পরম যত্ন সহকারে বিলি কেটে দিচ্ছে,,পিটপিট করে চোখ খুলে মানুষটিকে দেখে ওর মুখে হাসি ফোটে,,সাথে সাথেই মানুষটির কোলে মাথা রেখে, কোমড় জড়িয়ে আবার চোখ বন্ধ করে নেয়।এই ভাবে অনেকক্ষণ যাওয়ার পর এক ভরাট পুরুষালী কন্ঠে আবার ঘুম টা ভেঙে যায়,,,

-পেখু মা এবার ঘুম থেকে ওঠ,,,দশটা বাজে,,, আমি সেই কখন থেকে বসে আছি তোর জন্য,, ভাবলাম একসাথে সকালে খাবো,,আমার তো আবার স্কুলে যেতে ১০.৪৫ এর মধ্যে,,,

-যাও তুমি খেয়ে নাও,,তোমার সাথে আমার কোনো কথা নেই,,,

-ঠিক তো?? ভেবে বলছিস তো,,ঠিক আছে,, মনোরমা আমি বরং আজ না খেয়েই যায়,,,তুমি দরজা টা বন্ধ করে দাও,,,

-অনেক হয়েছে বাপি,,,তোমার কবে আসার কথা ছিল তাই তুমি আগে বলো,,, tell me বাপি,,জানো আমার কত শরীর খারাপ ছিল,,

-জানি তো মা,,আচ্ছা বাপি সরি বলছে,,,আমি তো কালকেই চলে আসছিলাম কিন্তু তোর পিসি তো আমাকে আসতেই দিলো না,,, আর তাছাড়া আমি কি এমনি এমনি ছিলাম ওখানে, তোর দাভাই এর বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিলাম,,,এখন চল ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি ডাইনিং আয়,,,

-ঠিক আছে,,,

-কই তোমার মেয়ে কোথায়??(টেবিলে খাবার সার্ভ করার সময় মনোরমা বলে)

-আসছে,,পুলক বাবা একটু এদিকে আয়তো,,,

-হ‍্যাঁ বাবা বলো,,,(পুলক)

-বলছি একটু অদ্বিতীয়া কে নিয়ে জুয়েলারি শপে যেতে হবে,,,ওর আঙ্গুলের মাপ দিয়ে আসবি,,আমি কথা বলে রেখেছি ওদের সাথে

-ঠিক আছে বাবা,,কখন যেতে হবে বলে দিও,,

-এই তো ১২টার দিকে বা তুই অফিস যাওয়ার পথেও যেতে পারিস,,,

-ঠিক আছে,,, আমি তাহলে তীয়াকে inform করে দি,,(পুলক)

-এই ডিম সিদ্ধ আর ব্রেড খাবি নাকি আলুতে পরোটা??(মনোরমা)

-মা ওকে এত খেতে দিও না দিন দিন কুমড়োপটাস হচ্ছে,,(পেখম)

-এই তুই চুপ করবি,,আমি বুঝবো আমার ছেলে কি খাবে,,(মনোরমা)

-বাবা এটার জন্য ভালো একটা ছেলে দেখো তো,,তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে পারলে বাঁচি,,(পুলক)

-এই চুপ কর তুই,,জানো বাপি তুমি বাড়ি নেই বলে এই মা আর ছেলে মিলে আমাকে খাটিয়ে খাটিয়ে মেরেছে,, বৌমনি একবার আসুক এই বাড়িতে তখন আমি আর বৌমনি দুজনে মিলে এদের দুজনকে জব্দ করবো,,(পেখম)

-কি বললি তুই আর একবার বল(মনোরমা রেগে বলে)

-উফফ ছাড়ো তো ওর কথা,,আমাকে তুমি ব্রেড আর জুস দাও,,,পেখু তোর পায়ের ব‍্যাথা কেমন আছে এখন??(পুলক)

-এখন একটু ভালো দাভাই,,, ও বাপি আমাকে একটু খাইয়ে দেবে,,,(পেখম)

-হ‍্যাঁ দেবো,,আয় আমার পাশে এসে বস,,,

-ও মা আমাকে আর বাবাকে একটা প্লেটেই আলুর পরোটা আর জুস দাও,,,(পেখম)

-খেয়ে উঠে গেস্টরুম দুটো পরিষ্কার করবি পেখু আমার সাথে,,বিয়ের আর মাত্র দশ দিন বাকি আছে,,হাতে অনেক কাজ,,(মনোরমা)

-ঠিক আছে করে দেবো,,বিয়ে করবে একজন আর কাজ করবো আমি,, কি দিনকাল পড়লো,,,

____________________________________________

-দেখো কোন ডিজাইন টা পছন্দ হচ্ছে,,,

-আমার তো সবকটাই ভালো লাগছে পুলক,,আপনি বরং পছন্দ করে দিন,,,

-ঠিক আছে ,,,দাদা ওই পাশের ডাইমন্ডের যে রিং টা আছে,,,হ‍্যাঁ ওটা লাভ শেপের উপরে ,,হ‍্যাঁ ওটা দিন,, রিং টা হাতে নিয়ে দেখো তো এটা তোমার পছন্দ হয় কিনা??

-হ‍্যাঁ খুব পছন্দ হয়েছে এটা,, খুব সুন্দর ঠিক আপনার মতো,,,

-আচ্ছা তাই নাকি,,

-হূট করে কথাটা বলে ফেলে অদ্বিতীয়া বেশ লজ্জায় পড়ে যায় তার উপর পুলকের এমন কথা শুনে ওর মনে হচ্ছে যেন মাটিতে মিশে যায়,,,

-অদ্বিতীয়ার এই রকম অবস্থা দেখে পুলক বেশ মজাই পাই,,,তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য বলে,,চলো এবার যাওয়া যাক,,তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আমি অফিসে যাবো,,,মন তো চাইছে না যেতে কিন্তু কি আর করার,,,
___________________________________________

-দেখতে দেখতে বিয়ের দিন এসেই গেল,,আজ বাদে কাল বিয়ে।দুই বাড়িতে লোকজন ভর্তি,, পেখমের নিজস্ব ঘরটাও এই কদিন সব কাজিন দের দখলে,,,

-পেখম দি তুমি কি রেডি হয়ে গেছো??

-হ‍্যাঁ তিতাস,,, কেন কিছু বলবি??

-না আসলে মা ডাকছে তোমাকে ডাইনিং,,

-আচ্ছা পিসিকে গিয়ে বল দিদি আসছে দু মিনিটের মধ্যে,,,

-সারা ডাইনিং রুম জুড়ে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তত্ত্ব,বেনারসি, সবজি প্রভৃতি জিনিস,,,পেখম সেইগুলোর উপর একবার চোখ বুলিয়ে বলে,,

-আমাকে ডাকছিলে পিসি??

-হ‍্যাঁ বলছি যে বাড়ির সব ছোটরা তো অদ্বিতীয়া দের ওখানে চলে গিয়েছে,, মেহেন্দীর সব তত্ত্ব গুলোও নিয়ে গিয়েছে,,শুধু শাড়িটা দেখ ফেলে গেছে,,তুই যাওয়ার সময় একটু দিয়ে আসবি??

-ঠিক আছে দাও আমি দিয়ে আসছি,,,
____________________________________________

-না না না আমি তোর কোনো কথা শুনবো না পেখম,,সবাই চলে এসেছে,,, আর তুই এখন বলছিস কলেজে যাবি আজকে,,,একদম না অসম্ভব, আমি তোকে যেতে দেবো না,,,(অদ্বিতীয়া)

-বৌমনি তুমি বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করো,,আজ ফাস্ট ক্লাস টা আমার খুব important ,,আর তাছাড়া সেদিন যে তোমার দাদা আমাকে পছন্দ করে শাড়ি আর ল‍্যাহেঙ্গা কিনে দিলো তার সাথে তো ম‍্যাচিং করে ornaments কিনতে হবে,, তারপর হলুদের জন‍্যেও কিছু জিনিস কেনা বাকি,,অবশ্যই আমি প্রিয়াদের কিনতে বলেছি ,,আমি শুধু গিয়ে নিয়ে আসবো,,,

-সে তো ওরা সব বিকেলে আসছে এই বাড়িতে তখন তো একেবারে নিয়ে আসতে পারে পেখু,,, তুই প্লিজ যাস না,,,

-এই রকম বললে হয় বলো,,,আর তাছাড়া মেহেন্দী পড়াবো তো সন্ধ‍্যের সময়,,আর আমি তো দু-তিন ঘন্টার মধ্যেই ফিরছি,,,তারপর ঠিক এখানে চলে আসবো,,,এখন আসি,,,

-একদম না,,ওইখানে চুপ করে বস,,,তোর পছন্দের দই তোর আবির দা এনেছে, খেয়ে তারপর যাবি,,,কোনো না শুনবো না,,(অনুপমা)

-ঠিক আছে কাকিমা, তাহলে তুমি আমাকে খাইয়ে দাও,,,

-আর আমি?? আমি কি বাদ নাকি?? মা আমাকেও খাইয়ে দাও,,,

-উফফ বৌমনি তুমি ভীষণ হিংসুটে,,

-এই তবে রে বলেই একটা চাটি মারলো,,এতক্ষণ যাবদ সবকিছুই আবির দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছিল,,, তারপর কাউকে কিছু না বলে চুপচাপ বেরিয়ে গেল,,,
___________________________________________

-পেখম রাস্তার ধারে গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করছে এমন সময় আবিরের গাড়ি ওর সামনে এসে দাঁড়ায়,, প্রথমে ভয় পেয়ে গেলেও পরে নিজেকে স্বাভাবিক রাখে,,

-পাখি গাড়িতে উঠে বস,,

-মানে??

-মানে গাড়িতে উঠে বস,আমি তোকে কলেজে পৌঁছে দেবো,,আবার তোর ফাস্ট ক্লাস হয়ে গেল দাঁড়িয়ে থাকবি আমি তোকে নিয়ে আসবো,,

-কিন্তু আবির দা আপনাকে এত কষ্ট করতে হবে না,, আমার বন্ধুরা আছে আমি ওদের সাথেই চলে আসতাম,, আর তাছাড়া আমাকে একটু মার্কেটে যেতে হবে,,কিছু কেনার ছিল,,

-এখন কিছু কিনতে হবে না,, যদি খুব দরকার হয় পুলককে বলবি ও এনে দেবে,,এখন তুই সোজা কলেজে যাবি,,ক্লাস শেষ হয়ে গেলে আমার সাথে সোজা বাড়ি আসবি,,,(ধমক দিয়ে)

-আবিরের কথায় পেখমের মনে হলো কাঁন্নারা সব দলা পাকিয়ে ওর গলায় আছে,যখন তখন চোখ দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে,, মানুষ টা এইরকম কেন?? কেন মাঝে মাঝে ওকে স্বাধীন ভাবে থাকতে দেয় না,,, ও নিজেকে সামলে গাড়িতে উঠে বসে,কারণ ও জানে এই মাথা মোটা লোকটাকে কিছু বলেই আর লাভ নেই,,,
____________________________________________

-সন্ধ্যার দিকে অদ্বিতীয়া দের বাড়িতে পা দেওয়ার জায়গা অবশিষ্ট নেই এত লোক,,,টেরিসে মেহেন্দীর অনুষ্টানের ব‍্যবস্থা করা হয়েছে,, parlour থেকে দুটো মেয়ে এসেছে সবাইকে মেহেন্দী করে দেওয়ার জন্য,,, পেখম অবশ্য অদ্বিতীয়ার হাতে মেহেন্দী করে দিচ্ছে,,চারেদিকে ফুল দিয়ে ডেকোরেক্ট করা হয়েছে। ছোট ছোট লাল নীল মরিচ আলো জ্বলছে,,পাশেই খাওয়া দাওয়ার জন্যে বুফে সিস্টেম করা হয়েছে,,সাউন্ড সিস্টেমে এত জোড়ে গান হচ্ছে যে পাশের জন কি বলছে তা শোনার উপায় নেই,, আর সেই সাথে বন্ধুদের তাল বিহীন নাচ,,,,

-সবাই আজ কচি কলাপাতা রঙের জামদানি শাড়ি পড়েছে আর ছেলেরা সেই রঙের পাঞ্জাবী পড়েছে,,,

-উফফ তুমি তো দেখছি parlour মেয়ে গুলোকেও হার মানিয়ে দেবে মিস পেখম(তুর্য)

-কেন তুর্য দা??(প্রিয়া)

-দেখছো না কি সুন্দর মেহেন্দী করে দিচ্ছে অদ্বিতীয়ার হাতে,,,(তুর্য)

-আগে জানলে আমিও তোর কাছে থেকে মেহেন্দী করতাম পেখম(মৌ)

-এই তোরা চুপ করবি,,,আমার ননদ শুধু আমাকেই মেহেন্দী পড়াবে আর কাউকে নয়( অদ্বিতীয়া)

-সেটা বললে চলবে না,, আমি লাইনে আছি,,,ইভেন পিছনে দেখ ওর কাছে মেহেন্দী করবে বলে সবাই দাঁড়িয়ে আছে(মিতা)

-আচ্ছা ঠিক আছে,, তোমরা যাও নাচো,,আনন্দ করো,,বৌমনির হাতে হয়ে গেলে আমি ডাকবো(পেখম)

-উফফ বৌমনি খাওয়া দাওয়া টা যা হলো না পুরো ফাটাফাটি,,(অর্নব)

-হ‍্যাঁ একদম দুর্দান্ত,, এই পেখম তুই কখন খাবি,,,এগারো টা বাজতে চললো,,আর তুই একের পর এক মেহেন্দী দিয়েই যাচ্ছিস,,(আকাশ)

-তোর শরীর ঠিক আছে তো,,,এবার তুই ওঠ বাকিদের ওই মেয়ে দুটো করে দেবে (রুশা)

-হ‍্যাঁ রে আমি ঠিক আছি,,আসলে এতক্ষণ যাবদ এক জায়গায় বসে সবার মেহেন্দী করে দিয়েছি তো তার জন্য ঘাড় ,হাত সব ব‍্যাথা করছে,,,(পেখম)

-পেখু চল খাবি,,,মা খাইয়ে দেবে,,(অদ্বিতীয়া)

-সে ঠিক আছে,,কিন্তু আমার যে শাড়িটা ঠিক করার দরকার ছিল বৌমনি,,(পেখম)

-কেন কি হয়েছে??

-কুঁচি গুলো দলা পাকিয়ে গিয়েছে,,,

-আচ্ছা তুই তাহলে মার ঘরে যা,,ওইখানে গিয়ে ঠিক করে আবার উপরে চলে আসিস,,আমি অপেক্ষা করছি,,,

-এই পেখু আমরা তাহলে এবার আসি,,কাল তো আবার সকাল সকাল চলে আসতে হবে(প্রিয়া)

-বললাম আজকে থেকে যা,,,কিন্তু না তোরা থাকবি না,,ঠিক আছে তোরা সবাই সাবধানে যাস,,(পেখম)
_________________________________________

-পেখম শাড়ির কুঁচি গুলো ঠিকই করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ছাড়া চুল গুলো উঁচু করে বাঁধছিলো,,এমন সময় ওয়াশরুমের দরজা খোলার আওয়াজে ও আয়না দিয়ে দেখে আবির একটা তাওয়াল দিয়ে চুল মুছতে মুছতে এগিয়ে আসছে,,,দুজন দুজনকে দেখে শকড হয়ে গেছে,, প্রথমত আবিরের ভিজে শরীর তার উপরে ছোট ছোট চুল গুলো কপালের উপরে পড়ছে,,,আর তা থেকে টুপটুপ করে জল জিম করা খালি শরীরের উপর পড়ছে,,,যা আকর্ষণীয়,,,, আর দ্বিতীয়ত পেখম চুল বাঁধতে গিয়ে শাড়ির আঁচল টা কোমড়ে গুজে নিয়েছিল যার ফলে সাদা মেদহীন পেট টা আঁচলের ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে যা ক্রমশ আবিরকে ঘোরের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে,,,

-হঠাৎ কারোর গলার আওয়াজে ঘোর থেকে বেরিয়ে আসে দুজনেই,, এই রকম পরিস্থিতিতে দুজনেই কেমন অসস্তিতে পরে যায়,,,অনুপমা পরিবেশ স্বাভাবিক করতে বলে ওঠে,,

-পেখম আমি খাইয়ে দিচ্ছি খেয়ে নে,,আবির তুই একটু পেখম কে দিয়ে আসিস ঐ বাড়ি,,অনেক রাত হয়েছে,,

-ঠিক আছে মা,,,বলে আয়নার সামনে যায়,,

-পেখম তুই মেহেন্দী পড়বি না?? হাত দুটো তো খালি,,সবাই পড়লো,,,

-না কাকিমা আমার ভালো লাগছে না,, তার উপর এতক্ষন সবাইকে মেহেন্দী করিয়ে দিতে গিয়ে আমার হাত ,ঘাড় সব যন্ত্রণা করছে,,,

-মা ও মেহেন্দী দেবে কি করে আর,,মেহেন্দী সব ফুরিয়ে গেছে,, কম লোক নাকি(অদ্বিতীয়া)

-বলিস কি,,,একটু আগে বললে আনিয়ে নিতাম,,,

-তার কোনো দরকার নেই কাকিমা,, আমার শরীর খারাপ লাগছে,,, মেহেন্দী করার মতো এনার্জি নেই,,এখন বাড়ি ফিরে ঘুমাবো,,(পেখম)

-তারপর খাওয়া শেষ হলে আবির পেখমকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে পুলকের সাথে অনেক্ষন ধরে কথা বলে,,তারপর সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসে,,,

-পেখম বাড়ি এসে সবার সাথে কথা বলে আগে ওয়াশরুমে ঢোকে একটা লম্বা শাওয়ার নেওয়ার জন্য,, প্রায় এক ঘন্টা পর ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে ও,,,চুল মুছতে মুছতে হঠাৎ চোখ যায় টেবিলে,,, দেখে টেবিলের উপর একটা মেহেন্দীর টিউব আর তার সাথে একটা চিরকুট,,, এবং তার পাশে একটা মিডিয়ায় সাইজের বক্স।কৌতূহল বশত বক্স টা খুলে তাতে শাড়ি আর ল‍্যাহেঙ্গার সাথে ম‍্যাচিং করে কানের আর চুড়ি আছে,,,এবার চিরকুট টা খুলে দেখে তাতে লেখা আছে,,

তার ছোট ছোট বিষয় গুলো আমার নজর এড়িয়ে যায় না,,পছন্দের কানের আর চুড়ি রাখলাম,, তার হাতে ও কানে যেন এইগুলো আমি দেখি,,,আর হ‍্যাঁ মেহেন্দীর টিউব রাখলাম ওই হাত দুটো যেন কালকে মেহেন্দীর রঙে পুরো রাঙা হয়ে থাকে,,,আর যদি না থাকে তো কালকে যেন সে আমার সামনে না আসে।

-চিরকুট টা পড়ে কিছুক্ষণ স্তব্দ হয়ে থাকে পেখম, তারপর একটা আনন্দ ওর চোখে মুখে ফুটে ওঠে,,দ্রুত চিঠিটা আলমারিতে গোপন জায়গায় তুলে রাখে,,চুড়ি ও কানের গুলো তাদের স্থানে রেখে দৌড়ে চলে যায় ব‍্যালকনির দিকে,,,,

চলবে,,,,

(রিচেক করার সময় পাইনি,,,রিয়‍্যাক্ট ও গঠনমূলক মন্তব্য করবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here