সেই তমসায় পর্ব ২

0
488

#সেই_তমসায়_২
নুসরাত জাহান লিজা

“আপনাদের ধারণা মানে? নিশ্চিত নন? পু”লিশ ডাকেননি?”

“আমরা নিশ্চিত। কিন্তু পু*লিশ ডাকা হয়নি। কেউ চায়নি লা*শ নিয়ে ঘাটাঘাটি হোক।”

“আশ্চর্য!” ময়ূখ সত্যিই বিস্মিত হলেও এটা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন করল না। ধাতস্থ হয়ে জিজ্ঞেস করল, “তার ছেলেমেয়ে, বাড়িতে আরও যারা থাকছে অর্থাৎ ওই বাড়ির সকল সদস্য নিয়ে কিছু বলুন।”

“দেখুন, স্যার আপনাকে কেবল ওই গু*প্তধ”ন আর উই*লটা খুঁজে দেবার জন্য ডেকেছেন। এরবেশি ভাবতে যাবেন না অনুরোধ রইল।”

“তারা তাদের বাবা’র খু*নীকে শনা”ক্ত করতে চায় না! অদ্ভু*ত, ভারি অদ্ভু*ত!” সাজিদকে নয়, অনেকটা স্বগতোক্তির মতো শোনায় ময়ূখের বিরবির করে বলা কথাটা!

“তবুও, ওই বাড়িতে যেহেতু একটা কাজে যাচ্ছি, তাদের সকলের সম্পর্কে জানাটা আবশ্যক। আপনি বলুন।”

মুখে বলল বটে, কিন্তু ময়ূখের মনে তখন অন্য আরেকটা র”হস্য আকুলিবিকুলি করে পাক খাচ্ছে! যার জন্য ওকে ডাকা হয়েছে তার চাইতে অন্য র”হস্য ওকে বেশি করে টানছে চুম্বকীয় আকর্ষণে!

“এহতেশাম স্যারের দুই ছেলে, এক মেয়ে থাকেন। বড় ছেল রায়হানের সাথে থাকেন তার স্ত্রী সাফিয়া আর তাদের দুই মেয়ে। মেয়েদের একজন অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছে, ঢাকায় থাকে। আরেকজন এলাকার স্কুলেই নাইনে পড়ে।

“এহতেশাম স্যারের একমাত্র মেয়ে মুনিরা আহমেদের বিয়ে হলেও স্বামী সন্তান নিয়ে এই বাড়িতেই থাকেন। তার এক ছেলে এইটে পড়ে। আরেকটা মেয়ে থ্রিতে পড়ে।

“সবার ছোট ছেলে সাঈদ স্যার। উনি পড়াশোনা করতেন, রা”জ*নী*তি’তে জড়িয়ে বেশিদূর এগুতে পারেননি। একসময় সব ছেড়েছুঁ*ড়ে চলে আসেন বাড়িতে। প্রায় সাত-আট বছর হবে মনে হয়!”

সাজিদকে থামিয়ে দিয়ে ময়ূখ প্রশ্ন করল, “রায়হান সাহেব কী করেন?”

“তিনি তেমন কিছু করেন না। বাবার অগাধ সম্প”ত্তির উত্ত”রাধি”কারি হবেন, এই ভাবনায় তেমন পড়াশোনা করেননি। তবে তার স্ত্রী স্থানীয় কলেজে শিক্ষকতা করেন।”

“সাঈদ সাহেব বিয়ে করেননি?”

“করেছিলেন। ডিভো*র্স হয়ে গেছে বছর তিনেক আগে। আর বিয়ে থা করেননি।”

গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনছিল ময়ূখ, “আচ্ছা, বাদবাকিদের কথা বলুন।”

“এহতেশাম স্যারের ছোটবোন মারা গেছেন বহুবছর আগে। তার দুই সন্তানকে স্যার নিজেই মানুষ করেছেন। তার বোনের ছেলে মশিউর আর মেয়ে মৃদুলা। মৃদুলা করটিয়া কলেজ থেকে অনার্স শেষ করেছে। মাস্টার্স করেনি। মশিউর এইচএসসির পরে কিছুদিন কলেজে আসা যাওয়া করে আর পড়াশোনা করেনি। স্যারের নিজের লোক বলতে তারাই। এর বাইরে আরও কয়েকজন আছে, তবে তারা বাড়ির বিভিন্ন কর্মচারী।”

ময়ূখ খেয়াল করল মৃদুলার কথা বলার সময় সাজিদের মুখে লালচে আভা পড়তে পড়তে মিলিয়ে গেল।

“আপনি কতদিন ধরে আছেন?”

“আমি প্রায় সতেরো বছর বয়স থেকেই এই বাড়িতে আছি। বলা যায় স্যারের হাতেই মানুষ হয়েছি।”

ময়ূখ জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিল, তার আগেই উত্তর পেয়ে থেমে গেল। সাজিদ বলছে, “আমার চাচা তার এখানে কাজ করতেন। তিনি অকালে চলে গেলে তার জায়গায় আমি চলে আসি। এতবছর ধরে এটাই চলছে।” কিছুটা যেন বিতৃ*ষ্ণা খেলে গেল সাজিদের গলায়।

বাসের মধ্যে আলো জ্বলছে, তার আলোয় পূর্ণ দৃষ্টিতে ওকে পর্যবেক্ষণ করল ময়ূখ। গোবে*চারা গোছের অবয়বটা যেন চোখে লাগল, কিছুটা মে*কি বলে মনে হলো! চোখে একধরনের শ*ঠতা বিদ্যমান।

ময়ূখ মনে মনে সকলের একটা ছবি এঁকে নেবার চেষ্টা করল। আরও টুকিটাকি তথ্য নিল বাকিদের সম্পর্কেও। তবে কিছু একটা অস্বা”ভাবিকতা আছে সাজিদের কথায়। আর কোনো প্রশ্ন করার আগেই বাস গন্তব্যে চলে এসেছে। দু-জনে নেমে পড়ল।

ওরা একটা ভ্যানে চেপে বসল। ঘড়ির আলো জ্বেলে দেখল রাত দুটো পেরিয়ে গেছে। নিশুতি রাতের সুনশান নিস্তব্ধতা ওদের গ্রা*স করল। থেকে থেকে এক দুটো নিশাচর ডেকে যাচ্ছে মাঝেমধ্যে। প্রকাণ্ড এক বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালো গাড়িটা। তখনই দূর থেকে প্যাঁচা আর কোত্থেকে শেয়ালের হাঁক ভেসে এলো। ঝিঁঝি পোকাও প্রবল শব্দে চেঁচা*চ্ছে। গাঢ় অন্ধকারেও এই প্রাসাদোপম বাড়িটি নিজেকে লুকাতে পারেনি। সমস্ত পৃথিবীর একাকীত্ব যেন মিশে আছে এই বাড়িটায় নাকি গৌরব? তবে বাড়িটাকে একটা প্রে*তপু”রী বলে ভ্রম হলো ময়ূখের।

৩.
লাইট জ্বলে উঠল ওরা ভেতরে পা দিতেই। একজন কালো রঙের টি-শার্ট পরা বছর ত্রিশ-পঁয়ত্রিশের একটা লোক এগিয়ে এলো ওদের দিকে। হাসিমুখে প্রশ্ন করল,

“পথে কোনো অসুবিধা হয়নি তো?”

“অসুবিধা হলেও অভ্যর্থনায় ভালো লাগছে সাঈদ৷ তুমি কেমন আছো?”

হকচকিয়ে যেতে দেখে ময়ূখ সামলে নিতে বলল, “আমি যতদূর জানি তুমি চাও না আমার আসল পরিচয় কেউ জানুক। তোমার বন্ধু হিসেবে যদি আমি আসি তবে সম্বোধনে গ*ড়ব*ড় না করাই ভালো। তুমিও প্র‍্যাকটিস করো।”

“হ্যাঁ, সেই ভালো। তুমি ফ্রেশ হও। টেবিলে খাবার দেওয়া হচ্ছে। আমি যাই সকালে বিস্তারিত আলোচনায় বসব।”

লোকটা প্রথমে খানিকটা ঘা*বড়ে গেলেও সামলে নিয়েছে অবিশ্বাস্য দ্রুততার সাথে। সাঈদ আহমেদের বলায় যেন একটা কর্তৃ*ত্বের ভঙ্গি রয়েছে। তবে চোখ দুটোতে সরলতার পাশাপাশি এক ধরনের দৃঢ়তা আছে। যাই হোক, এখন সত্যি সত্যি ক্লান্ত লাগছে।

খেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতে নিতে সাড়ে তিনটা বেজে গেল। পরেরদিন কী অপেক্ষা করছে সেটা না ভেবে এখন একটা প্রগাঢ় ঘুমই শ্রেয়। যখনকার ভাবনা তখন ভাবা যাবে। আগে রসদ হাতে আসুক। অযথা ভেবে শ*ক্তি ক্ষ*য় করার পক্ষপাতী সে নয়।

৪.
সকালে ময়ূখের ঘুম ভাঙল দুপুরের আগে আগে। প্রায় বারোটা বেজে গেছে ততক্ষণে। রাতে ঘুমটা বেশ ভালো হয়েছে। নতুন জায়গায় ঘুমের কোনো সমস্যা হয়নি। নিজের অভিযোজন ক্ষমতায় সে বেজায় খুশি। বাইরে আসতেই একজন তরুণীর সাথে মুখোমুখি দেখা হয়ে গেল। এহতেশাম সাহেবের বড় নাতনি এখানে নেই, তাই তার মৃদুলা হবার সম্ভাবনা শতভাগ।

“দেখুন, আমাদের এখানে সকলে একসাথে খায়, এটাই নিয়ম। আপনি সাঈদ ভাইয়ের বন্ধু বলে আজ ডাকাডাকি করা হয়নি। এরপর যেন এমন না হয়।”

কথা শেষ করে আর এক মুহূর্ত দাঁড়াল না মৃদুলা। গটগট করে হেঁটে চলে গেল। এভাবে কাঁটকাঁটা কথা মুখের উপরে বলায় ময়ূখ হেসে ফেলল।

খাবার টেবিলে সাঈদ আর সাজিদের সাথে দেখা হলো। ওরা অপেক্ষা করছিল ময়ূখের জন্য। দু-জনের নামের মধ্যে বেশ মিল, ভাবল সে। মৃদুলার কথা অনুযায়ী সকালে উঠতে পারলে সবার সাথে দেখা হয়ে যেত। থাক, দুপুর, রাত তো পরেই আছে। একেবারে সব হয়ে গেলে তো ইনভে*স্টিগে*শনের প্রয়োজন-ই পড়বে না!

খাবার পরে সাঈদের ঘরে এলো ময়ূখ। ঘর দামী আসবাবপত্রে সাজানো হলেও রুচির ছাপ খুব একটা নেই।

“তোমার বাবার সাথে তোমার সম্পর্কটা কেমন ছিল?”

“ছিল, ভালোই। বাবাদের সাথে যেমন হয়। কিছুটা দূরত্ব ছিল, তবে টানও ছিল।”

“উনার এই অদ্ভু*ত উইলের কারণ কী বলে মনে করো?”

“এটা উনার একটা খেয়াল। তিনি নিজেকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমান মানুষ ভাবতেন কিনা। আর সন্তানদের ভাবতেন বো*কার হ*দ্দ। এটা ভুলে গিয়েছিলেন অতি চালা*কের…”

যা বলার নয়, মুখ ফসকে তাই বলে ফেলছে বুঝতে পেরে মুখে কু*লুপ আঁটল।

“আমি তার ব্যাপারে শুনলাম। তোমার কী মনে হয়? কেন খু*ন করা হলো তাকে?”

“দেখো, তোমার যেটা কাজ সেটা করো। অন্যদিকে নাক গলাতে হবে না।”

প্রচ্ছন্ন একটা হুম*কি মিশে ছিল বলায়। ময়ূখ অবশ্য গা করল না। একবার কোনোকিছু সামনে এলে সেটার কিনারা সে করবেই, কেউ চাইল কী না চাইল তাতে তার বিন্দুমাত্র এসে যায় না! একটা পথ ঠিক পেয়ে যাবে। তবে কুশ*লি হতে হবে।

“বুঝলাম। তো সেটাই করি। তোমাদের উইল আর ক্লুগুলো দেখাও।” ময়ূখও বেশ ক*ড়া গলাতেই বলল।

সাঈদ একটা উইল এগিয়ে দিল। সেটা পড়ে হাতের আরেকটা নীল রঙের কাগজে চোখ বুলালো। তাতে কয়েকটা শব্দ জ্বলজ্বল করছে।

“Di*e Dunkelheit”
“Alter kleiderschrank”

আর কিছু লেখা নেই। শব্দগুলোর মানে প্রথমে বুঝতে পারল না ময়ূখ। এরপর বেশ কয়েকবার পড়ার পরে ‘schrank’ শব্দটা আলাদা করে মাথায় বাড়ি খেল। কোথাও একটা শুনেছিল বা পড়েছিল শব্দটা। ইউরোপীয় শব্দ বলে মনে হচ্ছে।

দুপুরে খাবার টেবিলে বাকিদের সাথে আলাপ করার সময় তাদের খুব ভালো মতো পর্যবেক্ষণ করেছে সে।

সাঈদ সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল, “আমার বন্ধু। ওর মাথায় এসব খুব ভালো খেলে বলে উ*ইল খুঁজতে ওকে আসতে বলেছিলাম। আমরা যেভাবে খুঁজছি। তাতে সময় পেরিয়ে যাবে।”

মৃদুলা, সাফিয়া আর মুনিরার বর এই তিনজনের মধ্যে একটা নাখো*শ ভাব পরিলক্ষিত হলো। বাকিরা তেমন একটা পাত্তা দিল বলে মনে হলো না।

রায়হান বলল, “দেখো চেষ্টা করে। আমার মনে হয় আমাদের কিছু দেবার ইচ্ছা তার ছিল না। যে বাবা লোকের সামনে আমাদের অপ*মান করতে পারে, সে এমন প্রহ*সন করতেই পারে।”

“আহ্! তুমি এত কথা বলো না!” স্ত্রীর সাবধা*ন বাণীতে সামলে নিল রায়হান। বাইরের লোকের সামনে বেশি কথা বলার জন্য বোধহয় ল*জ্জাই পেল ভদ্রলোক।

ময়ূখ খেয়াল করল সন্তানদের মধ্যে এহতেশাম সাহেবকে নিয়ে ঘোরতর একটা অস্বস্তি আছে! যদিও সামনা-সামনি কেউ স্বীকার করে না!

৫.
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে পৃথিবীর বুক জুড়ে, কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে আলতো করে। শীতের আগমনী জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। বিছানায় ঠেস দিয়ে বসে ছিল ময়ূখ। কপাল কুঁচকে আছে চিন্তায়। এই বাড়িতে কাজের লোকের সংখ্যা অনেক৷ সে চারজনকে দেখেছে। একজন এসে জানালা বন্ধ করে পাশের আলমারি থেকে একটা পাতলা কম্বল বের করে বিছানায় রেখে চলে গেল।

আলমারির দিকে তাকিয়ে টং করে মাথা খুলে গেল যেন। হ্যাঁ, তাই তো। জার্মান, ফরাসি ভাষা শেখার চেষ্টা করেছিল সে কিছুদিন। খুব বেশিদূর এগোয়নি যদিও। ”shcrank’ আলমারি?

নিশ্চিত হবার জন্য সে ওর ব্যাগ থেকে একটা বই বের করল। সেটা ঘেটেঘুটে অর্থ উদ্ধার করল।

Di*e Dunkelheit – গাঢ় অন্ধকার
Alter kleiderschrank – পুরনো আলমারি

ময়ূখ ধরে নিল প্রথমটুকু হয়তো বিভ্রান্ত করার জন্য লেখা। সবচাইতে পুরোনো আলমারি…

সাজিদ আসতেই ওকে দিয়ে সাঈদকে ডেকে পাঠাল।

“তোমাদের বাড়িতে সবচাইতে পুরোনো আলমারি কোনটা আছে?”

“কেন?”

ময়ূখ মুখে কিছু না বলে কাগজটা তুলে দেখাল।

“বাবার ঘরেই আছে।”

“চলো যাই।”

সবগুলো আলমারির চাবি একটা করে এহতেশামের তিন সন্তানের কাছেই আছে এখন।

আলমারি খুলে পুরোটা খুঁজে যখন ব্যর্থ হলো, তখনই ময়ূখের মনে হলো এভাবে হবে না। ‘ডি ডুঙ্কেলহাইট’ শব্দটা শুধু শুধু লেখা হয়নি বোধহয়।

সবকিছু নামিয়ে আলমারির সবচেয়ে নিচের তাকের একেবারে পেছনের দিকে হাত বুলাতে সেখান থেকে কাঠের একটা টুকরো বের করে আনলো। হাতটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পুরো কাঠ সরিয়ে নিতেই ছোট্ট একটা প্রকোষ্ঠ পেল, সেখান থেকে আগেরটার মতোই নীল রঙের আরেকটা কাগজ হাতে উঠে এলো।

ময়ূখ ত*ড়িৎ বেগে উঠে দাঁড়িয়ে আলোতে এলো। তখনই ইলেক*ট্রিসিটি চলে গেল।

সাঈদের মুখ দিয়ে একটা স্ল্যা*ং বেরিয়ে এলো।

টর্চ ধরল কাগজের উপরে। তাতে লেখা,

“এটা হাতে পেয়েছ মানে, ঘটে কিছুটা হলেও বুদ্ধি আছে। অকা*ট মূ*র্খ নও তবে। আবার এত সহজ ধাঁধার উত্তর পেয়ে নিজেদের মহা বুদ্ধিমান ভেবে বসো না। তবে মহামূ*র্খ হিসেবে প্রতিপন্ন হবে। এবারের উত্তর বের করতে পারলেই সমস্ত উত্তর পেয়ে যাবে। তারপর আর কী বাপের ক*ষ্টার্জিত সম্পদ নাকে তেল দিয়ে উড়িয়ে দাও!

*Tenebrae cedunt luci*”

তিনটা শব্দ তারকাচিহ্ন দিয়ে আলাদা করে লেখা। ভদ্রলোক সন্তানদের বি*দ্রু*প করতে ভালোবাসতেন। নইলে এভাবে লিখতে যায় কোন বাবা! অবশ্য সন্তানরাও…
…………..
(ক্রমশ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here