#হলদে_প্রজাপতি
(প্রাপ্তমনস্কদের জন্য )
— অমৃতা শংকর ব্যানার্জি ©®
আটত্রিশ
( আগের অধ্যায়গুলোর লিংক অধ্যায়ের শেষে দেওয়া হল)
অল্পক্ষণ চুপ করে থেকে বান্টি বলল, বলবো তোকে সবটাই । তুই শুধু আমাকে বল, তুই কি সোনু দা সম্পর্কে কোন আপডেট রাখিস ?
ওর কথাটা ঠিকভাবে না শুনেই আমি বলে বসলাম, না ! আর আমার রাখার কোন ইচ্ছেও নেই । আপডেট কেন, আমি কোন খবরই রাখি না।
— বুঝলাম । তুই লাইফের ওই এপিসোডটা থেকে পালাতে চেয়েছিস, কিন্তু পারিসনি । যাক গে শোন । যখন রিসার্চ করতে আমাদের বাড়িতে এসে থেকে ছিল, তখন তো একটা স্কুলে ছিল । সেখান থেকে লিভ নিয়ে এসেছিল জানিস তুই। তারপরে ডক্টরেট কমপ্লিট করে পোস্ট ডক করল। স্কুলের চাকরিটা ও ছেড়ে দিয়েছিল । আমার সঙ্গে যখন দেখা হয় , তখন একটা সিএসআইআর ল্যাবের সাইন্টিস্ট । এখনো নিশ্চয়ই সেই প্রফেশনেই রয়েছে । ইনফ্যাক্ট আর প্রফেশন চেঞ্জ করার কোন গল্প থাকার কথা নয় । দাদার সঙ্গে ওর ব্যাঙ্গালোরে একটা কনফারেন্স ছিল । আমি তখন দাদার কাছে গিয়েছিলাম। সোনুদা দাদার ফ্ল্যাটে এসেছিল উইথ ফ্যামিলি । সেখানেই দেখা এতগুলো বছর পর। একটাই ছেলে আছে। সে অবশ্য সাথে আসেনি । ওরা থাকে দিল্লিতে । সোনুদার ওয়াইফের সঙ্গে আলাপ হলো । নাম ডক্টর রুচিকা মিত্র । একই, আই মিন , কাছাকাছি ফিল্ডেই দুজনের রিসার্চ । ইউ ক্যান গো ফর সার্চিং দা নেম, ডক্টর রুচিকা মিত্রা । বেশ কিছু ভালো ভালো সাইন্টিফিক পেপারের অথর্শিপ রয়েছে, এ গ্রেড জার্নালে। হাই ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর । তুই দেখে নিস না সার্চ করে ।
আমার মাথার মধ্যে তখন হাজারটা ঝিঁ ঝিঁ পোকা ডাকছিল । মাথা ঝিমঝিম করছিল, শরীরের মধ্যে একটা অস্বস্তি হচ্ছিল । স্বাভাবিকভাবেই একটা কম্প্যারিশন মনে চলে আসে । কোথায় সোনুদার বউ আর কোথায় আমি । হেল্ এন্ড হেভেন ডিফারেন্স । অথচ একটা সময় সারা দিনরাতের কল্পনা ছিল, আমি সোনুদার বউ হয়ে ওদের বাড়িতে গিয়েছি । সোনু দা শুধু আমার ।
বান্টি বলে চলেছে , আর দেখতে ! ও মাই গড ! ইজিলি মডেলিং করতে পারত, জানিস ? রিয়েলি ফ্যাব্যুলাস ! সুন্দরী যাকে বলে । ভদ্রমহিলাকে দেখে, তার সঙ্গে কথাবার্তা বলে যেকোনো কারোর ভালো লাগতে বাধ্য । আমিতো কিছুক্ষণের আলাপেই ফ্যান হয়ে গেছিলাম । যাই হোক , সেদিন বেশি কথা হয়নি । তারপরের দিন অবশ্য দাদা সোনুদাকে ডিনারে ইনভাইট করেছিল । অবশ্যই উইথ ফ্যামিলি । কিন্তু কি যেন একটা প্রবলেম হয়েছিল, যে কারণে সোনুদা একাই এসেছিল ডিনার অ্যাটেন্ড করতে । সেদিন রাতের খাওয়া দাওয়ার পরে বেশ অনেকক্ষণ আমি একা বসে বসে সোনুদার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম তার কারণ হচ্ছে একটাই, অনেকগুলো বছর ধরে আমি কিছু কোশ্চেনের আনসার খুঁজেছি । তুই যেহেতু তখন আমাকে সবই বলতিস , তাই আমি তোর এই রিলেশনশিপটার সাথে মেন্টালি ইনভলভড ছিলাম কিছুটা । আই মিন , তোদের ব্যাপারে । ব্যাপারটা এমন ভাবে টার্ন অফ হয়ে গেছিল, সেটা আমি ঠিক মেনে নিতে পারিনি ।
এটা ওটা কথাবার্তা বলার পর, জিজ্ঞাসা করলাম, তোমাদের দুজনের ম্যাচিং তো ডেঞ্জারাস । যাকে বলে ডেডলি । লাভ ম্যারেজ নিশ্চয়ই ।
বলল, ধুর ! এটা একদম ইমম্যাচিউর এর মত কথা হয়ে গেল যে !
— মানে !
— ডেডলি ম্যাচিং বিটুইন লাইফ পার্টনার্স, আ্যন্ড লাভ ম্যারেজ, দুটো একদম কন্ট্রাডিক্টরি ।
— কেন ?
— আরে কন্ট্রাডিক্টরি হবে না ? ফার্স্ট অফ অল, ম্যারিটাল পার্টনার্স , আ্যন্ড ম্যাচিং বিটুইন দেম, ইস এন্ অ্যাবস্ট্রাক্ট আইডিয়া ।
— মানে ?
— ওই যেমন ধরো , ফিল করা যায় , ছোঁয়া যায় না । যাক গে ছাড়ো। তবুও অ্যাবস্ট্রাক্ট-টাকেই হাইপোথিসিস ধরে নিয়ে বলছি , যদি সেটা পসিবল হয়েও যায় , তবুও কোনভাবেই লাভ ম্যারেজের প্রোডাক্ট হতে পারে না।
— কেন, হতে পারে না কেন?
— ধুস্ ! ওয়ার্ল্ড এর সমস্ত লিটারেচার ঘেঁটে দেখো , লাভ ইজ ব্লাইন্ড। লাভ হয়ে গেলেই লাইফটা স্রেফ ন্যাতা মেরে গেল । হ্যাপেন্স টু বি ডেস্ট্রাক্টিভ । লাভ, ম্যাচিং খোঁজে কোথায়? সে তো আনাড়ি । খাদে ঝপাং !
আমি বললাম, কথাগুলো নিশ্চয়ই ইনফারেন্স থেকে বলছো ?
মুচকি মুচকি হাসলো সোনু দা , ইউ মিন, আই ইন লাভ সামহাউ, সামডে ?
মোলায়েম গলায় বললাম, আমি তো তাই জানি।
— কিরকম শুনি ?
— তুমি আমাদের বাড়িতে যে বছর দুয়েক মতো ছিলে , সেই সময় তুমি একটা রিলেশনশিপে ছিলে তরুদির সঙ্গে । আ্যন্ড আই প্রেফার টু ডেপিক্ট ইট অ্যাজ এ লাভ রিলেশনশিপ ।
সোনু দা ফস্ করে বলল, তুমি হলে ভেবে দেখতাম ।
— মানে !
— এখনো ভেবে দেখতে পারি ।
আমি বললাম , তোমার এজ কত সোনু দা ?
— ফর্টি টু । আ্যজ পার সার্টিফিকেট । একেবারে আ্যক্যুউরেট বায়োলজিক্যাল এজ যদি জানতে চাও, দেন দ্যাটস্ ফোর্টি ফোর ।
— এখনো ফ্লার্ট করতে ইচ্ছে করে ? বিশেষ করে এই রকম একটা সিরিয়াস প্রফেশনে থেকেও ?
— প্রফেশন যাই হোক না কেন, অলওয়েজ সিরিয়াস। তাতে কি? প্রফেশনের সাথে কোন কিছু ট্যাগ করতে যাওয়ার মানে হয় না। আর ফ্লার্টিং ? নো ফ্লার্টিং । আ্যম ড্যাম সিরিয়াস ।
আমার যা কোয়্যারি সেখান থেকে টপিকটাকে সোনুদা ঘুরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে ফেলতে চাইছে, বা ও ওই কথাগুলো বলতে চাইতেও পারে , কিন্তু তাতে করে টপিকটার ডিরেকশন চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে ।
তাই জন্য আমি সরাসরি জিজ্ঞেস করলাম , সোনু দা একটা কথা বলতো, তুমি তরুদির সঙ্গে রিলেশনশিপ-টাকে ঠিক কিভাবে নিতে ?
সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলো , জাস্ট আ রিলেশনশিপ ।
— সে তো আমি জানি , একটা রিলেশনশিপ । আমি জানতে চাইছি , সেটাকে তুমি কি বলে ডিফাইন করবে, কিরকম রিলেশনশিপ ছিলো সেটা?
— জাস্ট এ ক্যাজুয়াল রিলেশনশিপ বিটুইন এ ম্যান এন্ড এ ওম্যান , ন্যাচারাল ।
— ক্যাজুয়াল রিলেশনশিপ বলতে কি বলতে চাইলে ? সেটা একটা লাভ রিলেশনশিপ ছিলো কিনা ?
বেঁকা হাসি হাসলো সোনু দা । বলল , লাভ ? দেন ইউ ফার্স্ট ডিফাইন লাভ ।
বললাম, ইন বিটুইন এ ম্যান আ্যন্ড এ ওম্যান লাভ হ্যাপেনস ইন এ ভেরী স্পেশাল ম্যানার। এমন একটা ফিলিং জগতে যা শুধুমাত্র সেই একটা মানুষের প্রতিই আসে , আর কারো প্রতি নয় , সাইমালট্যানিউআসলি । মানে বলতে চাইছি, এমন একটা স্পেশাল ফিলিং, যেটা একটা সময় একজনের প্রতিই আসতে পারে । আবার ইন ফিউচার সেই রিলেশনশিপ ব্রেকআপ হয়ে গেলে, নতুন রিলেশনশিপ তৈরি হতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও সেই স্পেশাল ফিলিংটা একজনের প্রতিই থাকবে ।
— সো ইউ ওয়ান্ট টু নো , তোমার তরুদির প্রতি আমার কোন স্পেশাল ফিলিং ছিল কিনা, রাইট ?
— এগজ্যাক্টলি সো । আমি জানতে চাই তোমার কাছে তরুদি এবং রিলেশনশিপটা কতটা স্পেশাল ছিল বা আদৌ ছিল কিনা?
ও মুচকি মুচকি হাসছিল । বললো , আমি যে তোমাকে বললাম এইমাত্র , ন্যাচারাল আ্যন্ড ক্যাজুয়াল রিলেশনশিপ । ক্যাজুয়াল কোন কিছু কি স্পেশাল হয় ?
–আমি তোমাদের রিলেশনশিপ এর ব্যাপারে তরুদির কাছে যেটুকু শুনেছিলাম, ইট ওয়াজ ভেরি ভেরি মাচ স্পেশাল ওয়ান্ টু হার । আ্যন্ড, তোমরা যথেষ্ট ইন্টিমেট ছিলে । তাহলে বলছো এতটা ইন্টিমেসি, সবকিছুই তোমার কাছে খুব ক্যাজুয়াল ছিল ? নাথিং স্পেশাল ?
— ইউ ওয়ান্ট মি টু কনফেস রংলি , ড্যাট ওয়াজ আ স্পেশাল রিলেশনশিপ ?
— না, আমি তোমাকে একদমই ফোর্স করিনি সেটা বলতে। আমি জাস্ট ফ্যাক্টটা জানতে চাইছি । একটা রিলেশনশীপ এতটা ইন্টিমেট হওয়া সত্বেও, তুমি বলছো সেটা তোমার কাছে স্পেশাল ছিলই না?
— নট আ্যট অল –
— কিন্তু আমি জানি তরুদির কাছে সম্পর্কটা ভীষণ স্পেশাল ছিল । তুমি বলো তো সোনু দা, দুজন একটা সম্পর্কে ছিল , তাদের মধ্যে একজনের কাছে সম্পর্কটা খুব স্পেশাল, আরেকজনের কাছে ‘জাস্ট এ ক্যাসুয়াল রিলেশনশিপ’ হয় কি করে?
এবার ও বেশ লাউডলি হেসে উঠলো । বললো, তোমার তরুদির মতো বোকাসোকা, ম্যাদা-মারা, গুড ফর নাথিং মেয়েরা জাস্ট পা বাড়িয়ে থাকে একটা হ্যান্ডসাম ট্যালেন্টেড ইয়ং গাইয়ের প্রেমে পড়ার জন্য । তোমার তরুদি তো আবার আমার লিগাল ওয়াইফ হওয়ার স্বপ্ন দেখতো । হাউ ফানি !
ভীষণ রাগ হল । বললাম , তরুদি তো তোমাকে ফোর্স করেনি প্রেম করার জন্য । তুমি তাহলে সেটা করেছিলে কেন?
— ইউ আর মেকিং দা সেম মিসটেক রিপিটেডলি । ড্যাঠ ওয়াজ সিম্প্লি আ ক্যাজুয়াল রিলেশনশিপ , নাথিং স্পেশাল । প্রেম করার কোন প্রশ্নই আসে না । আ্যম আই ক্লিয়ার ? প্রেম করেছিল তোমার তরুদি । নট মি !
— তুমি সেটা জানতে যে , ও রিলেশনশিপটার প্রতি ভীষণভাবে কমিটেড । খুব স্পেশাল সম্পর্কটা ওর কাছে। ও সেটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, সারা দিন-রাত বুঁদ হয়ে থাকে। তুমি সমস্তটা জেনেও এই ছেলেখেলাটা করেছিলে তরুদির সঙ্গে ?
— ছেলেখেলা ? ছেলেখেলা কে বলল ? কখন বললাম ? ছেলেখেলা নয় তো । আমিও ছিলাম সম্পর্কটার মধ্যে ।
— কিন্তু তুমি কোনভাবেই কমিটেড ছিলে না । তাহলে সেটাকে তো ছেলেখেলাই বলা চলে ।
— কে বলেছে একটা রিলেশনশিপে কমিটমেন্ট মাস্ট ?
বললাম , আচ্ছা সোনু দা, তুমি কি রুচিকাদির প্রতি কমিটেড ?
দেখলাম মুচকি মুচকি হাসছে । বলল , কমিটমেন্ট দেখানোর অনেক জায়গা রয়েছে । সাপোজ আমার প্রফেশন এর প্রতি আমি কমিটেড , আমার রিসার্চ ওয়ার্ক এর প্রতি ভীষণভাবে কমিটেড । আমার সোশ্যাল স্ট্যাটাস , আমার রিসার্চ প্রগ্রেস, সানি মাই সান- ওর ফিউচার , এজুকেশন, এগুলো নিয়ে আমি কনসার্নড, বলতে পারো এগুলোর প্রতি আমি কমিটেড । কমিটমেন্টের এতগুলো জায়গা থাকতে, রিলেশনশিপের কমিটমেন্টের জায়গাটাই আমার কাছে ক্লিয়ার নয় । ইনফ্যাক্ট, ওখানে কমিটমেন্টের কোন মানেই হয়না । আই আ্যম অলওয়েজ ওপেন ফর এনি কাইন্ড অফ রিলেশনশিপ ।
আমার দিকে ভুরু তুলে তাকে একটা মিনিংফুল হাসি হাসলো ।
বললাম, আ্যন্ড ইওর ওয়াইফ?
— রুচির ব্যাপারটা আমি ঠিক বুঝতে পারি না । সি ইজ ভেরি মাচ প্রফেশনাল , আ্যন্ড অলওয়েজ ইনক্লাইন্ড টুয়ার্ডস হার রিসার্চ ওয়ার্কস ।
— তারমানে তোমরা ম্যারেড কাপল, স্টিল কেউ কারোর প্রতি কমিটেড নও ?
— বেটার টু সে, বোথ অফ আস আর নট কনসার্নড অ্যাবাউট দা বোগাস কমিটমেন্ট । বাই নেচার উই আর আইদার পলিয়্যানড্রাস অর পলিগ্যামাস। ইনফ্যাক্ট উই আর ক্যারিং দা জেনেটিক কনস্টিটিউয়েন্ট থ্রু দা এভলিউশনারি পাথওয়ে । লুক আ্যট দা প্রাইড অফ লায়নস্ অর দা স্ট্রিক অফ টাইগার্স । পলিগ্যামাস । বাই নেচার আমরা যা, তা থেকে ফোর্সফুলি নিজেদের সিফট্ করিয়ে নেওয়ার মানে কি ? করার দরকারই বা কী?
— কিন্তু সকলের তো তোমার মত মেন্টালিটি নাও থাকতে পারে । যাদের কাছে রিলেশনশিপে কমিটমেন্ট বিশাল বড় একটা কিছু, সেইরকম মেন্টালিটির একজনের সঙ্গে তুমি তোমার মনের ভেতরে ‘বাই নেচার’ পাওয়া ‘পলিগ্যামাস মেন্টালিটি’ নিয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে, সেটা কি তার প্রতি খুব জাস্টিস করা হয় ? সে তো আর তোমার মনের ভেতরে ঢুকে দেখতে যাচ্ছে না তোমার কাছে কমিটমেন্ট এর কোন মানে নেই ?
— যে আমার সাথে ইন্টিমেসি চাইছে, আই নো তরুশী, দ্যাট ওয়ার্থলেস গার্ল , ওয়াজ ইন লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট উইথ মি । তার কাছে, ইনফ্যাক্ট তার সাথে, আমি যে একটা ইন্টিমেন্ট সম্পর্ক বিল্ডআপ করছি, সেটাই তার কাছে কমিটমেন্ট । আমি যে তাকে সেই চান্স দিলাম , সেটাইতো আমার কাছে এনাফ কমিটমেন্ট । আবার কোন কমিটমেন্ট এর কথা বলছো? আমি আমার হোল লাইফে আর কখনো কি ওই রকম ক্যাটেগরির একটা মেয়ের সাথে রিলেশনশিপে জড়িয়েছি ? নেভার !
” সত্যি কথা বলতে কি জানিস তো , আমারই ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল , রাগ হচ্ছিল । সোনু দা এমন একজন মানুষ , যে ভাঙবে তবু মচকাবে না । আগাগোড়া নিজে একটা দোষ করে গেছে , অথচ কোনোভাবেই তার ওয়ান পার্সেন্টও স্বীকার করানো যাচ্ছে না ।”
বললাম , তরুদি তখন জাস্ট কলেজে ভর্তি হওয়া ছোট একটা মেয়ে। গ্রামে থেকে পড়াশোনা করেছে । সেই রকম একটা মেয়েকে তুমি নানাভাবে ইনফ্লুয়েন্স করতে । এমনভাবে ইভেন্টগুলো ক্রিয়েট করতে , তুমি নিজেই খুব ভালো করেই জানতে যে মেয়েটা সম্পর্কে ভীষণভাবে ইনভলভড্ হয়ে পড়বে ।
— দ্যাট ইজ অলসো কোয়াইট ন্যাচারাল । মানুষের কথা ছেড়েই দাও , পাফার ফিশ এর একটা পার্টিকুলার স্পিসিস তার মেটিং পার্টনারকে আ্যট্রাক্ট করার জন্য সি বেডের বালির ওপর অদ্ভুত নিখুঁত একটা আলপনার মতো নকশা তৈরি করে । ম্যান্ডেলা টাইপ আর্ট । পাখনা দিয়ে বালি সরিয়ে সরিয়ে করে । যার আর্ট যত পারফেক্ট হয়, তাদের মেট আ্যট্রাক্ট করার ক্ষমতা তত বেশি । পিকক স্পাইডারের মেল ক্যান্ডিডেটরা খুব ছোট হয় । স্টিল , ওরা ঠিক ময়ূরের পাখনা মেলার মত নিজেদের আ্যবডোমেন ফ্ল্যাপ প্রজেক্ট করে ডান্স করতে থাকে । অনলি টু আ্যট্রাক্ট দ্য ফিমেল ওয়ান্স। আফটার মেটিং ফিমেল’রা মেল’দের গিলে খেয়ে ফেলে । স্টিল , দে প্রজেক্ট দেমসেলভস্ আ্যজ আ পোটেন্ট মেটিং পার্টনার । এইতো গেল একদম লোয়ার গ্রেডের অ্যানিম্যাল’দের কথা। একটু আপার গ্রেডে এলে দেখতে পাবে , অনলি ফর মেটিং কি না কি ঘটে যাচ্ছে । বাঘ , সিংহ, হিপোপটেমাস, মাঙ্কি, প্রায় প্রতিটা স্পিসিসের আ্যনিমালের দলের মধ্যে সবসময় মারামারি লেগেই থাকে, অনলি ফর মেটিং । পদ্মিনীকে মেটিং পার্টনার হিসেবে পাওয়ার জন্য আলাউদ্দিন খিলজী কি না কি করেছে ! এ তো গেল শুধু একটা এক্সাম্পল । এইরকম এক্সাম্পল কোটি কোটি দেওয়া যায় । সেখানে, আই হ্যাভ ডান নাথিং । তোমার তরুদি আমার প্রেমে যাকে বলে পাগল ছিল । আমি নিজেকে ফর দা টাইম বিইং ওর কাছে আ্যভেলেবেল করেছিলাম মাত্র । আই থিঙ্ক ওই টাইমটা ওর হোল লাইফের একটা আ্যসেট হয়ে রয়ে গেছে ।
আমি সত্যিই আর কি বলবো ভেবে পেলাম না । শুধু বললাম , একটা মানুষের ড্রিম , ইমোশন, এভরিথিং রয়েছে তোমাকে জড়িয়ে । এটার কি এতটুকুও ইম্পর্টেন্স নেই তোমার কাছে , মানে ছিল না ?
— আছে না ? অবশ্যই আছে । ইউ জাস্ট কাম টু মি , আ্যন্ড আই উইল শো ইউ ।
ডান হাতের তালুটা আমার দিকে বাড়িয়ে ধরে ভুরু নাচিয়ে বললো , আ্যম অলওয়েজ ইন আ্যন ওপ্পোন কাইন্ডা রিলেইশনশিপ –
গা জ্বলছিল আমার । বললাম , তোমার কথা মতো বুঝলে সোনু দা, আমি খুব ম্যাদা-মারা ওয়ার্থলেস একটা মেয়ে । স্টিল বিলিভ ইন কমিটমেন্ট । আওয়ার্স ইজ আ কমিটেড রিলেশনশিপ ।
ঠোঁটটা ওপরে তুলে একটা ভুরু নাচিয়ে মিনিংফুলি বলল , গুড ! সেক্সি আ্যন্ড বিউটিফুল । স্টিল কমিটেড ফর হাজবেন্ড-
আ্যন্ড হি উইন্কড্ আ্যট মি !
আর বেশি কথা বাড়াইনি । উঠে পড়েছিলাম ।
ক্রমশ..
©®copyright protected
এক-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/978775899579141/
দুই-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/980083989448332/
তিন-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/981378992652165/
চার-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/983543179102413/
পাঁচ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/986002805523117/
ছয়-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/987404668716264/
সাত-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/989485091841555/
আট-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/991102821679782/
নয়-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/993099491480115/
দশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/994279738028757/
এগারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/995634347893296/
বারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/998832147573516/
তেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1000733104050087/
চোদ্দো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1002718000518264/
পনেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1004549847001746/
ষোল-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1007202950069769&id=248680819255323
সতেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1009015169888547/
আঠারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1011129543010443/
উনিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1013312572792140/
কুড়ি-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1015118655944865/
একুশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1017814589008605/
বাইশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1019125995544131/
তেইশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1021798458610218/
চব্বিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1024967944959936/
পঁচিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1031476470975750/
ছাব্বিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1034632350660162/
সাতাশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1038754843581246/
আঠাশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1046967802759950/
উনত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1048831039240293/
ত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1051696202287110/
একত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1053606998762697/
বত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1060747584715305/
তেত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1064517157671681/
চৌত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1073169890139741/
পঁয়ত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1075303099926420/
ছত্রিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1077175089739221&id=248680819255323
সাঁইত্রিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=426810745740602&id=100052350402509
ছবি : সংগৃহীত