#হলদে_প্রজাপতি
(প্রাপ্তমনস্কদের জন্য )
— অমৃতা শংকর ব্যানার্জি ©®
পঁচিশ
( আগের অধ্যায়গুলোর লিংক অধ্যায়ের শেষে দেওয়া হল)
সবকিছুই পবিত্র, বড় নির্মল। প্রেমে সমস্তকিছুই সমর্পণ করা যায় । আমি ওর । সম্পূর্ণভাবেই ওর । এই অনুভূতি এমনভাবে পেয়ে বসে যে, জগতের মাঝে নিজের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় আর একজনের অস্তিত্বের কাছে । আমি ওর কাছে হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে। মৃত প্রজাপতির অনুভূতিটা দিন কয়েকের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছিল। কি এমন ঘটনা ? চাপ হয়তো বেশি পড়ে গেছিল, ও বুঝতে পারেনি । বেড়েই চলল আমার ওর প্রতি সমর্পণের আকুতি । আমি বুঝতে পারতাম ও যতটা না চাইত, তার চেয়েও বেশি সমর্পিত ছিলাম আমি ।
ওর কথায়, ওর কথা মতো নিজেকে সাজিয়ে তুলেছিলাম ।
ও একদিন আমার চুলের গোছাটা নিয়ে মন্তব্য করেছিল, তোমার যেরকম ফিগার আর গেটাপ, তোমাকে কিন্তু লম্বা চুল বেশি মানাবে ।
তাই হল। আমি ভামিনী কাকিমার অবাধ্য হলাম। চুল বড় করতে শুরু করলাম আবার।
ও বলেছিল , তোমার স্ট্রাকচারটা যদিও একদমই স্লিম মেয়েদের মত নয়, তবে চেষ্টা করলে কিছুটা ফ্যাট ঝরিয়ে কম্পারেটিভলি স্লিম হতে পারো। আই থিঙ্ক, ইউ উইল লুক বেটার ।
সকালবেলা নিজের ঘরে কিছুক্ষণ করে এক্সারসাইজ করতাম। খাওয়া দাওয়া কমিয়ে ফেললাম । মনে হত যেন একটু একটু করে স্লিম হচ্ছি। আমার মননে, চিন্তনে, নিঃশ্বাসে, কল্পনায়, বাস্তবে ,সর্বত্র শুধু সোনু দা । আমার সমস্ত ভবিষ্যৎ কল্পনা জুড়ে শুধুমাত্র একজন। আমার ক্ষমতা ছিল না , আজও সে ক্ষমতা আমি জোগাড় করে উঠতে পারিনি- সোনুদার জায়গায় অন্য কোন পুরুষকে কল্পনায় বা বাস্তবে বসানো । আমার খুব ইচ্ছা করত, এই যে সোনুদা এখানে একা একা থাকে, ওর জামাপ্যান্টগুলো সব নিজে হাতে কেচে দিতে । ওর বিছানার চাদরটা নিজে হাতে কেচে টানটান করে পেতে দিতে । ওর বালিশে ধবধবে ওয়ারটা নিজে হাতে করে পরিয়ে দিতে। অগোছালো বইগুলো সব গুছিয়ে দিতে । ওকে সব সময় ছুঁয়ে থাকতে পারিনা, কিন্তু সবটুকু সময় আমার স্পর্শ যেন ওর চারপাশ থেকে ঘিরে রাখে -আর এই ছিল আমার সর্বক্ষণের ভাবনা-চিন্তা । একটা ভবিষ্যৎ দেখতাম, যেখানে আমি আর সোনু দা । সেই আমি আর এই আমির মধ্যে পার্থক্য আছে । পার্থক্য হল – আমি আমার কপালে জ্বলজ্বলে একটা সিঁদুরের প্রলেপ এঁকেছি, দুটো ভ্রুর মাঝখানে সিঁদুরের একটা টিপ পরেছি । সমস্ত পৃথিবীর থেকে লুকিয়ে রেখে আমাদের আর প্রেম করতে হয় না । আমরা যে স্বামী-স্ত্রী ! আমার সম্পূর্ণ অধিকার ওর ওপর , ওর সম্পূর্ণ অধিকার আমার ওপর। পূর্ণ হয়ে উঠেছে আমার জীবন কানায় কানায়। ভীষণভাবে দেখতে পেতাম এই ছবিটা। আমি আমার সোনুদার দেওয়া সিঁদুর পরে, ওর হাত ধরে ওর ঘরে গেছি , লাল বেনারসি পরে । তারপর সারাটা জীবন, আমৃত্যু, শুধু দুজনে দুজনের হয়ে বেঁচে থাকা-! কত কিছু কল্পনা করেছি- একটা ছোট্ট ফুলের বাগান থাকবে, সেখান থেকে তাজা ফুল তুলে এনে ও আমার আলগা খোঁপায় গুঁজে দেবে । কিন্তু তারপর দুজনে শুধু দুজনার হয়েই কি জীবনটা কাটাবো ? না, তারপর আমাদের প্রতিনিধি হয়ে ছোট্ট একটা আলোর টুকরো আসবে আমাদের জীবনে ।
এইসব রঙিন কল্পনা করতে করতেই একদিন টুক করে এসে পড়ল রঙের দিন । ফাগুনের দিন । দোল পূর্ণিমা । মনের বসন্তের প্রথম রং খেলার দিন । মনে তখন পূর্ণিমার চাঁদ ঝলমল করছে। চাঁদের আলোয় উজ্জ্বল চারিদিক । বাসন্তী রঙের শাড়ি পরলাম সেদিন । মেরুন রংয়ের পাড়। মেরুন রংয়ের ব্লাউজ । কপালে একটা ছোট মেরুন টিপ । চুলটা অল্প লম্বা হয়েছিল, দু’পাক বিনুনি করা যেত তখন। চুলটা খুলে রেখেছিলাম । আমার চুলের সামনের দিকের আলগা ভাবটা ভারী সুন্দর ছিল তখন । খুলে রাখলে অল্প একটু ঢেউ খেলত । কপালটাও ছোট লাগতো । সব মিলিয়ে মুখের শ্রী বেড়ে যেতো । এখন তো চুল পাতলা হয়ে গিয়ে ওসব আর বোঝা যায় না । লাল, নীল , সবুজ, হলুদ , কমলা, গোলাপি, এলোমেলো সব রঙের আবির নিয়ে আমি আর বান্টি দুজনে বেরোলাম । ভাবটা এমন , দুজনে মিলে রং খেলবো । খেললামও কিছুটা । ও আমার গালে, মাথায়, কিছুটা আবির লাগিয়ে দিল। আমিও দিলাম । তারপর গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চললাম ম্যানেজারের বাংলোর দিকে। বান্টিকে বলে দিয়ে সুবিধা হয়েছিল। ও আমাদের কোনোভাবে ডিস্টার্ব তো করতই না , উল্টে সময় সুযোগ বুঝে ওকে পাহারায় রাখা যেত । একটু বেগতিক হলেই ও আমাকে কোন না কোনভাবে সাবধান করে দিত । কোন একটা শব্দ করতো বা সাংকেতিক কিছু । আমরা আলোচনা করে ঠিক করে রাখতাম, সেরকমই করত । ও বাংলোর গেট থেকে বেশ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে রইল । আমি একা ভেতরে গেলাম । বাংলোর গেটটা খুলে ভেতরে ঢুকতে হলে আমার বুকটা দুরু দুরু করে উঠতো। আমি জানি আজকে ম্যানেজার কাকু থাকবেন না। ও একা আছে বাংলোয়। ম্যানেজার কাকু দোলের ছুটিতে বাড়ি গেছেন । আমার এই বাংলোর গেটটা খুলে ভেতরে ঢোকার সময় অদ্ভুত একটা অনুভুতি হতো । মনে হতো কোনো নিষিদ্ধ আকর্ষণ যেন আমাকে নিশির ডাকের মতো সেখানে টেনে নিয়ে যাচ্ছে । অথচ আমি ভয়ও পাচ্ছি । পেটে খিদে , মুখে লাজ ।
আমি ঢুকলাম বাংলোর ভেতরে। দরজা ভেজানো ছিল , ভেতর থেকে বন্ধ ছিল না। নক করলাম দরজায়। তারপর নিজেই পাল্লা ঠেলে ভেতরে ঢুকলাম । সোনুদা ছিল ভেতরের ঘরে , ওর বেডরুমে । ও ওর বিছানায় আধশোয়া হয়ে কিছু করছিল । আমি ফাগের থালা নিয়ে হাজির হয়েছি দেখে আমার দিকে তাকিয়ে সেই মুচকি হাসিটা হাসল। তারপর হাতের ইশারায় ডাকলো আমায় । আমি এগিয়ে গিয়ে নিজের ভেতরের দুর্বলতাটুকু যথেষ্ট আগলে রেখে বাইরে স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করে হাসিমুখে ওর দু গালে গোলাপি আবির মাখিয়ে দিলাম । ও কিছুক্ষণ মিটিমিটি চোখে তাকিয়ে রইল আমার দিকে । তারপরে এক ঝটকায় উঠে বসে আমার হাত থেকে আবিরের খেলাটা নিয়ে মাটির ওপর নামিয়ে রাখল। মুঠো ভরে তুলে নিল লাল আবির । তারপর আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মাথার ঠিক সিঁথির কাছটা রেঙে উঠলো লাল আবিরে । সে ঘরের দেওয়ালে একটা আয়না ছিল । সেই আয়নাটার সামনে আমাকে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়ে আমার পেছনে ও দাঁড়ালো । আমার প্রতিবিম্ব পড়েছে আয়নার ওপর । ঠিক সিঁথির কাছটা টকটকে লাল! অদ্ভুত একটা গা শিউড়ানো ভালো লাগায় ভরে উঠল মনটা । সোনুদার হাতের আবিরে রেঙে উঠেছে আমার সিঁথি ! রূপকথার দৃশ্য ! সে এক রূপকথার অনুভূতি ! কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে রইলাম নিজের পরিবর্তিত প্রতিচ্ছবির দিকে । সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা, অদ্ভুত ভয় ! আমার কি তবে বিয়ে হয়ে গেল ?
আমার মনের প্রশ্নটাই কিভাবে যেন পৌঁছে গেল ওর গলায় ।
ও মুখটা নামিয়ে এনে আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, কি, বিয়ে হয়ে গেল তো?
চমকে উঠলাম কথাটা ওর কাছে শুনে। বিয়ে হয়ে গেল ! আমার কি তবে সত্যিই বিয়ে হয়ে গেল ! মালাবদল করে, সাতপাক ঘুরে , সিঁদুর দান করে যে বিয়ে হয় – এটাও মানুষেরই বিশ্বাস । আমার মনে তখন আবেগের মাখামাখি। আমার কাছে বিশ্বাস , ও আমার সিঁথি রাঙিয়ে দিল মানেই আমার বিয়ে হয়ে গেল ।
ও আবার বলল, বলেছিলাম না, বিয়ে অনেক রকমের হয় ? দেখো তোমার আজ বিয়ে হয়ে গেল ।
আমি তখন বিভোর হয়ে ভাবছি, আমার সত্যিই বিয়ে হয়ে গেলো কিনা । হঠাৎ বুঝতে পারলাম ওর বাঁ হাতটা আমার নতুন শাড়ির গন্ধ মাখা নাভির কাছটা খামছে ধরেছে । আমি আবিষ্ট চোখে দেখতে পেলাম , আয়নায় যে সিঁথি রাঙ্গানো মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে, তার চোখের পাতা দুটো বন্ধ হয়ে আসছে । তারপরে আর কিছু দেখতে পেলাম না । বুঝলাম, ওর হাতটা নাভিমূল ছেড়ে উঠে আসছে ওপরের দিকে । আমার মাথাটা এলিয়ে পড়ল ওর কাঁধের ওপরে। আমি বুঝতে পারছি ভাঁজে ভাঁজে পাট করা আঁচল শিথিল হয়ে আসছে ।
খসে পড়ছে।
পড়ছে ।
পড়ল !
আর তার সাথে সাথেই ওর হাতদুটো অধিকার করে নিল আমার শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর স্থান দুটো। এতদিন সযত্নে আড়াল করে রেখেছিলাম ওর স্পর্শ থেকে । দেহ-মন সর্বক্ষণই চাইতো। তবুও অন্ধ সংস্কারের বশে আড়ালে রেখে দিয়েছিলাম। আজ আর তা রইল না । বুঝলাম আমার পা দুটো শূন্যে উঠে যাচ্ছে । ও আমাকে কিছুটা পাঁজাকোলা করে তুলে নিল । তারপর বিছানার ওপরে বালিশগুলোর ওপর ভর দিয়ে ও যেমন আধশোয়া হয়ে বসেছিল, তেমনভাবে শুইয়ে দিল আমায় । আমি তখনও চোখ বুজে রয়েছি , খুব জোরে। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা আবিরের গন্ধ পেলাম মেরুন ব্লাউজের ওপর থেকে । সঙ্গে ঠান্ডা আবিরের পুরুষালি স্পর্শ । চোখ খুললাম। বুকের ওপর চোখ রাখলাম । সে দুখানা তখন ও দু’হাতে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে রয়েছে। তার সাথে কমলা রংয়ের মাখামাখি। ও কখন মুঠোয় করে থালা থেকে কিছুটা কমলা আবির তুলে নিয়েছিল । আমি জানি আজকে ও কোনো বাধা মানবে না । আমি এও জানি , আজকে আমি কোনো বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করবো না ।
আমি দেখছি , চোখ মেলে দেখছি, কিভাবে ওর আঙ্গুলগুলো এক এক করে আমার ব্লাউজের হুকগুলো খুলে ফেলছে । একসময় সম্পূর্ণ খুলে ফেলল। আমি আমার অন্তর্বাস দেখতে পাচ্ছি । আর দেখতে পাচ্ছি সেটা কিভাবে তার নিজস্ব হালকা গোলাপি রঙের ওপর ওর হাত থেকে কমলা রং ধার নিয়ে রাঙিয়ে ফেলছে নিজেকে । কিছুক্ষণ প্রলুব্ধ দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে থেকে ও সেটাও খুলে ফেলল । আমি দেখছি , অবাক হয়ে দেখছি , কিভাবে আমার বাঁধন মুক্ত দুটো স্নেহ-পাত্র ওর হাতের নিচে গলে যাচ্ছে , জেগে উঠছে , পূর্ণতা পাচ্ছে । কমলা গুঁড়ো গুঁড়ো আবিরে অদ্ভুত সুন্দর এক রূপ ধারণ করেছে । যে রূপ পূর্ণতা পাচ্ছে ওর আঙুলগুলোর উপস্থিতিতে । ও কিছুক্ষণ খেলা করলো। মৃৎশিল্পী যেমন পরম যত্নে নিজের গড়া কাঠামোয় রঙ চড়ায়, সেভাবে ও আমার বুকদুটোয় ওর হাতে লেগে থাকা সমস্ত আবির মাখিয়ে দিল । তারপর রবি ঠাকুরের ভাষায় ঠিক যেখানটা ‘জীবনবৃন্তের মুকুল’ সেখানে ওর মুখটা নেমে এলো । উত্তেজনায় আমার চোখদুটো আবারো বন্ধ হয়ে গেল । কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই টের পেলাম আমার শরীরের সেই লালচে খয়েরি সেনসিটিভ অংশটুকুতে উষ্ণ স্পর্শ নেমে এসেছে । আমার স্তনবৃন্ত এখন ওর মুখের ভেতরে । ও ঠোঁট বুলোচ্ছে, কখনো আলতো দাঁতের চাপ দিচ্ছে , কখনো ওর মুখের ভেতরে শুষে নিচ্ছে –
একটা মেয়ের জন্য তার স্তনবৃন্তে তার প্রেমাস্পদর ছোঁয়া যে কি , কি অমূল্য অনুভূতি, কিভাবে তা সারাটা শরীরে-মনে একইসঙ্গে ঝড় তুলতে পারে, আবার অবশ করে ফেলতে পারে, সমস্ত অনুভূতি, শরীর-মন-আত্মা জুড়ে একটিমাত্র স্থানে একত্রিত হতে পারে , তা যতদিন না কোন একটি মেয়ে প্রথম স্পর্শ অনুভব করেছে, তার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় । সমস্ত শরীর আমার গলে যাচ্ছে, দ্রবীভুত হচ্ছে । কে যেন বীণার তারে হাত বুলিয়ে বাজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে । আবেগের ঢেউ । প্রতিটা ঢেউয়ের সাথে অমূল্য মণিমুক্তো উঠে আসতে লাগল । আমি চুপ করে চোখ বন্ধ করে পড়ে রইলাম । শুধু আমার হাতের আঙুলগুলো নিঃশব্দে কখন ওর মাথাটা পেছন থেকে আঁকড়ে ধরে রইলো –
এরপর কখন ও আমাকে ছেড়ে দিয়েছে, কখন আমি অন্তর্বাসের হুক লাগিয়ে নিয়েছি, কিভাবে আবার ব্লাউজটা পরেছি , শাড়ির আঁচল বুনেছি, জানিনা । একটা সময় ফাগের থালা হাতে আবার বেরিয়ে এলাম বাংলো থেকে । নারী-শরীর যে কিভাবে পুরুষের স্পর্শে জেগে উঠতে পারে, তা যতদিন না তার স্তনবৃন্তে সে তার ভালোবাসার মানুষটির ছোঁয়া পাচ্ছে, ততদিন বোঝা যায় না । আমি সেদিন বুঝতে পারলাম, প্রথম বুঝতে পারলাম, শরীরের জাগরন কাকে বলে।
এরপর থেকে অবশ্য বেশ কয়েকবার ওভাবেই জেগে উঠেছে আমার শরীর । কখনো কখনো ও আবার পেনে করে কলকা একে দিতো আমার বুকের ওপর । নিজের ঘরে ফিরে এসে নির্নিমেষ চোখে কলকাগুলো দেখতাম । মনে হতো , ওগুলো আমার জন্ম-দাগ । গত জন্ম.. তারও আগের জন্ম.. বহু বহু জন্ম ধরে ওই দাগ বুকে নিয়েই আমি জন্মেছি .. আগামী অনন্ত জন্ম ধরে ওইভাবেই জন্মাবো। কখনো কখনো ও একটু জোরে কামড়ে দিত , দাঁতের দাগ ফুটে উঠতো, নখের দাগ ফুটে উঠতো , লাল হয়ে যেত চারপাশটা । সেই ফুটে ওঠা ‘লালে’র সঙ্গে তুলনায় আসতে পারে এমন কোন রং পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়নি । মনে হত যেন, সমুদ্রের আড়ালে মুখ লোকানোর আগে অস্তগামী সূর্য যে আভা ছড়িয়ে যায়, কিংবা প্রথম সূর্যোদয়ের যে লালচে আভা তিলকের মতো ফুটে ওঠে কাঞ্চনজঙ্ঘার শিখরে- সব রঙ’ই সেই রঙের কাছে ফিকে ।
আমি ভরে উঠতাম। প্রতিটা স্পর্শে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতাম।
ক্রমশ..
©®copyright protected
এক-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/978775899579141/
দুই-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/980083989448332/
তিন-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/981378992652165/
চার-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/983543179102413/
পাঁচ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/986002805523117/
ছয়-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/987404668716264/
সাত-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/989485091841555/
আট-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/991102821679782/
নয়-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/993099491480115/
দশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/994279738028757/
এগারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/995634347893296/
বারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/998832147573516/
তেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1000733104050087/
চোদ্দো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1002718000518264/
পনেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1004549847001746/
ষোল-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1007202950069769&id=248680819255323
সতেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1009015169888547/
আঠারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1011129543010443/
উনিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1013312572792140/
কুড়ি-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1015118655944865/
একুশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1017814589008605/
বাইশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1019125995544131/
তেইশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1021798458610218/
চব্বিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1024967944959936/
ছবি : সংগৃহীত