সে আদরের অন্য নাম পর্ব-৯

0
360

? #সে_আদরের_অন্য_নাম ?

৯ম পর্ব

হিয়াঃ মানছি উনি আমার হয়ে ফাইট করছে কিন্তু ওনার ফ্যামিলির সবাই আমাকে যা যা বললো ভুল তো কিছু বলেনি কিছু হলেও তো কথা টা সত্য যে আমি কখনোই ওনার যোগ্য হতে পারবো না,কোথায় উনি আর কোথায় আমি___আজকে না হয় উনি আমাকে নিয়ে বলছেন কাল যদি উনিও সবার মতো___হ্যা আমি জানি উনি সবার চাইতে আলাদা একদম অন্য রকম কিন্তু আমি,আমি পারবো তো ওনার মতো হয়ে উঠতে__জীবনটা কিরকম বাংলা সিরিয়াল গুলোর মতো হয়ে যাচ্ছে দিনদিন,সবকিছু কিরকম নাটকীয়তাতে ভরে উঠছে আমার,আচ্ছা কখনো আমাকে যোগ্য বউয়ের পরীক্ষা দিতে হবে না তো সামনে গিয়ে,আল্লাহ এরকম দিন আসার আগে আমাকে তুমি রক্ষা করো প্লিজ___এরকম জীবন আমি চাইনি,একটা সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবন দিতে না পারলে অন্য কিছু তে আমাকে ঠেলে দিও না আর প্লিজ___

_____________________
একদিন পর

হিয়া ছাদে গিয়েছিলো ওর ভেজা জামাকাপড় গুলো মেলতে,আর তখনি অবন্তী এসে বলে ভাইয়া ওকে ওর রুমে ডাকছে

উজান ওর রুমে পরশু ফাইনাল পরীক্ষার জন্য কি করবে না করবে তাই নিয়ে টেবিলের সামনে ঘাটাঘাটি করছিলো,এমন সময় রুপম এসে দুম করে উজানের বিছানায় শুইয়ে পড়ে

রুপমঃ বলেছিলাম হিয়ার খেয়াল রাখতে আর তুই কি না শালা হিয়াকে বিয়েই করে নিলি

উজানঃ রুপম তুই!!

রুপমঃ কেনো রে এখন বুঝি এ বাড়িতে আমার আসাও নিষেধ

উজান ক্ষেপে গিয়ে রুপমের উপর উঠে রুপম কে মারতে মারতে শেষ করে দেয়

উজানঃ কোথায় ছিলি তুই,এটা এটা তোর আসার সময় হলো,কেনো ফোন ধরলি না তুই আমার,কি এমন কাজে বিজি ছিলি তুই,এখন কেনো এলি মজা নিতে,দেখতে আমি কিরকম সুখে আছি কোনটা

রুপমঃ আ উজান ছাড়,লাগছে আমার___আরে ছাড় না,এ ভাই আমি শেষ হয়ে যাবো তো

উজানঃ যখন তোর আমাকে দরকার ছিলো তুই কেনো এলি না আমার কাছে,আমার সবটা শেষ হবার পর তুই এলি,কেনো কেনো,কেনো তোর ফোন টা বন্ধ ছিলো বলতে পারবি,কিসের শাস্তি দিলি তুই আমাকে এটা,আমার উপর দিয়ে কি ঝর টা গিয়েছে এই দুদিনে তার কোনো কোনো ধারণা আছে তোর

রুপমঃ আল্লাহ আমাকে বাঁচান__থাম না রে ভাই আর কতো মারবি___আরে থাম না_____হয়েছে শান্তি নাকি আরো মারবি

উজানঃ কেনো করলি তুই এমনটা,কেনো

রুপমঃ আরে আমি ইচ্ছে করে করেছি নাকি,ওখানে ফোনটা হারিয়ে গিয়েছিলো তাই তো কিছু জানতে না পেরে,আর কাল যখন জানলাম দেখ তখনি কিন্তু আমি দৌড়ে তোর কাছে এসে

উজানঃ এখন আর এসে কি হবে বলতে পারিস

রুপমঃ কি হবে মানে,এখন তো শুধু মজা হবে মামা,আমার আর সন্ধির কতোদিনের কতো শখ ছিলো তোর বাসরে আমি আর সন্ধি মিলে কতো কি করবো কিন্তু তা আর হলো কোথায়,কিন্তু এবার যখন আমি এসে গেছি তখন সব রিপিট হবে সব

উজানঃ জাস্ট শেট আপ রুপম,আমি একদম ই আরকির মুডে নেই

রুপমঃ তোকে কে বললো আমি মুডে আছি,কি হয়েছে তোর দেখি তাকা আমার দিকে তাকা,নতুন বর কখনো এরকম গাল মুখ ফুলিয়ে থাকে কি

উজানঃ হোয়াট নতুন বর,এটা কোনো বিয়ে,না হিয়ার পারমিশন না আমার,রুপম তুই হিয়াকে বিয়ে করতে চেয়েছিলি আমি না

রুপমঃ আমার কথা ছাড় আমি হিয়াকে কোনোদিনি বিয়ে করতে চাই নি,এই দুদিনে হিয়ার সাথে আমার এমন কিছু সম্পর্ক তৈরি হয়নি যে আমার হিয়াকে বিয়ে করবার মতো ইচ্ছে জাগবে, হ্যা আমি হিয়াকে ভালোবেসেছি ঠিক আছে কিন্তু কপালে ছিলো না হয়নি কিন্তু তুই আমাকে একটা কথা বল,তুই কেনো হিয়াকে মেনে নিতে পারছিস না

উজানঃ রুপম তুই হিয়াকে ভালোবাসতি আমি কি করে হিয়াকে তোর থেকে

রুপমঃ আচ্ছা মুশকিল তো,আমার থেকে মানে,হিয়া আমি জাস্ট কদিনের ফ্রেন্ড ছিলাম হিয়া কিন্তু কখনো আমাকে বলেনি সে আমাকে ভালোবাসে,আর আমি তো তাও বললাম ফ্রেন্ড কিন্তু হিয়াতো আমাকে ভাইয়া ছাড়া অন্য চোখে দেখেওনি অবধি

এমন সময় হিয়া দৌড়ে এসে রুমে ঢুকতে যাবে ওমনি উজানের কথা কানে আসলে দরজায় দাঁড়িয়ে পড়ে

উজানঃ আমি তোর কোনো এসব ব্যাখা শুনতে চাইছি না রুপম,তুই হিয়াকে তোর সাথে নিয়ে যা

রুপমঃ তুই কি পাগল হয়ে গেলি,কি বলছিস মাথা ঠিক আছে তোর,তুই আর হিয়া এখন বিবাহিত হিয়া তোর ওয়াইফ

উজানঃ এটাকে বিয়ে বলে না রুপম,এটা একটা সমঝোতা ছাড়া আর কিচ্ছু না,তুই তো হিয়াকে ভালেবাসিস,হিয়া তোর সাথে ভালো থাকবে

রুপমঃ উজান!!কি হয়েছে তোর,কি চাইছিস হিয়াকে ডিভোর্স দিতে মাথা ঠিক আছে তোর

উজানঃ হ্যা আছে,আমি হিয়াকে ডিভোর্স দেবো আর তুই হিয়াকে বিয়ে করে নিবি

রুপমঃ আর তোর তোর কি হবে

উজানঃ আমার আবার কি হবে,আমিও বিয়ে করে নেবো অন্য কাউকে

রুপমঃ কে বিয়ে করবে তোকে,এমনিতে তো তোদের কাহিনির অভাব নেই আজকাল

উজানঃ আমাকে বিয়ে করার মেয়ের হবে না,নীলিমা কে এখনো বললে সে রাজি হয়ে যাবে

রুপমঃ একটা সত্যি কথা বলতো তুই হিয়াকে ভালোবাসিস না

উজানঃ না বাসি না

রুপমঃ আমার দিকে তাকিয়ে কথা টা বলতে পারবি,তাকা আমার দিকে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বল তুই এতোক্ষণ যা বললি সব সত্যি

উজানঃ রুপম ছাড় আমাকে

রুপমঃ তুই যদি হিয়াকে না ভালোবাসিস তাহলে বিয়ে টা কেনো করতে গেলি বল কেনো করতে গেলি

উজানঃ মা জোড় করেছিলো তাই

রুপমঃ মিথ্যে কথা,আমি বিশ্বাস করি না

এসব শোনার পর হিয়া আর ওখানে একমুহূর্ত দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না,দৌড়ে অবন্তীর রুমের ব্যালকুনিতে গিয়ে গ্রীল ধরে হাঁপাতে থাকে,হিয়া আর কিছু ভাবতে পারছে না,কি শুনলো ও এগুলো,তারমানে উজান ওকে,হিয়ার শ্বাস যেনো কেউ আঁটকে ধরেছে,হাত পা কাঁপছে,চারপাশ ঝাপসা হয়ে আসছে না না ও ভুল শুনলো এগুলো কোনোটাই সত্য না,কিন্তু নিজ কানে শুনে কি করে হিয়া ওগুলো অবিশ্বাস করবে,তাহলে কি সবার মতো উজানো ওকে ঠকালে,হিয়া কিছু ভাবতে পারে না আর, চোখ দিয়ে পানিও তো পড়ছে না এটা কিরকম কষ্ট,মানুষ আঘাত পেলে কাঁদে কিন্তু কিছু কিছু আঘাতের কান্না হয় না হয় নীরবতা!!

হিয়া নিশ্চুপ হয়ে নিজেকে সামলাতে থাকে এমন সময় বাসবি অবন্তীর খোঁজে রুমে এসে হিয়াকে দেখতে পেলে হিয়াকে ওরকম করে কাঁপতে দেখে আঁতকে উঠে,হিয়া এরকম করে কাঁপছে কেনো,বাসবির মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না,বাসবি হিয়াকে ধরে কিছু বলতে গেলে হিয়া বাসবিকে জাপ্টে ধরে কাঁদতে শুরু করে,আর এটা এই সেই কান্না না এটা একটা ঝড়ের কান্না
_________________
রুপমঃ তাহলে সৈকত এখন হসপিটালের বিছানায় শুয়ে কেনো আছে তার উওর দে

উজানঃ আ-মি আ-মি কি করে জান-বো

রুপমঃ কারণ সৈকতের এই অবস্থার জন্য তুই দায়ী,আমি সব জানি রাসেল আমাকে সব বলেছে

উজানঃ হ্যা হ্যা তো কি কি হয়েছে,সৈকত আমার সাথে যা করে-ছে তা-র জন্য আ-মি তাকে

রুপমঃ একদম আমাকে মিথ্যা কথা বলবি না উজান,শুধু তার জন্য না,সোজাসাপটা করে কেনো বলিস না সৈকত হিয়াকে কাঁদিয়েছে হিয়ার এতো বড় একটা ক্ষতি করেছে বলে তুই সৈকতকে

উজানঃ না আমি হিয়ার জন্য কিচ্ছু করিনি

রুপমঃ আবার মিথ্যে কথা,কেনো করছিস তুই এমন,উজান মেয়েটাকে তুই বিয়ে করেছিস ব্যাপারটা বোঝ

উজানঃ কিন্তু হিয়াকে তো তুই

রুপমঃ ভালোবাসতাম হ্যা ভালোবাসতাম মন থেকেই ভালোবাসতাম,কিন্তু পরিস্থিতি টা এখন ভিন্ন,ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড উজান

উজানঃ আ-মি হিয়াকে নিয়ে সংসার করলে তোর কষ্ট হবে না

রুপমঃ হ্যা হবে কিন্তু সেটা সাময়িক,তাই বলে তো তুই

উজানঃ আমার মাথা কাজ করছে না রুপম আমি কি থেকে কি বলছি আমার নিজের উপর কোনো কন্ট্রোল নেই,এদিকে বাড়িতে আম্মুকে হাজারটা কথা শুনতে হচ্ছে ওদিকে হিয়াকে কেউ মেনে নিতে চাইছে না,ভার্সিটিতে আমার ক্যান্ডিডেট বাতিল করা হয়েছে,তার উপর পরশু পরীক্ষা আমি কোনদিকে ফোকাস করবো একটু বলবি,আমি আর পারছি না,আমিও তো মানুষ রুপম

রুপমঃ রিলাক্স কাম ডাউন,আমি বুঝতে পারছি তোর মনের অবস্থা টা___এখন ওসব বাদ আপাতত তুই পরশু পরীক্ষা টা নিয়ে ভাব,দরকার পড়লে আমার বাড়িতে চল আমরা একসাথে পড়বো আগের মতো,দেখবি মন টা ফ্রেশ হবে

উজানঃ না তুই যা এখানে হিয়ার আর মার আমাকে দরকার

রুপমঃ ঠিক আছে,আমি বাস থেকে নেমে তোর এখানেই এসেছি বাড়িতেও ঢুকিনি,আমি এখন আসছি___সব ভুলে যা এসব নিয়ে আমরা পরেও ডিসকাস করবো,তুই পরীক্ষায় ফোকাস কর প্লিজ

উজানঃ হুম
___________________
বাসবিঃ কি হয়েছে মা,কেনো এরকম করে কাঁদছো___কেউ আবার তোমাকে কিছু বলেছে,কে কে বলেছে আমাকে বলো,আমি তাকে গিয়ে কথা বলে আসবো______হিয়া,এই পাগলি মেয়ে আমার কাঁদছো কেনো এরকম করে_____তোমার কান্না দেখে কিন্তু আমার কষ্ট হচ্ছে মা,কি হয়েছে বলো আমাকে

হিয়াঃ আন্টি কেনো আপনি আপনার ছেলেকে জোড় করে আমার সাথে বিয়ে দিলেন,কেনো ওনার ঘাড়ের উপর আমার মতো একটা মেয়েকে চাপিয়ে দিলেন,উনি তো খুশি না আন্টি আমাকে নিয়ে

বাসবিঃ কে বলেছে উজান তোমাকে নিয়ে খুশি না,আমি আমার ছেলেকে চিনি না ওহ তোমাকে পেয়ে অনেক খুশি,খুব খুশি

হিয়াঃ না আন্টি আপনি সব টা জানেন না,উনি আমাকে কখনো মেনে নেন নি,উনি চান আমি যেনো ওনাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করে নেই

বাসবিঃ ধ্যাত বোকা মেয়ে কে বলেছে তোমাকে এসব,উজান

হিয়াঃ না

বাসবিঃ আমি তো জানি আমার উজান এসব বলতেই পারে না তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে

হিয়াঃ না আন্টি আমার কোথাও ভুল হচ্ছে না আমি সব জেনে বুঝেই___আন্টি আপনি আমাকে আমার হোস্টেলে দিয়ে আসার ব্যবস্থা করুন প্লিজ আমি আর এই বাড়িতে থাকতে পারবো না,এক মুহূর্তও না

বাসবিঃ এটা কেমন ধরনের কথা হিয়া

হিয়াঃ আন্টি আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না,আমার মাথা টা পুরো চেপে ধরে আছে,মনে হচ্ছে কেউ আমার গলা চেপে ধরে আছে আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে আন্টি,আমি একটু একা থাকতে চাই আন্টি,এরকম একটার পর একটা আঘাত চলতে থাকলে আমি পাগল হয়ে যাবো,আন্টি প্লিজ

বাসবিঃ তা হয় না মা তুমি এখন এ বাড়ির বউ

হিয়াঃ আন্টি প্লিজজজ আন্টি এরকম চলতে থাকলে আমি ঠিক মতো করে পড়াশুনো করতে পারবো না আন্টি আমার তো সামনে পরীক্ষা আন্টি আমি চাই এই পরীক্ষা টা অনন্ত ভালো হোক,কিন্তু এখানে থাকলে আমি একটা চাপের মধ্যে থাকবো,আন্টি আমি একটু একা থাকতে চাই,কারো দেওয়া আঘাত সহ্য করবার মতো সহ্যশক্তি আমার নেই আর আন্টি আমার নিজেকে খুব অসহায় লাগছে আজকে খুব অসহায়

বাসবিঃ ঠিক আছে আমি দেখছি

হিয়া অনেক রিকুয়েষ্ট করলে বাসবি রাজি হয় হিয়াকে পরীক্ষার এই তিন মাস ওর হোস্টেলে রাখতে,কারণ বাসবি কিছুটা হলেও বুঝেছে হিয়া এ বাড়িতে ভালো নেই,প্রতিদিন রোজ কেউ না কেউ এসে হিয়াকে অপমান করে দেবে আর হিয়া এই চাপ নিতে পারবে না,আর তার উপর বাসবি এ কয়দিনে এটা খুব ভালো করে বুঝেছে যে অবন্তী আর হিয়া একসাথে থাকলে কারোরি পড়াতে মন বসবে না,তার উপর পরশু থেকে শুরু উজানের ফাইনাল,তাই বাসবি অনেক ভেবে চিন্তে সবার দিক টা বিবেচনায় এনে সিদ্ধান্ত টা নেয়

_________________
অবন্তীঃ কি রে ভাইয়া কেমন হলো পরীক্ষা

উজানঃ হুম ভালো

অবন্তীঃ আবার কবে পরীক্ষা

উজানঃ দেড়ি আছে কেনো

অবন্তীঃ না এমনি,তোমাদের এতো গ্যাপে গ্যাপে পরীক্ষা হয়,আমাদের এরকম হলে তো আমরা হান্ড্রেড এ হান্ড্রেড উওর করে আসতাম

উজানঃ নিজের পরীক্ষার চড়কায় তেল দে,আর দু মাসো তো নেই মনে হয়

অবন্তীঃ হুমম

উজানঃ হিয়া কোথায় রে,আসছি থেকে দেখলাম না একবারো

অবন্তীঃ ওমা তুমি জানো না হিয়া হোস্টেলে ফিরে গেছে

উজানঃ হোয়াট,কিসব কথা বলছিস এগুলো হোস্টেল ফিরে গেছে মানে

অবন্তীঃ কেনো আম্মু তোমাকে বলেনি,তুমি পরীক্ষা দিতে চলে যাবার পরি তো আম্মু হিয়াকে নিয়ে গিয়ে হোস্টেলে রেখে আসলো

উজানঃ কিন্তু কেনো,বাড়ি থাকতে ও হোস্টলে মানে

অবন্তীঃ কি জানি হিয়ার নাকি এ বাড়িতে থাকলে পড়াশুনো কিচ্ছু হবে না তাই আম্মু ওকে

উজানঃ পড়াশোনা হবে না মানে,পড়াশোনা কোনো হবে না,আর হবে না দেখে ওকে হোস্টেলে থাকতে হবে এটা কি ধরনের কথা

অবন্তীঃ সেটা আম্মুকেই গিয়ে জিঙ্গেস করো

উজানঃ হিয়াকে একটা ফোন দে,এক্ষুনি

অবন্তীঃ লাভ নেই ও যাবার আগে আমাকে বলে গেছে আমি বা তুমি যেনো ওকে কল না করি,আর এটাও বলেছে আমরা কল করলেও সে রিসিভ করবে না সে নাকি তোমার সাথে সাথে আমার উপরো ভীষণ অভিমান করেছে

উজানঃ হোয়াট রাবিস,এখানে আবার অভিমানের কি হলো,আমি তো কাল বাড়িতেই ছিলাম না তাহলে এমন কি হলো যে ও

অবন্তীঃ আমি কি জানি আমার উপর চেঁচাচ্ছ কেনো,এমনিতে তোমার আর হিয়ার বিয়ের পর আমি কতো কি করবো ভাবছিলাম এখন তো দেখছি বিয়ে টা না হলেই ভালো হতো অনন্ত হিয়ার সাথে কথা বলা টা তো বন্ধ হতো না আমার
________________

হিয়ার হোস্টেল যাবার বিষয় টা উজান ঠিক মেনে নিতে পারে না,কি এমন হলো যে হিয়াকে হোস্টেলে গিয়ে থাকতে হচ্ছে__হিয়ার হোস্টেল যাবার প্রায় এক মাস হয়ে আসে হিয়া রোজ ফোনে বাসবির সাথে কথা বললেও অবন্তী কে নিজে থেকে একটা ফোনো করে না,এদিকে অবন্তী দু একবার ওর মার কাছ থেকে ফোন নিয়ে কথা বললেও হিয়া কেঁদে উঠে তাই অবন্তী হিয়ার উপর নিজের মনে আসা অভিমান টা ঝারতে গিয়েও ঝারতে পারে না__এদিকে উজানের পরীক্ষা প্রায় শেষ আর হয়তো একটা বাকি,এ কদিনে উজান হিয়ার সাথে কথা বলার জন্য প্রায় মরিয়া হয়ে উঠে গিয়েছিলো,দিনে প্রায় শতবার ফোন করে হিয়াকে কিন্তু হিয়া রিসিভ তো দূরে থাক উজানের যতো নাম্বার আছে সব ব্লক করে থুয়ে দেয়,হিয়াকে একটা বার দেখার জন্য প্রায় রোজই হোস্টেলের সামনে গিয়ে দাড় হয় উজান,হিয়ার রুমমেট কে দিয়ে রিকুয়েষ্ট করে এক মিনিটের জন্য হলেও যেনো হিয়া নিচে আসে কিন্তু হিয়া নামে না,উজান প্রায় পাগল হয়ে যায়,কেনো হিয়া ওকে এতো কষ্ট দিচ্ছে হিয়া কি বুঝতে পারছে না তাকে দেখতে না পেরে উজানের কি অবস্থা হচ্ছে নাকি সব টা বুঝেও না বোঝার ভান করছে,কোনটা,শেষমেশ বাধ্য হয়ে উজান সন্ধিকে হিয়ার হোস্টেলে পাঠায় হিয়ার সাথে কথা বলার জন্য

হিয়াঃ সন্ধি আপু তুমি

সন্ধিঃ এসব কি হিয়া,what’s wrong with you__কি করে পারছো উজানকে এতো টা কষ্ট দিতে,কি করে

হিয়াঃ আমি কাউকে কষ্ট দিচ্ছি না আপু,বরং উল্টে উনি আমাকে এমন একটা পরিস্থিতি তে এনে ফেলেছেন যে এখন আমার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজে দেখতেই ঘৃণা হয়

সন্ধিঃ কিসব বলছো তুমি হিয়া উজান তোমাকে কি এমন পরিস্থিতি ফেলেছে,ও তো তোমাকে বিয়ে করেছে বরং ও তো বিয়ে করে একটা সম্মান দিয়েছে তোমাকে একটা নাম দিয়েছে তাই তুমি আজ এখানে ওর ওয়াইফ হয়ে

হিয়াঃ আমি তো বলিনি বিয়ে করে আমাকে কোনো সম্মান দিতে___কেনো করলেন উনি বিয়েটা,যখন ওনার এ-তোই আমাকে নিয়ে প্রবলেম ছিলো তো বলে দিতো আন্টিকে মা আমি হিয়াকে ভালোবাসি না আমি হিয়াকে বিয়ে করতে পারবো না,কেনো বললেন না,বলুন

সন্ধিঃ হিয়া হিয়া হিয়া কি হয়েছে বোন তোমার,আমি জানি কিছু তো একটা হয়েছে তোমার তাই জন্য তুমি__কি হয়েছে বলো আমাকে,কেউ কিছু বলেছে,আর কে বলেছে যে উজান তোমাকে ভালোবাসে না,ও জোড় করে তোমাকে বিয়ে করেছে কে কে বলেছে এসব ফালতু কথা__ও তো তোমাকে নিজের সবটা দিয়ে বসে আছে তারপরো তুমি

হিয়াঃ আমি নিজের কানে শুনেছি উনি রুপম ভাইয়া কে বলেছেন উনি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে আর রুপম ভাইয়া যেনো আমাকে বিয়ে করে নেয়__আমি এও বলতে শুনেছি আমি ওনাকে ডিভোর্স দিলে উনি তখন নীলিমা আপুকে বিয়ে করে নেবেন___এরপরো আপনি বলবেন উনি আমাকে ভালোবাসে

সন্ধিঃ বোকা মেয়ে একটা__দেখি বসো আমার পাশে___কি হলো বসো____

হিয়া গিয়ে সন্ধির পাশে বসলে সন্ধি হিয়ার মাথা টা ওর বুকে আগলে নিয়ে এক হাত হিয়ার হাতে রেখে অন্য হাত হিয়ার মাথায় রেখে,হিয়ার চুলে বিলি কাটতে থাকে

সন্ধিঃ ছোট বেলায় একবার স্কুল থেকে ফেরার সময় আমি উজান রুপম রাসেল সবাই রাস্তায় লাইন করে হাঁটছিলাম আর নিজেদের মনের মতো করে রাস্তা মাতিয়ে গল্প করছিলাম,আমরা গল্পে এতোটাই বিভোর ছিলাম যে আশেপাশে কোনো গাড়ি রিক্সা কিছুই চোখে পড়ছিলো না,হঠাৎ হাঁটতে হাঁটতে উজানের চোখ পড়ে রাস্তার মাঝখানে বসে থাকা একটা বাচ্চা বেড়ালের উপর আর উজান দৌড়ে গিয়ে বেড়ালটার উপর ঝাপিয়ে পড়ে তাকে কোলে নেয়

হিয়াঃ তারপর

সন্ধিঃ উজান বেড়ালটাকে কোলে নিয়ে মাঝখানে দাঁড়িয়েই ইচ্ছে মতো কথা বলতে থাকে কিন্তু ওর সামন দিক দিয়েই তখন আসছিলো একটা প্রাইভেট কার,কার টার মেবি ব্রেক ফেল করেছিলো সেসময় নাহলে তো থেমেই যেতো কিন্তু থামতে পারে নি,আর সেটা কারো চোখে না পড়লেও পড়েছিলো রুপমের চোখে

হিয়াঃ এরপর

সন্ধিঃ এরপর আর কি উজান কে বাঁচাতে গিয়ে হসপিটালে পুরো একটা মাস কাটাতে হয় রুপমকে__তুমি একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখবা রুপমের বা হাত টা একটু বাঁকা ওটা সেদিনকার ঔ এক্সিডেন্ট টার জন্য___সেই একটা মাস যে আমাদের সবার উপর কি গিয়েছে সেটা শুধু আমরাই জানি,হ্যা তখন ছোট ছিলাম সব হয়তো মনে নেই কিন্তু যা মনে আছে সেটা ভাবলেই আমার দম টা এখনো বন্ধ হয়ে আসে

হিয়াঃ কিন্তু আপু এই গল্প টা তুমি আমাকে কেনো বলছো

সন্ধিঃ বলছি কারণ উজান এখনো মনে করে আজকে যে ও এভাবে সুন্দর একটা জীবন লিড করছে সেটা শুধু মাএ রুপমের জন্য সে মনে করে সে রুপমের কাছে আজীবন ঋৃণি তাই যখন ও জানতে পারলো রুপম তোমাকে ভালোবাসে সে ওখানেই দমে যায়___তাই সে হয়তো হুশ হারিয়ে বলে ফেলেছিলো সে তোমাকে ডিভোর্স দিলে রুপম যেন তোমাকে বিয়ে করে নেয়

হিয়াঃ সে টা আমাকে বিয়ে করবার আগে ওনার ভাবা উচিৎ ছিলো,শেষে কি না উনি ওনার ঋণ মেটাতে আমাকে রুপম ভাইয়ায় কাছে পরিশোধের বস্তু হিসাবে বিলিয়ে দিতে চাইছেন____!!!!

সন্ধিঃ তোমার ভুল বোঝা টা রাগ করাটা অভিমান করাটা স্বাভাবিক হিয়া আমি বুঝি__কিন্তু কি বলো তো উজান না অনেকটা ইনট্রোভার্ট একটা ছেলে জানো,কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে না ও গুলিয়ে ফেলে,ও ভাবে ও যেটা করছে সেটা হয়তো অন্য কে কষ্ট দিচ্ছে কিন্তু এটা সে কখনো বুঝতে পারে না তার এই দুরকম ভাবনাতে তার কাছের মানুষ গুলো কতো কষ্ট পায়

হিয়াঃ আমি না হয় সব বুঝে ওনার সাথে কথা বলে সব ঠিক করে নিলাম কিন্তু লাভ কি তাঁতে
দুদিন পর তো উনি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে বলতেই পারেন হিয়া আমি তোমাকে চাই না

সন্ধিঃ না বলবে না,আমি কথা দিচ্ছি তো সে বলবে না,উজান তোমাকে খুব ভালো বাসে হিয়া

হিয়াঃ না আপু উনি আমাকে ভালোবাসেন না,বাসলে ওনার ঋণ মেটাতে আমাকে এভাবে,আমাকে ভালোবাসলে উনি আমাদের সম্পর্ক টার কথা না ভেবে নিজের বন্ধত্ব টাকে বেশি প্রায়োরিটি দিতে পারতেন না

সন্ধিঃ তুমি না বুঝলে সত্যি আমার আর করার কিচ্ছু নেই হিয়া,আমার দায়িত্ব ছিলো তোমাকে বোঝানোর আমি তাই করলাম____উজান মেবি সামনের সপ্তাহে পরীক্ষা টা দিয়েই ঢাকা শীফট করবে আঙ্কেল চাইছে ঢাকায় ওদের অফিস টা এখন থেকে উজান সামলাক___তুমি যদি পারো যদি তোমার মন চায় একবার ওর সাথে দেখা করো হিয়া,ছেলেটা তোমাকে ছাড়া ভালো নেই

হিয়াঃ কোথায় উনি এখন

সন্ধিঃ নিচে আছে দেখা করবা

হিয়াঃ না

সন্ধিঃ এতোকিছুর পরেও না___ছেলেটা গত এক মাস ধরে ঠিক করে রাতে ঘুমায় না হিয়া,এক বেলা খেলো তো আরেক বেলা নেই,পরীক্ষা গুলোও যে কি দিয়েছে ঔ একমাত্র ভালো জানে___যদি পরশু সময় হয় তো ওকে একটু সময় দিও উজান তোমাকে দেখতে না পেয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে হিয়া

হিয়াঃ (একটা দীর্ঘশ্বাস টেনে)ঠি-ক আছে আপনি ওনাকে গিয়ে বলুন পরশু আমাদের কলেজে বিদায়ের অনুষ্ঠান আছে,অনুষ্ঠান শেষে আমি ওনার জন্য গেটের বাহিরে অপেক্ষা করবো

সন্ধিঃ ঠিক আছে থ্যাংক-ইউ___বাঁচালে এই পারমিশন টুকু নিয়ে যেতে না পারলে তোমার বর তো আমাকে শেষই করে দিতো__আসছি কেমন

__________________

অবন্তীঃ ধুরো কি বিরিয়ানি না দিয়ে এগুলো সিঙ্গারা লাড্ডু ধরিয়ে দিলো,কম টাকার তো বেতন নেয় না, কি হতো সবাই কে একটু বিরিয়ানি দিলে ধুর,কাল থেকে যে কি খেতে ইচ্ছে করছে বিরিয়ানি আমার

হিয়াঃ এই যে নে তোর বিরিয়ানি,হ্যাপি

অবন্তীঃ আরে ব্যাচ তুই কি করে জানলি আমার বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছে করছে

হিয়াঃ তোর ভাবি বলে কথা এটুকু যদি নাই বুঝতে পারি তাহলে আর কি হলো,এখানে আন্টির জন্যেও আছে একা পুরোটা গিলিস না আবার

অবন্তীঃ ওয় হোয় কি চলে হ্যা,আজ একটু বেশি খুশি খুশি যে,ভাইয়ার সাথে মিট করবা ওজন্য বুঝি

হিয়াঃ না,কাল বাড়ি যাবো একবার ওজন্য

অবন্তীঃ ওওওও,তা কবে ফিরবি

হিয়াঃ দেখি পরীক্ষার আগে তো আর যেতে পারবো না,যতোদিন থাকতে পারি আরকি

অবন্তী আর হিয়া গল্প করতে করতে গেটের বাহিরে গিয়ে দাঁড় হয়,গিয়েই দেখে উজান ওর বাইক টা নিয়ে রাস্তার সামনে দাঁড় হয়ে আছে,আজকে উজান একটা অফ-হোয়াইট জিংকসের সাথে আকাশি রঙের শার্ট পড়ে হাতা কনুই অবধি ভাজ করে নিয়েছে,আর হাতে তো আছে ব্রান্ডের চেইন সিস্টেমের ঘড়ি সাথে চোখে পড়েছে একটা দূর্দান্ত সানগ্লাস,কি যে হ্যান্ডসাম লাগছে বলে বোঝানো মুশকিল,কলেজের প্রত্যেকটা মেয়ে যেনো একবার হলেও আড় চোখে উজানকে দেখে নিচ্ছে___আর হিয়া আজ পড়েছে লেমন রঙের সুতি একটা থ্রীপিচ যার ওরনা আর পায়জামা টা পুরো লাল আর জামাটা লেমন,আর সাজার মধ্যে শুধু হাতে কয়েকটা লাল চুড়ি আর কপালে ঔ কালো টিপ আর এই টুকু সাজেই উজানের মন কেড়ে নিতে সক্ষম

অবন্তীঃ একি এ আমি কাকে দেখছি!!ভাইয়া কে তো আজ একটু বেশিই জোস লাগছে

উজানঃ কি হাতে ওটা তোর

অবন্তীঃ বিরিয়ানি মেড বাই মাই ওয়ান এন্ড ওনলি ভাআআবিইইইই____খাবা নাকি দেবো একটু খুলে

হিয়াঃ না___মানে তুই ওটা বাড়িতে নিয়ে যা ওখানে আন্টির জন্যেও আছে,আমি ওনার জন্য আলাদা নিয়েছি সাথে

অবন্তীঃ ওও ভাইয়ার জন্য স্পেশাল তো বুঝছি

হিয়াঃ কোনো স্পেশাল না,একি জিনিস

অবন্তীঃ বুঝেছি হুহ

উজানঃ গাড়িতে উঠো দুজনে

দুজনে গাড়িতে উঠলে উজান প্রথমে অবন্তী কে বাড়িতে ড্রপ করে হিয়াকে নিয়ে সন্ধিদের বাড়িতে যায়,আজ সন্ধির বাসা পুরো ফাঁকা শুধু একাই সন্ধি আছে

সন্ধিঃ তোরা এসে গেছিস আমি আর একটু হলে তোকে ফোন করতাম,আমি তো ভাবলাম বারো টা বললি কিন্তু এখনো তোদের পাওা নেই আসবি কি আসবি না

উজানঃ নে রাখ এগুলো

সন্ধিঃ আইসক্রিম!!বাহ ভালোই করেছিস আজ যা গরম পড়েছে,হিয়া

হিয়াঃ হ্যা আপু

সন্ধিঃ কি হলো চুপচাপ হয়ে আছো যে,আমার বাড়িটা পছন্দ হয়নি বুঝি,আমার বাড়ি কিন্তু আবার তোমার বরের বাড়ির মতো সুন্দর না

হিয়াঃ না আপু এটাই অনেক সুন্দর,ওদের বাড়িতে এক্সট্রা সব কিছু কি রকম যেনো চিড়িয়াখানা চিড়িয়াখানা লাগে মাঝেমধ্যে

হিয়ার কথায় সন্ধি মন খুলে হেসে দিলেও উজান হিয়ার দিকে ভ্রূকুচকে তাকিয়ে সন্ধির রুমে চলে যায়,

সন্ধিঃ বেচারা মনে হয় হালকা ক্ষেপে গেছে

হিয়াঃ গেলে যাক,যা সত্যি আমি তাই বলেছি,বাড়িতে অবন্তী আর মার রুম ছাড়া কোনো কিছুই আমার ভালো লাগে না,তবে মার রুম টা বেশি প্রিয় মনে হয় মা আমার মনের কথা বুঝেই ওনার রুম টা সাজিয়ে ছে

সন্ধিঃ আর আমার বন্ধুর রুম টা

হিয়াঃ সেভাবে তো দেখার সুযোগ পাইনি,তবে যেটুকু দেখেছি মন ভরে নি মানে ভালো লাগে নি,আমি সাজালে হয়তো অন্য রকম করে সাজাতাম

সন্ধিঃ এখন তো সবই তোমার,নিজের মনের মতো করে সাজিয়ে নিও

হিয়াঃ সব কি সত্যি আমার

সন্ধিঃ মানে

হিয়াঃ কিছু না,আমি চাই না আর ওনার কোনো কিছুতে ইন্টারফেয়ার করতে___নিন এটা আপনার জন্য

সন্ধিঃ কি এটা বিরিয়ানি,মাই ফেবারিট

হিয়াঃ হুমম এই প্রথম আপনার বাসায় আসছি খালি হাতে আসলে কি হয় বলুন

সন্ধিঃ থ্যাংক ইউ মাই লিটেল সিস,তা উজানের জন্য আনো নাই

হিয়াঃ এনেছি,আমাকে একটা প্লেট দিতে পারবেন ওনাকে একটু খাইয়ে দেবো,সকালে কিছু না খেয়েই বেড়িয়েছে শুনলাম

সন্ধিঃ এই বলছো ওর কোনো ব্যাপারে তুমি ইন্টারফেয়ার করবা না আবার এই ওকে খাইয়ে দিতে চাইছো,সত্যি তোমরা দুজন না একদম বাচ্চা

হিয়াঃ হুম আপনার আর অবন্তীর থেকে কিন্তু কম আছি,আপনারা দুজনে আমাকে মাঝে মাঝে যা লজ্জা দেন আমি তো পারলে

সন্ধিঃ ইসস কতো লজ্জা না__দাঁড়াও একটু আমি প্লেট আনছি____

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here