সুপ্ত বাসনা পর্ব ৮+৯

0
1242

#সুপ্ত_বাসনা
লেখিকা সুরিয়া মিম
পর্ব- ৮+৯

“কিছু খাবো না ভাইয়া! আমাকে প্লিজ বাসায় নিয়ে যাবে?” মিমের গলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে ইমান অনুভব করলো হিমশীতল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে তার শরীরের ওপর থেকে,নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলো,
– “এমন তো আগে কখনো হয়ইনি,তাহলে আজ কেন হচ্ছে আমার সাথে?” পরক্ষণেই খেয়াল করে দেখে,
ইলহান সাহেব মিম’কে ভীড় ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে নিজের সাথে; তাদের সাথে অনেক গার্ড,স্পর্শ আলাদা ভাবে দাঁড়িয়ে কথা বলছে বেশ কয়েকজন নিউজ রিপোর্টারদের সাথে।ইমানের পায়ে যেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার জোর নেই,সে এক ভাবেই দাঁড়িয়ে আছে।রাতে বাসায় ফিরে ইমান ইলহান সাহেব’কে বলে,
– “বাবা! তুমি এমন টা না করলেও পারতে আমার সাথে।” ইলহান সাহেব নিশ্চুপ কথা বলার কোনো আগ্রহ প্রকাশ করলেন না ছেলের সাথে।ইমানের চোখে ঘুম নেই,সে আজ উপুড় হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে।মিম ইমানের জন্য খাবার নিয়ে এসে কৌতূহল বশত তাকে জিজ্ঞেস করে,
– “স্যার! আপনি তাকে ভালোবাসেননা,তাহলে কেন পরে আছেন তার পিছে?” ইমান ধরা গলা বলে,
– “আমি আসলে জানতে চাই,আমার প্রতি তার অনুভূতি গুলো কি এখনো আগের মতোই আছে!” মিম মিটিমিটি হেসে,মনেমনে বলে,
– “না নেই,সব ভোতা হয়ে গেছে; তুমি আমার মোহ ছিলে মিঃ ইমান খান,যেটা কেটে গেছে।কি ভাবো তুমি? এতোকিছু পরে-ও আমার মন টা সেই আগের মতোই আছে? নাঃ, সেটা সম্ভব নয় সব শেষ হয়ে গেছে,আমি আর তোমাকে চাই না,হ্যাঁ চাই না তোমার মতো নষ্ট কাওকে।” ইমান হঠাৎ খেয়াল করে দেখে মিমের মুখে কাঠিন্য ভাব ফুটে উঠেছে আর সে কোনকিছু না ব’লেই ইমানের ঘর থেকে হনহন করে বেড়িয়ে পরেছে।তারপর মিম আনমনে হাঁটতে হাঁটতে স্টোর রুমের কাছে চলে আসে,যেখানে সে প্রথম ইমান’কে উর্মির সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেছে।উর্মি ছিল মিমের বেস্টফ্রেন্ড,
সে কি করে ওকে ধোঁকায় রেখে তলেতলে ইমানের সাথে একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে? যার আঁচ ও পায়নি,পেতে পেতে অনেক অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে; তবে সে ও আর তার নিজের জেদ নিয়ে থাকেনি,নিজেই ওদের মাঝখান থেকে সরে এসেছে।উর্মি সুন্দরী,আবেদনময়ী এবং আকর্ষণীয়,তাই সে ইমান’কে খুব সহজেই নিজের মায়াজালে জড়াতে পেরেছে।ইমান প্রায়শই মিম’কে বলত,
– “তুমি যদি তোমার বান্ধবীর মতো সুন্দরী হতে,তাহলে আমি একবার অন্তত এই…বিষয় টা নিয়ে ভেবে দেখতাম,ঠিক আছে?” মিম কখনো সেকেন্ড অপশন হতে চায়নি,তাই সে নিঃশব্দে সরে এসেছিল,নিজের জায়গা থেকে,আর এখন না চাইতেও তাকে প্রতিনিয়ত থাকতে হচ্ছে এই…লোকটার আশেপাশে।মিম অনেক ভেবে-চিন্তে নিজের মন শক্ত করে এসে ইলহান সাহেব’কে বলে,
– “মামা! আমি আর এক মুহূর্ত থাকতে চাই না এই….বাড়িতে,তোমার ছেলে মানুষ করার দায়িত্ব শুধুই তোমার আমার না,আমার কোনো দায় নেই এতে।” রাইমা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে মিম’কে বলে,
– “মা এলি যখন,তখন ক’টা দিন থেকে যা না আমার কাছে।আমি তোকে আমার ছেলে মানুষ করে দিতে বলবো না,কারণ ও আর কখনো মানুষ হবে না। আমাদের বোঝা হয়ে গেছে।” মিমের চোখে ইমানের জন্য ঘৃণা স্বচ্ছ কাঁচের মতো পরিষ্কার এ বাড়িতে সবার কাছে।ইলহান সাহেব নিজের হাতে ভাত মেখে এনে আদুরে ভাগ্নী’কে খাইয়ে দিলেন,মেয়েটা ক’দিনের দৌড়ঝাঁপে শুকিয়ে গেছে।শোভা ফোন করেছিলেন,কথা বলতে চাইলেন মেয়ের সাথে।মিম কথা বলার কোনো আগ্রহ প্রকাশ করলো না শুধু বলল,
– “মা! প্লিজ বিরক্ত করো না আমাকে।” আমির সাহেব মেয়ে’কে জানালেন,সে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন দেশে।মিম খুশিমনে বাবা’কে বলল,
– “তাহলে তো ভালোই,আমাকে আর থাকতে হবে না মামার সাথে।” ইমান হঠাৎ ঝড়ের বেগে এসে মিম’কে বলে,
– “কি অবস্থা,মিহ? আজ তুমি শুবে না আমার সাথে?”
– “আপনি কি ছোটো মানুষ স্যার! আমাকে কেন শুতে হবে আপনার সাথে? আপনি একা-একা এক বিছানায় ঘুমতে পারেননা? জানেন? আমি একা-একা ঘুমাই মাএ পাঁচ বছর বয়স থেকে।”
– “ওহ! প্লিজ মিহ,নিজের সাথে তুলনা করো না আমাকে।”
– “তাহলে মা-বাবার কাছে ঘুমান না? টাইম ওয়েস্ট করবেননা ঠিক আছে? আর নয়তো জামাল’কে ফোন করি? নতুন,সুন্দরী,আবেদনময়ী ভার্জিন মেয়ে দিয়ে যাবে?”
– “আর ইউ ইনসাল্টিং মি….?”
– “ডেফিনিটলি,কোনো সন্দেহ আছে? আর তাছাড়া আপনার চরিত্রের ঠিক নেই মিঃ! আমার আপনা’কে ভয় লাগে,বলা তো যায় না আপনার ওই…কু-নজর থুড়ী সু-নজর কখন পরে গেলো আমার দিকে? আপনি এভাবে কেন তাকিয়ে আছেন স্যার? মারবেন না কি আমাকে? আমি জানি,আজকাল উচিত কথার ভাত নেই,বললে নিজের মারা খাওয়া লাগে।তবুও কোনো কিছু মনে না রেখে সরাসরি আপনা’কে বললাম স্যার! আমার আপনা’কে খুব ভয় লাগে।” ইমান রাগে তরতর করে ঘামছে মিমের দুর সাহস দেখে,তবুও দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
– “কাজ আছে,ঘরে চলো মিহ! এমনি এমনি ডাকতে আসিনি তোমাকে।” ঘরে আসার পর ইমান হঠাৎ মিম’কে জাপ্টে ধরে বলে,
– “নিজেকে পুরুষ বলে দাবী করো তুমি,আমি আজ তোমার প্যান্টের চেইন খুলে দেখতে চাই তোমার কি ওই….টা আছে?” মিম দু’হাত দিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে ইমান’কে বলল,
– “ক্ষমা করুন স্যার! আমি আর কখনো ইনসাল্ট করবো না আপনা’কে।” ইমান ভূবণ বিজয়ী হাসি দিয়ে বলে,
– “লাভ নেই মিহ! আজ আমি দেখবো’ইইইইই তোমাকে।” তখন মিম ভয়ের চোটে আয়াতুল কুরসি পড়তে পড়তে হঠাৎ ইমানের ফোনে একটা ম্যাসেজ আসে।মিম ঝটপট বিসমিল্লাহ্ বলে ফোন টা ইমানের পকেট থেকে বের করে নিয়ে ইমান’কে বলে,
– “শান্ত হন স্যার! উর্মি ম্যাম,ম্যাসেজ করেছে আপনা’কে” ইমান মিমের হুডির চেইন ধরে বলে,
– “কি লিখেছে শুনি?”
– “লিখেছে,,,,,আপনা’কে ভালো কোনো ডক্টর দেখাতে আর নয়তো কলিকাতা হারবাল সেবন করে আপনার ওই……টা কয়েক ইঞ্চি মি মি মি….”
– “কি মি মি মি…..?”
– “মিমের জন্য বাড়িয়ে নিতে।” ইমান হঠাৎ প্রচণ্ড রেগে গিয়ে মিম’কে ফেলে দিয়ে ফোন টা ওয়ালের সাথে আছাড় মারে সাথে সাথে,তারপর ল্যান্ড লাইন থেকে উর্মি’কে ফোন করে বলে,
– “খয়রাতির বাচ্চা! তোর অনেক বাড় বেড়েছে,তুই শুধু কাল সকাল অব্দি দেখ আমি কি কি করি তোর সাথে,তোকে যেমন আমি মাথায় উঠিয়েছিলাম,আমি’ই এবার মেঝেতে ছুড়ে ফেলবো তোকে; তোকে দিয়ে যদি! আমি আমার মিমের পা না মোছাই,আমার নাম ও ইমান খান নাঃ! এই….আমি বলে দিলাম তোকে।”

চলবে,,,,,,,,

সুপ্ত_বাসনা
লেখিকা সুরিয়া মিম
পর্ব- ৯

“তোকে দিয়ে যদি, আমি আমার মিমের পা না মোছাই,আমার নাম ও ইমান খান নাঃ! এই….আমি বলে দিলাম তোকে।” উর্মি ওপাশ থেকে হাসতে হাসতে ইমান’কে বলে,
– “তোর মুরোদ আমার জানাই আছে,আমি আমার পারসোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টের হাত দিয়ে নতুন মেয়ে পাঠিয়ে দেবো সহবাস করিস,মস্তি করিস এবং প্রাণ খুলে আড্ডাদিস তার সাথে; তোর আবার একটায় মন ভরে না,তাই রিপ্লেসমেন্ট পাঠিয়ে দেবো সন্দীপের সাথে।” ইমান চিৎকার করে তখন উর্মি’কে বলে,
– “বে*** জানি কোথাকার,ঠিক করে কথা বল আমার সাথে।তুই শুধু কাল সকাল হতে দে আর কোথায় কোথায় গিয়ে ভিক্ষা করবি সেটাও বাকি ছয় ঘন্টার মধ্যে ভেবেনে।” মিম বেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ইমানের দিকে।ইমান রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বাথরুমে গিয়ে ঝর্ণা ছেড়ে হাত-পা ছড়িয়ে বসে পরে তার নিচে।

মিনিটখানেক পর,মিম একটু চিন্তিত হয়ে টাওয়াল নিয়ে বাথরুমে ছুটে যায় ইমানের কাছে।ইমান সেই যেমন গিয়েছিল,তেমন দেওয়ালে একপাশে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে।মিম গিয়ে ঝর্ণা বন্ধ করে ইমানের গায়ের টাওয়াল জড়িয়ে বলে,
– “কি অবস্থা আপনার? বাচ্চা নাকি আপনি? ঠাণ্ডা লেগে যাবে।” ইমান হঠাৎ উচ্চশব্দে কাঁদতে কাঁদতে মিম’কে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলে,
– ” মিহ! আমার দ্বারা অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে,আমি সঠিক মানুষ চিনতে পারিনি; জানো? দেখ,তুমি আমার জীবন টা এই….মুহূর্তে জাহান্নামে পরিণত হয়ে গেছে,আমি শান্তি পাচ্ছি না,মনোযোগী হতে পারছিনা নিজের কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে।” মিম ইমানের মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলে,
– “শান্ত হন স্যার! শান্ত হন আপনি,কোনকিছু হয়নি আপনার সাথে; আপনি আমার সাথে রুমে চলুন, জানেন? এখন ক’টা বাজে?” ইমানের মুখে কোনো “রা” নেই,সে ভেজা জামাকাপড়ে বিছানায় বসে আছে।মিম ইমান’কে ঠেলতে ঠেলতে চেঞ্জিং রুমে নিয়ে এসে বলে,
– “প্লিজ,চেঞ্জ করে নিন স্যার!” ইমান উল্টো জামাকাপড় ধরিয়ে দেয় মিমের হাতে,মিম পুরোই অবাক কিছু বলতে পারছেনা,হতভম্বের ন্যায় তাকিয়ে আছে ইমানের দিকে।ইমান নিচু স্বরে মিম’কে বলল,
– “তুমি পরিয়ে দাও না ,প্লিজ।” এবার মনে হচ্ছে তার মিনি হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে,যদিও মিম নিজেকে সামলে নিয়ে চোখে কালো কাপড় বাঁধে।তারপর,সে এক-এক করে সমস্ত জামাকাপড় খুলে নেয় ইমানের গা থেকে আর এতক্ষণ পর,
ইমানের খুব হাসি পাচ্ছে মিমের অবস্থা দেখে,মিম কাঁদো কাঁদো হয়ে ইমান’কে অনুরোধ করে বলে,
– “প্লিজ স্যার! টাওয়াল দিয়ে নিজের গা টা মুছে নিন আগে।” ইমান নারাজ, সে উল্টো মিম’কে বলল,
– “হেই,ব্রো! তুমি কি পারছনা আমার গা টা মুছে দিতে?” তারপর হঠাৎ ইমান মিম’কে জড়িয়ে ধরে বলে,
– “এতো লজ্জা পাও কেন তুমি? একটা ছেলে হয়ে আরেকটা ছেলে’কে দেখে?” মিমের কাছে এই…প্রশ্নের কোনো উওর নেই,তাই সে চুপ করে আছে।ইমান আবারো মিম’কে চমকে দিয়ে বলে,
– “আমি জানি,তুমি একটা মেয়ে।ছেলে সেজে আছো আমার কাছে? কেন আছো মিহ? সত্যি করে বলো তো? তোমার কি সমস্যা আছে?” মিমের হার্ট বিট বাড়তে শুরু করেছে প্রবল বেগে,এই…বার বোধহয় সত্যি সত্যি তার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে এ ঘরে বসে।” ইমান হঠাৎ মিমের চোখের পট্টি খুলে দিয়ে গম্ভীর ভাবে তাকে বলল,
– “ছল করে লাভ নেই আমার সাথে।” মিম থরথর কাঁপছে ইমান ওর দু’গাল চেপে ধরে বলে,
– “মেনে নাও, মিহ! তুমি পুরুষ নও,তোমার মধ্যে নারী সত্ত্বা আছে।মেয়ে হয়ে যাও তোমার জন্য ছেলের অভাব হবে না এই…দেশে।আর হ্যাঁ,কিছু মনে করো না,আমি জাস্ট মজা করলাম তোমার সাথে।” মিম চোখ বোঝা অবস্থায় ইমানের মাথার চুল গুলো দু’হাতে আঁকড়ে ধরে আছে,একটু থেমে বলল,
– “আপনার কি মাথা ঠিক আছে?” ইমান এবার অট্টহাসিতে ফেটে পরে বলে,
– “এতো লজ্জা পেয়ো না ব্রো! আমি মাঝেমধ্যেই প্রেমে পরে যাই তোমাকে দেখে,তোমার কোমরের সাইজ কত হবে? সে যাই হোক,মেয়ে বলে মনে হয় তোমাকে দেখে।” মিম এবার কিঞ্চিৎ রেগে গিয়ে ইমানের বুকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে বললো,
– “স্যার! আপনি কি ফাজলামো বন্ধ করবেন আমার সাথে?”
– “নো,নেভার,কাভি নেহি! সে আশাও তুমি রেখো না আমার কাছ থেকে।ইউ নো হোয়াট? ইউ আর মাই চ্যাম্প,খুব ভালো লাগে তোমাকে ভয় পেতে দেখে।” মিম ভ্রু নাচিয়ে ইমান’কে বলে,
– “হয়েছে হয়েছে ভাই! গিয়ে ঘুমান,জানেন ক’টা বাজে?”
– “আরে ধুরর,ভাই! তুমি কি দু’দণ্ড সুস্থ হয়ে বসতে পরো না আমার কাছে?” মিম তখন হঠাৎ খেয়াল করে দেখে,
তার হাত খোপা খুলে গিয়ে উইগের নিচ থেকে লম্বা লম্বা চুল বেড়িয়েছি গেছে,তাই দেখে মিম মৃদু চিৎকার করে মনেমনে বলে,
– “হায় খোদা,ও খোদা! এখন কি হবে? এই…লোক এই…মুহূর্তে আমার আসল পরিচয় জানলে নির্ঘাত আমাকে জিন্দা কবর দিয়ে দেবে।” ইমান তখন ওয়াইনের বোতল হাতে নিয়ে ফিরে তাকায় মিমের দিকে,মিম উপায়ন্তর না দেখে ইমান’কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সাথে সাথে।ইমান হাসতে হাসতে বলে,
– “কি হলো ব্রো? কন্ট্রোল করতে পারছনা আমাকে দেখে? বাই দ্যা ওয়ে তুমি অনেক সেক্সি,আমার কিন্তু বেশ সেক্সি লাগে তোমাকে।” মিম কোনো মতো চুল গুলো উইগের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে বলে,
– “স্যার! কিচ্ছু কি আটকায় না আপনার মুখে? আচ্ছা বলুন তো? এভাবে চলতে থাকলে কোন মেয়ে বিয়ে করবে আপনা’কে? আপনার আসলেই কোনো ভবিষ্যৎ নেই,কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন আমার দিকে?” ইমান মিটিমিটি হেসে বিছানায় শুয়ে মিম’কে বলে,
– “এদিকে আসো ব্রো,আজ আমি একটা জিনিস দেখাতে চাই তোমাকে।” ইমান পর্ন সাইডে ভিজিট করছে দেখে মিম রেগে গিয়ে কাঁথা মুড়ি দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পরে অন্য পাশে।ইমান তখন লাইট অফ করে ফোন টা চার্জে রেখে একটু একটু করে এগিয়ে যায় মিমের কাছে।নিজেকে বড্ড বেশি বেহায়া বলে মনে হচ্ছে তার,কিন্তু সে সেই গায়ের গন্ধ টা প্রথম থেকেই পাচ্ছে মিহানের (মিম) গা থেকে।মিম বুঝতে পারছে ইমান ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে নিজের দু’হাতে,দু’জনেই নিঃশব্দে কাঁদছে চোখের জলে বালিশ ভিজে গেছে।তবু্ও মিম নিজেকে ঠিক রেখে ইমান’কে অনুরোধ করে বলে,
– “কিছু একটা গায়ে দিয়ে নিন স্যার! ঠাণ্ডা লেগে যাবে।” ইমান সাথে সাথে ছিটকে দূরে সরে গিয়ে মনেমনে বলে,
– “কে জানে? ছেলেটা কি ভেবেছে আমাকে?”

চলবে,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here