? #সে_আদরের_অন্য_নাম ?
৮ম পর্ব
উজান কে বসানোর জন্য বাড়ির ছাঁদে ব্যবস্থা করা হয়,ওখানেই কাজি এসে উজানের কাছে বিয়ের সব নিয়ম সেরে নিচে হিয়ার কাছে আসে__এদিকে উজানদের বাড়ির বড়ো রা হিয়াকে ঘিরে ধরে,হিয়া এদের কাউকেই চিনে না মুখ তুলে তাদের দিকে যে তাকাবে,সে ইচ্ছে টাও যে নেই হিয়ার মনে আজ___
হিয়াঃ কি হতো আজ এরকম না হলে,খুব ইচ্ছে করছে আপনাকে গিয়ে বলি আমি আপনাকে ভালোবাসি,খুব ভালোবাসি,ইচ্ছে করছে আপনার চাদরের তোলে আবার লুকিয়ে পড়ি,আবার সেই পাহাড়ি সাজে আপনার কাছে গিয়ে দাঁড় হই,আপনার গায়ের গন্ধ টা নিজের গায়ে মাখতে ইচ্ছে করছে আরো একবার,খুব ইচ্ছে করছে আপনার স্পর্শ পেতে জানি তো ওগুলো পাপ কিন্তু তাও ইচ্ছে করছে কি করবো বলুন__!!
এমন সময় কাজি এসে হিয়ার সামনে গিয়ে বসে পড়ে,হিয়ার নিজেকে এই মুহুর্তে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে,কেনো ওর সাথে এমন হলো,ও তো এমনটা চায়নি!
কাজি এদিকে বিয়ে পড়াচ্ছে বিয়ে পড়াতে পড়াতে যখন উজানের নাম টা নেয় হিয়া চোখ তুলে আঁতকে উঠে,এটা উনি কার নাম বলছেন__এর মধ্যে অবন্তী আর সন্ধি দৌড়ে এসে কাজির পেছনে দাঁড়িয়ে যায়,হিয়া অবন্তীর দিকে চোখ বড়ো বড়ো করে তাকালে অবন্তী হিয়াকে একটা চোখ টিপে শয়তানি হাসি দিয়ে উঠে
হিয়াঃ অবন্তী এখানে কি করছে,সন্ধি আপু!!এরা কেনো তাহলে কি ভাইয়া আমাকে নিতে আসছে,কিন্তু ভাইয়া কোথায় আর অবন্তীদের এভাবে কে ভেতরে আসতে দিলো
কাজিঃ মা কবুল বলো___তুমি কি শাহরিয়ার সাহেবের বড় পুএ শাহরিয়ার ইবনে উজানকে বিয়ে করতে রাজি
হিয়াঃ শাহরিয়ার ইবনে উজান!!___ইনি তো ভাইয়ার নাম বলছে তার মানে আমার বিয়ে কি
কাজিঃ কি হলে মা বলো কবুল
হিয়াঃ না না এটা ভাইয়া না এই নামে তো আরো অনেকে থাকতে পারে তাহলে
সন্ধিঃ হিয়া কবুল বলো
হিয়াঃ হ্যাএএ সন্ধি আপু আমাকে নিতে এসে কবুল কেনো বলতে বলছে
কাজিঃ মা বলো কবুল
হিয়ার মাথায় সব কিছু ক্লিয়ার হয়ে আসলে হিয়া একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে,তার মানে ওর বিয়েটা তাহলে উজানের সাথেই হচ্ছে,সেদিন তাহলে ও ঠিকি বুঝেছিলো বাসবিই ওদের বাড়িতে এসেছিল,সব কিছু বুঝে কবুল বলতে হিয়া প্রায় পাক্কা দশমিনিট সময় ব্যায় করে
_______________
বিয়ে সেড়ে খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে উজানদের বাড়িতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে আসে,এই সাত আট ঘন্টায় কোথা থেকে যে কি হয়ে গেলো হিয়ার মাথায় কিচ্ছু আসছে না__হিয়াকে উজানের রুমে বসিয়ে দিয়ে সবাই ফ্রেশ হয়ে নিচ্ছে,বাসবি আর অনিক ব্যস্ত পরশু বউভাতের প্রিপারেশন নিয়ে,উজানের বাবা এখনো হালকা রেগে আছে তবে বেশি না কারণ উনি জানেন বাসবি কখনো না ভেবে কোনো সিদ্ধান্ত নেন না___বাড়ি টা নিশ্চুপ অন্য সব রুমে বাকি অন্য সব আত্মীয় স্বজন উজানের ফুফু খালা আরো অনেকে এসেছে__কিন্তু সবাই অনেক হাই ব্যাকগ্রাউন্ডের হওয়ার তাদের কারোরই তেমন একটা মন মতো হয়নি বিয়ে টা তাই কেউ এসে হিয়াকে তেমন পাওা দিচ্ছে না___কিন্তু সবাই কে ফেলে বাড়ি মাতিয়ে নিজের মনের আনন্দ জাহির করছে অবন্তী,তার খুশি আজ কে দেখে,তার তো আজকে ইদ
অবন্তীঃ মন তো বলছে চিৎকার করে ড্যান্স করি ইসস,লুঙ্গি ড্যান্স লুঙ্গি ড্যান্স
সন্ধিঃ তোর মা কিন্তু এবার এসে তোকে মারবে অবো
অবন্তীঃ আজ মার কেনো লাথিগুতা খেতেও আমি রাজি__নেও নেও হয়েছো না ফ্রেশ,চলো, ওদিকে মহারানী তো আবার একা আছে,আজকে জ্বালাবো না আর,ভাবছি কাল থেকে ওকে এক এক করে ডোজ দিবো কি বলো
সন্ধিঃ চল পাগলি একটা
সন্ধি আর অবন্তী গিয়ে দুম করে হিয়ার পাশে গিয়ে বসে পড়ে,অবন্তী ওর মাথা রাখে হিয়ার কোলে আর সন্ধি হিয়াকে ওর বুকে আগলে নেয়
অবন্তীঃ হিয়া তুই কাঁদছিস
হিয়াঃ কোথায় না তো
সন্ধিঃ দেখি তাকাও আমার দিকে,তাকাও,অবো তো ঠিকি বলছে এই যে চোখ ভর্তি পানি
হিয়াঃ না আপু এমনি বাড়ির কথা মনে পড়ছিলো তাই
সন্ধিঃ তুমি কি এই বিয়েতে খুশি না হিয়া
হিয়াঃ না আপু তা কেনো হতে যাবে,আসলে আমি বুঝতে পারছি না আমার এই মুহুর্তে ঠিক কি হওয়া উচিৎ খুশি না অন্য কিছু
সন্ধিঃ দেখো হিয়া,এরকম ভাবে বললে তো হবে না তাই না,যা হয়েছে হয়েছে ভুলে যাও না,কাল থেকে একটা নতুন জীবন শুরু হচ্ছে ওটাতে ফোকাস করো__এমন তো না যে উজান তোমাকে ভালোবাসে না
হিয়াঃ উনি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসে আপু___এই যে বিয়ের পর প্রায় সাত আট ঘন্টার মতো হয়ে গেলো কিন্তু উনি এসে একবারের জন্যেও আমার সাথে কোনো কথা বললেন না,কেনো বলতে পারেন
অবন্তীঃ ভাইয়া ব্যস্ত হিয়া তাই সুযোগ করে
হিয়াঃ আমাকে মিথ্যে শান্তনা দিস না অবো__ইচ্ছে থাকলে সুযোগ মেটার করে না__ কোথায় খাবার টেবিলে নিয়ম করে যখন বর বউ একসাথে বসেছিলাম বা আসার সময় যখন এক গাড়িতে করে ফিরলাম তখন তো উনি অনন্ত কিছু হলেও আমাকে বলতে পারতেন__কিছু বলা তো দূরে থাক আমার দিকে তো উনি চোখ অবধি তুলে তাকাননি
সন্ধিঃ তাতে কি এটা বোঝা যায় ও তোমাকে ভালোবাসে কি বাসে না
হিয়াঃ আমি জানি না আপু,তবে সবার কথা শুনে বুঝলাম উনি কিছুতেই এ বিয়েটা করতে রাজি ছিলেন না শুধু আন্টির রিকুয়েষ্ট এ
সন্ধিঃ তুমি উজানকে ভুল বুঝছো হিয়া__আজকের কথা না হয় বাদ দেও কিন্তু সেদিন কটেজে তোমাদের মাঝে যা হলো এরপরো তুমি কি করে বলছো উজান তোমাকে
হিয়াঃ আমি জানি না আপু,আজকে কেনো জানি আমাকে ওনার একটু অন্যরকম লাগছিলো মনে হচ্ছিলো উনি আমার কাছে থেকেও আমার কাছে নেই
অবন্তীঃ বাদ দে তো ওসব,কথা বলা নিয়ে তো কথা আচ্ছা আমি ভাইয়া কে বকে দেবো কেনো সে তোর সাথে এখন অবধি কথা বলে নি ঠিক আছে
সন্ধিঃ কোথায় ভাবলাম উজান আর হিয়ার বাসরে কতো মজা করবো ধুর,তোদের বাড়ি টাও কি রকম শুন সান হয়ে আছে কে বলবে এটা বিয়ে বাড়ি,রাইসা না এসেই ভালো করেছে
অবন্তীঃ সবই কপাল বুঝলা
________________
এদিকে রাতে খাবার শেষ করে অবন্তী আর সন্ধি হিয়ার পাশে বসে এরপর কি হবে তাই নিয়ে চিন্তা করে হেঁসে যাচ্ছিল কিন্তু তা আর হলো কোথায়,উজানের ফোন আসে সাব্বির এক্সিডেন্ট করেছে তাও আবার উজানেরি দেওয়া একটা কাজ করতে গিয়ে__উজান ওর রুমে এসে ওয়ালেট টা নিয়ে বের হতে ধরলে সন্ধি উজানকে থামিয়ে দেয়
সন্ধিঃ এটা বাহিরে যাবার সময় উজান
উজানঃ সন্ধি সাব্বির এক্সিডেন্ট করেছে এক্সিডেন্ট টা সিরিয়াস
সন্ধিঃ তাই বলে তুই তোর ফুলসজ্জা ছেড়ে
উজানঃ সাব্বির অনাথ সন্ধি___আমরা ছাড়া ওর কেউ নেই
সন্ধিঃ তাই বলে তুই হিয়াকে রেখে
উজানঃ হিয়াকে আমি যতোটুকুই চিনেছি আমার বিশ্বাস হিয়াও নিশ্চয়ই এখন এটাই চাইবে আমি যেনো সাব্বিরের পাশে থাকি
হিয়াঃ কি হয়েছে,কার এক্সিডেন্ট হয়েছে
সন্ধিঃ আমাদের এক ফ্রেন্ড,সাব্বির নাম
হিয়াঃ সাব্বির ভাইয়া মানে ঔ দোয়া দুরুদ পড়া ভাইয়াটা যে সেদিন আইসক্রিম নিয়ে এসে
উজানঃ হুম
হিয়াঃ তাহলে আপনি এখনো কেনো এখানে দাড়িয়ে আপনি হসপিটাল যাবেন না__আপনি না বলেছিলেন ভাইয়াটার আপনারা ছাড়া কেউ নেই তাহলে
সন্ধিঃ কিন্তু হিয়া ও কি করে,আজ তো তোমাদের
হিয়াঃ তাই বলে ভাইয়াটার এরকম একটা পরিস্থিতিতে উনি তাকে ফেলে এখানে__না না__আপনি দাঁড়িয়ে আছেন যে আমি যাবো আপনার সাথে
উজানঃ see(সন্ধির দিকে তাকিয়ে)কি বললাম একটু আগে আমি তোকে
সন্ধি হেঁসে ফেলে উজান তাহলে তার বউকে ভালোই চিনে
সন্ধিঃ হুমম বুঝলাম যা এখন,আর সাব্বির একদম সুস্থ হবে দেখবি,আমার মন বলছে ছেলেটার সাথে কখনো খারাপ হতে পারবে না
উজানঃ হুম দোয়া করিস,আমি আসছি
উজান চলে গেলে হিয়া সন্ধিকে থামিয়ে দেয়
হিয়াঃ আপু
সন্ধিঃ হ্যা বলো
হিয়াঃ আজকে আপনি আমার সাথে রাতে থাকবেন আপনি না একদম আমার বড়ো আপুর মতো,আপনি পাশে থাকলে আমার ভালো লাগবে
সন্ধিঃ ঠিক আছে এটা এতো ভয় করে বলার কি আছে,আমি আছি তোমার সাথে
অবন্তীঃ(ঘুম ঘুম চোখে)আর আমি আমি থাকবো না,গল্প করবো না
সন্ধিঃ ঘুমে ঢুলছিস আর তুই করবি গল্প হুহ
______________
উজান আর কালকে রাতে বাড়িতে ফেরে নি ফিরেছে ভোরের দিকে,রাসেল কে ভোরের দিকে ডেকে সাব্বিরের পাশে বসিয়ে রেখে,আর এসেই অবন্তীর ঘরে গিয়ে ঘুম দিয়ে দিয়েছে কারণ তার ঘরে তিন মহারানী একে অপরকে কম্বল লেপ্টে ঘুমিয়ে ছিলো তখন,সাব্বির এখন সুস্থ প্রায়,তবে আরো কিছু দিন হসপিটালে থাকতে হবে এই যা,
সকালে ঘুম থেকে উঠে হিয়া বাসবির দেওয়া একটা শাড়ি পড়ে তৈরি হয়ে ডাইনিং এ দাঁড়িয়ে সবার জন্য ব্রেকফাস্ট বাড়ছিলো,এমন সময় উজানের বড় ফুফু থেকে শুরু করে বাকি সবাই খেতে বসেই হিয়াকে নিয়ে অনেক কাটাছেঁড়া শুরু করে
ফুফুঃ শোনো হিয়া যেভাবেই হোক বিয়ে করে তো এই শাহরিয়ার পরিবারে এসেছো,তাই এখন থেকে নিজের চালচলন ঠিক করে নিবা,আমাদের ফ্যামিলি সম্পর্কে তো জানোই আমরা কতো হাই লেভেলের কতো উঁচু লোকদের সাথে ওঠাবসা আমাদের আর বড় ভাইয়া আই মিন তোমার শ্বশুর তার তো আবার বাড়িতে সবসময় কেউ না কেউ এসেই থাকে তাই নিজেকে সবসময় পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখবা
মেজ ফুফুঃ তোর কি মনে হয় ওরা এসব না জেনেই মেয়েকে এতো বড়ো ঘরে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছে,বিয়ে বাড়িতেই তো শুনলাম কোন নাকি বিবাহিত ছেলে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো বিয়ে নাকি হয় হয় তা ঔ ছেলেকে ছেড়ে উজানের গলায় মেয়েকে ঝুলিয়ে দিলো কেনো, জেনেবুঝেই দিয়েছে নিশ্চয়ই
বড়ফুপুঃ এরকম ছোট ঘরের মেয়েদের তো একি কাজ যে করে হোক উজান দের মতো হাই প্রফাইলের ছেলেদের ফাঁদ এ ফেলে বিয়ে করে নেওয়া,নেহাত ওসব কান্ড হয়েছে বলে মুখ বুজে তোমাকে মেনে নিচ্ছি নাহলে আমাদের বাড়ির ড্রাইভার রাও না তোমাদের মতো মেয়েদের দিকে তাকাবে না
হিয়াঃ আন্টি আপনারা ভুল ভাবছেন আমার বাবা কিন্তু এই বিয়ের প্রস্তাব টা দেয়নি,আপনাদের বাড়ি থেকে প্রস্তাব টা না গেলে হয়তো
বড়ফুফুঃ শোনো মেয়ে একদম মুখে মুখে তর্ক করবা না__সাহস তো তোমার কম না__কি আছে তোমার,বাবা প্রাইমারি স্কুলের টিচার আর ভাইয়া কি না কিছুদিন হলো ব্যাংকে চাকরি পেয়েছে আর আর কি আছে তোমার___আমরা তো ঠিকি করেছিলাম আমাদের নীলিমার সাথে উজানের বিয়ে দেবো,নীলিমার কি কি আছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে তোমার
মেজফুফুঃ নিজেদের সাথে আমাদের গুলিয়ে ফেলবা না হিয়া,তোমরা কোনোদিনি আমাদের লেভেলে আসতে পারবা না__তাই আমাদের সাথে কথা বলার সময় সবসময় মুখ সংযত রেখে কথা বলবা
বড়ফুফুঃ যার বড় বোন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে এখন অবধি বাড়ি ফেরেনি তার ছোট বোন আর কি হবে__আমার তো মনে হয় উজান কে ওসব করতে ঔ বাধ্য করেছে
মেজফুফুঃ এদের তো কাজই নিজের শরীর দিয়ে ছেলেদের কাছে আনা
বড়ফুফুঃ তাছাড়া আর কি__দেহ টা বিক্রি করেই হয়তো এই কাজ টা করেছে এদের কি আর লজ্জাশরম মানসম্মান বলে কিছু আছে নাকি
কথাটা শুনেই হিয়া আরো কেঁদে উঠে,সত্যি কি তাই!!হিয়া কান্নায় ওর আঁচল চেপে ধরে, এখানে আর একমুহূর্ত সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না,অসম্ভব,মানুষ গুলো কি করে এতো বড়ো বড়ো কথা গুলো বলে দিচ্ছে অনায়াসে,বড়লোক হয়েছে বলে কি যা চাইবে সেভাবে মানুষকে ছোট করবে__হিয়া চোখ ভর্তি পানি নিয়ে দৌড়ে ওর রুমে গিয়ে গেট লাগিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে____
অবন্তীঃ মা এবার কিন্তু আমি মুখ খুললে খুব খারাপ হয়ে যাবে__আর তুমিও বা দাঁড়িয়ে শুনছো কি,কিছু তো বলো আজ যদি আমাকে কেও এসব বলতো তুমি এরকম করে চুপ থাকতে পারতে
বাসবিঃ উজান বাড়িতে ফেরেনি
অবন্তীঃ ফিরেছে গোসল করছে হয়তো
বাসবিঃ একটু ধর্য্য ধর যা করার বা যা বলার সেটা তোর ভাইয়া এসেই বলবে__তুই এখন ঘরে যা
_______________
হিয়াঃ(ভীষণ রকম করে কাঁদতে কাঁদতে) কোথায় আপু তুই দেখে যা কি করে ওরা আমাকে খারাপ কথা গুলো বলে কথা শোনাচ্ছে,আপু আয় না ফিরে তোকে যে খুব দরকার আমার___আপু এটা-কেই কি শ্বশুরবাড়ি বলে কিন্তু এরা এরকম কেনো?কোথায় ভাবীকে তো আমরা কখনো এরকম করে কথা বলিনি বরং মা বাবা আমি তুই সবকিছুতে ভাবীকে এগিয়ে রাখছি যাতে সে মনে না করে ওটা ওনার শ্বশুরবাড়ি,কিন্তু আমার সাথে কেনো এরকম হলো বলবি একটু তুই আমাকে__আপু আমাকে কেউ কিছু বললে সবার আগে তো তুই প্রতিবাদ করতি আপু আয় না ফিরে,আমার যে তোকে দরকার,এই কষ্ট টা আমি আর নিতে পারছি না যে___সকালে, সকালে শাড়ি পড়বার সময় ভাবলাম আজ থেকে জীবনটা অন্য রকম করে শুরু করবো সবটা নতুন করে সাজাবো কিন্তু এতো কিছুর পর এতো কথা শোনার পর তো আমি কখনোই আর জীবনে__আপু আমি যে আর পারছি না শেষ করে ফেলতে ইচ্ছে করছে আমাকে নিজেকে নিজে,ওরা তোকে নিয়ে আম্মু আব্বুকে নিয়েও তো হাজার টা কথা বললো আর আমি মেয়ে হয়ে কিছুই বলতে পারলাম না আপু,আমি কবে এতো টা দূর্বল হয়ে গেলাম আমি তো তোর সাহসী বোন ছিলাম বল,আপুউউউউ কোথায় তুই
হিয়া কাঁদতে কাঁদতে নিজের মুখ চেপে ধরে,এমন সময় উজান গোসল করে তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বের হয়ে হিয়াকে ওরকম করে কাঁদতে দেখে থমকে যায়,কেনো হিয়া ওরকম করে কাঁদছে কিছু হয়েছে ওর,উজান ওর হাতের তোয়ালে টা বিছানায় ছুড়ে হিয়াকে ধরতে গেলে হিয়া উঠে সপাটে উজানের গালে একটা চড় বসিয়ে উজানকে ধাক্কা দিয়ে সারিয়ে দেয়
হিয়াঃ খবরদার আমার গায়ে আর কোনোদিন আপনি হাত দেবার চেষ্টা করবেন না__কেনো করলেন আপনি এটা,কেনো করলেন বলুন___আমি দেহ বিক্রি করে আপনাকে বিয়ে করেছি,আপনি আপনার টাকার জোরে আমাকে,আমার শরীর টাকে কিনে নিয়েছেন
উজানঃ কি হয়েছে হিয়া,এসব কি ধরনের কথা
হিয়াঃ কি ধরনের কথা আপনি বোঝেন না__আপনার ফ্যামিলির সবাই তো সবটা বুঝে আপনি কেনো এতো অবুঝ নাকি না বোঝার ভান করছেন__বলুন কতো টাকা দিয়ে কিনেছেন আপনি আমাকে,আমি নিয়েছি কোনো টাকা আপনার কাছে,আমার তো মনে নেই,নাকি আমার ভাইয়া বা কেউ টাকা নিয়েছে, কোনটা
উজানঃ এসব কি নোংরা কথা বলছো তুমি হিয়া,মাথা ঠিক আছে তোমার
হিয়াঃ হ্যা মিস্টার শাহরিয়ার আমার মাথা না পুরো ঠিক আছে,কাল অবধি একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম কিন্তু এখন আমার ঘোর কেটে গেছে আমি এখন একদম সুস্থ মস্তিষ্কে আপনার সাথে কথা বলছি___বলুন না কতো টাকা দিয়ে কিনেছেন আমাকে বলুন
উজানঃ জাস্ট স্টপ দিস ননসেন্স হিয়া
হিয়াঃ সেদিন কটেজে আপনার রুমে আমাকে কে নিয়ে গিয়েছিলো,কে বলেছিলো আমার কাছে আসতে,কে বলেছিলো আমাকে ওভাবে ভালোবাসতে ওটা কি আদৌও আপনার ভালোবাসা ছিলো নাকি সেই মুহুর্তে আসা কোনো শারীরিক চাহিদা!!!!
উজানঃ হিয়া(ঝারি দিয়ে)
হিয়াঃ একদম চিৎকার করবেন না,আমি আর আপনাকে ভয় পাই না____কি মনে করেন আপনারা,সব সাফার কি শুধু আপনাকে করতে হয়েছে আমাকে হয়নি___জানেন এ কদিনে আমি কি কি সহ্য করেছি,কোনো ধারণা আছে আপনাদের__একটা সময় তো আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো মন তো বলছিলো গলায় দড়ি দিয়ে নিজেকে শেষ করে দেই তাহলে হয়তো সবার মাথা থেকে একটা ঝামেলা কমতো,কেনো মরলাম না আমি আজকের দিন টা দেখার জন্য কি বেঁচে ছিলাম আমি
উজানঃ হিয়া(অস্ফুটে)
হিয়াঃ আপনাকে বলেছি না আমাকে আর ওভাবে হিয়া বলে ডাকবেন না,কেনো ডাকেন,আমার মতো মেয়েদের তো এতো সুখ পেতে নেই
উজানঃ(হিয়ার দু বাহু আলতো করে ধরে) হিয়া কি হয়েছে তোমার কেনো এরকম করছো তুমি,আমি আমি কিছু বলেছি,কাল আমি চলে গিয়েছিলাম বলে তোমার রাগ হচ্ছে আমার উপর,আর কখনো এরকম হবে না প্রমিস,কিন্তু তুমি এসব বলো না প্লিজ,আমার কষ্ট হচ্ছে হিয়া খুব কষ্ট হচ্ছে
হিয়াঃ কষ্টের কি বোঝেন আপনি,কষ্ট কাকে বলে জানেন,জানতে চান____যখন আপনার সামনে আপনারি বাবা মা কে আপনার জন্য কথা শুনতে হয়,যখন আপনার রুমমেটের মা এসে বলে এই মেয়ের সাথে থাকলে নাকি তার মেয়ে খারাপ হয়ে যাবে,যখন আপনার থেকে বয়সে বিশ বছরের বেশি কোনো তিন চার বাচ্চার বাবা এসে আপনাকে বিয়ে করবার প্রস্তাব দেয়,আপনার দিকে কুদৃষ্টি তে তাকিয়ে বলে মেয়েকে কতো টাকায় ছাড়বেন,বোঝেন সেই কষ্ট টা আপনি,যখন বাড়িতে পাতিল ভর্তি খাবার রান্না করার পরো কেউ মুখে ভাত গিলতে পারে না বলে পরেরদিন সেসব খাবার বাড়ির বাহিরে ডাস্টবিন এ গিয়ে ফেলতে হয় সেই কষ্ট টা বোঝেন আপনি,যখন জানতে পারি নিজের ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষার আগে আমার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন একজন লোকের সাথে যে বিবাহিত যার একটা বাচ্চা আছে যাকে কিনা আমাকে সামলাতে হবে তখন কার সেই কষ্ট টা বোঝেন আপনি বোঝেন না আর আপনাদের মতো বড় ঘরের ছেলেরা সেটা কখনো বুঝবেনো না
হিয়ার কথায় উজানের চোখ দিয়ে গড়গড় করে পানি ঝরে পড়ে,কতোটা কষ্ট পেয়েছে হিয়া কতো মানষিক যন্ত্রণা সহ্য করছে এ কদিনে,কতো টা দিন না খেয়ে কাটিয়েছে শুধু মাএ তার শএুতার জন্য!!
হিয়াঃ আর আজকে কি না এতো সহজে বলে দিলেন আমার বাবা আপনাদের টাকার লোভে পড়ে__আমি কি না নিজের শরীর টা আপনাকে বিক্রি করে এসব__কি করে বলতে পারলেন এসব কথা একটা বারো কি আমাদের পরিস্থিতির কথা আপনাদের মাথায় আসলো না__আমরা কিভাবে কি সহ্য করেছি__প্লিজ আপনি আমাকে ছেড়ে দিন ডিভোর্স দিয়ে দিন আমাকে,আমি আর এভাবে এতো কথা শুনে এ বাড়িতে থাকতে পারবো না,আর এসব না পারলে প্লিজ আমাকে আমার হোস্টেলে দিয়ে আসুন আমি একটু একা থাকতে চাই
উজানঃ তোমার বলা শেষ হয়েছে
উজান একটা দীর্ঘ শ্বাস টেনে চোখের পানি গুলো মুছে আলমারি থেকে একটা শার্ট বের করে পড়তে পড়তে গেট খুলে অবন্তী কে ডাক দেয়,উজানের ওরকম চিৎকার মাখা ডাক শুনেই অবন্তী বুঝতে পারে কেনো তার ভাইয়া তাকে ডাকছে__অবন্তী দৌড়ে হিয়াদের রুমে আসে,উজানের চোখে মুখে আবার সেই রাগ,রাগে শক্ত হয়ে আছে উজানের চোয়াল,সাথে রক্তবর্ন ধারণ করেছে তার চোখ দুটো এই বুঝি কাউকে সে শেষ করে ফেলবে
উজানঃ হিয়াকে বাড়িতে কে কি বলেছে অবন্তী__আমি তোকে কিছু জিঙ্গেস করছি অবো
অবন্তীঃ বলছি বলছি,আম্মু তো তোমাকে ওটা বলার জন্যেই ডাকছিলো
অবন্তী আরো কাসুন্দি মিক্সড করে একটু আগে ডাইনিং টেবিলে যা যা ঘটে সব বলতে থাকে
অবন্তীঃ যাও এখন গিয়ে ফুফুদের একটু কিছু বলে আসো তো,মা তোমার বলার অপেক্ষায় আছে নাহলে সে না কখন আবার তার বোমা ফাটিয়ে দেয় বুঝোনা
উজানঃ হিয়া সকালে নাস্তা করেনি এখনো
অবন্তীঃ না
উজান হিয়ার হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে ডাইনিং এর সামনে দাড় করিয়ে একটা চেয়ার টেনে হিয়াকে বসিয়ে দেয়,ওদিকে ফুফুরা তখন সবে নাস্তা করে চা নামক বস্তু টা গিলতে শুরু করছিলো,উজানের এরকম কান্ডে ওরা তো সবাই অবাক কি হলো এটা
উজানঃ মা হিয়ার নাস্তা কোথায়
বাসবি নাস্তা দিতে যাবে তার আগেই উজান বাটি উল্টে দুটো রুটি আর একটা ডিম ভাজি তুলে হিয়াকে খেতে বলে
উজানঃ কি হলো খাচ্ছো না কেনো
হিয়া তখনো হাত গুটে আছে দেখে উজানের প্রচন্ড রাগ উঠে,এমনি তে তো রাগ তার উপর আরো রাগ,রাগের উপর রাগ ইসস হিয়া যদি এসময় একটু সাহস করে উজানের চোখের দিকে তাকাতো তাহলে হয়তো বুঝতো রাগ কতো প্রকার ও কি কি____
উজানঃ তুমি কি চাইছো আমি তোমাকে খাইয়ে দেই
হিয়াঃ আ-মি খাচ্ছি
হিয়ার খাওয়া শেষ হলে উজান হিয়াকে পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে হিয়ার মুখ টা মুছে দিয়ে ওর নিজের পাউরুটি তে জ্যাম লাগাতে থাকে,এদিকে ফুফুরা ইর্ষান্বিত হয়ে উঠে,মগের চা গুলো যেন আর কিছু তেই হজম হচ্ছে না তাদের
উজানঃ (পাউরুটি এক কামড় দিয়ে খেতে খেতে)বাহ আম্মু বাড়ির বড়দের কমনসেন্স দেখে তো আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি সত্যি____শাহরিয়ার ফ্যামিলি শাহরিয়ার ফ্যামিলি বলে বলে তো কতো কথা, তা শাহরিয়ার ফ্যামিলির সব চাইতে বড় বউ প্রথমদিন বাড়িতে এসে সকালে নাস্তা না করে বসে আছে,এদিকে কারোরি সে কথা খেয়াল নেই,সবাই কি না যে যার মতো বাবার টাকা গলা দিয়ে গিলতে ব্যস্ত
উজানের কথায় টেবিলের সবাই খাওয়া থামিয়ে দেয়
বড়ফুফুঃ ঠিক করে কথা বল উজান,তোর বাবার টাকা গিলছি মানে
উজানঃ গিলছো না__শুনলাম ফুফার নাকি কয়েকমাস হলো চাকরি চলে গেছে আর বাবাই কি না তোমাদের এ্যাকাউন্টে মাসে মাসে টাকা ভরিয়ে দিচ্ছে,কি ঠিক তো
মেজফুফুঃ উজান__ঠিক করে কথা বল বড় আপার সাথে আমরা কখনো মুখ তুলে কথা বলিনি আর তুই কি না
বড়ফুফুঃ আমি তো ভাবছিলাম তুই আমাদের মতো হয়েছিস কিন্তু তোর মা তো দেখছি তোকে আমাদের কিছুই শিক্ষা দিতে পারে নি
মেজফুফুঃ এখন তো মনে হচ্ছে ছবি তে যা দেখেছিলাম ওটাই ওর আসল ক্যারেক্টার
উজানঃ ভাগ্যিস মা আমাকে তোমাদের কিচ্ছু শিক্ষা দেই__আম্মু শোনো এদিকে,তোমাকে আজ হাজারটা ধন্যবাদ তুমি আমাকে তোমার শ্বশুরবাড়ির কারো মতো বানাও নি আই এম রিয়েলি প্রাউড ওফ ইউ আম্মু,তুমি সত্যি খুব ভালো একটা আম্মু আমার_____তো ফুফু আর কি জানি বলছিলা ক্যারেক্টার,এখন আমার ক্যারেক্টার ওরকম হলে তো কিছু করার নেই না তুমি বরং তোমার বড় ছেলের ক্যারেক্টার নিয়ে ভাবো সে কোথায় আসেনি বিয়েতে?নাকি বারে গিয়ে নেশা করে কোনো মেয়েকে নিয়ে ফূর্তি করছে কোনটা
মেজফুফুঃ উজান এবার কিন্তু তুই তোর লিমিট ক্রস করছিস
উজানঃ অবন্তী কে বলেছে রে হিয়া ওর দেহ বিক্রি করে আমাকে বিয়ে করেছে
অবন্তীঃ বড়ফুফু মেজফুফু বড়ফুফু মেজফুফু__বড় ফুফু?
বড়ফুফুঃ অবন্তী
উজানঃ ওর উপর চিৎকার করে কি হবে ফুফু,তুমি বরং তোমার মেয়েকে সামলাও__দেহ হিয়া বিক্রি করে না করে তোমার মেয়ে,নিজের কোটিপতি হাসবেন্ড থাকতেও কি না তাকে তারি হাসবেন্ডের অফিস কলিগের বিছানায় পাওয়া যায় সত্যি__আর আঁখি তুমি
অাঁখিঃ হ্যা ভাইয়া
উজানঃ যেই ছেলেটার সাথে মিশছো সেই ছেলেটা একটা ড্রাগ এ্যাডিক্টেড ছেলে যদি পারো তো ওকে ছেড়ে দেও,তবে শুনেছি পিকনিক এ যাবার নাম করে নাকি ছেলেটার সাথে একি হোটেলে ছিলে তা দেহ বিক্রি করে এসে আবার ছাড়তে পারবা তো ছেলেটাকে
বড়ফুফুঃ অনেক হয়েছে আর না,আকাশ কোথায় ওকে ডাকো ও তো এসে দেখে যাক ওর ছেলে কি করে দুদিনের একটা মেয়ের জন্য আমাদের এভাবে অপমান করছে,আমি আর এক মুহূর্ত এ বাড়িতে থাকবো না,বউভাত তোরা একায় মিলে কর তোদের যেমন মেন্টালিটি ওরমি মেন্টালিটির ফ্যামিলির মেয়ে পেয়েছিস তোরা
উজানঃ (উঠে হিয়ার হাত ধরে হিয়াকে আগলে নিয়ে) অপমানের তো কিছুই করলামই না এখনো,আরো অনেক কিছু বলার ইচ্ছে ছিলো নেহাৎ হাতে সময় নেই বলে_____বড়ফুফু টাকা আছে বলেই মানুষকে কথায় কথায় ছোট করবা এই শিক্ষা আমার আম্মু আমাকে দেয় নি,আমি আজ নিজেকে খুব লাকি মনে করছি যে আল্লাহ তা’লা আমাকে এরকম একটা আম্মু এরকম একটা বোন আর আজ এরকম একটা বউ দিয়েছে__তোমারা কেউই কোনোদিন এদের তিনজনের কাছে আসতে পারবা না কোন দিন না
বাসবিঃ শোনো নুপুর,আমি চাইলে তখনি তোমাকে অনেক কিছু বলতে পারতাম কিন্তু আমি দেখতে চেয়েছিলাম আমার ছেলে হয়ে উজান কি করে___আর আমার ছেলে আর ছেলে বউয়ের ক্যারেক্টার নিয়ে তোমরা তো কথা না বললেই ভালো করবে,ওদের ছবি বেড়িয়ে যদি এতো কথা উঠে তাহলে তোমাদের সবার ছেলেমেয়েরো কিন্তু হাজার টা ছেলেমেয়ের সাথে হাজারটা ছবি বের হয় শুধু তফাৎ এটুকুযে ওগুলো গোপন থাকে বা ফেসবুকে স্টাটাসের আড়ালে শুধু বন্ধু বলে চালিয়ে দেও____আর আকাশ আসছে তোমাদের কষ্ট করতে হবে না আমি ওকে যা বলার বলে দেবো
উজানঃ আর একটা কথা আজকে আমি সবার সামনে বলছি,নেক্সট টাইম এ বাড়িতে যদি কখনো হিয়াকে কেউ কোনো বাজে কথা বলে তাহলে সবাই আমার এর চাইতেও বাজে রুপ টা দেখতে পারবে__হিয়া এ বাড়ির বড় বউ,উজানের ওয়াইফ,এ কথা টা যেন সবাই দিনে একবার করে হলেও মনে আনে
কথাটা বলেই উজান হিয়াকে ওদের রুমে নিয়ে গিয়ে গেট লাগিয়ে দেয় তারপর রাগান্বিত চোখে হিয়ার দু বাহু চেপে ধরে হিয়াকে দরজায় ঠেসে ধরে
উজানঃ আর কখনো কোনো কারণে যদি আমার সামনে এভাবে বাচ্চাদের মতো করে কান্না করছো তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে হিয়া__আমি যেনো আর কখনো তোমার চোখে পানি না দেখি
উজান হিয়াকে রাগ করে আবার বেড়িয়ে পড়লে অবন্তী এসে হিয়াকে জাপ্টে ধরে
অবন্তীঃ ওয় হয় কি চলে হুম__দেখলি তো ভাইয়া কি রকম করে তোর জন্য সবার সাথে ফাইট করলো,ইসস আমার জন্যেও যদি এরকম কেউ আসতে!!