সাইকো_নীড় part-38

0
591

#সাইকো_নীড়
part : 38
writer : Mohona

.

নীড় : i just love you মেরিন…
মেরিনের মাথার মধ্যে ওঠা ভূমিকম্প আরো বেরে গেলো। ২হাত দিয়ে মাথায় দিলো। ব্যাথায় ছিরে যাচ্ছে মাথাটা…
নীড় : কি হয়েছে তোমার? snow … এই snow …
মেরিন আরো পিছে যেতে লাগলো।
নীড় : কোথায় যাচ্ছো snow ? ও snow … পপপরে যাবে তো… এমা আবার বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। তোমার যে ঠান্ডা লাগবে…. চলো চলো…
মেরিনের নরতেই সাহস হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে পরে যাবে।
নীড় : কি হলো চলো … দারাও দারাও যেতে যেতে ভিজে যাবে।
বলেই নিজের টি-শার্টটা খুলে মেরিনের পেছনদিকে যেয়ে ওর মাথায় দিয়ে দিলো।
নীড় : সরাসরি পানি মাথায় পরবেনা। চলো চলো…
মেরিন চলতে নিলো। কিন্তু অসম্ভব মাথা যন্ত্রনায় নিজেক সামলাতে না পেরে পরে যেতে নিলো … নীড় ওর পিছে থাকায় ওর ভরটা নীড়ের ওপর পরলো। আর বৃষ্টি পরাতে জায়গাটা পিচ্ছিলও হয়ে গিয়েছে । নীড় মেরিনকে তো সামলে নিলো। কিন্তু নিজে পাহাড় থেকে পরে যেতে নিলো।
নীড় : আহ আহ…
মেরিন পিছে ঘুরলো। দেখলো নীড় পরে যাচ্ছে। মেরিন ১হাতে মাথা চেপে ধরে অন্য হাতে নীড়ের হাত ধরলো। কিন্তু পেরে উঠছে না…
নীড় : ছেরে দাও… না হলে তুমিও পরে যাবে…
মেরিন : নননীড়…
মেরিন চোখে ঝাপসা ঝাপসা দেখছে। নীড় মেরিনের হাত ছেরে দিলো।
নীড় : i just love you…
নীড় পরে যাচ্ছে এই উচু থেকে।

মেরিন : নীড়…. ???…

এদিকে তখনই দীপ্ত ফিরলো। আর ও মেরিনের পেছনের দিকটাতে ছিলো। দেখে মনে হচ্ছিলো যে মেরিন নীড়কে ছেরে দিয়েছে।

দীপ্ত : নীড়… ???

মেরিন হাটু গেরে বসে পরলো। দীপ্ত ছুটে গেলো…
দীপ্ত : নীড় …
ওদের চিল্লানো শুনে সবাই backyard থেকে সবাই ছুটে এলো।

এসে দেখে মেরিন হাটু গেরে বসে আছে। আর দীপ্ত কান্না করছে।

.

নিহাল : কি হয়েছে দীপ্ত…? এই দীপ্ত কি হয়েছে?
নির্ঝর : কি হয়েছে মামা? কাদছো কেন?
দীপ্ত : দুলাভাইয়া… নীড়…
নিহাল : নীড়? কি হয়েছে নীড়ের?
দীপ্ত : পরে গিয়েছে …
নিহাল : দীপ্ত… কি যা তা বলছো?
দীপ্ত : হ্যা দুলাভাইয়া… ওই মেয়েটা… আমাদের নীড়কে ফেলে দিয়েছে…
নিহাল : কি বাজে কথা বলছো?
দীপ্ত : হ্যা দুলাভাইয়া হ্যা … মেরিন নীড়কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে…
বলতে বলতে দীপ্ত কেদে দিলো। নিহালের যেন পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো।

.

একটুপর…
পুলিশ সহ উদ্ধারকর্মী রা এসে কাজ শুরু করলো।
নিহাল : অফিসার যেভাবেই হোক আমার ছেলেকে বাচান…. যতোটাকা লাগে দিবো। কিন্তু আমার ছেলেকে বাচান…
অফিসার : আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করবো।
নিহাল : চেষ্টা করলে হবেনা। বাচাতেই হবে আমার ছেলেকে।
অফিসার : দেখুন মিস্টার চৌধুরী… এই পাহাড়ের নিচে ১টা বিলের মতো আছে। আপনার ছেলে হয়তো সেখানেই পরেছে। আমরা খোজার চেষ্টা করছি।।।

নীড়কে খুজতে খুজতে রাত থেকে ভোর , ভোর থেকে রাত আবার রাত থেকে ভোর হয়ে গেলো। কিন্তু নীড়কে পেলোনা।

অফিসার : মিস্টার চৌধুরী… we are sorry … আমরা আপনার ছেলেকে খুজে পাইনি… হয়তো ও স্রোতে ভেসে গিয়েছে … না হয় হয়তো কুমির… এখানে কুমির আছে… আসছি…
নিহাল : দারান অফিসার … এভাবেই যাবেন? অপরাধী নিয়ে যাবেননা? খুনীকে নিয়ে যাবেননা? যে আমার ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে তাকে নিয়ে নিয়ে যাবেন না?

বলেই নিহাল মেরিনের সামনে গিয়ে ওকে টেনে নিয়ে এলো।
নিহাল : arrest her….. ও আমার ছেলেকে খুন করেছে।
মেরিন : ববববাবা…
নিহাল : খবরদার আমাকে বাবা বলে ডাকবেনা।
মেরিন : বববাবা আমি নননীড়কে ধাক্কা মারিনি… আমি কি করে আআআমার নীড়কে ধাক্কা মারতে পারি?
নিহাল : তোমার নীড়? হাসালে…. তুমি কোনোদিনও নীড়কে আপন ভাবোনি। তাই ওকে খুন করা তোমার কাছে কোনো ব্যাপারনা। প্রতিশোধ নিয়েছো । ওকে ফেলে দিয়ে …
মেরিন : আমি উনাকে ধাক্কা মারিনি…
দীপ্ত : মিথ্যা কথা। তুমিই ধাক্কা মেরে়ছো। আমি নিজের চোখে দেখেছি…. অফিসার নিয়ে যান এই ধোকাবাজ মেয়েকে…
মেরিন : মামা…
নিহাল : অফিসার… নিয়ে যান…

পুলিশ মেরিনকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে গেলো।

নিহাল : মেয়ের মতো ভালোবেসেছিলাম ওকে । কিন্তু ছারবোনা ওকে। সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়াবো ওকে আমি…
নাহিদ : দাদা ভুলে যেওনা ও নীড়ের ভালোবাসা…
নিহাল : আমি এটা ভুলবোনা যে ও আমার ছেলের খুনী….

.

পরদিন…
মেরিন : আমি কিভাবে আপনাকে খুন করতে পারি নীড়? আমি যে আপনাকে ভালোবাসি… খুব। আপনাকে শাস্তি দিতে পারবোনা বলেই তো সেদিন নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম… আপনার কষ্টও যে আমি সহ্য করতে পারিনা… কেন আমার হাত ছেরে দিলেন? না হয় দুজন একসাথেই…
তখন নিরব-নির্ঝর এলো।
২জন : রঙ্গীলা ভাবি…
মেরিন সোজা হয়ে দারালো।
মেরিন : তততোমরা? নননীড়কে পেয়েছে?
নির্ঝর : না ভাবি…
নিরব : বড়ভাবি… জানিনা তুমি দাদাভাইয়াকে খুন করেছো কি না? কিন্তু ১টা কথা বলতে পারি যে দাদাভাইয়া তোমার মা-বাবাকে খুন করেনি। এই নাও তার প্রমান…
নিরব মেরিনে হাতে দিলো।
নির্ঝর : এই নাও দাদাভাইয়ার ডাইরী… তোমার রুমে পেয়েছি। হয়তো তোমার কাজে দিবে….
মেরিন ডাইরীটাও নিলো। ২জন চলে গেলো।

.

মেরিন অনেক সাহস নিয়ে ভিডিওটা প্লে করলো। অর্নবের কথা শুনলো। জানতে পারলো যে নীড় খুন করেনি । আসল অপরাধী অর্নব । যেটা জেনে মেরিন হাউমাফ করে কাদতে লাগলো। চারদিকে ওর কান্নার শব্দ বারি খাচ্ছে।
মেরিন : i am sorry নীড়… i am really very sorry … সেদিন কেন আপনার কথায় বিশ্বাস করলাম না? কেন কেন কেন? আসলেই আমি আপনাকে আপনার মতো করে ভালোবাসিনি… ভালোবাসতে পারিনি… ক্ষমা করে দিবেন নীড়…

একটুপর মেরিন একটু শান্ত হলো। নীড়ের ডাইরীর দিকে চোখ গেলো। নীড় বলেছিলো…
” যেদিন সত্যি আমাকে ভালোবাসবে… আমাকে বুঝতে পারবে সেদিনই password টাও বুঝতে পারবে। আমার সবকিছুই তুমি। তবে password অন্যকিছু কেন হবে? You are my need , love , passion , life , breath , heart , world … ”

আজকে password মেরিন বুঝতে পারলো। ও type করলো…

‘ N+L+P+l+B+H+W=Snow white ‘

password টা দিতেই ডাইরীটা খুলে গেলো। মেরিন ডাইরীটা পড়তে লাগলো।

” আমার মম আমার থেকে বেশি অন্য ১টা ভাইয়াকে আদর করে। ”

” আমার মম কেবল আমার। মমকে অন্যকারো কাছে যেতে দিবোনা। ”

” আমার মম আমাকে ছেরে চলে গিয়েছে… ড্যাডডার্লিং কে বলতে শুনলাম মম অন্য ১টা uncle এর কাছে চলে গিয়েছে। i just hate her i just her… কিন্তু মম কেন এমন করলো? ”

” তোমাকে ছারা দিন কাটেনা মম। খুব কষ্ট হয়। ”

” আজকে মমের birthday … কিন্তু মম আমার কাছে নেই। কেবল মমের কিছু সুইট মেমোরি আছে । তাই সারাদিন ওই দোলনায় বসেছিলাম । মনে হচ্ছিলো মম আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে। আমি তোমাকে ভীষন ভালোবাসি মম। তোমাকে খুব মিস করছি। happy birthday মম… আমি রোজ দোয়া করি যেন তুমি ফিরে আসো। তোমার ফেলে যাওয়ার কারন আমি ঠিকই বের করবো। ”

” আজকে মমকে ১টা uncle আর সেই ছেলেটার সাথে দেখলাম … আমার খুব কষ্ট লেগেছ খুব। ”

” আজকে ১৮তে পা দিলাম। আর আজই জানলাম আমার মা চরিত্রহীনা … ধোকবাজ। আমার ড্যাডডার্লিং কে ধোকা দিয়েছে। মেয়েদেরকে বিশ্বাস করতে নেই হয়তো। ”

” মেয়েরা অনেক খারাপ হয়। ”

” smoke করলে আসলেই কষ্ট কমে যায় । ”

” অ্যালকোহল… কষ্টকে ভুলিয়ে রাখে। আজকে থেকে এভাবেই আমি কষ্ট ভুলিয়ে রাখবো। ”

” মমের সাথে নাকি ওই জহির রায়হানের বিয়ে হয়নি ? তবে মম কেন এসব করলো? এমনটা না করলেও পারতো। কিভাবে বুঝবো ? ”

” মেয়েদের মন নাকি বোঝা বড় দায় ? আমিও দেখে নিবো যে মেয়েদের মন বোঝা কতো কষ্টের ? মেয়েদেরকে আমি বুঝতে শিখবোই। আমাকে যদি সব সীমা লঙ্ঘন করতে হয় তবুও করবো। মেয়েদেরকে বুঝতেই হবে আমার … তাহলেই হয়তো মমকে বুঝতে পারবো। ”

” ধ্বংসের খেলায় নেমে আমি নষ্ট হয়ে গিয়েছি। আমার নাম নষ্ট হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি সবার কাছে চরিত্রহীন মাতাল মেয়েবাজ … আর এসব কিছুর জন্য দায়ী কেবল আর কেবল জহির আর নাবিল রায়হান। ওরাই ছলে বলে কৌশলে মমকে নিয়ে গিয়েছে। আমার মম হয়তো নির্দোষ। এই ২জনকে আমি সবথেকে বেশি ঘৃণা করি। ”

” আজকে পুরো ৩দিনপর মমকে দেখলাম। কিন্তু অসাবধানতার জন্য মমও আমাকে দেখে ফেলেছে । আমার দিকে ছুটে আসছিলো। আমি রাগ দেখিয়ে চলে এসেছি। ”

” জানিনা কেন না চাইতেও মমের সাথে বাজে ব্যবহার করি। খুব খারাপ লাগে মমের সাথে এমন আচরন করলে। মন চায় নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করি। ”

” জ্যােতিকে সাহায্য করতে হবে। ওর বেবিটাকে নিজের নাম দিয়ে abort করতে হবে। না হলে ওর career বরবাদ হয়ে যাবে। ”

” আজকে মনে হলো কোন নূরের আলো দেখলাম। আগে তো কেবল শুনেছি। আজকে দেখেও নিলাম। কেউ এমন হয়? কি মায়াবী চোখ , হাতে পুতুল , ঝলমলে চুল , চোখ ঝলসানো রূপ। কিন্তু চোখে যে আমার জন্য বিরক্তি , ঘৃণা দেখতে পেলাম। অদ্ভূদ। এই প্রথম আমার জন্য কারো চোখে এমন কিছু দেখলাম। নিহাল আহমেদ চৌধুরীর ছেলে নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের জন্য ঘৃণা। i like it…. ওকেই life partner বানাবো। কখনোই আমাকে ধোকা দিবেনা। তবুও ওকে পরীক্ষা করার জন্য বলেছিলাম যে ১রাতের বউ হবে কিনা? বাবাগো বাবা ক্ষেপে গেলো। কিন্তু ও তো জানেনা যে এই ক্ষেপে গিয়ে ও পরীক্ষায় পাশ করেছে। এখন থেকে তুমি আমার snow white … ”

” snow white কে strong হতে হবে। আমার সমান সমান হতে হবে। তা না হলে আমার দুশমনদের সাথে পেরে উঠবেনা। ”

” snow white কে আঘাত করলে এতোটা খারাপ লাগে যে কি বলবো? ওকে আঘাত করার পর নিজেকে ক্ষত বিক্ষত করার পরও শান্তি পাইনা … ”

” snow white কে ভালোবেসে ফেলেছি। বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমি কাউকে ভালোবাসেছি। ”

” snow কি কখনো আমার ভালোবাসা বুঝবে ? ”

” snow white ও মনে হয় আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে। সময় চেয়েছে… ”

” আজকে মনটা ভেঙে গেলো। প্রথমবার snow white এর ওপর রাগ হচ্ছে। ও আমাকে এভাবে ধোকা দিলো? ও সময় চাইলো… আর এখন আজকেই নাবিল রায়হানের সাথে বিয়ে করছে… এভাবে ধোকা দিলো আমাকে? আমি যে ওকে ছারা বাচতে পারবোনা। ”

” আজকে আমি যা করতে যাচ্ছি তারজন্য অনেক সাহসের দরকার আমার। খুবই নৃশংস কাজ … পাপ করতে যাচ্ছি । ও অন্যকারো… তবুও আমি ওকে ভালোবাসি। তাই ওকে আজকে নিজের করতে যাচ্ছি। আর ওই নাবিলের এমন হাল করবো যে… ”

” একটু ভুলের জন্য আমি কতো বড় পাপ করে ফেললাম? snow white এর সাথে কতো বড় অন্যায় করে ফেললাম ? ছিঃ… নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু আমার কিছু হয়ে গেলে ও যে একা হয়ে যাবে। নিজের অপরাধবোধ তো আছেই তবে আজকের মতো কষ্ট আমার কোনোদিনও হয়নি। আমার দুঃখেও আমি এতো কষ্ট পাইনি যতোটা আজকে snow white এর কষ্টে পেয়েছি। যে বা যারা শশুড়ড্যাড আর শাশুড়িমমের মৃত্যুর জন্য দায়ী তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিবো। ”

” snow white এর হাসি আর রাগটাকে ভীষনকরে মিস করছি। ”

” আজকে আমার জীবন স্বার্থক । আমার ভালোবাসা স্বার্থক। আমি স্বার্থক । কারন ও আমাকে ভালোবাসি বলেছে। ”

” কালকে snow white এর সাথে আমার বিয়ে। কাল থেকে নিজেকে পাল্টে ফেলবো। ”

” আমি খুনী… আমি শশুড়ড্যাড আর শাশুড়িমমকে খুন করেছি? snow white কে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছি ? এতো খারাপ আমি? ”

” আমার কপালই খারাপ। আমার সাথে কিছুই ভালো হতে পারেনা… যেই দিনটার জন্য এতোদিন অপেক্ষা করেছি সেইদিনই snow white থেকে দূরে চলে যাচ্ছি। নিজেকে শাস্তি দিতে। আমি যে খুনী…. আজও নিজেকে শেষ করতে পারলামনা snow white এর কথা ভেবে… ”

” snow white কে ৬মাসের সময় দিলাম মমের জীবন কাহিনি খুজে বের করার। যেটা আমি পারিনি সেটা হয়তো ও পারবে। কারন ও ভালোবেসে কাজ করে। তাইতো ওকে ভালোবাসি। এবার হয়তো আমি আমার মমকে ফিরে পাবো। ”

” নিজেকে শাস্তি দিতে যেয়ে snow white কেও শাস্তি দিচ্ছি। নাহ আর না। নতুন করে জীবন সাজাবো। ”

” snow white কে জানিয়ে দিবো যে আমিই খুনী। পরশুই বলবো। ও আমাকে ছেরে যাবেনা তো? না … ও আমাকে ভালোবাসে। ওকে ছারা বাচতে পারবোনা। ”

” snow white আমাকে ফেলে চলে গিয়েছে… আমি নিঃস্ব… ”

” আজকে আমার পাপের ঘরা ভরে গিয়েছে । আমি আমার এই হাত দিয়ে আমার snow white কে shoot করেছি… মেরে ফেলেছি। নিজের ভালোবাসাকে মেরে ফেলেছি । আমার বাচার কোনো অধিকার নেই। আমার snow white বেচে নেই… আমি কিভাবে বাচবো? মরে যাবো। snow white কে যেখানে shoot করেছি নিজেকেও সেই জায়গাতেই shoot করবো… কিন্তু আফসোস মৃত্যুর আগে শেষবারের মতো snow white এর মুখটা দেখতে পারলাম না। এই ডাইরীতে আর কিছু লেখা হবেনা। আর যেহেতু snow white এই ডাইরীটা খুলতে পারেনি সেহেতু কেউ পারবেও না। আর কারও অধিকারও নেই। আমার সব কিছুই তুমি… তুমিই বর্ষনের বন্যা … শেষবারের মতো বলছি i just love you… ”

ডাইরী পড়া শেষ হলো।
মেরিন : আপনি এমনই একজন যে কোনো অপরাধ না করেও অপরাধী … i just love you নীড় … আপনি আমাকে ছেরে যেতে পারেননা…. কোনোক্রমেই না….

মেরিন কান্না করতে লাগলো।

.

[[[

চোখ বন্ধ করে মেরিনকে shoot করার পর যখন নীড় চোখ মেলল দেখলো যে মেরিনের মাথায় গুলি লেগেছে । রক্ত আর আর রক্ত। এমন রক্তাত্ব মেরিনকে দেখ নীড় সহ্য করতে পারেনি। ধীর পায়ে মেরিনের কাছে যায়। হাটু গেরে বসলো। মেরিনের মাথায় হাত দিলো । ওর হাতে রক্ত লাগলো। নীড় জ্ঞান হারালো । গুলির আওয়াজ পেয়ে লোকজন ছুটে এলো।

নীড়ের যখন জ্ঞান ফিরলো তখনে নিজেকে নিজের রুমে পেলো ।

নীড় : snow …
নিরব : দাদাভাইয়া…
নীড় : আমার snow white কোথায় রে…
নিরব : …
নীড় : বলনা…
নিরব : ….
নীড় : বলছিস না কেন? বল…
নিরব : মারা গিয়েছে…
নীড় ঠাস করে নিরবকে থাপ্পর মারলো।
নীড় : আরেকবার এমন কথা বললে জানে মেরে ফেলবো।
নিরব : ফেলো ভাইয়া ফেলো। আমাদের সবাইকে মেরে ফেলো এরপর নিজেকে। কারন আজ না হয় কাল তুমি নিজেকে মেরেই ফেলবে। কারন এই হাত দিয়ে তুমি তোমার snow white কে মেরে ফেলেছো …
নীড় : …
নিরব চলে গেলো।
নীড় : আমার বেচে থাকার কোন অধিকার নেই।

পরদিন রাতে নীড় মেরিনদের বাসায় গেলো। মেরিন যেখানে পরেছিলো সেখানে দারালো।
নীড় : i just love you snow white …
বলেই নিজেকে shoot করে দিলো।

কোনো রকমে বেচে গেলো। আর নিজের মানষিক ভারসাম্য হারানোর পর থেকে পুন্টুসকেই মেরিন ভেবে নিজের কাছে রেখে দিলো। আর মেরিনের সেই রক্তাত্ব অবস্থা দেখার পর থেকে রক্ত দেখলেই ভয় পেতো। ওর মস্তিষ্ক ১টা ১২-১৩ বছরের বাচ্চার মতো হয়ে যায়। যেই বয়সে নীলিমা ওকে ছেরে চলে গিয়েছিলো।

রক্ত দেখে ভয় পেলেও মেরিনের কপালে রক্ত দেখে সহ্য করতে পারেনি । হ্যা মেরিনের চেহারা দেখেনি…. কিন্তু ও ওর অনুভূতি দিয়ে ঠিকই চিনেছিলো নিজের snow white কে … যদি নরমাল থাকতো তবে …

মেরিনের চোখ দেখে , ওর চেহারা দেখে , ওকে ভিজতে দেখে , ওকে পরে যেতে দেখে নীড় স্নায়ুতন্ত্রে চাপ পরে।

]]]

.

কাদতে কাদতে সকাল হয়ে গেলো। হঠাৎ ১টা বিকট শব্দে মেরিনের ধ্যান ভাঙলো। তাকিয়ে দেখে সেলের দরজা ওর পাশে পরে আছে। মেরিন তারাতারি উঠে দারালো। আর সামনে তাকিয়ে দেখলো নীড় দারিয়ে আছে … নীড় মেরিনের দিকে এগিয়ে এলো। এরপর হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো। অফিসারের সামনে গিয়ে দারালো।

নীড় : অফিসার… ৫বছরের আগের ভুল repeat করার জন্য আপনার চাকরি আমি খেয়ে নিবো …

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here